নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
৬ মাসের ফুটফুটে আদরের একমাত্র সন্তান।
এই সন্তানকে পৃথিবীতে একা ফেলে রেখে এরা ১৪ জন তরতাজা মানুষকে মেরে ফেলা? নিজেরাও মরে যাওয়া?
দ্রুত বেহেস্তে যাওয়া কি এতই দরকার হয়ে পড়লো?
রিজওয়ান পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উচ্চশিক্ষিত মার্কিন নাগরিক। তার পিতামাতাও উদার ভদ্র মুসলিম হিসেবে ভালই ছিল।
রিজওয়ান ২০১৩ তে হজে যাওয়া, এরপর বিয়ে করা। তাঁর স্ত্রী তাশফিনের ও পাকিস্তানী। বিয়ের আগ পর্যন্ত সৌদি আরবে বসবাসকারি। জঙ্গি সংস্লিষ্টতা নেই, তবে হয়তো স্ত্রী সুত্রেই জেহাদি মন্ত্রনা।
রাজ্য নেই খলিফা নেই, নেই যুদ্ধ কৌশল, নেই জয়লাভের কৌশল। সুধু মানুষ হত্যা, এ কোন যেহাদ?
হতভাগ্য রিজওয়ানদের কোন মেসেজ ছিলনা, অযুহাত ছিল না, দাবীও ছিল না।
সুধু লক্ষ একটাই। কিছু কাফের মেরে শহিদ হব। এরপর ঝলমলে জান্নাত!
এ কোন কিছিমের যেহাদ?
মক্কা বিজয়ের পর ভিন্নধর্মি ভিন্নমতাবলম্বিদের কি মেরে ফেলা হয়েছিল?
কোরান-হাদিসে কোথায় লেখা আছে ভিন্নধর্মিদের মেরে ফেলতে হবে?
তাহলে কেন? ভিন্নধর্মিদের মেরে যেহাদি কর্ম ভেবে মেরে আত্নাহুতি?
৬ মাসের ফুটফুটে আদরের একমাত্র সন্তান কে ফেলে রেখে দ্রত জান্নাতে যাওয়ার কেন এই প্রবনতা?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উচ্চশিক্ষিত দম্পতি সম্ভবত কোন ভন্ড যেহাদি মাওলানা দ্বারা ব্রেনওয়াশড হয়েছিল।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
মাকড়সাঁ বলেছেন: তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার জান্নাত চাই!”
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
হামিদ আহসান বলেছেন: বড়ই দু:খজনক ...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুবই দু:খজনক ...
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
রাফা বলেছেন: আল্লাহর সেরা সৃষ্টি কে হত্যা করে -আল্লাহর তৈরি কোন জান্নাতে যাবে এরা....! নিষ্পাপ শিশুর কথা যে মাতা/পিতা চিন্তা করেনা ,আদৌ কি তারা বেহেস্তে যেতে পারে?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে হত্যাকে পাপ। আত্নহত্যাকে মহা পাপ বলা হয়েছে।
আল্লাহ বলেছেন যে মানুষ হত্যা করলো, সে মানবতাকে হত্যা করলো।
লক্ষকরুন এখানে হিন্দু -মুসলিম, নাস্তিক, ইত্যাদি কোন ভেদাভেদ করা হয়নি। মানুষ ও মানবতা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহের কাছে সবমানুষই সমান।
ইসলামি ধর্মযুদ্ধগুলোতে কোথাও আত্নঘাতি হামলার কোন নজির নেই। নাস্তিক জাপানিরা যুদ্ধে "কামিকাজি" আত্নাহুতি হামলা করতো, তামিল টাইগাররাও করতো। মুসলিমরা কখনোই করত না। ইতিহাসে কোথ নেই।
কুচক্রি জঙ্গিরা তরুন মুসলিমদের শহিদ হতে প্ররচিত করছে, পরে এই আত্নঘাতি নামে নাফরমানি কাজটিকে খাঁটি ইসলামি বলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
জটায়ু. বলেছেন: এদের ব্রেন কি ভাবে ওয়াশ করা হয়েছে ভাবা যায়?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এদের ব্রেনওয়াশ করা খুবই সহজ।
প্রচলিত ইসলামি কালচারে একজন সাধারন মুসলমান নিজে নিজেই কোরান বা হাদিস পড়ে বোঝার অধিকার নেই।
সুধু আবৃতি (তেলাওয়াত) করতে পারে।
কোন ধর্মিয় জিজ্ঞাস্য থাকলে হুজুরকে জিজ্ঞেস করবে।
হুজুরের ব্যাখ্যাই চুড়ান্ত।
নিজে নিজে বুঝতে গেলে বলা হবে "ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে" "মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে" "বউ তালাক হয়ে যাবে" ইত্যাদি।
এরপর কাফফারা দিয়ে রেহাই।
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: হতবাক ...
