নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রঙিন শিশির!

একদিন তোর কথা শুনবে নদি...

মধ্যরাতের রাখাল

~*~ ~*~ ~*~ ~*~ ~*~ an unknown time, an unknown place, without reasons, with no Future, his only Desire is Destruction... ~*~ ~*~ ~*~ ~*~ ~*~ ওই দ্যাখো অমন বিরানভূমিতে একা পড়ে আছে নিঃসঙ্গ এক পাথর কেমন শান্ত, অথচ দৃঢ়। এখান থেকে একটাই পথ সোজা চলে গেছে অ-নে-ক দূরে এ পথের শেষ কোথায় কে জানে, অথবা কোথায় নিয়েছে বাঁক কোথায় গিয়ে মুখ রেখেছে অন্য কোনো পাথর বুকে- জানা নেই- আমার তা জানা নেই। পথিক হিসাবে আমি কখনো নই ভালো। যত দূর চোখ যায় দেখতে পাই অনেক দূরে,পথের পাশে, একা একা দাঁড়িয়ে আছে একটি সবুজ গাছ, সবুজ... আর কী সতেজ...! ~*~ ~*~ ~*~ ~*~

মধ্যরাতের রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্যে কেন বিশ্বাস করিনা

৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ২:২৬

ভাগ্যে বিশ্বাস? সবাই করে; আমি করিনা এবং আমার মত অনেক আমি'র সংখ্যাও কম নয়। ভাগ্য এমনই একটা স্পর্শকাতর বিষয়; যা বহু 'কিন্তু' এবং 'যদি'র উপর প্রতিষ্ঠিত। 'কিন্তু' এবং 'যদি' শব্দদ্বয় যেসব বিষয়াদির উপর অর্পিত মানব জীবনে তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নাই।



আমি কেন ভাগ্যে বিশ্বাস করিনা প্রশ্ন আসতে পারে। আমার জবাব একটাই- কারন ভাগ্য বলতে কিচ্ছু নেই বলে। ওটা একটা অদৃশ্য শাব্দিক বিষয়; যা মানুষের ব্যর্থতার দায়ভার বহন করে। মানুষ জন্মলগ্ন থেকেই নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নিয়ামক খুঁজে। এটা মানুষের একটা জন্মগত বৈশিষ্ট্য। ব্যর্থতার দায়ভার চাপিয়ে দেয়ার জন্য 'ভাগ্যের' চেয়ে প্রিয় বন্ধু মানুষের আর নাই :) ফাঁসির আসামি টেঙ্ারের কোনো কাউবয়কে যদি জিজ্ঞেস করা হয়- তুমি ওকে খুন করলে কেন? সে উত্তর দিবে আমি আসলে তাকে মারতে চাই নাই। কুদ্দুসকে মারতে গেছিলাম- লেগে গেছে মদনের কপালে! ভাগ্যটাই আমার খারাপ! এখানে সে নিজের হাতযশের কথা বেমালুম ভুলে গেছে!



আমি বিশাল কাজ করে বললাম আমি এটা ভাগ্যের সহায়তা ছাড়াই করেছি; ভাগ্য বিশ্বাসীরা তা জোর গলায় নাকচ করে দিবে। বলবে- তোমার ভাগ্যে এরই ফলাফল লেখা ছিল। আবার যদি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন পার করে বললাম- ভাগ্য বলতে কিচ্ছু নেই। সবই কর্ম। এখানেও ভাগ্য বিশ্বাসীরা বাম হাত ঢুকিয়ে বলবে- তোমার ভাগ্যে এটাই লেখা ছিল যে, তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন পার করবে। কিন্তু এখানে কিছু 'কিন্তু' থেকে যায়। ভাগ্যই যদি সব কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়, তবে বলবো- আমাদের পূর্বপূরুষগণ খুব খারাপ ভাগ্যের অধিকারী ছিল। তারা ফ্যানের বাতাস পায় নাই; তারা টিভি দেখে নাই; তারা মোবাইল দূরের কথা টেলিফোন স্বপ্নেও দেখে নাই :) তার মানে ভাগ্য দিনদিন উন্নত হচ্ছে! আমার ছেলের ভাগ্য আমার চেয়ে কিছুটা ভালো হবে। কারন- সে হয়তো চাঁদে যাবার চান্সও নিতে পারে। আহ, কি ভাগ্য তার! ভাগ্য দিনদিন আপডেটও হয়!



