নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
ফরহাদ মাজহার গুম হয়েছিলেন, না নিজেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
এটাও এখন গুরুত্ত হারিয়েছে।
আমার মনে হয় একান্ত ব্যক্তিগত কারনে দির্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকার পরিবারের কাছে অযুহাত দিতেই অপহরন কাহিনী।
নইলে সে নিজেই বলছে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে .. নিজেই হাইজ্যাকারের জন্য টাকা চাচ্ছে। ভদ্র হাইজ্যাকাররা নিশ্চুপ।
উনি স্ত্রীর হাত থেকে কিছু লুকানোর জন্য নাটক সাজিয়েছিলেন!! টাকা যেহেতু তিনি ভালো মিথ্যুক নন সেইজন্য ফন্দি টা ১৯ ঘন্টার ভেতর ভেস্তে যায়!!
কিন্তু হলুদ আলোরা সুরু থেকেই নির্জলা মিথ্যা দিয়ে দিয়ে হলুদ রঙ ছড়িয়ে যাচ্ছিল।
সরকারি বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে গেছে। আগেও অনেককে নিয়ে এভাবে গুম করেছে।
কয়েক ঘন্টার ভেতর এমনিষ্টি, HRW, জাতিসংঘ, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট 'সরকারি বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে গেছে' বলে নিন্দা জানাচ্ছিল, সেটাও ফলাও করে প্রকাশ করছিল হলুদআলোরা।
আচ্ছা উনি সেই বাসে ঢাকা এসে উনার গুরুদের সহায়তার কঠিন গা ঢাকা দিলে এদের ভাষা এখন কি হত?
পুলিশ তাকে ট্র্যাক করে উদ্ধার করার পরও হলুদআলোর আক্রোশ বন্ধ হয়নি।
পিনাকি স্টাইলে হলুদ সন্ত্রাস! বলে এটা নাটক হতে পারে। ২৫ সিটের এসি বাসে ফরহাদ মাজহার সহ অর্ধেক সিট ভরা যাত্রী থাকলেও হলুদআলো বলছেল বাসে মাত্র ৩ যাত্রী ছিল এবং এরা যাত্রী নয় পুলিশ।
এই সাদা ব্যাগ নিয়ে উনি সবসময় চলাচল করেন, পরিবারের সদস্যরা বললেও হলুদআলো নির্বিকার ভাবে বলে যাচ্ছিল এই ব্যাগ-মোবাইল চার্জার তার না।
সবকিছু ভেস্তে যাওয়ার পর এখন এ নিয়ে সব আপডেট উধাও।
এমনকি পুলিশের সব বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের খবরটি তাৎক্ষনিক সবাই অনএয়ারে দিলেও হলুদ আলো ৫-৬ ঘন্টা পর খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে অনলাইলের পেইজে, আবার কয়েক ঘন্টা পর নীচে নামিয়ে ফেলে।
লেজে গোবরে হয়ে গেছে তার স্ত্রী পুলিশ কে জানানো তে!! উনি হয়তো পুলিশ কে না জানানোর জন্য বলেছিলেন, কিন্তু স্ত্রী তা শোনেন নি।
ফরহাদ মজহার ও স্ত্রীর বলেছিলেন তাকে অপহরনকারিরা খুলনায় সাড়ে সাতটার পর ছেড়ে দেয়, অথচ দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তিনি বিকেল চারটা থেকে ৭টা পর্যন্ খুলনায় সুন্দর ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিচার্জ বা বিকাশ করছেন, ফোন করছেন। অতচ পুলিশ বা বাসায় বলছেন না, আমি মুক্ত আমাকে উদ্ধার করুন। আমরা ফরহাদ মজহারের কথা কেন বিশ্বাস করতে যাব, তিনি যদি সত্যিই এই অপহরন নাটক মঞ্চস্থ করতে চাচ্ছিলেন তিনি ত নিজেকে বাচাবার জন্য (বিশেষ করে সরকার ও স্ত্রীর হাত থেকে) অনেক গল্পই বলবেন। পিনাকিরা তাকে বাচানোর নতুন কাহিনী বানাতে সাহায্য করবেই।
আরো গুম কাহিনী আছে।
সবচেয়ে জমেছিল সালাউদ্দিন আহমেদের নাটকীয় ভারত ভ্রমন।
