নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীস ছাড়া কোরআন কি একটি পূর্নাঙ্গ কিতাব?

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪০

হাদীস বাদে কোরআন কি একটি পূর্নাঙ্গ কিতাব? বেশী প্যাচ দিয়ে পেচকি লাগানোর দরকার নাই। কোরআন কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব, নাকি হাদীস ছাড়া কোরআন পূর্ণাঙ্গতা পায় না। কোন টা ঠিক। কোরআন একটি পূর্নাঙ্গ কিতাব সেই কথা আল্লাহ্ পাক কোরআনে অনেক জায়গায় উল্লেখ করেছেন। যেমন সূরা নামল ২৭ আয়াত ৭৫ এ বলেছেন

وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ

অর্থঃ আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।



কিন্তু অনেক আলেম ওলামাকে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস পড়তে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হাদীস নিয়ে'ইকি কোরআনের সফলতা? নাকি হাদীস বাদে'ই কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ কিতাব? যদি কোরআন স্ব- প্রমানে পূর্ণাঙ্গ হয়, তাহলে হাদীস ছাড়া নামাজ কায়েম করবেন কিভাবে? তাহলে কি কোরআন অনেক কারনে হাদীসের কাছে দায়বদ্ধ? যা হাদীস বলে তা কোরআন বলে না। এখন এক কথায় বলুন হাদীস ছাড়া কোরআন কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব?



আল্লাহ্ কোরআনে রাসুল (সাঃ) কে সুরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেছেনঃ

وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا

অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।



এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে রাসুলের কোরআন ছাড়া কোন পথ নাই, তাকেই আকড়ে ধরতে বলেছে।

সূরা আশ-শুরা ৪২:৭ আয়াতঃ

وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ

অর্থঃ এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।



সূরা জাসিয়া ৪৫:৬ আয়াতঃ

تِلْكَ آيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَ اللَّهِ وَآيَاتِهِ يُؤْمِنُونَ

অর্থঃ এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপন করবে।



সূরা জাসিয়া ৪৫:১১ আয়াতঃ



هَذَا هُدًى وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مَّن رِّجْزٍ أَلِيمٌ

অর্থঃ (কোরআন) এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।



সূরা জাসিয়া ৪৫:১৮ আয়াতঃ

ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِّنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاء الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ

অর্থঃ এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি (কোরআন) এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না।



উপরের এই জাসিয়া সূরায় আল্লাহ্ অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করতে মানা করলেন। এই অজ্ঞান বলতে আল্লাহ্ কাদের মিন করছে?



সূরা বাকারা ২:৭৯ আয়াতঃ

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ

অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।



এই খানে আল্লাহ্ হাতের লিখা বলতে কোন কিতাবের কথা বলছে।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৬

চ্যাংড়া বলেছেন: হাদিস ছাড়া কোরান চলতে পারে না বা বোঝা অসম্ভব। তাই কোরান পুর্নাঙ্গ হতে রারে না।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোরআন একটি পূর্ণঙ্গ কিতাব এটা কোরআন বার বার বলছে। আমাদের আরও জানতে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২১

শিংগারা বলেছেন: হাদিস লিখা হইসে আমাদের নবি মারা যাওয়ার প্রায় ৩০০ বছর পর । অতদিন কুরআন অপূর্ণাঙ্গ ছিল?

২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এটা আমার প্রশ্ন। এখন এই কোরআন নিয়ে অনেক আলেম ওলামারা বলছে কোরআনে অনেক কিছু নাই বিধায় হাদীস দেখতে হয়,মানতে হয়। এরা কারা যারা কোরআন কে খাটো করে? এরা মুয়াবিয়া ইয়াজিদের অনুসারী। ইয়াজিদের অনুসারীরা অনেক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে এবং নিজেদের খেলাফত কে সু-প্রতিষ্ঠিত করতে নানান মিথ্যা হাদীস রচনা করেছে। এমন কি অনেক নতুন সংযোজন করেছে ধর্মে।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৮

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ইসলাম ধর্মে হাদীস ও কোরান নিয়ে প্রচুর প্যাচ আছে। এর সমাধান করা জটিল।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হ্যাঁ একদিক দিয়ে ঠিকি বলেছেন। আবার ভাবলে মনে হয় আমাদের আরও জানতে হবে। আমরা জানবো কার কাছে?

২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কথাটা ঠিক না। কোরআন বলছে সত্য ও মিথ্যার মিমাংশাকারী এই কোরআন। কেবল কোরআনই পারে সত্য ও মিথ্যার মিমাংশা করতে। কোরআন স্ব-প্রমানে অটুট।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৯

শুভ জািহদ বলেছেন: সেলিম ভাই, আল্লাহ তো শুধুমাত্র কোরআন নাজিল করেন নাই সাথে হিকমাহও নাজিল করেছেন। মূলত আল্লাহ দুটো জিনিস নাজিল করেছেন। কিতাব ও হিকমাহ। যার প্রমাণ আপনি পাবেন সূরা নিসার-১১৩ নং আয়াতে।

সূরা নিসা-১১৩> আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি কিতাব এবং হিকমাহ।

এখন ফায়সালা দিতে হলে দুটো জিনিস দিয়েই দিতে হবে।

সূরা মায়িদাহ-৪৪> যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান (কিতাব ও হিকমাহ) অনুযায়ী ফায়সালা দেয় না তারা কাফের।

উপরোক্ত আয়াতের উপর যদি আমল করতে চান তবে দুটো বিধান দিয়েই ফায়সালা দিতে হবে। যদি শুধূমাত্র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা দেন এবং নাজিলকৃত "হিকমাহ"কে অস্বীকার করেন তবে কাফের হয়ে যাবেন।

কিতাব মানে সূরা বাকারা-২ নং আয়াত অনুযায়ী এবং আপনার উপরোক্ত বক্তব্য অনুযায়ীও কোরআন। তো হিকমাহ টা কি?

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:১০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুভ জাহিদ আপনি কি সেই জন। যাকে ম জ বাসার খুজছে? সে আপনাকে তার লেখায় কি বলেছে দেখুনঃ

ম জ বাসারের সাথে জিহাদে/বিতর্কে নেমে একচেটিয়া জয়লাভ করত: মহাআনন্দে আত্মগোপন/হানিমুনে অবস্থান করছেন;পূর্বের মতই স্বভাবজাতভাবে ‘শুভ জাহিদ’ নামটিও ওফাত করে আবার কোন্‌ নামে নাজিল হবেন কে জানে! আমার এ আখেরী নিবেদন আপনার সমীপে পৌছবে কি না তাও বা কে জানে:

হাদিছ= কথা,বাণী,উক্তি,ভাষণ প্রভৃতি;ছুন্নাহ= নিয়ম,নীতি,বিধান,গঠনতন্ত্র প্রভৃতি;হিকমাহ= জ্ঞান,বিজ্ঞান,ক্ষমতা,শক্তি,বুদ্ধি,কর্তৃত্ব,বিচক্ষণতা প্রভৃতি।

কিতাব,হাদিছ,হিকমাহ,ছুন্নাহ প্রভৃতি শব্দগুলি কোরানে আছে এবং প্রত্যেকেই স্ব স্ব অর্থ ধারণ-বহন করত: ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণো দেয়া আছে;এমনকি আপনি আপনার শরিয়তী বিশ্বাস লংঘন করত: ‘হিকমাহ’র অর্থ হাদিছ ও ছুন্নাহ শব্দের উপরে জোর-যবরদস্তি চাপিয়ে দিয়ে বোখারীগংদের ধর্মমঞ্চে রাছুলের বিপরীতে খলনায়ক সাজানোর হীণ চেষ্টা গুরুতর অন্যায় প্রমানিত হয়েছে;তাছাড়া ‘হিকমাহ’ আরবি শব্দের অর্থ আরবি ‘হাদিছ ও ছুন্নাহ’ নয়;এখানেও হাতে-নাতে ধরা পড়েছেন।এক্ষণে আপনার তোবা করা উচিত কি না ভেবে দেখুন!

১. শরিয়ত মতেই: ‘রাছুলের মূখ নি:সৃত বাণীকে হাদিছ বলে।‘

সুতরাং এই কোরান রাছুলের মূখ নি:সৃত,স্ব হস্ত লিখিত/লিখায়িত হাদিছ।রাছুলের মূখেই বলেছেন যে,ইহা আল্লাহর কথা/হাদিছ।
নিশ্চয়ই ইহা রাছুলের মূল্যবান কথা/বাণী (৬৯: ৪০;৮১: ১৯)।

২।কোরানের অপর নামই হাদিছ (মিজান/ফোরকান):
ক।আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম হাদিছ সম্বলিত গ্রন্থ যা সুসামঞ্জস্য এবং যা পুন: পুন: আবৃতি করা হয়-।(৩৯: ২৩)

খ।এ জাতির হলো কি যে তারা একেবারেই কোন হাদিছ বুঝে না।(৪: ৭৮)

গ।তারা এই হাদিছে বিশ্বাস না করলে সম্ভবত তাদের পিছনে ঘুরে দু:খে আত্মহত্যা করে ফেলবে।(১৮: ৬)

ঘ।তারা যদি সত্যবাদীই হয় তবে তারা এই হাদিছের সাদৃশ্য হাদিছ উপস্থিত করুক।(৫২: ৩৪)

ঙ।-এটা এমন হাদিছ যা মিথ্যা রচনা নয়-( ১২: ১১১)

চ।-তবে এরপর তারা আর কোন্‌ হাদিছে বিশ্বাস করবে-?৭: ১৮৫)

ছ।-তোমরা কি এই হাদিছে বিশ্ময়বোধ করছো?(৫৩: ৫৯)

* এত এত সাক্ষি-প্রমান থাকতে রাছুলের মৃত্যুর ৩'’শ বছর পরে কোথাকার কোন্‌ বোখারীদের স্ব লিখিত রচনাকে কেন হাদিছ বলা হবে??
•রাছুলের হাদিছের (কোরান) বিপরীতে মানুষ কেন বোখারীদের রচনাকে হাদিছ নাম দিয়ে ২ নম্বরী ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করবে??
• বোখারীগণ ছিল দুর্দান্ত কূট-নীতিক;নিজেদের লিখা রাছুলও ছাহাবাদের নামে বাজারজাত করে নিজেরা জবাবদিহিতার উর্দ্ধে রয়েছেন;সরল মানুষ যাতে সহজে গ্রহণ করে;নতুবা জনসাধারণ তাদের দেহের গোস্ত ভাগে পেতো না।কোরান-হাদিছ পাশাপাশি পরীক্ষা করলেই ইহার সত্যতা স্পষ্ঠ হয়।
Click This Link

এবার আসুন আমার সাথে। আপনি বলছেন আল্লাহ তো শুধুমাত্র কোরআন নাজিল করেন নাই সাথে হিকমাহও নাজিল করেছেন।

আপনার এমন প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে আপনি শুভ জাহিদ নন। আপনি Abdullah Arif Muslim আমার ধারনা যদি ভুল না হয়। আপনার প্রশ্ন বলে দিচ্ছে। আপনি এর আগেও এই বিষয়টি নিয়ে এই প্রশ্ন করেছিলেন। যার শিরোনাম ছিলো
সেলিম জাহাঙ্গীর VS আবদুল্লাহ আরিফ

আপনার কথা মত যদি ধরে নেয় যে, আল্লাহ কোরআন ও হিকমা নাজিল করেছে তাহলে নবী তার সাহাবাদের দিয়ে কোরআন লিপিবদ্ধ করালেন আর হিকমা কে ফেলে রাখলেন ৩ শত বছরের জন কেন? বোখারীদের দিয়ে লিখাবেন বলে?
Click This Link
হিকমাকে অস্বীকার করছি না। হিকমা মানে জ্ঞান এটা স্পষ্ট আছে আরবী অবিধান দেখে নিয়েনে। আর যদি না মানেন তাহলে করার কিছু নাই। তবে আমার মনে হয় না আপনি বুঝবেন।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩১

গেছো বলেছেন: আল্লাহ কুরআনে মানুষকে রাসুল (সাঃ) কে অনূসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই হাদিস মানলে আসলে কুরআনই মানা হয়।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:২৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: রাসুলকে অনুসরন করতে বলেছে তার অর্থ এই নয় যে, হাদীস কে অনুসরন করতে বলেছে। কোথায় ছিলো রাসুলের হাদীস? রাসুলের সময় এমনকি রাসুলে মৃত্যুর পরেও কোন খলিফ হাদীস লিপিবদ্ধ করান নাই। প্রয়োজন ছিলো না। এমন কি রাসুলের নিষিদ্ধ ছিলো চলুন হাদীস দেখি।

১। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]

শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

২।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।

শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে

হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪৬

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: এক ছাগলে এক পাগলকে প্রশ্ন করছে: ধরো তোমার বন্ধু সেলিম হাসপাতালে যেয়ে একটি সন্তান প্রসব করেছে, সন্তানটি ছেলে না মেয়ে?
পাগল জবাব দিচ্ছে: ছেলে না মেয়ে আমি কিভাবে বলবো? আমি কি দেখেছি নাকি?

