কেমন হবে ভবিষ্যতে হরতালের প্রেস রিলিজ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

গত কাল ডাকা বি এন পি এবং ছাত্র শিবিরের দেশ ব্যপি হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হয়েছে। হরতালের আগের রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এক প্রীতি গাড়ি ভাঙচুর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হরতাল কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিএনপি এবং জামায়াতের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।



উক্ত গাড়ি ভাঙচুর কর্মসূচীর পর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির চিফ হুইপ বলেন,- ভাঙচুর শুরু করা মাত্রই সাধারন জনগণ এবং গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতায় আমরা বুঝতে পেরেছি এই হরতাল জনগনের প্রানের কর্মসূচী।



হরতালের প্রথম প্রহরেই মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত ঝটিকা মিছিলের উদ্বোধন করেন স্থানীয় শিবির কর্মীরা। পরবর্তীতে শান্তির জন্য যুদ্ধ যুদ্ধ বানির আলোকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতীকী অগ্নি শিখা প্রজ্জলন করা হয় স্থানীয় এক মালিকের ট্যাক্সিতে।



এ সময়ে উপস্থিত ট্যাক্সির মালিক হরতালের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী প্রীতি দৌড়ের মাধ্যমে কর্মসূচীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।



দলের কেন্দ্রীয় নেতারা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করলে তা নগরির ব্যস্ততম মোড় সমুহ প্রদক্ষিণ করে আসার পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ এবং সরকার দলীয় ক্যডার রা মিছিলে বাঁধা প্রদান করে।



দেড় ঘণ্টা ব্যপি চলমান উক্ত গন জোয়ায়ের মিছিলে বাধা দানের প্রতিবাদে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই হরতালে বাধা প্রদান করেই সরকার প্রমান করল তাঁরা দেশের শান্তি এবং গণতন্ত্র চান না।



সমাবেশ শেষে প্রতিবাদ স্বরূপ দুটি প্রতীকী ককটেল ফাটানো হয়।



হরতালের শেষের দিকে নগরির বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয় জনতা এবং গাড়ির মালিকদেড় সহায়তায় হরতাল কর্মসূচীর সফলতার লক্ষে দুইটি বাস,একটি প্রাইভেট কার এবং তিনতি সি এন জি তে অগ্নিসংযোগ করা হয়।



শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং শেষে বি এন পির/ জামায়াতের নেতারা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন।



প্রেস ব্রিফিং এর পরে শান্তির স্বপক্ষে শিখা প্রজ্বলন কর্মসূচীর আওতায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে ক্র্যকারধ্বনির মাঝে অপর দুইটি বাসের সীটে অগ্নি সংযোগ করা হয়।



এ সময়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বাস ড্রাইভারকে আওয়ামী পুতুল আখ্যায়িত করে দুটি প্রশিক্ষণমূলক ধারালো অস্ত্রের কোপ দেন হরতাল সমর্থকেরা।

২ টি +০/-০