![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আর কতোটুকু পারি ? কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়, আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।
এত ভোরে ডোর বেলের শব্দে অনেক কষ্টে চোখ মেললো পার্থ।
- দুশ শালা কে এই সাত সকালে এমনে বেল বাজাইতেসে?
নিজের মনেই বিড় বিড় করে সে। বহু কষ্টে টলতে টলতে এগোলো সে দরজার দিকে। কালরাতে একটু বেশিই টেনে ফেলেছিলো। তার কি দোষ, এইভাবে সামিরার হাতে ধরা খাবে সে কি স্বপ্নেও তা ভেবেছিলো!
দরজা খুলতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠলো সে। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মূর্তীমান সামিরা। নিজের চোখকেও বিশ্বাস হয় না তার।চোখ কচলে ভালোভাবে তাকাতে চেষ্টা করে। সত্যিই সামিরা তো নাকি মাতলামী ঘোরে বুয়াকেই সামিরা দেখছে। নাহ সামিরাই তো। এত ভোরে তাও কালকের ফাইনাল ব্রেক আপের পর আবার সামিরা আসছে ! নাহ কোনো কিছুই মানে সে কোনো ঘটনার সাথেই কো রিলেট করতে পারে না। মাথা ঝিমঝিম করছে। সামিরা ওর বিধস্থ চেহারার দিকে বিস্মিত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। সে অবাক হয়ে জিগাসা করে,
-তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো? কি হয়েছে?
পার্থ যেন ভীমরি খায়। আবার চোখ কচলায়। এটা সামিরাই তো ? নাকি সামিরার ভুত? কাল সিলভির সাথে রেস্টুরেন্টে ধরা খাবার পরে যে সব ঘটনা ঘটে গেলো এবং সামিরা রণ রঙ্গিনী মূর্তী ধারণ করে তুলকালাম বাঁধালো এবং শেষমেশ সাক্ষী সাবুদ সহযোগে ফাইনাল ব্রেক আপ। তারপর আজকে তার এভাবে ফিরে আসার কোনো কারনই খুঁজে পাওয়া যায়না। অনেক কষ্টে আমতা আমতা করে ভয়ে ভয়ে বলে পার্থ,
- তুমি এ অসময়ে? মানে এত সকালে!
সামিরা ততোধিক বিস্মিত হয়ে বলে,
-এত সকাল কোথায়? এখন তো ১১টা বাজে। আজ না আমাদের বসুন্ধরা সিনে প্লেক্সে ম্যুভি দেখবার কথা? ভুলে গেলে?
পার্থর চোখ বুঝি ঠিকরে বের হয়ে আসতে চায়। সামিরার মাথা মুথা ঠিক আছে তো! এইটা কেমনে হয়! তবুও সে যত টুকু সম্ভব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে । সামিরা বলে,
- আমি বসছি তুমি তৈরি হয়ে নাও।
সে ভেতরে ঢুকতে যায়। পার্থর আত্মা উড়ে যায় এইবার। ভেতরের যা অবস্থা সামিরা নিশ্চয় খুন করবে ওকে।
সে ভয়ে ভয়ে দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়ায়। সামিরাকে বসতে বলে। সামিরা ওর রুমে ঢুকে ওর চেহারার চাইতেও বিধস্থ রুমটার দিকে বিমর্ষ চোখে তাকিয়ে থাকে। চারিদিকে সিগারেটের প্যাকেট, খাবারের উচ্ছিষ্ঠ, থালা গ্লাস ছড়ানো। ওকে আড়াল করে দক্ষ ম্যাজিশিয়ানের মত পার্থ বেডের একসাইডে রাখা ব্লাক লেভেলের বোতলটা বিছানার নীচে পা দিয়ে ঠেলে চালান করে দেয়।
বুকের মধ্যে গুড় গুড় করতে থাকে ওর। দেখে নাই তো সামিরা? এই মাইয়ার চোখ থাইকা তো একটা মাছিও পালাতে পারেনা। মাছি তো তবুও বড় প্রানী, অনুবীক্ষন যন্ত্র ছাড়াই এই মাইয়া ব্যাকটেরিয়ার শরীরের নিঁখুত বর্ণনা দিয়া দিতে পারবে অনায়াসে।
সে আড়চোখ তাকায় সামিরার দিকে। কিন্তু সামিরা এমনই উদাস ভঙ্গিতে বসে আছে । মনে হয় আজকে খেয়াল করে নাই। দ্বিধা-দ্বন্দ সত্বেও এক ফোটা আশা জমে থাকে পার্থের হৃদয়ে। সে তৈরী হতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
বনমহুয়া বলেছেন: আমার প্রথম প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মোটামুটি লাগলো
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
বনমহুয়া বলেছেন: মোটামুটি কেন? আমার তো খুবই ভালো লাগলো । লিখতে পেরে।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক ভাল হয়েছে। তবে কাহিনীটা ঠিক জমে উঠেনি লাগল। চালিয়ে যান। ১ম প্লাস।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
বনমহুয়া বলেছেন: জমাবোনে গেম ভাই। কেবল তো শুরু।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০
জেন রসি বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইলো।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
বনমহুয়া বলেছেন: আপনারই শুধু ভালো লাগলো। কিন্তু ঘটনা তো এখনও আসেই নি।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: কেউ যদি সকালে এসে আমার ঘুম ভাঙিয়ে বলে যে তোকে এক লক্ষ টাকা দেবো, আমি সাথে সাথে তার পাছায় একটা লাথি কসিয়ে বলবো 'দূরে গিয়া মর!'
