নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, প্রমান কোথায়?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, প্রমাণ কোথায়?
মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে তোলপাড় কাণ্ড চলছে। রাস্তা বন্ধ করে আন্দলন চলছে। আসলে কি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল? আসিফ নজরুল আজ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে অভিযোগে বিশাল উপসম্পাদকীয় লিখেছেন প্রথম আলোতে। অভিযোগ প্রমাণে স্ক্যানড প্রশ্নপত্র বা স্ক্রিনশট আছে বলেননি, প্রমাণ হিসেবে দিয়েছেন, গণদাবি, ফেসবুকের কিছু স্ট্যাটাস, কথিত প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে সিলেক্টেড হয়েছে দাবি করা এক ছাত্রের স্ট্যাটাস। উনি অবশ্য জানেন না সেটা ছিল মজা করার জন্য ভুয়া স্ট্যাটাস। (কোন পাগল বাকী জীবনটা বরবাদ করার জন্য স্বীকার করবে ভুয়া পাশে ডাক্তারির)!

আসল ঘটনাটা ছিল রেজাল্টের পরদিন তাহসিন নামের এক ছেলে মেডিকেলে চান্স পাওয়া নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেয়। যেখানে সে লিখে সে আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। মেরিট ১২। মার্কস পেয়েছে ১৯৮।
স্ট্যাটাসের শেষে লিখা ছিল "অনলি Question আউট ইজ রিয়েল"। এরপর বিশাল তোলপাড়। কয়েক ঘন্টায় সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেলো তাহসিন নামে এক ছেলে কোয়েশ্চেন পেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। প্রশ্ন পেয়ে একজন ফার্স্ট হয়ে গেল।

হায়রে হুজুগে বাঙালি! তাহসিন (HSC রোল: ১১৮৭৫০) মেডিকেলে এক্সামই দেয়নি এবং মার্ক ১৯৮ পায়নি, নিশ্চিত। কারণ এবারের পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বরই ছিল ১৯৪। সে মজা করেছে, আর আমাদের সবাইকে আবুল বানিয়েছে।

ফেবুতে অনেকে ব্যাপক দাবি করলেও আমি একটিও প্রমাণও পাইনি, অভিযোগ প্রমাণে কেউ স্ক্যানড প্রশ্নপত্র বা স্ক্রিনশট দিতে পারেনি। পরীক্ষার আগের রাতে কেউ দাবি করেনি প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কোন প্রিন্টেড পত্রিকায় পরীক্ষার আগে বা পরদিন দাবি করেনি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তবে পরীক্ষার দিন ও পরে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, আসিফ নজরুলসহ সবাই বলছে সেসবই প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ।

আসলে সেটা প্রশ্নফাঁস ঘটনা ছিল না, ছিল নকলবাজি।
উচ্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে নকলবাজির অভিযোগে মূল হোতাসহ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার। ইউজিসির সহকারি পরিচালকসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। সেটা পরীক্ষার আগের দিন নয়, পরীক্ষা চলাকালিন। এই ঘটনায় পরীক্ষা চলাকালিন নকল চক্রের সদস্য হিসেবে এক বৈধ ছাত্র পরিক্ষা শেষের অনেকটা আগে প্রশ্নপত্র বাইরে নিয়ে আসে, এই চক্রের কাছে উত্তরপত্র তৈরি করে অতিক্ষুদ্র মোবাইলে এসএমএস -এর মাধ্যমে উচ্চমূল্যে সরবারাহ করছিল। পরীক্ষা চলাকালিনই তা নস্যাৎ করা হয়। অথচ সবাই টকশোতে দাবি করছে সেই ঘটনাই প্রশ্নফাঁসের মোক্ষম প্রমাণ!

