নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই নোয়াখালী-কুমিল্লা নিয়ে ব্যাস্ত। এদিকে RSO জঙ্গিরা টেকনাফকে পেশোয়ার পাক-আফগান সিমান্তের মত সন্ত্রাসের ডেড়া বানাচ্ছে

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫০

গত ৯ই অক্টোবর বাংলাদেশ সিমান্তে ঘনবসতি মংডূ শহরের কাছে বার্মিজ কিকানপিন বর্ডার গার্ড হেড কোয়ার্টার ও সংলগ্ন অঞ্চলে পুলিশ চেকপোষ্টে পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত RSO জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় বার্মিজ পুলিশের ৯ জন সদস্য মারা যায়।
এই হামলা ছিল সুপরিকল্পিত।
এই হামলা রহিঙ্গাদের কোন উপকার করার জন্য করা হয় নাই,
এলাকা দখল করার জন্যও করা হয় নাই।
বার্মিজ বাহিনীকে দুর্বল করার জন্যও করা হয় নাই।

হামলার উদ্দেস্য একটাই। বার্মিজ বাহিনী যাতে দ্বিধাহীন ভাবে রহিঙ্গাদের উপর আরো বেশী নৃসংসতা চালায় এবং রহিঙ্গাদের পিটিয়ে বাংলাদেশের দিকে পাঠিয়ে দেয়। সে হিসেবে হামলার উদ্দেস্য সফল।

এখন উখিয়া-টেকনাফে চলছে এলাহি কান্ড। কক্সবাজারকে পাক-আফগান সিমান্তের মত সন্ত্রাসের অভয়ারন্যে বানিয়ে ফেলেছে মৌদুদীবাদীরা। সিমান্ত খোলা রেখে টেকনাফকে পেশোয়ার বানিয়ে রহিঙ্গাদের স্বাধীন আরাকানিস্তানের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এলাকার সরকার পন্থি নেতা চেয়ারম্যান মেম্বারদের টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছে RSO জঙ্গিরা তাদের এদেশিয় মৌলবাদী দোশোররা। জঙ্গি নেতারা প্রকাস্যেই চলাফেরা করছে, মিডিয়াকে সাক্ষাতকার দিচ্ছে।

আজকের একটি পত্রিকার খবর। হুবুহু দিলাম -
রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে | মানবজমিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার

রোহিঙ্গা স্থানান্তর ঠেকাতে তৎপর উখিয়ার রোহিঙ্গা রাজাখ্যাত বখতিয়ার মেম্বার।
রোহিঙ্গা হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তকে সকল মহল স্বাগত জানালেও তা বানচাল ও প্রতিহত করতে জোর লবিং-তদবির চালাচ্ছে একটি মৌলবাদি চক্র।


বখতিয়ার আহমদ মেম্বার

বিশেষ করে উখিয়ার রোহিঙ্গা রাজাখ্যাত বখতিয়ার আহমদ মেম্বারের কারিগরি টেকনোলজিতেই চলছে সরকারের সিদ্ধান্ত বানচালের এ ষড়যন্ত্র। ইতিমধ্যে একটি জোটও পাকিয়েছেন তিনি। ওই জোটে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন।
রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি নামধারী আরএসও’র প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের হাতে নিয়ে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর না যাওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছে বখতিয়ারের নেতৃত্বে ওই জোট। কোনো বিদেশি দূতাবাস কর্মকর্তারা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে আসলে রোহিঙ্গারা যাতে ঠেঙ্গারচর না যায়, এলাকা ছেড়ে যাবে না, - এ জাতীয় স্লোগান তারা রোহিঙ্গাদের শিখিয়ে দিচ্ছে। কারন এরা টেকনাফ ত্যাগ করলেতো ব্যাবসা শেষ।
এ লক্ষ্যে সকলের অগোচরে গোপনে উখিয়ার শরণার্থী শিবিরের নতুন বস্তির ৪৩ জন রোহিঙ্গা নেতাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকও করা হয়েছে।
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণ তৎপরতার সঙ্গেও ৪৩ রোহিঙ্গা নেতা সরাসরি জড়িত থাকতে দেখা গেছে। এদের মুখে একটিই বাক্য মেম্বার যা বলে এখানে তা হবে অর্থাৎ রোহিঙ্গার রাজা বখতিয়ারের ইচ্ছায় সকল অভিবাসন এনজিও সংস্থা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির চেয়ারম্যান খ্যাত আরএসও’র প্রশিক্ষিত নেতা আবু ছিদ্দিক জানান, রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তের ষড়যন্ত্রে আমি জড়িত নই। সরকার রোহিঙ্গাদের যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারে। উখিয়া ও টেকনাফের গুটিকয়েক ক্ষমতাধর ব্যক্তি টাকার জোরে বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও ঢাকাস্থ নোয়াখালী ফোরাম নামের ভুঁইফোড় সংগঠনকে অর্থায়ন করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে।
কথিত রোহিঙ্গা নেতা আরএসও’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মো. নূর বলেন, আমরা বখতিয়ারের নির্দেশেই চলি। ওনার কথাই রোহিঙ্গাদের জন্য আইন। আর কেউ এ আইন অমান্য করলে তাদের ওপর চলে নির্যাতনের খড়গ। সরকার কক্সবাজার অঞ্চলকে অর্থনৈতিক ও পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে রোহিঙ্গা মুক্ত করার যে প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হলে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বিশ্বের সেরা-আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে বাস্তবে রূপ লাভ করবে কক্সবাজার।
এখন এ পর্যটন অঞ্চল কক্সবাজারকে পিছিয়ে দিতে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর স্থানান্তর বানচালের ষড়যন্ত্রে নেপথ্যের গডফাদাররা কলকাঠি নাড়ছেন। রোহিঙ্গা বাজারের বাসিন্দা স্থানীয় আবুল হোসেন জানান, উখিয়া-টেকনাফ ও কক্সবাজার যদি রোহিঙ্গাশূন্য অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠে তাহলে অনেকের সাম্রাজ্যে ধস নেমে আসবে- এ আশংকায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের স্থায়ীকরণের পাঁয়তারায় লিপ্ত ষড়যন্ত্রকারীরা। এছাড়াও তাদের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভাড়া বাসা, অফিস, দোকানঘর, বিশাল বনভূমির জায়গা, সম্পদ ও টাকা পয়সা হাতছাড়া হওয়ার আশংকা বা রক্ষার চেষ্টায় রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর বিমুখ করতে মরিয়া হয়ে নানা পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছে।
অনিবন্ধিত রহিঙ্গা বালুখালী টালের মাঝি নুরুল আলম বলেন, ৩ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে নিয়ে সালিশ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর না যাওয়ার জন্য গোপনে উস্কে দিচ্ছে। এ কারণে উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে ঘন ঘন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসলে ঠেঙ্গারচর নয়, এখানেই থাকতে চায় বলে আওয়াজ তোলে রোহিঙ্গারা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বখতিয়ার মেম্বার বলেন, বিভিন্ন জন আমাকে রোহিঙ্গাবান্ধব নেতা বলে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে আসায় আমাকে পৃষ্ঠপোষকও বলা হয়। এতে আমার করার কি আছে?