আমি উপাসনা করতে গেলাম না- এটা কি আমার কপালের লিখন? আমি লুইচ্ছাগিরি করতে লাগলাম সমানে- এটাই কি আমার ভাগ্য। আমি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি/ আমি বোমা মেরে মানুষ উড়াচ্ছি/ আমি আত্মহত্যা করছি- এটাই কি ভাগ্য? যদি তাই হয়; তবে, বলবো- আমার সব ধরনের অপরাধ ও কৃতকর্মের জন্য সৃষ্টিকর্তাই দায়ী। কারণ তিনি আমার সব কিছু জন্মের আগেই কপালে লিখে দিয়েছেন। দুনিয়াতে যা কিছু করেছি- তাতে আমার কোনো হাত ছিলনা। আমি চেষ্টা করেছি ভালো থাকতে, পারিনি। কারন ভাগ্যে লেখা ছিল! আমি নিরপরাধ! বাহ বাহ ভাগ্য দেখি আমাকে বেহেস্তেও নিয়ে যাচ্ছে... :))



একটা শিশু রাজপ্রাসাদে জন্মালো; আর একটা শিশু ঢাকার কোনো বস্তিতে। এটা কি ভাগ্য? ভাগ্য বিশ্বাসীদের মতে, এটা ভাগ্যই। শিশুদ্বয়ের কপালের লিখন। আমার প্রশ্ন এটা যদি ভাগ্য হয়, তবে- সৃষ্টিকর্তা বর্ণবাদী (!)। তিনি নিজেই সৃষ্টি করেন যতসব বৈষম্য। ভাগ্যে যারা বিশ্বাস করেন, তারা এটা মেনে নিয়েই 'ভাগ্যকে' বিশ্বাস করবেন আশা রাখি :)



কেউ কেউ বলবে- কর্মের মাধ্যমেই ভাগ্য গড়া যায়। আমি তাদের সাথে একমত :) কারন- তারা সাফল্যকে 'ভাগ্য' বলছে। 'ভাগ্য' কে সাফল্য বলছে না। সাফল্যের যেকোনো নাম থাকতে পারে। 'ভাগ্যের' জায়গায় 'টাগ্য' বললেও কিছু আসে যায়না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৮:৩১

অতিথি বলেছেন: হুমম

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৮:৩২

পথিক!!!!!!! বলেছেন: সারজীবন যে প্যাচে প্যাচিয়ে আছি সেই প্যাচাল আবর ও পারলেন। খালি প্যাচায় সমাধার নেই কারও কাছে মনে হয়।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৮:৩৮

অতিথি বলেছেন: আছে আছে। আধ্যাত্মিক যারা তারা দেখবেন, কেমনে এর সমাধান নিয়ে আসে। তারা বলবে- ধর্মের 7টি স্তম্ভের মধ্যে ভাগ্যও একটি... ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখা যাক না তারা কি বলে :)

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৮:৪২

শাওন বলেছেন: কঠিন প্যাচ লাগাইলা ।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৫০

অতিথি বলেছেন: শাওন, কি খবর তোমার? অনিয়মিত কেন নেটে?

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০৬

অতিথি বলেছেন: সবাইর আগে একটু বুঝায়ে কন তো ভাগ্য কি?

শুরু করলে স্কয়ার ওয়ান থেকেই শুরু করা উচিত, নয় কি?

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

শাওন বলেছেন: নেট লাইফের ইতি ঘটবে এবার ভাইয়া ।

ছেলের নেটে বসে বসে চোখের পাওয়ার বেশি হচ্ছে বলে ছেলের গার্জিয়ানদের ধারণা । ছেলের পড়াশোনা নেটের জন্য খারাপ হচ্ছে বলেও তাদের ধারণা । নুঝলে ???

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:২০

অতিথি বলেছেন: বুঝছি। আমার ছেলেটাও ঘরমুখো হয়ে যাচ্ছে, সো দুঃখ :) পরীক্ষা যেতে দ্যাও...

আকাশ খুলে যাবে :)

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৩৭

অতিথি বলেছেন: হা হা , কবে আসতেছে খালা ? টাইট হয়ে যাবে এইবার তুমি ।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:০৯

অতিথি বলেছেন: ভাগ্য কি তাই জানেন না আপনি, বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন তো অনেক পরে আসছে।

ভাগ্য হচ্ছে, যা কিছু আপনার [গাঢ়]নিয়ন্ত্রনের[/গাঢ়] বাইরে। যা কিছু আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারেন, সেটা ভাগ্য কেন হবে? সেটা হল [গাঢ়]কর্মফল[/গাঢ়]।
উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। আপনি ইচ্ছা করলেন ডাক্তার হবেন, কিন্তু পড়াশোনা করলেন না। তাহলে আপনার [গাঢ়]কর্মফলের[/গাঢ়] জন্য আপনি ডাক্তার হতে পারবেন না। কিন্তু ধরুণ আপনি অনেক পড়াশোনা করলেন, কষ্ট করলেন, কিন্তু মেডিক্যালের এডমিশন টেস্টের এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু জ্বরে পড়লেন। কিংবা হলে যাওয়ার পথে কোন এক্সিডেন্ট করে বসলেন। কিংবা আপনার বাবা মায়ের অর্থাভাব আছে বলে ফর্ম কিনার/প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে পারলেন না। এখানে আপনার কি করার ছিল? এগুলো তো আপনার [গাঢ়] নিয়ন্ত্রণেই[/গাঢ়] ছিল না! আপনি ডেঙ্গু জ্বর ঠেকাতে পারতেন না, এক্সিডেন্ট তো হঠাৎই আসে, আপনার কার ঘরে জন্ম সেটা নিয়েও আপনি কিছুই করতে পারবেন না। এ স-ব কিছু, যেগুলো আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে, অর্থ্যাৎ [গাঢ়]কর্মফল বা আপনার করা কোন কাজের কনসিকুয়েনস নয়[/গাঢ়] সেগুলোই ভাগ্য। এই ভাগ্যের কাছে আমরা সত্যিই অসহায় :)

