![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের সব ধরনের কষ্ট কাগজে-কলমে লিখে প্রকাশ করা যায়না। কিছু কষ্ট আছে যা হাজার চেষ্টা করেও কোন ভাসাতেই বুঝানো যায়না। হয়ত কোন রকম একটা ভাব দাড়া করানো যায়, কয়েকটা বিশেষ শব্দমালা দিয়ে। কিন্তু তারপরও অরিজিনাল কষ্টের ১০ ভাগের এক ভাগ ভাবও হয়ত প্রকাশ পায়না সেই শব্দ/শব্দমালা দিয়ে।
যেমন বায়ুর চাপ কেমন? বিজ্ঞানীরা আমাদের বোঝানোর জন্য হয়ত বলে থাকেন- ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০০০ ফুট উপরে গেলে তুমি যে বায়ুর চাপের সম্মুখীন হবে তা ১০টা লরি একসাথে তোমাকে চাপা দেয়ার সমান পরিমান ভয়াবহ।
আসলে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও চাপা দেয়ার মতো না। চাপা দিলে তো তুমি ভর্তা হয়ে যাবে, পিষে যাবে। কিন্তু বায়ুর চাপ অন্যরকম চাপ। এই চাপের কিয়দাংশ অনুভব করতে পেরেছে যারা কখনও বিমানে চরেছে। বিমান যখন হটাৎ করে খাড়া উপরে অনেক উচ্চতায় উঠে যায়, কিংবা অনেক উচ্চতা থেকে খাড়া নিচের দিকে নামতে থাকে, তখন ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি হয় শরীরে। সবার হয়ত হয়না। কিন্তু আমার হয়েছিল। অনেকেরই হয়। সেই চাপ এমন তীব্র, মনে হয় কেউ চাপ দিয়ে মাথার ভিতরের ব্রেইনকে কান দিয়ে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। কান চাপ দিয়ে ধরে রেখেও লাভ হয়না। এক ধরনের ধাতব যন্ত্রনা হয় মাথার মধ্যে। চোখ মুখ কুচকে পরে থাকতে হয়। এটা বায়ুর সামান্য চাপের কারনে হয়।
এমনি ভাবে মানুষের জীবনের অনেক চাপ আছে যা হয়ত আমরা ভাষা দিয়ে কমই বোঝাতে পারি। কারন, ভাষা যখন উদ্ভব হয় তখন মানুষের জীবনে এই ধরনের চাপ বা কষ্ট ছিলনা। জীবন ছিল তখন পানির মতো নির্মল। তাই সেই কষ্ট বা অনুভুতি গুলো বোঝানোর মতো ভাষা উদ্ভাবিত হয়নি। যেমনঃ সাপ সম্বন্ধীয় অনেক ভাষা বা প্রতিশব্দ আছে। সাপের দংসন, সাপের ছোবল, সাপের ফনা, সাপের হিশহিশ/ফোশফোশ ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আধুনিক যুগে শরীরে ট্যাটু আকাতে গেলেও কিন্তু এক ধরনের ব্যাথা পাওয়া যায়। রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু সেই ব্যাথাকে একটা নির্দিষ্ট নাম দেয়া এখন সম্ভব না। কারন ভাষার উদ্ভবনকারিরা যখন ছিলেন তখন হয়ত তাদের কেউ ট্যাটু কি তা চিন্তাও করতে পারতোনা।
তবে প্রাচীন যুগের গুহা মানব কিংবা বনমানুষদের কথা আলাদা। তারা আমাদের হাজার বছর আগেই বারবিকিউ করতেন, সিক্স প্যাক বানাতেন, গায়ে ট্যাটু আকাতেন। তারা আমাদের চেয়ে হয়ত সভ্য এবং স্মার্ট ছিলেন।
©somewhere in net ltd.