![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে
এইচ এম বিশ্বাস “তারাবীহ নামায আট রাকায়াত” এ বাতিল দাবীর দলীল ভিত্তিক খন্ডন শীর্ষক একটি লিখা ব্লগে লিখেছে। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তার লিখায় কমেন্ট করলাম সে আমায় কাফের উপাধী দিলো। সে বললোঃ যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে শরিয়তের ফায়সালা অনুযারী কাফের হয়ে গেছেন। কেননা প্রথমত আপনি কুরআন শরীফ অস্বিকার করেছেন, দ্বিতীয়ত আপনি হাদীছ শরীফ অস্বিকার করেছেন। তৃতীয়ত আপনি ইজমা ক্বিয়াস অস্বিকার করেছেন। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর পাঠকের কাছে এই বিচার দিলাম; আমি কোথায় কোরআন অস্বীকার করলাম আপনারই দেখুন। আমার প্রথম কমেন্ট টা হুবহু তুলে দিলাম।
তারাবী নিয়ে
আপনি আট রাকাত আর বিশ রাকাত কিংবা সতের রাকাত যায় বলুন না কেন এগুলি বিষয় নয়। যে সব কথা গুলি আমি আপনি বোখারীরা শুনেছে সকলেই মানুষের মুখে থেকে শুনেছে। কত দিন পরে জানেন? রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে। সব শরীয়তি আলমরা যে ভাবে হাদীসের বর্ণনা করেছে তাতে করে মনে হয়েছে উনি যেন চোখে দেখেছেন। অনুমান করে কোন কথা বলা সহীহ্ হতে পারেনা। হাদীস কোন সময় লিখিত আকারে ছিলো না। যারা এই সব মশলা মাশায়েল দিচ্ছেস তাদের আর শরীয়তি আলেমদের ভিতর কোন পার্থক্য আছে কি? মানুষের মুখে থেকে কোন ঘটনা শুনলেন রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে আর সে কথা একই হুবুহু কেউ বলতে পারে না। আপনি নিজেই কোন ঘটনা পরীক্ষা করতে পারেন। কাউকে একটি ছোট গল্প বলেন পারে এটা ব্যাক্তি টু ব্যাক্তি ছড়িয়ে দেন পরে নিজের কানে শুনে দেখবেন আপনার সেই গল্প হুবুহু আছে না পরিবর্তন হয়েছে। যদি পরিবর্তন হয় তাহলে ভাবতে হবে হাদীস আর কোরআনের পর্থক্য। অযথা অনুমান করে কথা বলা'ই হচ্ছে গুনাহর কাজ।
অনুমান যে গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
আবার যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলঝে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।
হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
আসুন আমরা কোরআনের আলোয় আলোকিত হই। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন
উপরের কমেন্ট এর পর লেখক এইচ এম বিশ্বাস আমায় বললেনঃ
প্রথমত: যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে শরিয়তের ফায়সালা অনুযারী কাফের হয়ে গেছেন। কেননা প্রথমত আপনি কুরআন শরীফ অস্বিকার করেছেন, দ্বিতীয়ত আপনি হাদীছ শরীফ অস্বিকার করেছেন। তৃতীয়ত আপনি ইজমা ক্বিয়াস অস্বিকার করেছেন।
এবার আসনে মূল আলোচনায়--- আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, আমার হাবীব অর্থাত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছে তা আকড়ে ধর।
আবার অপর আয়াত শরীফে বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট।
তাহলে এখন বলেন,,,হাদীছ শরীফ কী????
দ্বিতীয়ত: আপনি যদি মুসলমান হন আর নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, হজ্ব করেন, যাকাত দেন ইত্যাদি তাহলে এই তর্য তরীকা গুলো কোথায় পেলেন?????? এগুলো কিভাবে আদায় করতে হবে কুরআন শরীফ এর কোথাও তা লেখা দেখাতে পারবেন??/ কখনোই পারবেন না। তাহলে আপনাকে হাদীছ শরীফ দেখতে হবে আর হাদীছে না পেলে ইজমা ক্বিয়াস দেখতে হবে??????????
আবার আপনি বলেছেন, যে সব কথা গুলি আমি আপনি বোখারীরা শুনেছে সকলেই মানুষের মুখে থেকে শুনেছে। কত দিন পরে জানেন? রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে। সব শরীয়তি আলমরা যে ভাবে হাদীসের বর্ণনা করেছে তাতে করে মনে হয়েছে উনি যেন চোখে দেখেছেন। অনুমান করে কোন কথা বলা সহীহ্ হতে পারেনা। হাদীস কোন সময় লিখিত আকারে ছিলো না
এটার দ্বারা আপনার মূর্খতা স্পষ্ট প্রকাশ পেল। কেননা, ছাহাবায়ে কিরামগন কখনো মিথ্যা কথা বলেন নি। উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট।
যদি উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে উনারা মিথ্যা কথা বলেন কিভাবে???????
আর বেশি কিছু বললাম না । ভন্ডামি ছেড়ে ভাল হয়ে যান। আপনার মাথায় গোবর, কুত্তার গু ভরা আপনার কোন কিছু মনে থাকবেনা এটাই সাভাবিক।
আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তাকে আবার দ্বিতীয় কমেন্ট করলামঃ
১। (ক) আপনি কি ওহাবী মতবাদের লোক? আপনারা কেবল মানুষকে বলে থাকেন কাফের। আপনি ইসলাম ধর্মের মানুষ এত উগ্র কেন; আপনার এত রাগ থাকবে কেন। আপনার লিখায় আমি সমালোচনা করতেই পারি। আপনি আমাকে সেটা আপনার যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন। ইসলাম মানে শান্তি। আমারতো আপনাকে শান্তির ধর্মের লোক মনে হয় না। কেন মনে হয় না।?
২। আপনি বলেছেনঃ ভন্ডামি ছেড়ে ভাল হয়ে যান। আপনার মাথায় গোবর, কুত্তার গু ভরা আপনার কোন কিছু মনে থাকবেনা এটাই সাভাবিক।
(খ) আমার আচরনে ভন্ডমী পাওয়া গেছে নাকি আপনার আচরণে? আমি শান্তির ধর্মের মানুষ বলেই খুব শান্ত ভাবে আপনার সাথে কথা বলছি আর আপনি গালি গালাজ করে চলেছেন। কিন্তু কেন? ইসলাম আপনাকে এই শিক্ষা দেয়?
৩। আপনি বলেছেনঃ দ্বিতীয়ত: আপনি যদি মুসলমান হন আর নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, হজ্ব করেন, যাকাত দেন ইত্যাদি তাহলে এই তর্য তরীকা গুলো কোথায় পেলেন?????? এগুলো কিভাবে আদায় করতে হবে কুরআন শরীফ এর কোথাও তা লেখা দেখাতে পারবেন??/ কখনোই পারবেন না। তাহলে আপনাকে হাদীছ শরীফ দেখতে হবে আর হাদীছে না পেলে ইজমা ক্বিয়াস দেখতে হবে??????????
(গ) কোরআনের কোথাও দেখাতে পারবো বলে আপনি কি কোরআন কে বড় করলেন? নাকি কোরআন কে ছোট করলেন? কোরআন কি আপনার কথা মত অপূর্ণাঙ্গ কিতাব? কোরআনে যা নাই তা আপনাকে কে মানতে বলেছে, আল্লাহ্?
আপনার কথা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কোরআন ও হাদীস আমি জানিনা। আমি কিন্তু আমার লিখায় প্রতিটা প্রশ্ন করেছি। তার উত্তর না দিয়ে কেমন যেন পাস কাটিয়ে গেছেন। আমি হাদীস কোরআন নিয়ে যা জানতে চেয়েছি সেই উত্তর টা আপনার দেওয়া উচিত ছিলো।
নামাজ কিভাবে পড়বেন
হাদীস না মানলে আপনি নামাজ পড়বেন কেমন করে এটা শুনুন। আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। রাসুলে মৃত্যুর তিন থেকে সাড়ে তিন শত বছর পরে শুরু হয়েছে হাদীস সংগ্রহের কাজ। তাহলে হাদীস লিখার পূর্বে এই সব মানুষ গুলি কি পড়তো, কি ভাবে নামায আদায় করতো? আসলে তারা নামাজ আদায় করতো বংশপরম্পরায় অনুসরন করে। আপনিও অনুরসন করে নামাজ আদায় করা শিখেছেন। হয়তো বাবার কাছে নয়তো মসদিজের ঈমামের পিছনে দাড়ীয়ে অনুকরন করে। কেউ নামাজ শিখতে হাদীস পড়েনা।
৪।পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?
ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। তোর মায়ের কসম সত্য বলবি। আমি কোরআন মানি, তার মানে আল্লাহকে মানি। আমি যদি কোরআন মানি তাহলে এমনিতেয় রাসুলকে মানা হয়ে যায়। কেন? এই কোরআনের বানী পৃথিবীতে রাসুলের মাধ্যমে সাহাবাদের দ্বারা বিভিন্ন গাছের বাকলে, চামড়ায়,পাতায় ও হাড় লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমার ধারনা আপনি আমার কমেনট ঠিক মত পড়েননী । আমি কোরআন ও হাদীস নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছি তার জবাব আপনার জানা থাকলে দেওয়া উচিত আর না জানলে আপনার বলা উচিত আমি এগুলি জানি না।
এবার হাদীস কোরআনের কথা বলছেন তা পড়েছি বইকি এগুলির নাড়ি নক্ষত্র জানি বলে এই বিষয়টি নিয়ে বলেছি। হাদীস না মানলে ধর্ম যাবে এমন কথা কেন আসবে। প্লিজ দয়া করে হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস পড়েন, আরবের ইতিহাস পড়েন। দেখুন কিভাবে হাদীসের উতপত্তি হয়েছে। পৃথিবীতে সকল নবী রাসুল ইবাদত করেছে এবং তার সাহাবা ও উম্মত রেখে গেছে তারাও আল্লাহকে ডাকতো ইবাদত করতো; কিন্তু কিসের ভিত্তিতে করতো? তাদেরতো হাদীস গ্রন্থ নাই। তাহলেকি তারা আমাদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান ছিলো। আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসাবে কেনই কোরআন ব্যাতিরেখে হাদীস ছাড়া চলতে পারলাম না। যে হাদীস গুলি বেশীর ভাগই গল্প, জাল সেই জাল হাদীস নিয়ে চলতে হবে কোরআন বাদ দিয়ে? ধর্মে নানান ফেকাহ্ এসেছে এই হাদীস থেকে। হাদীস বলছেঃ
হাদীস
১। নামাজরত কোনো পুরুষের সামনে থেকে যদি কোনো গাধা, কালো কুকুর অথবা কোনো নারী অতিক্রম করে তবে তার নামাজ বরবাদ হবে।
হাদীস সূত্রঃ (বোখারী (আরবি)- ৪/১০২; হাম্বাল (আরবি)- ৪/৮৬; ৩/৬১)
কোরাআন
অতঃপর প্রতিপালক তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, নারী হোক কি পুরুষই হোক! আমি কারো কর্মফল বিনষ্ট করি না। তোমরা একে অন্যের সমান । [ইমরান- ৩:১৯৫ আয়াত]
আবু আইউব আনছারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, মল-মুত্র ত্যাগের সময় কেউ কেবলামুখী বসবে না।
কেবলার দিকে পিঠও দিবে না, পূর্ব বা পশ্চিম মুখী বসবে না।
[দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৪, পৃ: ১২৫;
হামিদিয়া লাইব্রেরী]
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা
বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার
দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি
একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দু’টি
ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা-
পেশাবের জন্য বসে আছেন।
[ দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]
এইসব নির্লজ্জ কথা গুলি মানতে হবে???
(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?
(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?
(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই
হাদীসের বয়ান করছি না?
কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্
৫। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?
(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো, যে ভাবে
কোরআন ছিলো?
আল্লাহ্ বলছেন মুহম্মাদ যদি আমার নামে নিজে কিছু রচনা করতো তবে অবশ্যই তার ডান হাত পাকড়াও করে তার জীবন ধমনী কেটে ফেলতাম। তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কোরআনে কিছু লিখেনী। কিন্তু হাদীসের লিখা গুলিকি ধর্মে নতুন ভাবে প্রবেশ করেনি? হাদীসের লিখা ধর্মে কোরআনের আয়াতের পাশে প্রবেশ করেছে। এর পরেও মতবাদ করি পাক কালামের সাথে। আমরা কোরআন বাদে হাদীস নিয়ে নানান মতবিরোধ করছি। হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।
৬। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
৭।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা
হযরত আবুবকর
প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের
এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ
গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”
হযরত ওমর ফারূক
হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব
পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”
হযরত ওসমান
হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।
হযরত আলী
যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেনঃ
এটার দ্বারা আপনার মূর্খতা স্পষ্ট প্রকাশ পেল। কেননা, ছাহাবায়ে কিরামগন কখনো মিথ্যা কথা বলেন নি। উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট।
যদি উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে উনারা মিথ্যা কথা বলেন কিভাবে???????
সেলিম জাহাঙ্গীর
৮। (ক) সাহাবায়ে কেরামগণ মিথ্যা কথা বলেছেন কি বলেননি এটা আপনি কিভাবে বিচার কররেন?
(খ) আপনি বলেছেন উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে বলেছেন। কিন্তু কোরআনে কি বলেছেন এবং কোন জায়গায় বলেছেন সেটা অবশ্য কোরআন থেকে দেখাবে সূরা ও আয়াত। তোর ধর্মের কসম।
(গ) উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট। এটা কোন জায়গায় আছে অবশ্য দেখাবেন।
এইচ এম বিশ্বাস আপনি কাঙ্গাল মুরশিদ এর কমেন্ট মুছে ফেলেছেন কেন?
আপনার কাছে প্রশ্ন
১. আপনি কোরআন কতটুকু পড়েছেন?
২. কোরআন কিভাবে পড়েছেন?
৩. নাসেখ-মানসুখ বোঝেন?
৪. কোন তাফসির পড়েছেন?
৫. হাদীস সংকলনের ইতিহাস জানেন?
৬. হাদীসের প্রয়োজন কেন হল জানেন?
৭. হুকম শরীয়া বোঝেন?
৮. কারীনা বোঝেন?
৯. সহীহ, জয়ীফ, হাসান, জাল হাদীসের পার্থক্য বোঝেন?
১০. মুস্তাহিদ চেনেন? মুস্তাহিদ হতে হলে কি কি গুনাবলী থাকতে হয় জানেন?
আল্লাহ কোরআনের সূরা আন আম ৬: ১৪৮ আয়াবে বলেছেনঃ
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلاَ آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم حَتَّى ذَاقُواْ بَأْسَنَا قُلْ هَلْ عِندَكُم مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا إِن تَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ أَنتُمْ إَلاَّ تَخْرُصُونَ
অর্থঃ এখন মুশরেকরা বলবেঃ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারা এবং না আমরা কোন বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার। তোমরা শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল।
অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন
২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:১১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুল্লাহ আপনি বলছেন প্রথমে হাদীস লিখতে বারন করেছিলেন কোরআনের সাথে মিশে যাবার আশাংকায়, যেহেতু তখনও কোরআন লিপিব্ধ করা হয় নি।
হাদীস দিয়ে ধর্ম চলছে সেই ক্ষেত্রে কোরআনের সাথে হাদীস মিসলে অসুবিধা কোথায়? যেমন নামাজ কিভাবে পড়বেন, যাকাত কিভাবে দিবেন, কতভাগ দিবেন এই গুলিতো কোরআনে নাই তায় এ্যাড হলো কোরআন আপনাদের ভাষায় পূর্ণাঙ্গতা পেতো। নাকি কোরআনের সাথে হাদীস মিশলে অসুবিধা আছে? নাকি হাদীস লিখা রিষেধ ছিলো কোন টি?
১। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
২।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
উপরের হাদীস গুলি কি মিন করে? একটু চিন্তা করে জবাব দিবেন।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৪৭
Tuhin Hasan বলেছেন: ভাই এই কাজগুলিতে আমিও কষ্ট পাই। হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পর কয়েকজন ব্লগার এরকম লিখেছেন- "আলহামদুলিল্লাহ। এক কাফের দুনিয়া থেকে বিদায় হল"। বলেন ভাই কিছু বলার আছে?
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৫৮
নজিবুল্লাহ বলেছেন: কোরআন হল ওহী মাতলু (যার ভাব ও ভাষা উভয়টাই আল্লাহর)। আর হাদীস হল ওহী গায়রে মাতলু। (যার ভাব আল্লাহর ভাষা নবীর (স। ওহী মাতলু দিয়ে নামাজ পড়া যায়। কিন্তু ওহী গায়রে মাতলু দিয়ে নামাজ পড়া যায় না্ তাই একটার সাথে আরেকটার মিশ্রন ছিল দোষনীয় এবং এ জন্যেই লিখতে বারণ করা হযেছিল। তবে উভয়টাই ওহী এবং ওহীর উপরে পরিপূর্ণ বিশ্বাস না আনলে সে মুমিন নয়।
আপনি হাদীস অস্বিকার করে আবার হাদীস দিয়েই দলিল দিচ্ছেন কোন যুক্তিতে ?