আসলে একে আমি ভাগ্য বলব না... ভাগ্য কথাটার সাথে কেমন যেন চানস চানস ভাব আছে। আমি প্রিডেস্টিনেশনে বিশ্বাসী, যার ভাল অর্থ নিয়তি। :)

আজকাল মধ্যরাতের রাখালরা সব ভাগ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে কেন?

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:১৫

অতিথি বলেছেন: আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা কেমুন লাগল জানায়েন কইলাম

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:২০

অতিথি বলেছেন: খুব ভাল লাগছে। ওয়েলকাম ব্যাক আস্ত।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৩৯

অতিথি বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি, মিরকলে। এর ব্যাখ্যা আমার জানা নাই। তয়, একটা এক্সিডেন্টাল ব্যাপার। এটার সাথে ভাগ্যের মিশ্রন করা উচিৎ না। কারন ভাগ্য তা কেবলই একটা চানস ধমর্ী শব্দ। হয়ে গেল... টাইপ ব্যাপার। কিন্তু ভাগ্য গঠনে কোনো না কোনো মানুষের হাত থাকবেই।

মিরাকল বার কয়েক ঘটেছে। সেটা ভাগ্য কি মিরাকল তা আমি নিজে ভালো জানি।

ডেঙ্গু জ্বর হওয়া ভাগ্য নয়; ঐটা আমার অসতর্কতা। তাই অসতর্কতার কর্মফল আমাকে ভোগ করতে হবে। স্বাভাবিক ঘটনা। ভাগ্য কোত্থেকে এলো?

এক্সিডেন্ট করলাম? এটা যদি আমার অসতর্কতা না হলেও চালকের অসতর্কতা ছিল কিংবা বাসের যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি যা মেকানিক ঠিক করতে পারে নাই। এটাই কি ভাগ্য?

অর্থাভাবটা মুল ফ্যাক্ট না। অনেকেই অর্থাভাব নিয়েও পড়ালেখা করছে। সে চাইলেই টিউশনি জোগাড় করে নিজের খরচ চালাতে পারে। আমি টিউশনি করিনা। আই হেইট ইট। কিন্তু আমি পাটর্টাইম জব করি। নিজের খরচ নিজে চালাই। এটা কখনোই ভাগ্য হতে পারেনা।

ভাগ্য তা কেবলই একটা অসফলতার নামান্তর। কিছু পাইনি, বললাম- ইশশশ এটা একটুর জন্য পেলাম না; আমার ভাগ্যটাই খারাপ....

অনেক ভাষন হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠলাম। আমার সাথে কারো সাদৃশ্য থাকতেই পারে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৪৯

অতিথি বলেছেন: মেজাজ খারাপ হচ্ছে এখন
তাই বলে এত মিল!!!

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৫৮

অতিথি বলেছেন: দুইটা এক্সট্রিম আছে। একদল মানুষ মনে করে, তাদের হাতে কিছুই নাই। আরেক দল মনে করে তাদের হাতেই সব কিছু। অনিয়ন্ত্রিত কিছুতেই বিশ্বাসী না।
দুই দলের কেউই সফল হয় না। প্রথম দল সফল হয় না, কারণ খুব কুড়ে হয়। দ্্বিতীয় দল সারা জীবন নিজেকে দোষারোপ করে যায় ভুল জিনিসের জন্য।

আমি একজনকে চিনি যে প্রায়েই আফসোস করে একবিংশ শতাব্দীতে জন্ম হল কেন তাই নিয়ে। বলে, আর দুই'শ বছর আগে জন্মালে খুব সুখে থাকত। ওকে বলতেই হয় তাইলে, এ তোর পাপের ফল রে গাধা... কি করেছিলি জন্মের আগে ভেবে দেখ, তার জন্যই তোর এ শতাব্দীতে জন্ম হয়েছে!!!

অথবা ওই তিন বছরের ছেলেটা... যার সিকল সেল এমেনিয়া... একটা জটিল ধরণের ব্লাড ক্যানসার হয়েছে... ওকেও বলতে হয়, তার কোন কর্মফলের কারণে এমনটা হয়েছে, তাই না?

