নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
চামেলীবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান সুপরিকল্পিত হত্যার শিকার। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তাদের একমাত্র কিশোরী কন্যা স্কুলছাত্রী ঐশী রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এতবড় নৃশংস জোড়া খুনের তদন্তে অন্য কোন বিষয় বিবেচিত হতে দেখা যায়নি।
এত ছোট স্কুলছাত্রী মেয়ে অষ্পষ্ট মোটিভে কিভাবে একসাথে দুজনকে হত্যা করতে পারে স্বীকারক্তি ছাড়া অন্যকোন আলামত পাওয়া যায়নি। পরে কিছু আলামত সাজানো হয়েছিল। হতভাগ্য উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার দম্পতি সম্ভবত নিহত হয়েছিলেন সম্ভবত তার সহকর্মীদের বা তার কাছের লোকজনদের হাতেই। ঘুষ, পোষ্টিং, কালোটাকার ভাগাভাগিতে সেটাই সম্ভব। বা অন্য কোন ব্যাপার ছিল কিনা তদন্তে তার ধারকাছেও যাওয়া হয়নি।
ঐশী রহমান ছিল তাদের একমাত্র মেয়ে। একাকিত্তে ভোগা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলছাত্রী অনেকের মত সেও উশৃংখল, কিছুটা মাদকাসক্ত ছিল। ষড়যন্ত্রকারিরা সেটারই সুযোগ নিয়েছে, পিতামাতা হারানো অভিবাভকবিহীন নিরিহ শিশুটিকে হত্যাকারি সাজানো হয়। বার বার দীর্ঘ রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে তার কাছ থেকে স্বীকারক্তি নেয়া হয়। স্বীকারোক্তি ভুয়া। এতটুকু ছোটো বাচ্চা মেয়ের কাছে থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি লিখে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল।
মিডিয়াগুলো কোন প্রশ্ন উত্থাপন না করেই এসব গ্রহণ করেছিল। কারণটা স্পষ্ট। একটি ফুটফুটে সুন্দর কিশোরী মেয়ের ড্রাগ এডিক্সান, ছেলেদের সাথে উশৃংখলতা .. সব রগরগে খবর, লাখ লাখ সার্কুলেশন, ইটিপি বৃদ্ধি। অযথা প্রশ্ন উঠিয়ে এসব পানসে করার কোন মানে হয় না। বরং আরো বানোয়াট যোগ করে রগরগে নিউজ বানাও।
হত্যার সহযোগিরাই তদন্তে নিয়োজিত ছিল। স্কুল বয়স রেকর্ড অগ্রাহ্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের রেকর্ড গায়েব করে করে বেশি বয়স দেখানো হয়। অবশ্য কিছুদিন পর নির্যাতন আঘাত সামলে সুস্থ হয়ে আদালতে তার স্বীকারক্তি প্রত্যাহার করে।
সাধারন কমনসেন্স বলে এত ছোট মেয়ে কোনমতেই দু’জন বলিষ্ঠ প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষকে হত্যা করতে পারেনা। কঠিন চার্জশিট দিয়ে প্রায় নিরবে বিচারও সম্পন্ন হয়ে গেছে, রায় আগামি সপ্তাহে। তার কোন অভিভাবক না থাকায়, শক্ত ডিফেন্ডিং লইয়ার না থাকায় সে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে বলেই মনে হয়।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিচারে কি হবে, এটা কি বোঝা যায় না?
তদন্দ করেছে খুনিদেরই সহযোগীরা, কঠিন চার্জশিট দিয়ে প্রায় নিরবে বিচারও সম্পন্ন হয়েগেছে,
রায় আগামী সপ্তাহে।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
কেএসরথি বলেছেন: আপনি কি খেয়ে ব্লগে পোস্ট করেন মাঝে মাঝে বুঝি না।
"এত ছোট স্কুলছাত্রী মেয়ে" - আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ২ বছরের একটি বাচ্চার বিচার হচ্ছে।
"পরে কিছু আলামত সাজানো হয়েছিল।" - সাজানো হয়েছে কার দ্বারা? আপনি সাজাইছেন?
"ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলছাত্রী অনেকের মত সেও উশৃক্ষল, কিছুটা মাদকাসক্ত ছিল।" - এই অল্প-স্বল্প হিরোইন, বেশি না।
"এতটুকু ছোটো বাচ্চা মেয়ের কাছেথেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি" - .........।
পুলিশের আর কাজ কাম নাই। তাইলে তো সাগর-রুনীর ছেলেকেও পুলিশ ধরত।
আর লেখার মাঝে এত বানান ভূল কেন? আপনার লেখায় তো এত ভূল আগে কখনও দেখি নাই।
কপি-পেষ্ট নাকি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার প্রায় দুশতাধিক লেখা দেখেন, কোনটিই কপি-পেষ্ট না।
পুলিশের আর কাজ কাম নাই? আপনি কোন দেশে থাকেন? আম্রিকা, নাকি আপ্নের বাপে পুলিশ?
