নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনই সতর্ক না হলে বাংলাদেশ চাইলেও যুদ্ধ এড়াতে পারবে না

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

কিছু অনলাইন জেহাদী ও তাদের সমর্থকরা তো পারলে এখনই যুদ্ধে নেমে যায়।
যুদ্ধের পরিনতি .. দুর্ভোগ যেহাদী চেতনায় ভেসে গেছে
যদিও এই যুদ্ধবাজরা ১০-১৫ মিনিটের যানজট বা একঘন্টার লোডশেডিংও সহ্য করতে পারে না, .. এ উহু-আহা, উন্নয়নের জোয়ারে ভেসেগেলাম বলে চিল্লা-পাল্লা করতে থাকে।

রহিঙ্গারা অবস্য কি চায় সেটা এখনো স্পষ্ট না।
এদের কোন নেতা নেই, শতবছরের নির্যাতন লাঞ্ছনায়ও কোন লিডারশিপ গড়ে উঠেনি। ১০ লাখ সীমান্ত পার হয়ে আসলেও এদের পক্ষে বা ওদের হয়ে কথা বলার মত কোন দৃশ্বমান কোন নেতৃত্ব বা মুখপত্র খুজে পাওয়া যায় নি। মৌদুদীবাদীরা অবস্য ইতিমধ্যেই কথা শিখিয়ে জোড় ট্রেনিং দিচ্ছে মিডিয়ার সামনে আনার। উর্দু-আরবি ভাষী জঙ্গি নেতারা তো আর সামনে আসবে না।

শরনার্থী হিসেবে আসা অনেক রোহিঙ্গাই টেকনাফের পাহড় কেটে খুটি গাড়তে গাড়তে বলছেে এই যায়গা তাদেরকে দেয়া হয়েছে, এখন তাদের জমি, এটাও আমাদের দেশ ওটাও আমাদের, একই দেশ।



রোহিঙ্গাদের মধ্যে উগ্রপন্থী যে অংশটি আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে, তাদের নিয়ে শংকিত হবার যথেষ্ঠ কারণ আমাদের আছে। আরাকান বলতে এরা যে মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলে সেখানে আমাদের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত সেই রাষ্ট্রের অংশ।

আরসা বা আরাকান মুক্তি সংস্থার মুল যোদ্ধা ও নেতৃত্ব সবই বহিরাগত, মৌদুদীবাদী পাকিস্তানি, আরব।
কথিত মুল দেশ রাখাইন/আরাকান এলাকার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, তাদের বাপেরও ছিলনা। আগেও ছিলনা,নেই।
আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে ‘আবু আমর জুনুনি’ বাবা করাচিবাসি খাস পাকি, আর মা কথিত রোহিংগা। এদের সন্তান বা বাষ্টার্ড ‘আতাউল্লাহ’ নামে একজন উর্দুভাষী। ভাষা উর্দু, পশতু, আরবী। আরাকানের বাংলা বা চাটগাইয়া ভাষা কিছুই জানে না। এরপরও সে নিজেকে রহিঙ্গা নেতা দাবি করে।
আরসা সংগঠনটির নেতা আতাউল্লাহ জঙ্গিদের কাছে ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। এই নাম আরব এলাকার নাম " আবু আমর জুনুনি " , কশাই আইএস এবং আমাদের দেশের কিছু নব্য জেম্বি জংগীদের নামও (আবু জাররা) একই স্টাইলের !