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
পাকিস্তান মানে নাপাকিস্তান
পাকিস্তান মানে রক্তেই পাপিষ্ঠতা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন।
পাপিষ্ঠ নাপাকিস্তান, রক্তে ডিএনএ তেই সমস্যা। ভাগ্যিস আমরা আগেই আলাদা হয়ে গেছিলাম
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
খেয়া ঘাট বলেছেন: মক্কা বিজয়ের পর ভিন্নধর্মি ভিন্নমতাবলম্বিদের কি মেরে ফেলা হয়েছিল?
কোরান-হাদিসে কোথায় লেখা আছে ভিন্নধর্মিদের মেরে ফেলতে হবে?
তাহলে কেন? ভিন্নধর্মিদের মেরে যেহাদি কর্ম ভেবে মেরে আত্নাহুতি?
৬ মাসের ফুটফুটে আদরের একমাত্র সন্তান কে ফেলে রেখে দ্রত জান্নাতে যাওয়ার কেন এই প্রবনতা?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ খেয়া ঘাট ভাই।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৯
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এদের জন্য দুঃখ হয় ।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: জান্নাত কি মামুর বাড়ির বারান্দা, চাইলেই পাওয়া যায়?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জান্নাত এদের কাছে মামুর বাড়ির বারান্দাই। বদ্ধমুল বিশ্বাস এদের।
নইলে ৭০হাজার ডলার বেতন, আমেরিকান পাসপোর্ট, পরিবার পরিজন ৬ মাসের দুধের শিশু ফেলে এহেন আত্নাহুতি?
মেয়েদের জন্য জান্নাত ছেলেদের মত অত আকর্ষনীয় বিষয় না থাকা সত্ত্বেও দলে দলে মেয়েরাও যেহাদিদের 'সেবা' করতে ছুটে যাচ্ছে সিরিয়াতে।
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: জান্নাত
কি মামুর বাড়ির বারান্দা,
চাইলেই পাওয়া যায়?
প্যারাসাইট!
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ এক আজিব উন্মাদান!
কেন তারা এমন করে?
হতাশা, দু:খ, মানসিক চাপ! দায় দেনা! নাকি কেবলই গৎ বাঁধা কিছু ভুল মানুষের ভুল শিক্ষা!