আপনার প্রশ্নটি তেমন হয়েছে। যেখানে আল্লাহ বলে দিয়েছেন কোরআন পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, সেখানে আপনি হাদিসের সাহায্য ছাড়া পুর্ণাঙ্গ কিনা জানতে চান। প্রশ্নটি হতে পারতো হাদিস ছাড়া ইসলাম পরিপুর্ণ কিনা।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:২৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আবিরে রাঙ্গানো: এক ছাগল পাগলের গল্প ভালোই শোনালেন। আপনার কি ধারনা আমি উল্টা বুঝেছি? আমার প্রশ্ন ভালো করে বুঝেন, কেন এবং কাকে বলেছি; বা কেনই বলেছি।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫১

সক্রিয় বলেছেন: হাদীস
ছাড়া কোরআন পূর্ণাঙ্গতা পায় না। suppos namaz adai korar kotha quran a asa,but ke vhaba porta hoba ta to qurana nai.zakat dawar kotha qurana asa but kaka zakat deban, kon shompod ar upor zakat deta hoy, ka ka zakat pawar joggo ai gula koi paban, ai shokol beshoy ar vestarito hadith chara ke alochona kora possible.

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৩১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হাদীস রচনা হয়েছে রাসুলের মৃত্যুর ৩ শত বছর পরে। এখন যদি বলি এই হাদীস রচনার পূর্বের মানুষেরা কিভাবে নামাজ পড়তো,জাকাত দিতো। তখন তো হাদীস ছিলো না। তাহলে কি তখন সব কিছু বন্ধ ছিলো হাদীস লিখার অপেক্ষায়?

হাদীস না মানলে আপনি জাকাত ও নামাজ পড়বেন কেমন করে এটা শুনুন। আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। রাসুলে মৃত্যুর তিন থেকে সাড়ে তিন শত বছর পরে শুরু হয়েছে হাদীস সংগ্রহের কাজ। তাহলে হাদীস লিখার পূর্বে এই সব মানুষ গুলি কি পড়তো, কি ভাবে নামায আদায় করতো? আসলে তারা নামাজ আদায় করতো বংশপরম্পরায় অনুসরন করে। আপনিও অনুরসন করে নামাজ আদায় করা শিখেছেন। হয়তো বাবার কাছে নয়তো মসদিজের ঈমামের পিছনে দাড়ীয়ে অনুকরন করে। কেউ নামাজ শিখতে হাদীস পড়েনা।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫৩

ম্যাভেরিক বলেছেন: "অর্থঃ আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।

"কিন্তু অনেক আলেম ওলামাকে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস পড়তে হয়।"

আল্লাহ-তায়ালা সুস্পষ্ট বলে দেবার পরও 'অনেক আলেম ওলামার' কথায় বিষয়টি প্যাঁচানো মানে হচ্ছে আবিরে রাঙ্গানোর গল্পটি অপাত্রে পড়েনি। যা-হোক, কুরআন হচ্ছে গাইড আর মুহম্মদ (স.), তাঁর সাহাবী, পরবর্তী অনুসারীদের জীবনযাপন হচ্ছে গাইডের প্রায়োগিক উদাহরণ। গাইডের প্রয়োগ লিখিত দলীলের জন্য থেমে থাকে না, যা আপনি নিজেই স্বীকার করলেন। একনিষ্ঠ মানুষ গাইড ও তাঁর প্রয়োগ গ্রহণ করেন সরল ও সহনীয়ভাবে এবং নিজের বুদ্ধিমত্তা যাচাইয়ের জন্য তাঁরা জল ঘোলা করেন না।

২১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৪৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোরআন অর্থ'ই রাসুল (সাঃ) হাদীস। কোরআন স্ব-প্রমানে অটুট আর হাদীস নিজের প্রমান দেওয়ার জন্য নানান রেফারেন্স যুক্তি দিয়ে লড়ছে যুগ যুগ ধরে।

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫৭

ৈসকত ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ স্পস্ট করে বলে দিয়েছে ,, আল্লাহ কারো মুখা পেক্ষি নন , তাহলে কিভাবে হাদিস ছারা কুরআন কিভাবে পূর্নাঙ্গ কিতাব হলনা ??? কুরআনের বিকল্প শুধু কুরআনই

২১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৪০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কুরআনের বিকল্প শুধু কুরআনই ,

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৫৪

rasel246 বলেছেন: ৈসকত ইসলাম বলেছেন: কুরআনের বিকল্প শুধু কুরআন।

সহমত

২১ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সহমত rasel246

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

শুভ জািহদ বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর, আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম আমার স্যার। তবে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। হিকমাহ মানে যদি জ্ঞানই হয়, তবে নিচের আয়াতের কোন ব্যাখ্যা কেন আপনি কিংবা আপনার বস ম জ বাসার সাহেব দিতে পারতেছে না।

সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয়, কিতাব এবং হিকমাহ

সেলিম ভাই, আপনি কিতাব অর্থ্যাত কোরআন পাঠ করে শুনাতে পারবেন কিন্তু হিকমাহ জীবনেও পাঠ করে শুনাতে পারবেন না।

আপনি তো আবদুল্লাহ আরিফ স্যারের কাছ থেকে পলায়ন করছেন এবং সেই পোষ্ট এ এখনো সর্বশেষ কমেন্ট আবদুল্লাহ আরিফ ভাইয়ের। উনার করা প্রশ্নের উত্তর আপনি আজও দিতে পারেন নাই।

আমি যখন দেখলাম যে আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম ভাইয়ের সাথে আপনি বাহাস বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই আমি আপনাকে না ধরে ধরলাম আপনাদের গুরু ম জ বাসার কে। তিনিও দৌড়ে পালালেন। নিচের পোষ্টে দেখেন আমার সাথেই তার অবস্থা কি হইছে।

ম জ বাসারের সাথে কিছুক্ষণ


হিকমাহ এর ব্যাখ্যা মিলাইতে না পেরে অপারগ হয়ে তিনি শেষ মেষ আমাকেই প্রশ্ন করলেন ১৯ নং কমেন্টে ২. হিকমাহ মানেটা কি?

আপনার গুরুও আপনার মতো হিকমাহ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি আপনার থেকেও আরেকধাপ এগিয়ে হিকমাহর মানে করলেন "শাষনকার্য"। খুবই হাস্যকর লাগে আপনাদের এই সব ব্যাখ্যা। যাক আল্লাহ হিদায়েত দান করুন এটাই কামনা করি। আরেকটা বিষয়। ইনশাল্লাহ আমাদের স্যারের একটা বই আসতেছে মার্কেটে "শুধু কি কোরআনই ওয়াহী নাকি হাদিসও" প্রসঙ্গে।

ম জ বাসার তো ১ টা বিষয় অর্থ্যাৎ হিকমাহ তেই কাইত। আরও দলিল গুলো তো দেওয়াই গেল না। যাক দুআ করি আপনাদের দুজনের জন্য। তবে হিকমাহ এর ব্যাখ্যা যতদিন পর্যন্ত না পারবেন দিতে ততদিন শুধু কোরআনের দিকে না আহবান করাই ভাল। কারণ

সূরা মায়িদাহ-৪৪> যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান (কোরআন ও হিকমাহ) অনুযায়ী ফায়সালা দেয় না তারা কাফের।

তাই কাফের না হয়ে দুটো দিয়েই ফায়সালা দেওয়ার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।



২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুভ জাহিদ আপনি আর আপনার স্যার আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম কি আরবী শব্দ হিকমার নতুন মানে বেরকরলেন? আপনি বলেছেনঃ

সেলিম ভাই, আপনি কিতাব অর্থ্যাত কোরআন পাঠ করে শুনাতে পারবেন কিন্তু হিকমাহ জীবনেও পাঠ করে শুনাতে পারবেন না।

এমন গোঁ ধরা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমিন শুভ জাহিদ নন। আপনি আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই। আচ্ছা আপনাকেই বলি আপনি কি কোরআন মনযোগ দিয়ে পড়েছেন? মনে হয় না। যদি মনোযোগ দিয়ে পড়তেন তাহলে এই আরবী শব্দ হিকমা কোরআনের অনেক জায়গায় আছে, সেখানে তার অর্ত কি আছে একবার দেখুন। আসুন একটি কোরআনের দিকে দৃষ্টি দেয়ঃ

সূরা ইমরান ৩:৪৮ আয়াতঃ
وَيُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ
অর্থঃ আর তাকে তিনি শিখিয়ে দেবেন কিতাব, হিকমত, তওরাত, ইঞ্জিল।
দেখুন এই ইমরান এর ৪৮ আয়াতে হিকমা কথাটা আছে। যদি হিকমা হাদীস হয় তাহলে প্রশ্ন আসবে ঈশা (আঃ) এর হাদীস কই গেলো?

সূরা ইউনুস ১০:১ আয়াতঃ
الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْحَكِيمِ
অর্থঃ আলিফ-লাম-র, এগুলো হেকমতপূর্ণ কিতাবের
আয়াত।

সূরা আম্বিয়া ২১:৭৪ আয়াতঃ
وَلُوطًا آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَت تَّعْمَلُ الْخَبَائِثَ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَاسِقِينَ
অর্থঃ এবং আমি লূতকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান এবং তাঁকে ঐ জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যারা নোংরা কাজে লিপ্ত ছিল। তারা মন্দ ও নাফরমান সম্প্রদায় ছিল।

সূরা আম্বিয়া ২১:৭৯ আয়াতঃ
فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُودَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ وَكُنَّا فَاعِلِينَ
অর্তঃ অতঃপর আমি সুলায়মানকে সে ফায়সালা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমি উভয়কে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়েছিলাম।

সূরা আল মায়েদাহ ৫:১১০ আয়াতঃ
إِذْ قَالَ اللّهُ يَا عِيسى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلَى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلاً وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي وَتُبْرِىءُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ بِإِذْنِي وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوتَى بِإِذْنِي وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِنْهُمْ إِنْ هَـذَا إِلاَّ سِحْرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা সাহায্য করেছি। তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে, অতঃপর তুমি তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্টরোগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন আমি বনী-ইসরাঈলকে তোমা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা বললঃ এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়।

শুভ জাহিদ অরফে আব্দুল্লা আরিফ মুসলিম কোরআনে হিকমা সংক্রান্ত এই ধরনের অনেক আয়াত আছে আমি আপনাকে কয়েকটার উদাহরণ দিলাম। আপনার সঠিক জ্ঞান থাকলে আর অযথা তর্ক করবেন না। আশা রাখি। হিকমা মানে যদি হাদীস হয়েই থাকে তাহলে ইনাদের হিকমা গুলি গেলো কই? আশা করি উত্তর পেয়েছেন। এর পরেও যদি আপনি না বোঝেন তাহলে ধরে নিতে হবে আল্লাহ্ আপনার অন্তর ও চক্ষুতে শীল মোহর করে দিয়েছে। আপনি বুঝবেন না।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২১

ফাহিম আহমদ বলেছেন: অল্প শিক্ষা ভয়ংকর,,, কবিরা ঠিক ই বলেছেন,,, X(

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুভ জাহিদ, আমি আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম এর জবাব দিলাম না পালিয়ে গিয়েছি এটা আপনাকে কে বললো? আমি হেরে গেলাম এই রায় কে দিলো? আপনিও দেখছি স্যারের ফটোকপি হয়েছেন। যে যার কাছে গান শেখে সেতো তামতই হবে।
সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয়, কিতাব এবং হিকমাহ

জাহিদ ধরে নিলাম রাসুলের কাছে কিতাব ও হিকমা নাজিল হলো। কিন্তু দুটোই তো ওহী আপনার ভাষ্যমতে। তবে হ্যাঁ একটি ওহী লিপিবদ্ধ করছেন যেটি কে আমরা কোরআন বলছি; আর অপরটি লিপিবদ্ধ না করে রাসুল কেন বগল দাবা করে রেখে দিলেন? কিতাব ও হিকমাহ হলে দুটোইতো একই কিতাবে লিপিবদ্ধ করা যেত; হয়তো কিতাবটা একটু বেশী মোটা হত। বহু পূর্বে থেকে একটা কথা প্রচলিত আছে। হুচুকে বাঙালী আর হিকমতে চীন। এই কথা মত আপনি আবার মনে করেন না যে, চীনে প্রচুর হাদীস আছে! হিকমা থেকেই কিন্তু হিকমতের উৎপত্তি। হিকমত মানে জ্ঞান,শিক্ষা,শক্তি। নবীজি সা: এর উপর দুটি জিনিস নাজিল হইছে কোরআন ও হিকমাহ। এটা কেবল যে, শুধু মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর নাজেল হয়েছে তা নয়। এটা বিভিন্ন নবী রাসুলের উপর নাজেল হয়েছে। আপনার উপরও নাজেল হয়েছে। আপনার উপর কিতাব নাজেল হয় নাই; নাজেল হয়েছে 'হিকমা' প্রতিটি মানুষের হিকমা আছে কারো কম আর কারো বেশী। হিকমা বলতে কখনোই হাদীস কে বোঝানো হয় নাই।