লিঙ্ক -
মানব্জমিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রবিবার

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেম্বার ও তার ঘনিস্টদের দিনাজপুর এলাকায় বসবাসের নির্দেশ দিলে সমস্যা কিছুটা কমবে।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭

সাকী শওকত বলেছেন: ধন্যবাদ সময়ুপযুগি লিখার জন্য।গাজী ভাইয়ের কথায় সহমত।তবে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ। রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাক ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে চায় কি না সেটা সেটাই জিজ্ঞাস্য।
নিউইওর্ক, লন্ডন টরন্টোর ধনী মুসলিমদের থেকে চাদা তুলে রহিঙ্গাদের জন্য বিশাল অঙ্কের এমাউন্ট পাঠাচ্ছে। পত্রিকায় দেখলাম দেখলাম জাতিসংঘ কিছু রোহিঙ্গাদের কানাডা আমেরিকার অফার দিচ্ছে। এত লোভনিয় জিনিস অব্যাহত থাকলে কোন শালা নরকে ফিরে যায়।
বরং রোহিঙ্গা আগমন শ্রোত আরো বেড়ে যাবে।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এ সমস্ত মেম্বার এবং RSO রা সভ্যতার জন্য বিপদ জনক। এরা মানুষের সমস্যা নিয়ে খেলে। একজন মেম্বার কে দমন করতে না পারা রাষ্ট্রীর কর্তা ব্যক্তিদের অদক্ষতার ফল। নাকি তার ক্ষমতার পিছনে রাষ্ট্রে কিছু কর্তাদের হাত আছে সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।

আমরা জানি রিফিউজি ব্যবসা হল বিশ্বের এক নম্বর লাভজনক ব্যবসা এবং ক্ষমতাশীল ব্যক্তি/ রাষ্ট্রকে চাপে ফেলার জন্য সবচেয়ে ভাল ট্রাম্প কার্ড।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিফিউজি ব্যবসা হল বিশ্বের এক নম্বর লাভজনক ব্যবসা কোন সন্দেহ নাই।
তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে টেকনাফ এলাকার আওয়ামীলীগ মেম্বার চেয়ারম্যান টাকার শ্রোতে বিক্রি হয়ে গেছে।
এদের দমন করতে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসিন দলকে কিছুদিনের মধ্যেই চরম মুল্য দিতে হবে।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়, অবশ্যই সরকারের উচিৎ জরুরী ভিত্তিতে ক্রিমানালদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

নাগরিক কবি বলেছেন: আপনিতো দেশের কথা বললেন। যা উখিয়া ও টেকনাফের মধ্যে বিদ্যমান। আর আমি নিজে বার্মার রাজধানী ইয়াঙ্গুন এ হামলার শিকাড় হয়েছি তাও ২০১৬ সালে। আর কতদিন এই খেলা চলবেরে ভাই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.