| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোমেরমানুষ৭১
আমার সাথে যোগাযোগ করতে[email protected] আমার ওয়েবসাইট www.momermanush.com
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের এক নারী সদস্যের মুখে যে শব্দ নিয়ে এতো হৈ চৈ, সেই ‘চুদুরবুদুর’ শব্দটি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদে নিজের কার্যালয়ে বসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শব্দটি একটি কলোকোয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ। সংসদে ওই শব্দটি যখন উচ্চারিত হয় তখনো আমি বলিনি যে এক্সপাঞ্জ করা হবে। এটা অশালীন কোনো শব্দ নয়।”
গত ৯ জুন সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেহানা আক্তার রানু বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুরবুদুর চইলত ন।”
ফেনীর বাসিন্দা রেহানা তার অঞ্চলের ভাষায় সরকারকে হুঁশিয়ার করলে সরকারি সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ করেন। হুইপ আসম ফিরোজও রানুর বক্তব্যকে ‘অশোভন’ আখ্যা দিয়ে এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
ওইদিন স্পিকার বলেন, ওই বক্তব্য পরীক্ষা করে ৩০৭ বিধি অনুযায়ী কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
‘চুদুর-বুদুর’ শব্দটি নিয়ে সংসদে উত্তাপের পর আলোচনা গড়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারও শব্দটির উৎপত্তি ও অর্থ বিচার করে তা অশ্লীল কি না- তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে উদ্ধৃত করে এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকারের বক্তব্যের ভিত্তিতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুদুরবুদুর’ গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল নয়।
নোয়াখালীর বাসিন্দা শিরীন শারমিনও বলছেন, “শব্দটি অশালীন নয়।”
©somewhere in net ltd.