আব্বাসীয় যুগে এবং তার সংলগ্ন পূর্বকালে প্রধানতম বিষয় ছিল হাদীস সংকলন। বেশ কিছু কাল সাহাবীদের পরস্পরের মধ্যে এবং পরবর্তীতে সাহাবী ও তাবেয়ীদের মধ্যে এ বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল যে, হাদীস সংগ্রহ ও সংকলন কল্যাণকর হবে কিনা। পরে এই মত পার্থক্য বিদূরিত হয়ে সংকলনের পক্ষেই সকলে একমত হয়। সম্ভবত উমর বিন আব্দুল আযীযই এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মুআত্তায় মালেকে আছে যে, উমর বিন আব্দুল আযীয আবু বকর বিন মুহাম্মদ বিন আমর বিন হাযামকে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন, "রাসূলুল্লাহ (স এর বানী ও কর্ম অনুসন্ধান পূর্বক লিপিবদ্ধ করো। কেননা, আমার আশংকা হয় যে, আলিমদের অন্তর্ধানের সাথে সাথে ইলমও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।" এছাড়া তাকে আরো নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তিনি উমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান আনসারী এবং কাসিম বিন মুহাম্মদ বিন আবু বকরের কাছে যা আছে তা লিপিবদ্ধ করে তার কছে পাঠিয়ে দেন। তারিখে ইছবাহান গ্রন্থে আবু নায়ীম লিখেছেন যে, উমর বিন আব্দুল আযীয বিভিন্ন অঞ্চলে হাদীস সংগ্রহ করার লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন।
উপরে আলোচিত আবু বকর বিন মুহাম্মদ ছিলেন মাদানী আনসারী সাহাবী, সুলায়মান বিন আব্দুল মালিক ও উমর বিন আব্দুল আযীযের পক্ষে তিনি মদীনার বিচার বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১২০ হিজরীতে তার মৃত্যু হয়। আর ওমর বিন আব্দুল আযীযের খেলাফত কাল ছিল ৯৯ হিজরী থেকে ১০১ হিজরী পর্যন্ত। সুতরাং আব্দুল উপরোক্ত বর্ণনা মতে সম্ভবত ১০০ হিজরীর দিকে তাকে হাদীস সংকলনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সে নির্দেশ কি পালিত হয়েছিল ? আমরা শুধু এটুকু জানি যে, উক্ত সংকলন গ্রন্থ আমাদের হাতে এসে পৌছেনি এবং আমাদের জানামতে পরবর্তী কালের হাদীস সংকলকরাও কথিত সংকলন গ্রন্থের প্রতি কোন ইংগিত দেননি। এ কারণেই কোন কোন প্রাচ্যবিদ গবেষক এই বর্ণনাটির বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা এ ধরণের আদি সংকলনের কোন অস্তিত্ব থেকে থাকলে নি:সন্দেহে তা হাদীস সংকলকদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস রুপে বিবেচিত হতো। কিন্তু আমাদের মতে এখানে এ ধরণের প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই। কেননা আলোচ্য মর্মার্থ শুধু এই যে, উমর নির্দেশ দিয়েছিলেন, সংকলন কর্মও যে সম্পন্ন হয়েছিল এমন কথা তো সেখানে নেই। সুতরাং এমনওতো হতে পারে যে, উমর বিন আব্দুল আযীযের আকষ্মিক মৃত্যু আবু বকরকে সে নির্দেশ কার্যকর করা থেকে বিরত রেখেছিল।
আব্বাসীয় যুগের অভ্যুদয়ের পর দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝিতে অন্যন্য শাস্ত্রের ন্যায় হাদীস সংকলনের কাজও শুরু হয়। বিভিন্ন শহরে প্রায় এক সময়েই হাদীস সংকলনের প্রবণতা দেখা যায়। মক্কায় রোমক বংশোদ্ভুত ইবনে জুরায়জ হাদীস সংগ্রহ করেন। ১৫৮০ হিজরীতে মৃত্যু বরণকারী এই মুহাদ্দিসকে ইমাম বুখারী কিন্তু নির্ভরযোগ্যতার সনদ দেননি। এছাড়া মদীনায় মুহাম্মদ বিন ইসহাক (মৃত্যু-১৫১ হিজরী)ও মালিক বিন আনাস (মৃ-১৭৯), বসরায় রাবী বিন সাবীহ(মৃ-১৬০), সাঈদ বিন আবু আরুবাহ (মৃ-১৬১),ও হাম্মাদ বিন সালামাহ(মৃ-১৭৬), কুফায় সুফইয়ান ছাওরী (মৃ-১৬১), সিরিয়ায় আওযায়ী(মৃ-১৫৬), ইয়ামানে মামার (মৃ-১৫৩), খুরাসানে ইবনুল মুবারাক (মৃ-১৮১) ও মিসরে লায়ছ বিন সাআদ (মৃ-১৭৫) হাদীস সংকলনের কাজ করেন।
তাই যারা বলে হাদীস বুখারীদের আবিষ্কার তার নি:শন্দেহে ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল ও ভন্ড নবী রাশাদ খলীফার ভন্ড উম্মত।
২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কিছু লোক ছিলো যারা এইভাবে চিন্তা করতো,আমার কথা বা ধারনা যদি সত্য ও ভালো হয়,তবে সেই কথা বা ধারণা আরও বিস্তারিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা মিত্যা হাদীস বানানোর অসুবিধা কি? যেমনঃ
''আকীলি, মোহাম্মদ এবনে ছইদ হইতে রেওয়ায়েত করিয়াছেন বাক্যটি যদি সৎ হয়, তবে তজ্জন্য একটা সূত্র-পরম্পরা গড়িয়া লওয়াতে, অর্থাৎ মিত্যা করিয়া তাহাকে হাদীসে পরিণত করাতে কোন দোষ নাই।তিমমিজি বলেন, আবু মোকাতেল খোরাছানী লোকমান হাকিমের উপদেশ সম্বন্ধে আওন-এবনে-শাদ্দাদ হইতে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেন। ইহাতে তাঁহার ভ্রাতুস্পুত্র তাঁহাকে বলিলেন, আপনি আওন আমাকে বলিয়াছেন এরুপ কথা বলিবেন না। কারণ আওনের নিকট হইতে আপনি ঐ সকল হাদীস শ্রবণ করেন নাই। ভ্রাতুস্পুত্ত্রের কথা শ্রবণ করিয়া আবু মোকাতেল বলিলেন, ইহাতে দোষ কি বাবা? এই কথাগুলি তো খুবই ভালো।----চরকাশী-আমাদের গুরু ও 'মাফহুম' রচয়ীতা আব আব্বাহ্ যাহা বলিয়াছেন, তাহা আরও বিস্ময়জনক। তাঁহারা বলেন,কিয়াছবাদী ফেকাওয়ালাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, কিয়াছের দ্বারা কোন কথা প্রমাণিত হইয়া গেলে, সেই কথাকে হাদীসে পরিণত করার জন্য, হজরতের নামে অর্থাৎ হজরত বলিয়াছেন বা করিয়াছেন এইরুপ বলিয়া একটা মিথ্যা সনদ গড়িয়া লওয়া জায়েজ।
---(মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা ৯১-৯২)
উপরের উদ্ধৃতি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, অনেক লোকের ধারণা অনুযায়ী, কোন ভালো বা যুক্তিসংগত বিষয় মানব সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করতে গেরে সেই বিষয় সম্পর্কে মিথ্যা সনদসহ জাল হাদীস করার কোন অসুবিধা নেই বরং জায়েজ।
লোকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাজার হাজার নয় বরং লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস তৈরী করিয়াছে। হাম্মাদ বিন যায়েদের বর্ণনামতে একমাত্র যানাদুকারাই চৌদ্দ হাজার জাল হাদীস রচনা করিয়াছিল। ইহাদের মধ্যে আব্দুল করিম অজ্জা নিজেই স্বীকার করিয়াছে যে, সে চার হাজার জাল হাদীস রচনা কারিয়াছিল। অনেক নির্ভরযোগ্য দরবেশ শ্রেণীর লোকও মানুষকে ধর্মের প্রতি উৎসাহিত করিবার সৎ উদ্দেশ্য নিয়া ফাযায়েল মূলক হাদীস তৈরী করিয়াছিল। হাফেজ যয়নুদ্দীন ইরাকী লিখিয়াছেন- এই সমস্ত দরবেশের তৈরী হাদীসই সব চাইেতে বেশী ক্ষতিকর হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। কারণ সাধারন্যে তাহাদের লেবাছ, পোশাক ও চাল চলন দেখিয়া মনে করার উপায় ছিল না যে, এই সমস্ত লোকও ভূয়া হাদীস তৈরী করিতে পারে। সুতরাং সাধারণ লোক তাহাদের তৈরী হাদীস গুলিকেই সহীহ্ হাদীস বলিয়াই ধরিয়া লইয়াছিল।''-----(আবু হানিফা, পৃষ্ঠা ২১৮)
আপনাকে অনেক বলা যায় হাদীস সম্পর্কে কিন্তু লাভ কি বলে আপনাকে। আপনর হৃদয় ও চুক্ষুতে আল্লাহ্ শীল মোহর এটে দিয়েছেন। আপনারা চোখে ভালো কিছু দেখবেন না। কোরআনের সঠিক আয়োত দেখবেন না। আসুন দেখি হাদীস লিখতে কোরআন স্বীকৃতি দেয় নাকি।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
(ক) রাসুল কে আকড়ে ধরতে বললো 'কোরআন' তাকে ছাড়া আশ্রয় পাবে না। আপনি কোরআন ছাড়া আশ্রয় পাবেন?