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
নতুন বলেছেন: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর সাহাজ্য নিয়ে দুজনকে খুন করা খুব একটা কঠিন না। -- সেই সম্ভবনা আপনি পুরাই বাদ দিয়ে দিলেন?
যদি ঐশী হত্যা করেও থাকে তবে তার দোষ ৫% -- বাকি ৯৫% দোষ জনগন/নেতা/পুলিশ মানে আমাদের..আমাদের সমাজের...
এটা সমাজের দূনিতি/ভন্ডামীর সাইডইফেক্ট মাত্র। তার প্রকাশটা হয়েছে ঐশীর মাধ্যমে।
ঐ পুলিশ বাবাও কিন্তু ঘুষ/দূনিতির সাথে যুক্ত যা ঐশীকে মাদকে নিয়ে গেছে...
এমন যেন আর কোন ঘটনা না ঘটে সেই আশা করি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বন্ধুর সাহায্য নিয়ে দুজনকে খুন?
সরি ভাই
ঐশীর কথিত স্বীকারোক্তিতে তার অনেক বন্ধু থাকলেও হত্যা করেছিল ঐশী একাই।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮
প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে দিলেই কি গলার ছুড়ি বসার পর টের পাবে না? নাকি ঘুমাতে ঘুমাতে মারা যাবে? সূরতহাল কী বলে? মোটিভ কী? দরজায় বা অন্য কোন খানের হাতের ছাপ পরিক্ষা করা হয়েছে কি?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সূরতহাল করেছিল পুলিশ, অর্থাৎ খুনিদের সহযোগীরাই।
পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে পত্রিকায় এসেছিল। কোন পত্রিকাকেই দেখিনি এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে। রিপোর্টিং ও টকশো ওয়ালারা সুধু বলছে " সমাজের মেয়ে চরিত্রের এহেন অধপতন, এত খারাপ মেয়ে, কিভাবে বাপ-মা কে হত্যা করলো"
মানে তারা প্রমান ছাড়াই নিশ্চিত হয়ে বসেআছে।
হত্যার মোটিভ পুলিশ বলছে আরো বেশী মাদকসেবন স্বাধীনতা পেতে এই হত্যা। অতচ সে মাদক সেবি কিনা সেই ডাক্তারি পরিক্ষাও হয়নি। তার পিতামাতা তাকে হাতখরচ কম দিত এমন কথা শোনা যায় নি, ছেলেবন্ধুর সাথে মেলেমেসায় প্রবল বাধা দিত এমন কথা শোনা যায় নি বরং বেশী হাত খরচ দিয়ে তাকে নষ্ট করা হয়েছে বলা হয়।
ঐশী তার পিতামাতাকে হত্যা করবে কেন? পর্যাপ্ত হাত খরচ দিচ্ছে, উশৃখলতা মেনে নিচ্ছে, টাকার গাছ কে এভাবে কেটে ফেলে?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঐশি একা কোন ভাবেই তার পিতামাতাকে হত্যা করার সামর্থ্য রাখে না।
দু’জন বলিষ্ঠ প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষকে সুধু একটি কিচেন নাইফের আঘাতে হত্যা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। কোরবানির গরুও সঠিক ভাবে জবাই না করলে উঠে দাঁড়ায়। সঠিক যাগায় না মারা হলে ছুরিকাঘাত এমনকি গুলি করা হলেও অধিকাংশ মানুষ বেচে যায়। ঐশির রাগের মাথায় আঘাত করার ক্ষমতা ছিল সত্য, কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি মেয়েটির একা দু-দুই জন কে দির্ঘ সময়ে পরিকল্পনা করে হত্যা নিশ্চিত করার সামর্থ ছিলনা। অভিজ্ঞ যেকোন আইনজ্ঞ আমার সাথে একমত হবেন।
ঐশি ন্যায়বিচার পাবেনা, সেটাও নিশ্চিত। এদেশে প্রচলিত আইনে ডিফেন্স পর্যাপ্ত আইনসুবিধা না পেলে রায় একতরফাই হয়ে থাকে।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫
রোদ্র রশিদ বলেছেন: @ভাই কেএসরথি
আপনি অন্যের লেখার ভুল ধরতেছেন, আপনার ভুল বানানেই তো ভুল....
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বানান কিছু ভুল হবেই, আমি কি বাংলায় জাহাজ?
অনেক চেষ্টা করেও ভুল বানান রোধ করা যায় না, পরে সংসোধন করতে হয়।
সুধু আমি না নামি-দামি পেশাদার লেখকরাও দেদার বানান ভুল করে .. নইলে প্রকাশনা জগতে “Proof reader” পদ বলে কিছু থাকতো না।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব ছেলেমেয়েদের ভার সরকারকে নেয়া দরকার
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: বিচারে কি হবে দেখা যাক