নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ দেশে এটা কখনোই পারতো না BBC

২১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

কথিত ধর্মঅবমাননা ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার, ৮ই মে, রবিবার।
কিন্তু একটি মিথ্যা পাকিয়ে তুলতে সময় লাগলো ৫ দিন, কারনটা স্পষ্ট, ১৩ তারিখ শুক্রবার কাজকাম নাই, যেহাদি চেতনা শুক্রবারে বেশী জাগে।
যদিও পিটুনি খাওয়া ছাত্রটি বারবার বলেছে তেমন কিছু হয়নি সুধু পিটুনি দিয়েছে। বড়রাও পাস কাটিয়ে গেছে।
মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনও পাস কাটিয়ে গেছে, বলে - "কে বা কারা এখান থেকে মাইকিং করলো আমরা জানি না, মাইকে কি বলা হয়েছিল তাও মনে নেই"!
কিন্তু কান ধরে উঠবস ঘটনার ৪দিন পর BBC বাংলার আকবর হোসেন বন্দর এর রাস্তায় খুজে খুজে অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের কথা সরাসরি ছাপিয়ে দিয়ে চরম উষানিমুলক অন্যায় করেছে। আমারদেশ পত্রিকার পত্রিকার মত হুবুহু ছাপিয়ে দিয়ে মাদার োদ মাহামুদুরের ভুমিকা রেখেছে।

BBC নিজ দেশে এটা কখনোই পারতো না। একটা শিশুবাচ্চার কথা ছাপিয়ে ধর্মিয় উষ্কানি দিতে আইন এলাও করত না।
অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের কথা গুরুত্ত দিতে নেই। প্রচলিত আইনে অগ্রহনযোগ্য। ইসলামি আইনেও প্রাপ্তবয়ষ্ক দুই শাক্ষি লাগে।
সেই স্কুলছাত্র বলেছে, লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল কমিটির কাছে সুধু পিটুনির। বলেওছে শিক্ষক ধর্মের অবমাননা করে নাই, মূল ঘটনার দশ দিন পর বিবিসির আকবর বার বার শিশুটিকে জেরা করে মোটিভেটেড করে উলটা বলানো কোন নৈতিকতা।

ছাত্রটি তো ঘটনার দিনই লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল কমিটির কাছে, আসলে কমিটির লোকেরাই তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল প্রধান শিক্ষককে এক হাত নেয়ার জন্যে। ঘটনাটি 'ধর্মঅবমাননা' নয় নিশ্চিতই। কারন তাহলে কমিটি এতবড় মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করতো না। পরে 'ধর্মঅবমাননা' ঘটনা পরের ৪ দিনে পাকিয়ে তোলা হয়েছে।

আবার এক শুক্রবার এলো। হুজুরদের জেহাদি চেতনা আবার যেগে উঠল।
এখন বলছে - কানধরে উঠবস যথেষ্ট না, আরো শাস্তি চাই।

বিবিসির সেই রিপোর্ট, শিরোনামেই উষ্কানি - হিন্দু শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস:ঘটনার অন্তরালে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল্লার ঘর মসজিদে এ কি চলছে? ভীত সন্তস্ত্র বালকটিকে ওসমানের চ্যালা+হেফাজত পান্ডারা ঘিরে ধরে মসজিদের ভেতরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মোগস্ত করানো হচ্ছে। Click This Link

২| ২১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

নতুন বলেছেন: ছেলেটি যদি বলেই থাকে যে শিক্ষক ঐ কথা বলেছিলেন তবে সেটা যে মিথ্যা সেটা আপনি কি ভাবে নিশ্চিত হলেন?

যদি ছেলেটিকে আদালতে সাক্ষি দিতে বলা হয় এবং এই ভাবেই সে বলে তবে কি সেটা বিচারক মিথ্যা সাক্ষি বলবেন?

শিক্ষক হয়তো বলেছেন ( সেটাও অস্বাভাবিক.. বলার কথা না আর বললেও কি এটা এতো বড় কিছু ??) তবুও তাকে অপমান করতে পারে না....এলাকার মানুষেরা এবং ঐ সাংসদরা এমন সাধু না যে তিনি আল্লাহকে নাপাক বলাতে মহাভারত অসুদ্ধ হবার মতন কস্ট পাবে।

এটা জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে কিছু মানুষ তাদের নিজের স্বাথে`... যেমনটি কিছুদিন আগে আফগানস্হানে নারীর বিরুদ্ধে কোরানপুড়ানোর অভিযোগ এনে জনগন তাকে পুড়িয়ে মারে।

২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটা যে মিথ্যা আমি ১০০% ভাগ নিশ্চিত।

ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার, ৮ই মে, রবিবার।
সেরকম কিছু বলে থাকলে জেহাদি চেতনা জাগতে ৫দিন লাগলো কেন?
সেই স্কুলছাত্র পিটুনির লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল কমিটির কাছে, বা কমিটি লিখিয়ে নিয়েছিল।
যদি সেরকম কিছু বলে থাকত অবস্যই লিখিত অভিযোগে এই মোক্ষম অস্ত্রটি বাদ পড়ার কথা না। তখন তো ছাত্রটি কোন মহল থেকে প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। লিখিত অভিযোগটিই ১০০% সত্য ছিল, নিশ্চিত।
কুচক্রিরা ৫ দিনে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র পাকিয়েছে, শুক্রবার সফল করেছে।

সেরকম কিছু বলে থাকলে মাইকিং রবিবারেই হত, ৫ দিন পর শুক্রবার হত না।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

নতুন বলেছেন: চক্রান্তের বিষয়টা অবশ্যই সত্যি কিন্তু ঐ কথাও বলাটাও অস্বাভাবিক না।

ঐ কথা যদি বলেও থাকে তবে সেটা ঐ ছাত্রের তেমন বড় কিছু মনে হবে না । তার কাছে পিটুনিটাই বড়

কিন্তু আলোচনার মাঝে ঐ কথা যখন সবাই জেনেছে তখন সেই অস্রটি সবাই পেয়েছে।

আর এই লাইনের জন্য কোন শিক্ষককে অপমানকরা সাংসদের পক্ষে সাজে না। কারন এটা পুরাই বেআইনী...

এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উচিত সাংসাদকে পদত্যাগ করতে বলা...

আর যদি সাংসদের অডিও ক্লিপ যদি শেখ হাসিনাকে শোনানো যেত তবে তিনি একটু আইডিয়া পেতেন বত`মানের সাংসদের চরিত্র সম্পকে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.