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:০৮

অতিথি বলেছেন: বলেছি আগেই,
যদি ভাগ্য বলে কিছু থাকে তবে ঈশ্বর একচোখা :) যদি আপনি মনে করেন, ছেলেটির ক্যানসারের জন্য ভাগ্য দায়ী, তবে ঈশ্বরকে দোষারোপ করা ছাড়া আপনার আর কোনো গতি নাই। ছেলেটির জন্মের আগে কোনো না কোনো সমস্যা অবশ্যই ছিল। আমাদের দেশে বাল্য বিবাহ করুয়া নারীদের এত কম ওজনের সন্তান প্রসব হয় কেন? তাদের মৃতু্যর হার এত বেশি কেন? এখানে ভাগ্যকে দোষারুপ করলে আমার আর কিছু বলার নাই।

জেনেটিক্যাল প্রবলেম বলে একটা কথা শুনেছি। যদিও কাকের মত চোখ বন্ধ করুয়া মানুষজন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো কখনো টেনে আনে না।

আমি যেহেতু জন্মের আগে থেকেই ফাইট করে জয়ী হয়ে এসেছি, তাই আমার নিজের একটা স্বাধিন স্বত্তা আছে। স্বাধিন স্বত্ত্বা অনুযায়ী, আমিই মধ্যরাতের রাখাল। একজন মানুষের সাথে, আরেকজন মানুষের মিল থাকতেই পারে। আপনার সাথেও থাকতে পারে। এটা স্বাভাবিক, এটা ভাগ্য নয়। :)

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:২৬

অতিথি বলেছেন: তাহলে পার্থক্যটা আরেকটু মৌলিক, তাই না?

জেনেটিক্যাল সমস্যা তো বটেই। কিন্তু তারপরেও তার বাবা মায়ের কিন্তু সিকল সেল এমেনিয়া ছিল না। এটা হয়, মিউটেশন, একান্তই র্যানডম একটা বিকৃতির হাতে পরে ডিএনএ ভচকে যাওয়ার ফল অথবা... রোগটা বাবা মা দিয়েই পাসড অন হয়ে এসেছে। এটার জন্য দায়ী হল ডিএনএ এর একটা স্পেসিফিক কম্বিনেশন। কম্বিনেশনটা কিন্তু একেবারেই র্যানডম।

জিনেটিকসের এই র্যানডম খেয়াল খুশির কাছে আমরা একেবারেই, একেবারেই অসহায়। এটাকে আমি ভাগ্য বলি, স্রষ্টার ইচ্ছা বলি, আপনি ভাগ্য মানতে চান না বলে 'স্বাভাবিক' বলেন। সেইম থিং, ডিফারেন্ট নেইম।

আমি এটাকেই আল্লাহর ইচ্ছা বলি। না এক চোখা না তিনি। সবাইকে তিনি ভালবাসেন, সবার মর্যাদা সমান তাঁর কাছে। তবে, তিনি কখনও দাবী করেন নি সবাইকে তিনি একই জিনিস দিবেন, এই পৃথিবীতে। তিনি শুধু বলেছেন, সব হিসাব মিটাবেন, যার যা ঘাটতি সব পূরণ করে দিবেন আরেক জীবনে। এক জন এক ভাবে যা পায় না, তা অন্য ভাবে পূরণ হয়ে যায়। কখনই দাবী করেন নি তিনি, সবাইকে একই সাথে একই জিনিস দিবেন। দাবী কেন করবেন? আমরা মানুষ, কারখানায় তৈরি রোবট তো না!

স্বাধীন স্বত্তা? যত দিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে, পারবেন থাকতে? যখন মরে যেতে ইচ্ছা করে, পারবেন মরতে? কাল বেঁচে থাকবেন, 100% নিশ্চয়তার সাথে, এক ফোঁটা সংশয় ছাড়া বলতে পারবেন? নাকি 'স্বাভাবিকতার' হাতে ছেড়ে দিবেন অনেক কিছু?

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:২৯

অতিথি বলেছেন: everything = f(manythings); manythings are often unknown to us and we dont know how the function does look like.

সংক্ষেপে এই হলো ভাগ্য।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:১২

অতিথি বলেছেন: বাবা মা দিয়ে পাসড অন হয়ে এসেছে। মানলেন! না, বলছি না এটা তার কর্মফল। এটা তার বাবা মার কর্মফল :) তাকে ভোগ করতে হচ্ছে। হিরোশিমায় লিটল বয় ফেলেছে পাইলট। তার কর্মফল ভোগ করেছে হিরোশিমার নাগরিকরা। ওখানে এখনো বিকলাঙ্গ/মৃত শিশু জন্মায়। এটায় তাদের হাত নেই; কিন্তু এটা তাদের ভাগ্যও নয়। এটা বহু বছর আগে ফেলে যাওয়া পারমানবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার কারুকাজ! ঈশ্বর তুমি বোমাটা ওখানে ফেললে কেন? হিরোশিমা আর নাগাসাকির লাখ লাখ জনগণের ভাগ্য একদিনেই বদলে দিলে?