এই বহিরাগত জঙ্গিদের স্থানীয় সদস্য রিক্রুট প্রায় এক দেড় লাখ। মোটা বেতনে পালা এই বিশাল গেরিলারা কিন্তু বেশির ভাগই তাদের পরিবারের সাথে আসেনি। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জংগল দিয়ে তাদের আমাদের দেশে আনাগোনা করা কঠিন কিছু না। ২০১২ ও ২০১৬ তে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মৌদুদিবাদি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন অপ তৎপরতার খবর। এর আগে সীমান্ত পাড়িদিয়ে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা আমাদের দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে, কি পরিমাণ আমাদের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থান করছে তার কোন সঠিক হিসাব কারও কাছে নেই।
রোহিঙ্গা মদদে পাকিস্তান-সৌদি কানেকশন এখন পরিস্কার হচ্ছে। আরসা সৌদি অর্থায়নে চালিত একটি জঙ্গি সংগঠন। এরা আগে আল-কায়দাকেও ফান্ডিং করতো। মিয়ানমারে পুলিশ-সেনা চেকপোস্টে কোন কারণ ছাড়াই আক্রমণের কারণেই বার্মিজ সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রাম নির্মূলে নামে। আরএসও, আরিফ, আরসা এটাই চেয়েছিলো।
হামলার আগের দিন বাংলালিঙ্ক একটি নম্বর থেকে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা নেতা হাফিজের সাথে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার (ISI) একজন অফিসারের এবং ইরাক থেকে একজন আইএস জঙ্গি নেতার ফোনকল রেকর্ড পাওয়া গেছে।
উক্ত ফোন কলের ভাষ্য থেকে পরিস্কার সন্দেহ করা যায় পাকিস্তান এবং আইএস সহযোগিতা ছিল সেদিনের বর্মি সেনা ছাউনিতে আক্রমণে।

রোহিঙ্গারা এখন সম্ভবত এখন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে।
১৯৯১ সালে উখিয়ায় কয়েকশ একর পাহাড় কেটে ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এরপর এই শিবিরের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে কয়েক হাজার একর সংরক্ষিত পাহাড় কেটে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। টেকনাফে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ২০১২ সালেই আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আরাকান নয়, কক্সবাজারই হতে পারে কথিত ‘রোহিঙ্গা রাজ্য’। এবারো যে বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে তারা এখানেই ফের বন বিভাগের বন ও পাহাড় দখল করে বসতি স্থাপন করে নিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই এই বিষয়ে মূল ভূমিকা রাখছে, টাকায় কথা বলে। সাইদি পুত্র এদের সহযোগিতায়ই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশের পাসে কোন দেশই পাওয়া যাবেনা। সামান্য ত্রানেরই খবর নেই।

রহিঙ্গাদের খাওয়াতে সপ্তাহে চাহিদা ৬,৭০০ টন।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বিভিন্ন দেশের ত্রানের হিসাব :

ভারত = ১০৭ টন
ইন্দোনেশিয়া = ৪১ টন + গতকাল আরো ২০ = ৬১ টন
ইরান = ৪৭ টন,
মালয়েশিয়া = ৫৪ টন
তুরস্ক = বাংলাদেশে সুধু চোখের পানি। পরে দিল ১০০টন, বাংলাদেশে না। বার্মায় সুচির কাছে পাঠালো বার্মার রহিঙ্গাদের জন্য! না বর্মিসেনারা খাবে?

সৌদিআরব = ০ টন, একটা মামুলি বিবৃতি পর্যন্ত নেই। চোখের পানি তো দূরস্থ।
পাকিস্তান = ০
আমিরাত = ০
কাতার = ০
কুয়েত = ০

এখনই সতর্ক না হলে বাংলাদেশ যুদ্ধ এড়াতে পারবে না। জঙ্গি গেরিলারা এখন আরো শক্তিশালি হয়ে সীমান্ত পার হয়ে বার বার হামলা করবে। বাংলাদেশী জেহাদিরা সহযোগিতা করবে। সীমান্তবর্তি রহিংগা বস্তিগুলো হবে ওদের মানব ঢাল।
বার বার মার খেয়ে একপর্যায়ে বর্মি সেনারা পালটা হামলা করবেই, সেটা আর্টিলারি + বিমান হামলা। চট্টগ্রাম বন্দর ওদের কামানের আওতায় এসে যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যের মুল নাট্যকাররা সিরিয়া-ইরাকে পরাজিত হওয়ার পর আমাদের কক্সবাজারকে পেশোয়ার বা কাশ্মির সীমান্তের মত যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর স্বপ্ন দেখছে। সুতরাং এখনি সাবধান!


