![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসকানের নিথর দেহটা ঝুলছে সিলিং ফ্যানে। খুব সুন্দর করে হাসত বলে জন্মের কয়েক বছর পর শখ করে ডাকনাম মুসকান রেখেছিল ওর বাবা। চেহারায় এখন কোন হাসি নেই। জ্বিভ বের হয়ে আছে, চোখগুলোও যেন বের হয়ে আসতে চাইছে। দেখতে একটু ভয়ানকই লাগছে। মুসকানের এক হাতে একটা চিরকুট। শক্ত করে ধরে আছে। ফাঁসি দিয়ে মরলে নাকি খুব কষ্ট হয়, দেহ ছটপট করে। তারপরেও হাতের চিরকুটটা কিভাবে আছে সেটা ভাবনার বিষয়। খুব জরুরি বলেই হয়তো হাত থেকে পড়ে যায়নি। আগলে রেখেছে।
পুলিশ এসে মৃতদেহ নামালো। হাতের মুঠি থেকে চিরকুটটা বের করলো। মুঠোবন্দি থেকে বের করতে একটু কষ্টই হলো মহিলা কনস্টেবলের। অফিসার চিরকুটটা হাতে নিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলেন। নেড়ে চেড়ে দেখলেন মোচড়ানো কাগজটা। দেখার পর একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়লেন। চিরকুটটা এগিয়ে দিলেন মুসকানের স্বামী দিকে। কাঁপা হাতে কোন রকমে কাগজটা নিলো সামসুল। দেখলো লেখাটা মুসকানেরই। হাতের লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ছোট্ট কাগজের টুকরোয় নীল কালিতে লেখা আছে - সামসুল, আমার মৃত দেহ থেকে কোন অঙ্গ বিক্রি করে যদি টাকা পাওয়া যায় তবে নিয়ে নিও। আব্বার পক্ষে আর কিছু দেওয়া সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.