১। রাসুল কেন এত প্রয়োজনীয় হিকমা তার উম্মতদের জন্য লিপিবদ্ধ করলেন না।
২। কেন তার প্রিয় খলিফারা সেই হিকমা গুলি লিপিবদ্ধ করলেন না। তবে কি সেই গুলির প্রয়োজন বোধ করেন নাই।
৩। রাসুলের মৃত্যুর ৩ শত বছর পর এতগুলি মানুষকে কেন আল্লাহ হিকমা লিখতে বললেন?
৪। কোরআন লিপিবদ্ধ করার সময় এই হিকমা জুড়ে দিলে এমন কি ক্ষতি হত।

আপনার কথা মত আমি হিকমা বলছি, যাকে আপনি হাদীস বলছেন। হিকমা কখনই হাদীস নয়। আমাদের বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ ইসলামীক প্রার্টি আছে যার নাম আল-হিকমা। এই প্রার্টির চেয়ারম্যান কাউসার। আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখেন হিকমা মানে কি। আপনি সব মানবেন কিন্তু তাল গাছ আমার এই গোঁ ধরে বসে থাকলে আপনাদের থেকে দুরে সরে যাওয়া ভালো এটা কোরআনের বানী। এবার আসুন বিভিন্ন কোরআন কিবলে সেই তরজমা দেখি।


১। সূরা আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থঃ আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানগর্ভ কথা, যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্নদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন।
--অনুবাদ কুরআন ও হাদীস অনলাইন

২। সূরা আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থঃ আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানের কথা, যাহা তোমাদের গৃহে পঠিত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ রাখিবে। আল্লাহ অতি সূক্ষদর্শী, সর্ববিষয়ে অবহিত।
----অনুবাদ আল-কুরআনুল কারীম ইসলামীক ফাউন্ডেশন

৩। সূরা আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থঃ আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানের কথা, যাহা তোমাদের গৃহে পঠিত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ রাখিবে। আল্লাহ গোপন রহস্য জানেন, খবর রাখেন সর্ববিষয়ের।
----অনুবাদ পাক নূরানী বঙ্গানুবাদ কুরআন শরীফ ছারছীনা প্রকাশনী ঢাকা।

৪। সূরা আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থঃ তোমাদের নিকেতন সম্বন্ধে বিমুদ্ধ জ্ঞান ও ঈশ্বরের নিদর্শন সকল যাহা কিছু পড়া হয় তাহা তোমরা স্বরণ করিতে থাক, নিশ্বয় ঈশ্বর কোমল ও জ্ঞানবান্ হন।
----অনুবাদঃ প্রথম বাংলা কুরআন অনুবাদক গ্রীসচন্দ্র

৫। সূরা আহযাব-৩৩:৩৪ আয়াতঃ
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থঃ আর আল্লাহর আয়াত সমূহ ও প্রজ্ঞার যেসব কথা তোমাদের ঘরে পড়ে শোনানো হয় তা তোমরা স্বরণ রেখো। নিশ্চয় আল্লাহ্ অত্যান্ত সূক্ষ্মদর্শী।
----অনুবাদঃ কুরআন মজীদ বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা আহমাদীয়া মুসলিম জামা'ত

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:১২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম জাহাংগীর,
শুভ জাহিদ আন্ডার গ্রাউন্ডে কাজে ব্যস্ত;তার গুরু রায়হানও। এদের সামনে আসার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
'হিকমাহ'র উদ্ভট অর্থ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন;ঐ আজব অর্থের অনুকুলে
১. শরিয়তের সমর্থন নেই
২. অভিধানসমর্থন নেই
৩. কোরানের সমর্থন নেই
৪. এমনকি হাদিছেরও সমর্থন নেই
৫. মোল্লাদেরও সমর্থন নেই
ভদ্রলোক হিকমাহ আর স্ব নাম নিয়ে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
ভালো থাকুন।
বিনীত।

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:২৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "হাদীস রচনা হয়েছে রাসুলের মৃত্যুর ৩ শত বছর পরে" - এই ধারনাটা কি ঠিক? হদীস যা মুলত কোরআন বর্নিত তাত্বিক বিষয়ের প‌্রাক্টিক্যাল বা ব্যাবহারিক উদাহরণ তা রাসুল(স.) এর সময় থেকেই প্রচলিত ছিল। কোরানের সাথে মিশ্রিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় তখন তা লিখিত হয়নি। তিনশ বছর পরে যখন সত্য হাদীসের সাথে প্রচুর জাল হাদীস মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে যায় তখন যাচাই বাছাই করে হাদীস সংকলন করা হয়। বর্তমানে আমার যে হাদীস গ্রন্থগুলি দেখি তা 'রচিত' নয় বরং যাচাই বাছাই করে 'সংকলিত' ।

হাদীস কিভাবে তত্বকে ব্যাবহারিক হিসেবে প্রকাশ করে তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি। কোরআনে আছে 'তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজে কর না'। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য রাসুল(স.) একটি বালককে মিস্টি খেতে নিশেধ করার আগে দুই সপ্তাহ নিজে মিস্টি না খেয়ে থাকার প্রাকটিস করেছিলেন। এ'খন যদি কেউ বলে কোরআনে তো মিস্টি না খেয়ে থেকে তারপর অন্যকে উপদেশ দেয়ার নির্দেশ নাই - তাই রাসুল(স.) এটা কোরআনের বাইরে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমত আমল করেছেন - তাহলে সেটা কি ঠিক হবে? অথবা এই ঘটনা যে হাদীসে আছে তাকে '৩০০ বছর পরে রচিত' বলে প্রত্যাখ্যান করা কি উচিত? নিশ্চয়ই নয় বরং এ'থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে কোরআনের নির্দেশ কিভাবে নিজ জীবনে আমল করতে হবে।

একই ভাবে কোরআন বর্ণিত তাত্বিক বিষয়ের ব্যাবহারীক উদহারণ যা রাসুল(স.) তার কথা ও কাজের মাধ্যমে তৈরী করে রেখে গেছেন সেটাই হাদীসে সংকলিত হয়েছে। সুতরাং দুটিকে আলাদা করে দেখা বা একটি ছাড়া অন্যটি পুর্ণাঙ্গ/অপুর্ণাঙ্গ বিবেচনা নিতান্তই বোকামী।

আপনি প্রথম যে আয়াতটি উল্লেখ করলেন - "আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।" এখানে যে কিতাবের কথা বলা হয়েছে সেটা কি রাসুল(স.) এর উপর নাজিলকৃত কিতাব আল কোরআন? আমার তা মনে হয় না। কারণ ত্রিশ পারার এই কোরআনে এমন অনেক কিছুই নাই যা আকাশ ও পৃথিবীতে আছে। এই কিতাব বলতে প্রাকৃতিক বিধান বা স্থান-কাল-বস্তু সম্পর্কিত সুত্রসমুহ যা সৃস্টির শুরু থেকেই কার্যকর আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে - তার কথাই বলা হয়ে থাকবে। এই কথার মর্মার্থ হচ্ছে "আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহর পুর্ব নির্ধারিত (কিতাবে সংরক্ষিত) সুত্র বা সিস্টেমের বাইরে কিছুই ঘটে না"।

২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কিছু লোক ছিলো যারা এইভাবে চিন্তা করতো,আমার কথা বা ধারনা যদি সত্য ও ভালো হয়,তবে সেই কথা বা ধারণা আরও বিস্তারিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা মিত্যা হাদীস বানানোর অসুবিধা কি? যেমনঃ
‍''আকীলি, মোহাম্মদ এবনে ছইদ হইতে রেওয়ায়েত করিয়াছেন বাক্যটি যদি সৎ হয়, তবে তজ্জন্য একটা সূত্র-পরম্পরা গড়িয়া লওয়াতে, অর্থাৎ মিত্যা করিয়া তাহাকে হাদীসে পরিণত করাতে কোন দোষ নাই।তিমমিজি বলেন, আবু মোকাতেল খোরাছানী লোকমান হাকিমের উপদেশ সম্বন্ধে আওন-এবনে-শাদ্দাদ হইতে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেন। ইহাতে তাঁহার ভ্রাতুস্পুত্র তাঁহাকে বলিলেন, আপনি আওন আমাকে বলিয়াছেন এরুপ কথা বলিবেন না। কারণ আওনের নিকট হইতে আপনি ঐ সকল হাদীস শ্রবণ করেন নাই। ভ্রাতুস্পুত্ত্রের কথা শ্রবণ করিয়া আবু মোকাতেল বলিলেন, ইহাতে দোষ কি বাবা? এই কথাগুলি তো খুবই ভালো।----চরকাশী-আমাদের গুরু ও 'মাফহুম' রচয়ীতা আব আব্বাহ্ যাহা বলিয়াছেন, তাহা আরও বিস্ময়জনক। তাঁহারা বলেন,কিয়াছবাদী ফেকাওয়ালাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, কিয়াছের দ্বারা কোন কথা প্রমাণিত হইয়া গেলে, সেই কথাকে হাদীসে পরিণত করার জন্য, হজরতের নামে অর্থাৎ হজরত বলিয়াছেন বা করিয়াছেন এইরুপ বলিয়া একটা মিথ্যা সনদ গড়িয়া লওয়া জায়েজ।
---(মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা ৯১-৯২)
উপরের উদ্ধৃতি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অনেক লোকের ধারণা অনুযায়ী, কোন ভালো বা যুক্তিসংগত বিষয় মানব সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করতে গেরে সেই বিষয় সম্পর্কে মিথ্যা সনদসহ জাল হাদীস করার কোন অসুবিধা নেই বরং জায়েজ।

লোকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাজার হাজার নয় বরং লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস তৈরী করিয়াছে। হাম্মাদ বিন যায়েদের বর্ণনামতে একমাত্র যানাদুকারাই চৌদ্দ হাজার জাল হাদীস রচনা করিয়াছিল। ইহাদের মধ্যে আব্দুল করিম অজ্জা নিজেই স্বীকার করিয়াছে যে, সে চার হাজার জাল হাদীস রচনা কারিয়াছিল। অনেক নির্ভরযোগ্য দরবেশ শ্রেণীর লোকও মানুষকে ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করিবার সৎ উদ্দেশ্য নিয়া ফাযায়েল মূলক হাদীস তৈরী করিয়াছিল। হাফেজ যয়নুদ্দীন ইরাকী লিখিয়াছেন- এই সমস্ত দরবেশের তৈরী হাদীসই সব চাইেতে বেশী ক্ষতিকর হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। কারণ সাধারন্যে তাহাদের লেবাছ, পোশাক ও চাল চলন দেখিয়া মনে করার উপায় ছিল না যে, এই সমস্ত লোকও ভূয়া হাদীস তৈরী করিতে পারে। সুতরাং সাধারণ লোক তাহাদের তৈরী হাদীস গুলিকেই সহীহ্ হাদীস বলিয়াই ধরিয়া লইয়াছিল।''-----(আবু হানিফা, পৃষ্ঠা ২১৮)

আপনাকে অনেক বলা যায় হাদীস সম্পর্কে কিন্তু লাভ কি বলে । আপনারা চোখে ভালো কিছু দেখবেন না। কোরআনের সঠিক আয়োত দেখবেন না। আসুন দেখি হাদীস লিখতে কোরআন স্বীকৃতি দেয় নাকি।

১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

(ক) রাসুল কে আকড়ে ধরতে বললো 'কোরআন' তাকে ছাড়া আশ্রয় পাবে না। আপনি কোরআন ছাড়া আশ্রয় পাবেন?