তারা কি নিজের থেকে একটুও ভাবে না??? চোখ মেলে দেখে না! ডিসগাষ্টিং~!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।
হতাশা, দু:খ, মানসিক চাপ ইত্যাদি সাকোলজিক্যাল সমস্যাই প্রধান বলে মনে হয়। কর্পোরেট আগ্রাসন, বিশ্বমন্দা বৈষম্য তো আছেই, তবে বিভ্রান্ত ধর্মিয় উম্মাদনা ক্যাটালিষ্ট হিসেবে কাজ করে।
সুধু ইসলাম ধর্মই না, অন্যান্ন ধর্মেও এই ধরনের উম্মাদনা দেখা যায়।
১৯৯৫ এর দিকে টেকসাসের ডেভিড কোরেশ নিজেকে জেসাস খ্রাইষ্ট ঘোষনা করে প্রায় হাজারখানেক অনুসারি নিয়ে ওয়েকো শহরের একটি বড় এলাকা দখল করে রেখেছিল দির্ঘদিন। পুলিশের টনক নড়ে যখন শতাধিক অনুসারি কোরেশের হুকুমে পরিবার পরিজন নিয়ে গণ আত্নহত্যা করলো। পরে স্বসস্ত্র কোরেশ অনুসারিদের বন্দুক যুদ্ধে পরাস্ত করতে একসপ্তাহ লেগেছিল মার্কিন বাহিনীর।
গ্রানাডাতেও খ্রীষ্টান মৌলবাদি জঙ্গি একই রকম পরিবার পরিজন নিয়ে গণ আত্নহত্যার ঘটনা হয়েছিল।
জাপানেও ধর্মিয় মৌলবাদি সহিংসতা দেখা গিয়েছিল, 'ওমসিনরিকিয়ো' নামের কট্টর বৌধ্য/সিন্টো জঙ্গি দল টোকিও ভুগর্ভস্থ রেলষ্টেষনে নার্ভগ্যাসে অনেকের মৃত্যু ঘটায়।
চীনেও ২০০০ এর পর প্রায় নিরবে কট্টর বৌধ্য/কনফুসিয়ান মতাদর্শে একটি জঙ্গি দল গড়ে উঠে, এরা মুলত অহিংসই ছিল, তবে সদস্য সংখা ছিল বিশাল। চীন অনেক পরে এদেরকে শক্ত হাতে দমন করে।
ভারতের স্বর্নমন্দিরের ভিন্দ্রানওয়ালের কথাতো অনেকেরই মনে থাকার কথা। ভারতীয় বাহিনীকে রিতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছিল তখন।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'যে একজন মানুষ হত্যা করলো , সে পুরো মানব জাতীকেই হত্যা করলো ।''
মানুষ হত্যা করে তারা বেহেস্ত পাবে , এই ধারনা তারা কিভাবে করে ?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জঙ্গি মনস্তত্ত বোঝা খুবই দুষ্কর। অবস্য সব ক্ষেত্রে 'বেহেস্ত লোভ' না থেকে ভিন্ন কোন কারনও থাকতে পারে। তার হুজুর কোন পদ্ধতিতে তাকে মোটিভেট করেছে সেটাই।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। কোরআনের প্রতিটি সুরা নাযিল হওয়ার পিছনের কিছু কথা আছে, প্রতিটি হাদিসেরও আছে কিছু যুক্তি। নবী করীম (সা কোন কোন ক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, তারও ন্যায়সংগত কারণ ছিল ---- কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে মানুষকে খুন করতে হবে, আর খুন করলেই পরকালে জান্নাত পাওয়া যাবে !!!!!!!!! আমরা এই কম্পিউটার যুগে বাস করেও কেন মানসিকতার দিক থেকে এতটা পিছনে !! আমার মাথায় আসে না ----
আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করে কেন আই এস ইসরাইলে বোম ফেলে না !!!! তার কারণ কী !!! নাকি আই এস তৈরিই করেছে ইসরাইল আর আমেরিকা - তাদের স্বার্থ রক্ষার কবজ হিসেবে !!
