![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
What’s the difference between মাছ and সামুদ্রিক প্রাণী? I mean, মাছ কি একটা সামুদ্রিক প্রাণী না? মাছের কি প্রান নাই? মাছ কি জড় পদার্থ নাকি? মাছেরও তো প্রান আছে তাইনা? এই হিহাবে তো মাছও একটা প্রানী। কিংবা সামুদ্রিক প্রাণী যেমন তিমি মাছ কি একটা মাছ না? আর তাছাড়া তিমি মাছকে প্রাণী বলে কেন? তিমি মাছ তো আর অন্য প্রাণীদের মতো গাছে বা গুহায় বাস করে না, পানিতে সাতরে বেড়ায় Or even অন্যান্য উভচর প্রাণীর মতো তো তারা কোনদিন স্থলভাগে আসেনা। অন্য মাছের থেকে তিমির শুধু একটাইমাত্র উল্লেখযোগ্য পার্থক্য যে তারা স্তন্যপায়ী আর সাইজে অনেক বড়। এছাড়া আর তেমন কোণ আহামরি পার্থক্য তো নাই। মাছের দৈহিক ও জৈবিক গঠন এবং চারিত্রিক বৈশিস্টের সাথে তো তিমির তেমন কোণ পার্থক্য খুজে পাইনা। গতকাল এই বিষয়টা নিয়ে একটু ধাধায় পরেছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম যে, আসলে বিজ্ঞানীরা পানিতে বসবাসকারী সব প্রানীদের দুইভাগে ভাগ করেছে। ১/মাছ আর ২/ সামুদ্রিক প্রাণী। এই কারনে যে, There used to be some prehistoric sea monsters in our oceans, before the last meteor crash in planet earth. সেসব সামুদ্রিক মনস্টারদের Definitely মাছ বলা যায়না। তাছারা সাগরে কিছু কিছু উদ্ভট প্রানী আছে যেমন জেলী ফিস, স্টার ফিস, অক্টোপাস ইত্যাদি। তাই বিজ্ঞান নরমাল মাছদের একটা শ্রেণী করে বাকি সবগুলোকে সামুদ্রিক প্রানী ঝুরিতে ফেলে দিয়েছে। আর স্থলভাগের সব প্রাণীদের হয়ত কয়েকটা ভাগে ভাগ করেছে। যেমন, স্তন্যপায়ী প্রাণী, তৃণভোজী প্রাণী, মাংসাশী প্রানী ইত্যাদি। কিন্তু আমার মতে বিজ্ঞান এখানে শুধু একটা শ্রেণীবিন্যাস করতে পারতো। ১/ Intelligent প্রানী ও ২/Non-Intelligent প্রানী। Intelligent প্রাণী শুধু মানুষ আর বাকি সব প্রাণীরা Non-Intelligent গ্রুপের। কারন, বাংলাদেশের বিজ্ঞান বইগুলা মানুষকে প্রানী জগত থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছে। এসব বইয়ে সাধারণত বলে থাকে- মানুষ, পশুপাখি ও জীবজন্তু। কিন্তু মানুষও এক হিসাবে জীবজন্তুই। জন্তু না হলেও জীব তো। আর তাছারা কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষ জন্তুদের চেয়ে কোন অংশে কমনা। অন্য জীবজন্তু থেকে মানুষের পার্থক্য শুধু এইটাই যে, Human being is the most intelligent and complex form of life in the planet. কিন্তু বাংলাদেশের বিজ্ঞান ভুলে যায়, আমরাও একটা প্রানী/জীব। অথচ, ইংলিশে বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলোতে কখনই এই কথা বলে না। Science doesn’t say like that. সাইন্স বলে-All the plants and animals, birds and Insects and all other living being…এভাবে।
আমি বলতে চাচ্ছি, আমাদের সাথে দৈহিক গঠনে পার্থক্য থাকলেও জৈবিক গঠনে কিন্তু অন্যান্য প্রানীদের থেকে কোন পার্থক্য নাই। তাই মানুষ জাতীকে একদম জীবজগত থেকে আলাদা করে ‘মানুষ’ নামে মহিমান্বিত করার তেমন কোণ প্রয়োজন দেখিনা। বাংলাদেশের বিজ্ঞানের বইয়ে তাই পৃথিবীর অধিবাসীদের এভাবে বলা উচিৎ- উদ্ভিদ, জীব, পাখি ও কীটপতঙ্গ। আর মানুষকে এবং মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণীদের জীব-এর অধীনে Classification এর সময় বলা। তানা করে আমরা যখন বলি- মানুষ, পশু-পাখি, জীব-জন্তু, গাছ-পালা, মাছ ও উদ্ভিদ; তখন আক্ষরিকভাবে আমরা নিজেদের জড় পদার্থ বলে থাকি আর নিজেদের অনেক বেশি মহিমান্বিত করে ফেলি।