জেনেটিকস এর র্যানডম খেয়াল খুশির কাছে কে বলেছে আমরা অসহায়? কিছুদিন আগেও এদেশে জলবসন্ত কিংবা কলেরায় লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। এখন? আমরা সেসব জয় করে ফেলেছি। কলেরা/ জল বসন্ত আমাদের কাছে ছোট খাটো রোগ বালাই। আপনার কথা মতো সেসব ভাগ্য ছিল, ওসবে আমাদের কোনো হাত ছিলনা। কিন্তু আজ সেসব আমরা প্রতিরোধ করতে পারছি। এর পেছনে যেসব বৈজ্ঞানিকের অকান্ত পরিশ্রম রয়েছে তা আপনি ভাগ্যের দোহাই দিয়ে তাদেরকে খাটো করবেন কেন? সো, ভাগ্যের হাতে নিজের যুক্তিতর্ক না ছেড়ে দূরে দাড়িয়ে একটু পর্যবে//কের দায়িত্ব পালন করে দেখেন, ভাগ্য আসলে কি? এটা কি আমাদের ব্যার্থতার দায়ভার বহনকারী নয়?

কে বলেছে আমরা রোবট নই? আপনার যুক্তিতর্কে এটাইতো স্পষ্ট প্রমাণিত যে আমরা আসলে এক একটা রোবট। ঈশ্বর আমাদের ভেতর প্রোগ্রাম সেট করে দিয়েছেন, সময় সময় আমাদের এই রোগ হবে; এটা মিস করবো; এসময়ে গাড়ি ধরতে পারবো না; এ সময়ে ভিসা ক্যানসেল হয়ে গেল; অমুক শুক্রবারে বাবার হার্টএট্যাক হয়ে গেল; অমুক সময়ে প্রিয়তমা ছ্যাকা দিয়ে আরেকজনের সাথে পালিয়ে গেল...!!!

আমি তা মানিনা।

কবে মরবো, কবে কি হবে এটা কেউ জানেনা। কিন্তু এটা ভাগ্য নয়। যা জানিনা তা কিভাবে ভাগ্য হবে? একটা কিছু হয়ে গেল, যা আমার কর্মের ফলাফল- সেটা আপনার মতে ভাগ্য! কিন্তু আমার মতে না। আমি আগেই বলেছি- আমি মিরাকলে বিশ্বাস করি :) প্রকৃতি আমাকে যখন যেভাবে রাখতে চায়, আমি যদি তার বিরোধীতা করি তবে আমার পক্ষে হয়তো বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব নয়। দেখবেন, খেলোয়াড় কিংবা যারা কায়িক পরিশ্রম বেশি করেন তাদের মৃতু্যর বয়সসীমা অন্যদের চেয়ে বেশি। এটা ভাগ্য নয়। এটা একটা নিয়মের ভেতর জীবন যাপন করার পুরুস্কার।

অনেক প্যাচাল পাড়লাম। জানি, আপনাকে একটুও আপনার বিশ্বাস থেকে নাড়াতে পারবোনা। তবু, আমি যা পারছি না, সেটাকে আপনি ভাগ্য বলবেন। কিন্তু আমি বলবো সেটা ভাগ্য না। এটা আপনার বিশ্বাসের কর্মফল :) আমার বেলায় ঠিক তাই খাটে। ওয়েল, আপনি দেখি আমাকে ভাবিয়ে তুলছেন। ভালো, ভালো।

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২২

কায়সার বলেছেন: আমি কিছু একটা কইয়া যাই এখানে, মানুষ অধিকাংশ সময়ই তার কর্মের ফলই পায় তবে মাঝে মধ্যে স্রষ্টা তার কিছু ব্যাতিক্রম ঘটিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে। নিজেকে জিইয়ে রাখে আরকি, আমি এখনও আছি।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:১৫

অতিথি বলেছেন: যা কিছু 'অন্যজনের জন্য কর্মফল', আমার সরাসরি কাজের কর্মফল না, তাই আমার জন্য ভাগ্য। তাই পিছনের গাড়ি হঠাৎ তাল হারিয়ে ধাক্কা দিয়ে দিলে সেটা আমার 'নিয়ন্ত্রনের' বাইরে, তাই আমার জন্য ভাগ্য।

আপনি জিনেটিকস আর সাধারন রোগের মধ্যে প্যাচ লাগিয়ে ফেলছেন কেন? মিউটেশন বা কপি করার সময় বিকৃতি যেমন তেজস্ক্রিয়তার জন্য হতে পারে, তেমনি একেবারেই র্যানডমলি হতে পারে। কোন আপাত: কারণ ছাড়া। আমার কাছে ওই কারণটাই হল স্রষ্টার ইচ্ছা :)

কলেরা? জানেন, সবার কিন্তু কলেরা হওয়ার 'চানস' একই রকম থাকে না। একই এক্সপোজারের পর কারও হয়তো সাথে সাথেই হবে, কারও হবে না। ইন বিলট ইমিউনিটিটাকেও আমি স্রষ্টার দান বলেই ভাবি, স্রষ্টার রহমত বলেই জানি ;)

'কবে মরবো, কবে কি হবে তা কেউ জানে না।'... মানলাম না। স্রষ্টা জানেন :)

