![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা, মতবিনিময়, আলোচনা শুনতে, করতে, পড়তে ভালোলাগে। নতুন নতুন ভাবনার সাথে পরিচিতি হতে পছন্দ। পছন্দ বন্ধুত্ব।
নাস্তিক = ন+অস্তি+ইক।
ন = নঞর্থক, নাই, প্রয়োজন হয় নাই।
অস্তি = অস্তিত্ব, ভৌত জগত, প্রকৃতি ইত্যাদি।
ইক = মতবাদী, মতবাদ পোষণকারী।
একেবারে শাব্দিক অর্থের বিশ্লেষণে নাস্তিক বলতে এমন মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের বুঝায় যারা মনে করেন এই ভৌত জগত বা প্রকৃতিকে 'অস্তিতে' আসবার 'প্রয়োজনই' হয় নাই।
ভৌত জগতের অস্তিত্ব অনাদিভাবেই ছিল। অস্তিত্বর কোনো সূত্রপাত হয় নাই। অস্তিত্বই সংয়ম্ভূ। ইত্যাদি ইত্যাদি ..
সহজে বুঝলে সহজ। না বুঝলে অনেক কথা মনে আসবে। মনোযোগ দিলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে।
বৈদিক যুগে যে বা যারা বেদ মানত না তাকে পন্ডিতরা 'নাস্তিক' বলেছেন। আর আমি ভাবছি এত শব্দ থাকতে পন্ডিতরা ঈশ্বর অস্বীকার কারীদেরকে নাস্তিক বললেন কেন। কালক্রমে অনেক শব্দই তার 'মূল' থেকে অনেক দূরের অর্থ প্রদান করে। বৈদিক যুগের পন্ডিতরা 'নাস্তিক' শব্দটি দ্বারা একটি ধর্মীয় অভিধা বুঝাতে চাইতেন কিন্তু মূল অর্থ হিসেবে "নাস্তিক" শব্দটি একটি দার্শনিক অভিধা। যেখানে 'ন + অস্তি' একটি দার্শনিক সিধান্ত।
ন = নাই, প্রয়োজন হয় নাই।
অস্তি = অস্তিত্ব।
এখানে ইঙ্গিত এটাই যে, অস্তিত্ব নিজেই সয়ম্ভূ। অস্তিত্ব অনাদী। এ অস্তিত্বের শুরুটা কাউকে করে দিতে হয় নাই। সে হিসেবে 'অস্তিত্বের' সূচনাকারী বলে কেউ নেই যাকে 'ঈশ্বর' বলে মনে করা যায়।
এ মতবাদে বলা হয় অস্তিত্ব গ্রহণ করার 'প্রয়োজনই' হয় নাই। এ ভৌত প্রকৃতির অস্তিত্ব চিরন্তনভাবেই ছিল। 'শক্তি' বা 'বস্তু' ইত্যাদি যে কোনো একটি আকারে 'অস্তিত্ব' চিরন্তনভাবে বর্তমান। বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে শক্তি বস্তুর আকারে প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। এটাই 'নাস্তিক্যবাদের' দার্শনিক দিক। আর 'অস্তিত্ব' যদি চিরন্তন হয়ে থাকে তাহলে 'ঈশ্বরের' অস্তিত্বের আর প্রয়োজন থাকছে কোথায়? তাই নাস্তিক মানে "ঈশ্বরে অবিশ্বাসী" ব্যক্তি এমন নয়। বরং নাস্তিক কথার আসল অর্থ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যিনি মনে করেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকারই কোনো প্রয়োজন নাই যখন প্রকৃতি নিজেই সয়ম্ভূ। এটাই হচ্ছে 'নাস্তিক্যবাদের' দার্শনগত এবং মৌলিক বিবেচনা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৮
মহাজাগতিক বলেছেন: পাঁড় নাস্তিক অর্থ হলো "অবুঝ নাস্তিক" ফ্যাশনে ভূষণে নাস্তিক।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
মহাজাগতিক বলেছেন: পাঁড় নাস্তিকের আরও অর্থ হলো তর্কে গোঁয়ার কিন্তু জ্ঞানগম্যিতে নয়।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: একটু অন্য ভাবে কি বলা যায় - সয়ম্ভু প্রকৃতি ই নাস্তিকদের ইশ্বর?? সেই প্রকৃতি যার মুল উপদান হচ্ছে জড় বস্তু ও বোধবুদ্ধিহীন শক্তি। অর্থাৎ বুদ্ধিমান মানুষ বোধবুদ্ধিহীন শক্তি ও জড় বস্তুর নিয়ন্ত্রনাধীন একটি গুরুত্বহীন অংশ?
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
মহাজাগতিক বলেছেন: না। ঈশ্বরের ধারণাই এখানে খারিজ। প্রকৃতি প্রকৃতিই। এটাকে মানুষ তার জ্ঞান, চেতনা ও বিশেষ জ্ঞান (বিজ্ঞান) দ্বারা নিরন্তর জানবার, বুঝবার ও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এপর্যন্তই। জগতে বেঁচে থাকতে হলে যে, কারো উপাসনা করতেই হবে এমন দোহাই কে দিল?
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫
শোভন এক্স বলেছেন: তাহলে "নাস্তিক" শব্দে সমস্যা আছে দেখা যাচ্ছে। "ঈশ্বর অবিশ্বাসী" বা "পরকালে অবিশ্বাসী" শব্দ ব্যবহার করতে হবে মনে হচ্ছে। "ঈশ্বর আছেন কিন্তু তার থাকার প্রয়োজন নাই" এক জিনিস, আর "ঈশ্বরের বা সৃস্টিকর্তার অস্তিত্বেই অবিশ্বাসী" সম্পূর্ন আরেক জিনিস। নাস্তিক শব্দের আসল অর্থ যাই হোক, আমরা এই শব্দ দিয়ে শেষের অর্থটা বুঝিয়ে থাকি।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
মহাজাগতিক বলেছেন: আপনাকে বোঝাতে আমার একটু সমস্যা হয়েছে মনে হচ্ছে ....