কিছু মানুষ চাচ্ছে যেনতেন প্রকারে যুদ্ধ লাগুক। যুদ্ধ রহিঙ্গা, মুসলিম ভাতৃত্ব-ফাতৃত্ব এইসব কিছুই না। এনারা সবাই মুলত বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি চাচ্ছেন, দেশের চুড়ান্ত সর্বনাশ করে হলেও যদি অল্প কিছু ফায়দা হাসিল সম্ভব হয় ... তাও ভালো।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

সনেট কবি বলেছেন: সাবধান থাকাই জরুরী।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।
আপনার মুল আইডি গেল কৈ?

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: একেক জন একেক থিওরি দিচ্ছে। কনফিউজড

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কনফিউজ হওয়ার কিছু নেই, ফেবুর বানোয়াট ভিডিও অনেকেরি ব্রেনে সমস্যা করে দিছে।
নিজস্য ব্রেন খাটান।

স্থানীয় রহিংগারা নিরিহ, কারো সাতে-পাচে নেই।
তারা কখনো রাজনীতি করে নি, করেও না। তাদের কোন নেতাও নেই।
ঝামেলা করেছে বহিরাগত আরব-পাকি জঙ্গিরা। মাত্র ১২ জন মগ পুলিশ মেরে ৭ লক্ষ নিরিহ মুসলিমকে সচেতনভাবে মৃত্যুর মুখে ফেলেছে।
৭ লাখ মুসলিমকে পরক্ষভাবে গৃহহারা, জমিহারা করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে পথের ভিকিরি বানিয়েছে।
যতবার বহিরাগত জঙ্গিরা হামলা করেছে ততবারই স্থানীয় রহিংগারা বার্মজদের আক্রোশের শিকার হয়েছে।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: শত শত বছর ধরে নির্যাতিত রহিঙ্গা জাতি।
কতটা অত্যচারীত হলে হাজার লক্ষ শিশু
নারী পুরুষ সন্তান হাড়া পিতা মাতা হাড়া
চোখের সামনে খুন ধর্ষন জালাও পুড়াও
দেখে অসহায় হয়ে বাংলাদেশে একটু বেঁচে
থাকার আকুতি বাংলাদেশ সরকার মানবতা
দেখিয়েছে। সেই প্রশংসা সারা বিশ্ব দৃষ্টিপাত
রেখেছে এখন জঙ্গী বলে মায়ানমার সরকার
ধোয়া উঠালে পার পাবেনা।
আমাদের দেশের ভিতর যেসব জঙ্গীরা
ততপর মাঝে মাঝে বিভৎসতা দেখায়
সরকার তা নির্মুলে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসব জঙ্গী জঙ্গী বলে রহীঙ্গাদের বদনাম
দেওয়া বাংলাদেশের ক্ষতি ছারা আর কিছুনা।
মায়ানমার সামরিক জান্তারা জঙ্গী থেকেও
উপর জঙ্গী অসভ্য বর্বর চিরকালের জলদস্যু
এতই যদি জঙ্গীদমন করার প্রয়োজন হয়
আমাদের সরকারের মত পদক্ষেপ নিলে
সমস্যা কোথায় ছিল। আসলে রাখাইন রহিঙ্গা
এলাকা চীনে ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছে
মানমার সরকার এখন জঙ্গী বলে সমূলে
রহিঙ্গা উৎপাটন একটা ওছিলা মাত্র।
ইসরাইলের হাত ধরে এত বাহাদুরী করছে।
আমাদের পাহাড় দূর্গম এলাকায় রয়েছে
সন্তুলারমার শান্তীবাহিনী তাদের চোখ ফাঁকি
দিয়ে পাহাড়ী দূর্গম জায়গায় জঙ্গী ততপড়তা
গড়ে উঠা হাস্যকর নয় কি।
একটা লেখায় পড়লাম শন্তুলারমার দল
মিয়ানমার সরকারী বাহিনীর সাথে রহীঙ্গা
উৎপাটনে কাজ করছে এসব ভুয়া কথা
কোনটা সত্য সেটাই বিভ্রান্তি।
এখন আমাদের দেশের রিফুজী রহিঙ্গারা
কোনও আন্তরজাতীক জঙ্গী বাহিনীর পাল্লায়
পড়ে কিনা সেদিকে প্রতিনিয়ত গয়েন্দা
নজরদারী থাকতে হবে।
যদিও আপনার লেখায় সাবধানতার বানী
রয়েছে। তথাপি রহিঙ্গারা জঙ্গী বলা
মায়ানমার সাথে গলা মিলানো সমান।
নির্যাতিত নিপিরীত রহিঙ্গারা সারা বিশ্বে
ছড়িয়ে আছে। তারা যদি গেরিলা যুদ্ধে
নামে করার কিছু নেই। আজও পর্যন্ত
মায়ানমার সরকার প্রমান করতে পারবেনা
আত্বঘাতী বোমা বা জঙ্গীদের কোনও সরমজান
প্রমান আছে। গেরিলা বাহিনী যারা পুলিশ
চোকিতে হামলা করেছে তাদের হাতে ঢাল
সরকী ইয়ারগান বন্দুক দেখা গেছে।
ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জঙ্গী জঙ্গী বলে রহীঙ্গাদের বদনাম?