অজ্ঞ্যত স্থান থেকে আইএস স্টাইলে একের পর এক আগুন সন্ত্রসের হুমকিদেয়া ভিডিও বার্তার জন্য পুলিশই তাকে খুজছিল।
হটাৎ বিম্পি ও মিডিয়াগুলো বলা সুরু করলো সালাউদ্দিন গায়েব, মানে গুম। HRW-এমনিষ্টিও সমস্বরে কান্নাকাটি, বলছে গুম করা হয়েছে। আরে সে তো আগে থেকেই আত্নগোপনে, বাসায়ও থাকতো না, ফোনও করত না।
আত্নগোপন করে আগুন সন্ত্রসের দায় থেকে বাচতে ও অনেক মানুষ পুড়িয়ে কয়লা করার পরও বেইমান জাতি কাজকাম বন্ধ না করাতে বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলন আর টেনে নিয়ে না যেতে পেরে ভারতে্র মেঘালয়ে চলে গেলেন। মেঘালয় তার পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস, অনেক আত্নীয়স্বজন এখনো থাকেন যদিও ওনার সমর্থকরা এখনো বলে থাকেন সকরারি বাহিনী তাকে বস্তায় ভরে শিলংয়ে ফেলে দেয়।
১০ মার্চ ২০১৫ সালে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ৬২ দিন পর ভারতের মেঘালয়ের শিলং এ নিজেই পুলিশে ধরা দেয়। পুলিশকে বলেন তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। ১২ মে তিনি মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে তাঁর স্ত্রী হাসিনা খানকে ফোন করার পর মিডিয়ার নজরে আসে।(স্মৃতিভ্রষ্ট হলেও বুয়ের নম্বর মনে থাকে?) ভারতীয় পুলিশের বরাতে বলা হয়, মেঘালয়ের গলফ গ্রিন এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় নিজেই পুলিশের কাছে সাহায্য চায়, পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে মুক্ত হয়ে দিল্লি-কোলকাতা ভ্রমনে গেলেও দেশে ফিরেন নি। ওনাকে যদি জোড়পুর্বক ভারতে পাঠানো হয়, অবিলম্বেই দেশে ফেরার কথা। দেশে ফিরছেন না কেন?
সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী নিখোঁজ হন গত বছরের ৪ আগস্ট। প্রায় সাত মাস অজ্ঞাত স্থানে থাকার পর তিনি নিজেই বাড়ি ফেরে।
সাকাপুত্র গুমনাটক করে দলে সহানুভুতি+পজিশন, দেশে-বিদেশে ও দলে একটা আলোড়ন শৃষ্টি হবে ভেবেছিল।
এমনিষ্টি, HRW, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট অবস্য সাকার গুম বা ঘুম নিয়ে অনেক লম্বা লম্বা বিবৃতি দিয়েছিল, কেউ কান দেয় নি
কিসের আলোড়ন? ৭ মাসে দেখা গেল সবাই ভুইলা গেছে, মিডিয়া, এমনকি ভুলে গেছে তার দল বিএনপিও।
এরপর ভেজা বিড়ালের মত আবার ফিরে আসা।
হুকার বাড়ি ফেরা নিয়ে চাচা গিয়াস কাদেরের ভাস্য (প্রথমআলো)
"রাত আড়াইটার দিকে ওকে ধানমন্ডি লেক এলাকায় কে বা কারা ফেলে রেখে যায়।
গিকা বলেন ফেলে যাওয়ার পরে সে একাই বাড়ি ফিরেছে! কেউ তাকে বাড়ি চিনিয়ে নিয়ে আসতে হয়নি!
হুম্মামের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালোই। আগের মতই নাদুসনুদুস আছে। ট্রিম করা দাড়ি,পাঞ্জাবিটাও ঠিক আছে। তবে তারও সালাউদ্দিনের মত স্মতিশিক্তি লোপ।
পরবর্তিতে গিকা তাকে যখন জিজ্ঞাসা করে সে সুদীর্ঘ ৭ মাস সে কোথায় ছিল?
প্রতিউত্তরে সে বলে, "পূর্বের কোন কিছুই তার মনে নেই"!
ভাতিজা তাইলে তুই বাড়ি চিনলি কেমনে? গিকার প্রশ্ন
সেইটাও মনে নাই, এদিকসেদিক হাটতে হাটতে একসময় দেখলাম বাসায় আইসা পরছি!