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(খ) এই খানে, আল্লাহ রাসুল কে বলছে সে তাঁকে কবিতা শিক্ষা দেয় নাই। রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দিলে সে কি হত নিশ্চয় কবি হত, কিংবা কবিতা রচানা করতো কাব্য রচনা করতো। অথচ তাঁকে আল্লাহ্ বলছে স্পষ্ট উপদেশের কথা, তা হচ্ছে কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
(গ) এই সূরাতে আল্লাহ্ বলছে কোরআনের পূর্বে রাসুল কোন কিতাব পাঠ করেননি। এবং তার ডান হাত দিয়ে কোন কিতাব লিখেনী, যদি সে কিতাব লিখতো তাহলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করতো। এই আয়াতে কি বোঝা যায় না যে, রাসুল হাদীস লিখলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত! এই কথাই আল্ল্হ্ বলেছে? এই কারনে রাসুল এমনকি তার খলিপারাও হাদীস লিকে নাই।
কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না তা জানতে হবে; তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন কিবলে চলুন দেখি
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
উপরের এই আয়াতে কি বুঝলেন? যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে। এরা কারা যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের কি বলে চলুন দেখি।
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৬। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াতে কিন্তু আল্লাহ্ হাদীস দিয়ে ফয়সালা করতে বলেন নাই। বলেছে সকল কিছু কোরআন দিয়ে ফয়সালা করতে। টিভি চ্যালেন গুলিতে আজ আর কোরআন দিয়ে ফয়সালা হয় না, হয় হাদীস দিয়ে।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
আসলে মানুষ তর্ক প্রিয় যেমন আপনি করছেন না জেনে। হাসীদ চরনা করাকে কোরআন ও হাদীস কেউ সমর্থন করে না। নাজিবুল্লাহ আসুন দোয়া করি যেন আল্লাহ্ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার জ্ঞান দান করেন---আমেন
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫১
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ১। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
২।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
@ সেলিম:
আপনি হাদিসের উপরে ১% ও আস্থা রাখছেন না আবার হাদিস থেকেই প্রমান দিয়ে বলতে চাচ্ছেন হাদিস সংরক্ষণের দরকার নেই। এবং যেগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলি ভুলে ভরা। আপনি উপরে উল্লেখিত যে ২টি হাদিস দিয়েছেন সে ২টি হাদিস কেন বিশ্বাস করেন?? কিসের ভিত্তিতে আপনি বলতে পারছেন যে "হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত"। এটা পরিস্কার ডাবল স্টান্ডার্ড। এবং যারা এটি করে থাকে তাদের কোন যুক্তি বুদ্ধিই কেউ মেনে নিবে না। সোজা হিসাব। হাদিস যদি না মানেন তাহলে এই ২টি হাদিসকে কোনদিনও আপনি রিফারেন্স হিসেবে দিতে পারেন না
আপনার কথায় যুক্তি আছে অনেক, কিন্তু হাদিস লিখতে মানা করার আসল কারণ হলো যেন কোরআনের সাথে মিশে না যায়, কারণ নবীজি (সা) জানতেন যে হাদিস লিখলে সেটি কোরআনের সাথে মিশে যেতে পারে সহজেই। কোরআনের সাথে মিশে গেলে কি সমস্যা সেটি আপনি আমি সকলেই জানি। পরিস্কার আল্লাহর বানী আল কোরআন এখানে একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি, এবং আল্লাহ এভাবেই কোরআনকে সংরক্ষণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এখানে কোন পরোক্ষ উক্তি নেই, সবগুলোই আল্লাহর প্রত্যক্ষ উক্তি।
তবে পরবর্তীতে হাদিস সংরক্ষণ যারা করেছেন তাদেরকে সাধুবাদ দিতেই হয় কারণ তারা অনেক বড় একটি কাজ করেছে। আর কেউ তো বলে নাই যে হাদিস হুবহু নবীজি (সা) এর মুখের বানী। নবীজি যেটি বলেছেন সেটিকে বর্ণনাকারী নিজের ভাষায় বর্ণনা করতেই পারেন, তাই বলে সেটি মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না। তাছাড়া আমরা মুসলিম রা তো অযৌক্তিক কোন হাদিস মানছি না। আমরা তো সেগুলিকে জাল বলে মেনে নিচ্ছি, আপনার সেখানে সমস্যা কোথায়? হাদিস তো নবীজি (সা) যেটি বলেছেন এবং করেছেন সেটিই, সেটির সাথে কোরআনের পুর্ণাঙ্গতা নিয়ে প্রশ্ন করা অবাঞ্চনীয়। কোরআন মানি বলেই আমরা মুসলিম, কিন্তু একজন খাঁটি মুসলিম কেমন হয়, কোন পরিস্তিতে কি করেছেন, তিনি জীবনে কি করেছেন সেটি বোঝার জন্যই তো হাদিস।
আমরা তো কথায় কথায় বলি মুসলিমরা কেমন হয় সেটি দেখতে ওসামা বিন লাদেনকে নয় নবীজি (সা) কে অনুসরণ করো। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মুসলিম নবীর (সা) ব্যক্তিত্ব, চিন্তাধারা, কৌশল, জীবনযাপন এসবকিছুই তো হাদিসে ফুটে উঠেছে। এবং মুসলিম হিসেবে এটি জানা জরুরী।
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হাদীস থেকে রেফারেন্স দিচ্ছি কেন? সেটাই দেখাচ্ছি যে হাদীস কে কোরআন ও সমর্থন করে না। এমন কি হাদীসও হাদীস কে সমর্থন করে না। হাদীস নিজেই বলছে হাদীস লিখা নিষেধ।
আবিরে রাঙ্গানো আপনি বলেছেন হাদিস লিখতে মানা করার আসল কারণ হলো যেন কোরআনের সাথে মিশে না যায়, কারণ নবীজি (সা) জানতেন যে হাদিস লিখলে সেটি কোরআনের সাথে মিশে যেতে পারে সহজেই। কোরআনের সাথে মিশে গেলে কি সমস্যা সেটি আপনি আমি সকলেই জানি। পরিস্কার আল্লাহর বানী আল কোরআন এখানে একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি, এবং আল্লাহ এভাবেই কোরআনকে সংরক্ষণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এখানে কোন পরোক্ষ উক্তি নেই, সবগুলোই আল্লাহর প্রত্যক্ষ উক্তি।
আচ্ছা আবিরে রাঙ্গানো, আমারা এখন ইসলাম ধর্মে নামাজ জাকাতসহ অনেক কিছু হাদীস মতে মেনে চলছি এই নামাজ কি কোরআননিক? যদি কোরআনিক হয় তাহলে এই হাদীস কোরআনের সাথে মিশলে অসুবিধা কোথায়? নাকি ভয় আছে যদি তা মানুষের সৃষ্টি হয় তাহলে এই পাপের ভার কে বহন করবে? আসলে আমাদের ভাবতে হবে। কোরআন নাজিল হলো মক্কা মদিনায়, রাসুলও স্ব-গত্রের আর হাদীস লিখাচ্ছেন আরবের বাইরের মানুষ দিয়ে বাহ্ চমৎকার আল্লাহর বিধান। রাসুল আরব ভুমিতে জন্ম নিলো আর কোরআন যদি অন্য কোন দেশে নাজিল হত তাহলে কি কেউ এই কোরআন মানতো? এই কোরআন বলছে আমি প্রতিটি জাতীর উপর আমার নবী-রাসুল প্রেরন করেছি এবং স্ব-গত্রথেকে। হাদীস রচয়ীতারা কোন গোত্রের? এই হাদীস আজ ধর্মে নানান মত ও পথের সৃষ্টি করেছে। যার ফলে ধর্মে আজ নানান ফেকাহ্, নানান মাজহাব। এক আল্লাহ, এক কোরআন, এক কেবলা, এক রাসুল আর ধর্মে নানান ফেকাহ্।
পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?
ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। কেন তাদের কোন হাদীস প্রয়োজন হলো না। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন----আমেন
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৮
বিসাম বলেছেন: হাদিস অস্বীকারও করছেন আবার এই হাদিস দিয়ে দলিলও দিচ্ছেন। হায়রে মুর্খতা।
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হাদীস থেকে রেফারেন্স দিচ্ছি কেন? সেটাই দেখাচ্ছি যে হাদীস কে কোরআন ও সমর্থন করে না। এমন কি হাদীসও হাদীস কে সমর্থন করে না। হাদীস নিজেই বলছে হাদীস লিখা নিষেধ।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫০
নজিবুল্লাহ বলেছেন: হাদীস ইমাম বুখারীদের বানানো নয়, বরং তা রাসূল (স থেকে সাহাবাগণ প্রাপ্ত হয়েছেন, সাহাবাগণ থেকে তাবেয়ীগন প্রাপ্ত হয়েছেন, যেমন ইমাম মালেক ছিলেন তাবেয়ী আর তার হাদীসের কিতাব হল মুয়াত্তায় মালেক যা বাংলা ভাষায় ও পাওয়া যায়। আর ইমাম বুখারী হলেন আরো অনেক পরের ইমাম। আর কত ঐতিহাসিক দলীল দিলে ছাগলের বাচ্চাদের বিশ্বাস হবে ?
