নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সাধারণ মানুষ।

মহিউদ্দিন হায়দার

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

মহিউদ্দিন হায়দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজড়া একটি সামাজিক সমস্যা।

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭


হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে কোনও স্বীকৃতি নেই। প্রকৃতিগতভাবে মানুষ নারী ও পুরুষ এ দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। তবে হরমনজনিত ত্রুটির কারণে কাউকে কাউকে উভয়লিঙ্গ অর্থাৎ না-পুরুষ বা না-নারীর মতো দেখায়। এরা কেউ নারী অথবা পুরুষ। কারুর চেহারা-সুরত, আচরণ ও কণ্ঠস্বরে পুরুষ বা নারীর লক্ষণ দেখা যায়। এটা শারীরিক ত্রুটি। চিকিৎসা করালে সেরে যেতে পারে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বদৌলতে এই ধরনের নারী পুরুষে অথবা পুরুষ নারীতে রূপান্তরিত হতে পারেন। তবে এ চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল।
উল্লেখ্য, হিজড়া বা তৃতীয়লিঙ্গের মানুষ বলে কোনও কমিউনিটি সৃষ্টি উদ্দেশ্যমূলক। এরা নিজেরা যেমন ভিক্ষা করেন, অন্যরাও এদের দিয়ে ভিক্ষা করান। এটা সামাজিক অপরাধ। এদের অনেকে দল পাকিয়ে চাঁদাবাজি করেন। বাসাবাড়িতেও এরা প্রায়শ চড়াও হন। শিশু অপহরণের মতো অপরাধেও এদের কেউ কেউ জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

কারুর ঘরে এমন শিশুসন্তান জন্মালে অবহেলা বা ঘৃণা করা অন্যায়। অন্য স্বাভাবিক শিশুর মতোই এদেরও প্রতিপালন করতে হবে। আদর-যত্ন নিতে হবে। এরা লেখাপড়া শিখে নিজেরা যেমন প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন, তেমনই সমাজেও অনেক বড় অবদান রাখতে পারেন। এমন দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে সমাজে। এরা কেউ বিজ্ঞানী, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ভালো চিকিৎসকও হতে পারেন। যোগ্যতা অর্জন করে সরকারি চাকরি করতেও এদের অসুবিধে নেই। কেন তাঁরা অন্যের গলগ্রহ হয়ে থাকবেন? জন্মগত ত্রুটি বা শারীরিক সমস্যা ঘৃণা বা উপেক্ষার বিষয় হতে পারে না।
কথিত হিজড়ারা সংঘবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজি করতে পারলে সামাজসেবামূলক কর্মকা- চালাতে বাধা কোথায়? এরা পাড়া-মহল্লায়, যানবাহনে চাঁদাবাজিসহ অসংলগ্ন আচরণ বা নোংরামো করেন কেন? আসলে এদের শারীরিক গঠনগত কিছু সমস্যা থাকলেও এরা এ সমাজেরই মানুষ। এদের প্রতি আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রের যেমন দায়-দায়িত্ব আছে; তেমনই এদেরও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্র এদের প্রতি প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করে না বলেই এরা বিপথে ধাবিত হতে বাধ্য হয়।

এরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে ঘর ছেড়ে না পালিয়ে পরিবারের সঙ্গে থেকে উপযুক্ত চিকিৎসাসহ পড়ালেখা শিখে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা অবশ্যই করতে পারেন। পরিবার, মা-বাবা, সমাজ ও রাষ্ট্রকেও এদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সবরকম সহায়তা দিতে হবে। আমাদের সবার স্নেহ-ভালোবাসা ও কর্তব্যপরায়ণতার ছোঁয়ায় ছন্নছাড়া ও উচ্ছন্নে যাওয়া হিজড়া বলে চিহ্নিত মানুষদের সবাই না হোক, অনেকে সমাজ ও দেশের এসেটে রূপান্তরিত হতে পারেন। শুধু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। আসুন, আমরা হিজড়াদের সম্পর্কে হীনম্মন্য না হয়ে ঔদার্যপূর্ণ ও সহমর্মিতার হাত বাড়াই