অথচ মহাবিষের হিসাবে কিছুদিন পূর্বে আমরাও একরকম জীবজন্তুর পর্যায়েই ছিলাম। মানুষ প্রাণীদের সাথে একিভাবে জঙ্গলে বসবাস করতো। তারপর, হটাত একদিন তারা সভ্য হয়ে গেল। আর জঙ্গলের আগের সেই বন্ধুবান্ধবদের জন্তু-জানোয়ার নামে গালাগালি শুরু করে দিল। এটাই Human being এর মেইন সমস্যা। নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ বলা দাবি করা। কিন্তু মানব কি আসলেই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি? পৃথিবীতে প্রানের সঞ্চার হওয়ার পর থেকে সব প্রজাতির মধ্যে এই একমাত্র মানব জাতি নিজেদের আরামে থাকার জন্য পৃথিবীকে যতটা ক্ষতির সম্মুখীন করেছে, বাকি কোণ প্রজাতি তা করতে পারেনাই। কিন্তু পরোক্ষভাবে যে এই ক্ষতি নিজের ক্ষতি ডেকে আনছে তা সে বুঝতে পারছেনা। যদি নিজের প্রজাতিকে রক্ষা করার মতো এইটুকু বুদ্ধি থাকতো আর নিজেকে স্বার্থপর প্রজাতি হিসাবে প্রমান না করে যদি একটু নিজের ভালটা বুঝার মতো বুদ্ধিমান হতো, তাহলে নির্দ্বিধায় মানব সম্প্রদায়কে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসাবে মেনে নেয়া যেত।
আসলে, মানব কি সত্য শুনতে চায়? যে কিভাবে রাতারাতি তারা ডিপ-কালাহারি ডেসার্ট থেকে চাঁদে চলে গেল? Do they really wanna know, how did they get such dramatic leap of intelligence level? কিভাবে গুহাবাসী মানুষ তির-ধনুক থেকে পিরামিড বানালো?
আমাদের Intelligence level কিভাবে শূন্য থেকে মহাশূন্যে চলে গেল? সেটা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের অনেক Disturbing থিওরি আছে (যা শুনলে মানবের পিলে চমকে যাবে) এবং সেই থিউরিকে সাপোর্ট করার মতো কয়েক লক্ষ Physical and hard evidence আছে। কিন্তু বিজ্ঞান সত্য বলতে চাইলেও নির্বোধ মানব জাতি সত্যকে প্রকাশ করতে দেয়না। মাটি চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কারন, মানব চায়না তাদের পিলে চমকে যাক। আর তাছারা ধর্মজগতের অন্ধবিশ্বাসকারী যত গবেটের দল আছে, তারা সত্য কথা শুনলে অর্ধেক জনসংখ্যা হার্ট-ফেইল করে মারা যাবে, আর বাকি অর্ধেক দুনিয়ার মধ্যে পারমানবিক যুদ্ধ শুরু করে দিবে। এই ভয়ে বিজ্ঞানীরা সব সত্য বলেনা। কিন্তু মিথ্যাও বলেনা। সেই জায়গা গুলোতে তারা শুধু কিছু গ্যাপ দিয়ে রেখেছে। যারা গভিরভাবে মানব সভ্যতার ইতাহাস পরেছেন, তারা কেউ কেউ এই গ্যাপগুলো খুজে পান। এই গ্যাপগুলোতে লুকানো আছে জগতের চরম সত্যাগুলো। সেই সত্যতা যে আবিষ্কার করতে পারবে, একমাত্র সেই বুঝবে যে, মানব/মানুষকে জীব-জগত থেকে খুব চাঙ্গে উঠানোর কিছু নেই।
একারনে, মানুষকে বুদ্ধিমান প্রাণী বলা উচিৎ। কিন্তু একেবারে জীব-জগত থেকে আলাদা ভাবে একটা স্থানে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ‘মানুষ’ নাম দিয়ে মহিমান্বিত করতে গিয়ে জড় পদার্থে পরিনত করা থেকে বিরত থাকাই আমার মনে হয় উচিৎ।
কারন, বস্তুগতভাবে পৃথিবীর সমস্ত কিছু দুটি ভাগে বিভক্ত। 1/Alive Object ও 2/Dead Object। জীব ও জড় বস্তু। মানুষ নিশ্চয়ই জড় বস্তু নয়। তাহলে, জীব হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে তার এতো কেন গায়ে লাগে?
©somewhere in net ltd.