২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

(খ) এই খানে, আল্লাহ রাসুল কে বলছে সে তাঁকে কবিতা শিক্ষা দেয় নাই। রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দিলে সে কি হত নিশ্চয় কবি হত, কিংবা কবিতা রচানা করতো কাব্য রচনা করতো। অথচ তাঁকে আল্লাহ্ বলছে স্পষ্ট উপদেশের কথা, তা হচ্ছে কোরআন।

৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।

(গ) এই সূরাতে আল্লাহ্ বলছে কোরআনের পূর্বে রাসুল কোন কিতাব পাঠ করেননি। এবং তার ডান হাত দিয়ে কোন কিতাব লিখেনী, যদি সে কিতাব লিখতো তাহলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করতো। এই আয়াতে কি বোঝা যায় না যে, রাসুল হাদীস লিখলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত! এই কথাই আল্ল্হ্ বলেছে? এই কারনে রাসুল এমনকি তার খলিপারাও হাদীস লিকে নাই।

কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না তা জানতে হবে; তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন কিবলে চলুন দেখি

৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

উপরের এই আয়াতে কি বুঝলেন? যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে। এরা কারা যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের কি বলে চলুন দেখি।

৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।

আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।

৬। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

উপরের এই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ্ হাদীস দিয়ে ফয়সালা করতে বলেন নাই। বলেছে সকল কিছু কোরআন দিয়ে ফয়সালা করতে। টিভি চ্যালেন গুলিতে আজ আর কোরআন দিয়ে ফয়সালা হয় না, হয় হাদীস দিয়ে।

৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।

আসলে মানুষ তর্ক প্রিয় যেমন আপনি করছেন না জেনে। হাসীদ চরনা করাকে কোরআন ও হাদীস কেউ সমর্থন করে না। কাঙ্গাল মুরশিদ আসুন দোয়া করি যেন আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার জ্ঞান দান করেন---আমেন

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

শুভ জািহদ বলেছেন: শুভ জাহিদ আপনি আর আপনার স্যার আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম কি আরবী শব্দ হিকমার নতুন মানে বেরকরলেন? আপনি বলেছেনঃ

প্রথমতঃ সূরা হুজরাত এর ১২ নং আয়াত অনুযায়ী ধারণা করা হারাম।
আপনি উক্ত আয়াতের সহিত কুফুরী করেছেন এবং অনুমানসূচক বক্তব্য বহাল রাখছেন। তওবা করেন।


আচ্ছা আপনাকেই বলি আপনি কি কোরআন মনযোগ দিয়ে পড়েছেন? মনে হয় না। যদি মনোযোগ দিয়ে পড়তেন তাহলে এই আরবী শব্দ হিকমা কোরআনের অনেক জায়গায় আছে, সেখানে তার অর্ত কি আছে একবার দেখুন।

উত্তরঃ কোরআনের শব্দগুলো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে এটা সবাই জানে। কিন্তু হিকমাহ শব্দের যতগুলো অর্থ কোরআন থেকে পাওয়া যায় তার একটাও সূরা হুজরাতের ৩৪ নং আয়াতে বসালে অর্থ মিলে না। যেমন

হিকমাহ মানে শক্তি। তাহলে অর্থ দাড়ায়ঃ-
সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয় কিতাব ও শক্তি

শক্তি কি পাঠ করার জিনিস। কোন ভাবেই হিকমাহর অর্থ এস্থলে শক্তি প্রয়োগ করা যায় না। এ বিষয়টা আমাদের স্যারও আপনাকে বুঝাইছেন কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করলে কার কি করা।

আপনি বললেন যে আপনি নাকি স্যার আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম এর সাথে বাহাস করে পালান নি। এটা একদম মিথ্যা কথা। নিচের ছবি এবং লিংকই তার প্রমাণ-

Click This Link

আপনি উত্তর দিয়েছিলেন,

জাহিদ ধরে নিলাম রাসুলের কাছে কিতাব ও হিকমা নাজিল হলো। কিন্তু দুটোই তো ওহী আপনার ভাষ্যমতে। তবে হ্যাঁ একটি ওহী লিপিবদ্ধ করছেন যেটি কে আমরা কোরআন বলছি; আর অপরটি লিপিবদ্ধ না করে রাসুল কেন বগল দাবা করে রেখে দিলেন?

উত্তরঃ রাসূল সাঃ অবশ্যই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন। তবে সেই ব্যাপারে পরে যাব। আগে বলেন আপনার কি আক্বিদা?
=> রাসূল সাঃ কি ওহী গোপন করেছিলেন?
=> যারা ওহী গোপন করে তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ (সূরা বাকারা-১৫৯)। তাহলে রাসূল সাঃ এর উপর কি আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হয়েছে। নাউজুবিল্লাহ। আমরা মুসলিমরা এমন আক্বিদা রাখি না। আপনারা রাখতে পারেন।

আপনি বললেণ,
কিতাব ও হিকমাহ হলে দুটোইতো একই কিতাবে লিপিবদ্ধ করা যেত; হয়তো কিতাবটা একটু বেশী মোটা হত।

=> এক্ষেত্রে বলতে চাই শয়তান হলো প্রথম কিয়াসকারী। আপনিও তাদের অনুসারী। কোনটা ভাল কোনটা খারাপ সেটার জ্ঞানকি আল্লাহ ও তার রাসূল সাঃ থেকে আপনি বেশী রাখেন?
=> নাকি বইয়ের সাইজের ব্যাপারে আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ এর আপনার পরামর্শ নেওয়া দরকার ছিল? নাউজুবিল্লাহ।

আপনি বললেন-
আপনার উপর কিতাব নাজেল হয় নাই; নাজেল হয়েছে 'হিকমা' প্রতিটি মানুষের হিকমা আছে কারো কম আর কারো বেশী। হিকমা বলতে কখনোই হাদীস কে বোঝানো হয় নাই।

=> আবারও সেই একই ভূল। হিকমাহ অনেকগুলো অর্থ। শরীয়তের আলেমদের মানেন না। আবার তাদের লুগাত নিয়া লাফালাফি করেন। আমরা কোরআন মানি। কোরআন অনুযায়ী হিকমাহ মানে হাদিস (দলিল-আহযাব-৩৪), হিকমাহ মানে জ্ঞান (সূরা ইয়াসিন-২), হিকমাহ মানে কৌশল (সূরা নাহল-১২৫)।

আসলে আপনার দক্ষ আহলে কোরআনও হতে পারেন নাই। আর জীবনে পারবেন ও না।

আপনি বললেন,
আমাদের বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ ইসলামীক প্রার্টি আছে যার নাম আল-হিকমা। এই প্রার্টির চেয়ারম্যান কাউসার। আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখেন হিকমা মানে কি।

=> আবারও একই ভূল। আলেমদের বিরুদ্ধে আপনারা ফতোয়াদেন যে তারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না দিয়া এবং হাদিস অনুযায়ী ফায়সালা দিয়া কাফের। আবার তাদের কাছেই আমাদের পাঠান। আরে আমরা ডাকি কোরআনের দিকে আর আপনে ডাকেন আল হিকমার দিকে।

কিতাব এবং হিকমাহ দুটোই পাঠ করেন। যদিও আপনাদের দ্বারা সেটা সম্ভব না। তবে আমাদের মুসলিমদের দ্বারা সম্ভব।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুভ জাহিদ আপনার ২য় কমেন্টে এর নিচে আজ আমি দুপুর ৩টা ৬ মিনিটে একটা উত্তর দিয়েছি; নিশ্চয় পড়েন নাই। দয়া করে পড়ে দেখেন হিকমা মানে কি সেটা কোরআনের অনেক জায়গা থেকে উল্লেখ করেছি। আপনি সেই বিষয় গুলি নিয়ে একটি কথাও বলেন নাই। কেবল আপনার স্যারের মত সূরা আহযাব-৩৪ নিয়ে পড়ে আছেন। প্লিজ আমার কমেন্টা পড়ে কোরআনের সাথে মিলিয়ে নিবেন। হিকমা মানে কি? ভালো করে দেখুন অন্য নবী-রাসুলদেরও আল্লাহ্ হিকমা দান করেছে। মানে জ্ঞান,প্রজ্ঞা,শক্তি; কিন্তু আপনার কথা মত হাদীস নয়। যদি হিকমা মানে হাদীস হয় তাহলে সেইসব রাসুলদের হিকমা কিতাব কই?

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:০৮

শুভ জািহদ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। পড়লাম আপনার উত্তর। এ বিষয়টা আনতে চাইনি তবে আপনি এনেই নিজেই প্যাচে পড়েছেন। ভাই, আপনার দেওয়া আয়াতগুলোই প্রমাণ করে অতীতের নবীদের উপর শুধু তাওরাত, যাবুর ইঞ্চিলই নাজিল হয় নাই, বরং হিকমাহও নাজিল হয়েছিল। ঠিক একই ভাবে আমাদের নবীর উপরও কোরআন এবং হিকমাহ নাজিল হয়েছে। আমি বলেছি যে সূরা আহযাবের ৩৪ নং আয়াত দিয়ে নবী ও সাহাবাদের ঘরে কোরআন এবং হিকমাহ পাঠ করা হত। কিন্তু আপনি এতে রেগে যাচ্ছেন। কেন রে ভাই আহযাব এর ৩৪ নং আয়াত কি আল্লাহ নাজিল করেন নাই। আপনি আল্লাহর নাজিল করা এক আয়াতের দিকে বেশী গুরুত্ব দিবেন আর অন্য আয়াত অস্বীকার করবেন তাহলে কিভাবে হবে? আমি স্বীকার করি হিকমাহ মানে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শক্তি, কৌশল, হাদিস ইত্যাদি। কেন শুধু মাত্র প্রথম ৩টা নেন? যদি শুধুমাত্র ৩টা নেন তো জীবনেও আহযাবের ৩৪ নং আয়াত মিলাইতে পারবেন না। কারন আপনার নেওয়া ৩টি আয়াত কোনভাবেই ৩৪ নং এ মিলে না। আর একটা প্রশ্ন করলেন অতীতের রাসূলদের হিকমা কিতাবগুলো কই?

দেখেন,
প্রথমতঃ অতীতের গ্রন্থগুলোই আল্লাহ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নেন নাই। অতীতের কোন গ্রন্থই অবিকৃত নাই। সব বিকৃত হয়েছে। বাইবেল মানে হলো বইগুলো, বইয়ের সমাহার। সেখানে অসংখ্য বইয়ের সমাবেশ রয়েছে। সেখানে অতীতের কিতাবের অংশও থাকতে পারে, হিকমাহও অংশও থাকতে পারে। আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু আপনি কোন ওহী দ্বারা বললেন যে অতীতের রাসূলদের হিকমার কিতাবগুলো নাই। হ্যা যেগুলো আল্লাহর রাখা দরকার ছিল সেগুলো এখনও আছে। যেমন আজও অসংখ্য কোরআনের আয়াত বাইবেল ও অন্যান্য গ্রন্থের সাথে মিলে যায়।

অতএব হিকমাহর অর্থ গ্রন্থ আপনাকে অবশ্যই ধরতে হবে, তানা হলে আহযাবের ৩৪ নং আয়াত কখনোই মিলাইতে পারবেন না।

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ বলেছেন,
সূরা বাকারা-১৫৯> নিশ্চয় যারা গোপন করে, মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা (হাদিস/রাসূলের সূন্নাহ/হিকমাহ) নাযিল করেছি ; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও।

ভাই যদি হিকমাহর বাণীগুলো রহিত হয়েই যায় তবে গোপনের কথা আসবে কি কারণে? মূলত এই গোপন কারীরা হলেন আপনারা। অতএব সংশোধন হন। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: প্রথমতঃ অতীতের গ্রন্থগুলোই আল্লাহ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নেন নাই। অতীতের কোন গ্রন্থই অবিকৃত নাই। সব বিকৃত হয়েছে। বাইবেল মানে হলো বইগুলো, বইয়ের সমাহার। সেখানে অসংখ্য বইয়ের সমাবেশ রয়েছে। সেখানে অতীতের কিতাবের অংশও থাকতে পারে, হিকমাহও অংশও থাকতে পারে। আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু আপনি কোন ওহী দ্বারা বললেন যে অতীতের রাসূলদের হিকমার কিতাবগুলো নাই। হ্যা যেগুলো আল্লাহর রাখা দরকার ছিল সেগুলো এখনও আছে। যেমন আজও অসংখ্য কোরআনের আয়াত বাইবেল ও অন্যান্য গ্রন্থের সাথে মিলে যায়।

১। প্রথমতঃ অতীতের গ্রন্থগুলোই আল্লাহ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নেন নাই।

(ক) আপনাকে কে বললো বা কিশের ভিত্তিতে বললেন যে অতীতের গ্রন্থগুলোই আল্লাহ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নেন নাই? মিথ্যা বলা মহাপাপ। আসুন কোরআন কি বলে একটু দেখি।
সূরা বাকারা ২:১১৩ আয়াতঃ
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।

আপনি কি সূরা বাকারার এই আয়াত অনুযায়ী মূর্খ নন? রেগে গেছেন নাকি? রাগ করেন না। সত্যকে মেনে নেওয়া পরাজিত হবার কিছু নাই।

(খ) অতীতের কোন গ্রন্থই অবিকৃত নাই; সব বিকৃত হয়েছে। আপনার এই কথার সাথে আমি এক মত নই। আসুন দেখি কোরআন কি বলে।

সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।

সূরা ইমরান ৩:৮৪ আয়াতঃ
قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।

সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।

শুভ জাহিদ আপনি আসলে এই কিতাব গুলির ওপর ঈমান এনছেন? আনেন নাই। ঈমান আনলে তার প্রতি আপনার এমন উক্তি থাকতো না। যাকে বিশ্বাস করবেন তাকে আবার বলেবেন যে সেটা ঠিক নাই এটাকে বিশ্বাস বলেনা। আপনি একটি ছেলেকে বিশ্বাস করলেন। তাকে বাজারে বিভিন্ন কাজে পাঠচ্ছেন বাজার হাট করতে টাকা দিয়ে। এটা আপনার বিশ্বাস। কিন্তু আপনি যখন পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমাদিতে হবে ভাবছেন তখন আপনি নিজেই যাচ্ছেন; টাকাটা জমা দিতে তাকে দিচ্ছেন না যদি সে টাকাটা মেরে দেয় ভাবছেন। এটা কি সেই ছেলের উপর আপনার বিশ্বাস আনা হলো? বিশ্বাস সেটায় যেটাকে বলে অন্ধ বিশ্বাস। মাবুদের কিতাবের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করা আপনার উচিত হয় নাই। আপনি কেমন মানুষ, মাবুদের কিতাব বিশ্বাস করে না। আর মানুষের হাতের লেখা হাদীস (কিতাব) বিশ্বাস করছেন। চলুন নিচের আয়াত গুলি দেখি।

(গ) সূরা আশ-শুরা ৪২:১৫ আয়াতঃ
فَلِذَلِكَ فَادْعُ وَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءهُمْ وَقُلْ آمَنتُ بِمَا أَنزَلَ اللَّهُ مِن كِتَابٍ وَأُمِرْتُ لِأَعْدِلَ بَيْنَكُمُ اللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ لَا حُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ اللَّهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ
অর্থঃ সুতরাং আপনি এর প্রতিই দাওয়াত দিন এবং হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সমবেত করবেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তণ হবে।

নিশ্চয় উপরের আয়াতটি বুঝতে পেরেছেন? চলুন নিচে দেখি আল্লাহ্ কি বলেন।

(ঘ) সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।

আল্লাহ সুরা মায়েদার ৬৮ নম্বার আয়াতে বলছে আমরা কোন পথেই নাই যতক্ষন না তাওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআনের আলো মানুষের মাঝে পৌছালাম। কি এটা আমার কথা নয় এটা কোরআনের কথা। কি রাগ করছেন? আরও আছে নিচে নামেন।

(ঙ) সূরা মায়েদা ৫:৪৬-৪৭ আয়াতঃ
وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

উপরের এই আয়াত আরও ক্লিয়ার করলো যে, আগের কিতাব বাতেল হয় নাই। বরং বহাল আছে বলেই সেই কিতাবধারীদের ইঞ্জিলের অনুযায়ী ফয়সালা করতে বলেছেন।

(চ) সূরা ইউনুস ১০:৯৪ আয়াতঃ
فَإِن كُنتَ فِي شَكٍّ مِّمَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَؤُونَ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكَ لَقَدْ جَاءكَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অর্থঃ সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।

শুভ জাহিদ রাজা আসে রাজা যায় কিন্তু আল্লাহ্ চিরকাল স্থায়ী। তিনি আসেনও না, যানও না। তাওরাত কিতাবের যে, ১০ শরিয়ত মুসাকে দেওয়া হয়েছে সে হুকুম কি বাতিল হয়েছে? হয়নি হবেও না। আগের কিতাব যে বাতিল হয়েছে এমন কোন আয়াত কি কোরআেনে আছে? নাই।
ঈশা মসীহ্ আগের কিতাব বাতিল করতে না, বরং সেগুলো পূর্ণ করতে আসলেন---ইঞ্জল শরীফ মথি ৫:১৭-১৮ আয়াত

আল্লাহ কোরআনেও বলেছে সূরা সূরা ইমরান ৩:৩ আয়াতঃ
نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ
অর্থঃ তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের।

সূরা সূরা ইমরান ৩৫:৩১ আয়াতঃ
وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ هُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ إِنَّ اللَّهَ بِعِبَادِهِ لَخَبِيرٌ بَصِيرٌ
অর্থঃ আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সব জানেন, দেখেন।

সূরা সূরা ইমরান ৪৬:১২ আয়াতঃ
وَمِن قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إِمَامًا وَرَحْمَةً وَهَذَا كِتَابٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِيًّا لِّيُنذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرَى لِلْمُحْسِنِينَ
অর্থঃ এর আগে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়, যাতে যালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মপরায়ণদেরকে সুসংবাদ দেয়।
সূরা সূরা ইমরান ৪৬:৩০ আয়াতঃ
قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ
অর্থঃ তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।

শুভ জাহিদ একটু ভালো করে কোরআন পড়ুন যে ভাবে আপনারা হাদীস পড়েন। দেখবেন এই কোরআন কত প্রাণউজ্জল। কোরআনের মজাটা সত্যি আলাদা; এটার স্বাদ যে দিন আপনি সত্যি পেয়ে যাবেন সেই দিন আর কিছু নয় আমার নামে আল্লাহর দরবারে একটু দোয়া করবেন। আল্লাহ কোরআনে আগের কিতাবকে সমর্থন করেছে সম্মান করেছে আর আপনারা তাকে তাচ্ছিল্য করছেন। সত্যি দুঃখের বিষয়। ‌ আগের কিতাব বিকৃত সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস, আল- তাবরী, ইবনে কাসির ইনাদের লিখা পড়েন অনেক জানবেন। আমি জানি এই যুক্তিও আপনার মন ভরাতে পাবে না, কারন আপনাদের সম্পর্কে কোরআনে স্পষ্ট আয়াত আছে সেটা আমি জানি কিন্তু বললাম না। আল্লাহ আপনাকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুক ---আমেন







২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার দীর্ঘ কমেন্টে একই কথা পুণ: পুণ: বল্লেন অথচ আমি যে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম তার কোন উত্তর দিলেন না।

এ'কথা কেই কখনই অস্বীকার করেনি যে কোরআনই সর্বোচ্চ গ্রন্থ যা আল্লাহর কাছ থেকে টেক্সট হিসেবে সরাসরি যেভাবে এসেছে সেভাবেই সংরক্ষিত আছে। আর হাদীস হচ্ছে সেই টেক্সট এ থাকা তত্বের ব্যাবহারীক উদাহরণ।

আপনাদের কথামত যদি কোন ব্যাবহারীক উদাহরণের প্রয়োজনই না থাকত তাহলে আল্লাহর কী প্রয়োজন ছিল একজন ব্যাক্তিকে রাসুল বানিয়ে অত কস্টের মাধ্যমে ইসলামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত করার? কাগজে বা পাথরে লেখা কোরআনের টেক্সট নাজিল করলেইতো হত?

আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায়ও দেখুন বিজ্ঞানের অধিকাংশ বিষয়ের সাথেই 'ব্যাবহারীক' অংশ থাকে - কেন? কারণ মানুষ তত্বের টেক্সট পড়ে যতটা না বুঝতে পারে হাতে কলমে করতে দেখলে এবং নিজেরা করলে তার চেয়ে অনেক ভালভাবে বুঝতে পারে। রাসুল(স.) কোরআনিক নির্দেশগুলি সেভাবেই হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন - তার বর্ণনাই আছে হাদীসে।

যাই হোক - আপনি যদি হাদীস ছাড়া বা রাসুল(স.) এর দেখানো পদ্ধতি ছাড়া শুধুমাত্র কোরআনের টেক্সট এর ভিত্তিতে ইসলাম পালন করতে পারেন - ব্যাক্তিগতভাবে আমার তাতে কোন আপত্তি নাই। আমি মনে করি না এর মাধ্যমে কেউ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। আমি আপনাকে আগেও একটা আহ্বন জানিয়েছিলাম - কোরআনের মাধ্যমে যাকাতের বিধান বর্ণনা করার জন্য। আজকে জানতে চাচ্ছি - রাসুল(স.) এর ব্যাবহারীক উদাহরণ ছাড়া আপনি 'সালাত' কিভাবে করেন? আশা করি উত্তর দেবেন।

২৫ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ আপনি বলেছেনঃ রাসুল (সঃ) কোরআনিক নির্দেশগুলি সেভাবেই হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন - তার বর্ণনাই আছে হাদীসে।

১। আপনার কথাতো অস্বীকার করছি না। রাসুলে মৃত্যুর তিনশত বছর পর হাদীস রচনা হলো। কিন্তু তার আগে হাদীস লিখিত অবস্থায় ছিলো না। সেই সময়ের মানুষ গুলি রাসুলের এই নির্দেশ গুলি মানতো কিভাবে? নিশ্চয় অনুকরণ-অনুসরন করে। যেমন আপনি আমি অনুসরন করে নামাজ শিখেছি, হয় মসজিদে আলেমকে অনুসরন করে নয়তো বাবা-মার কাছে বাসায়। এই নামাজ শিখতে হাদীস পড়তে হয়নি আপনাকে এবং আমাকে। পৃথিবীতে এমন অনেক ধর্ম আছে যাদের মূল গ্রন্থ দিয়েই ধর্মকর্ম চলে,চলছে,চলবে; তবে আমাদের ধর্মটা বাদে। আমাদের ইসলাম ধর্মের মানুষ এই সহজ সরল প্রণউজ্জল কোরআন বুঝতে পারে না। আবার কেউ কেউ বলে কোরআনে অনেক কিছু নেই তায় হাদীস মানতে হয়। আল্লাহ বলছে এই কোরআনের কথা যে, এই কোরআনেই সব আছে। এখন কথা আসতেই পারে যে, কোরআনে যা নাই তা আপনাকে কিংবা আমাকে কে মানতে বলেছে? কোরআন কি এমন নির্দেশ দেয়? যে, কোরআনে যা নেই তা মানো? ভাই অগ্নি পুজারকদের একটি ধর্মীয় কিতাব আছে নাম ’’জিন্দাভেস্তা’’ পারলে পড়বেন। এই ধর্ম ইসলামেরও আগের। দেখুন তাতে কি লেখা আছে। আপনার ধর্মের সালাতের সাথে তাদের কতটা মিল।

আপনি বলেছেনঃ যাই হোক - আপনি যদি হাদীস ছাড়া বা রাসুল(স.) এর দেখানো পদ্ধতি ছাড়া শুধুমাত্র কোরআনের টেক্সট এর ভিত্তিতে ইসলাম পালন করতে পারেন - ব্যাক্তিগতভাবে আমার তাতে কোন আপত্তি নাই। আমি মনে করি না এর মাধ্যমে কেউ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

২। খুব সুন্দর ও সত্য কথা বলেছেন। কেই কোরআন মানলেই রাসুলকে মানা হয়। যেহেতু কোরআনের সকল কথা রাসুলের মুখ থেকে পৃথিবীতে এসেছে ওহী মাফতে। আর সেটাকে মানা মানে আল্লাহ্ রাসুলকে মানা। হাদীস না মানলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয় না এটা আপনার জ্ঞানগর্ব কথা ভালো লেগেছে। ভাই মানুষের দু-একটি কথা শুনলেই বোঝা যায় যে, তার জ্ঞানগরিমা কতটা। আপনি অনেক জানেন বলেই আপনার উত্তর গুলি দেরীতে দেয়। তবে যারা না বোঝে তাদেরই আমি বেশী বোঝানোর চেষ্টা করি।

আপনি বলেছেনঃ কোরআনের মাধ্যমে যাকাতের বিধান বর্ণনা করার জন্য। আজকে জানতে চাচ্ছি

৩। ভাই সময় করে অবশ্যই কোরআনের আলোতে জাকাত নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ্। ভালো থাকবেন এই কামনা করি।

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১০

আফিফা মারজানা বলেছেন: আপনি জানার জন্য নয় তর্ক করার জন্য লিখেছেন ।তাই কিছু বললাম না ।কাঙ্গল মুরশিদকে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন ?সরাসরি জবাব দিন ।

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: জাহাঙ্গীর ভাই,

উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২. হ্যা, একই ভাবে হাদীস মানলেই যে সে বিভ্রান্ত এটাও ঠিক নয়। হাদীসের মধ্যে আমাদের জন্য অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। যে রাসুল(স.) এর উপর কোরআন প্রতিষ্ঠারমত বড় দ্বায়িত্ব ছিল তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নেয়া কেন আপত্তিজনক হবে - এটাই আমার বুঝে আসে না। এ'জন্যই আপনারা যারা হাদীসের বিরুদ্ধে লেখেন তাদেরকে পুর্ণ সমর্থন দিতে পারি না।

আপনি আবারও বলেছেন "রাসুলে মৃত্যুর তিনশত বছর পর হাদীস রচনা হলো।" - এটা নিতান্তই ভুল ধারনা তখন বরং যাচাই বাছাই করে সহীহ হাদীসগুলি সংকলিত হয়েছে। এর আগে যা মানুষ মুখে মুখে শিখত তাই কিতাবে লিখে রেখে আরো ব্যাপক ভাবে বেশী মানুষের কাছে পৌছে দিতে সমস্যা কোথায়?

দেখুন পৃথিবীতে একসময় সংবিধান বলে কিছু ছিল না। রাজার ইচ্ছা/নির্দেশই ছিল রাজ্যের জন্য আইন। ইংল্যান্ডের সংবিধান এখনও 'অলিখিত'। কিন্তু তাই বলে কি যেসকল দেশে সংবিধান লিখিত আকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে তারা খুব বড় কোন অন্যায় করে ফেলেছে যে তার বিরুদ্ধে লিখতে হবে?