রংপুরে আরেকটি গ্রেফতার ঘটনাকেও সবাই প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ হিসেবে দাবি করছে। রংপুরে কী ঘটেছিল?
রংপুরে র‍্যাব তিন সরকারি ডাক্তারকে একটি কোচিং সেন্টারের মালিকসহ আটক করেছিল। সেটাও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে নয়। প্রতারণার অভিযোগে। কয়েকজন প্রভাবশালী অভিভাবক র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে যে, এদের কাছে উচ্চমূল্যে প্রশ্ন কিনেও প্রশ্ন মিলেনি, প্রতারণা করেছে। র‍্যাব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে। তবে অভিযোগকারি প্রশ্ন ক্রেতাদের গ্রেফতার করল না কেন? ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই তো আইনের দৃষ্টিতে অপরাধি।

আশ্চর্য! এই গ্রেফতার ঘটনাকেও প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ বলে দাবি করছে টকশোর টকবাজরা, আসিফ নজরুলেরা। কোচিং সেন্টারগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে চলা ভর্তিচ্ছুরা। মূলত কোচিং সেন্টারগুলোর প্রত্যক্ষ মদদেই চলছে আন্দোলন। আবার পরীক্ষা হলে তো আবার রমরমা কোচিং বাণিজ্য! আগের দুটি বছর পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে এইচএসসি ও এসএসসি প্রশ্নফাঁস হত, লাখ টাকা লাভের সুযোগ থাকলেও এরা প্রশ্ন বিক্রি করত না। এসব হুবুহু মিলে যাওয়া প্রশ্ন বিনামূল্যে ফেসবুকে দেয়া হতো, শুধুমাত্র পরীক্ষা বানচাল করর জন্যেই।

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের রেটিনা চক্র, উচ্চমূল্যের বিজিপ্রেস চক্র, বিনামূল্যে ফেসবুকে গণশেয়ারে প্রশ্নফাঁস করে পরীক্ষা বানচাল চক্রসহ সকল চক্রগুলোকে গত বছরই কঠিন হাতে দমন করা হয়েছিল। তাই এবার ২০১৫’তে এইএসসি, এসএসসি’তে কোন প্রশ্নফাঁসের ঘটনা দেখা যায়নি। কোচিং সেন্টারগুলোর প্রত্যক্ষ মদদে ঢাবির গতবারের ফেল করা ভর্তিচ্ছুদের দ্বিতীয়বার সুযোগ (দ্বিতীয় রমরমা কোচিং বানিজ্য) আন্দোলনও হালে পানি পায়নি।
এবার মেডিকেল ভর্তি প্রশ্ন ফাঁসের ঢালাও অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। এটাই বাস্তব।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: শালা দালাল।। আমার নিজের কাছে স্ক্রিন শট আছে।।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



গাধা! সেসব স্ক্রিনশট সবই ছিল ভুয়া।
আন্দোলন শুরু হয়েছিল নিচের একটা স্ক্রিন শট দিয়ে, শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের সেই পোস্টদাতা।
পরে বন্ধুরা কলার চেপে ধরলে তা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।
তাহসিন নামের একজন জানান তিনি 198.5 পেয়ে ডিএমসিতে চান্স পেয়েছেন, মেরিট পজিশন ১২। পরে চাপ দিলে জানা যায় সে পরিক্ষাই দেয় নি, তাঁর আসলে জীববিজ্ঞান বিষয়ই ছিলনা ইন্টারে।
সেদিন অনেকেই খবর ছড়াতে থাকেন যে অনেকে ১০০ পেয়েছে, ৯৮, ৯৭ পেয়েছে পরিক্ষায়। দেখা গেল আসলে হাইয়েস্ট নাম্বার 94.75. আগের রাতে প্রশ্ন খুঁজে ফেরা মেয়ে চান্স না পেয়ে আন্দোলনের নেত্রী হয়ে যায়।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