আই এস নিপাত যাক, মানবতা রক্ষা পাক
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ লায়লা আপু
কোরআনের প্রতিটি সুরা নাযিল হওয়ার পিছনের কিছু ঘটনা আছে। হাদিস অবস্য এর ৩০০ বছর পর লেখাসুরু হয়। প্রতিটি হাদিসেরও আছে কিছু যুক্তি। নবী করীম (সা কোন কোন ক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, তারও ন্যায়সংগত কারণ ছিল।
যুদ্ধ বিষয়ে আয়াতগুলো যুদ্ধকালিনই নাজেল হয়েছিল, যুদ্ধাবস্থায় যোদ্ধা শত্রুপক্ষের যোদ্ধাকে আক্রমন করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক, সেটাই কোরানে বর্নিত হয়েছে। কোরানের আয়াতে যুদ্ধকালিন হুকুমগুলো যুদ্ধ শেষে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। সেটাই হয়েছে।
রাসুল (স) এ ব্যাপারে ব্যাখ্যাও করেছেন। এরপরও জঙ্গিরা এইসব যুদ্ধকালিন নাজেল হওয়া আয়াত খন্ডিত ভাবে উপস্থাপন করে ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আই এস তৈরিই করেছে ইসরাইল আর আমেরিকা! - এটা বলা অতি সরলিকরন হয়ে যায়।
সিরিয়ার দির্ঘ বর্ডার ইসরাইলের সাথে, আইএস দখলকৃত অনেক অংশই ইসরাইল সিমান্ত লাগোয়া। আশ্চর্যের ব্যাপার এত কাছে থেকেও আই এস এজাবৎ একটি গুলিও ছুড়েনি ইসরাইলের দিকে।
এর পরও বলা যায় না আইএস মার্কিন ইসরাইলের তৈরি। মুল কারন আইএস লেবানন ভিত্তিক হিজবুল্লার সাথে যুদ্ধরত, ইসরাইল অনেক আগে থেকেই হিজবুল্লাকে শায়েস্তা করে আসছে, যুদ্ধের নিয়মে শত্রুর শত্রু = বন্ধু। ইসরাইল দেখছে তার শত্রুকে শায়েস্তা করে দিচ্ছে একটি গ্রুপ, কোন দুঃখ্যে তাকে ডিষ্টার্ব করবে।
আর আমেরিকার ব্যাপারটা হচ্ছে - ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আফগানিস্তান থেকে দখলদার রুশদের হটানোর জন্য হেকমতিয়ার, আহাম্মদশাহ মাসুদ, মোলা ওমর সহ মুক্তিকামি স্থানীয় দলদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে মদদ দিয়েছিল। পরে ঠান্ডা যুদ্ধ শেষে রাশিয়া আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেলে। যুদ্ধের অবসান হয়। আমেরিকাও এদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরের ইতিহাস সবাই জানে। এই ৩ টি স্থানীয় দল পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়, এক সময় একটি ভারতীয় যাত্রীবিমান হাইজ্যাক করে, মুক্তিপন নেয়। এরপর এদের সাহস অনেক বেড়ে যায়। একসময়ের মার্কিন সমর্থিত দলের সদস্যদের নিয়েই আমেরিকা/পশ্চিমা বিরোধী জঙ্গি দল তালেবান আলকায়দা গঠন হয়।
এখন তালেবান আলকায়দাকে কি বলা যায় আমেরিকার তৈরি?
আইএসএর ব্যাপারটিও তাই, আরব বসন্তের পর পরই মার্কিন ও পশ্চিমা প্রত্যক্ষ মদদে লিবিয়া ও সিরিয় সককার হটানো সুরু হয়। সেই দেশের সরকারবিরোধী গ্রুপগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে যুদ্ধে লাগিয়ে দেয়া হয়। লিবিয়ান সরকারের পতন ঘ্টাতে পারলে সিরিয়ার পাসে এসে দাঁড়ায় ইরান ও রাশিয়া। আমেরিকা ও পশ্চিমারা থেমে যায়। এই ফাকে আলনুসরা বাদে অন্য ছোট দলগুলো নিয়ে কট্টর পশ্চিমা/মার্কিন বিরোধি জঙ্গি আইএস গঠিত হয়ে যায়। এখন কিভাবে বলা যায় আইএস আমেরিকার তৈরি?
