নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাষার ছেলে

স. ম. হাসান

কোন একটি বিষয়ে ভাবি নাহ এটা আর করব না। কিন্তু দেখা যায় ক'দিন পর ঠিকই করি। এই হলাম আমি। আমি যখন বাইশ বছরের যুবক নিজের অজান্তেই পকেট থেকে ৫০০ টাকা হাওয়া। এই ঘটনার পর আমার চাচা খলিলুর রহমানের মন্তব্য ( আমাকে নিয়ে), '' ছেলেটা চালাক হলে কি হবে, আসলে বলদ। '' সবক্ষেত্রেই আমি তাই। এটাই আমার আমি।

স. ম. হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুর্জোয়া

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

পত্র পত্রিকায়, টক শো তে বুর্জোয়া -কথাটির প্রচলন বেশ, তবে সত্যিকার অর্থে কথাটি সাধারণ মানুষের তেমন একটা বোধগম্য নয়, সংক্ষেপে কেউ এ বিষযে কিছু লিখবেন, যাতে করে শব্দটির অর্থ আমার কাছে পরিস্কার হয়।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২০

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ইমন জুবায়ের ভাইরে জিগান
ম্যাভেরিক ভাইরেও জিগাইতে পারেন

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২২

তাহমিদাল বলেছেন: আমি যা জানি তা কই, অন্যরা যাঁরা অধিক জানেন তাঁরা যোগ করবেন।

ইউরোপের ইতিহাসে রোম সাম্রাজ্যের পতনের পর নানা গোত্র আইসা ইউরোপের এলাকাগুলিতে কর্তৃত্ব কায়েম করে। রোমের সাম্রাজ্য যেই রকম একাট্টা ছিল, এখন আর তেমন না থাইকা বরং জমিদারি কায়েম হয়। পূর্বের দাসপ্রথা উইঠা গিয়ে এই সময় যেই ব্যবস্থা গড়ে উঠে তারে বলা হয় ফিউডালিজম বা সামন্তবাদ। সামন্তবাদে অভিজাত সামন্ত বা ভূস্বামী শ্রেণী ছিল ভূমির মালিক, তাদের অধীনে জমি চাষ করত চাষা বা ভূমিদাসের দল। অবশ্যই ইউরোপের সর্বত্র ফিউডালিজমের উত্পাদন সম্পর্ক একরকম ছিল না, বরং বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নরকম কৃষিব্যবস্থা (বিভিন্ন উত্পাদনসম্পর্ক) ছিল, যা নিয়া সিসমন্ডি মহাশয়ের আলোচনা আমি দেখতেছি, আপনেও দেখতে পারেন।http://www.marxists.org/reference/subject/economics/sismondi/ch03.htm

এই সময় কোনো জাতীয় রাষ্ট্র ছিল না, বরং ধর্মভিত্তিক রোমান ক্যাথলিক গির্জা ছিল গোটা খৃস্টজগতের একতাবিধানকারী প্রতিষ্ঠান, এবং যে রাজবংশগুলা শাসন করতেছিল সেগুলা ছিল সবাইরে ছাপায়ে উঠা প্রভাবশালী অভিজাত পরিবার। বস্তুত সামন্তবাদে রাজা সর্বেসর্বা ছিল না, সামন্ত আর গির্জার হাতে ব্যাপক ক্ষমতা ছিল: অর্থনৈতিক, আইনি, রাজনৈতিক, সামরিক, ধর্মীয়, ইত্যাদি ক্ষমতা। আর ছিল কতগুলি কারিগরির শহর বা গিল্ড যেইখানে কারিগরশ্রেণীর লোকরা একজোট হইয়া বসবাস করতেন ও নিজ নিজ বৃত্তি পালন কইরা যাইতেন।

চৌদ্দ/পনেরো শতকের দিকে ইউরোপে বণিকতা/সওদাগরি শক্তিশালী হইয়া উঠে এবং কৃষি বা কারিগরি উত্পাদনে উত্পাদিত পণ্য মার্কেটিং/বাজারজাত কইরা বণিক/সওদাগরের দল বড়লোক হইয়া উঠে। এইভাবে একপ্রকার পুঁজি জমা হয়। কিছু কুসীদজীবী জমিদারের হাতে টাকা জমা হয়। আবার কারিগরশ্রেণীর মধ্যেও আস্তে আস্তে পুঁজির সঞ্চয়ন ঘটে।