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা বড়ই অবহেলার শিকার। সরকারী ভাবেও এরা নিগৃহিত। এরা চায়ের দোকান দিলে আমরা কি সেখান থেকে চা খাব? না।

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এক দল মানুষকে সমাজের মূল স্রোত থেকে আলাদা করে রাখলে তাঁরা সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে। তাঁরা সমাজের বোঝা হয়ে থাকে আর হিজরার সংখ্যাও তো একেবারে কম নয়। এই বিপুল জনগোষ্ঠী না নিজেদের জন্য কিছু করতে পারছে না দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে। সরকারের উচিৎ এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। দেশের কাজে লাগানো। আমি এদেরকে হিজড়া বলতেই নারাজ এরা শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ। পরিবারকেও এদের দায়িত্ব নিতে হবে। হিজড়া বলে আমরা তাদেরকে আলাদা করে ফেলে নিজেরাই সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছি। লেখককে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টিতে আলোকপাত করার জন্য।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন ভাই। ভালো লাগলো।

কেন জানি তাদের দেখলে আমি উদাস হয়ে যাই ,অনেকসময় ভাবি ,কেন সৃষ্টিকর্তা এভাবে তৈরি করলো তাদের। তাদের তো সব থেকেও সবকিছু হারা , পরিবেশ সমাজ পাড়া মহল্লা এমনকি নিজের পরিবারবর্গের সাথেও তাদের আর বনিবনা হয়ে উঠে না। সবাই কেমন অন্যরকম ঘৃণ্য ভেবে এড়িয়ে চলে তাদের। তাদের খুঁজ নেওয়ার মানুষের খুব অভাব সমাজে। রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালু করলে তাদের ভবিষ্যৎ ভেবে মরার আগেই আর প্রাণটা হারাতে হতো না। আমি অনেক দেখেছি তাদের , তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা মনে হলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে ,নিরাশ হয়ে বসে পড়তে।

আপনার এধরণের পোষ্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। তাদের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হওয়া উচিৎ সমাজের ,মানুষের। আপনার আহ্বানে শ্রদ্ধা রেখে যাচ্ছি।

শুভকামনা জানবেন।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২১

মানবী বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন, ১০০% সহমত।
আমাদের দেশে হিজড়া পূণর্বাসনের সাথে সাথে আর্থসামাজিক অবস্থান নির্বিশেষ সন্তান জন্মালে তাকে আদর ভালোবাসায় স্বাভাবিক ভাবে লালন পালন করা জরুরী। সৃষ্টিকর্তায় ইচ্ছায় তাঁরা এভাবে জন্মেছেন এটাকে লজ্জাকর বা অভিশাপ হিসাবে দেখার কিছু নেই।
ইদানীং পরিপুর্ণ ভাবে নারী পুরুষ হিসেবে জন্মেও আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার সাহায্যে লিঙ্গান্তর করছে, সেখানে ইচ্ছে করলে প্লাস্টিক সার্জারীর মাধ্যমে হিজড়াদেরও পরিপূর্ণ নারী পুরুষের গড়ন দেয়া যায়, তবে লিঙ্গান্তরিতদের মতো প্রজনন ক্ষমতার রহেরফের সম্ভব নয়। খুব জরুরীও নয়।

দীর্ঘকাল আগে এমন এক বিস্ময়কর গুনী মানুষকে নিয়ে লিখেছিলাম। দক্ষিন আফ্রিকার মতো একটি দেশে তাঁরা সমাদৃত হতে পারলে আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সমাদর না হওয়াটা দুঃখজনক ও লজ্জাকর।

সুন্দর মানবিক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মহিউদ্দিন হায়দার।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখাটি সুন্দর হয়েছে।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রুরু বলেছেন: এরা বর্তমানে ডাকাতে রুপান্তরিত হচ্ছে।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



এদের সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন, অন্যথায় এরা অন্যায় অপরাধে লিপ্ত হতেই থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.