নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা নির্দোষ আন্দোলনের ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হল

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

গতকাল থেকেই ব্যাপক গুজব শোনা যাচ্ছিল, আজ কিছু একটা ঘটবে বা ঘটানো হবে। নিউইয়র্কের বাংগালী পাড়ায়ও এই গুজব শুনলাম।
এই দুইদিনে নিউমার্কেট, গাউছিয়া সহ সব মার্কেটের স্কুল ইউনিফর্ম (সাদা সার্ট) সব বিক্রি হয়ে গেছে।
যে কোন সাদা শার্টের দাম ৩ গুন হয়ে গেছে।

ঘটনা শেষ পর্যন্ত ঘটলোই।
দুজন ছাত্র আটক রাখার গুজব শুনে কিছু সংগবদ্ধ ছাত্ররা + শাদা সার্ট পরা গুন্ডারা ইটপাটকেল নিয়ে জিগাতলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হামলা চালায়। মার খেয়ে ছাত্রলীগ কেন কেউই বসে থাকে না। থাকার কথা না।

আরেক দল আগেই প্রস্তুত ছিল রঙের বোতল ঢেলে ৪ টি লাশ তৈরি করার, ৪ জনকে কার্যালয়ে আটক করা গুজব ও রেপ্টড স্টোরি তৈরি করার।

বাংলার কিছু মানুষ হুজুগে গুজবে বিশ্বাসি, তবে আশার কথা সবাই এতটা ছাগল এখনো হয়নি।

কি দাঁড়ালো ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত?
একটা নির্দোষ আন্দোলনের ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হল।
গতকাল থেকেই আশংকা করা হচ্ছিল খারাপ কিছুর।
কেন সাবধান হলনা কেউ? কারা বিরামহীন ভাবে গুজব ছড়িয়ে উষ্কানি দিচ্ছিল।
ছাত্ররা কেন লাঠিসোটা হাতে একটা রাজনৈতিক দলের অফিসে হামলা করলো?
এটা কি তাদের লক্ষ্য ছিল?
কারা লাঠিসোটা ইট সাপ্লাই দিল?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছেলেমেয়েদের পরিবারগুলো কি রিস্ক দেখছে, নাকি তারা আশা করছে যে, ছেলেমেয়েরা সরকারের পতন ঘটাতে পারবে!

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



যান বাহন বন্ধ হয়ে গেলে আন্দোলন চলতে পারার কথা নয়, মানুষ ক্ষেপে যাবে।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



কোটার মত এটা বুঝি সামলানো যাচ্ছে না মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে? তাই আপনাদের ভাড়া করেছে মিথ্যা খবর প্রচার করতে, আপনার সাদা শার্ট কয়টা লাগব বইলেন আমার দোকান থেকে পাঠিয়ে দিব নায্য মুল্যে তিনগুন দেওন লাগব না।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

@শাহিন-৯৯ ,

অনেক কষ্টে পাওয়া গেলো আপনাকে; প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন, নাকি আমাদের মতো সামুতে?
প্রশ্ন, ছেলেমেয়েদের কি ঘরে ফিরে যাবার দরকার ছিল ইতিমধ্যে, নাকি আরো কিছু সময় থাকার দরকার বলে আপনি মনে করেন?

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশ্ন, ছেলেমেয়েদের কি ঘরে ফিরে যাবার দরকার ছিল ইতিমধ্যে, নাকি আরো কিছু সময় থাকার দরকার বলে আপনি মনে করেন?