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
হাসান নাঈম বলেছেন: ব্যাপারটা মোটেই হালকাভাবে নেয়ারমত নয়।
আমরা আই,এস সম্পর্কে যা কিছু জানছি তার পুরোটাই এক দিকের কথা।
তাদের পক্ষ থেকে কোন কথাই জানার সুযোগ নাই, তাই বিষয়টা পরিষ্কার করে বোঝাও সম্ভব হচ্ছে না।
তবে লক্ষনীয় হল তারা খুব সহজে আধুনিক শিক্ষিত মানুষদের মটিভেটেড করে ফেলতে পারে। ফ্রান্সে যারা আক্রমন করেছে তারা কেউ বাইরে থেকে আসেনি। আপনি বলতে পারবেন না যে ঐ লোকগুলিকে ছোটবেলা থেকে মাদ্রাসায় পড়িয়ে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানুষও কিন্তু কম নয় - প্রায় ২৮ লাখ থেকে ৫৪ লাখ বলে অনুমান করা হয়। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ একসাথে ফ্যানাটিক হয়ে যাবে - এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তাহলে ওরা মানুষকে এমন কী কথা বলছে যাতে আধুনিক শিক্ষিত মানুষেরা আত্মঘাতি হয়ে যাচ্ছে? অনেকে বলছেন জান্নাতের লোভ দেখান হচ্ছে - কিন্তু কাউকে জান্নাতের কথা বল্লেই কি সে এতটা কনভিন্স হয়ে যাবে যে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যায় ঝাপিয়ে পরবে?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিরিয়াতে আইএস যোদ্ধা ১০ হাজারের মত আছে, ভলান্টিয়ারও আছে ৫-৬ হাজার। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানুষ প্রায় ২৮ লাখ থেকে ৫৪ লাখ মানুষ যারা আছে সত্য, এরা কেউই ফ্যানাটিক জঙ্গি নয়, সমর্থকও নয়। কিন্তু এরা নিরুপায়, প্রায় বন্দি। অনেককে কৃতদাশের মত নামমাত্র শ্রমমুল্যে তাদের সেবা করতে হচ্ছে। এই ৫৪ লাখ মানুষ মুলত আইএসের "মানব ঢাল" হিসেবে আছে।
এদের মুল ফান্ডিং করছে কাতার, আমিরাত ও কিছু সৌদি কুয়েতি ধনী শেখ ব্যাবসায়িরা। আর ইউরোপ-আমেরিকার বিপুল সংখক ধনী মুসলিম ইমিগ্রেন্টদের জাকাত-অনুদান দাতাদের অজান্তে হাতঘুড়ে সিরিয়াতে চলে আসছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইয়োরোপিয়ান ও আধিবাসি বাংগালি রা সুধু জান্নাতের কথা বলে কনভিন্স হচ্ছে না সত্য।
এরা সিরিয়া যাচ্ছে মুলত এডভেঞ্চারের কারনে। একঘেয়ে যান্ত্রিক জীবন থেকে কে না বাঁচতে চায়।
সিরিয়া গেলেই তো পাচ্ছে সাদর রিসেপশান, চকচকে নতুন কালাশনিকভ, অফুরন্ত গুলি। রকেটচালিত গ্রেনেড, করকড়ে ডলার পকেটমানি। একটি শহর দখল করতে পারলে যে বাড়িতে যে আগে পৌছতে পারবে তার ভাগেই সব গনীমতের মাল। মহিলা ও শিশুরাও তার সম্পদ। ইচ্ছে করলে দাস হিসেবে রাখতে পারে, হাজার ডলারে বিক্রিও করে দিতে পারে। কোন কারণ ছাড়া মেরেও ফেলতে পারে, কারন তার নিজস্য সম্পদ। এরচেয়ে স্বেচ্ছাচারি আডভেঞ্চার আর কোথায় পাবে? আমারই তো যাইতে মন চায়!