যাই হোক, আপনার যাকাত বিষয়ক লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

ধন্যবাদ

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১১

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সালাম জাহাঙ্গীর ভাই,

শুভ জাহিদ ওরফে আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম আমাকে এই ব্যাপারে বাহাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। Click This Link

আমি তার হিকমাহ সম্পর্কে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছি।

@শুভ জাহিদ অথবা আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম

প্রথমে আপনি কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করেছেন।

সূরা নিসা-৪:১১৩> আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমাহ নাজিল করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম।

এখানে আপনি খেয়াল করতে বলেছেন যে আল্লাহ কিতাব ও হিকমাহ দুইটি আলাদা জিনিস নাজিল করেছেন। এবার আপনি আরেকটি আয়াতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সূরা আহযাব-৩৩:৩৪> আল্লাহর আয়াত ও হিকমাহ, যা তোমাদের গৃহে আবৃত্ত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সূক্ষদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন।

এখানে আপনি খেয়াল করতে বলেছেন যে ''আল্লাহর আয়াত'' এবং ''হিকমাহ'' দুটিই পঠন যোগ্য অর্থাৎ পড়া বা আবৃত্তি করা যায়। এ থেকে আপনার অনুসিদ্ধান্ত এইযে উল্লিখিত পঠনযোগ্য বা লিখিত হিকমাহ'ই হচ্ছে হাদীস।

এবার আমি আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছি যে আপনার যুক্তি কতটা অথর্ব, অযৌক্তিক। উপরের আয়াতে কিন্তু ''কোরআন'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি বরং ''আল্লাহর আয়াত'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এবার চলুন দেখা যাক ''আল্লাহর আয়াত'' দিয়ে আল্লাহ কি কি বুঝাতে পারেন।আয়াহ শব্দের আভিধানিক অর্থঃ নিদর্শন বা প্রমাণ।

সূরা আল জাসিয়া-৪৫:৩-৬> নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে আয়াতসমূহ (নিদর্শনাবলী) রয়েছে। আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীব জন্তুর সৃজনের মধ্যেও আয়াতসমূহ (নিদর্শনাবলী) রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য। দিবারাত্রির পরিবর্তনে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে রিযিক (বৃষ্টি) বর্ষণ করেন অতঃপর পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করেন, তাতে এবং বায়ুর পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্যে আয়াতসমূহ (নিদর্শনাবলী) রয়েছে। এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে।

এখানে দুটি বিষয় লক্ষনীয়।

১) আয়াত মানেই যে কোরআনের লিখিত বাক্য তা নয় বরং আল্লাহর অনেক সৃষ্টি/নিদর্শনও আয়াত হতে পারে।

২) এই সৃষ্টি/নিদর্শন সমূহ পঠন যোগ্য অর্থাৎ পড়া বা আবৃত্তি করা যায়।


উপরের আলোচনা থেকে এটা সহজেই বুঝা যায় যে হিকমাহ পড়া যায় বলেই যে তা লিখিত কোন বই হতে হবে এমন কোন আবশ্যকতা নেই কেননা আল্লাহর নিদর্শনসমূহও পড়া যায় অথচ এগুলোর কোন লিখিত বই নেই। তাই হিকমাহ কে মনগড়া ভাবে হাদীস না বলে বরং হিকমাহ'র শাব্দিক অর্থ শিক্ষা,শক্তি বা কৌশল বলাই যৌক্তিক।


এছাড়া হিকমাহ কে কোরআন বলাও যৌক্তিক, কেননা উপরের ৩৩:৩৪ ( আল্লাহর আয়াত ও হিকমাহ, যা তোমাদের গৃহে আবৃত্ত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে) অনুযায়ী ''আল্লাহর আয়াত'' হচ্ছে আল্লাহ সৃষ্ট নভো ও ভূমন্ডলের নিদর্শন, এবং ''হিকমাহ'' হচ্ছে স্বয়ং কোরআন। এক্ষণে আপনি যে তোতাপাখির মত বারবার নিচের কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হল। আপনি বলেছিলেনঃ

সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয় কিতাব এবং কিতাব।(অর্থহীন)
সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয় হিকমাহ এবং হিকমাহ।(অর্থহীন)
সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয় কোরআন এবং কোরআন।(অর্থহীন)

উপরে আপনি ''আল্লাহর আয়াত'' শব্দের জায়গায় অত্যন্ত চাতুরতার সাথে কোরান/কিতাব ইত্যাদি বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে ধোঁকা দিতে চেয়েছেন। অথচ আল্লাহ নিজেই শিখিয়ে দিয়েছেন ''আল্লাহর আয়াত'' শব্দের অর্থ কি (সূরা আল জাসিয়া-৪৫:৩-৬)

সূরা আহযাব-৩৪> স্মরণ কর যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা হয় আল্লাহর নিদর্শন (আয়াত) এবং হিকমাহ (কোরআন)।

উপরে আয়াতটি এখন পুরোপুরি অর্থপূর্ণ, যা আপনি এতক্ষণ হিকমাহ=কোরআন বসালে অর্থহীন বলে প্রমাণ করতে চাইছিলেন। এবার আপনাকেই ভুল প্রমাণ করলাম। আশা করি হিকমাহ নিয়ে আর বারাবারি করবেননা। হিকমাহ মানে হাদীস নয়। হিকমাহ'র বহু অর্থ হতে পারে, আল্লাহই ভাল জানেন, তবে হাদীস যে নয় তা প্রমাণিত।

এবার আসুন আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করা যাক। আপনার দেখিয়ে দেয়া পথেই কোরআনের আরও কিছু আয়াত দেখিঃ

কিতাব এবং হিকমাহ আলাদা

সূরা নিসা-৪:১১৩> আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমাহ নাজিল করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না।

হিকমাহ এবং আয়াত আলাদা

সূরা আহযাব-৩৩:৩৪> আল্লাহর আয়াত ও হিকমাহ, যা তোমাদের গৃহে আবৃত্ত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে।

আয়াত এবং জিকির আলাদা

সূরা আল ইমরান-৩:৫৮> আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ সমস্ত আয়াত এবং প্রজ্ঞাময় জিকির।

জিকির এবং কোরআন আলাদা

সূরা ইয়াসীন-৩৬:৬৯> আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক জিকির এবং প্রকাশ্য কোরআন।

তাহলে এখন প্রশ্ন আসে, এই শব্দগুলোর (কিতাব, কোরআন, হিকমাহ, আয়াত, জিকির) প্রকৃত অর্থ কি? একটু চেষ্টা করে শাব্দিক অর্থ থেকেই আমরা বুঝে নিতে পারি অনেক কিছু। যেমনঃ কিতাব শব্দের অর্থ বই। তার মানে আল্লাহর ওহী সমূহের লিখিত রূপকে কিতাব বলা যায়। কোরআন শব্দের অর্থ আবৃত্তি। তার মানে আমরা বা হাফেজরা মৌখিক ভাবে যে ওহী উচ্চারণ/তেলাওয়াত করি সেটাই কোরআন। হিকমাহ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা বা জ্ঞান। তার মানে কোরআনের যে বাক্যগুলোতে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের কথা লিখা আছে সেগুলোই হিকমাহ। আয়াত শব্দের অর্থ নিদর্শন। তার মানে কোরআনের যে বাক্যগুলো আল্লাহর নিদর্শন প্রকাশ করে সেগুলোই হচ্ছে আয়াত। জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ বা উপদেশ। তার মানে কোরআনের যে বাক্যগুলোতে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে বা উপদেশ দেয়া হয়েছে বা আল্লাহকে স্মরণ করতে বলা হয়েছে সেগুলোই হচ্ছে জিকির। এ সমস্ত কিছু মিলেই হচ্ছে আল্লাহর ওহী যা নবী (সঃ) এর উপর নাজিল হয়েছিল, আর আমরা যাকে কোরআন বলে জানি। এর সাথে হিকমাহ কে মনগড়াভাবে হাদীস বলার কোন যুক্তিই নেই।

এবার তাহলে বলুন, হিকমাহ যদি হাদীস হয় তাহলে জিকির কি? আপনি দাবী করেছেন জিকির = কোরআন + হিকমাহ (হাদীস)। কিন্তু জিকির এবং কোরআন তো আলাদা (৩৬:৬৯)। এছাড়া কোরআন এবং হাদীস হচ্ছে দুইটি কিতাব, কিন্তু জিকির হচ্ছে একটি কিতাব (৪১:৪১-৪২ এবং ৭:২)

সূরা হা-মীম-৪১:৪১> নিশ্চয় যারা জিকির আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা (জিকির) অবশ্যই এক সম্মানিত কিতাব।

এবার কি তাহলে মিথ্যা দাবী ছাড়বেন যে জিকির = কোরআন ও হাদীস?

আপনি আরও দাবী করেছেন যে সূরা ইনশিরাহ-৪ নং আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ রাসূলের কথাকেও জিকির বলেছেন। এটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার একটা মিথ্যাচার। আল্লাহর নামে মিথ্যা বলতে এতটুকু বুক কাঁপেনা আপনার?

সূরা ইনশিরা-৯৪:৪> আমি আপনার জিকির বা স্মরণকে (সম্মানকে) সমুচ্চ করেছি।

এই আয়াতে রাসূলের কথা (হাদীস) আসল কিভাবে? রাসূলের কথাকে কোথায় জিকির বলা হয়েছে? বরং রাসূলের জিকির/স্মরনকে উচ্চে উঠানোর কথা বলা হয়েছে। এক্ষুনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, আল্লাহর আয়াত নিয়ে এই রকম ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার চরম অপরাধ।

২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মেহেদী পরাগ ভাই
আমার ধারনা শুভ জাহিদ ওরফে আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিম একই ব্যাক্তি। এর আগে শুভ জাহিদ ম জ বাসার এর সাথে বাহাস করেছে এবং পালিয়েছে, লিংক দিলাম Click This Link
আর আমার সাথে বাহাসের ঘটনারতো আপনি প্রত্যক্ষদর্শী। আপনি এত সুন্দর ভাবে হিকমা মানে কি পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে ভেঙ্গে বুঝিয়েছেন। আপনার চমৎকার এই বোঝানো ওদের মাথায় আসবে না। ওরা এইগুলি চোখে দেখবে না। কারন আল্লাহ ওদের চোখে অন্তরে শিলমোহর মেরে দিয়েছেন। মেহেদী পরাগ আপনার সুন্দর তথ্যবহ কমেন্ট করার জন্য এবং শুভ জাহিদদের উচিৎ জবাব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গির ও মজবাসার হল ইসলাম বিরুধী আন্তর্জাতিক ইহুদী চক্রের পেইড ব্লগার। তারা ইসলামী পরিভাষা আমীন না বলে ইহুদী ধর্মের পরিভাষা আমেন বলে ও কুরআনের ৪০০ আয়াত নষ্ট করা হয়েছে এই পাতিহাস প্রচার করে। ইসলাম বিরুধী চক্রান্তের ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকুন।
Click This Link

২৮ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুল্‌লাহ আপনাকে আমি উন্মূক্ত বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি আপনার যত কিতাব দরিল আছে সব নিবেন,পারলে সাথে সহযোগি হিসাবে দু-চারটি আলেম নিবেন। আর আমি সেলিম জাহাঙ্গীর কোন কিতাব নিবো না। কেবল খালি হাত-পা। আর আমার সাথে রয়েছে আমার আল্লাহ প্রদত্ত এই মাথাটা, যাকে বলা হয় কোরআনুন নাতেক।

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৭

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশীদ

যাকাতের ব্যাপারে শরীয়ত অনুযায়ী চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক উত্তর হাদীস ছাড়া শুধু কোরানের ভিত্তিতে শুরুতে পয়েন্ট করে দিলাম। এরপর প্রতিটি বিষয় কোরানের রেফারেন্স দিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছি।

১. কোন কোন সম্পদে যাকাত দিতে হবে?
উত্তরঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেকোন সম্পদে।

২. সম্পদ কত পরিমাণে থাকলে যাকাত দিতে হবে?
উত্তরঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে।

৩. কি হারে যাকাত দিতে হবে?
উত্তরঃ ২০% হারে। অথবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবটুকু।

৪. কোন ব্যক্তিদের যাকাত দিতে হবে?
উত্তরঃ ফকির, মিসকীন, এতীম-অসহায়, নিকটাত্মীয়, যাকাত আদায় কারী, দাস-মুক্তির জন্যে, ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। পুরোটা কোরান খুঁজলে আরও পাওয়া যেতে পারে।

কোরান অনুযায়ী যাকাত ২০% হওয়া উচিৎ। শুনেছি শিয়ারা নাকি তাদের হাদীস অনুযায়ী ২০% যাকাত দেয়। দেখা যাচ্ছে শিয়ারা এই ক্ষেত্রে সঠিক পথে আছে।