"ঈশ্বর আছেন কিন্তু তার থাকার প্রয়োজন নাই" এমন কথা আমি কখন বললাম। "নাস্তিক" মানে "ঈশ্বর আছেন কিন্তু তার থাকার প্রয়োজন নাই" ব্যাখ্যাটি মোটেই এমন নয়। কারণ "ঈশ্বর আছেন" এমন ভাষ্য বোঝানোর জন্য ভিন্ন শব্দ রয়েছে। "আস্তিক"।
আ+অস্তি+ইক।
'আ' উপসর্গ দ্বারা আমরা 'সহ' 'সহিত' 'পর্যন্ত' ইত্যাদি বুঝাই। যেমন: আপদমস্তক = পদ (পা) এবং মস্তক (মাথা) সহ/পর্যন্ত। আমূল = মূল সহ (তাই বলে আবার ভারতের গুড়াদুধ কোম্পানী আমুল নয়)।
তাহলে "আ+অস্তি+ইক" অর্থ দাঁড়াচ্ছে "অস্তিত্ব সহকারে" মতবাদে বিশ্বাসী। এখন "অস্তিত্ব সহকারে" কথাটি বিশদ করতে হবে। অস্তিত্ব সহকারে অর্থ "অস্তিত্বকে" বা "ভৌত জগতকে" অস্তিত্বে আসতে হয়েছিল বা "অস্তিত্ব গ্রহণ" করতে হয়েছিল। ভৌত জগত বা প্রকৃতিকে যদি অস্তিত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল এমন মতবাদ মেনে নেই তাহলেই প্রশ্ন দাঁড়ায় "কে/কারা/কী" এটাকে অস্তিত্ব প্রদান করল?
এখানেই প্রাসঙ্গিকভাবে ঈশ্বর-কল্পনার সূচনা হল। এখন যে যেরূপ ইচ্ছা ঈশ্বর কল্পনা করুক।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫১
শোভন এক্স বলেছেন: যেমন "কাকপাখি" দিয়ে আমরা কাউয়া বুঝে থাকি কিন্তু সামুতে তা বোঝায় এক বেকুব আস্তিক।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
মহাজাগতিক বলেছেন: আমি এ মতবাদে বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ সেক্ষেত্রে "শোভন এক্স" কে কীভাবে ব্যাখ্যা করব? "শোভন" যদি হয়ে যায় "অশোভন" কিম্বা শোভন বাদ দিলে থাকে শুধু "এক্স" আর বিজ্ঞানের ভাষায় "এক্স" মানে তো অচেনা/অজানা/অনিরূপিত। আর মানবিক ভাষায় "এক্স" এর অমানবিক আরও অনেক অর্থ থাকতেও পারে ..........
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
চনদন বলেছেন: শেষ প্যারাটা আরো গুছিয়ে লেখা দরকার ছিলো। কি বলেছেন ঠিক মত বুঝা যায় নি। আর চিরন্তন শব্দটির মানে হচ্ছে যা ছিলো, আছে এবং থাকবে। তাই যেসকল জায়গায় এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন তা বুঝতে খুবই কষ্ট হয়। আর কোনো কিছুই চিরন্তন না। সব কিছুই একসময় ধ্বংস হবে। এটাই বিজ্ঞাণ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০
মহাজাগতিক বলেছেন: ও রে ব্বাস! চিরন্তন না বুঝলে তো আপনি বিজ্ঞানেও নেই ধর্মেও নেই। চিরন্তন বুঝতে পারে একমাত্র মানুষ। মানুষ ছাড়া কোনো প্রাণীই চিরন্তনের ধারণা করতে পারে না। মানুষ চিরন্তনকে বোঝে বলেই ধর্মেও এত আগ্রহ বিজ্ঞানেও এত আগ্রহ। ধর্মবাদীরা তো চিরন্তনেরই পুজারী।
আপনি যদি বলেন বিজ্ঞানে চিরন্তন নেই তাহলে আপনাকে লোকে ভুল বুঝবে। ক্লাস এইটের বিজ্ঞান বই পড়া ছাত্রও জানে যে, বিজ্ঞানে অনেক চিরন্তন আছে। যেমন: "শক্তির ধ্বংস বা সৃষ্টি নেই, এক প্রকার শক্তি আরেক প্রকার শক্তিতে রূপান্তর হয়মাত্র" কিম্বা "মহাবিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রুব/চিরন্তন।" কিম্বা "আলোর গতি ধ্রুব/চিরন্তন" বিজ্ঞান আর গণিতে এরকম অনেক অনেক ত্বত্ত্বীয় ধ্রুব/চিরন্তন কত যে রয়েছে তার হিসেব করার ব্যাপার। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮
শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
মহাজাগতিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "এটাকে মানুষ তার জ্ঞান, চেতনা ও বিশেষ জ্ঞান (বিজ্ঞান) দ্বারা নিরন্তর জানবার, বুঝবার ও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এপর্যন্তই। "
মানুষের এই জ্ঞান ও চেতনার উৎস কি? তাও কি ঐ বুদ্ধিহীন জড় বস্তু? যে মানুষকে আমরা বুদ্ধিমান শ্রেষ্ঠ প্রানী বলি সে তো জড় বস্তুর উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। শুধুমাত্র 'অক্সিজেন' নামক জড় বস্তুটি মাত্র ৫-৬ মিনিটের জন্য না থাকলেই এই জ্ঞান ও চেতনা শেষ হয়ে যায়। তাপ, চাপ, পানি, স্থান, সময়, খাদ্যসহ আরো বহু জড় ও বু্দ্ধিহীন শক্তির কথা না হয় বাদই দিলাম। তো যে মানুষ বস্তু ও শক্তির উপর এই মাত্রায় নির্ভরশীল সে কিভাবে নিজেকে বুদ্ধিমান, সৃস্টির সেরা দাবি করে? কিভাবে আশা করে যে অতি অতি বৃহতৎ প্রকৃতিকে সে নিয়ন্ত্রন করবে? যদি এই প্রকৃতিই শেষ কথা হয় তাহলেতো সেরা হওয়ার কথা 'বস্তু', 'স্থান', 'সময়' ইত্যাদী প্রায় অনির্ভরশীল বিষয়গুলির - অথচ আমরা এইসব বিষয়ের কৃপায়/অনুগ্রহে বেঁচে থেকে তাদের উপরই নিয়ন্ত্রন আরোপ করতে চাই? কোন যুক্তিতে, কোন সাহসে? মানুষ কি তবে অতি মাত্রায় কৃতঘ্ন ????
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
মহাজাগতিক বলেছেন: দেখুন আমি এ পোস্টে "নাস্তি" আর "আস্তি" কে বিপরীত দুটি মতবাদ হিসেবে দেখাতে চেয়েছি মাত্র। কিন্তু আপনি একটিকে আরেকটির মধ্যে ঢুকাতে চাচ্ছেন বা একটি দিয়ে আরেকটি নাকচ করতে চাচ্ছেন। আমার এ পোস্টের লক্ষ্য তা নয়। তবুও বলি, "নাস্তি" এবং "আস্তি" কে যদি দুটি আলাদা "ফিল্ড" হিসেবে বুঝে নেন তাহলে আর সে তর্কে যাওয়ার দরকার হয় না।
আপনি যেমন বলছেন, মানুষের এই জ্ঞান ও চেতনার উৎস কি? তাও কি ঐ বুদ্ধিহীন জড় বস্তু?