আবুল হাসনাত বাঁধন বলেছেন: প্রচুর প্রমাণ আছে। ভয়েস কল রেকর্ডিং এবং স্ক্রিনশট। না জেনে উল্টাপাল্টা পোস্ট করবেন না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রচুর প্রমাণ না কচুর প্রমাণ?
মেডিকেলের এডমিশন টেস্টের প্রশ্ন কারো কাছে পাওয়া যায়নি,
কিছু দেখাগেছিল, পরে জানা গেছে সেসব ছিল কোচিংসেন্টারের মডেল টেস্টের প্রশ্ন।
প্রশ্নফাঁসের পক্ষে সব গুলো পোস্টই ছিল ভুলে ভরা বানোয়াট মিথ্যা। যেমন বলা হচ্ছিল অনেকে নাকি ১০০ পেয়েছে। আবার অনেকে দাবি করেছে জিপিএ ৮ পেয়ে ডিএমসিতে চান্স পেয়েছে!! অথচ যা বাস্তবে অসম্ভব।
তাহলে তাকে বিধি মোতাবেক পরীক্ষায় ১০০তে ১১০ পেতে হত।
ফেবুতে যেসব প্রশ্ন পোস্ট হয়েছে সবই পরীক্ষার অনেক দিন পর। সবই বানোয়াট, টাইম মেনিপুলেট করা।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এদের অনেককে দেখলেই মনে হয়না এ বছর বা গত বছর এইচ.এস.সি. পাস করেছে। অভিভাবকরাও কেমন। ঘর থেকেও তো বাধা দেয়া হচ্ছে না। বেটারা, যখন যারা টিকছে তারা রাস্তায় নামবে তখন দেখবি কত ধানে কত চাল।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সারাদিন ফেবুতে কাটানো ঢাকা শহরের স্মার্ট ছেলেমেয়েরা কথিত প্রশ্ন হাতে পেয়েও এত সহজ প্রশ্নে score করতে পারেনা, মাধ্যমিক মানের প্রশ্নে ৭৬ তুলতে পারেনা, এরপরও মেডিকেলে পড়ার খায়েশ। এখন আনদোলন আন্দোলন!

এর আগে কোচিং সেন্টারের সহায়তায় উচ্চ আদালতে রিট করেছিল, ২ বার।
দুবারই রিট রিজেক্ট হয়েছে।
- See more at: Click This Link

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

উড়োচিঠি বলেছেন: প্রশ্ন ফাঁস করার দালাল পাওয়া গেছে.... :P

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

ডারক্‌জাসটিস বলেছেন: তা ভাইজান কি এবারের ক্যানডিডেট চিলেন নাকি? থাকলে কংগেরেট :)

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশীরভাগই ছাগুরেটিনা কোচিংসেন্টারের ভাড়াটে।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩১

বিপরীত বাক বলেছেন: ইডিয়ট জাতি।। এদের পাইলট- ইঞ্জিনিয়ার - ডাক্তার হওয়ার সব অবৈধ খায়েশ সরকার কে মেটাতে হবে।।। মগের মুল্লুক পাইছে দেশটাকে।।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সারাদিন ফেবুতে কাটানো ঢাকা শহরের স্মার্ট ছেলেমেয়েরা প্রশ্ন হাতে পেয়েও এত সহজ প্রশ্নে score করতে পারেনা, মাধ্যমিক মানের প্রশ্নে ৭৬ তুলতে পারেনা, এরপরও মেডিকেলে পড়ার খায়েশ। আন্দোলন!

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: এই পোস্টের লেখক একজন স্বঘোষিত আবাল ... নিজ দায়িত্বে ইনাকে লাথি জুতা যা মন চায় মারুন ... আমার কোন সমস্যা নাই =p~ :-B ...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পোষ্টে গালাগালি করা কোন ধরনের ভদ্রতা?

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এবার মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি তার আরো কিছু প্রমান।
ঢাকা শহরে পড়ালেখা করা চান্স পেয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ১৯৭ সিটে মাত্র ১০-১৫ জন হবে৷
ফেবু চালক ঢাকার স্মার্ট ছেলেমেয়েরা ফেবুতে প্রশ্ন পেয়ে থাকলে ৯০ টির উপর এম.সি.কিউ পূরণ করবে না এমন ছাগল ভিকি, মাইলষ্টোন, রাইফেলস, ঢাকাকলেজ বা আইডিয়ালে পড়ে? ফেবুতে প্রশ্ন পেয়ে থাকলে এদের সংখা কমপক্ষে ৫০% অর্থাৎ ১০০ জন হওয়া উচিৎ ছিল। মাত্র ১০-১২ জন কেন?
মজার ব্যাপার এবার কোচিংসেন্টার গুলো বুকফুলিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারছে না ঢাকা মেডিকেলের প্রথম ৪০ জন অমুক কোচিং সেন্টারের বা ৫০ জন তমুক কোচিং সেন্টারের।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

