নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্য কথা

আমি কিছু না

অন্য কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন আমি শিক্ষক হতে চাই না

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২০

ঢাকা ওয়াসার গত কয়েক মাসের কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও ওভারটাইমের নথি থেকে দেখা গেছে, মোঃ আলী নামের একজন গাড়িচালকের মূল বেতন স্কেল ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা। সর্বসাকূল্যে তিনি বেতন পান ১৯ হাজার ২৮০ টাকা। অথচ এ মাসগুলোতে তিনি ওভারটাইম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৩৬ টাকা। বেতন ও ওভারটাইমসহ প্রতি মাসে তিনি তুলেছেন ৫৮ হাজার ৭১৬ টাকা। আলমগীর হোসেন মোল্লা নামের একজন ফোরম্যানের বর্তমান বেতন স্কেল ১৩ হাজার ১১০ টাকা। মোট বেতন ১৯ হাজার ১৩০ টাকা। অথচ ওভারটাইম পাচ্ছেন ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা। একইভাবে দেখা গেছে, গাড়িচালক মণ্ডল মিয়ার সর্বমোট বেতন ১৯ হাজার ১৩০ টাকা। অথচ তিনি ওভারটাইম পাচ্ছেন ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা। পাম্প অপারেটর মোঃ হারুনের বেতন ১৬ হাজার ৭২১ টাকা। ওভারটাইম পাচ্ছেন ২৯ হাজার ৪৮৭ টাকা। ফোরম্যান মজিবুর রহমানের বেতন ২১ হাজার ৫৪৫ টাকা। ওভারটাইম পাচ্ছেন ৩৫ হাজার ২৫১ টাকা। পাম্প অপারেটর আলী আহমেদ ভূঁইয়ার বেতন ১৬ হাজার ১১৩ টাকা। ওভারটাইম পাচ্ছেন ৩৩ হাজার ২৯৫ টাকা।



অন্যদিকে,



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা এখন তৃতীয় শ্রেণির। তবে প্রধান শিক্ষকরা এক ধাপ বেশি স্কেলের বেতন-ভাতা পান। বর্তমানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা (এইউইও) দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা পাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণী করে এইউইওদের বেতন স্কেলও বাড়ানো হবে। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা চার হাজার ৭০০ টাকা এবং প্রধান শিক্ষকরা পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে বেতন পান।



প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত তিনটি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ এসএসসি পাস প্রার্থী আবেদন করেছেন। বাকিদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের।



প্রশ্ন ঃ



আপনি কি জানেন এ সব ড্রাইভার , ফোরম্যান, পাম্প অপারেটরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত দূর ?



--ঃ অষ্টম - এসএসসি পাস ।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৪

এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: তাই তো ভাই কিছুই ভাল লাগেনা। পড়া লেখা শিকায় তুলছি ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

অন্য কথা বলেছেন: পাত্রীর বাবা যদি জিজ্ঞায় - "তা বাবা কি পাস দিছ? "
তখন কি কবেন শুনি ?

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৪

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: এই দেশে শিক্ষিত মানুষ শোষিত।তাই এ দেশের উন্নতি হয় না।শিক্ষার মূল্যায়ন এদেশ করে না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৩

অন্য কথা বলেছেন: দেশের মানুষ শিক্ষিত হলেই তো সমস্যা রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে ।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: সবথেকে বড় কথা শিক্ষক এখন একটা জঘন্য গালি ;)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৫

অন্য কথা বলেছেন: সমাজ শিক্ষকদের এখন করুণার চোখে দেখে ।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এই সমাজে ভদ্র অভদ্র যতগুলি পদ আছে তার মধ্যে শিক্ষকের পদটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এ কথা শুধু আমার নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তার হৈমন্তী গল্পে অনুরূপ একটি কথা লিখে রেখে গেছেন। শিক্ষকরা আসলে মানুষের পর্যায়ে নেই। যে কারণে তাদের কোন মূল্যায়নও নেই। রাস্তাঘাটে দু’একটি সালাম পাওয়া ছাড়া তাদের আর কোন প্রাপ্তিও নেই। বেতন বাড়ানোর কথা বললে আরও সর্বনেশে কান্ড ঘটে যায়। সরকার বাহাদুর পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে, পেপার স্প্রে ছিটিয়ে, গরম পানি, রঙিন পানি দিয়ে ভিজিয়ে শিক্ষকদের কন্ঠ রোধ করেন। এ দেশে শিক্ষকদের দমন করাই সবচেয়ে সোজা। কারণ তারা বেতন বাড়ানোর দাবী করতে এসে কখনো পুলিশদের উপর চড়াও হয় না, ককটেল ফুটায় না, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ করে না, এই নিরীহ শিক্ষকদের পুলিশ পিটাবেনাতো কে পিটাবে? মানুষ গড়ার কারিগরদের এভাবে বঞ্চিত আর হেনস্তা হতে দেখতে দেখতে স্তব্ধ হয়ে গেছি। এখন পিয়ন, চাপরাশিরা মাসে লক্ষ টাকা আয় করলেও শিক্ষকদের কিছু যায় আসে না।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