আপনার এর বিস্ময়বিপন্ন প্রশ্নের কী উত্তর হতে পারে ভাবছি।
কালো রংয়ের আলকাতরা থেকে যদি 'স্যাকারিন' (কৃত্রিম মিস্টি) আর সাদা রংয়ের ন্যাপথলিন তৈরী হতে পারে তবে বস্তু থেকে চেতনা কেন নয়? চেতনাকে বস্তুর তথা রসায়নের যান্ত্রিক কর্মকান্ড বলে ভাবলে কি খুবই ভুল হবে? ১০০ ভাগ ভুল নিশ্চয় হবে না? আপনি কী বলেন? তাই বস্তু থেকে চেতনা? না-কি চেতনা থেকে চেতনা? এ প্রশ্নের উত্তর আবেগ আক্রান্ত না হয়ে দেয়ার উপায় নাই। সেখানে উভয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০।
আপনার আরেকটি প্রশ্ন-
'অক্সিজেন' নামক জড় বস্তুটি মাত্র ৫-৬ মিনিটের জন্য না থাকলেই এই জ্ঞান ও চেতনা শেষ হয়ে যায়।
কেন, তরল পদার্থ সবসময় উপর থেকে নিচের দিকে গড়ায়, পানিকে তাপ দিলে বাস্প হয়, অক্সিজেন না পেলে মানুষ মারা যায় এসব তো একই ঘটনা।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬
চনদন বলেছেন: কোয়ান্টাম মেকানিকস আছে, যেখানে বলা হয় ""হতে পারে"", "হবে" বলে না। যাহোক প্যাচাল পারার জন্য আসি নি। ঔ চিরন্তন না দিলেই ভালো হয়। যেখানে যা মানায় না, তা না দেয়াই ভালো।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
মহাজাগতিক বলেছেন: কোয়ান্টাম মেকাসিকসে কি অছে যে "বিশ্বে শক্তির মোট পরিমাণ ধ্রুব/চিরন্তন নয়"? অযথা প্যাঁচান কেন? কোয়ান্টাম মেকানিকস্ও বিজ্ঞানের মৌলিক স্বীকার্যগুলি মেনে চলে। একথাটাই যদি না বোঝেন তাহলে কোয়ান্টাম বোঝেন কী করে আমি বুঝিনা। আমি বলতে চাচ্ছি বিজ্ঞানেও বিজ্ঞানের ভাষায় "ধ্রুব/চিরনন্ত" আছে, সাহিত্যেও সাহিত্যের ভাষায় "ধ্রুব/চিরন্তন" আছে, ধর্মেও ধর্মের ভাষায় "চিরন্তন" আছে।
আমি বুঝি না কোয়ান্টাম বোঝা মানুষ 'চিরন্তন' না বোঝে কীভাবে ???
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬
শোভন এক্স বলেছেন: আপনি লিখেছেন: "....বরং নাস্তিক কথার আসল অর্থ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যিনি মনে করেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকারই কোনো প্রয়োজন নাই যখন প্রকৃতি নিজেই সয়ম্ভূ।"
এটা পড়ে সেরকমই বুঝেছিলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭
মহাজাগতিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭
সাহায্যপ্রাপ্ত বলেছেন:
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মহাজাগতিক বলেছেন: আচ্ছা।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কেন, তরল পদার্থ সবসময় উপর থেকে নিচের দিকে গড়ায়, পানিকে তাপ দিলে বাস্প হয়, অক্সিজেন না পেলে মানুষ মারা যায় এসব তো একই ঘটনা।"
আমি তো সেটাই বলছি - প্রকৃতির বুদ্ধিহীন জড় উপাদানের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে যে চেতনা জ্ঞান বুদ্ধি আমরা ধারন করছি তা দিয়ে সেই প্রকৃতির উপরই কর্তৃত্ব করতে চাওয়া সেই প্রকৃতিকেই নিজের অধীনস্ত করতে চাওয়া কিভাবে সম্ভব? সেই শক্তি ও সাহসের উৎস কোথায়? যদি সেটা চাওয়া/করা হয় তাহলে কি আমরা অকৃতজ্ঞ হয়ে যাচ্ছি না? যদি প্রকৃতিই শেষ কথা হয় তাহলে তো আমাদের প্রকৃতির সেইসব উপাদানের নিকট অতিমাত্রায় কৃতজ্ঞ থাকা উচিত যাদের কৃপায় বেঁচে আছি - প্রকৃত নাস্তিকরা কি তাই করে? তারা 'অক্সিজেনকে' দিনে কয়বার সেজদা করে, 'তাপ' কে কয়বার রুকু করে বা 'স্থান' 'সময়' এসবকেই বা কয়বার সালাম করে? যদি না করে তাহলে কি নাস্তিক মাত্রই কৃতঘ্ন? যে যার দয়ায় বেঁচে থাকে তাকেই নিয়ন্ত্রনে আনতে চায়?? তার উপরই কতৃত্ব করতে চায়???
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪
মহাজাগতিক বলেছেন: ....... তা দিয়ে সেই প্রকৃতির উপরই কর্তৃত্ব করতে চাওয়া সেই প্রকৃতিকেই নিজের অধীনস্ত করতে চাওয়া কিভাবে সম্ভব?