যায়বেলা অবেলায় (সিমান্তের ঈগল) বলেছেন: আরে ভাইজান মানালাম আপনার কথা হুজুগে বাংগাল !! তবে কি জানেন কিছু না ঘটলে রটে না অবশ্য এখানে তাই ঘটেছে আর যারা এই অবিযোগে গ্রেফতার করা হইছে তাদের ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য দিচ্ছে না কেন ??? আ্মি আপনার লেখাটার আস্থা বা মত দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত । এখানে প্রাইমারি থেকে বি সি এস পর্যন্ত অতিতে সব গুলা প্রশ্ন ফাস হয়েছে তাহলে এটা হওয়াটা অস্বাভাবিকের কিছু নেই জনাব যেই যতই ফাস না হওয়ার পক্ষে দলিল দিক এটা বিশ্বাস যুগ্য নয় কারন হাতের লেখা হুবুহু ্মিল পাওয়া গেছে এব্যাপারে নিউস টিভি চ্যানেল দেখিয়েছে এই দেখুন প্রশ্ন ফাসের ব্যাপারে টিভি নিউস কি বলে


দেখুন এই ভিডিও টি এখানে প্রশ্ন ফাসের প্রমান আছে !! (Question leak proof 2015-2016 Medical Admission )

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিল। এসব গ্রেফতার প্রশ্ন ফাস প্রমান করে না।
UGC র সকারি পরিচালক সহ ৪-৫ জন কে ধরা হয়েছিল ভিন্ন অভিযোগে
তাদেরকে ধরা হয়েছিল নকল সরবরাহের অপরাধে, নট প্রশ্নফাস।
এখানে আলোচনার বিষয় প্রশ্নফাস নিয়ে।
দুর্ভাগ্যজনক সে ইন্টারোগেশন করার সময় হার্ট এটাকে মারা যায়। তার মৃত্যুতে প্রশ্নফাস ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ প্রমান হয় না। তারে গুম করে মাইরাফেলাহলেও প্রশ্নফাস প্রমান হতনা।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ১৯৪ মার্কসও তো অস্বাভাবিক বেশী!?!
আমি ২০০০ সালে সিলেট মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলাম ১৫২ পেয়ে, সেবার হাইয়েস্ট ছিল ১৭৮ এর মত!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রশ্ন খুবই সহজ ছিল, যা সবাই বলছে।
MCQ প্রশ্নে Highest score 100 ওঠাটাও অস্বাভাবিক কিছু না।
ধরে নিলাম প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তাহলে সারাদিন ফেবুতে কাটানো ঢাকা শহরের স্মার্ট ছেলেমেয়েরা প্রশ্ন হাতে পেয়েও এত সহজ নিম্ন মানের প্রশ্নে তারা ৭৬ পায়নি কেন?
যারা মাধ্যমিক মানের প্রশ্নে ৭৬ তুলতে পারেনা, তারা মেডিকেলে পড়ার দাবিতে আন্দোলন করার কোন অধিকার নেই।

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

বিপরীত বাক বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এবার মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি তার আরো কিছু প্রমান।
ঢাকা শহরে পড়ালেখা করা চান্স পেয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ১৯৭ সিটে মাত্র ১০-১৫ জন হবে৷
ফেবু চালক ঢাকার স্মার্ট ছেলেমেয়েরা ফেবুতে প্রশ্ন পেয়ে থাকলে ৯০ টির উপর এম.সি.কিউ পূরণ করবে না এমন ছাগল ভিকি, মাইলষ্টোন, রাইফেলস, ঢাকাকলেজ বা আইডিয়ালে পড়ে? ফেবুতে প্রশ্ন পেয়ে থাকলে এদের সংখা কমপক্ষে ৫০% অর্থাৎ ১০০ জন হওয়া উচিৎ ছিল। মাত্র ১০-১২ জন কেন?
মজার ব্যাপার এবার কোচিংসেন্টার গুলো বুকফুলিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারছে না ঢাকা মেডিকেলের প্রথম ৪০ জন অমুক কোচিং সেন্টারের বা ৫০ জন তমুক কোচিং সেন্টারের।

