নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবল উচ্চ জিপিএ, ভর্তি পরিক্ষার উচ্চ স্কোর কখনোই একজন ভাল ডাক্তারের মাপকাঠি হতে পারে না

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়ে কয়েকটি কথা বলেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী: ট্রাস্টি, গণবিশ্ববিদ্যালয়ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
যা আমার কাছে ভাল লেগেছে।
উনি বলেছেন পাবলিক মেডিকেলে সুপার মেধাবি খুব একটা প্রয়জন নেই,
কেবল উচ্চ জিপিএ, ভর্তি পরিক্ষার উচ্চ স্কোর কখনোই ভাল পাবলিক হেলত সেক্টরের ভাল ডাক্তারের মাপকাঠি হতে পারেনা। জিপিএ-৮/১০ দরকার, তবে এটা মূল নিয়ামক নয়।
মুল দরকার জনসেবামুলক মনভাব, নির্লোভ সেবার মানসিকতা ও সহমর্মিতা থাকতে হবে। বেশি দরকার সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস। প্রয়োজনে গ্রাম, চর ও সারা বাংলাদেশকে নিজের শহর মনে করতে পারা এবং স্বাস্থ্য টিমের সব কর্মীর সঙ্গে মিলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মন-মানসিকতা।

উনি যা লিখেছেন, প্রথম আলোতে আজ ছাপা হয়েছে।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা
১. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেড গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা মূল নিয়ামক নয়।
২. জনদরদি ডাক্তার বেকারের মতো চিকিৎসাসেবক হওয়ার জন্য কেবল জিপিএ-৮/১০ যথেষ্ট নয়, নির্লোভ সেবার মানসিকতা ও সহমর্মিতা থাকতে হবে। বেশি দরকার সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস। প্রয়োজনে গ্রাম, চর ও সারা বাংলাদেশকে নিজের শহর মনে করতে পারা এবং স্বাস্থ্য টিমের সব কর্মীর সঙ্গে মিলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মানসিকতা।
৩. ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন কেবল অধূমপায়ী শিক্ষার্থীরা।
৪. চিকিৎসাসেবার ডিগ্রির জন্য ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা নিরূপণে আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়মাবলি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ভারত, পাকিস্তানসহ অধিকাংশ দেশে উচ্চমাধ্যমিকে (এইচএসসি) দ্বিতীয় বিভাগ পেলে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। ভারতের সবচেয়ে নামকরা মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ-৩ থাকলেই চলে।

৫. উল্লেখ্য যে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিন কঠিন বিজ্ঞান বিষয়ে, কৃষি ও ভেটেরিনারি বিভাগে ভর্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জিপিএ-৬/৭ থাকলেই চলে। ডিগ্রিতে জিপিএ-২.৫ বা দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পড়া যায়।
বর্তমানে মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৮ এবং ফিজিওথেরাপি পড়ার জন্য জিপিএ-৭ থাকতে হয়। উভয় ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ রকম প্রাথমিক যোগ্যতা অযৌক্তিক। কেবল উচ্চমাধ্যমিকের গ্রেড দ্বারা ভালো ডেন্টিস্ট ও ফিজিওথেরাপিস্ট সৃষ্টি করা যায় না।
৬. দেশের প্রয়োজনে এবং গ্রামের ছেলেমেয়েদের ভর্তি পরীক্ষায় অধিকতর হারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির নিমিত্তে আগের মতো এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞানে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগকে প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়। এর নিচের শিক্ষার্থীদের ফিজিওথেরাপি, নার্সিং, ফার্মেসি ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবা–সংক্রান্ত ডিগ্রি কোর্স পড়ার সুযোগ দিন।
এ রকম সিদ্ধান্তে গ্রামের অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ শতাংশ ছাত্র মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে এই হার ১৫ শতাংশের কম।
৭. পুনরায় ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসাসেবা অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত হলে তাঁরা নিজ প্রয়োজনে অধিকতর বিজ্ঞান শিক্ষা করবেন এমবিবিএস/বিডিএস/ফিজিওথেরাপি/ফার্মেসি অধ্যয়নকালে এবং ইন্টার্নশিপ পিরিয়ডে।
তাই ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে ছাত্রের মন-মানসিকতা যাচাইয়ের জন্য এবং দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার জন্য, যাতে ভবিষ্যতে এসব চিকিৎসাসেবক উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যাবেন কি না বোঝা যায়।
মূল ভর্তি পরীক্ষা হবে সেবার মন-মানসিকতা নির্ধারণের নিমিত্তে এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা নিরূপণের জন্য। কারণ, বিজ্ঞানের জগতে, বিশেষত চিকিৎসাশাস্ত্রে বিচরণের জন্য ইংরেজি ভাষার জ্ঞান অত্যাবশ্যক।

ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের বিন্যাস
ক) এসএসসি/এইচএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের জন্য ৫০ নম্বর। জিপিএ-৬ পেলে ৩০ নম্বর, জিপিএ-৭ পেলে ৩৫ এবং জিপিএ-১০ পেলে ৫০ পাবেন।

খ) ইংরেজি ভাষার জ্ঞান পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। ইংরেজিতে চিঠি লেখা, ৫০০ শব্দের ছোট প্রবন্ধ লেখার জন্য ১৫ নম্বর, ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ এবং বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের জন্য ১৫ নম্বর করে ৩০ নম্বর। সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত বাংলাদেশির লেখা ইংরেজি উপন্যাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে দুটি বাক্য রচনা ৫ নম্বর।

গ) সেবা, দেশ পরিভ্রমণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিষয়ক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে।
১) ভাষা আন্দোলন, জনগণের বিভিন্ন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ–সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৫০ নম্বর। কয়েকটি উদাহরণ: শেখ মুজিবুর রহমানকে কবে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়েছে? বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা প্রথম কবে ওড়ানো হয়েছিল? কে প্রথম উত্তোলন করেছিলেন? মাওলানা ভাসানী কে ছিলেন? ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলের ঘোষণার সারমর্ম, মুক্তিযুদ্ধকালে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম? জাতীয় সংগীত কার লেখা? কে এটা স্থির করেছিলেন? সেক্টর কমান্ডারদের নাম ইত্যাদি।
২) বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশ ও দেশবাসীর জীবন-জীবিকা–সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৩০ নম্বর।
৩) মানসিক স্থিতি, সংস্কৃতি, সাঁতার, সাইকেল চালানোসহ অন্য খেলাধুলায় অংশগ্রহণ–সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য ১৫ নম্বর।
৪) সুন্দর হাতের লেখার জন্য ৫ নম্বর।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: লিঙ্ক -
মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা: কিছু প্রস্তাব - জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

সিপন মিয়া বলেছেন: হুম.. যৌক্তিক প্রস্তাব।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই সব জিপিএ দিয়ে কিচ্ছু হয় না। আমার মতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতি থাকা দরকার। ধরেন অনেক মেধাবি আছে, যারা হয়ত জিপিএ কোন কারনে ভালো পেলো না। তারাও যদি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়ে পড়তে পারে, কে জানে, ভালো কিছু হতেও তো পারে।

এখানে মুল বিষয় হচ্ছে, ধরুন ১০০ জনের মধ্যে ৬০ জন জিপিএ এ পেলো, বাকি ৪০ জন পাশ করেছে। এখন ধরলাম মেডিকেলে ৫০ টা সিট আছে। ৪০ জনের জিপিএ এ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৪০ জন আসলেই মেধাবী
আর বাকি শুধু পাশ করা ৪০ জনের মধ্যে ১০ জন প্রকৃত মেধাবী।

তাহলে আমার মতে সবাই যদি এক্সাম দিতে পারেন সত্যিকার মেধাবীরাই চান্স পাবে। কোন মেধা অপচয় হবে না, আবার কেউ অতিমূল্যায়িতও হবে না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই। এই সব জিপিএ দিয়ে কিচ্ছু হয় না।

GPA 4 বা 5 এনাফ। ডাক্তার হতে যতটুক মেধার দরকার তার দরকার আছে।
এরপর দরকার একটি মানসম্মত মনস্তাতিক পরিক্ষা, যেখানে যাচাই হবে জনসেবামুলক মনভাব,
নির্লোভ সেবার মানসিকতা ও সহমর্মিতা,
সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা, দেশপ্রেম।
সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভর্তি পরীক্ষার কোন বিকল্প নাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ভর্তি পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই অবস্যই।
বাট পরিক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের মনস্তত্ত যাচাইয়ের ব্যাবস্থা থাকতে হবে।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১২

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: আপনি কি ডাক্তার! আর হইলেও অবশ্যই কোন বেদরকারী মেডিকেল থেকে পাশ করা। ধিক্কার জানাই জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। সাথে তোমাকেও। সমাজের কিট তোরা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি মতামত দিয়ে বলেছি
ডাক্তার হতে যাচাই হবে

তার জনসেবামুলক মনভাব,
নির্লোভ সেবার মানসিকতা ও সহমর্মিতা,
সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা, দেশপ্রেম।
সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস।

বুঝেছি।
শেষ বাক্যটি দেখে গা জলে জ্বলে গেল। তুইতোকারি সুরু হল!
দেশের খেয়ে দেশের বাতাসে নিঃস্বাস নিয়ে দেশের সাথে নিমকহারামি! ছি .. ছিহ ...

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: তা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাচাই হবে কিভাবে? আর আমাকে ট্যাগ দেওয়ার আগে আমার ব্লগটা একটু ঘুরে দেখবি নিমকহারামির দল। আর এই তোরাই মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসকে যায়েজ বানানোর চেষ্টা করছিস। তোদের মতই কিছু নিমকহারাম ব্লগার।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.