না আমি সেরকম বলিনি।
সাধারন রহিঙ্গারা কখনো স্বাধীন রহিঙ্গাস্তান চায় নি, এখনো চায় না।

আমি যা বলার স্পষ্টভাবেই বলেছি - সেদিন ২৪ অগাস্ট আরাকানে সীমান্তবর্তি শহরগুলোতে কয়েকটি নিরাপত্তা ও সেনাচৌকিতে জঙ্গিরা পরিকল্পিত হামলা করে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর নিহতের সংখা ১২।
এই শসস্ত্র হামলাকারিরা স্থানীয় রহিঙ্গা না। বহিরাগত, পাকি-আরব।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



বাংলার মানুষের আরো সচেতন হওয়া উচিত...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখুনি সময়।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

সুমন কর বলেছেন: অনেক চিন্তার বিষয় !!

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৩

তারেক বলেছেন: এক সময় বৃটিশদেরকে আমরা ভাল মনে করে শুধু বানিজ্য করার জন্য এদেশে জায়গা দিয়েছিলমা। তারপরের ইতিহাস তো সবারই জানা , ২০০ বছরের গোলামী। সুতরাং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারেও সাবধান থাকতে হবে।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩০

আবদুল মমিন বলেছেন:

মানবিক কারনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বেশ ভাল করেছে কিন্তু তাই বলে তাদের থেকে নজরদারী উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবেনা , আপনার শঙ্কা বাস্তবে হওয়ার সম্ভাবনা আছে , তাই বাংলাদেশ কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরবদাই সতর্ক কদম রাখতে হবে । মানবিক কারনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বেশ ভাল করেছে কিন্তু তাই বলে তাদের থেকে নজরদারী উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবেনা , আপনার শঙ্কা বাস্তবে হওয়ার সম্ভাবনা আছে , তাই বাংলাদেশ কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরবদাই সতর্ক কদম রাখতে হবে ।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নাক বোঁচারা খুবই নিষ্ঠুর হয়ে থাকে - ইতিহাস স্বাক্ষী | তাই বর্মীদের গতিবিধি বাংলাদেশকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে | তাছাড়া বার্মার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি থাকায় চীন, ভারতের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ সমর্থন তো আছেই | তাই সীমান্ত প্রহরীদের খুব সজাগ থাকতে হবে |এই জানোয়ারগুলো যদি কোনোক্রমে বাংলাদেশ আক্রমণ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে তবে দেশের নিরীহ জনসাধারণের খবর আছে |

