নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফিকরেহমানের মত সজ্জন মানুষ হত্যা/অপহরন করতে পারে ..?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৭



বছর দু-এক আগে নিউইয়র্কের কিছু বিএনপি নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি জয় কে অপরাধী বানানোর জন্য দুজন সসস্ত্র এফবিআই এজেন্টকে উচ্চমুল্যে ঘুষের বিনিময়ে হাত করে। একাজে রিজভি আহাম্মেদ সিজার নামে এক তরুন বিম্পি কর্মিকে দায়িত্ত্ব দেয়া হয়েছিল।
যদিও পরিকল্পনা সুরুতেই ফাঁস হয়ে যায়।
পরিকল্পনাটি ছিল রিতিমত ভয়াবহ।
প্রথমে এফবিআই অফিসে রক্ষিত জয়ের বেপরোয়া ড্রাইভিং রেকর্ড থেকে নথি সরিয়ে ড্রাঙ্কড্রাইভিং রিপোর্ট ভরে দেয়া, এরপর জয়কে অপহরন করে জোড়পুর্বক মদ খাইয়ে কঠিন মাদক মামলায় ফাঁসানোর নৃসংস পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিল। জয় তখন ভার্জিনিয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। মার্কিন আইনে ২য় বার মাদকমামলায় কঠিন শাস্তি।
কিন্তু ভাগ্য ভাল এরা ঘটনা ঘটার আগেই ধরা পরে যায়। আমেরিকার উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় নথি হাতানোর সময়ই এই দুই এফবিআই অফিসার ধরাপরে যায়, মামলার প্রধান আসামি এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক ও জোহানেস থালের। এদের তাৎখনিক গ্রেফতার করা হয়। পরে রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬) কে গ্রেফতার করা হয়। সে নিউইয়র্ক বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের নেতা মোহাম্মদ উল্ল­াহ মামুনের ছেলে। মার্কিন গণমাধ্যমে সে সময় ব্যাপক আলোড়ন শৃষ্টি হয়েছিল।
মার্কিন আদালতে সুধু রেকর্ড চুরি ও ঘুষ মামলায় ৩ বছর জেল হয়, বাকি মামলাগুলো চলমান আছে। যার সর্বচ্চ শাস্তি ২০ বছর জেল।
তখন বাংলাদেশেও একটি অপহরন/হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।

কথিত আছে নিউইয়র্কের বিএনপি নেতৃবৃন্দের চক্রান্তকালের সময়টায় আলোচিত সফিক রেহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন, নিশ্চই অপহরন বা হত্যা করতে নয়।
জয়কে ফাঁসানোর পর এই রিপোর্ট কত ফলাও করে বিশ্বব্যাপি প্রকাশ করা যায় .. করতে যা যা উপাত্ত দরকার ...

সাপোর্টিং লিঙ্ক - মার্কিন জাষ্টিস ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল অভিযোগ পত্র।
Conspirators Charged In White Plains Federal Court With Bribery Scheme