অবশ্যই ফিরে যাওয়া উচিত, কিন্তু সরকার তাদেরকে নিয়ে খেলছে সাথে বিরুধীদলতো আছেই। নিরাপদ সড়ক শুধু লাইসেন্স আর ফিটনেস গাড়ি হলে হবে না। অনেক কিছু এটার সাথে জড়িত-
১) ফুটপথ দখল করে ব্যাবসা
২) রাস্তার ভিত্তিক ক্ষমতসীনদের চাঁদাবাজি।
৩) পুলিশের চাঁদা নিয়ে তিন চাকা মহাসড়কে দিদারে চলতে দেওয়া
এরকম অনেক কিছুর সমাধান না হলে নিরাপদ সড়ক শুধু স্বপ্ন দেখার মত।

আর হা মহাদূর্নীতির কথা বাদই দিলাম।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার সমস্যা ঝুলিয়ে রাখছে কেনো? শাজাহান খান কি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন? সেদিন দেখলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, বলছেন "ছাত্ররা ক্ষমা চাইতে বলছে, পদত্যাগ নয়। আমি বলেছি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে!"- এমন পরিস্থিতিতে এই কথাগুলো যথেষ্ট? আপনার কি মনে হয়?

সরকার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ& অপ্রত্যাশিত!

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১২

নতুন বলেছেন: ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন.... সারা বাংলাদেশের সাদা ইউনিফ`ম বিক্রি হয়ে গেছে...

কিন্তু আয়ামীঅফিসে জামাত শিবির আক্রমন করলো আর পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করলো না?

রাস্তায় জামাত শিবিরেরা ছাত্রদের উপরে আক্রমন করে সরকারের ভাবমুতী` নস্ট করলো কিন্তু পুলিশ কিছু করলো না... ??

এখন তো দেখছি পুলিশই মনে হচ্ছে জামাত/শিবিরকে সরকারের উপরে জনগনকে ক্ষেপানোর জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে....

ভাই বিএনপি একটা দেওলিয়া দল....তাদের ধংস করে দিয়েছে আয়ামীলীগ... এই জুজু দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেস্টা না করাই ভালো... ;)

ছাত্রলীগ জনগনের বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ হাসিনার ইমেজ নস্ট করছে.... যেই সব সূয` সন্তানেরা আজ ছাত্রদের উপরে আক্রমন করেছে তাদের জনগন চিনতে পারবেনা কিন্তু জনগন মনে করবে শেখ হাসিনার নিদেশেই এই সব হয়েছে....

কিন্তু হয়তো তিনি এই সবের কিছুই জানেন না।

শেখ হাসিনা যদি এই সব সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ./আয়ামীলীগের উপরে কঠর না হন.... তবে জনগনের চোখে তিনিই খারাপ হবেন।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পুলিশকে আন্দোলনের শুরুথেকেই বলপ্রয়োগ ও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছিল।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জুনায়েদকে বলছি।

শাজাহান খান কে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে কার কাছে? রাস্তায় এসে ছাত্রদের পায়ে ধরে?

শাজাহান খান ঘটনার তিনদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের বাসায় গিয়ে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন আরো দৌড়াদৌড়ি হবে ডাক্তার, পুলিশ, থানাতে। উস্কানীদাতারা ফিরেও তাকাবে না...

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুজবে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় এখন একটি রিয়েল লাশের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারে।

গলির চিপায় ঢুকিয়ে রেপ করে গলাটিপে মেরে ফেলে জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে বের হয়ে গেলে অবাক হবনা।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক শাহবাগের পরিনতি বরন করতে যাচ্ছে। কে গুজব ছড়াইলো, কে আক্রমন করলো সেগুলো অর্থহীন। বিএনপি শাহবাগের মতো ভুল করেনি, লীগ ও চেস্টা করছে ভোটের আগে সিমপ্যাথী নিতে। কিন্তু এখন সব লেজেগোবরে। পিচকি গুলার কি হবে কাল বা আগামী সপ্তাহ সেটাই ভেবে ভয় পাচ্ছি।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ম্যাওপ্যাও!!


ছাত্রলীগকে ধরে ছ্যাঁচা দেয়া দরকার। হারামিরা আকাইম্মার ঢেঁকি!!X(

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: ওদের দোষ অনেক,এটা ঠিক।
ছাত্রদল অার শিবিরকে ফুলের মালা দিয়ে খালেদাকে উদ্ধার প্রচেষ্টার পুরস্কার দেয়া দরকার,তাই না!!!
নোবেল দিলে অারো ভালো!!!!