=====
ব্যাপার হলো "নিয়ন্ত্রণ করা" বলতে আপনি কী বোঝেন? রাজনীতির ভাষায় "নিয়ন্ত্রণ" নয় এটা হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষায় "নিয়ন্ত্রণ"। বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা বলতে বুঝায়। প্রকৃতি গোপন নিয়মকানুন আবিস্কার করে সেই নিয়মগুলিকে কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক আবিস্কার সাধন করে মানুষের কল্যাণ করা। সহজ কথায়, প্রকৃতির গোপন নিয়মগুলিকে উন্মুক্ত করে তা দ্বারা রকেট, উড়োজাহাজ ইত্যাদি বানিয়ে মানুষের কাজে লাগানো।
"প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে"। প্রকৃতিতে এই নিয়ম চিরকালই ছিল। কিন্তু তা গোপন ছিল- নিউটন সেই নীতিটি আবিস্কার না করা পর্যন্ত। যেইমাত্র নিউটন প্রকৃতির এই গোপন নীতিটি উন্মুক্ত করতে সমর্থ হলেন সেইমাত্র এই নীতি ব্যবহার করে রকেট বানানো সম্ভব হলো।
ইলেক্ট্রনের প্রবাহ চিরকালই বিদুৎ প্রদান করতে সমর্থ ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানী 'ভোল্টা' প্রকৃতির এই গোপন নীতিটি আবিস্কার করে ইলেক্ট্রনকে একটি নির্দিস্ট গতিপথে চালিত করার উপায় বের না করা পর্যন্ত আমরা বিদুৎ পাই নি।
এই অর্থে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। মুক্ত ইলেক্ট্রন প্রচুর আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যখনই তাকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি নির্দিস্ট পথে (অর্থাৎ তারের মাধ্যমে) চালিত করা যায় তখনই কেবল ব্যবহার যোগ্য বিদুৎ পাওয়া যায়।
এই অর্থে বিজ্ঞান প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের কাজে লাগায়।
আপনি যেই আবেগ দিয়ে বিষয়টা ধরার চেষ্ট/অপচেষ্টা করছেন ব্যাপারটা সেরকম নয়। এখানে কোনো মানুসকে ক্রীতাদাস বানিয়ে তার কাছ থেকে কাজ আদায় করার কথা হচ্ছে না।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯
মারুফ মুনজির বলেছেন: ভালো লাগলো
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২
মহাজাগতিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: oxygen na pele manush mara jay, kothata bujlamna... Duniyar etomanush oxygen pay hut kore koyekjon payna keno! Heart'r vumika ki!!
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:২৯
মহাজাগতিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জনাব।
১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৩৪
আগডুম বাগডুম বলেছেন: নিরীশ্বরবাদী কেমন শোনায়?
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:৩২
মহাজাগতিক বলেছেন: "নিরীশ্বরবাদী" একটি ধর্মীয় অভিঘাত যেখানে "নাস্তিক" কথাটি সম্পূর্ণ একটি দার্শনিক অভিঘাত। শব্দ দুটিতে সূক্ষ্ণ পার্থক্য আছে। "নিরীশ্বরবাদী"তে সামান্য হলেও ঈশ্বরের গন্ধ আছে, নাস্তিকে ঈশ্বরের গন্ধমাত্রও নেই।
১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম মানুষ প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করে না বরং প্রকৃতির নিয়মগুলি নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগায়। ঠিক আছে? তাতে কি বিষয়টা ভিন্ন কিছু হল? যার দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ ছাড়া মানুষের জ্ঞান/চেতনা এক মুহুর্তও টিকে থাকতে পারে না তাকেই নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগান এবং তার প্রতি কোন রকম কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ না করা কি উন্নত বুদ্ধিমত্তার পরিচয়? যে চাকর মনিবের উপর নির্ভরশীল হয়ে মনিবের দয়ায় বেঁচে থাকে সে যদি মনিবের সিন্দুকের গোপন চাবি খুজে নিয়ে মনিবের সম্পদ নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগায় - তাকে আমরা কী বলি? আপনি কি অস্বীকার করতে পারেন এই চাকর তার মনিবের উপর যতটা নির্ভরশীল মানুষ প্রকৃতির উপর তার চেয়ে বহু বহুগুন বেশী নির্ভরশীল?
আমি আপনার আর একটা কথার দিকে দৃস্টি আকর্ষন করছি - "তাই বস্তু থেকে চেতনা? না-কি চেতনা থেকে চেতনা? এ প্রশ্নের উত্তর আবেগ আক্রান্ত না হয়ে দেয়ার উপায় নাই। সেখানে উভয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০।"
নাস্তিকরা যেহেতু বস্তু ভিন্ন কোন চেতনায় বিশ্বাস করে না সেহেতু তাদের সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই বস্তু থেকেই চেতনা - তাই তো?
আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখি প্রকৃতিতে 'শক্তি' 'বস্তু'কে নিয়ন্ত্রন করে। আবার চেতনা/জ্ঞান/বুদ্ধি/বিবেক ইত্যাদি অবস্তুগত বিষয় শক্তি ও বস্তু উভয়কে নিয়ন্ত্রন করে। অথচ বিশ্ব জগতে বস্তু ও শক্তির বিপুল বিশাল উপস্থিতির বিপরিতে চেতনা/বুদ্ধি/জ্ঞানের উপস্থিতি অতি নগন্য। শুধুমাত্র এই পৃথীবির মানুষ নামক প্রাণীর মাঝেই এই চেতনার বিকাশ দেখা যায়। চিন্তা করুন পৃথিবীর তুলনায় মানুষ কত ক্ষুদ্র, সৌরজগতের তুলায় পৃথিবী কি, গ্যালাক্সির তুলনায় সৌরজগতের অবস্থান কোথায় আর বিশ্বজগতের তুলায় আমাদের গ্যলাক্সিই বা কতটুকু। তাহলে বিশ্বজগতের তুলনায় মানুষ কী? সোজা কথায় কিছুই না। অথচ এই কিছুই না মানুষই এত বিষাল বিপুল বিশ্বজগতের শক্তি ও বস্তুকে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর দু:সাহস দেখায় এবং কাজে লাগায়ও।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে - আমাদের অভিজ্ঞতায় যে দেখি বস্তু ও শক্তি চেতনার অনুগামী তা কি শুধুমাত্র আমাদের দেহ ও পারিপার্ষিকতার বেলায়ই প্রযোজ্য? আর এই বিশাল বিপুল বিশ্বজগতের এত বস্তু ও শক্তি কি স্বাধীন - না কি কোন মহা চেতনা একে নিয়ন্ত্রন করে?
যদি বস্তু থেকেই চেতনার উদ্ভব হয়ে থাকে তাহলে কি আমরা বলব বস্তু এমন বিষয়ের উদ্ভাবন করেছে যা তাকেই নিয়ন্ত্রন করবে বা তাকেই কাজে লাগাবে? অর্থাৎ মনিব এমন চাকর রেখেছে যে মনিবের ঘরেই চুরি করে? হ্যা, আমরা ইদানিং কিছু সাইন্স ফিকশনে দেখি যে মানুষে তৈরী যন্ত্র একসময় মানুষকেই নিয়ন্ত্রন করতে চায় - সেখানে বলা হয় মানুষের ভুলের খেসারত হিসেবেই নিজের তৈরী যন্ত্রের হাতে নিজেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। একই ভাবে চিন্তা করলে কি বলা যায় চেতনা মুলত বস্তুর ভুলের ফসল? মানুষ যদি ভুল না করে তাহলে মানুষের তৈরী যন্ত্র সব সময় মানুষের অনুগতই থাকে - বস্তু চেতনা তৈরীতে যদি ভুল না করত তাহলে চেতনারও বস্তুর অনুগত থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বস্তু ও শক্তি চেতনার আনুগত্য করে। এই বৈপরিত্বের ব্যাখ্যা কি??
