![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাইফ বা জীবন একটাই, এটা আমি মোটেও বিশ্বাস করিনা। যদিও আমি এক ধরনের নাস্তিক। {chilam}
কারন, এমন কোন বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে জীবন চালানোটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় বোকামি। কেননা, যদি জীবন একটাই হয়, যদি পরকাল বা পুনরুত্থান, প্যরালাল ইউনিভার্স কিংবা অতীত-ভবিষ্যৎ, কিংবা পুনর্জন্ম বলে কোন কিছু না থাকে, তবে কেন আমি জোর পূর্বক সব নিয়ে নিচ্ছি না? কারন আমাকে তো ধরার বা ছোয়ার কেউ নেই। আমি তো অসীম থেকে এসেছি, অসীমে মিলিয়ে যাবো। খোদা, ভগবান, আল্লাহ, ঈশ্বর বলে যদি কোন করট্রলিং বডি না থাকতো তাহলে আমরা গরিব হয়ে যারা জন্মেছি, দুঃখ-কষ্ট আমাদের যাদের একমাত্র পাওয়া, তারা কেন পৃথিবীর সব ধনিদের খুন করে নিজেরা আরাম-আয়েশের জীবন-যাপন করিনা? কিংবা আমার যা খুশী আমি তাই কেন আমি ভোগ করছি না? জীবন তো একটাই। আমি কেন তাহলে এই এক জীবনে আমি শুধু কষ্টই করে যাবো? উইদাউট এনি রিজন? এর অবশ্যই কোন একটা কারন আছে। জগতের কোন কিছুই কার্যকারণ ছাড়া ঘটেনা।
ভগবান ঈশ্বর বলতে আমরা যে সুপ্রিম পাওয়ারের কথা চিন্তা করি এই সুপ্রিম পাওয়ার অবশ্যই আছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা হয়ত এই সুপ্রিম কাইন্ডের সাথে কোন এক ধরনের কানেকশান তৈরি করতে পেরেছিলেন। কারন তারা প্রকৃতিকে অনেক ভালো করে জানতেন, তাদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ছিল। যা আমাদের নাই।
আবার আমাদের মধ্যে যে সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করার, পরীক্ষা নিরীক্ষা-পর্যবেক্ষণের, জ্ঞ্যান-বিজ্ঞান দিয়ে যাচাই করার, অনুসন্ধান করার ক্ষমতা আছে তা তাদের ছিলনা। কিন্তু তাই বলে আমাদের পূর্বপুরুষরা গরু ছিলেন না। তাদের যে জ্ঞ্যান দিয়ে তারা কোন রকম দুরবিন ছাড়া আকাশের সমস্ত কিছু গননা করে গিয়েছেন, মিরামিড তৈরি করে গিয়েছেন, প্রফেসি বা ভবিষ্যৎবানী করে গিয়েছেন তার কোন তুলনা আমাদের জ্ঞ্যানের সাথে হয়না।
বিজ্ঞানীরাও প্রফেসি করতে পারে। যেমনঃ সূর্য গ্রহন, চন্দ্র গ্রহন। একুরেট প্রফেসি। কিন্তু যদি গ্যালিলিও ট্যালিস্কোপ আবিষ্কার না করতো, যদি কেউ দূরবীন আবিষ্কার করতে না পারতো, যদি বিজ্ঞানীদের স্যাটেলাইট না থাকতো তাহলে কখনই তারা এইসব তথ্য একুরেটলি দিতে পারতেন না।
কিন্তু আমাদের হাজার বছর আগের মানুষজন এতো উন্নত বুদ্ধিমত্তার ছিল যে তারা বুঝতে পেরেছিল এই পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময় এইদিন থেমে যাবে। সব শেষ হয়ে যাবে। তাই তারা সময় কে চিহ্নিত করে রাখার জন্য পঞ্জিকার প্রয়োজন বুঝতে পারলেন। কারন, আমাদের সময়কে যদি ঘরির কাটায় পরিমাপ করতে না পাড়তাম আমরা কখনই জানতাম না আমাদের তৈরি হতে কত সময় লেগেছে, আর পৃথিবীকে ভোগ করার জন্য আমাদের কতটুকু সময় বাকি রয়েছে। এই প্রয়োজনটা যারা অনুভব করেছিলেন তারাই হচ্ছে এই ‘মায়া সভ্যতা’ যারা নিখুঁত গননা করে গিয়েছিলেন। আর এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে জিনিয়াস সভ্যতা আমার মতে। কারন তাদের যুগে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, নৃতত্ত্ব তথা কোন বিদ্যাই তখন ছিলনা যে বিদ্যার দ্বারা তারা এসব আবিষ্কার করেছেন।
