![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুটিল আমি। তাই জটিলকে সহজ করিয়াই দিবা যাপন করি। ভালো লাগে লিখতে, তাই লিখি।
অম্বরে ঐ ঘনকালো পয়োধর
ডাকিয়া আনিছে কি?
বারিসের হিংস্র থাবা
নাকি বরষার বান-সর্বনাশী।
তটিনীর অপ ফুলিয়া ফেপিয়াছে
শত রোষানল পড়ে,
লোকালয়,তট ডুবিয়াছে আজ
সলিল অথৈ হয়ে ভরে!
বানের লহরী পুড়িয়াছে পেটে
উঠান, ঘর আর দুয়ার,
ললাট ঘামিয়াছে জনের
বলিছে, ঈশ! কি হইবে এইবার?
ক্ষেতের ফসল পালিয়াছে ঐ
স্রোত, তরঙ্গ ধরে;
চারিপানে হাহাকার
কেউবা খুজে আহার
শেষ সম্বলটারে!
টোয়ায় ঠেকিয়াছে জল
মানুষের ঠাঁই কই তবে?
নৌকায় বাধিয়াছে ঘর
ভেলায় গৃহের পশু-পাখী সবে।।
তটিনীরা আজ পাল্লায় নামিয়াছে
বৈভব কাড়িবে নাকি সব ই!
ভুজগ আজ ধরিয়াছে ফঁণা
দংশিয়া আনিবে
তিমির সমেত বহ্নি।
এ পানে প্লাবন তো
ওপানে দ্যুলোক চপলার খেলা,
না খেয়ে মরিছে মানুষ
শেষ নাহি হয় এ নিঠুর বেলা!
উনুনে বসিয়াছে হাড়ি ঐ নৌকায়
আধো নিভো জ্বলিছে ভেজা কাষ্ঠ কুড়ো,
আদৌ চাউল রহিয়াছে কিনা হাড়িতে
তবু তীর্থ-কাক ক্ষুধাতুর মুখগুলো!
ক্রোড়ের শিশু লইয়া মা
পারাপার গলা পানি ধরে;
কি নির্মম দৃশ্য! ওহে বিভু
বাঁচাও তাহাদের
সিজদাহ তোমার তরে।
লোকালয়ে আনি দাও প্রাণ
ভূমিকে ফিরায়ে দাও মাটি,
বানের জলকে করো উধাও
গলেতে মিলে সবে বাঁচি!
ওহে জগদীশ!
তুমিতো ভগবান,
চাঞ্চল্য দাও ফিরায়ে মোদের
ফিরায়ে দাও প্রশান্ত সকল প্রাণ।
***হে আল্লাহ, কবিতার ভাষায় বুঝিয়েছি তোমায়! উদ্ধার করো এই বন্যার্ত মানুষগুলোকে।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: চলনবিল হার মেনেছে
মতিঝিলের কাছে
বর্ষায় রাস্তা ডুবে যায
হাটু জলের নিচে।
ঢাকা চট্টগ্রাম ডুবে থাকে
ভরসা কুবের মাঝি,
ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি
সকল ব্যাটাই পাজি।
ফারাক্কার দাড় খুললে
উত্তর বঙ্গ ভাসে,
আমজনতা ডুবে মরে
রয়না কেহ পাশে।
দক্ষিনের কথা কি আর বলি
জলোচ্ছ্বাসের কথা কেমনে ভুলি!
প্রকৃতির পরে মানব দূর্যোগ
নেতারা খোঁজে চুরির সুযোগ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৮
অদৃশ্য প্রতিভা বলেছেন: ব্লগে যে কেউ ই তার মতামত প্রকাশ করতে পারে!
কিন্তু তা গঠনমূলক হওয়া আবশ্যক!