এই সব বিষয় বিবেচনা করে চিন্তাশীল জ্ঞানী মানুষেরা এ'রকম সিদ্ধান্তেই এসে থাকেন যে একটি অতি বুদ্ধিমান মাহচেতনা আছে যা এই বিশ্বজগতের বিপুল শক্তি ও বস্তু সৃস্টি ও নিয়ন্ত্রন করে। আমাদের চেতনাও তার সাথে সংযুক্ত বা তার প্রতিনিধী। এ' জন্যই আমরা বস্তুর উপর নির্ভরশীল হয়েও বস্তুকে নিজেদের কাজে লাগাতে পারি। বস্তু বা প্রকৃতি আমাদের প্রভু নয় বা আমরাও প্রকৃতির দাশ নই - বরং প্রকৃতিই চাকর আর আমরা মনিবের কেয়ারটেকার/প্রতিনিধি। সুতরাং চাকরের কর্মশক্তির গোপন রহস্য খুজে বের করে আমাদের প্রয়োজনে কাজে লাগানো কখনই বিশ্বাস ঘাতকতা নয় বরং সেই অধিকার আমরা আমাদের প্রভুর কাছ থেকেই পেয়েছি - যিনি আমাদেরমত প্রকৃতির তুলনায় 'কিছুই না' কে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃস্টির সেরা বানিয়ে সম্মানিত করেছেন। এই অবস্থান ছাড়া বস্তু বা প্রকৃতিকেই শেষ কথা বিবেচনা করা হলে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা চেতনাকে কিছুতেই যথার্থ বলা যায় না।
জানি না কতটুকু বুঝাতে পারলাম - তবে আলোচনা করতে গিয়ে নিজের চিন্তাকেই অগ্রসর করার যে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভিন্নমত থাকতেই পারে - মুলত বিশ্বের কোন জ্ঞানই চুড়ান্ত নয় - আর চুড়ান্ত নয় বলেই চেতনা সদা বিকাশমান।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
মহাজাগতিক বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম মানুষ প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করে না বরং প্রকৃতির নিয়মগুলি নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগায়। ঠিক আছে? তাতে কি বিষয়টা ভিন্ন কিছু হল? যার দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ ছাড়া মানুষের জ্ঞান/চেতনা এক মুহুর্তও টিকে থাকতে পারে না তাকেই নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগান এবং তার প্রতি কোন রকম কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ না করা কি উন্নত বুদ্ধিমত্তার পরিচয়? যে চাকর মনিবের উপর নির্ভরশীল হয়ে মনিবের দয়ায় বেঁচে থাকে সে যদি মনিবের সিন্দুকের গোপন চাবি খুজে নিয়ে মনিবের সম্পদ নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগায় - তাকে আমরা কী বলি? আপনি কি অস্বীকার করতে পারেন এই চাকর তার মনিবের উপর যতটা নির্ভরশীল মানুষ প্রকৃতির উপর তার চেয়ে বহু বহুগুন বেশী নির্ভরশীল?
= = = = = =
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের সারমর্ম উপরের কটি কথাতেই পেয়ে গেলাম। আপনি চিন্তার এক ফিল্ডকে আরেক ফিল্ডের মধ্যে চালিয়ে দিচ্ছেন। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ফিল্ড একটি সর্বস্বীকৃত ব্যাপার। ফিল্ড হচ্ছে এমন একটি সীমা যাকে কোনোভাবেই অতিক্রম করা যায় না। যেমন কোয়ান্টাম জগতের একটি ফিল্ড আছে। সেখানে প্রযোজ্য নীতিগুলি ঐ জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বৃহত্তর পারমাণবিক জগতে তা প্রযোজ্য নয়।
একই ভাবে চিন্তার ব্যাপারেও তাই।
আমরা ধারণা বিজ্ঞানের ভাষায়, "প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা" বলতে কী বোঝায় তা আপনি আমার এ পোস্ট থেকেই সর্বপ্রথম জানতে পেরেছেন। ফলে প্রথম ধাক্কায় তা বুঝে উঠতে আরো সময় লাগছে। কারণ আপনি এখনো বুঝতে পারেননি যে, বিজ্ঞানের ভাষােক বুঝতে হবে নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে। এসবের মধ্যে আপনি দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ এসব গাজাখুরি কথা আমদানী করলে তো হবে না। দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ, কিম্বা চাকর/দাস/মনিব ইত্যাদি সম্পর্ক অন্য ফিল্ডের আলোচনা। বিজ্ঞানের ফিল্ডে ওসব যখনই আনতে যাবেন তখনই বুঝতে হবে আপনি বিজ্ঞান বোঝেন নি। অথবা আপনার চিন্তাধারায় মেৌলবাদীত্ব আছে। অর্থা একটি কিছুকে আগে থেকেই বিশ্বাস করে নিয়ে সেখানে পেৌছার জন্য গোজামিল দেয়ার আত্মপ্রবঞ্চনামূক প্রচেশ্টা আছে। ......