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

রাফা বলেছেন: বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অনক সংযমের পরিচয় দিয়েছে/কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটণা ছাড়া তেমন কিছুই ঘটেনি আমার দৃষ্টিতে।আমি এই কয়েকদিনের ঘটণা পর্যবেক্ষন করে বুজতে পারলাম আইন শৃংখলা বাহিনির বিশৃংখল অবস্থা আমাদের ধারনার বাইরে।আইন প্রয়োগকারি সংস্থার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই আইনের প্রতি ।কাজেই এদের দিয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগ কখনই সম্ভব নয়।আমি সবচাইতে বেশি অবাক হয়েছি তোফায়েল,ও আমুর মত মন্ত্রীদের দায়িত্বহিনতার পরিচয় পেয়ে।প্রকারান্তরে এরা প্রমাণ করে ছাড়লেন যে এদের বিগত অবদানের জন্য এরা আইনের উর্ধে উঠে গেছেন।৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন এরা। অবদান যে যারা শহিদ হয়েছে তাদের চাইতে বেশি কারো হতে পারেনা ,সেটাই মনে হয় ভুলে গেছেন বড় বড় নেতা নামক অপরাজনিতিবিদরা।শেখ হাসিনা ঘাড়ে বন্দুক রেখে সবাই শিকারে ব্যাস্ত।দিনশেষে সব দায় তার উপর চাপানোর একটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রতিযোগিতা দেখতা পাই আমি।

তবে আশার কথা হলো নব প্রজন্ম /এদের দেখে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ যখন এদের হাতে এসে পড়বে তখন তখন আর পথ হারানোর কোন ভয় থাকবেনা।বড় হতে হতে যেন এরা তাদের সততা না হারিয়ে ফেলে এই শুভ কামনা থাকলো।

জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন:
জুনায়েদকে বলছি।
শাজাহান খান কে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে কার কাছে? রাস্তায় এসে ছাত্রদের পায়ে ধরে?

শাজাহান খান ঘটনার তিনদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের বাসায় গিয়ে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন।- পায়ে ধরে চাইতে হবে কেনো? উনার ক্ষমা চাওয়ার নমুনা আপনি বোধহয় দেখেন নি।

ভাইজান, ক্ষমা চাওয়া যখন দাবীতে পরিণত হয় তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়। তিনি মিডিয়াকে জানিয়ে রঙ লাগিয়ে ক্ষমা চাইতে পারতেন। সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়াকেও তেমন শিরোনাম করে নিউজ প্রকাশের অর্ডার বা অনুরোধ করা উচিত ছিলো।
এককথায়, বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে খাবে সেভাবেইই খাওয়াতে হবে। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিনমিন করে বলে হবে না।

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ‘সত্য’ চিরকাল সত্য,মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে...ইতিহাস হয়ে থাকে...!!!!

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শাহজান খানের মতো একটি নিম্নশ্রেণীর ....কে ঝেড়ে ফেললেই পারেন শেখ হাসিনা | এই নূন্যতম দাবিটি মেনে নিযেই অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের অনেকটাই প্রশমন করতে পারেন তিনি | কিছু সংখ্যক সমস্যা সৃষ্টিকারী ফালতু নেতা এবং তাদের জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণকারী সমর্থকদের পাত্তা দেয়ার দরকার আছে কি প্রধানমন্ত্রীর ?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহজান খান বহু আগে থেকে পরিবহন মাফিয়া সর্দার।
শ্রমজীবীদের তৃনমুলে বোম্বের হাজি মাস্তানের মত পপুলার, সে আওয়ামীলীগের পক্ষে বড় শক্তি
তাকে তুচ্ছ হাসির কারনে হুট করে বর্খাস্ত করলে হাসিনা নিজেই বিপদে পরবে।
তাকে সংগে নিয়েই ট্রান্সপোর্ট সেক্টর রিফর্ম করা ভাল হবে।

