নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আচ্ছা কামাল স্যারদের হলটা কি

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

ডক্টর কামাল। ৪ মাস আগে -
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগত আপত্তি নেই,
জামাতের বিরুদ্ধে কারফিউ। জামাত থাকলে ডক্টর কামাল সাহেব বিএনপিকে যুক্তফ্রন্টে নিবেন না!!

হঠাৎ করেই বাঙালি নড়েচড়ে বসলো, 'মাই গড - এতো তাজ্জব কারবার'!






হ্যা, মাত্র সেদিন ২৮সে আগষ্ট ডা.কামালের বাসায় মিটিং।
আয়জক মাহামুদুর রহমান মান্না ও বদচৌ। মান্না ও বদচৌ অবস্য ৩-৪ মাস জাবত চেষ্টা করে যাচ্ছে ডক্টর সাহেবকে ধরার জন্য, কিন্তু উনি টাইম দেই দেই করে আর দেন .. দেন না। মান্না-বদচৌ নিরুপায় হয়ে ডাক্তার জাফরুল্লাকে হাতে পায়ে ধরা যাতে ডক্টর সাহেব একটু সময় দেয়। এর পর ২৮সে আগষ্ট মিটিঙ্গে রব ও সুলতান মুনসুরকেও দেখা যায়।

সবাই সরব, শক্ত। জামাত-তারেক বা যুদ্ধাপরাধী সমর্থক কাউকে নেয়া হবে না। বিএনপি আসলেও এসব শর্ত মেনে ভাল হয়ে আসতে হবে।
সাজাপাওয়া দন্ডপ্রাপ্ত কাহারও মুক্তি চাওয়া হবে না, শুধু রাজবন্দিদের।
বিএনপির পক্ষ থেকেও জানানো হল, খালেদা জিয়ার মুক্তি তারা না চাইলেও জাতীয় ঐক্য গড়তে কোনো সমস্যা হবে না। তবে বিএনপি এককভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে যুক্তফ্রন্টের কোনো বাধা থাকবে না।
আবারো বলা হলো - জামাত বা যুদ্ধাপরাধী সমর্থক নেয়া হবে না।
"ও মাই গড ড.কামাল ক্যাম্নে এই বয়সে এত হর্স পাওয়ার পেলো!!'


হঠাৎ একদিন ওদের মিটিংএ সুট-টাই পরিহিত মইনুল!
এইডা কৈথ্যাক্কা আইলো?
মিটিং শেষে ডা.জাফরুল্লার পাসে বসে ফিস ফিস শুরু। লন্ডন ও করাচি ইন্টারন্যশানাল জামাতের মিশন নিয়ে এসেছে মইনুলের মাধ্যমে।
একপর্যায়ে দেখা গেল জামাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার অংশটি মায়নাস হয়ে গেল।
এরপরও ড. সাহেব লজ্জা কাটিয়ে উঠতে পারেন নি, সিলেটের জনসভায় খালেদার মুক্তি না চেয়েই বক্তৃতা শেষ করলেন।
ক্ষিপ্ত মান্না ছুটে এল, স্যার এটা কি করলেন?
না মান্না এই কথা আমি বলতে পারবোনা, আমার মুখ দিয়ে বের হবে না।
স্যার তীরে এসে তরী ডুবাইয়েন না ... । মির্জা ফকরুল একা দাঁড়িয়ে কোথায় যেন ফোন করছে, জাফরুল্লা রব কে বলছে ফিস ফিস করে - দেখছো শালা একটা কাউয়ার্ড!
হসিনার সাথে দুই দফা সংলাপে খাওয়াদাওয়া করে ... নাস্তনাবুদ হয়ে ...

ড. সাহেবদের এখন লজ্জা সরম কেটে গেছে ।
এক বক্তৃতায় শুনলাম সরাসরি স্পষ্ট ভাবে খালেদার মুক্তি চাইছে।
তারেকের নেতৃত্ব নিশ্চুপ থেকে মেনে নিচ্ছে।
আর জামাত?
আবার জিগায়!



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: কিছুই বুঝলামনা। খিচুড়ি কী দিয়ে রান্না হইল?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ড.কামালদের বিবর্তন।
আসলে সুনির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট। যেটা কয়েকমাস আগে রাতের আধারে মোহম্মদপুরের একটি বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদুতের সাথে এদের মোলাকাতেই ঠিক হয়েছিল।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বাকপ্রবাসবলেছেন: কিছুই বুঝলামনা। খিচুড়ি কী দিয়ে রান্নাহইল?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খিচুড়ি কী দিয়ে রান্না হইল, খাইলে সেনা বুঝবেন

মুলকথা ডঃ কামাল হোসেন বলতেন, "জামাত সঙ্গে থাকলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য নয়।
জামাত থাকলে আমার দল তাদের সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাবে না। সারা জীবনে কখনও জামাতের সঙ্গে যাইনি, শেষ জীবনে এসে সেটা করতে যাব না।

অতচ গত ১৩ অক্টোবর লজ্জা ভুলে জামা খুলে ডিগবাজি! জামাত শরিক বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই ঐক্যের ঘোষণা করেন সেই কামাল হোসেন।" নিজের মার্কাও বাদ দিয়ে সরাসরি জামাত-বিম্পির মার্কা গ্রহণ।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
পরিবারতন্ত্রের বাহিরে কেউ না! দু'পারিবারই দেশের সব, আপনাকে কিছু পেতে হলে তাদের কারো না কারো গুণগান গাইতে হইবে!