যাকাত আরবী শব্দ, এর অর্থ পবিত্রতা। কিন্তু শরীয়ত অযথাই এর অর্থ পরিবর্তন করে ২.৫% বাধ্যতামূলক দান হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। শব্দের প্রকৃত অর্থ ব্যবহার না করার এমন শরীয়তী উদাহরণ আরও অনেক আছে। তার মাঝে একটি এখানে প্রাসঙ্গিক ভাবেই উল্লেখ করতে হচ্ছেঃ

''গণি'' আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ ''ধনী'' বা ''সম্পদশালী''। এই শব্দের ভিন্ন রুপ হচ্ছে ''গণিমত'' যার অর্থ ''ধন'' বা ''সম্পদ'' (সূরা নিসা- ৪:৯৪)। কিন্তু শরীয়ত ''গণিমত'' মানে শুধুমাত্র ''যুদ্ধলব্ধ সম্পদ'' আখ্যায়িত করে। কোরানে যুদ্ধলদ্ধ সম্পদকে আনফাল বলা হয়েছে (সূরা আনফাল-৮:১)। আর যুদ্ধ ছাড়াই প্রাপ্ত শত্রুপক্ষের কোন সম্পদকে ফাই বলা হয়েছে (সূরা হাশর- ৫৯:৬)। যে সম্পদ ''আনফাল'' বা ''ফাই'' অথবা ''অন্য যেকোন উপায়ে প্রাপ্ত ধন সে সম্পদকে ''গণিমত'' বলা যায়।

আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে সবসময় রিজিক দেওয়ার কথা বলেছেন, কখনও বলেছেন, “ আমি যাকে খুশি বেহিসাব রিজিক দিয়ে থাকি (সুরা-ইমরান-৩:২৭)। অনেক জায়গায় বলেছেন, আমি রিজিক বৃদ্ধি করে দিই আবার কারো রিজিক সংকীর্ণ করি। আমি তাহাদিগকে যে রিজিক দেই তাহা থেকে ব্যয় করে (সুরা আল বাকারা-২:৩)। পৃথিবীতে খাওয়া-পরা এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীকে রিজিক বলা হয়, আর এই রিজিক যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয় তখন রিজিকের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশকে ধন বা গণিমা বলে। এই প্রয়োজনাতিরিক্ত রিজিকের মালিককে আমরা গণী বা ধনী বলি।

সুরা আনফালের ৪১নং আয়াতে বলা হয়েছে, আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গণিমত (প্রয়োজানাতিরিক্ত রিজিক) হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চামাংশ আল্লাহর জন্য এবং রসুলের জন্য ও নিকটাত্মীয়দের জন্য আর এতীম-অসহায় সহ অন্যান্যদের জন্য। আয়াতে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মত আমাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় খরচ মিটানোর পর আয়ের অতিরিক্ত অংশ থেকে একপঞ্চমাংশ (২০%) বায়তুল মালে অর্থাৎ ইসলামী কোষাগারে জমা হবে। যাকে বর্তমানে প্রচলিত যাকাত প্রদান করার সাথে তুলনা করা যায়।

সদকা (শরীয়ত এইখানে যাকাত অনুবাদ করে!) হল কেবল ফকির, মিসকীন, সদকা আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (সুরা তওবা-৯:৬০)।

আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুযায়ী ছদকার খরচের খাতসমূহ জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনা করলে বিশাল এক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । জাতীয় পর্যায়ের পরিমাণ এবং সংগ্রহের ব্যাবস্থা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপকতা প্রকাশ পায়।

কি পরিমাণ ব্যায় করব তার উত্তরে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ সহজ হয় (সুরা বাকারাহ-২:২১৯)। এছাড়াও কোরানে বলা আছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব কিছুই দান/ব্যয় করতে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশীদ কে আমারী যাকাত সম্পর্কে লিখার কথা ছিলো, যাহোক মেহেদী পরাগ চমৎকার বলেছে যাকাত সম্পর্কে। আমি কেবল একটু লিং করি।

যাকাত
ইসলামের অনেক জায়গায় যাকাত কথাটির উল্লেখ আছে কোরআনে। ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি নির্দেশনা। কোরআনের বহু জায়গায় যাকাত ও সালাতের কথা অতোপতো ভাবে জড়িত। আল্লাহ্পাক সূরা রুমের ৩৯ নাম্বার আয়াতে বলছেনঃ “ওয়ামা আ-তাইতুম মিন যাকা-তিন তুরিদুনা ওয়াজ্বহাল্লা হি ফাউল ইকা হুমুল মুদ্ব’ইফুন” অর্থঃ এবং তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষে যাকাত দান করে, তাহাদিগের ধন ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়; ওরাই সমৃদ্ধশালী। কোরআন বলছে “আকিমুস সালা-তা ওয়া আ-তুয্ যাকা-তা ওয়া আকরি দুল্লা-হা ক্বারদান হাসানান” অর্থঃ সালাত প্রতিষ্ঠিত করো, যাকাত আদায় করো। এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ বা কর্জে হাসানা দাও। যাকাতকে কোরআনে সদ্কাও বলা হয়েছে। “যাকাত” শব্দটি “জাক্কা” শব্দ হতে এসেছে; যার অর্থ পবিত্র হওয়া বা নিজেকে শুদ্ধ করা। সূরা তওবার ১০৩ নং আয়াতে আল্লাহ্ বলছেনঃ “খুয্মিন আমওয়া-লিহিম সাদাকাতন তুত্বাহহিরুহুম ওয়া তুযাক্কিহিম বিহা ওয়া সাল্লি আলাইহিম” অর্থঃ ওদর সম্পদ হওত সদ্কা গ্রহণ করো, ইহা দ্বারা তুমি তাহাদিগকে পাক করিবে ও আশীর্বাদ করিবে। এযাকাত অন্যাণ্য নবী-রাসুলদের উম্মতের বেলায়ও ছিলো বলে কোরআন সাক্ষ্য দেয়; সূরা বাকারা ৮৩ নং আয়াতে। সূলা মুমিনুনের ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ “ওয়াল্লাযিনা হুম লিয্যাকা-তি ফা-ইলুন” অর্থঃ যারা স্বীয় যাকাত প্রদানে সক্রিয়। কালেমা সাওম বা রোজা ও হাজ্জ্ব সম্পর্কে কোরআনে পৃথক পৃথক নির্দেশ এসেছে এবং কালেমার বিষয়টি মৌলিকভাবে নির্দেশ আছে। কিন্তু সালাত ও যাকাতকে একই সঙ্গে একই আয়াতে বার বার নির্দেশ দেয়া আছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। এই রহস্যটি সকলকে জানতে হবে,এটা আসলেই জানার বিষয়। কেন কোরআন সালাতের সাথে যাকাতের নির্দেশ দিচ্ছে। যাকাত পাবে নিঃস্ব, ফকির, মিসকিন ও মুসাফির। সূরা তওবা ৬০ আয়াত। সালাত,রোজা.হাজ্জ্ব, কলেমা ও যাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ হলেও যাকাত ও হাজ্জ্ব সামর্থবান মানুষের জন্য নির্ধারিত বলে হাদীসে কথিত আছে। আর সামর্থহীনদের স্তম্ভ হলো তিনটি, মানে কলেমা,সালাত ও রোজা। তাহলে কি দাড়ালো ধনীদের জন্য ইসলামের বুনিয়াদ বা স্তম্ভ হলো পাঁচটি আর গরীবদের জন্য ইসলামের স্তম্ভ হলো তিনটি। মানে ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ সবার জন্য নয়! ইহা’ই কি কোরআনের বিধান? না, হতে পারে না। ইহা কোরআনের বিধান নয়। কোরআনের বিধান হতে হবে সবার জন্য সার্বজনীন মানে সব মানুষের জন্য সমান প্রযোজ্য। কোরআনের বিধান জাগতিক ধনী-গরীব হিসাবে নয়। এটা হলো প্রাথমিক যুগের উমাইয়া-আব্বাসীয়া রাজশক্তী এবং তাদের পোষা মোল্লা মৌলবীদের অন্ধ কুপমন্ডুকতার কারসাজি। এরা যাকাত বলতে শুধু পার্থিব ধনের যাকাত’ই বুঝেছিলো এবং মানুষকে তা বুঝিয়েছিলো এবং সেইভাবে সস্তা বস্তপঁচা শত সহস্র কিতাব ও তারা রচনা করেছিলো কেবল তাদের সার্থে, তাদের কিছু মত চরিতার্থ করার জন্য। তারা একটি কথা বোঝেনি এবং বুঝতেও পারেনী যে পার্থিব ধনের যাকাতটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কল্যাণ এর জন্য। এবং তাহলো প্রতীক বা রূপক হিসাবে প্রযোজ্য যা মানব জাতির ইহলোকের জন্য সাময়িক এবং সামাজিক কল্যাণকর হিসাবে প্রযোজ্য। ইহা প্রতীক, আসলে উপমা, যার মাধ্যমে আসল পাওয়া যায় বা, হকিকতে পৌঁছাতে পারে। মুহাম্মাদ (সাঃ) পার্থিব ধনের যাকাত ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন মানব সমাজের নিঃস্ব ব্যক্তিদের মঙ্গলার্থে যার দ্বারা মানব সমাজ আর্থিক, সামাজিক ভাবে সাম্যের দিকে এগুতে পারে। ইহা কোরআনের যাকাতকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে; যা আসলের উপমা বা প্রতীক স্বরূপ। মাওলানারা মানুষকে যাকাত বলতে যা বুঝাচ্ছে তার কোন নির্দিষ্ট পরিমান কোরআনে নেই। কোরআনের কথা হলো প্রয়োজনে অতিরিক্ত তোমাদের যা আছে তা-ই যাকাত দিতে হবে। রাসুল (সাঃ) ইহলোকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায যে সুষ্ঠ বিধি-বিধান প্রবর্তন করেছেন এবং আর্থিক যাকাত ব্যবস্থা তার একটি। আসলে ঈদের আগে সময় নাই নয়তো আরও অনেক সুন্দর করে ভেঙ্গে বোঝানো যেতো।

মেহেদী পরাগ যাকাত নিয়ে চমৎকার লিখা হয়েছে ভালো থাকবেন, আবারো কথা হবে।


২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৮

মেহেদী পরাগ বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর ভাই,

যাকাত নিয়ে আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমিও কোরান অনুযায়ী তাই ভাবি যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সকল সম্পদ দান করে দেয়া উচিত। কিন্তু বুঝেনতো যারা হাদীসের শৃংখলাবদ্ধ বাজে নিয়মের বাইরে যেতে চায়না তারা এই যাকাত নিয়ে কেবলি প্রশ্ন করে বেড়ায়। আপনার যুক্তি এরা মানতে চাইবেনা। এরা চাইবে সুনির্দিষ্ট হিসাব, কত পার্সেন্ট টাকা যাকাত দিব ইত্যাদি। তাই তাদের উত্তরের জন্যই কোরান থেকে রেফারেন্স নিয়ে তাদের মন মত সুনির্দিষ্ট এমাউন্ট ২০% বের করে দেখালাম। এরা মিথ্যা কথা ছড়ায় যে ২.৫% যাকাত দিলে নাকি গরীবের অস্তিত্ব থাকতনা। হায়রে ২.৫% দিয়া কিছুই হবেনা, বরং ধনীরা আরও ধনী হবে। আজ যদি সরকার ট্যাক্স নেয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে দেশ কিভাবে চলবে? বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স ২৫% আর ভ্যাট ১৫%. এগুলো নেয়া বাদ দিয়ে এখন হাদীসের যাকাত ওয়ালাদের দেশ চালাতে বলেন, পাছার কাপড় উলটে যাবে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মেহেদী পরাগ ভাই সালাম, ভালো আছেনতো?
আসলে আপনি বিষয়টি খুব সুন্দর বলেছেন বাংলাদেশ সরকার ২৫% ট্যাক্স আর ভ্যাট ১৫% নিয়েও দেশ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে আর সেখানে ২.৫% যাকাত দিয়া গরীব উদ্ধার করবে! কোথায় ২.৫% আর কোথায় ২৫% । যারা জ্ঞানি তারা'ই বুঝে। ভালো থাকবেন।
পারলে একটু আমার "এইচ এম বিশ্বাস এর কথা অনুযায়ী সেলিম জাহাঙ্গীর কাফের" এই লেখায় ঢু মারেন। আমিতো নাজিবুললাহ ওরফে, শুভ জাহিদ ওরফে আব্দুল্লাহ আরিফ মুসলিমকে বোঝাতে পারচ্ছি না, সে বুঝতেই চায় না।। সে না পারলে খালি গালাগালি করে।

২৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৯

পাউডার বলেছেন:

প্রশ্ন: (অনুরোধ: দয়াকরে ভূল বুঝবেন্না। তর্কের জন্যনয়, আপনার সম্পর্কে জানারজন্য প্রশ্নকর্ছি। )
১। শেষ নবী সম্পর্কে কুরআন কিবলে আর আপনার বিশ্বাসকি?
২। "কুরআনের ৪০০ আয়াত নষ্ট করা হয়েছে " - এ সম্পর্কে আপনার মতকি এবং সহমত হলে তারকোনো অথেনটিক দলিল কিদেয়া যাবে? (নাজিবুল্‌লাহর লেখায় এইকথা কয়েকবার দেখেছি)
৩। ইসলামে সালাত দিনে কয়ওয়াক্ত? আপনি প্রতিদিন কয়ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন?