এই পুঁজির সঞ্চয়ের মধ্য দিয়া সমাজে ক্ষমতার নূতন অক্ষ তৈয়ার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুঁজির মালিকরা এতদিন মার্কেটিং কইরাই কাম সারত, ইদানীং তারা উত্পাদন/প্রোডাকশনরেও অধিগত করতে আগাইল। সমাজে অভিজাত আর ভূমিদাসের বাইরেও একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণী দেখা দিল, যারা জন্মসূত্রে নাগরিক। এদেরকেই বুর্জোয়া বইলা নাম দেওয়া হইল। এরা কেউ পুঁজির মালিক, কেউ বা পেশাজীবী, ইত্যাদি। সমাজের অর্থনৈতিক ক্ষমতা এদের হাতে কেন্দ্রীভূত হইতে থাকল। অন্যদিকে ধর্মসংস্কারের মধ্য দিয়া ইউরোপে খৃস্টধর্ম ভাগভাগ হইয়া গেল, ফলে রোমান ক্যাথলিক গির্জার একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব হইয়া গেল। এইদিকে সামন্তদিগের ক্ষমতা কমাইয়া রাজা কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্র তৈয়ার করলেন, আমলাতন্ত্র তৈরি হইল। গ্রামেও সামন্ত জমিদারদের প্রভাব কইমা গেল। এইভাবে পূর্বের সামন্তবাদী সম্পর্কগুলা ক্ষয় হইতে লাগল। আর নূতন ক্ষমতাধর বুর্জোয়ারা এবার রাজনীতির মালিক হওয়ার জন্য অগ্রসর হইল। এরই ফল ফরাসি বিপ্লব।

কার্ল মার্কস একদা মনে করতেন ইউরোপের এই বুর্জোয়া শ্রেণী পুরাতনরে সমূলে উত্পাটন কইরা দুনিয়া নিজের নিয়মে গড়বে: দুনিয়ায় থাকবে খালি বুর্জোয়া পুঁজিমালিক আর তার পুঁজিতে খাটা মেহনতি সর্বহারা শ্রমিক শ্রেণী। (কম্যুনিস্ট ইশতিহার)

আদপে সেই ঘটনা আজও ঘটে নাই। নূতনের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ কায়েম হইছে। বুর্জোয়া পুঁজিপতি দিনে দিনে আরও অধিক পুঁজি সঞ্চয় করছে, কিন্তু দেশে দেশে পুরাতন কৃষিভিত্তিক সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্কগুলা পুরা লোপ পায় নাই, এবং ইউরোপে বুর্জোয়া যে বিপ্লব করছে অন্য অন্য দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীরে সেই একই বিপ্লবী ভূমিকায় পাওয়া যায় নাই। সে আরেক তর্ক।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৫৪

নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: পুজিবাদি ব্যবস্তায় সমাজ দুটি শিবিরে বিভক্ত।
১। বুর্জোয়া
২। সরর্বহারা

বুর্জোয়া শ্রেনির হাতে রয়েছে সকল সম্পদ্ম ক্ষমতাম শিল্প-কারখানা জমি, ব্যাংক ইত্যাদি। মুলত তারা শাষক শ্রেনি। এদের মাঝে রয়েছে আরেকটি শ্রেনি জাদের আমরা পেটি বুর্জীয়া বলি। এদের অন্ত্ররভুক্ত ছোট, মাঝারি কৃশক, কারিকর ইত্যাদি। বুর্জোয়াদের নিকট তারা বেশ আপন কারন তাদের রয়েছে উতপাদনের হাতিয়ার যেমন জমি, জন্ত্র, হাতিয়ার। একই সাথে তারা শ্রমজীবী এটা আবার তাদের সাথে সর্বহারাদের নৈকট্য সৃস্টি করে। পুজিবাদি ব্যবস্থায় এরা সবছেয়ে নিস্পশিত কারন এদের কম সঙ্কখ ই শাসক শ্রেনীতে প্রবেশ করতে পারে এবেওং বেশিরভাগ সর্বহারা শ্রেনীতে তলিয়ে জায়।

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯

স. ম. হাসান বলেছেন: তাহমিদাল, নাজমুল হক রাসেল- আপনাদের অতি মূল্যবান তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.