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আব্বাসীয় যুগে এবং তার সংলগ্ন পূর্বকালে প্রধানতম বিষয় ছিল হাদীস সংকলন। বেশ কিছু কাল সাহাবীদের পরস্পরের মধ্যে এবং পরবর্তীতে সাহাবী ও তাবেয়ীদের মধ্যে এ বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল যে, হাদীস সংগ্রহ ও সংকলন কল্যাণকর হবে কিনা। পরে এই মত পার্থক্য বিদূরিত হয়ে সংকলনের পক্ষেই সকলে একমত হয়। সম্ভবত উমর বিন আব্দুল আযীযই এ ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মুআত্তায় মালেকে আছে যে, উমর বিন আব্দুল আযীয আবু বকর বিন মুহাম্মদ বিন আমর বিন হাযামকে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন, "রাসূলুল্লাহ (স এর বানী ও কর্ম অনুসন্ধান পূর্বক লিপিবদ্ধ করো। কেননা, আমার আশংকা হয় যে, আলিমদের অন্তর্ধানের সাথে সাথে ইলমও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।" এছাড়া তাকে আরো নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তিনি উমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান আনসারী এবং কাসিম বিন মুহাম্মদ বিন আবু বকরের কাছে যা আছে তা লিপিবদ্ধ করে তার কছে পাঠিয়ে দেন। তারিখে ইছবাহান গ্রন্থে আবু নায়ীম লিখেছেন যে, উমর বিন আব্দুল আযীয বিভিন্ন অঞ্চলে হাদীস সংগ্রহ করার লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন।
উপরের তালিকা থেকেই আমরা বুঝতে পারি যে, সাধারণভাবে দ্বিতীয় শতকের শেষার্ধের গোড়ার দিকে বিভিন্ন শহরে হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের কাজ শুরু হয়। কোন্ শহরে এ কাজের প্রথম সূত্রপাত হয়েছিল তা নিধারণ করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। তবে যদি আমরা এ দিকটা ভেবে দেখি যে, মক্কায় ইবনে জারায়েজ উল্লেখিত সংকলক আলিমদের সকলের আগেই ১৫০ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন তাহলে সংকলন কর্মে তাকে গণ্য করার একটা ভিত্তি খুজে পাওয়া যায়। সম্ভবত এ ক্ষেত্রে অন্যরাও তার অনুগমন করেছেন এবং হজ্জের মাধ্যমে অন্যান্য শহরেও এ চিন্তাটি বিস্তার লাভ করে। তবে বিভিন্ন শহরের সংকলনগুলোর মধ্যে মালিকের মুআত্তাই সর্বপ্রথম আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। অন্য কোন সংকলনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও কোন কোন সংকলনের বিবরণ অবশ্য পাওয়া যায়। মুয়াত্তা এবং অন্যান্য সংকলনের বিবরণ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে, হাদীস সংকলনের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল হাদীস থেকে আহকাম ও মাসায়েল আহরণ করে 'আইন প্রণয়ন' কর্মকান্ডে অংশ নেয়া, আমাদের এমনতর ধারণা লাভের সূত্র এই যে, মুয়াত্তার বিন্যাস করা হয়েছে ফিকাহ ভিত্তিক। উপরন্তু বিভিন্ন বিবরণ থেকে এও জানা যায় যে, অন্যন্য সংকলন গ্রন্থেও মায়াত্তার মত সাহাবীদের বাণী ও তাবেয়ীদের ফতোয়া সংকলিত হয়েছে।
সে জন্যই আমার মনে হয়, কিয়াসবাদী ইরাকী ফকীহদের কর্মকান্ডের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবেই বিভিন্ন শহরের আলিমগণ হাদীস সংকলনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বস্তুত মালিক বিন আনাস, আওযায়ী, সুফইয়ান সাওরী ও লায়ছ বিন সাআদ ছিলেন হাদীস বিদ্যাংগনের ফকিহ। হাদীসকে তারা কিয়াসের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, এমনকি তা খবরে ওয়াহিদ (এক সাহাবী ও এক তাবেয়ী সূত্রে বর্ণিত) হলেও, তাই তারা হাদীস থেকে আহকাম আহরণ করার একটি সুসংবদ্ধ উৎস সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সংকলন কাজে হাত দেন। সে আলোচনা পরে আসছে। তাই মালিকের মুয়াত্তা সম্পর্কে পর্যালোচনা ও ফকিহ প্রসংগ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কেননা এটাই অধিক যুক্তিযুক্ত। আমরা এখানে শুধু বলতে চাই যে, মুয়াত্তার সবকটি হাদীস মুত্তাসিল (পূর্ণাঙ্গ সনদযুক্ত) নয়। বরং কোনটি হচ্ছে মুরসাল (অর্থাৎ এক বা একাধিক সাহাবীর নাম বাদ পড়েছে) আবার কোনটি হচ্ছে মুনকাতিয় (অর্থাৎ এক বা একাধিক রাবির নাম সনদ থেকে বাদ পড়েছে) একারণেই পরবর্তিতে সংকলিত বুখারী-মুসলিমের সহিহ (বিশুদ্ধতায় শীর্ষস্থানীয়০ গ্রন্থগুলোতে মায়াত্তার সব হাদীস গ্রহীত হয়নি। তাদের মাপকাঠিতে কোন কোন হাদীস এর সনদ বিশুদ্ধ নয়। ইবনে হাযাম বলেন, তাতে কিছু দুর্বল হাদীসও রয়েছে, যা মুহাদ্দিসদের গরিষ্ঠ অংশ নাকচ করে দিয়েছেন। ইবেনে আব্দুল বার মুরসাল, মুনকাতিয়, ও বালাগাহ (যে হাদীসগুলোকে মালিক বাল্লাগনি [আমার কাছে এই হাদীস পৌছেছে] কিংবা আনিছ ছেকাহ [নির্ভরযোগ্য সূত্রে] বলে বর্ণনা করেছেন' এ সকল হাদীসসমূহকে পূর্ণাঙ্গ সনদসহ স্বতন্ত্র গন্থে সংকলন করেছেন।
দ্বিতীয় শতকের শেষ মাথায় হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে আরেকটি পদক্ষেপ গৃহীত হয়। সে সম্পর্কে ইবনে হাজাম তার বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থে হাদীস সংকলনের প্রাথমিক পর্যায় (তথা ফিকাহভিত্তিক অধ্যয়ন এবং হাদীস, সাহাবীদের বাণী ও তাবেয়ীদের ফতোয়ার মিশ্রণ) বিশ্লেষণের পরে লিখেছেন: 'শেষে কতিপয় ইমাম শুধু রাসূলুল্লাহ (স এর হাদীসগুলোকে স্বতন্ত্রভাবে সংকলনের সিদ্ধান্ত নিলেন। এটা হচ্ছে দ্বিতীয় শতকের শেষ প্রান্তের কথা। কূফার উবায়দুল্লাহ বিন মূসা আল আবাসী, বসরার মুসাদ্দাদ বিন মুসারহাদ, আসাদ বিন মুসা আল উমুভী এবং মিসরে অবস্থানকারী নায়ীম বিন হাম্মাদ আল খুযায়ী পুমূখ একটি করে মুসনাদ রচনা করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ইমাম তাদরে অনুগমন করেন। শেষে তা খুব কম ইমামই এমন ছিলেন, যারা মুসনাদ আকারে হাদীস সংকলন করেন নি"।
বলাবাহুল্য, মুসনাদের সংকলন পদ্ধতি ফিকাহ ভিত্তিক পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফিকাহ ভিত্তিক পদ্ধতিতে তাহারাত অধ্যায়ে সংশ্লিষ্ট হাদীস এবং সালাত অধ্যায়ে সংশ্লিষ্ট হাদীস সংকলিত হয়। পক্ষান্তরে মুসনাদ পদ্ধতি হচ্চে সাহাবীনির্ভর। উদাহরণ স্বরুপ ওমর বিন খাত্তাব এর হাদীসগুলো একত্রে সংকলিত হবে। সেগুলোর মধ্যে বিষয়বস্তুগত বৈসাদৃশ্য থাকলেও কিছু যায় আস না। মোট কথা, প্রথম পদ্ধতির ভিত্তি হলো বর্ণনাকারী সাহাবীর এককত্ব, পরবর্তীতে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল তার হাদীস সংকলনে এ পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন বলেই তা মুসনাদে আহমদ নামে অভিহিত হয়েছে।
এ নতুন পদক্ষেপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, ফিকহ শাস্ত্র থেকে হাদীসের এক ধরনের স্বাতন্ত্র্য। কেননা এখানে সাহাবীর বাণী এবং তাবেয়ীর ফতওয়াগুলো বাদ দিয়ে শুধু হাদীসে রাসূলই বর্ণিত হয়। অর্থাৎ হাদীসের স্বকীয় সত্তাকেই শুধু বিবেচায় রাখা হয়, বিষয়বস্তু কি এবং কি কি আহকাম তা থেকে আহরিত হতে পারে এখানে তা মোটেই বিবেচ্য নয়। তবে মুসনাদগুলোতে সহীহ, গায়রে সহীহ নির্বিশেষে একজন সাহাবী বর্ণিত সব হাদীসই সংকলিত হয়েছে। এ জন্যই মুসনাদ গ্রন্থগুলো মানের দিক দিয়ে হাদীস শাস্ত্রসমূহের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করতে পারেনি।
তৃতীয় শতকের আগমনের সাথে সাথে সংগ্রহ ও সমালোচনা তথা বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সনদের দূর্বলতা ও বিশুদ্ধতা নির্ধারণ এবং বর্ণনাকারীদের জীবন বৃত্তান্ত আগাগোড়া যাচাই করে পক্ষে বিপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বিরাট কর্মযজ্ঞ পূর্ণোদ্যমে শুরু হয়। তাই ঐ যুগটি হাদীস শাস্ত্রের স্বর্ণ যুগের মর্যাদা পেয়েছে।