ধানমন্ডি লেকের কাছে কে কারা তোরে ফালায় রাখলো?
সেটাও মনে পরতেছেনা। চাচা! বেশি জিগাইওনা তো ..
গত বছরের ১৫ অক্টোবর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে, ৩০ নভেম্বর পাবনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ রংপুর থেকে পাবনা আসার পথে, ১ ডিসেম্বর তানভিরের বন্ধু ও একই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন পাবনার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এবং বরিশালের চাকরিপ্রার্থী তরুণ মেহেদী হাসান হাওলাদার বনানী থেকে, ৬ ডিসেম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রাকিবুল ইসলাম রকি লক্ষ্মীপুর থেকে নিখোঁজ হন। ৫-৬ মাস পর তাঁরা সবাই পরে ফিরে আসে। আসতেই হবে। আইএস এর রমরমা আস্তানা শেষ, গনিমতএর মাল তো দুরের কথা, পাছাই বাচেনা
চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদের বাবা নুরুল আলম, পাবনা মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাবা সুরুজ্জামান ও নুরুল আলম সরকার বলেন, সন্তান ফিরে আসাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। তাঁরা এ নিয়ে আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ- মামলা দায়ের করতে চান ন কিছু বলতে চাননা।
কথিত নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা সবাই গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফিরে আসার পর নিখোঁজ ব্যক্তিরা সব মগস্ত কাহিনী! বলেছেন, চোখ বেঁধে তাঁদের মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বাইরে তাঁরা কেউ আর কিছু বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মসুলের পতন মানে আইএস এর শেষ আস্তানা নিশ্চিহ্ন হয়েছে গত মাসেই।
সিরিয়াতে কিছু আছে, তবে শেষ হওয়ার পথে। বাকি নিখোঁজ ব্যক্তিরা ফিরে আসা ছাড়া আর উপায় আছে?
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটা লোক একান্ত ব্যক্তিগত কারনে দির্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকার জন্য স্ত্রীর সাথে নাটক করল।
আর হলুদ মিডিয়া এই ফালতু লোকটিকে ইশুকরে রাষ্ট্রকেই বিপন্ন করে ফেলেছিল।
সব ভেস্তে যাওয়ার পর এখন সবাই চুপসে গেছে।
এখন প্রথমআলো তন্নতন্ন করে খুজেও এই ইশুর কোন আপডেট পাবেন না।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: ড: জাফরউল্লা প্রথম দিন ই বলেন যে শেখ হাসিনা এর মতে এটা হয়েছে আর করেছে ভারতীয় র। এরা ভিডিও দেখার পর ও অস্বীকার করে..। আজ যদি এটা সরকারের কেউ হত, হলুদ আলো তিন দিন ধরে এই খবর প্রথম পাতায় লটকায়ে রাখত..।এখন তিন মিনিট পরেই সরায়ে নেয়।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
বাংলাদেশী আইএস চীফ মেজর জিয়া সেনাবাহিনী থেকে পলায়নের পর এরা এমনকি খালেদাও বলেছিল - "প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দাদের সহয়াতায় সেনা অফিসারদের গুম করা হচ্ছে"
এই ফালতু লোকটা সেই বাসে ঢাকা এসে উনার গুরু আসিফনজরুল, নুরুল-পিনাকিদের সহায়তার কঠিন ভাবে সপ্তাখানিক গা ঢাকা দিলে এদের নর্তনকুর্দনে দেশকে বসবাসঅযোগ্য করে ছাড়তো।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব ঘটনাগুলো "মানুষকে রাজনীতি থেকে দুরে নিয়ে যাচ্ছে, বাংগালীরা প্রাণের ভয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছে, নতুন জেনারেশন রাজনীতিতে যাবে না"।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৮
ইফতেখারুল মবিন বলেছেন: মযহার সাহেব দুইটা দিন ভালোই মজা দিছেন!
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: লু্ঙ্গীর মেয়াদ শেষ, আর পিনিক আরও কিছুদিন ঝিলিক দেখাবে...........তার লুঙ্গীর পরিনতির জন্য অপেক্ষা...........
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০
আহা রুবন বলেছেন: এই সব নাটক ঘটকরা মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করে দিচ্ছে। সত্যিকারের কেউ গুম হলেও কেউ আর আগের মত গুরুত্ব দিতে চাইবে না।