লেখক বলেছেন:
অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিল। এসব গ্রেফতার প্রশ্ন ফাস প্রমান করে না।
UGC র সকারি পরিচালক সহ ৪-৫ জন কে ধরা হয়েছিল ভিন্ন অভিযোগে
তাদেরকে ধরা হয়েছিল নকল সরবরাহের অপরাধে, নট প্রশ্নফাস।
এখানে আলোচনার বিষয় প্রশ্নফাস নিয়ে।


লেখক বলেছেন:
প্রশ্ন খুবই সহজ ছিল, যা সবাই বলছে।
MCQ প্রশ্নে Highest score 100 ওঠাটাও অস্বাভাবিক কিছু না।.................................................................................................................................
যারা মাধ্যমিক মানের প্রশ্নে ৭৬ তুলতে পারেনা, তারা মেডিকেলে পড়ার দাবিতে আন্দোলন করার কোন অধিকার নেই।



সহমত। এক্কেরে পয়েন্টে ধরছেন।।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু বুদ্ধিজীবিরা তো গুজবের ট্যাবলেট গিলে বসে আছে আগেই

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
"প্রশ্নফাঁস" বহুল আলোচিত, বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।
আপনি হাজার প্রমান দেখালেও লাভ নেই "প্রশ্নফাঁস" ইশু এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

"প্রশ্নফাঁস" - নামক একটি প্রতিষ্ঠিত মিথ্যার বিরুদ্ধে আপনার লড়াইকে স্বাগত জানাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

অমিয়েন্দ্র বলেছেন: শালা খচ্চর কয়টাকা খেয়ে দালালী করছিস? নাকি নিজের কেউ প্রশ্ন পেয়ে চান্স পেয়েছে? আমার সামনে এক গার্জিয়ান তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেছে "বেকহামের প্রশ্নটা এসেছে? সরল দোলকেরটা?" ঐ গার্জিয়ান কীভাবে জানলো?

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

বিপরীত বাক বলেছেন: আসলে যেটা ঘটেছে তা হলো,, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর শুনে পড়ালেখা বাদ দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছে।। পরে দেখেছে সব মিথ্যে।। তখন তারা দেখলো যে,, একুলও গেছে ওকুলও গেছে।।
মাথায় হাত।।। ভাবছে এরচেয়ে পড়লেই ভাল ছিলো।।

এগুলোই আন্দোলন করছে।। টিভিতে দেখেছেন।।? কি উগ্র আর হিংস্র ভঙ্গিতে একেকটা চিল্লাচ্ছে।।!!

এগুলো মেডিকেলে গেলে তো ওটা দাঙ্গাবাজ দের আখড়া হবে।।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এদের অনেকেই স্টুডেন্ট না। বেশীরভাগই ছাগুরেটিনা কোচিংসেন্টারের ভাড়াটে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উপরের কমেন্টে এক গাধা উদাহরন দিচ্ছে গার্জিয়ান তার ছেলেকে দু ধরনের দুটি ফাসকৃত প্রশ্ন এনে দিয়েছে।
এখানেই তো প্রমান হয় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। প্রকৃতই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকলে ১ টি থাকতো।
আসলে সেসব ছিল কোচিংসেন্টারের মডেল টেস্টের প্রশ্ন।

আর কেমন পিতা-মাতা? নিজের ছেলের হাতে ফাসকৃত প্রশ্ন এনে দেয়।
আমি সেখানে থাকলে এইসব কুলাঙ্গার পিতা-মাতাদের পোলারে দুইনম্বর ডাক্তার বানানোর খায়েশের কারনে জুতাপিটা করে কান ধরে উঠবস করাইতাম, ৫০ বার।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৩

বিপরীত বাক বলেছেন: লেখক বলেছেন:......... আমি সেখানে থাকলে এইসব
কুলাঙ্গার পিতা-মাতাদের পোলারে
দুইনম্বর ডাক্তার বানানোর খায়েশের
কারনে জুতাপিটা করে কান ধরে উঠবস
করাইতাম, ৫০ বার।