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
মহাজাগতিক বলেছেন: বিজ্ঞানের নীতিগুলিকে আনুগত্য/চাকর/দাসত্ব/মনিবত্ব এগুলি শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যাা করাটা হীনবুদ্ধির পরিচয়। আপনি বলতে চাচ্ছেন মানুষ প্রকৃতি থেকে অক্সিজেন নিয়ে বেচে আছে তাই মানুষ প্রকৃতির দাস... ইত্যাদি ইত্যাদি।
কেন মানুষও তো প্রকৃতিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ছে যা আবার প্রকৃতিতে গাছেরা ব্যবহার করে বেচে থাকছে। তাহলে কে বা কার দাস আর কে বা কার প্রভূ??? এসব চিন্তা বালখিল্যতা নয় কি? আর মানুষ আপর প্রকৃতি আলাদা হবে কেন? মানুষ তো প্রকৃতিরই অংশ। প্রকৃতির সব অংশ পরস্পরের সং্গে, পরস্পরের স্বার্থে, নিদোষ মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে। এখানে কেউ কারো দাস/চাকর/মনিব ইত্যাদি মোটেও নয়। আমার তাই ধারণা।
তবে আপনি যে লাইনে চিন্তা করতে চান আমিও যে তা করিনা তা নয়। তবে সেটা ভিন্ন ফিল্ডে। দেখুন Click This Link
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ব্লগীয় পরিবেশ যতটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয় যখন কেউ কোন কমেন্টের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যায় তখন বুঝতে হয় যে লেখক সেই কমেন্টের বক্তব্য মেনে নিয়েছেন। আমি দেখছি গত তিন দিনেও আপনি আমার উপরের কমেন্টের কোন জবাব দেন নি। যদি আপনি বক্তব্য মেনে নিয়ে থাকেন তাহলে সেটা হবে আমার জন্য একটা গুরুত্বপুর্ণ ঘটনা - আমার উপস্থাপিত দ্বিতীয় বক্তব্য/যুক্তি যা কোন লেখক মেনে নিয়েছে। আর যদি ব্যাস্ততার কারনে উত্তর দিতে বিলম্ব হয়ে থাকে তাহলে দয়াকরে জানাবেন আমার বক্তব্যের মধ্যে কোথায় ভুল আছে - যাতে আমি পু:ন চিন্তার সুযোগ পাই। ধন্যবাদ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
মহাজাগতিক বলেছেন: ব্লগের আলোচনার ব্যাপারে আপনি ভীষণ সিরিয়াস দেখছি। এসব আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত টেনে একটি নিশ্চিত পক্ষ নিতে চান। এভাবে চিন্তা করাটা অনেকের ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন কারণেই অভ্যাস হয়ে যায়। অবশ্য সব চিন্তারই একটি উপসংহার থাকা ভাল। তাছাড়া আমরা উপসংহারে পেৌছার জন্যই তো চিন্তা করি।
আপনার প্রশ্নের জবাব লিখব লিখব করে হয়ে উঠেনি। ব্যস্ত ছিলাম, তাছাড়া জিপির নেটোয়ার্ক ভীষণ খারাপ কয়দিন হলো।
আপনি যে নিরিখে বা যে ধারার চিন্তা করেন তা ঠিক আছে। কিন্তু চিন্তা করারও কিছু নীতি বা এথিকস্ আছে। প্রত্যেক চিন্তার এক একটা ফিল্ড আছে। বিজ্ঞানেরও 'ফিল্ড" আছে এক ফিল্ডকে আপনি আরেক ফিল্ডের মধ্যে চালিয়ে দিয়ে গুবলেট করতে দিলে চিন্তা তখন হয়ে উঠবে নিজেকে ধোকা দেয়ার হাতিয়ার। আপনি তখন চিন্তার মাধ্যমে বিশ্বাসে/সিদ্ধান্তে পেৌছতে পারবেন না। আপনার বিশ্বাস/সিদ্ধান্তটিই বরং আপনারকে আপনার চিন্তার মধ্যে গোজামিল দেয়ায় প্ররোচিত করবে আপনার আগে থেকে করে রাখা বিশ্বাস/সিদ্ধান্তের কাছে পেৌছঅর জন্য।
ধন্যবাদ।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দেরিতে হলেও উত্তর দেয়ার জন্য। আমি আগেও বলেছি - কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন নয় বরং আমার চিন্তার মধ্যে ভুল আছে কি না সেটা যাচাই করাই আলোচনার লক্ষ। ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে উপকৃত হই।
আপনার সাথে আমি এ'ব্যাপারে একমত যে আগেথেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে চিন্তা করলে ভুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঠিক যে কারনে নাস্তকরা কোরআন পড়ে কিন্তু কিছুই বোঝে না। কারণ সে কোরআন বোঝার জন্য পড়ে না বরং পড়ে কোরআনের ভুল ধরার জন্য।
যাই হোক - আমি যে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম - আমরা প্রকৃতির দাশ হলে প্রকৃতিকে কিভাবে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছি বা আমরা প্রকৃতির ভুলের ফসল কি না - সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য পেলাম না। আশা করি সময় পেলে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। আমি মানতে পারি বা না পারি মনোযোগ দিয়ে পড়ব এবং বোঝার চেস্টা করব এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
মহাজাগতিক বলেছেন: আমার নিকট থেকে এ পোস্টের ব্যাপারে আপনার প্রশ্নগুলি আপনি ঠিক কোন অবস্থান থেকে জানতে চাচ্ছেন- আমাকে এখন তা-ই ভাবতে হচ্ছে।
দেখুন এ পোস্টে আমি বলতে চেয়েছে "নাস্তিক" কথাটির দার্শনিক মূল্য সম্পর্কে। এবঙ তা সম্পূর্ণ একটি নির্মোহ অবস্থান থেকে। এখন আপনি যে প্রশ্ন তুলছেন তার উত্তর দিতে গেলে আমাকে ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দিতে হবে। অর্থা আমি আস্তিক নাস্তিক যা ই হই না কেন আমার আস্তিক কিম্বা নাস্তিক অবস্থানকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলে তা অবশ্যই হবে একটি ব্যক্তিগত অবস্থান। বিজ্ঞানের কোনো মা-বাপ নেই। বিজ্ঞান আস্তিকেরও নয়, নাস্তিকেরও নয়। তবে আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বিজ্ঞানের গতি প্রকৃতি বুঝবার নিজস্ব চেষ্টা করে থাকি যদি তা হবে আমার একান্ত নিজস্ব মতামত। তবে হ্যা এরূপ মতামত অনেকেই পোষণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার সহমত পোষণকারীদেরকে নিয়ে আমরা হয়ত একটা গোষ্ঠি হতে পারি। আস্তিক গোষ্ঠি বা নাস্তিক গোষ্টি সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
মহাজাগতিক বলেছেন: = = = =
আপনার সাথে আমি এ'ব্যাপারে একমত যে আগেথেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে চিন্তা করলে ভুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঠিক যে কারনে নাস্তকরা কোরআন পড়ে কিন্তু কিছুই বোঝে না। কারণ সে কোরআন বোঝার জন্য পড়ে না বরং পড়ে কোরআনের ভুল ধরার জন্য।
= = = = = =
আপনার এ কথার সাথে আমিও একমত। কেউ সেরকম করে থাকলে সেটাও একটা মেৌলবাদী অবস্থান বটে।
১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: প্রসঙ্গত যে নাস্তিক শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ আর বর্তমান অর্থের মধ্যে আমরা আসলে কোনটাকে প্রাধান্য দিবো। সুতরাং ন অস্তি শব্দের মাঝে কোনটা সফটওয়ার আর কোনটা হার্ডওয়ার সেই হিসেব করতে হবে বর্তমানে কোন অর্থে প্রয়োগ করছি তার উপর। আর বুৎপত্তিগত অর্থ বর্তমান সময়ে যদি নতুন অর্থারোপ ঘটে তাহলে পুর্ব অর্থের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, যদি না সেটা তৎকালিন সময়ে ব্যবহার করা হয়।
অন্য একটা ব্লগে জনাব কঙ্গাল মুরশিদের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে নাস্তিক মতাদর্শগত কিছু কথা বলেছি এবং জনাব কাঙ্গাল মুরশিদ-এর লিঙ্ক থেকেই এই ব্লগে চলেও এসেছি। তাই ঐ ব্লগে লেখা কথার প্রসঙ্গে নাস্তিক কি মনে করে তা বলা যায়। তো কথা ছিল এ রকম-
নাস্তিকদের ভাষ্যে ধার্মিকরা যে সৃষ্টিকর্তার খোঁজ করে সেই সৃষ্টিকর্তার অনুপস্থিতিতেও কারো কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না।
নাস্তিকরা বলে যে, ''আমরা যদি মেনেও নেই যে এই বিশ্ব প্রকৃতির এক শক্তি রয়েছে যার সৃষ্টি করার ক্ষমতা রয়েছে, এবং তাকেই সৃষ্টিকর্তা বলা হয় তবু সে সৃষ্টি কোন একক অস্তিত্ব প্রমাণ করে না অথবা এটাও প্রমাণ করে না যে খুব নগন্য হিসেবে হলেও ব্যক্তি আমিও সেই শক্তির অংশ নই।''
তারা আরও বলে, ''যদি বিশ্বাসই সব কিছুর সার বস্তু হয় তবে যদি মনে করি আমি নিজেই সৃষ্টিকর্তার অংশবিশেষ তাহলেই বা কি ক্ষতি বৃদ্ধি হবে?''
