![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সকল শিক্ষার মূল হচ্ছে মাত্রা জ্ঞান শিক্ষা। কি বললে, কি করলে, কি প্রকাশ করলে, কি দেখালে কি না দেখালে মানুষের কল্যান তার মাত্রা বোঝা আর বোঝানো হল আসল কাজ। জগতের সকল কিছুই বিভিন্ন অণু পরমাণুর বিভিন্ন মাত্রার মিশ্রণের ফল। যে উপাদান যে মাত্রায় মেশালে মানুষের জীবন বাঁচানো ঔষধ তৈরী হবে; আবার ঐ একই উপাদান ভিন্ন মাত্রায় মেশালে হবে বিষ। আমাদের প্রতিটি দেশে, প্রতিটি সমাজে আইন আছে, রীতি নীতি আছে, আছে ধর্মীয় বিধি নিষেধ। আমরা যদি মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করি আমাদের ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী পেশা কিংবা সামাজিক অবস্থা নিয়ে তাহলে এগুলো আমাদের সভ্যতাকে রক্ষা করতে যেমন যুগের পর যুগ বন্ধু হিসেবে কাজ করছে তেমনি, খুব অল্প দিনের মধ্যে, আমাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি, আর মাত্রাহীন অন্ধ প্রয়োগে সভ্যতা অসভ্যতায় পরিণত হবে। অনেক বড় বড় সামাজিক সমস্যা সাধারণ মাত্রা জ্ঞান প্রয়োগ করে, আইন আদালত, ধর্ম বা রীতি নীতির কাছে ধরা না দিয়ে আমরা সমাধান করে ফেলতে পারি। আমাদের স্কুল, কলেজগুলোতে এই একমুখী, বহু মুখী, ধর্ম বিদ্যা, সমাজ বিদ্যা, বিজ্ঞান বিদ্যা, বিশেষ জ্ঞান বিদ্যা আরো কত বিদ্যাই না শেখানো হয়, শুধু শেখানো হয় না মাত্রা বিদ্যা। কারণ, আমাদের শিক্ষগণ শিখেননি এ বিদ্যা, তাঁরা শিখেছেন মুখস্থ বিদ্যা। আমরা যারা ধ্যানে-জ্ঞানে, সামাজিক অবস্থানে, বয়সে ছোট; এরাও যে অনেক বিষয়ে আমাদের চেয়ে বড়দেরকে কিছু বিষয়ে কিছু মাত্রা জ্ঞান দিতে পারি তা অনেকেই নিতে নারাজ। আমাদের পরিবারে, সমাজে, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যে গুরু আছেন তারা বহু বিষয়ে মাত্রাহীন ego-centric সমস্যায় ভুগছেন, আমরা যারা অনেকের দৃষ্টিতে ছোট, এরা যদি তাদের মাত্রা জ্ঞান দিতে যাই তাহলে, এই রক্ষাকারী মানুষ গুলো আমাদেরকে তাদের লাল চোখ দেখিয়ে দিবেন, দিবেন বাড়ি-ঘর, সমাজ, এমনকি করবেন দেশ ছাড়া। তাই আমার মতে, শিশুকাল থেকেই আমাদেরকে সব শিক্ষার আগে মাত্রা জ্ঞান শিক্ষা দেয়া উচিত, যেন এই শিশুরা তাদের শিশুদের কাছ থেকে মাত্রা শেখে এবং শেখায়।
©somewhere in net ltd.