ইসস্।।।। বাংলাদেশে এই কালচার টা যদি চালু হত সবক্ষেত্রে।।

আমি মাসকয়েক একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে টিচার ছিলাম।।। তখনই দেখেছিলাম,, যে বাংলাদেশের অভিভাবক শ্রেণী কতটা মাদারচোদ শ্রেণীর।।।।

প্রায়ই আমাকে বলত,,, মিটিং এ,, আমার ছেলেটারে বা মেয়েটারে একটু বাসায় পড়ান না।। ১০ দিমু।।।

আমি বলতাম যে বিষয় টা আমি পড়িয়েছি সেটা লেকচার শীট বানিয়ে পুরোটা সব তথ্য সহ বোর্ডে লেখেছি।। তাই বাসায় যাওয়ার দরকার নেই।। আর না বুঝলে স্কুল চলাকালীন টিচারস রুমে এসে বুঝে নিতে পারবে।। আমি বিরক্ত হবো না।।।

তারপর কিছুদিন পরে দেখি বেশ কয়েকজন অভিভাবক প্রিন্সিপ্যাল এর কাছে আমার নামে অভিযোগ করেছে।।।
ভাল।।
তা কি অভিযোগ?
আমি নাকি ৩/৪ বার ফুলবোর্ড কমপ্লিট করি।। আর এত লেখা লেখতে নাকি তাদের ছেলেমেয়েদের হাত ব্যাথা করে।।

শালার প্রজন্ম।। বাংলা বেজন্মা প্রজন্ম।।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

সত্যই, কিছু অভিভাবক শ্রেণী কতটা যে নীতিহীন বেজন্মা শ্রেণীর, ভাবাই যায় না।
এই কুলাঙ্গার অভিভাবকদের কিছু বখাটে পোলাপান এই পোষ্টে যুক্তি খুজে না পেয়ে গালাগালি করে যাচ্ছে ....

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

্রতিবাদি বাংলার হৃদয় বলেছেন: এটা দেখেন....view this link[link||view this link]

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৮

সেয়ানা ০১ বলেছেন: আওয়ামীলিগ মাল কামাইছে প্লাস তাদের আবাল পোলা মাইয়াদের ডাকতর বানাইবার ব্যবস্হা করছে| হাসান কাল বৈশাখী মার্কা মারা আওয়ামী দালাল, তার চোখে আমলীগের আমলে কোনই সমস্যা নাই|

শেয়ার মার্কেট লুট হয় নাই|
কুইক রেন্টালে লুট হয় নাই|
ভিওআইপিতে লুট হয় নাই|
কোন মানুষ গুম হয় নাই|
শাপলা চত্বরে কোন গন হতয়া হয় নাই|
টিএসসিতে ছাত্রলীগ কোন ধর্সন করে নাই|
বিভিন্ন পরিক্ষায় আমলীগের নেতারা প্রশ্ন ফাঁস করে নাই|

বলো জয় বাংলা !!

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২১

বিপরীত বাক বলেছেন: সেয়ানা বলেছেন:
আওয়ামীলিগ মাল!.............হাসান কাল বৈশাখী মার্কা
মারা আওয়ামী দা..................কোনই সমস্যা নাই|
শেয়ার মার্কেট লুট হয় নাই|
কুইক রেন্টালে....... ভিওআইপিতে..........
কোন মানুষ গুম হয় নাই|.........হয় নাই|
............ করে নাই|.................প্রশ্ন ফাঁস করে নাই|
বলো জয় বাংলা !


যুক্তিতে না পেরে আলোচনা টাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিলেন।। ওসব এখানে টেনে তো নিজের দেউলিয়াত্বপনা আর অসাড়তা ছাড়া আর কিছু দেখালেন না।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ঠিক বলেছেন ভাই।
কিসের মধ্যে কি? যুক্তি খুজে না পেয়ে গাঁজাখোরি প্রলাপ সুরু।

টিএসসিতে ছাত্রলীগ ধর্সন করে? ছাগল একটা। ক্যামেরায় তো ধরাপড়লো দাড়ীওয়ালা ছাগু!
কোন আমলীগের নেতারা প্রশ্ন ফাঁস করে? ধরাতো পরেছে জামাতের ডাক্তার, শিবিরের রেটিনা কোচিংসেন্টার।