সুতরাং তাদরে কথা অনুসারে, ''মহাবিশ্ব সর্বদা সম্প্রসারণশীল এই সত্যের সাথে আমিও জড়িত; আমাকে কোন একক শক্তি সৃষ্টি করে নি। আমাকে যে প্রকৃতি সৃস্টি করেছে তা অতীতে বর্তমান ছিল এবং সর্বদাই তা বর্তমান থাকবে। আমি নিজেও তার অংশ মাত্র।''
সুতরাং নাস্তিকতার সাথে সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞাতে পরিবর্তন আনা এবং তার প্রয়োগও ভিন্ন ভাবে করা প্রয়োজন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫
মহাজাগতিক বলেছেন: আপনার চিন্তার দৌড় আমাকে ভাবিয়েছে।
= = =
নাস্তিকদের ভাষ্যে ধার্মিকরা যে সৃষ্টিকর্তার খোঁজ করে সেই সৃষ্টিকর্তার অনুপস্থিতিতেও কারো কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না।
= = =
আপনার এ মন্তব্যে ক'টি বিষয়ে জোর দিয়ে বুঝতে চাই। "ধার্মিকরা" "সৃষ্টিকর্তার" "কারো"
বক্তব্যের যুক্তিবিদ্যাগত ভাষ্য হলো: অর্থোডক্স কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও ভৌত জগতের ব্যবস্থাপনা/ভৌতরূপের কোনো পরিবর্তন হয় না।
আমি যদি আপনার বক্তব্য ঠিক বুঝে থাকি তবে কথা হলো এটা এমন এক পর্যায়ের আলোচনা যেখানে কোনো কিছু থাকা বা না থাকা দিয়ে জগতের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়না। আচ্ছা, বলুনতো বহুবছর আগে বিজ্ঞানীরাই যখন পৃথিবী 'সমতল' হওয়ার বিশ্বাস (যদিও পরীক্ষালব্ধ) পরিবর্তন করলেন তখনো কি সেই বিশ্বাস পরিবর্তন দ্বারা ভৌত জগতের কোনো ভৌত উপাদানের গঠনে কোনো পরিবর্তন হয়েছিল? মানুষ যখন জানত না "শক্তির নিত্যতা সূত্র" তখনকার চাইতে, যখন মানুষ বিশ্বাস (বৈজ্ঞানকি যুক্তিতে) করা শুরু করল "শক্তির ধ্বংস বা সৃষ্টি নেই"- এমন বিশ্বাস পরিবর্তন দ্বারা কি ভৌত জগতের কোনো উপাদানের গঠন পরিববর্তিত হয়ে গেছিল? "শক্তির নিত্যতা সূত্র" কে আপনি বৈজ্ঞানিক স্বীকার্যই বলবেন। ওটা একধরণের বিশ্বাস। কারণ বিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রুব কি-না তা কেউ যন্ত্র দিয়ে মেপে দেখেনি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর বহুদর্শী মনের উপলদ্ধি জাত বিশ্বাস থেকেই কিন্তু বৈজ্ঞানিক স্বীকার্য গুলির উৱপত্তি। কাজেই প্রকৃতিতে ঈশ্বর আছেন কি নেই তা দ্বারা কিন্তু ভৌত জগতের গঠনোপাদানের কোনো পরিবর্তন হবে না- এটা যেমন ঠিক। তেমনি আবার তিনি আছেন কি নেই তা সঠিক জানাটাও কিন্তু বৈজ্ঞানিক একটা স্বীকার্য আবিস্কার করার মতই ব্যাপার যারা দ্বারা আমরা জগতের সঠিক রূপটি জানতে পারব যদিও সব ঘটনা আগের মতই থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ।।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮
মহাজাগতিক বলেছেন: তবে হ্যা, বৈজ্ঞানিক স্বীকার্য হিসেবে যদি কোনো দিন কোনো ঈশ্বর আবিস্কৃত হয় তবে তা কোনো অর্থডক্স ঈশ্বরের সাথে মিলে যাবে কি-না তা বলা যায় না।
এদিক থেকে আপনার বক্তব্য সঠিক।
১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন:
@ মহাজাগতিক, যেহেতু নাস্তিকতা নিয়েই এই পোষ্ট তাই নাস্তিকের ভাবনাকেই গুরুত্ব দেয়া সমীচিন বলে মনে করেছি। আমরা ইদানিং বিভিন্ন ব্লগে দেখতে পাচ্ছি ধার্মিক এবং অধার্মিক লোক জনদের বড় রকম বাড়াবাড়ি; যা আলোচিত বিষয় থেকে ব্যক্তিগত আঘাতের পর্যায়ে নেমে আসছে। আমি প্রথম দিকে এ সব ব্যপার এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম । কিন্তু যখন এসব গায়ে এসে লাগলো তখন আর চুপ থাকতে পারলাম না। আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নষ্ট করেছে এই ধর্মীয় বাড়াবাড়ি।
ধর্ম তখনই খারাপ ফলাফল বয়ে নিয়ে আসে যখন তা অন্য কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়। আমাদের সমাজে ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো সাধারণ ঘটনা আর এ জন্যই এর প্রতিবাদ করা উচিত। সে আস্তিক বা নাস্তিক যেই হোক না কেন।
আমার কাছে প্রত্যেক মানুষের মতামতকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত বলে মনে হয়। তার মতের সাথে ভিন্নতা থাকতেই পারে তাই বলে খড়গ হস্ত হওয়া শান্তিপূর্ণ নয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৬
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: @মহাজাগতিক,
আমার মতের উত্তরে আপনার যে মত তাতে আমার নতুন করে কিছু বলবার নেই। আপনি নিজেই তার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট।
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