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২

খাঁজা বাবা বলেছেন: স্বপ্নে প্রাপ্ত বানী।
ভাই কি কামাল সাবের মিটিং এ ছিলেন?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সব বুইঝাও না বোঝার ভান করতেছেন!
মাত্র ৩-৪ মাসের ঘটনা

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এক দলেরই যে গুনগান গাইতে হবে এরকম নিয়ম আছে নাকি????

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন দলেরই গুনগান করা দরকার ছিলনা। গুনগান করবে কেন?
সে তো শুরু থেকে তার দল ও জোট নিয়ে জামাত বিরোধী আদর্শ নিয়ে চলছিল।
কিন্তু ফাইনালি লজ্জা ঝেড়ে সে জামাতি লেজুরবৃত্তি শুরু করে দিল।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ হাসান - জনাব, ডঃ কামাল হোসেন যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতো তাহলে কি এই পোস্টটি লিখতেন ?

বিকল্প ধারার বিরুদ্ধে কি কিছু লিখবেন ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডঃ কামাল হোসেন যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতো মানে কি।
ডঃ কামাল হোসেন তো জীবনের বেশীরভাগ সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গেই ছিল। টানা ২০ বছর হাসিনার সাথেই ছিল।
তার রিসেন্ট নতুন জোট গঠন করাতে হাসিনা ইতিবাচক বলেছিল।
কিন্তু ফাইনালি নিজের সব আদর্শ বিসর্জন দিয়ে 'বিম্পি-তারেক জামাতি' লেজুরবৃত্তি শুরু করে দিল।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী এসে মন্তব্য করবেন। সেটাই আমার মন্তব্য মনে করবেন। কারন এই পোষ্টে তার মন্তব্য সুন্দর হবে।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

জুজুগাগা বলেছেন: ইয়ে কামাল কা চিজ হে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চিজকেক ফ্রম রেডিসন

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

ব্লু হোয়েল বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী এসে মন্তব্য করবেন। সেটাই আমার মন্তব্য মনে করবেন। কারন এই পোষ্টে তার মন্তব্য সুন্দর হবে।

শ্রদ্ধেয় রাজীব নুর @ বলা দরকার ছিল,
আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা ।
সামুর গণতন্ত্রালোচনায়
টিপ দিয়ে যা ।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: সে এখন পথ ভ্রষ্ট, নীতি ভ্রষ্ট .............

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: কামাল হচ্ছেন আইন ব্যবসায়ী; জামত ও বিএনপি'র কাছে উনি এখনো ব্যবসায়ী; ওরা উনাকে সুন্দর নামে, "ঐক্যফ্রন্ট" নামে নিয়োগ দিয়েছেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন, ড: কামাল হচ্ছেন প্রকৃতই একজন আইন ব্যবসায়ী।

জীবনভর অক্সিডেন্টাল, সিমিটার দের মত মাল্টি ন্যাশানাল জায়েন্ট কম্পানীদের পক্ষে (মানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে) মামলা লড়ে দেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসিদের ক্ষতিপুরন বঞ্চিত করেছেন।
মৃত বিএনপিকে বাচিয়ে তুলতে রাখতে বর্তমান কার্যক্রমও তার একটি এসাইনমেন্ট।
তার বর্তমান ক্লায়েন্ট 'বিএনপি-জামাত মাল্টিন্যাশানাল হাইকমান্ড'

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুক্তফ্রন্টে কামাল হোসেন ছিলেন না। মান্না-রব-কাদের সিদ্দিকী-বি চৌধুরী' দের যুক্ত ফ্রন্টকে নিয়ে আমি পোস্টে লিখেছিলাম পর্বতের মূষিক প্রসব। আমি একটা পোস্ট-ও লিখেছিলাম যুক্তফ্রন্টকে বিশ্বাস করে বিএনপি বেকুবি করতে যাচ্ছে। কিন্তু পরে কামাল হোসেন এসে দেখা গেল আলাদা ফ্রন্ট করতে যাচ্ছেন। তখন দেখি বিএনপি-ও সায় দিচ্ছে। আবার কামাল হোসেনও দেখি খালেদার মুক্তি সম্বলিত দাবীকে ১ নং দাবী করেছেন। আমারও অবাক লেগেছে...

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুমাস আগেও ড.কামালদের ব্যাপক হ্যাসিটেসন দেশব্যপি মিডিয়ায় দেখেছে।
এত বার ভোল পাল্টানো দেখার পরও কিছু দলঅন্ধ আশা নিয়ে বসে আছে।

আপনার সেই পোষ্টে আমিও কমেন্ট করেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.