তারা শুধু একটাই বিদ্যা জানতো। আধ্যাত্মিক বিদ্যা। এবং এই বিদ্যার চেয়ে নির্ভুল পৃথিবীর আর কোন বিদ্যা নাই। কারন বাকি সব বিদ্যা পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন এসবের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আধ্যাত্মিক বিদ্যায় তা নেই। একবার যা বলা হবে সেটাই সঠিক।
কিন্তু আধ্যাত্মিক বিদ্যার মধ্যে প্রকারভেদ আছে। কিছু আধ্যাত্মিক বিদ্যা ভন্ড, ফেইক, ফাউল। কিছু আধ্যাত্মিক বিদ্যা জেনুইন। আর কিছু আধ্যাত্মিক বিদ্যা ঐশ্বরিক, স্রষ্টা প্রদত্ত।
যেসব আধ্যাত্মিক বিদ্যা ফাউল বা ভন্ড সেগুলা হচ্ছে পীর-ফকিরের ফাইজলামি, চোখের ধাঁধা। ম্যাজিক। আর কিছুই না।
কিছু আধ্যাত্মিক বিদ্যা জেনুইন। যেমনঃ চীনের এক লোক গলা দিয়ে মোটা লোহার বল্লম বাকিয়ে ফেলেছেন। ভারতের এক লোক নাক-মুখ দিয়ে সাপ খেয়ে ফেলেন। ক্রিস এঞ্জেল (ম্যাজিশিয়ান) মানুষকে শূন্যে ঝুলিয়ে রাখতে পাড়েন। এসব জিনিশ ফিজিক্যালি ইম্পসিবল। এগুলো একমাত্র সম্ভব আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে।
কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি আছে যার উৎপত্তি পৃথিবীর বাইরে। সেগুলো হচ্ছে ঐশরিক বিদ্যা। হাতে গনা কয়েকজন নবী, অবতার কিংবা মেসেঞ্জারকে এই ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যারা নিজেদের কখনোই খোদা বলে দাবি করেনি। তাদের মধ্যে যীশু হয়ত একজন ছিলেন। আর নবী রাসুলদের ৯০ ভাগই ছিল ভন্ড-প্রতারক-মিথ্যাবাদী। সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী ছিল মুহাম্মদ নিজে। যে নিজেকে শেষ নবী দাবি করেছে। সে নাকি সাত আসমান ঘুরে এসেছে, আল্লাহর সাথে কোলাকোলি করে এসেছে, জান্নাত-জাহান্নাম দেখে এসেছে। সে ছিল একজন উন্মাদ। আর যদি সে উন্মাদ না হয় আমি তাকে বিশ্বাস করবো একজন ‘এবডাক্টি’ হিসাবে।
তাকে ঘুমের মধ্যে হয়ত এলিয়েনরা প্যারালাইজড করে এবডাক্ট করে শূন্যে ছড়িয়েছে। কয়েকটা গ্রহ দেখিয়েছে। যেখানে হয়ত একটা খুব সুন্দর গ্রহ ছিল যেটা উনি জান্নাত ভেবেছে, আরেকটা হয়ত খুব গরম ছিল সূর্যের মতো যেটাকে উনি জাহান্নাম ভেবেছে। আর বোরাক হয়ত ছিল কোন ফ্লায়িং সসার। আর জিব্রাইল ছিল কোন এলিয়েন যে ট্যালিপ্যাথির মাধ্যমে উনার সাথে কথা বলেছে। এবং উনাকে ফিজিক্যালি কন্ট্রোল করেছে ব্রেইনকে হ্যক করে।
পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম গুলো ‘বুলসেভিক’। এগুলোর কোন ভিত্তি নাই। সমস্তটাই কাল্পনিক রুপকথার গল্পে পরিপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে একেবারে নাস্তিক হয়ে গেলে সমস্যা। নাস্তিকরা এক ধরনের হতাশায় ভুগে। কারন তাদের মতে কিছুই নাই। আর এই নেগেটিভিটি এক সময় তাদেরকে ছন্নছাড়া করে দেয় কিংবা ভোগবিলাসী জীবনে গা ভাসিয়ে দিয়ার প্রশ্রয় দেয়।
©somewhere in net ltd.