নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া আমাকে স্যালুট করতো, স্যার বলতো : ড. কামাল

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

জিয়া আমাকে স্যালুট করতো, স্যার বলতো : ড. কামাল

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ৩১ মার্চ বিকেলে।
ঐ দিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ সুরু করলে, তখন উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে থেকে শ্লোগান শুরু হয়। তারা ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম দিতে থাকেন।’

শ্লোগানের কারণে ড. কামাল বক্তৃতা দিতে পারছিলেন না। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধমক দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

হৈ চৈ এর মধ্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু গিয়ে কানে কানে ড. কামাল হোসেনকে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ড. কামাল উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘আমার যা বলার সেটাই বলবো। আমাকে দিয়ে অন্য কিছু বলানো যাবে না।’
পরে মন্টু ও অন্যান্নদের বলেছেন - ‘জিয়া কখনও স্বাধীনতার ঘোষক নন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে। কোন মেজর ফেজরের ঘোষনায় নয়।’

গণফোরামের ঘনিষ্ঠ সূত্র গুলো বলছে, মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে আজ ড. কামাল হোসেন মতিঝিলে তার ল চেম্বারে ডেকে পাঠান। এসময় ড. কামাল বেশ উত্তেজিত ছিলেন।

জানা গেছে, কাল মন্টু ড. কামালের কানে কানে, একবার জিয়ার নাম নেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এতেই ড. কামাল ক্ষেপে যান। আজ মন্টুকে যখন ডেকে পাঠান তখন গণফোরামের আরেক নেতা এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছি, বঙ্গবন্ধুর সংগে কারাগারে ছিলাম। জিয়া কে? আমি যখন মন্ত্রী তখন সে (জিয়া) আমাকে স্যালুট করতো, সে আমাকে স্যার বলতো।’
সূত্র মতে, ড. কামাল মন্টুকে বলেছেন কি বলছো! ‘ইতিহাস বিকৃত করবো, এতো নীচে নেমে গেছি?’

তিনি মন্টুকে বলেন ‘ওদের (বিএনপি) বলে দাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে হবে। আগেও নেয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে স্বীকার করতে হবে। শেষ বয়সে এসে গাদ্দার হতে পারবো না।’

বঙ্গবন্ধু ব্যাপারে নিজের অবস্থানও একই রকম বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তবে তিনি ড: কামাল হোসেন কে বলেন ‘ঐক্য টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হয়।’ জবাবে ড: কামাল, মাথা নেড়ে নো নো বলে বলেন ‘আদর্শের সাথে কোন আপোষ করবো না।’

তিনি বলেন ‘আওয়ামী লীগই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে দুরে সরে গেছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই আছি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ডাঃ কামালের বয়স হয়েছে। বয়স হলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ড.কামাল, কাদের সিদ্দিকি, সুলতানমুনসুর এরা কয়েকজন অবস্য বিক্রি হয়ে গেলেও সব ভাষনে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে কথা বলতেন।
এরা সবাই বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধুই বলতেন, অন্যান্ন বেয়াদবদের মত মুজিবের নাম ধরে ডাকতেন না।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেষ লাইনটা আংশিক সত্য: আওয়ামী লীগ "বাকশাল" থেকে সরে গেছে; ড: কামাল জেনারেল জিয়ার গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমের পক্ষে

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

পলাশবাবা বলেছেন: তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ বাল পাকনা (বাপা) দের জ্ঞান বাডানোর জন্য একটা বই লিখেছেন, নামঃ তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা।
বাপাদের এই বইয়ের ৬০ পৃষ্ঠাটা পড়া দরকার।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের বইটি ফরমায়েশী বই। তার বক্তব্যের সমর্থনে কোন সাপোর্টিং ডকুমেন্ট নেই, শোনা কথা।
নিশ্চিত ফরমায়েশী বই। প্রমান - চিহ্নিত হাজার বাং-পাকীদের এটা নিয়ে উলংগ নৃত্য।
ধিক্কার জানাই এসব বাং-পাকীদের।


কাদের সিদ্দিকি, আ স ম রবরা যদি পথভ্রস্ঠ হোতে পারে- শারমিনরা তো কিছুই না, স্বার্থের বিনিময়ে যা খুশি লিখতেই পারে।
এতে ইতিহাস বিন্দুমাত্র পাল্টে যায় না।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সাহসী মানুষ আমার খুব ভালো লাগে।
আমি নিজে খুব ভীতু একটা মানুষ।
কিন্তু সাহসী মানুষদেরকে আমি অন্তর থেকে সালাম জানাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডা. কামাল অবস্য সবসময়ই বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধুই বলে গেছেন।
তিনি বলেন -
ওদের বলে দাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে হবে। আগেও নেয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে স্বীকার করতে হবে। শেষ বয়সে এসে গাদ্দার হতে পারবো না।’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.