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নাক বোঁচারা খুবই নিষ্ঠুর, কিন্তু বহিরাগত জঙ্গিরা তারচেয়ে বহুগুন অবিবেচক, বহুগুন নিষ্ঠুর।
আরসা জঙ্গিরা সীমান্তবর্তি রহিংগা বস্তিগুলোতে আস্তানা গেড়ে সীমান্ত পার হয়ে বার বার হামলা করলে ওরা বসে থাকবে না।
বার বার মার খেয়ে একপর্যায়ে বর্মি সেনারা পালটা হামলা করবেই, যে কোন দেশই এই অবস্থায় পড়লে পালটা ব্যাবস্থা নিতো।

বাংলাদেশ এখন নিরুপায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগের পান্ডাদের আগেই ঘুষ দিয়ে বস করে রেখেছে মৌদুদীবাদীরা, জঙ্গিরা। ড্রাগস্মাগলাররাও। বর্মিসেনাদের আগেই বাংলাদেশকে এই শসস্ত্র জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নিতে হবে। গোয়েন্দাসুত্রে নিশ্চিত হলেই বস্তিঘর সহ উড়িয়ে দিতে হবে, নইলে গ্রেফতার করে দ্রুত অস্ত্রউদ্ধার অভিযানে ..। কোন ছাড় দেয়া যাবে না।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

বারিধারা বলেছেন: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। যুদ্ধ লাগলে এমন কোন দেশ নেই যে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। নিজেদের সীমিত অস্ত্র দিয়ে কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখা যাবে বর্বরদের? তা সত্ত্বেও মায়ানমার বারবার উস্কানি দিয়ে চলেছে পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ বাঁধানোর। ইরাক এবং আফগানিস্তান সব সারেন্ডার করেও বুশের হামলা ঠেকাতে পারেনি। চীন-ভারত যদি বাংলাদেশের সর্বনাশ চায়, কোন কৌশলেই বাংলাদেশ তা ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমিও এই ভয়টা পাচ্ছিলাম।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যেখানে গনমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই এমনকি সাংবাদিক ঢোকাও নিষেধ(রাখাইন) কিভাবে জানবো যে আরসার হামলায় 12 পুলিশ নিহত হয়ছে? আসলে এটা একটা অজুহাত মাত্র হামলা টামলা ভুয়া। কারন পরেদিন আনান কমিশনের প্রস্তাব উত্থাপোনের দিন। তাই কোন পাগলেও এমন কাজ করবে?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
" আরাকান রোহিংগা স্যালভেশন আর্মি " ( ARSA ) সম্পর্কে কিছু তথ্য :---
আরাকান রোহিংগা স্যালভেশন আর্মি " ( ARSA ) মায়ানমারের একটি নিষিদ্ধ রোহিঙ্গা মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন !
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা " আতা-উল্লাহ ", এর জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে ! বেড়ে ওঠা সৌদি আরবের মক্কা শহরে ! সংগঠনটির জন্ম ২০১২ সালে ! এদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নজরে আসে যখন এই সংগঠনটি ২০১২ সালে মায়ানমারের সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৯ জন সেনাকর্মীকে হত্যা করে ! সম্প্রতি ২০১৭ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ এরা মিয়ানমারের সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে ১২ জন বার্মিজ সেনাকে হত্যা করেছে ! সাধারন রহিঙ্গারা কখনো স্বাধীন দেশ না চাইলেও এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যটিকে নিয়ে একটি স্বাধীন মুসলিম দেশ হিসেবে গড়ে তোলা! সম্প্রতি মায়ানমার সরকার এদের " বাঙালি জঙ্গি" হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে !
সংগঠনটির অস্ত্রের যোগান এবং ট্রেনিং দেয় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গুপ্তচর সংস্থা " আই.এস.আই " ! এছাড়াও এদের সাথে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন " ইসলামিক স্টেট ". " আল-কায়দা ", " বোকো -হারাম " এবং তালিবানের যোগাযোগ আছে !
তথ্য সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা টেলিভিশন,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.