ঐ সময় কালের অন্যতম হাদীস সংকলন হলো বুখারীর (মৃত-২৫৬) আল জামিউস সহীহ, মুসলিমের (মৃত-২৬১) সহীহ, ইবনে মাজার (মৃত-২৭৩) সুনান, আবু দাউদের (মৃত-২৭৫)সুনান, তিরমিযির (মৃত-২৭৯)আল জামি ও নাসায়ীর (মৃত-৩০৩)সুনান। এ গুলোই হচ্ছে হাদীস শাস্ত্রের সুপ্রসিদ্ধ সিহাহ সিত্তাহ (ছয় সহীহ গ্রন্থ) যা বিশুদ্ধতম হাদীস সংকলন রূপে বিবেচিত।
আহমদের (মৃত-২৪১) মুসনাদকেও উপরোক্ত গ্রন্থগুলোর সাথে যুক্ত করা হয়। মুহাদ্দিসগণ বিশুদ্ধতার মাপকাঠিতে বুখারী ও মুসলিমকে প্রথম স্থানে রেখেছেন।
বুখারী :
বুখারায় ১৯৪ হিজরীতে তার জন্ম। পিতাও মুহাদ্দিস ছিলেন। শৈশবেই তার পিতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা প্রচুর অর্থসম্পদ রেখে গিয়েছিলেন। তিনি মায়ের কোলেই প্রতিপালিত হন। তাকে যথারীতি মকতবে পাঠানো হয়। তিনি দশ বছর বয়সেই হাদীস মুখস্ত করা শুরু করেন। ষোল বছর বয়সে প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইবনুল মুবারাক ও ওয়াকী এর পান্ডুলিপিসমূহ তিনি মুখস্থ করে ফেলেছিলেন।
হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে ইমাম বুখারী একটি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আদি মুহাদ্দিসদের অনেকেই আঞ্চলিক পর্যায়ে হাদীস সংকলন করতেন। যেমন মালিক হিজায ও মদীনাবাসীদের কাছে সংরক্ষিত হাদীসগুলো এবং ইবনে জুরায়েজ হিজায ও মক্কাবাসীদের কাছে সংরক্ষিত হাদীসগুলো সংগ্রহ করেন। এভাবে সকলেই নিজ নিজ শহরের হাদীসগুলো সংগ্রহে মনোনিবেশ করেছিলেন। অবশ্য দু'একজন নিজ শহর ছেড়ে অন্যত্র সফর করেন। কিন্তু বুখারীই প্রথম তলবে ইলম তথা তলবে হাদীস এর জন্য একটি দুরুহ ও অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। নিজ শহর বুখারায় হাদীস শ্রবণ সম্পন্ন করে তিনি যথাক্রমে বলখ, মারভ, নিশাপুর, রয়, বাগদাদ, বসরা, কুফা, মক্কা, মদীনা, মিসর, দামেশক, কায়সারিয়াহ, আসকালান, হিমস প্রভৃতি অঞ্চল সফর করে স্থানীয় মুহাদ্দীসদের কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন শহরে বিক্ষিপ্ত হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এই সব সফরে তিনি জীবনের দীর্ঘ ষোলটি বছর ব্যয় করেন এবং পথে পথে পদে পদে এমন সব দু:খ-কষ্ট ও বিপদাপদ হাসিমুখে বরণ করেন, যা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ধৈর্যশীলদের পক্ষেই শুধু সম্ভব। অবশেষে তিনি জন্মভূমিতে ফিরে আসেন এবং ২৫৬হিজরীতে মৃত্যবরণ করেন।
হাদীস সংকলনে তার আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো, সহীহ ও বিশুদ্ধ সনদের হাদীসকে অন্যান্য হাদীস থেকে পৃথক করার প্রচেষ্টা। ইতিপূর্বেকার সংকলন গ্রন্থগুলোতে এ বিষয়টির উপর যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি। তখন মুহাদ্দিসগণ সনদের বিচার-বিশ্লেষন ও রাবীর নির্ভরযোগ্যতার মাত্রা নির্ধারণের দায়িত্ব পাঠকের হাতে তুলে দিয়ে সনদসহ 'শ্রুত' হাদীসগুলোই শুধু সংগ্রহ করে যেতেন। এই দৃষ্টিকোন থেকে বহু মুহাদ্দিস ইমাম মালিকের মুয়াত্তারও সমালোচনা করেছেন।
-------------------- বস্তুত বিশিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসগণ
হাদীসের বাছাই ও বিচার-বিশ্লেষণে অবর্ণনীয় ত্যাগ ও শ্রম স্বীকার করেছেন। তাবিয়ী ও পরবর্তী হাদীস বর্ণনাকারীদেরকে তারা সম্ভাব্য সূক্ষ্ণতম মানদন্ডে বাছ-বিচার করেছেন। প্রত্যেক রাভীর সার্বিক জীবন-চরিত্র ও নৈতিকতার উপর তারা পুংখানুপুংখ বিচার-বিশ্লেষণ চালিয়েছেন। এভাবে জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে তারা অবগত হয়েছেন। এ জন্য তাদের হতে ছিল আল-জারহ ও তা'দীল নামক বিচার ও সমালোচনার স্বীকৃত নিয়মাবলী
এ ক্ষেত্রে ইয়াহইয়া বিন সায়ীদ আল কাত্তান (মৃত-১৮৯হিজরী) ও আব্দুর রহমান বিন মাহদী (মৃত-১৯৮)বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। হাদীস শাস্ত্রসেবীরা তাদের প্রতি আস্থা স্থাপন করেছিলেন। অতপর এসেছে ইয়াহইয়া বিন মুয়ীন (মৃত-২৩৩), আহমদ বিন হাম্বল (২৪১), মুহাম্মদ বিন সায়াদ (মৃত-২৩০)।
এরা সকলেই পূর্ববর্তিদের মত রাভীদের চরিত্র সমালোচনা ও স্তর নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রচুর কাজ করেছেন। পরবর্তীরা এদেরই পদাংক অনুসরণ করেছেন বলা যায়। এভাবে রিজাল শাস্ত্র নামে সমৃদ্ধ এক শাস্ত্রের উদ্ভব হয়।
আলোচ্য শাস্ত্রে ইমাম বুখারী তারিখুল বুখারী নামে (বড়, মধম ও ছোট) তিনটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনেকে আবার নির্ভরযোগ্য, অনির্ভরযোগ্য ও তাদলীসকারী রাভীদের উপর স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। হাদীসের মানগত স্তর নির্ধারণের নিয়মাবলিও যে যুগে প্রণীত হয় এবং সে আলোকে মুহাদ্দিসগণ কোন্ হাদীস সর্বোচ্চ মানের, কোনটি মধ্যম বা নিম্নমানের তা নির্ধারণ করেছেন। এভাবে গড়ে উঠে হাদীস পরিভাষার একটি নতুন শাখা। একইভাবে তারা হাদীসে ব্যবহৃত দুর্বোধ্য, অপরিচিত ও স্বল্প ব্যবহৃত শব্দগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে যত্নবান হয়ে উঠেন। ফলে গরীবুল হাদীস শিরোনামে বহু গ্রন্থ রচিত হয়। অন্যদিকে আরেকদল পন্ডিত বৈপরিত্যপূর্ণ হাদীসগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের গবেষণায় আত্ননিয়োগ করেন। তাতে মুখতালাফুল হাদীস নামে নতুন একটি শাখার উদ্ভব হয়। এভাবে বিভিন্ন দিক থেকে হাদীস শাস্ত্রের উপর ব্যাপক আকারের কাজ সম্পন্ন হয়। হাদীস শাস্ত্র বিশারদরা সংকলেনর ক্ষেত্রে যেমন সর্বোচ্চ ত্যাগ ও শ্রম স্বীকার করেছিলেন, তেমনি বিচার-বিশ্লেষণ ও সমালোচনার ক্ষেত্রেও তারা নিজেদের সব শক্তি নিয়োগ করেছিলেন।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর আমি পরের কমেন্টে দিচ্ছি, এবং অবশ্যই দিচ্ছি তার আগে আমাকে আপনি নিচের প্রশ্নেগুলির উত্তর দিন তো।
ক। ঈশা (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত কিতাবের নাম কি?
২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এত বাচ্চা ছেলেম মত প্রশ্ন করলেন কেন? আপনি তাদের সম্পর্কে না জানলে বলুন জানি না। ভালো করে কোরআন পড়ুন দেখুন লিখা আছে তাদের কে আল্লাহ কি দিয়ে ছিলেন।
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭
জামিনদার বলেছেন: কোরআন যে বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষিত হয়েছে এটার লজিক কী?
২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমি বলছি না যে, কোরআন ১০০% সংরক্ষিত হয়েছে। নাজিলকৃত কোরআন এর আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার ছয় শত ছিষট্টি । কিন্তু বর্তমানে আছে ছয় হাজার চার শত চৌত্রিশ। এখানে বোঝা যায় কোরআন সংকলন কমিটি কি করেছে। অবশ্য কোরআন সংকলনের ইতিহাস পড়লে বিষয়টি জানবেন। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার ব্লগে উল্লেখিত ইমেইল অ্যাড্রেসে একটি ম্যাসেজ দিলাম, দয়া করে একটু দেখবেন।
১১| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: এড়িয়ে যান কেন?? আমি জানি না বলেই জিজ্ঞাসা করেছি। কোরআনে চারটি মাত্র কিতাবের কথা উল্লেখ আছে। বাকীগুলো জানতে চেয়েছি। আপনি হাদিস গ্রন্থের নাম জানতে চেয়েছেন অথচ আপনি কি আসল কিতাবের নাম জানেন??
