![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিবার রমজানে আমরা দেখি অনেক সামাজিক সংগঠন ও এন জি ও বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় "সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ!"
কিন্তু কেউ এর কোন স্থায়ী সমাধানে যেতে রাজি নয়, কেন তারা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে থাকবে? আর দশটা শিশুর মত কেন তারা সামাজিক সুবিধা পাবে না?
আমাদের রাষ্ট্রের মূলনীতিতে যদি সমাজতন্ত্রও থেকে থাকে, তবে এর প্রতিফলন আছেটা কোথায়?
আসলে এসব সুযোগ বন্ধ হলে গেলে কালো টাকা হালাল করার রাস্তাও থাকবে না?
আমরা সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করতে পারি না আমরা রাস্তাঘাটে যে সকল অসহায় দরিদ্র দেখি তা আমাদের সমাজের শোষণ ও বৈষম্যের প্রতিফলন। সবাই আমরা অর্থের পেছনে ছুটি, আর জাত গেল, জাত গেল বলে এদের নিন্দা করি।
একদিকে আমরা সুউচ্চ দালান, অত্যাধুনিক গাড়ি দেখছি, ছোট-বড় কাপড়ের সুন্দরী-অসুন্দরী নারী দেখছি।অন্যদিকে পৃথিবীর যাবতীয় বাস্তবতা ও অস্থিরতাকে অবজ্ঞা করছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি যদি ঈশ্বর হতাম তাহলে এত বৈষম্যে মানুষদের রাখতাম না। কিন্তু আমার ক্ষমতা যতসামান্য! ঈশ্বর আমাদের সব বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু তার মত করে করার ক্ষমতা দেন নি।
মানুষ আজ বিচ্ছিন্ন, প্রত্যেকেই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।নিজেদের ছোট পরিসরেই আমরা নিজেকে সুখে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এর জন্যই কি জন্ম হয়েছে আমাদের? আমরা জানিনা হয়ত আমাদের ঐক্য আমাদের অনেক বড় সাফল্য দিতে পারে। পৃথিবীটা দিনের পর দিন আরও কঠিন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। আর মানুষের ঐকিক ক্ষমতা হচ্ছে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০০
কাল হীরা বলেছেন: এই ধরনের উদ্যোগের সিংহভাগ পরিচালিত বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রদের পরিশ্রমে। নিজের হাত খরচের টাকা বাচিয়ে বা পরিচিত বড় ভাই/বোনের কাছ থেকে টাকা তুলে। তাদের হয়তো দেশের সকলের মুখে প্রতিদিন হাসি পৌঁছে দেয়ার সামর্থ্য নেই, কিন্তু গুটিকয়েক ছিন্নমূল মানুসের মুখে অন্তত উৎসবের আনন্দে সামিল করার সক্ষমতা আছে। আর এই অবস্তার পরিবর্তন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র কে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।