নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেট্রোরেল, ঢাবির কি সমস্যা, বুঝি না

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

ঢাবির কি সমস্যা বুঝি না।
পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই মেট্রোরেল আছে, এলিভেটেড, সাবওয়ে (পাতাল) সারফেস ও আছে। এসবের অনেক লাইনই কমবেশী জনবহুল শহরের হাসপাতাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়েই যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই থাকে মেট্রোরেল ষ্টেশন, যা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই স্টপেজ হয়। কোরিয়ার সাবওয়ে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম উন্নত মানের ও টেকনিক্যালি সাউন্ড, পরিচ্ছন্ন রেল সাবওয়ে। এর সিউল শহরের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবওয়ে স্টেশন আছে। স্টেশনের নাম সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই থাকে। এসব লাইন গেছে কারো গা ঘেষে কারো অল্প পাশ দিয়ে। কিন্তু রেলস্টেশন আছেই। বাদ নেই।

কিন্তু ঢাবির কি সমস্যা বুঝি না। ঢাবি, ঢামেক ও বুয়েটের ভেতর দিয়ে তো কিছুদিন আগেও রেলগাড়ী চলত। চবির ভেতরে ও বাকৃবির ঠিক মাঝ দিয়ে ঢাকা ময়মন্সিংহ রেললাইন, চলছে। কারো কোন অভিযোগ ছিলনা। একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষনা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ICDDRB র পাস দিয়ে দেশের সবচেয়ে ব্যাস্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইন। কোন সমস্যা হয়না।
কিন্তু নকশা পরিমার্জন, সয়েলটেষ্ট শেষে পাইলিং কাজ সুরু হবে। এমমন সময় ঢাবির কিছু ছাত্রের "রেলচাপা মৃত্যুভয়" "মনোযোগ হারাবে" মনে হল, এরপর আন্দুলন।
ঢাকা মেট্রোলাইন যাবে বেশীরভাগ ওভারহেড, আর সারফেসের লাইনে ব্যারিয়ার দেয়া থাকবে। মেট্রোরেল হবে শহরের সবচেয়ে সেইফ বাহন। আত্মহত্যা ছাড়া দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

এর আগে বিমানবাহিনী তেজগা পুরাতন বিমানবন্দরের বাইরে বিজয় সরনির উপর মেট্ররেল যেতে বাধা দিয়েছিল। পরে এদের তীব্র বাধার মুখে মেট্রোরেল লাইন নকশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হইয়েছিল, তারা রোকেয়া স্মরনির বিমানঘাটির পাস দিয়ে যেতে কিছু বললো না, অতচ অকারনে জেদের বসে বিজয় সরনির উপর দিয়ে যেতে বাধা দিল। এই ফালতু কারনে মুল্যবান ৪টি বছর পিছিয়ে যায় মেট্রোরেল বাস্তবায়ন।
লিঙ্ক - মেট্রোরেল, বিমানবাহিনীর অকারন বাধা

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবেই পিছিয়ে যায় দেশ!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একমত পোষন করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

রাফা বলেছেন: পৃথিবির সব দেশে চায় সামনেই স্টেশন হোক।বাংলাদেশে ঠিক এর বিপরীত চিত্র।

এখানে একটা কমেন্ট করেন:-view this link






০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর বৃহত্তম সিমান্ত পাড়ি নিয়ে আপনার সুলিখিত সুন্দর লেখাটি পড়লাম।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

মোঃ আবু সিয়াম বলেছেন: সঠিক পরিকল্পনা তো নেই তাই নকসা পরিবর্তন করতে গিয়ে সরকারের টাকা গুলো গচ্ছা যায়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পরিকল্পনা অবস্যই সঠিক ছিল
৫ বছর আগেই জাপানের জাইকার সহযোগিতায় রুট তৈরি ও প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়।
কিন্তু না বুঝেই পাড়ার মাস্তানের মত বিমানবাহিনী সম্পুর্ন এখতিয়ার বহির্ভুত ভাবে বিজয় সরনির উপর মেট্ররেল যেতে বাধা দিয়েছিল। জাইকা ও রুট সংস্লিষ্ঠ বুয়েট প্রকৌশলিরা নতুন রুট খুজে পুনরায় নকশা তৈরি করতে হিমসিম খেতে হয়,
সরকার বনাম স্বসস্ত্র বাহিনী টাগঅবওয়ারে ..ফালতু বাক বিতন্ডায় ৪ বছর অকারনে নষ্ট হয়েছিল।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: একটা রেল স্টেশন ঘিরে অনেক কর্মকান্ড গড়ে উঠে..বাস, টেক্সি, হোটেল, রেস্টুরেন্ট.. মোটামুটি ছোট-খাট গুলিস্হান

এই পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ত তার স্বকীয়তা কিছুটা হারাবে.....সেই দোহাই দিলে ঠিক আছে কিন্তু তা করা উচিত ছিল প্ল্যান পাশ করার আগে (পাবলিক কমেন্টের ব্যবস্হা উন্নত বিশ্বে রাখা হয় কোন বড় প্রজেক্ট পাশ হওয়ার আগে)