আরেকটু বড় স্কেইলে চিন্তা করার চেষ্টা করেন। আমাদের পরিচিত জগতের সব কিছু স্রষ্টার সৃষ্টি। এমনকি সময়ও। তাই আমরা মৃতু্যর পরের জীবনে 'অনন্তকাল' কথাটা পাই, যেটা আমাদের জন্য অপরিচিত কনসেপ্ট।

সময় স্রষ্টার সৃষ্টি এটা বুঝলেই বুঝবেন, স্রষ্টা অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত সব এক সাথে দেখতে পান। একটা লিখিত বই এর মত। যেখানে লেখক বইয়ের শেষ পাতা, প্রথম পাতা সব যখন ইচ্ছা তখন দেখতে পান। এই কনসেপ্টটা বুঝার চেষ্টা করুন... সময় স্রষ্টার সৃষ্টি... আমাদের একটা সীমাবদ্ধ পৃথিবীতে পরীক্ষা নেয়ার জন্য। একজাম কন্ডিশন ;)

য়ু উইল বি সারপ্রাইজড... আসলে আমাদের জীনে আমাদের অ-নে-ক কিছু আসলেই প্রোগ্রামড থাকে । রোবট হয়তো, কিন্তু একটু উন্নত প্রজাতির আর কি!

আপনাকে কেন ভাবাচ্ছি আমি জানেন? 'ভাগ্য' কনসেপ্টটা আমাদের সমাজে কখনই ঠিক মত তুলে ধরা হয় না। তাই একটু ভাবা শুরু করলেই সবাই প্রথমে ভাগ্যকে অস্বীকার করে। আমিও করেছি একসময়। খুব তীব্র ভাবেই ইসলামের এই কনসেপ্টটার বিরোধিতা করতাম। কিছুতেই মানতে পারতাম না। যখন বিশ্বাস নিয়ে একটু ভাবা শুরু করলাম, তখন খুঁজে দেখলাম, আসলে কোরআন ঠিক কোনটাকে ভাগ্য বলে? এত স্টুপিড একটা জিনিসকে ভাগ্য বললে এত এত শিক্ষিত মানুষ এতে কেন বিশ্বাস করে? পড়াশোনা করে যা বুঝলাম, সেটাই সবচেয়ে যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছে। আর সেটাই আপনাকে বলার চেষ্টায় আছে :)

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:০৯

অতিথি বলেছেন: কলেরার সাথে জেনেটিকস এর প্যাচ লাগানোর কারন আছে। কোনো এক সময় কলেরাও অজানা রোগ ছিল। মানুষ খুচে খুচে কেন কলেরা হয়, কি কারনে হয়, কিভাবে তা ঠিক হবে তা বের করতে পেরেছে। তাই, যে রোগের সম্পূর্ণ তথ্য আমরা জানিনা সে রোগকে আমরা কারনহীন রোগ বালাই বলতে পারিনা। এ রোগ সম্বন্ধে হয়তো আজ জানিনা। কিন্তু তাই বলে কাল যে জানবো না তা কিন্তু নয়। আজ কিংবা কাল তারও প্রতিষেধক বের হবে, কিন্তু এই প্রতিষেধককে আপনি ভাগ্য বলতে পারেন না। একে কতগুলো মানুষের অকান্ত পরিশ্রমের মধুর ফলাফল বলতে পারেন।

হুম স্রষ্টার দান! সুনামীতে সবচে' /তিগ্রস্থ দেশ ইন্দোনেশিয়া। এটা স্রষ্টার দান। আপনার কথা মতে, এটা স্রষ্টার একটা পরীক্ষাও বটে। ভাগ্য... কিন্তু আমার প্রশ্ন বার বার কেন ওখানে স্রষ্ট্রার ভাগ্যের সফল প্রয়োগ হচ্ছে? সুনামী চীনের মালভূমিতে হয়না কেন? অ্যান্টার্টিকাতে হয় না কেন? ওখানে ভাগ্যের ক্যাপাসিটি কম কেন?

শুনেন, কবে মরবো সেটা আজ না জানলেও হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে মানুষ তা জানবে :) যেমন আজ মানুষ জানে কোন শিশু কবে ডেলিভারড হবে :) পেটের ভেতর ছেলে নড়ে না মেয়ে নড়ে... :) এটা ভাগ্য না। ভাগ্য হলে সফটওয়্যারের শর্ত বিক্রির মত স্রষ্ট্রা এটা এমন বিলি করবে কেন?