সংযোজন

শফিক রেহমানরা এখন জাতির জন্য ক্যানসার ছাড়া অন্য কিছু নয়।
ওনার (কুট) মেধা ছিল, বিম্পির ভেতর ওনার পর্যায়ের মেধাবী এখনো নেই।
২০০১ এর পর ওনার বিপুল জনপ্রীয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন কে দৈনিকে রূপান্তর করে দেয় বিম্পি (তারক-মামুন গং) তেজগায়ে বিশাল জমি সহ বিলাসবহুল অফিস। তখন বিপুল জনপ্রীয়, তেজগার সেই রাস্তার নাম পর্যন্ত বদলে ফেলেছিল সে।
কোন এক অজ্ঞাত কারনে মামুনের সাথে চরম বিরোধে জড়িয়ে পরে এই সফিকরেহমান। তখন এই লোফার মামুনের ক্ষমতা বিম্পির সেকেন্ডম্যান পর্যায়ে। ২০০৬এ বিরোধ চরম পর্যায়ে উঠে। ২০০৬ এর শেষের দিকে হঠাৎ একদিন তার দৈনিক পত্রিকাটিতে সম্পাদকের নামের স্থানে তার নাম উধাও হয়ে যায়, মামুনের ধমকে সে আর অফিসেই ঢুকতে পারেনি, ঋন ও বকেয়া বিল তার উপর জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়।
রক্তাক্ত ২৮সে অক্টোবর সেই উত্তাল বিকেলে সে প্রানের ভয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে লন্ডনের টিকেট কাটে। তখন মামুন স্টাফ-সাংবাদিক লেলিয়ে দেয় এই বলে যে বেতন-বকেয়া রেখে পালিয়ে যাচ্ছে ...
এরপর অনেক কাহিনী, বিমানবন্দরের লবিতে পাওনাদার সাংবাদিকদের বিক্ষোভ-স্লোগান .. একপর্যায়ে চড়-থাপ্পোর দিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে আনা। সেই দিনের কথা মনে হয় কেউ ভুলতে পারবে না। আমার কাছে ফোন আসলো "এখনি এয়ারপোর্টে চলে আয় .. চরম নাটক চলছে"। কিন্তু আমি দেখি নাটক বংগভবনে, সরকার বদলে যাচ্ছে ... বাইতুল্মুকার্মে-পুরানাপল্টনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া .. গণপিটুনিতে নিহতদের লাশ ...
এরপর সফিকরেহমান-মামুন বিরোধ কোন পর্যায়ে ছিল আর জানা যায় নি। পরে যায়যায়দিন HRC গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয় মামুন।

অতচ আগে উনি ছিলেন বাম উদারপন্থি, একমাত্র তার যায়যায়দিন পত্রিকাতেই মুনতাসির মামুন, তসলিমা নাসরিনের কলাম নিয়মিত প্রকাশিত হত। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা “একাত্তরের দিনগুলি ” সর্বপ্রথম এই শফিক রেহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক সন্ধানীতেই ধারাবাহিকভাবে বেরোয় যা পরবর্তীতে সন্ধানী প্রকাশনী থেকেই বই আকারে প্রকাশ করা হয় । ৯৩ তে গনআদালত গঠনে তার পত্রিকাতেই প্রথম পরামর্শ এসেছিল, যায়যায়দিন গণআদালতের আগ্রাসি সমর্থন ছিল। সেই প্রজন্মে তার পর্যায়ে এইরকম সৃজনশীল আধুনিকমনা লোক বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আমার চোখে পড়েনি। শফিক রেহমানের মত উদার মুক্তমনা লোকটি কিভাবে বিএনপি-জামাতের মতো দলে নোংড়া দলে নাম লিখিয়ে নোংড়া খেলায় মেতে উঠলো সেটা আমার কাছে আজও ঠিক বোধগম্য হয় না। ২০০৯ এর পরে উনি নিজেকে নেড়িকুকুর ঘোষনা করে, বিম্পি থেকে এত লাত্থিগুতো খাওয়ার পরও ম্যাডামের ভাষন লিখে দিতেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

আহলান বলেছেন: কিন্তু এফবিআই যা পারে না, আমাদের দেশে তা কত সহজেই পারা যায়, তাইনা ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
FBI পারেনা কে বললো।
চক্রান্ত খুজে বের করলো দুই FBI অফিসার গ্রেফতার হল, ভিক্টিমের নাম প্রকাশ না করে ইজ্জত বাচালো। বিচার শেষে ৩ জনকে দোষিসাব্যস্ত করে জেলে দিল। পারেনা কে বললো।
আমরাই তো পারি না।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

আহলান বলেছেন: ওওও ...যাক আমার কথা বুচ্ছেন তাহলে ... ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাক স্বাধীনতা হরন হল কিভাবে?
শফিক রেহমান তার পত্রিকা বিক্রি করে দিয়েছেন ১০ বছর আগেই, একটি চটি পত্রিকার নামমাত্র সম্পাদক ছিলেন তিনি, পত্রিকা চালান না ৩/৪ বছর, কোন পত্রিকায় চাকুরীও করেন না, বেশ কয়েক বছর কোন কলামও লেখেন না, কোন টকশোতে এজাবৎ দেখা যায় নি। কোন দৃশ্বমান পেশাও তার নেই।
বাক স্বাধীনতা হরন হল কিভাবে?