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

এটম২০০০ বলেছেন: (Those) WHO ARE CONTINUING THE MOVEMENT ARE NOT MERE CHILDREN, THEY ARE THE LIFE BLOOD OF BANGLADESH. They are the only One or One of two dearest children of the elite group, that includes Army, Police, Intelligence Service, Businessmen, Doctors, Engineers, Bureaucrats etc. of Bangladesh.
Damaging one son or daughter of such important personalities can bring fatal consequences.

SO, HASINA NEED TO BE CAREFUL BEFORE UNLEASHING HER WEAPONS.

২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

ক্স বলেছেন: আন্দোলনের কোন ক্ষতিই সাধিত হয়নি। নারায়ে তাকবীর বলে কারা হিন্দুদের উপর হামলা করে, এদেশের বুদ্ধিমান জনগন সেটা ভাল করেই জানে। টুপি পরে কারা ৫ই মে পার্ক করে রাখা গাড়ি ভেঙেছিল, সেটাও সবাই দেখেছে। পেট্রোল বোমা নিয়ে নাটক কারা করেছে, সবাই অবগত। তাই সাদা শার্ট পরে কেউ গাড়ি ভাংলে বা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে হামলা করলে বুদ্ধিমান ফেসবুক প্রজন্মের সেটা বুঝে ফেলা কঠিন কিছু না।

ব্যাপার হচ্ছে, গন্ডগোল দেখলে ছাত্রলীগ চুপচাপ বসে থাকার জিনিস না। তাদের হাত পায়ে চুল্কানি উঠে গিয়েছিল। সেজন্যেই তাদের এক গ্রুপকে পাঠিয়েছিল সাদা শার্ট কিনে আনতে। লক্ষ্যনীয় যে, সাদা শার্টধারীদের হামলায় কেবল আ'লীগ কার্যালয়ের কাঁচই ভেঙেছে, কেউ আহত হয়নি ;)

কিন্তু পাল্টা হামলায় অন্তত দুইজনকে মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এবার কি বলবেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাই, সবকিছু দলিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে তো হবে না। একটু মাথা খাটান।
আমিতো অন্যান্নদের মত বিএনপির আমিরখসরু সাহেব বা নাওশবাকে দোষ দেই নি,
আমিরখসরু সাহেব দলের পক্ষে যে সুযোগ নেয়ার কথা সেটাই করছে। বিরোধীদলে থাকলে আওয়ামীলীগও করতো।
আর নওশবা টাকার বিনিময়ে সিনেমায় অভিনয় করে, এই নাটকেও টাকার বিনিময়ে অভিনয় করেছে।
পুরো সেটআপ করেছে জামাত-শিবির, বিএনপির এত রিসোর্স এত ব্রেন এত সাইবারটিম নেই।

একটু মাথা খাটান, স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ৭ দিন জাবত আন্দোলন করছে কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্ররা কোথায়?
ঢাকা নারায়নগঞ্জে শত শত মাদ্রাসা। লাঠিহাতে বলিষ্ঠ দামড়াপোলা গুলো কারা? নিউমার্কেটের কলেজড্রেস সাদা শার্টগুলো কোথায় গেছে বুঝতে পারছেন।

'ছাত্রছাত্রীদের আটকে রেখে ধর্ষন' ব্যাপারটি প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা হ্যান্ডেল করতো তাহলে এভাবে হওয়ার কথা না। প্ল্যান, হ্যান্ডেল সেটআপ করেছে জামাত শিবির।
প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা হ্যান্ডেল করলে ছাত্রছাত্রীরা দলবেধে নিখোজদের অভিভাবকদের নিয়ে ধানমন্ডি থানায় জিডি/এজাহার দায়ের করে পুলিশ-সাংবাদিক নিয়ে আওয়ামীলীগ অফিস (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) যেত। পুলিশ নিয়ে তল্লাসি করতো। তল্লাসিতে বাধা দিলে আদালতে হাজির হয়ে ডাইরেক্ট মামলা করতো। সেখানেই অবস্থান ধর্মঘট করতো। আইন মেনে চলতো।