১২| ২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি বলছি না যে, কোরআন ১০০% সংরক্ষিত হয়েছে। নাজিলকৃত কোরআন এর আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার ছয় শত ছিষট্টি । কিন্তু বর্তমানে আছে ছয় হাজার চার শত চৌত্রিশ।
এতক্ষন মনে করেছিলাম হাদিসের ব্যাপরেই আপনার সব কনফিউশন এখন দেখছি মূল কোরআনের ব্যাপারেও আপনার সন্দেহ ১০০%। তাহলে এতোদিন কোরআনকে পরিপুর্ণ কিতাব বলে ভং ধরার দরকার ছিল কি?? এখানে একটি প্রশ্ন: মুল নাজিলকৃত কোরআন এর আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার ছয় শত ছিষট্টি । এই কথাটি কোথায় লেখা আছে??
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আরবের ইতিহাস পড়ুন। এবং কোরআন সংকলনের ইতিহাস জানুন। আমি কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি। কারন আমি আহলে কোরআন।
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০৫
জামিনদার বলেছেন: আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম। আহলে কুরআন- বা আহলে হাদীস এগুলো কোন মানুষের পরিচয় হতে পারেনা। খোদ কুরআনেও বলা হয়েছে "হুয়া সাম্মাকুমুল মুসলিমীন"
১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:২৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ভাই, আমার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই আমি ব্লগে আসতে পারছিনা। অতি সংক্ষেপে আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি। প্রথমে আপনি দুটি কিতাব হতে জাল হাদীসের দুটি দলিল দিয়েছেন। প্রথম টি হল মুস্তফা চরিত। এর লেখককে আপনি চিনেন ? এর লেখক হলেন মাওলানা আকরাম খা। যিনি ছিলেন ভারত উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং কট্টর আহলে হাদীস। অর্থাত তিনি হাদীস কে শুধু বিশ্বাসই করতেন না বরং আহলে হাদীস দলকেও সুসংবদ্ধ করেছেন। আর আপনারা হলেন আহলে কুরআন যারা কুরআন মানেন হাদীস মানেন না, তাহলে আপনি আহলে হাদীসের কিতাব দিয়ে কি করে হাদীস অস্বিকারের দলীল দিলেন ? দ্বিতীয় দলিলটি দিয়েছেন যে কিতাবের নাম উল্লেখ করে এমন কোন কিতাব দুনিয়তে নেই। ইমাম আবু হানিফা (রএর একটি কিতাবই এখন আমাদের কাছে আছে তা হল ফিকহুল আকবার। আর যদি ধরেও নেই আপনার উল্লেখিত কিতাবটাও ইমাম আবু হানিফার লিখিত, তাহলে এটা দ্বারা কি করে প্রমাণ হয় যে, হাদীস শাস্ত্র মিথ্যা ? ইমাম আবু হানিফা কি হাদীস অস্বিকার করতেন ? নাকি বরং হাদীসের খেদমত করেছেন ?
তাহলে আপনি যে দুজন ব্যাক্তির দলিল দ্বারা হাদীস অস্বিকারের দলিল দিলেন উভয়েই হাদীসের জবরদস্ত দুই সমর্থক ও প্রচারক ছিলেন। দ্বিতীয় কথা হল উক্ত দুটি দলিল কি আপনি নিজে বুঝেছেন ? উক্ত দলিল দুটিতে জ্বাল হাদীসের কথা বলা হয়েছে ? আর জ্বাল হাদীসের অস্তিত্ব তো সবাই ই স্বিকার করে ? আর জ্বাল হাদীস শব্দটিই প্রমাণ করে যে, জ্বাল হাদীসে হল ঐ হাদীস যা সহীহ হাদীসের বিরোধী তথা মিথ্যা হাদীস। অতএব জ্বাল হাদীস থাকা মানেই যে কোন সহিহ হাদীসও নেই এমন মূর্খতামি করলে তো আপনার সাথে কোন কথাই চলতে পারে না। মাওলানা আকরাম খা এর মুস্তফা চরিত শেষ করেছি আরো পাচ বছর আগে। তিনি এ বইতে প্রমাণ করেছেন যে, বুখারী শরীফের মাঝেও ১০ টি জ্বাল হাদীস রয়েছে। কিন্তু বাকী সকল হাদীস যে সত্য ও সহীহ হাদীস তা শুধু তিনিই নয় তার দলের সবাই বিশ্বাস করে। জ্বাল হাদীসের কারনেই তো মুহাদ্দীসগণ লক্ষ লক্ষ হাদীস কো জাচাই বাছাই করে তন্মধ্যে তাদের স্ব স্ব কিতাবে মাত্র কয়েক হাজার হাদীসকে রেখেছেন, বাকী লক্ষ লক্ষ হাদীস সব পরিত্যাগ করেছেন্ এ জনেই তো এগুলোর নাম হয়েছে সিহাহ সিত্তাহ বা সহীহ হাদীসের কিতাব। এবং তারা সহ আরো অনেকেই মোট কতটি ও কিকি জ্বাল হাদীস কারা কারা তৈরী করেছেন তার ও ইতিহাস রচনা করে রেখেছেন্ আপনাকে আগে হাদীসের টোটাল ইতিহাস জানতে হবে। কারো মুখস্ত বুলি এভাবে গিললে তো সঠিক পথ পাবেন না।
দ্বিতীয় কথা হল আপনি কোরআনের যে কয়টি আয়াত উল্যেখ করেছেন তার মাঝে কোন আয়াতই হাদীস কো অস্বিকার করে নি। আর আপনারা মনে করেন হাদীস হল কোরআন বিরুধী রাসূলের নাম দিয়ে সাহাবাদের বানানো কথা। আরে ভাই সাহাবাগণ যদি এমন নিমক হারামী করতেন তাহলে আপনার ধর্মের কোন ভিত্তি আছে কি ? একমাত্র সাহবাগণের নিরলস ত্যাগ তিতিক্ষার কারণেই আমরা আজ ইসলামের নেয়ামত পেয়েছি। তবে আপনি পরে এক মন্তব্যে বলেছেন
#আমি বলছি না যে, কোরআন ১০০% সংরক্ষিত হয়েছে। নাজিলকৃত কোরআন এর আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার ছয় শত ছিষট্টি । কিন্তু বর্তমানে আছে ছয় হাজার চার শত চৌত্রিশ। এখানে বোঝা যায় কোরআন সংকলন কমিটি কি করেছে। অবশ্য কোরআন সংকলনের ইতিহাস পড়লে বিষয়টি জানবেন। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।#
তার মানে আপনি কোরআনের সত্যতাতেই বিশ্বাসী নন। তাহলে কি করে আর আপনাকে মুসলিম বলা যেতে পারে ? কোরআনের আয়াত ছয় হাজার ছয়শ ছিষট্টি টি যে প্রথমে ছিল এ তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন ? কোরআন যে অবিকৃত রয়েছে এ বিশ্বাস আপনার না থকালে আপনার সাতে কোন মুসলিমের আর কোন তর্ক চলতে পারে না।
আপনি যে দলটির অনুসারী সে দলের নাম হল আহলে কোরআন বা কোরআন অনলী। এ দলের প্রতিষ্টাতা হল ড:রাশাদ খলীফা । যে নিজেকে নবী দাবী করেছে। তাহলে আপনাকে আর মুসলিম বলা যাবে কোন যুক্তিতে ?