আপনার পোস্ট সম্পর্কে:
১। কুরআন আমাদের ম্যানুয়েল-বিশ্বকোষ। কুরআন ছাড়া কোনো গতিনাই। সঠিক তর্জমা-তাফসীর সহ কুরআন পাঠ করাছাড়া আমাদের সঠিক ইমান আনাসম্ভব নয়। কুরআন সাথে হাদিসের কোনো তুলনা চলেনা। কারন:
কুরআন = আল্লার বানী
হাদিস = মুসলিমদের সংগ্রিহীত "কথিত নবীজি(স: ) এরবানী"

২। সালাত-যাকাত-রোজার ক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছায় সর্ব প্রচলিত প্রাকটিসিং হাদিস গ্রহনযোগ্য। তাইবলে "কুরআনের আয়াত হাদিস ছাড়া পরিপুর্ননয়" - এ কথা বল্লে ১০০% ভূল হবে।

অবশ্যই আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দানকরুন।

২০ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি যা জানতে চেয়েছেন তা হাদীস মতে, নাকি কোরআন মতে জানতে চান?

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৬

নজিবুল্লাহ বলেছেন: এই ইহুদী-খৃষ্টান এর দালালেরা নিজেদের সুবিধা মত তাবারী আর ইবনে কাসীর এর রেফারেন্স দেয় কিন্তু ইবনে কাসির যে, কোরআনের সূরা নিসার ১১৩ নং আয়াত "হে রাসূল আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমত নাযিল করেছেন" এ হিকমাত এর অর্থ হাদীস করেছেন এটা আর বিশ্বাস করেনা।
(তাফসীরু কুরআনিল আযীম, ইবনে কাসির ইসমাইল ইবনে আমর, মাকতাবাতু দারিস সালাম, রিয়াদ, ১৪১২/১৯৯২, পৃষ্ঠা ৬১০)

মেহেদী পরাগ তার পোষ্টে করা আমার সব কমেন্ট মুছে দিয়ে আমাকে ব্লক করেছে। এটাকে কেন হকের সামনে (হাদীস-মাযহাব অনুসরণ) বাতিলের (হাদীস অস্বীকার) পরাজয় বলা যাবে না, পাঠকগণের নিকট আমার প্রশ্ন। উল্লেখ্য তাদের আরেক গুরু মজবাসার কোরআনকে আল্লাহর বানী বিশ্বাস করে না, সে বলে কোরআন হল নবীর নিজস্ব কথা বা হাদীস আর কোরআন হল আরেকটা আলাদা জিনিস যে কোরআন আল্লাহর আরশে আছে দুনিয়ায় কোরআন থাকা অসম্ভব। এই হল কোরআনের প্রতি তাদের বিশ্বাস। তবে কেন তাদেরকে কাফের বলা যাবে না ? কমেন্টের জবাব না দিয়ে ব্লক করা কি হকের পরিচয় নাকি বাতিলের পরিচয় ?

২৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

পাউডার বলেছেন:
@সেলিম: আমার প্রশ্নগুলা আপনার কাছে। আপনি যেটা সঠিকবলে করেন সেটা জানালে বাধিত হব।

@নাজিবুল্লাহ: মানলাম আল্লাহ হাদিস মান্তে বলেছেন। নবীজির কথা-কাজ সবই কুরআন এর ব্যাখ্যা। সেই হিসাবে হাদিসের মূল্য অপরিসীম।

তাই বৈলা বুখারী সাহেবের উপর ইমান আনা ফরজ করেছেন কিনা সেটা বলেন?
বুখারী/মুসলিম্ সাহেবের বই টারে কুরানের সঠিক ব্যাখ্যা না মানলে সে কাফির হয়ে যাবে?
কি তাজ্জব!

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ তাই বৈলা বুখারী সাহেবের উপর ইমান আনা ফরজ করেছেন কিনা সেটা বলেন?
বুখারী/মুসলিম্ সাহেবের বই টারে কুরানের সঠিক ব্যাখ্যা না মানলে সে কাফির হয়ে যাবে?
কি তাজ্জব!


নাজিবুললাহ্ আপনার জবাব দিবে না। পাউডার তবে হ্যাঁ আপনি আমার কাছে জানতে চেয়েছেন
১। শেষ নবী সম্পর্কে কুরআন কিবলে আর আপনার বিশ্বাসকি?

আমি কেবল বললেই হবে এটা ঠিক নয়। তবে কোরআন মেত মুহাম্মাদ (সাঃ) শেষ নবী নয়। তবে অনেকেই সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতটি ব্যববহার করে শেষে নবী হিসাবে। ৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী।

এই আয়াতটি খুব ভালো করে পড়ে দেখুন কি লিখা আছে আরবীটা।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে। যেমন বলছেঃ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

এইযে শেষ নবী বলা হয়েছে। এই শেষ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন কি? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। পাউডার আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ(শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এই আয়াতেও দেখলেন খাতাম মানে কি? আসলে খাতাম আরবী শব্দ যান মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। খাতাম মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন খাতাম মানে কেবল এক জায়গায়'ই অনুবাদ করেছে শেষ আর কোথাও খাতাম মানে অনুবাদ শেষ নয়; এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে খাতাম মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিয়ে কোরানিক ভাবে রাসুল (সাঃ) কে শেষ বানানোর জন্য লড়েছে এই মুসলমানরা? আমি ইচ্ছা করলে আপনায় খাতাম শব্দের আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিন্তু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন । কোরআনের আর কোথাও খাতাম মানে শেষ লিখানাই। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই করে নেয়অ হয়েছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্য কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

পাউডার এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে পাড়া মহল্লায় যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ
মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।

তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ); কি বুঝলেন? এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় খাতাম মানে শেষ এই অর্থটা দেখাতে পারবেন না।

পাউডার আপনি বলেছেনঃ
২। "কুরআনের ৪০০ আয়াত নষ্ট করা হয়েছে " - এ সম্পর্কে আপনার মতকি এবং সহমত হলে তারকোনো অথেনটিক দলিল কিদেয়া যাবে?

চলুন একটু জানার চেষ্টাকরি

১। আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”। [দ্র: সং. ইসলামী বিশ্বকোষ,১ম খ. ৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা.

২। বেশি দিনের কথা নয়, প্রায় ৫০ বৎসর পূর্বের অনুদিত ও প্রকাশিত যে কোন কোরানের প্রারম্ভে কয়টি সুরা, কয়টি পারা, মনজিল, রুকু, সেজদা ও আয়াত, শব্দ, জের, জবর, পেশ, তাসদিদ সংখ্যার হিসাবসহ একটি স্বতন্ত্র তালিকা থাকতো এবং তাতে আয়াতের সংখ্যা ৬,৬৬৬টি উল্লেখ থাকতো। কিন’ আধুনিক প্রকাশিত কোরানে সবই থাকে কিন’ আয়াত সংখ্যা থাকে না। উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত কোরান অন্যতম। এর কারণ অজ্ঞাত ও রহস্যজনক বটে! বলাবাহুল্য, মোবারক করীম জওহর অনুদিত কোরানে আজও ৬,৬৬৬টি আয়াত লেখা আছে; লেখা আছে আশরাফ আলী থানভীর অনুদিত কোরানসহ অধিকাংশ কোরানে। কিন’ কোরানখানির আয়াত সংখ্যা একুন করলে পাওয়া যায় মাত্র ৬,২৩৬টি; অর্থাৎ ৪৩০ টি আয়াত কম! বিবি আয়শার মতে আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬টি। তার স্ব-পক্ষে একটি ঐতিহাসিক দুর্দান্ত- প্রমাণ রয়েছে:
৩। তৎকালে তুরস্কের শাষণকর্তা আরবের খলিফা নামে রাজা-বাদশাদের শুভ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কোরানের ৬,৬৬৬টি আয়াতের প্রমাণ ও প্রতীক স্বরূপ ৬,৬৬৬টি স্বর্ণের মোমবাতি সংবলিত মহা মূল্যবান একটি বাতিদানী তৈরী করেন কাবা ঘরে উপহার দেয়ার জন্য। কিন্তু’ বিধি বাম, হঠাৎ মুসলিম বীর কামাল আতাতুর্কের আগমণে তুর্কী মৌলবাদ লন্ড-ভন্ড হওয়ার ফলে সে পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। অতঃপর কামাল পাশা তোপকাপী মিউজিয়ামে ঐ বাতিদানীটি রক্ষণ করেন, যা আজও সেখানে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, হযরত ওসমানের লিখিত কোরানও সেখানে রয়েছে। [ দ্র: সরাসরি তোপকাপী মিউজিয়াম অথবা এ্যাম্বেসীতে খোঁজ নিতে পারেন।

পাউডার আপনি বলেছেনঃ
৩। ইসলামে সালাত দিনে কয়ওয়াক্ত? আপনি প্রতিদিন কয়ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন?

পাউডার আমার মতে সালাত ”আরবী” শব্দ যার ফার্সী উচ্চারণ নামাজ। এখন কথা আসতেই পারে সালাত কেন নামাজ হলো, আর এটাই সকলে বলে থাকে যে নামজ পড়তে হবে। নামাজ একবার পড়া হয় তা জানা হয়ে গেলে আর পড়া হয় না সেটা আদায় করা হয় ও কায়েম করা বলে। এই সালাত কথাটি যদি ফার্সী ভাষাভাষি মানুষ তরজমা না করে অন্য কোন দেশের মানুষ করতো তাহলে তাদেরটায় আগে স্থান করে নিতো। বাংলাদেশের মানুষ আগে তরজমা করলে হয়তো সালাত মানে প্রার্থনা, উপাসনা,ধ্যান কিংবা একাগ্রোতা করতেন। যেমন কোরআনের সর্ব প্রথম বাংলা তরজমাকরী গ্রীশচন্দ্র তার অনুবাদে সালাত মানে উপাসনা করেছেন।
কোরআনের অনেক জায়গায় সালাত কথাটি নেই; আছেঃ প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা আল্লাহর এমন উক্তি দেখে কি মনে হয় এটা সালাতের কথা বলেছে? প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করাটা প্রার্থনাও হতে পারে,ধ্যান কিংবা একাগ্রোতাও হতে পারে। তার পরেও এইসবের মানে হাদীস মেলাতে তারা গুলিকে সালাত বলেছে; সাতালের সময় বানিয়েছে কি ভাবে দেখি।
১। সূরা ত্বোয়া-হা ২০:১৩০ আয়াতঃ
فَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا وَمِنْ آنَاء اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَى
অর্থঃ সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।

সূলা বাকারা ২:৩ আয়াতঃ
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
অর্থঃ যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে

উপরে উল্লেখিত সূরা বাকারার ৩নং আয়াতে আরবী উচ্চারণ কিন্তু সালাত’ই আছে। এখানে সালাত মানে নামাজ বলা হয়েছে। এটা যুক্তিযুক্ত। এমন অনেক জায়গা আছে কোরআনে একটু মনোযোগসহকারে পড়লেই পাবেন। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।

৩০| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এককথায় সারকথা,

কুরআন ঠিকই পূর্ণাঙ্গ,
হাদিস ছাড়া তা বোঝা কখনো সম্ভব নয়।

এরপরও যদি প্যাচাল চলে,
তবে সময়টা হল নষ্ট করার জন্য এক উপযুক্ত সম্পদ।
এরচে বেশি নষ্ট করার মত দামী সম্পদ আর নাই।

৩১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

পাউডার বলেছেন:
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এককথায় সারকথা,

কুরআন ঠিকই পূর্ণাঙ্গ,
হাদিস ছাড়া তা বোঝা কখনো সম্ভব নয়।


@গোলাম দস্তগীর লিসানি -
কথাটা হাস্যকর শুনাইলো। আপনার কথায় হাদিস ছাড়া বোঝা না গেলে কুরআন পূর্ণাঙ্গ হৈলো কেমনে?
তাইলে তো ভাই, কুরআন না পৈড়া হাদিস(ব্যাখ্যা) পরলেই ভালো। কি বলেন? :)

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, আপনার সাথে একমত। গোলাম দস্তগীর লিসানি কোরআনে আল্লাহ্ অনেক জায়গায় অনেক বার বলেছেন আমি এই কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতেকরে তোমরা বুঝতে পারো।

৩২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭

পাউডার বলেছেন: ৪০০ আয়াত এর ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত না। কিছু লোক দাবি করেন যে উমর সব আয়াত সংক্লিত করেন নাই। ততকালিন জিবিত হাফেজদের কারনে কিন্তু উমরের এইটা কইরা বাচার সমভাবনা ছিলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.