নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উড়তে চাই পড়তে চাই কিন্তু থেমে যেতে চাইনা

ঠেটু

Truth is everybody is going to hurt you: you just gotta find the ones worth suffering for

ঠেটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকে showoff করবেন নাকি পরিবারকে সময় দিবেন

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৬

চিত্র১
ছেলেটার যেন কি হয়েছে।অনেক রাত জাগে আর কি যেন ভাবে।তার কোন কাজে মনোযোগ নেই।ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকে।
চিত্র২
মেয়ে:ধুর কিছুই ভাল লাগে না...
-কেন?
নাহ। জানি না।
এমনই!
সত্যি।
এখনকার ছেলে মেয়েরা প্রায়শই এমনটা করে ও বলে।তাদের অনেক দুঃখ আছে।এমন ভাব যেন সব কিছু শেষ হয়ে গেল। কিন্তু কেন হচ্ছে।কি জন্য।তার দুঃখের কারনটা কি সেই সঠিক ভাবে বলতেই পারে না।
এক গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহার করে এমন মানুষের সংখ্যা দিনিদিন বেড়েই চলেছে।আর তার সাথে অনেক সময় ধরে তা ব্যবহার করা।
২০১৪সালে Journal Computer in Human Behavior বলা হয়,
মাত্রা অতিরিক্ত অন্যের সুখের স্ট্যাটাস, ছবি,কোন জায়গায় বেড়ানোর ছবি,পারিবারিক ছবি,চেক ইন,খাবার ইত্যাদি মানুষের মধ্যে lower satisfaction তৈরী করে।
কারন একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার সাথে অন্যের তুলনা করে অবচেতন মনে।সে তো অনেক সুখে আছে,ভাল আছে, আমি হয়ত নেই--এমন মনোভাবের সৃষ্টি করে।
তার সাথে সাথে মনের গহীনে বন্ধুদের প্রতি একটা হিংসা তৈরী করে যা পরবর্তীতে হতাশা ও গভীর দুঃখবোধের পথ বাতলে দেয়।
আচ্ছা ধরে নিলাম তারা দুখী হল,হতাশাগ্রস্থ হল কিন্তু তারাই আবার পরদিন ফেসবুকে ফিরে আসে।এটা কে বলা হচ্ছে Affective Forecasting। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ভাবে যে হয়ত পরদিন তাদের জন্য ভাল কিছু আছে।কিন্তু না। এই আশাটায় মনের অজান্তে সুখকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।যার শেষ ফলাফল emotional decline। যা কিনা internet এর অন্য মাধ্যমগুলোর তুলনায় ফেসবুকে বেশী হয়।
আবার কিছু মানুষ আছে এমন যে সামনাসামনি তেমন কথা বলে না,পারে না বা সংকোচবোধ করে। কিন্তু তারাই ঠিকই ফেসবুকে নানান স্ট্যাটাস দেয় ও কথা বলে।যার ফলে natural interaction টা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।Communication gap চলে আসে।সে অপরাধবোধে ভুগে।
Krafsky(2010) কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর গবেষনা চালান ও বই প্রকাশ করেন Facebook and Your Marriage. সেখানে তিনি প্রেমিক প্রেমিকা ও স্বামী স্ত্রীর কলহ,সন্দেহ প্রবণতাটা তুলে ধরেন।সেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই খারাপ সম্পর্কের মাত্রাটা বেশী পান।
এবার আসি showOff এর ব্যপারটা।
Eli Pariserin বলেন মানুষ showoff করার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক কে বেছে নিয়েছে।আর showoff বিষয়টি একজন ব্যক্তির insecurity feelings এর বহিঃপ্রকাশ। আমাকে জানুক বুঝুক আমাকে ভাল বলুক এইগুলো ঐ ব্যক্তিটি চায়।
যা অবচেতন ভাবেই গড়ে উঠছে।
অবশেষে,
প্রতিটি বিষয়েরই ভাল ও খারাপ দিক আছে।কোন কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়।আর সব সময় মনে রাখতে হবে ফেসবুকের নানা বিষয়ের সাথে নিজেকে তুলনা করা উচিত নয়।আর নিজেকে তুলনা করতে চাইলে গতকালকের আপনির সাথে আজকের আপনির তুলনা করুন।
তাহলে অনেকাংশেই কমে আসবে ভাল লাগগে না রোগটা।
হয়ত আপনার ফেসবুকে হাজার শত শত বন্ধু আছে।কিন্তু দিনশেষে ঐ আপনার বাবা মা ভাই বোনই হল সব।
ফেসবুক বন্ধুদের হয়ত সুখের সময় পাওয়া যাবে।কিন্তু চরম মুহুর্ত গুলোতে আপনার পরিবারই সব।
তাই পরিবারকে বেশী সময় দিন।প্রকৃতির সাথে বেশী মিশুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

ফেক রুধির বলেছেন: মনের কথা বলেছেন। বাস্তব চিত্রটা একদম চোখের সামনে ভেসে উঠলো। খুব ভালো লেগেছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০

ঠেটু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিই এমনটা। এখন ডিজিটালে হরণ করেছে সবি!!!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ঠেটু বলেছেন: জি এমনটাই

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমাদের বোধদয় হোক।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

ঠেটু বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

মানবী বলেছেন: "Eli Pariserin বলেন মানুষ showoff করার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক কে বেছে নিয়েছে।আর showoff বিষয়টি একজন ব্যক্তির insecurity feelings এর বহিঃপ্রকাশ।"

- খুব সত্যকথা। শুধু Eli Pariserin নন, আমি নিজেও গত ১২/১৩ বছর ধরে এ্টাই বলছি :-)
ফেসবুকের শুরুটা সুন্দর ছিলো, মূলত বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলো, তাঁরা এর সবচেয়ে সুন্দর ব্যবহার করেছিলো আমেরিকার ক্যাট্রিনা নামক ঘুর্নিঝড় পরবর্তী জাতীয় বিপর্যয়ের সময়। পরবর্তীতে এটা মূলত একদল খেলো মানুষের শোঅফের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে এখন বড় একটি অংশ ভালো কাজে, কেউ শুধু যোগাযোগ রক্ষায় এটা ব্যবহার করছেন বলেই বিশ্বাস করি।

শো অফ যারা করে তারা সবখানেই নিজের মতো করে কাজটি সেরে ফেলতে জানে :-)
তা ফেসবুক হোক আর ব্লগ B-)

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ঠেটু!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

ঠেটু বলেছেন: ভাল কাজে এখন আর তেমন ফেসবুক ব্যবহার হয়না । ঘুমের সময়ের পরিবর্তন কিন্তু ফেসবুকের কারণে হচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.