ছাগলটা এখনো বিশ্বাস করে বসে আছে শাপলা চত্বরের কথিত গনহত্যা।

ওরা ৬ ই মে সকালে বলছিল গণহত্যা হয়েছে - ২৫,০০০ নিহত।
ভারতীয় BSF বাহিনী অংশ নিয়েছিল। লাশ হেলিকপটারে করে ভারতে নিয়ে গেছে। ট্রাককে ট্রাক লাশ নিয়ে গেছে বেনাপোল দিয়ে!
পরদিন - না ৩,০০০ এর মত মারা গেছে। গায়েবানা জানাজা পড়া হল। যদিও হেফাজত জানাজা প্রত্যাক্ষান করে।
মে মাসের শেষের দিকে বলছে - ২,৫০০ আলেম নিহত।
জুরাইনে অনেক নতুন কবরের সন্ধান পেয়েছে ছাগুরকেল্লা । হাজার হাজার লাশ নিরুদ্দেশ!
জুন মাস - নিহত আসলে ২৫০ জন।
ছবিসহ ফেসবুকে প্রমান দিল ছাগুরকেল্লা। জয় বাংলার বিচ্ছু পোলাপানের হাতে আবারো ধরা খাইলো ছাগুরা , কেননা ছবিগুলো গুগল থেকে নেয়া হাইতির ছবি!
এদিকে বিএনপির 'মহিলা আমির' খালেদা জিয়া এই গনহত্যার(!) তীব্র নিন্দা করতে করতে ৭১ এর ২৫ মার্চের চেয়েও জঘন্য বলে আখ্যায়িত করেন।
এরপর - নয়াদিগন্ত ও মানব্জমিন বলছে - ১২৬ জন নিহত। যার ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে।
জুলাই মাস, আদিলুর এখন বলছে - নিহতের সংখ্যা আসলে ৬১ জন। কম ও না , বেশী ও না।
জামাতের হয়ে ভাড়া খাটা প্রখ্যাত মানবধিকার সংস্থা অধিকারের রিপোর্ট ।
প্রিন্টেড কপির কভারে সেই ছাগুর কেল্লার সরবরাহকৃত ফটোসপড হাইতির ছবি!
আগস্ট মাসে ধরা খাইয়া - তালিকা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসল সেই রাতে আসল নিহত মাত্র ৬ জন। (১১ জন নিহত, তো সরকারি প্রেসনোটেই আছে)

ফলাফল = -৫, মানে শুন্যের চেয়েও ৫ কম! জন নিহত!
অধিকারের ৬১ জনের তালিকায় অজস্ত্র ভুল। তালিকায় জীবিতদের নাম, আগের দিনের সঙ্ঘাতে নিহতদের নাম সেই সাথে একই নাম একাধিকবার । তালকায় নিহত, পরে দেখা যায় অনেকেই জীবিত! ক্লাস করছে মাদ্রাসায়, পরিক্ষা দিচ্ছে !

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

বিপরীত বাক বলেছেন: হেফাজত কে নিয়ে আলোচনা করা টা তাদের জন্যে সম্মানজনক।। এগুলো আলোচনার অযোগ্য।। মনোযোগের অযোগ্য।। কি ঘটেছে এখন তা সবাই জানে।। এজন্য শফির ববাপ দদাদা সসহ চৌদ্দগুষ্টি চুপ খায়া গেছে।।
যেভাবে হোক এরা একটা ম্যাসমুভমেন্ট চাচ্ছে।।
রাজনৈতিক ভাবে না পেরে ধর্মীয়ভাবে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে।। এরা বুঝতে পারে না এদেশের মানুুষ এখন অনেক আপডেট।। হাতে ইন্টারনেট,, ব্লগে চোখ,, ফেসবুকে নজর,,, বাসায় ডিশ চ্যানেলে খবর।।। আর এরা আফগান স্টাইলে দেশে মুভমেন্ট চাচ্ছে যেখানে খবরের মাধ্যম এখনও দ্রুতগামী ঘোড়া।।

ইডিয়ট।।। এসবের কুফল ওদের কেও ওদের সন্তানদেরও ভোগ করতে হবে বুঝতে পারছে না উজবুকের দল।। তখন তো কান্নাকাটি করবে।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.