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পাকিস্তানীরা যতই শিক্ষিত হোক, যতই আমেরিকান পাসপোর্ট থাকুক না কেন...মানুষ হবে না!
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
হাসান নাঈম বলেছেন: "সিরিয়াতে আইএস যোদ্ধা ১০ হাজারের মত আছে, ভলান্টিয়ারও আছে ৫-৬ হাজার। "
মাত্র ১৫ হাজার মানুষের একটা সংগঠনকে সব পরাশক্তি মিলেও ঠেকাতে পারছে না?
২৮-৫৪ লাখ মানুষকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে - এটাতো বাইরের দুনিয়ার কথা।
ঐসব লোকের কথা কি কিছু জানা যাচ্ছে? তারা কি আই এস এর বিরুদ্ধে বিদ্রহ করতে চায়?
চাইলে তাদেরকে সহযোগতা করেইতো আই এস দমন করা সহজ হওয়ার কথা।
আর বাইরের আধুনিক দুনিয়ার যারা আই এস এর হয়ে আক্রমনে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে কে বাধ্য করল? কী এমন কথা তাদেরকে আই এস এর পক্ষ থেকে বলা হল যে তারা সুখের জীবন ছেড়ে আত্মাহুতি দিতে ছুটে গেল??
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব পরাশক্তি মিলেও ঠেকাতে পারছে না কারনটা "রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক"।
অনেকে তেলের কথা বলছে, তুরষ্ক-ইসরাইল ও জর্ডন পানির দরে কিছু তেল কিনতে পারছে আইএস থেকে, সেটা পাইপলাইনে না, ট্রাকভর্তি জেরিকেনে, লোকাল স্মাগলারদের কাছে। এসব মামুলি ব্যাপার। আসল ব্যাপার হচ্ছে -
ফ্রান্স ও তুর্কিরা কোন ভাবেই চাচ্ছে না কুর্দিরা সিরিয়া, ইরাক ও তুরষ্কের বিপুল অংশ নিয়ে একটা কুর্দি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটুক। এই মুহুর্তে আইএস নিশ্চিন্ন হলে সেটাই হবে। এ বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এইমুহুর্তে বড় অপারেশন না চালানোর বড় একটি কারন।
দুই দফা বিশ্বমন্দায় বিপুল ক্ষমতাধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গরিব হয়ে যাওয়াতে ওবামা কোনভাবেই কংরেসের সমর্থন পাচ্ছেনা ফুলস্কেল স্থল হামলা চালানোর জন্য। আমেরিকা চাইলেই ১২ ঘন্টায় সিরিয়াতে আইএস মুক্ত করতে পারে, করলেইতো সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সেখানে মার্কিন-পশ্চিমা/গণতন্ত্র পন্থি সরকার বসানোর মত তেমন কোন ব্যবস্থা এখনো হাতে নেই। মার্কিনপন্থি আল-নুসরা ফ্রন্টও আদর্শহীন মৌলবাদি, কদিন পরেই দেখবেন ভোলপাল্টে তালেবান/আলকায়দার মত হয়ে যাবে।
সবচেয়ে বেষ্ট অপশন দেশটিকে আইএস মুক্ত করে আসাদ সরকারের হাতে বুঝিয়ে দেয়া, একমাত্র আসাদ সরকারেরই আছে প্রতিটি জেলায় প্রশাসক স্থাপন করে সারা দেশে শৃক্ষলা ফিরিয়ে আনার। কিন্তু আমেরিকা মনেকরে আসাদকে স্থাপন তাদের জন্য চরম অবমাননাকর হবে। এখন অবস্য আমেরিকা কিছুটা নমনিয় হবে, ইতিমধ্যেই ফ্রান্স-রাশিয়া-আমেরিকা বিমানহামলা কোঅর্ডিনেশন করতে সম্মত হয়েছে। আসাদকে মেনে নিবে হয়তো, নিতেই হবে।