কিন্তু যখন সামিনা ল্যুফা নামের এক শিক্ষিকা বলেন যে এই প্রজেক্ট নাকি উন্নয়নের নামে ধোকাবাজি.....তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না কারা এই উন্নয়ন না হলে খুশী........ যেমন অনেকেই আছেন পদ্মা সেতু না হলেই খুশী।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৫ বছর আগে রুট তৈরি ও প্ল্যান পাশ করার আগে ঢাবির অনুমতি নেয়া হয়েছিল।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০

রাফা বলেছেন: ঐটা আমার লেখা নয়-হা.কালবৈশাখী।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ও ..হ, তাইতো।
আমি তো আপনার লিঙ্ক দেখে এক নিঃস্বাসে পড়ে ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

মোমেন মুন্না বলেছেন: ল্যুফা নামের এক শিক্ষিকা বলেন যে এই প্রজেক্ট নাকি উন্নয়নের নামে ধোকাবাজি.....

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনি আরো বলছেন ট্রেনের সব্দ আর হুইসেলের আওয়াজে সমাজ বিজ্ঞানী ম্যাডামের টেস্ট টিউব হাত থেকে পড়ে গিয়ে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
সোসাল সাইন্সএর ম্যাম, ল্যাবে কি কাম?
"উন্নয়নের নামে ধোকাবাজি ... চলিতেছে" এডা কি কইলেন? সেই ম্যাডামের সুর!

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় উপর দিয়ে নির্মানাধীন একটি ফ্লাইওভার।
'The Hindu' পত্রিকার শিরোনাম "Metro station to make life easier for DU’s South Campus students"


৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

ঝড়োহাওয়া বলেছেন: সমস্যাটা মনে হয় পেট নিয়ে ।
ঘি খাওয়ার উপযোগী করতে একটু সময় দিতে হবে।

গর্বিত আমি বাংঙ্‌গালী
মঙ্‌গল হোক সবার

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
হুম বুঝা দরকার উনাদেরও

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বলদ যেটা হাল কম টানে, সেটা ঘাস বেশী খায়

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কারে কি কইলেন .. বুঝলাম না

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: প্রধান মন্ত্রী কি খামোখা এ কথা বলেছেন ? যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

রাজীব বলেছেন: ঝড়োহাওয়া বলেছেন: সমস্যাটা মনে হয় পেট নিয়ে ।
ঘি খাওয়ার উপযোগী করতে একটু সময় দিতে হবে।

চাঁদগাজী বলেছেন:
বলদ যেটা হাল কম টানে, সেটা ঘাস বেশী খায়

কলাবাগান১ বলেছেন: একটা রেল স্টেশন ঘিরে অনেক কর্মকান্ড গড়ে উঠে..বাস, টেক্সি, হোটেল, রেস্টুরেন্ট.. মোটামুটি ছোট-খাট গুলিস্হান

আসলে মেট্রোরেল কি খায় না মাথায় দেয় সে সম্পর্ক উনাদের কোন ধারনা আছে কি??

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় যারা ঢাবির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের বিরোধিতা করছে তারা মেট্রোরেল কি এই জিনিসটাই জানে না।
মেট্রোরেলের পিলারের নিচে যদি বস্তি বসে তাহলে সেটা ঢাবিরই ব্যারথতা। কুড়িল বা বনানির ফ্লাইওভারের পিলারের নিচে কোন বস্তি নেই। এখনই তো ঢাবির ভিতরে মেট্রোরেলের পিলার নেই, তাহলেও ঢাবির ফুটপাত আর রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে পায়খানা-প্রসাব ছড়িয়ে থাকে কেন? আর ময়লা আবর্জনা তো সব জায়গায়।

মেট্রোরেল কি জিনিস এটা বোঝার জন্য একটু কষ্ট করে দিল্লী, নাহলেও কলকাতা ঘুরে আসা উচিত।

মেট্রো রেলের দরজা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্টেশনের বাইরে খোলে না। আর এটি পুরোপুরি এসি। অর্থাৎ এর জানালা খোলা যায় না। অর্থাৎ মেট্রোরেলের মধ্য থেকে কোন ময়লা বাইরে ছুড়ে ফেলা একেবারেই সম্ভব না।

তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমিও ঢাবির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল চাই না। কারণ দুপক্ষের ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মেট্ররেলের দিকে ইট ছুড়ে মারবে, টিকিট না কেটে ঊঠতে না পারার কারনে ষ্টেশন ভাঙ্গচুর করবে, নিজেদের কোন দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে ফ্লাইওভারের উপর উঠে ট্রেন রাস্তা অবরোধ করবে।

তবে প্রথম পর্যায়ে তো উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্রোরেল ব্যাবস্থা চালু হবার কথা, সেটির সুবিধা ভোগ করার পর শুভ বুদ্ধির উদয় হবে আশা করি।

আমি কাউকে আঘাত করে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকার কষ্ট থেকে বলতে বাধ্য হয়েছি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.