আপনাদের নিয়ে একটা সমস্যা। সেটা হচ্ছে- যা জানিনা তা আপনারা ভাগ্য বলেন। আবার যা জানি সেটাও ভাগ্য বলেন। যা করেছি- তাই আপনাদের কাছে ভাগ্য, যা করিনি সেটাও ভাগ্য। এটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না? আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী নই, তবে এক ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী :) কেউ একজনতো আছেনই। কিন্তু পরকালের কি হবে সেটা আমরা না জানলেও এটা জানি যে, আমাদের কর্মফলই সেখানে আমাদের পজিশন সেট করবে। আমরা সেখানকার ভালো জায়গায় থাকবো নাকি আগুনের শিখায় জ্বলবো এটা ভাগ্য নির্ধারন করবে না। বরং পৃথিবীতে কে কেমন ফসল ফলিয়েছে কার্যত তার ফলাফলই সেখানে একজন মানুষের অবস্থান নির্ধারন করবে।

স্রষ্ট্রা যেহেতু পরম শক্তিশালী। তাই সব কিছু দেখার জন্য তাকে সময়ের হাত ধরতে হবে কেন? তিনি বইয়ের পাতা উল্টানোর মত অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত দেখবেন কেন? মানব জন্মের আগে এবং পরের সব বিস্তারিত তথ্য তারতো ন্যানো সেকেন্ডে জানার কথা? তাই না! কুদ্দুস সম্বন্ধ্যে জানতে হলে তাকে কুদ্দুসের জন্য নির্ধারিত প্রাইমারী কী টাইপ করলেইতো তার লাইফ সাইকেলের সব কিছু ডিসপ্লে হবার কথা :)) কি কি ভালো কাজ করেছে, কি কি মন্দ তার একটা লিষ্ট চলে আসার কথা :) এটা সাধারণ একটা কনসেপ্ট। কোনো এক সময় আমরা সময়কেও জয় করবো :)

আপনি হেরে গেছেন। নিজের কনসেপ্টটা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নাই। এটা ভাগ্য? না এটা ভাগ্য না। এটা আপনার কর্মফল :) আপনি ইচ্ছে করলে আরও কিছু সময় আপনার ধারনা প্রতিষ্ঠা করায় মনোনিবেশ করতে পারতেন। কিন্তু অলস বলে তা পারেন নাই ;) কিছু ভাগ্য বিশ্বাসী মানুষের নিজস্ব কনসেপ্ট আপনার গতিপথ বদলে দিয়েছে। নিদারুন দুঃখ!

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৩৪

অতিথি বলেছেন: হারার কিছু নাই!

বইয়ের পাতা উলটায় দেখতে হবে না, সব একই সাথে দেখতে পারেন সেটাই মিন করেছি। আপনি কথার অর্থ না ধরে বাক্য গঠনের ভুল ধরছেন :)

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামী কি শুধু ইন্দোনেশিয়ার জন্য পরীক্ষা ছিল? আমার তো মনে হয়েছে এটা সারা পৃথিবীর জন্য ছিল! সুনামীর মত এত বড় কিছু একেবারেই আনএওয়্যার মানুষকে ধরল!

বাংলাদেশের বন্যা পৃথিবীকে ওভাবে কাঁদায় না, কিন্তু ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডে টুরিস্টরা এফেক্টেড ছিল বলেই সারা দুনিয়া এত কেঁপেছে।

আর শুধু পরীক্ষা না, এটা মানুষকে মনে করিয়ে দেয়া, প্রকৃতির উতাল হয়ে যাওয়া মানুষের 'সামষ্টিক' দায়বদ্ধতাকে অস্বীকার করার ফল। পরিবেশ দূষণ করছে মানুষ, যেখানে মানুষকে আল্লাহ বলেছেন পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি। যার সরাসরি কাজের ফল, তার জন্য কর্মফল, অন্যদের জন্য ভাগ্য বা পরীক্ষা।

আর ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানছে? আরে, সেটা তো, যেটা গঠন হয়ে গেছে তা খুঁজে বের করছে। কিন্তু একটা ডিম্বকে লক্ষ লক্ষ শুক্রানুর কোন শুক্রানুটা ঠিক কখন নিষিক্ত করে, তার উপর মানুষের কোন হাত আছে? না নেই। সেই শুক্রানু অসুস্থ হলেও কিছু করার নেই। সেই শুক্রানু কন্যা বা পুত্র সন্তানের নিধর্ারক হলেও কিছুই করার নেই :)

যাই হোক, আমার ব্যর্থতা আমি 'ভাগ্য' কাকে ভাবি তাই আপনাকে বুঝাতে পারি নি। আমি হারা জিতার খেলা করতে আসি নি। কারণ ওমন খেলায় মানুষ তর্কের খাতিরে তর্ক করতে থাকে। ভাল থেকেন :)

২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৩৭

অতিথি বলেছেন: পরীক্ষা এক এক জন মানুষের জন্য এক এক রকম হয়। যার জন্য যেমনটা দরকার। কখনই বলা যাবে না, সুনামীতে ভেসে যাওয়া মানুষগুলো আফ্রিকার অনাহারে মারা যাওয়া শিশুগুলোর চেয়ে দুভর্াগা। কিংবা জাপানের যেই মেয়েটা বড় হয়েছে বিকৃত পা নিয়ে লোহার জুতা পড়ে থাকার কারণে, তার চেয়ে দুভর্াগা।

২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৫৮

অতিথি বলেছেন: সমস্ত আলোচনাকে সাইড দিয়ে পাশ কাটিয়ে বলছিঃ

সেদিন খুব বেশী দুরে নয়, মানুষ ইচ্ছামতো প্রতিভার বাচ্চা ধারন করবে। শিল্পানুরাগী, বা সাহিত্যিক, বা রাগী, বা গানিতিক,....ইচ্ছামতো। জিনোম সিকোয়েনস এ্যানালাইসিস হয়েছে এবার সিনথেসিস করার পালা।