যদিও তুরষ্কের কুর্দি অংশ তুর্কিরা দিবে না, তবে আপাতত উত্তর ইরাক, উত্তর সিরিয়া নিয়ে একটি কুর্দি রাষ্ট্রই একটা ভাল সমাধান, দীর্ঘদিন নির্জাতিত শিক্ষিত উদার সংষ্কৃতিমনা বিপুল সংখক কুর্দিদের অসভ্য আরবদের সাথে থাকার কোন মানে হয় না।
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: নতুন তথ্য জানলাম। অথচ, পফড়েছি-সেটা পেশাগত কোন দ্বন্ধ থেকে ঘটেছিলো। মজাটা হলো-মুসলিম হলেই জিঙ্গি আর অন্য ধর্মের হলে উম্মাদনা বা ভিন্ন কিছু। এখনো এসব বাজারে খায় ভালো।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রথমে সবাই ভেবেছিল পেশাগত কোন দ্বন্দ বা এমপলয়ারের সাথে ঝগড়া থেকে ঘটেছিলো। প্রেসিডেন্ট ওবামাও ভাষনে প্রথমদিন এরকম বলেছিলেন।
পরে তদন্তে এরকম কোন আলামত পাওয়া যায় নি। সে এনভারোমেন্টাল স্পেশিয়ালিষ্ট হিসেবে উচ্চপদে ভাল বেতনে কর্মরত ছিল। কর্মস্থলে কোন সমস্যা ছিলনা। তদন্তে জঙ্গি দিক্ষার হদিস পাওয়া গেছে। হজের পর ফিরে না এসে অনেকদিন অজ্ঞাতবাস, আমরিকান পাসপোর্ট রেখে ভুয়া পাসপোর্টে গোপনে পাকিস্তান গমন, জঙ্গি আস্তানার কেন্দ্র লালমসজিদে অবস্থান, জঙ্গিসমর্থনে ফেবু ষ্ট্যটাস। বাসভবনে বোমা তৈরির গবেষনাগার, বিপুল অস্ত্রসত্র, হাজার হাজার গুলি/কার্তুজ। এসব বিবেচনা করে পুলিশ ৩ দিন পর মোটিভ নিশ্চিত হয়েছে।
১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: বিএনপি আমলে শেওড়া পাড়ায় বুকের দুধ খাওয়ারত বাচ্চা কোলে নিয়ে দরজা খুলে র্যাবদের লক্ষ্য করে জেএমবি নারী বোমা মেরেছিল, আপনারদের মনে আছে? বাচ্চা ও মা দুজনেই সেই বোমায় পুড়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, এই দুজন পুলিশের কাছে জঙ্গী হিসাবে ধরা পড়ে গিয়েছিল আর তাই জেলে মরার চাইতে কিছু কাফের মেরে বেহেস্তে(?)..। বলা হয়, ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী, নামাজী, তাবলীগি যে কাউকে আই এস রা বুঝিয়ে শুনিয়ে জঙ্গী বানাতে পারে, তবে আরব, অাফ্রিকা ফাকিস্তানের মানুষ েএক পা বেশি এগিয়ে থাকে।
২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
এরা সিরিয়া যাচ্ছে ইসলাম বা জেহাদের কারনে নয়। অন্য কিছুর জন্য।
তারা মুলত যাচ্ছে রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চার খুজতে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমারও মনে হয় সেটাই অন্যতম একটি কারন।
২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
লোপা এসহক বলেছেন:
শিক্ষিত আধুনিক মানুষরা কিভাবে যে জঙ্গিবাদে মটিভেটেড হয়ে যাচ্ছে
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।
শিক্ষিত আধুনিক না, একাডেমিক শিক্ষা মানেই শিক্ষিত নয়। আসলে বিভ্রান্ত মানুষরা জঙ্গিবাদে মটিভেটেড হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
প্রামানিক বলেছেন: জান্নাত কি মামুর বাড়ির বারান্দা, চাইলেই পাওয়া যায়?