২১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমরা ধারণা বিজ্ঞানের ভাষায়, "প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা" বলতে কী বোঝায় তা আপনি আমার এ পোস্ট থেকেই সর্বপ্রথম জানতে পেরেছেন। ফলে প্রথম ধাক্কায় তা বুঝে উঠতে আরো সময় লাগছে। কারণ আপনি এখনো বুঝতে পারেননি যে, বিজ্ঞানের ভাষােক বুঝতে হবে নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে। এসবের মধ্যে আপনি দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ এসব গাজাখুরি কথা আমদানী করলে তো হবে না। দয়া/কৃপা/অনুগ্রহ, কিম্বা চাকর/দাস/মনিব ইত্যাদি সম্পর্ক অন্য ফিল্ডের আলোচনা। বিজ্ঞানের ফিল্ডে ওসব যখনই আনতে যাবেন তখনই বুঝতে হবে আপনি বিজ্ঞান বোঝেন নি। অথবা আপনার চিন্তাধারায় মেৌলবাদীত্ব আছে। অর্থা একটি কিছুকে আগে থেকেই বিশ্বাস করে নিয়ে সেখানে পেৌছার জন্য গোজামিল দেয়ার আত্মপ্রবঞ্চনামূক প্রচেশ্টা আছে। ....."
হ্যা, এটা আপনার ধারনা। বস্তুত নাস্তিকতার পুরো বিষয়টিই মানুষের ধারনাগত, অনুমান নির্ভর বিষয়, কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষি নাই। অথচ আল্লাহর ব্যাপারে বহু প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষি আছে যাদের মধ্যে সর্ব শেষ দুজন মুহাম্মদ(স.) ও যিশু খ্রিস্ট বা ইসা (আ.) মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় আছেন প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। বিশ্বব্যাপি শত কোটি মানুষ তাদের শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে। এত শক্তিশালী প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষির বিপরীতে নাস্তিকদের পক্ষে কোন সাক্ষি না থাকা সত্যেও তারা স্রস্টার অস্তিত্ব মানে না। সেই আদি কাল থেকেই এই মানা না মানার ধারা চলে এসেছে। এ'ব্যাপারে যেহেতু মানুষকে পুর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে সেহেতু এটা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে বলেও ধরে নেয়া যায়।
আপনি যেভাবে মুল প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে, বিজ্ঞানকে টেনে এনে বিষয়টিকে ঘোলাটে করে তু্ললেন তাতে একটা বিষয় পুনরায় উপলব্ধি করা গেল - ব্লগ কোন গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনার স্থান নয়। কারণ বক্তার বক্তব্য শ্রতার কাছে বোধগম্য হওয়ার ক্ষেত্রে ৭০% ভুমিকা থাকে বক্তার ব্যাক্তিত্ব ও পরিবেশের। যে কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ রুমে কোন প্রফেসর তার ছাত্রদের উদ্যেশ্বে বলেন সেই একই কথা একই ছাত্রদেরকে রাস্তার কোন ক্যানভাসারের মুখ থেকে শুনান হলে তা তাদের কাছে অনেক বেশী দুর্বোদ্ধ মনে হবে। বক্তব্যের মাঝে কথার প্রভাব যে ৩০% তার মধ্যেও আছে বাচন ভঙ্গি, কথার টোন ইত্যাদি - ব্লগ এ'সব থেকেও বঞ্চিত। এখানে সবকিছুই লিখে প্রকাশ করতে হয়, আর খুব ভাল লেখার হাত অল্প মানুষেরই থাকে। কাজেই ব্লগীয় পরিবেশে এক জনের মনের ভাব, উপলব্ধি, অনুভুতি অন্যের কাছে শতকরা ১০ ভাগও পৌছায় না। এ'জন্যই দেখবেন ব্লগে বহু তর্ক বিতর্কের পরও আস্তিক-নাস্তিক, ধার্মিক-ধর্মবিদ্বেষী, ভারতপন্থী- ভারত বিরোধী, আওয়ামী লীগ-বি.এন.পি. - জামাত/শিবির - হিসবুত পন্থী কেউ কার অবস্থান থেকে সরে না। কাজেই ব্লগে সিরিয়াস কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য আলোচনা করা অর্থহীন। এ'জন্যই আল্লাহ শুধুমাত্র একটি কিতাব পাঠিনোই যথেস্ট মনে করেন নি বরং একজন উন্নত চরিত্রবান, শক্তিশালী ব্যাক্তিত্বের অধীকারী মানুষ মুহাম্মদ(স.)কে বাস্তব সাক্ষি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
যাই হোক, আলোচনার মাধ্যমে জানা বিষয়গুলোই নতুন ভাবে চর্চা/উপলব্ধির সুযোগ পওয়া গেল এটাই আসল বিষয় । ধন্যবাদ।
২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৫
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন:
কাঙ্গাল মুরশিদের এই একই কথা নিয়ে অন্য ব্লগে আলোচনা হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হচ্ছে এখানে নতুন করে এসব কথার অবতারনা না করে সেই লিঙ্ক-এ একটু ঢু মেরে আসাটা সকলের জন্য কিছুটা সময় সাশ্রয়ী হবে।
দেখুন>>>>>
আল্লাহ-ই একমাত্র উপাস্য। কোরান থেকে তুলে আনা যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ। বেকুব নাস্তিকেরা, নিজের চোখে দেখুক...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৩
কাকপাখি ২ বলেছেন: পাঁড় নাস্তিক মানে তাইলে কি দাড়াচ্ছে?