প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা আইন মেনে চলছিল, সবাইকে লাইনে নিয়ে আইন শিক্ষা দিচ্ছিল। তারা আইনের বাইরে গিয়ে লাঠিশোটা, ব্যাকপ্যাকে ইটপাটকেল নিয়ে বদরের যুদ্ধের মত হামলা করার কথা না। যেভাবে বিপদজনক ধাওয়া এবং পালটা ধাওয়া হচ্ছিল, ২০০৬ এর ১৮ই অক্টোবরের স্টাইল। বড় অঘটন ঘটতে পারতো। আল্লাই বাচাইছে।
কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা এসবে ইনভলভ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

তবে সকাল সাতটা থেকে বিপুল প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের ধানমন্ডি ও সিটি কলেজ এলাকায় আনা হতে থাকে। কারা কিভাবে একটি স্পটে এত স্টুডেন্ট আনলো তদন্ত হওয়া দরকার। নাকি সাথে মাদ্রাসার সাদা শার্টের পোলাপান, কে বলবে?
প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা তো বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করছিল। কারা এত ছাত্র একযাগায় জড় করলো কারা, কি কারনে? সাইন্সল্যাব ও ২নং রোড সাদা হয়ে গেছিল বিপুল সাদা ইউনিফর্মধারিদের ভিড়ে।
চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। সাবধান হওয়া দরকার।

২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০১

এটম২০০০ বলেছেন: THE PRIME REASON BEHIND THE MOVEMENT OF THE STUDENTS IS, FATHOMLESS FAILURES OF DICTATOR SHEIKH HASINA. SHE HAS MANY LIMITATIONS. SHE DOES NOT KEEP PROMISE.
NOW WE FIND SHE DOS NOT HAVE THE GUTS TO MAKE SHAJAHAN QUIT. IN SUCH A SITUATION, WE REQUEST HER TO OPENLY DECLARE THAT "SHE WOULD NOT COMPETE IN THE COMING ELECTION". THE PEOPLE OF BANGLADESH HAD EXTREME SUFFERINGS DUE TO HER. SO WE REQUEST - "PLEASE LEAVE THE POLITICAL ARENA OF BANGLADESH AS EARLY AS POSSIBLE. YOU DO NOT HAVE THE LEAST QUALITY TO RULE BANGLADESH".

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাত্রদের ৯টি দাবির ভেতর শাজাহান খানের পদত্যাগের কোন দাবি ছিল না।
শুধু ক্ষমা প্রার্থনার দাবি ছিল।

শাহজান খান বহু আগে থেকে পরিবহন মাফিয়া সর্দার।
আমিও চাই এর অবসান হউক। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
শ্রমজীবীদের তৃনমুলে শাহজান খান বোম্বের হাজি মাস্তানের মত পপুলার, সে আওয়ামীলীগের পক্ষে বড় একটি শক্তি।
তাকে তুচ্ছ হাসির কারনে হুট করে বর্খাস্ত করলে হাসিনা নিজেই বিপদে পরবে।
তাকে বাদদিয়ে পরিবহন নৈরাজ্য দূর করা কঠিন হবে
তাকে সংগে নিয়েই ট্রান্সপোর্ট সেক্টর রিফর্ম করা ভাল হবে।