অন্য কথা বলেছেন: আগে শুনতাম ছাপোষা কেরানি , এখনকার কেরানিরা আর ছা পোষে না বিলাস বহুল গাড়ি বাড়ি পোষে ।

শিক্ষার আলো নিয়ে যারা ঘুরেন ...... তারাই আজ ছাপোষা হয়েছেন ।

ছাপোষা শিক্ষক !!!!

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

রাকি২০১১ বলেছেন: আমি একটু অন্যভাবে বলতে চাই।

শিক্ষকরা এদেশে অবহেলিত- সন্দেহ নাই।

কিন্তু ওয়াসার কর্মচারিরা যা করতেছে (কর্মকর্তারা তো আছেই) তা কি আপনি করবেন। বাংলাদেশে তাদের যে রোল, তাতে এমন কি কাজ থাকে যে তারা সারাদিন কাজ করার পরেও ওভারটাইম করা লাগে? যদি লাগেও তা কি পরিমান? ওভারটাইম স্কেল হিসাব করলে তা কিভাবে ১৯ হাজার বেতন হলে ওভারটাইম ৩৭ হাজার হয়? নিশ্চয়ই তারা দুর্নীতি করে। আর একজন সুনীতির শিক্ষক অথবা দুর্নীতিগ্রস্থ নয় এমন লোক সর্বদা স্ট্রগল করে জীবনের সাথে। আমি এখন তাদের মধ্যে তুলনা করব।

* একজন লোকের পানির পিপাসা পেয়েছে। কাছে কিনারা ডোবা ছাড়া পানি নেই। সে ডোবা থেকে জীবানু/ময়লাযুক্ত পানি পান করতে পারে অথবা ২/১ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে নিজের টাকা দিয়ে মিনারেল ওয়াটার বোতল কিনে পানি পান করতে পারে। প্রশ্ন হল আপনি হলে কী করবেন?

আপনি ভাল করে জানেন ডোবার পানি খেলে আপনি ২/১ মাইল পথ পাড়ি দে্ওয়া বেচে যাবেন, টাকাও বেচে যাবে- কিন্তু অচিরেই আপনি ডায়রিয়া কিংবা যে কোন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হবেন। আপনি সচেতন বলে তা খাবেন না। কষ্ট করে হলেও বিশুদ্ধ পানি খাবেন- পরিমানে কম হলেও।

কিন্তু যারা লোভী কিংবা সচেতন না তারা ডোবার পানিই পান করবে আর ভবিষ্যতে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে।

* ঠিক একইভাবে আপনি যদি ওয়াসার কর্মীদের মত হারাম/দুর্ণীতি করেন হয়ত তাৎক্ষনিকভাবে আপনি মজা করবেন- পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট ধরা পড়বেন আর তখনকার বিপদ এখনকার থেকে হাজার গুন বরং আরো বেশি ভয়ানক।

আজ আপনি ধৈর্য্যধারন করতেছেন- আগামিকাল আপনি সুখ পাবেন। আপনি আজকে ভাল জামাকাপড় /ভাল ফল/ ভাল ফ্ল্যাট পাচ্ছেন না কিন্তু আগামিকাল আপনার সবকিছু থাকবে। থাকবে ভাল ঘর/বিছান, ফলভরা বাগান, যা চাইবেন সাথে সাথেই পাবেন।
আর তারা!!! তারা আজকে ভাল জামাকাপড় /ভাল ফল/ ভাল ফ্ল্যাট পাচ্ছে কিন্তু আগামিকাল তারা খাবে গরম পানি যা খাওয়ার সাথে সাথে তাদের পাকস্থলি পায়ুপথে নেমে যাবে। পুজ-রক্ত মিশ্রিত পানি, যাক্কুম ফল হবে তাদের খাবার।

সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.