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
বাংলার জামিনদার বলেছেন: বুড়া শয়তানটা অবেশষে ধরা খাইছে, ভাল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন।
তবে শফিক রেহমানের মতো নোংড়া মানুষিকতার লম্পটের পক্ষে মায়াকান্না করাযায় একমাত্র দলিয় হিনস্বার্থে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২

এরশাদ চাচ্চু বলেছেন: পর্নোসাইট বন্ধের ঘোষণা | বিলুপ্তির পথে কুটির শিল্প
এসপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হতে যাচ্ছে ব্রাজার্স থেকে শুরু করে এক্সহ্যামস্টার, এক্সভিডিওস, টুশি ডটকম সহ ঐতিহাসিক সব পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট। বাংলাদেশ থেকে এসব পঁচা সাইটে এখন থেকে আর কেউই ভিজিট করতে পারবেনা। সম্প্রতি ফেসবুকে এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

পর্নোগ্রাফি আইন এর ধারা বজায় রাখতে বাংলাদেশের ওয়েব থেকে এসব দুষ্ট দুষ্ট সাইটগুলো বন্ধ করা জরুরী বলে এক ব্যক্তি তাঁর (তারানা হালিম) ফেসবুক পেজে কমেন্ট করলে প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, 'এই সপ্তাহের মধ্যেই সকল পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

পর্নোসাইট বন্ধ কর‍ার বিষয়টি দেশের সমাজ ও তরুণদের সামাজিক অবক্ষয় রোধে ভুমিকা রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকে এ নিয়ে সংখ্যালঘূ কিছু খারাপ ছেলেদের বিক্ষুদ্ধ হয়ে পোস্ট দিতে দেখা গেছে। মোকাদ্দেস নামে এরকমই একজন তরুণ সোমবার রাতে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে, 'পর্নোসাইট বন্ধ করার মাধ্যমে আমাদের জৈবিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।'



এদিকে পর্নোসাইট বন্ধ করলে দেশের সম্ভাবনাহীন কুটির শিল্পও বিলুপ্তির দারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন আরেক জনপ্রিয় ফেসবুক‍ার মোতাহার মিথুন।

আরও পড়ুন বিসিএসের জন্য, প্রথমবারের মত এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের অংশগ্রহণ!

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩১

আক্তার হায়দার বলেছেন: আজ দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে শফিক রেহমানকে নিয়ে ! কেউ বলে , সে খুব ভালো , আবার কেউ বলে সে খুব পচা ! আমরা হালায় , কম বুঝা পাবলিক যে কই যাইতাম ! সে সেরকম হলো , যে , মন্ডলের বাড়ীর কোন ছেলেটা সবচে ভালো ? যেটা গাছে উঠে পেশাব করে .।.।.।।। সেই সেরকম হলো দেখছি .।.।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনি ছিলেন বাম উদারপন্থি, একমাত্র তার পত্রিকাতেই মুনতাসির মামুন, তসলিমা নাসরিনের কলাম নিয়মিত প্রকাশিত হত। ৯৩ তে গনআদালত গঠনে তার পত্রিকাতেই প্রথম পরামর্শ এসেছিল, গণআদালতের আগ্রাসি সমর্থন ছিল।
সেই প্রজন্মে তার পর্যায়ে এইরকম সৃজনশীল, মুক্ত আধুনিকমনা লোক বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আমার চোখে পড়েনি।

পরে তার অধপতনের কথা সবারই জানা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মার্কিন আদালতে সুধু রেকর্ড চুরি ও ঘুষ মামলায় ৩ জন আসামির সাড়ে ৩ বছর জেল হয়, বাকি মামলাগুলো চলমান আছে। যার সর্বচ্চ শাস্তি ২০ বছর কারাদন্ড।
তবে মার্কিন প্রেক্ষাপটে এটা মামুলি সাধারন রেকর্ড চুরি – অপহরন চেষ্টা মামলা।
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক্ষেত্রে সুপরিকল্পিত বিশাল নেটওয়ার্ক ও চক্রান্ত বিবেচনায় আসতে বাধ্য।
এই মামলার রাজনৈতিক ভ্যালু কল্পনাতিত বিশাল। কুচক্রিরা সফল হলে নিশ্চিত ভাবেই বাংলাদেশ বড় একটি বিপর্যয়ে পড়ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.