২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

ক্স বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলো খুবই সুন্দর এবং পরিপক্ক। অবশ্যই এগুলো চিন্তার বিষয়। কিন্তু আপনি যে ছাত্রছাত্রীদের ভক্ত বনে গেছেন, তারা কোন কাজটা আইন অনুযায়ী করেছে বলুন তো?
- রাস্তায় নেমে গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত করা ট্রাফিক আইন অনুযায়ী অপরাধ।
- কোন গাড়ির ব্লুবুক বা ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা পুলিশের কাজ, আইন অনুযায়ী অন্য কেউ এই কাজের দায়িত্ব নিতে পারেনা।
- তারা দিনের পর দিন ক্লাস এবং পরীক্ষা কামাই দিচ্ছে। স্কুলের আইন কি বলে?
- ড্রাইভারেরা তাদের সাথে তর্ক করলে তারা গাড়ির গ্লাস ভেঙে দিচ্ছে, ক্ষেত্র বিশেষে বাবার বয়েসী লোকদেরকে কানে ধরে উঠা বসা করাচ্ছে? এটি কি সিস্টেম?

নিয়ম যদি কিছু মেনে থাকে তো ছাত্রলীগ মানছে। সরকারি দলের পোষা কুকুর হিসেবে মনিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব - সে দায়িত্ব তারা নিষ্ঠার সাথে পালন করছে।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি যে ছাত্রছাত্রীদের ভক্ত বনে গেছেন, তারা কোন কাজটা আইন অনুযায়ী করেছে বলুন তো?
- রাস্তায় নেমে গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত করা ট্রাফিক আইন অনুযায়ী অপরাধ।
- কোন গাড়ির ব্লুবুক বা ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা পুলিশের কাজ, আইন অনুযায়ী অন্য কেউ এই কাজের দায়িত্ব নিতে পারেনা।
-যাদের এসব দায়িত্ব পালনের কথা,তারা করলে তো অার ছাত্রদের রাস্তায় নামতেই হতো না।
প্রাণের ভয় সবারই অঅছে।পুলিশ,বিঅারটিএ দায়িত্ব পালন করুক,অার কাউকে কিছু করতে হবেনা।কিন্ত করে তো প্রতিদিন কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য।
এজন্যই তো লাইসেন্স অার কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামে,অাবার উল্টা দিক-ফুটপাত দিয়ে চলে।
কেউ প্রতিবাদ করলে মাস্তানী করে।
নিয়ম যদি কিছু মেনে থাকে তো ছাত্রলীগ মানছে। সরকারি দলের পোষা কুকুর হিসেবে মনিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব - সে দায়িত্ব তারা নিষ্ঠার সাথে পালন করছে।
-৭০ বছরের পুরানো একটা ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের এই উপাধি !!!!!!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা পুলিশের কাজ, লাইসেন্সে লেখা আছে সুধু দায়িত্বরত 'পুলিশ আফিসার' চাইলে দেখাতে বাধ্য থাকিবে। কন্সটেবল বা ট্রাফিক পুলিশেরও অধিকার নেই লাইসেন্স দেখার।
আইন অনুযায়ী অন্য কেউ এই কাজের দায়িত্ব নিতে পারেনা।
ছাত্র-ছাত্রীরা এসব করেছে অল্প সময়ের জন্য প্রতিবাদের অংশ হিসেবে। এটার দরকার ছিল।

স্কুল কলেজের বাচ্চাদের গায়ে কেউ হাত তুলেনি।
দুজনকে জিগাতলা অফিসে আটকে রেখেছে গুজব ছড়িয়ে তদেরকে উষ্কানি দিয়ে জিগাতলা নিয়ে মার খাওয়াতে চেয়েছিল বড়রা।
কিন্তু বাচ্চারা রাস্তার দায়িত্ব ছেড়ে যেতে চায় নি। যায় নি।
জিগাতলায় ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় যোগ দিয়েছিল বড়রা, অছাত্ররা। এলোপাথারি মাইর পদদলিত, যেনতেন ভাবে একটা লাশ দরকার ছিল । পায়নি।

হেল্মেটধারি পোষা কুকুরগুলো মালিকের বাসা রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.