একটু ছোট হলেও আপনার গল্পের বর্ননা ছিল সাবলিল! চালিয়ে যান, সাথে আছি!
শুভ কামনা!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
বনমহুয়া বলেছেন: এইটা কি কইলেন ভাই? আপনি তো অসভ্য লোক। একটা মেয়েকে এইভাবে বলবেন? মানে আপনার মনের ইচ্ছা আপনি একটা মেয়ে এসে আপনাকে ডাকলেও .......... লাত্থি দিবেন?
এখুনি ক্ষমা চান মেয়েদের কাছে নইলে ......
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
জুন বলেছেন: +
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
বনমহুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
সুমন কর বলেছেন: হুম !! সাদামাটা, আরো একটু লিখলে ভালো হতো।
অ.ট.: হাহাহা......আপনি দেখি সে পোস্টে লাইক দিয়ে এলেন !!! [আপনার সাথে, না খারাপ ব্যবহার করেছে]
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
বনমহুয়া বলেছেন: আর একটু লিখছি এবং আরও লিখবো
http://www.somewhereinblog.net/blog/mohuya/30080073
আর সেই পোস্টে লাইক দিলাম কারন কান্দাকাটি করছিলো শিশুটা। কমেন্টও দিসিলাম কিন্তু সে বড়ই অপরিনত শিশু। রাগ করে কমেন্ট মুছে দিসে। লাইক মুছা গেলে সেটাও মুছতো। মনে হয় কাঁদতেছে। বেচারা।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালোই লাগলো । পার্থ অার সামিরার মধ্যে হুমায়ুন অাহমেদের হিমু অার রুপার প্রেতাত্মা টের পেলাম ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১
বনমহুয়া বলেছেন: তা আমিই টের পাচ্ছি। কি করা বলেন তারা হুমায়ুন যুগের ছেলেমেয়ে।
৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
অশ্রুকারিগর বলেছেন: পাকা লেখনি ! ভাল লাগল !
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১
বনমহুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ।
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
চ্যাং বলেছেন: ঔউাওঔউাওঔউাওঔউাওঔউাওঔউাওঔউাও ইতু ইতু ভাল লেখে কিবনে?? আমি তো গিবনেও পাইট্টুম না।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
বনমহুয়া বলেছেন: এটা কোন গ্রহের ভাষা আমার জানা নেই তাই উত্তর দিতে পারলাম না।
১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: শুরুটা ভাল লেগেছে । সুন্দর কোমল লেখনী ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
বনমহুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রাঞ্জল-সাবলীল বর্ণনায় লেখা।ভালো লাগা---এবং ভ্রান্তি-বিলাস পাঠ স্টার্ট করিলাম আপুনি
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯
বনমহুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এবার বুঝেছি ভুত রহস্য। কিন্তু সামিয়াটা কে। পেত্নী নাকি?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২
বনমহুয়া বলেছেন: সামিয়া গল্পের নায়িকা।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: দ্বিধা-দ্বন্দ সত্বেও এক ফোটা আশা জমে থাকে পার্থের হৃদয়ে -- খুব চমৎকার একটা অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটলো এই অল্প কথায়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
বনমহুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুলভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