রসনা বিলাস

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

অনেক দিন পর ব্লগে কিছু লিখতে ইচ্ছে হল। কিন্তু বিষয় হল কি নিয়ে লিখবো। অনেক দিন হল কিছু লিখি না, তাই তেমন কিছু মাথায় আসছে না। কিছু যেহেতু লিখবোই তাই ঠিক করলাম আজকে রান্না করতে এবং খেতে ভালোবাসেন এমন মানুষদের জন্য একটা পোস্ট লিখবো।

রান্না করার প্রতি ঝোঁকটা অনেক আগে থেকেই ছিল। নতুন নতুন রান্না দেখতে, শিখতে এবং রাঁধতে আমার ভালো লাগে। কিছুদিন আগে দুইটা নতুন রান্না শিখলাম। দুটো আইটেমই আমার ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও লাগবে। আজকে আপনাদের জন্য রইলো স্পেশাল বেগুন ভর্তা এবং টুনা টিকিয়া রেসিপি। এদের প্রস্তুত প্রণালী নিচে দেয়া হলঃ



টুনা টিকিয়া কাবাবঃ

কাবাব খেতে কম আর বেশি সবাই পছন্দ করে। বেশিরভাগ সময় আমরা গোশতের কাবাব করে থাকি। কিন্তু আজকে আপনাদের জন্য রইলো বিশেষ টুনা কাবাব।



উপকরনঃ

টুনা মাছ-২ ক্যান অথবা সেদ্ধ টুনা- ১ কাপ পরিমাণ।

বুটের ডাল (সেদ্ধ)- ১/৪ কাপ

বেরেস্তা- ১/২ কাপ

কাঁচা পেঁয়াজ কুচি- ১/৪ কাপ

পুদিনা পাতা কুচি-১/৪ কাপ

কাবাব মশলা- ১ টেবিল চামচ

লবন- স্বাদ মত (মাছে লবণ থাকে তাই লবণ কম দেয়াই ভালো)

ডিম- ১ টা

এলাচ- ২ টি, দারচিনি- ১ টুকরা এবং তেজপাতা- ১ টা

কাঁচা মরিচ কুচি- ৪/৫ টা অথবা স্বাদ অনুযায়ী



প্রনালিঃ প্রথমে মাছ সেদ্ধ করে এক কাপ পরিমাণ মেপে নিতে হবে। যদি ক্যান এর মাছ হয় সে ক্ষেত্রে মাছ গুলো ক্যান থেকে বের করে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো করে ধুয়ে নিলে ক্যান এর মাছের আলাদা গন্ধটা চলে যাবে। এবার সেদ্ধ বুটের ডাল এবং মাছ গুলোকে এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে একটা পাত্রে চুলায় দিতে হবে। সামান্য পানি (প্রয়োজন অনুযায়ী) দিতে হবে। এবার এতে কাবাব মশলা ও সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। পানি শুকালে নামিয়ে গরম মশলা গুলো সরিয়ে নিতে হবে। একটু ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণ টি হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। ইচ্ছে করলে বেটেও নেয়া যায়। এবার এতে বেরেস্তা মিশিয়ে মাখতে হবে। কাঁচা পেঁয়াজ কুচি, পুদিনা পাতা, আর কাঁচা মরিচ কুচি সামান্য তেলে একদম হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এবার ডাল ও মাছের মিশ্রণে একটা ডিম দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। ভাজা পেয়াজ,পুদিনা ও মরিচ মিশিয়ে মেখে ছোট ছোট টিকিয়া তৈরি করতে হবে। গরম তেলে বাদামি করে ভেঁজে পরিবেশন করুন মজাদার টুনা টিকিয়া কাবাব।

• ইচ্ছে করলে অন্য মাছ দিয়েও করা যায়। পেঁয়াজ কুচি ও পুদিনার মিশ্রণ মেখে না দিয়ে পুর হিসেবেও দেয়া যায়।





মজাদার বেগুন ভর্তাঃ



বেগুন ভর্তা আমরা সবাই করে থাকি। তবে এই বেগুন ভর্তাটি একটু ভিন্ন স্বাদের। এটা শিখেছি আমার এক আপুর কাছ থেকে। সুস্বাদু এই ভর্তার রেসিপি আপনাদের জন্য রইলোঃ



উপকরনঃ

গোল বেগুন(মাঝারী সাইজের)- ১ টা

পাকা টমেটো- ১ টা

পেঁয়াজ কুচি-১/৪ কাপ

লবণ- স্বাদ মত

রসুন কুচি-১ টেবিল চামচ

শুকনা মরিচ (টেলে নেয়া)- ২ টা

পেঁয়াজ কলি- ১/৪ কাপ

সরিষার তেল- পরিমাণ মত

ধনিয়া পাতা- ২ টেবিল চামচ



প্রণালীঃ প্রথমে বেগুন দুই ভাগ করে কেটে সরিষার তেল মাখিয়ে পুড়ে নিতে হবে। ইচ্ছে করলে সরাসরি আগুনে পোড়াতে পারেন অথবা তাওয়াতেও পোড়াতে পারেন। টমেটো তেল মেখে হালকা পুড়িয়ে নিতে পারেন। এবার বেগুন সেদ্ধ হলে চটকে নিতে হবে। কড়াইয়ে সামান্য সয়াবিন তেল নিয়ে তাতে রসুন দিতে হবে। রসুন হালকা বাদামি হলে এতে পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ কলি, টমেটো দিয়ে নেরে হালকা ভাজতে হবে। একটু পরে এতে বেগুন দিতে হবে। লবণ ও ধনে পাতা দিয়ে ভালো করে ভেঁজে নিতে হবে। বেগুন আর টমেটোর পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে এতে মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে পরিবেশন করুন মজাদার বেগুন ভর্তা। গরম গরম ভাতের সাথে খেয়ে দেখুন দারুন লাগবে। কেউ যদি ঘি পছন্দ করেন তবে সরিষার তেল এর পরিবর্তে ঘি দিতে পারেন।



( বেগুন ভর্তার ছবি দিতে পারলাম না। কারণ ছবি তোলা হয়নি।)

দুইটাই রান্না করা অনেক সহজ এবং খেতে সুস্বাদু। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। সুতরাং একবার খেয়ে দেখতে ভুলবেন না। 

২৬ টি +৫/-০