সবমিলিয়ে 2য় মন্তব'র সাথে একমত যেটা 'পথিক!!!!!!' করেছেন।

২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:২৩

অতিথি বলেছেন: ঘুরে ফিরে প্রকৃতিতে এলেন?!!
গুড, আমার পছন্দ হয়েছে :) তাই এটা নিয়ে উচ্চভাষ্য নেই আমার।

ইন্দোনেশিয়ার সুনামি পৃথিবীবাসীর জন্য পরীক্ষা ছিল? পরিবেশ দূষন করার জন্য শাস্তি!!! হা হা হা হা। ভালো- ইউরোপ, অ্যামেরিকার মত পরিবেশ দূষনকারী দেশ ফেলে ঈশ্বর ব্যাটায় এক্কেবারে ইন্দোনেশিয়ায় পরীক্ষাটা চালায়ে দিল; কি মজা! উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে! শুনেন, সমুদ্রকুলীয় অঞ্চল বাদ দিয়ে আপনি সুনামি'র অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন না।

বাঙলাদেশের বন্যা, কাল বৈশাখী কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সুনামী... এসব যদি মানুষের জন্য পরীক্ষা হয় তবে বার বার কেন এসব পরীক্ষার রিপিটেশন এর দরকার পড়ে? প্রতিবছরই কেন এসব ফিরে আসে? মানুষ কি এতই বোকা যে বার বার তাকে চোখে আঙুল দিয়ে কলাগাছ দেখানো লাগবে!

শুক্রানু আর ডিম্বানুর কথা বলেছেন, উপরে 'আশার আলো' মন্তব্যে তার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। মানুষ একদিন সত্যিই তেমন চাইল্ড প্রডিউস করতে পারবে। এটা ভাগ্য নয়, এটা পরিশ্রমের ফলাফল :) কিছুদিন আগে, বিজ্ঞানীরা শুক্রানু/ডিম্বানুকে হিমায়িত করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ইচ্ছে করলে শুক্রানু/ডিম্বানুকে বহু বছর জীবিত রাখা সম্ভব এবং যখন ইচ্ছে তখন তা থেকে প্রাণের উদ্ভব ঘটানো সম্ভব। এটা ভাগ্য না এবং শুক্রানু/ডিম্বানু আধা নষ্ট হলেও কোন এক সময় আসবে, যখন এসবও মেরামত করা যাচ্ছে। আম গাছে আম হয়, তার বীজ দিয়ে আবার চারা আম গজানোও যায়। তাই বলে, চেহারায় বিস্ময় চিহ্ন নিয়ে বলতে পারিনা- আমের আঁটি এলো কোথায় থেকে? এসব ভাগ্য না। বুঝলেন। এসব একটা সিস্টেম। প্রকৃতির তৈরী একটা সিস্টেম।

স্রষ্ট্রা পরীক্ষাগুলো কাদের দেখাচ্ছেন? পরীাক্ষর কথা একটা নির্দিষ্ট ধর্মালম্বী জনগোষ্ঠি ছাড়া বাকীরা তেমন জানেনা। সো, তাদের জন্য আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। আকাশ থেকে ফেরেস্তা নামানো হোক। তাদেরকে বলতে হুকুম করা হোক 'হে মানুষ! তোমরা বারে ডেন্স করোনা, তোমরা নামাজ কলমা পড়, তোমরা চরিত্র নষ্ট করোনা, তোমরা হিজাব পড় :), আখিরাতের জন্য ফসল ফলাও.... বেহুদা নিরিহ মানুষ মেরে ফেলে এ পরীক্ষায় কি লাভ হয়? আমরা তা থেকে কি শিখি? আমরা শিখি, সমুদ্র উত্তাল হতে দেখলে, দলবেঁধে দৌড়ে বাড়ি ঘর ফেলে পালিয়ে যাওয়া! তাই না?

বন্যায় মানুষজন ভেসে যায়। এটা তাদের জন্য পরীক্ষা। বলি, এরশাদ চাচায় ডিএমবি বাঁধ নির্মাণ করে সে পরীক্ষা নামক 'বন্যা' প্রতিরোধ করে ফেললো!!! স্রষ্ট্রার উপর মাতবরি... হা হা হা।
এখানে আমি নিজেও হার-জিতের ট্রপি নেবার জন্য আসিনি। পূর্বের মন্তব্যে বলেছিলেন, আপনি কোনো এক সময় ভাগ্যে বিশ্বাসী ছিলেন না। পড়াশুনা করে, ভাগ্যে বিশ্বাসী হয়েছেন। তার উপরই আমার উক্ত মন্তব্য করা।

আপনার বেড লাক ভালো; তাই আমাকে বুঝাতে পারছেন না :) আমারও ঠিক তাই!
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.