নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বললাম তো কিছু জানিনা দুঃখিত ।

ফুসকা

তেমন কিছু জানিনা আমি । অতি সাধারন একজন মানুষ আমি ।

ফুসকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজাদার দের জন্য একটি অতি গুরুত্ব পূর্ণ পোস্ট

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭

বাংলাদেশে এইবার আমার দেখামতে সবচেয়ে দীর্ঘ রোজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যার ব্যাপ্তি প্রায় ১৫ ঘন্টা। এত দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার পর ইফতারে আমরা যদি একটু সতর্ক না হই তাহলে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা এবং যেকোন রোজাদার হয়ে পড়তে পারেন অসুস্থ তাই আমরা সবাই যদি সেহেরী, ইফতার ও দিনের কাজকর্মের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হই এবং অতি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলি তাহলে আশা করি সবাই সুস্থ থাকতে পারব।



১. সেহেরির সময় প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন, আপনি আগামী ১৫ঘন্টা কোন পানি পান করতে পারবেন না একথা মাথায় রেখে যত বেশী সম্ভব পানি পান করুন।

২. সেহেরিতে একটু ভারী খাবার খেতে চেস্টা করুন তবে অবশ্যই তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার বর্জনের চেস্টা করবেন সম্ভব হলে না খাওয়াই ভালো কারন তেল বা চর্বি হজম হতে প্রচুর পানি প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে মাছ বা মুরগি সবচেয়ে ভাল বিকল্প হতে পারে।

২. সুতি ও হাল্কা রঙের কাপড় পরার চেস্টা করন শরীরকে যতটা সম্ভব কম উন্মুক্ত রাখার চেস্টা করুন কারন সূর্যের তাপ সুযোগ পেলেই আপনার শরীর থেকে পানিকে ঘামের আকারে বের করে নিবে!

৩. রোদ থেকে বাচার জন্য ছাতা ব্যাবহার করতে পারেন এবং সাথে থাকা বোতলের পানিতে রুমাল ভিজিয়ে কিছুক্ষন পর পর হাত, মুখ ও বিশেষ করে ঘাড় ও এর চারপাশ মুছে নিন এটি আপনাকে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করবে। যাদের কাছে রুমাল থাকবেনা তারা বার বার মুখে পানির ঝাপটা দিন ও ভেজা হাত দিয়ে ঘাড় ও এর চারপাশ মুছে নিন।

৪. দিনে মার্কেট ও এসি দুটো থেকেই দূরে থাকুন কারন মারকেটের গরম ও এসির ঠাণ্ডা দুটোই আপনার জন্য সমান ক্ষতিকর।

৫. ইফতারে অবশ্যই স্যালাইন রাখবেন নাহয় লেবুর শরবত দুটোই যদি থাকে সেটা আরো ভালো, এক্ষেত্রে ইসুবগুল আবার অনেকের টনসিল বা ঠান্ডার কারন হতে পারে, তবে অবশ্যই ফ্রিজের পানি পরিহার করবেন স্বাভাবিকের চেয়ে একটু ঠাণ্ডা হলে সমস্যা নেই তবে দীর্ঘ বিরতির পর বরফ শীতল পানি আপনার গলা এবং দাঁত দুটোকেই সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৬. কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস এগুলো কখনোই পানির বিকল্প না বরং এগুলো হজম হওয়ার সময় শরীর থেকে পানি শোষণ করে। দীর্ঘ বিরতির পর তাই প্রথমেই খালি পেটে এগুলো গ্রহন করলে বধজম, পেটফাঁপা এমনকি গেস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে।

৭. ইফতারের সময় অবশ্যই একসাথে বড় চুমুক দিয়ে পানি পান করবেন না প্রথমে ছোট ছোট চুমুকে অল্প অল্প করে পান করুন তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিমানে পানি পান করুন। এতে করে আপনি গ্যাস্ট্রিকের আক্রমন থেকে রক্ষা পাবেন।

৮. ইফতারে ভাজাপোড়া না খেয়ে প্রচুর পরিমানে মৌসুমি ফল খান, ফল আপনার সারাদিনের পানি ও খনিজ লবনের ঘাটতি পুরন করে আপনাকে করে তুলবে সজীব ও প্রাণবন্ত!

৯. যারা অসুস্থ আছেন বিশেষ করে ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা নিজ নিজ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ গ্রহণের নতুন কোর্স নির্ধারণ করে নিবেন কারন বেশিরভাগ ঔষধের কার্যক্ষমতা ৬-৮ ঘন্টা।

১০. খালিপেটে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত কোন ঔষধ খাবেন না, খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট পর প্রচুর পানি সহকারে ঔষধ খাবেন। বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখবেন যেসকল ঔষধের নামের শেষ অংশে অল বা ইন আছে( যেমন প্যারাসিটামল বা সিনামিন বা হিস্টাসিন) সেই সকল ঔষধ যাতে কেউ খালিপেটে না খায়।



সর্বোপরি নিজের এবং অন্যের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন এবং একথা কখনোই ভুলে যাবেন না যে রোজার মাস সংযমের মাস, তাই সংযমী হোন এবং সুস্থ থাকুন, সবাইকে ধন্যবাদ।



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.