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:৩৪
পাতিকাক বলেছেন: আমি ভাই ফরয নামাজ খালি পরি। কারন এই নামায এ ছুটে যায়। আমার কাছে তারাবি বহুদুর। ৮ রাকাত কি আর ২০ রাকাত। আগে ২০ রাকাত ওঁ পরতাম আবার ৮ রাকাত। আবার ১২ রাকাত। আমারো কি মোসলমান এর খাতা থেকে নাম কাটা যাবে
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:৫৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: পাতি কাক ভাই, কেন নাম কাটা যাবে ? আপনি তো পুর্নাঙ্গ মুমিন। মুমিন হল যার কোরআন হাদীসের উপরে পরিপূর্ণ বিশ্বাস আছে , যেমন এ পোষ্ট এর লেখকের কোরআন হাদীস কোনটার উপরই পূর্ণ রুপে বিশ্বাস নেই তাই সে মুমিন নয় । আগে হল মুমিন এর ব্যাপার তারপরে মুসিম এর ব্যাপার। যার ইমান ই ঠিক নেই তার নামাজ ই বা কি আর রোযাই বা কি ? আপনাকে আগে কোরআন ও সহীহ হাদীসে পরিপূর্ণ ইমান আনতে হবে। আর নামায ছুটে গেলে মুমিনের খাতা থেকে তার নাম কেটে যায় না। আপনার তারবীর দরকার নেই। আপনি শুধু ফরযগুলোই পালন করুন। ইনশাল্লাহ যখন ফরযে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন সুন্নও পালনও সহজ হয়ে যাবে। এখন আপনি শুধু ফরয ই পালন করুন। এর অতিরিক্ত পালনের দরকার নেই। একদিনেই কেউ বুযুর্গ হতে পারে না। সব অভ্যাসের ব্যাপার। তাই আগে ফরজ কে ঠিক মত পালনের চেষ্ট করুন ভাই । আর আপনি কোরআন হাদীসে বিশ্বাসী হয়ে থাকলে ১০০% মুমিন। তারাবী কয় রাকাত এটা শুধু মাযহাব পন্থি আর আহলে হাদীস পন্থিদের মাঝে বিদ্যমান এক মতবিরোধপূর্ণ মাসআলা। কিন্তু এ উভয় দলই হাদীসে বিশ্বাস করে। কিন্তু এ পোষ্ট এর লিখক যে দলের অনুসরন করে তারা হাদীসকেই বিশ্বাস করেনা এমন কি এ লোক কোরআন যে অবিকৃত রয়েছে তাতেও বিশ্বাস করে না । উপরোন্তু এ দলটির প্রতিষ্ঠাতা নিজেকে নবী হিসেবে দাবী করেছে। তাই এ দলের সকল অনুসারী কাদিয়ানীদের ন্যায় ১০০% কাফের।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুল্লাহ
আপনি নিজেকে জ্ঞানি ভাবছেন খুব ভালো আল্লাহ্ আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুন--আমেন
কথাহলো আমি যদি কোন দেশ সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে আমার সর্ব প্রথম কি করতে হবে। সেই দেশের ইতিহান, নাকি হাদীস? নিশ্চয় সেই দেশের ইতিহাস। ইসলামকে জানলে আগে আরবের ইতিহাস জানুন, কারবালার ইতিহাস জানুন;তারপর হাদীস পড়েন কারন হাদীস গুলিও গল্পের মত মানুষের মুখে মুখে ছিলো। মুয়াবিয়া ইয়াজিদের অনুসারী হয়ে বসে ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রাম করছেন? ভালো কিন্তু আপনার জানা দরকার যে কারবালা যুদ্ধে কি হয়েছিলো। আদো জানেন নাকি জানার প্রয়োজন মেন করেন নাই। আমি কোন কথা শুনে বলি না। পড়ে বলি। কারবালা যুদ্ধের পর ইসলামের ইতিহাস যে ভুলণ্ঠিত তা জানতে হবে।
ইসলামের ইতিহাস রক্তের ইতিহাস। খেলাফত মাওলাইয়াতকে ধ্বংস করার জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল তাহাই ইসলামের ইতিহাসকে রক্তের ইতিহাসে পরিনত করেছে। উমাইয়া এবং আব্বাসীয় রাজতন্ত্রের যুগে কোরআন তাফসীরের সকল পরিবর্তন ঘটেছে তাহার সংশোধন করে নেয়া তেমন কঠিন কাজ নয়। স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ মন নিয়া জ্ঞানী ওয়াকিবহাল ব্যক্তিগণ হতে প্রকৃত ত্ফসীর উদ্ধার করল্ইে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু মাওলাইয়েতকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে পার্থিব খেলাফত কোরআন প্রকাশের উপর যেই সকল অপকীর্তি করেছে তাহা বিশেষ ভাবে দ্রষ্টব্য। এক শ্রেণীর জালেম, আলেম বেশ ধরে নায়েবে রাসুল সেজে ইয়াজিদ এর মতবাদ তথা শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্মকে মুহাম্মাদী ইসলাম বলে সমাজে চালাচ্ছে। তাদের দল সমাজে অনেক বেশী, যেমন ছিল কারবালায় ইয়াজিদ পন্থী মুসলমান এবং হুসাইন (রাঃ) পন্থী তথা মোহাম্মাদী ইসলাম পন্থী মুসলমান। কারবালায় ইয়াজিদের লোকসংখ্যা ৩০ হাজার। এরা সবাই কলেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত পালন করতো। ইমামতি করতো, খুৎবাহ্ দিত। ঐ ৩০ হাজার ইয়াজিদদের সৈন্যদের মধ্যে আড়াইশত কোরআনের হাফেজ ছিল, তাফসিরকারকও ছিল। অপর পক্ষে হুসাই (রাঃ) এর পক্ষে ছিল মাত্র ৭২ জন। অথচ ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাদেরকে মুসলমান বলে স্বীকার করেননাই। তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেনঃ ”আলাইছা ফি মুসলিমুন?” তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? সেনাপতি হুর তার ভাই, গোলামসহ ত্রিশ জন অনুচর নিয়ে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর পক্ষে এসেযোগদান করলেন। এখানেই আসল ও নকল মুসলমানের পরিচয় করিয়ে দিলেন ইমাম হুসাইন (রাঃ)। ইমাম হুসাইন (রাঃ) শহীদ হবার পর ইয়াজিদ এবং তার সহযোগিরা ইসলামের মূল শিক্ষা বর্জন করে তাদের মতবাদ তাদেরর স্বার্থের অনুকুল্যে ব্যবহার এবং প্রচার করেছিল, প্রয়োজনে হাদীস তৈরী করতো। ফতোয়া দিত তার স্বার্থ ও তারপ্রচারিত মতবাদের পক্ষে। ঐ শিক্ষাই অদ্যাবধি অধিকাংশ মানুষ দিচ্ছে এবং গ্রহণ করছে আজও অবধি। কারণ ইয়াজিদ ও তার সতীর্থরা মৃত্যুর করাল গ্রাসে পতিত হলেও তাদেরপ্রেতাত্মাগুলো সহস্র-লক্ষ ভাগে বিস্তার লাভ করে আছে মুসলিম সমাজে। শুধু বাহ্যিক আচার নিষ্ঠা নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত ও কলেমা ইত্যাদিই ইসলাম এ কথা ইয়াজিদ ও তার অনুসারীগণ প্রচার করছে। উমাইয়া বংশের মালিক ইবনে মারওয়ান মদীনায় গিয়ে নবীজির রওজা মোবারকে থাকতো আর সর্বদা তাসবীহ্ তাহলীল ও কোরআন তেলওয়াত করতো। কিন্তু মূলে তার উদ্দেশ্য ছিল মসজিদে নব্বীতে উমাইয়া শয়তানির বিরুদ্ধে মদীনা লোকেরা কি বলে সে দিকে নজর রাখা এবং গোপনে তা দামেস্কে উমাইয়া রাজ দরবারে পাঠিয়ে দেয়া। এর মুনাফিকীর কারণে মদীনার বার হাজার চারশত সাতানব্বই জন লোক মারা যায়। তার মধ্যে ৭০০ জন ছিলো কোরআনের হাফেজ। শধু তায় নয় অবলিলায় অনেক মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয় ফলে এক হাজার মহিলা অবৈধ সন্তান প্রসব করেছিল। এরাই প্রবর্তন করেছিল জপ-তপ, হাজার বার, লক্ষ বার অজিফা জপ করার রীতি। তাদের দ্বারা এবং তাদের অনুসাররী মোল্লা-মৌলবীদের দ্বারা মোহাম্মাদী ইসলামের যে ক্ষতি হয়েছে তা জ্ঞানীগণ মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করছে এবং তার কারণে আজও মুসলমানগণ বিশ্বেও অন্যাণ্য জাতীর পিছনে পড়ে আছে। এই ফিরিস্তি অনেক বড় এত অল্প সময়ে আপনাকে বোঝানো যাবে না। আর একটি কথা জেনে রাখবেন যে ব্যাক্তি স্ব-ধর্মে কিতাব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে, ধর্মের গভিরে যেতে চায় এবং ধর্ম তার কাছে বেশী পাবেন। সে ধর্মের আত্ম সমালোচনা করে তার অর্থ এই নয় সে রাশেদ খলিফার অনুসারী। আপনারাই কোরআন নিয়ে রাদেশ খরিফার ১৯ সংখ্যার মিরাকলের কথা বয়ান করে থাকেন। আপনাদের মত ধর্ম জান্তারাই যুগে যুগে ইসলামের নেতাদের নবীদের মানে নাই; তাদের মুশরেক কাফের উপাদী দিয়েছে। যখনি কোন নবী এসছে কোন মুরশিদ এসেছে তখন তাকে বলেছে ভন্ড। তার কথা শুনতে চায়নি। ঈশা (আঃ) যখন আসলো তখন আপনারা বললেন তুই কেরে ব্যাটা, সে বললো আমি আল্লাহ্ রাসুল। ইমামরা হেসেছে তার কথা শুনে, তাকে ঠাট্টা করেছে,উপহাস করেছে। আর আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তাদের কাছে ধুলিকণা। আমি ধর্ম জানি না কেবল ছাত্র। আর আপনারা হলেন মাস্টার। কিন্তু মাস্টারদের আচরণ এমন হওয়াটা ঠিক, সেই সব ভন্ড আলেমদের মত? তারা কেবলী নিজেদের জাহির করতো। তাদের কাজ ছিলো ধর্ম তাদের মত করে প্রচার করা। কেউ তাদের ভালো কথা বললেই তাদের উপাধী দেওয়া হত মুশরেখ,কাফের,মুরতাদ। আল্লাহ একটি মানুষের কি দেখবেন অনুষ্ঠান সর্বস্ব নামাজ,রোজা,জাকাত নাকি মনে তাকুয়া? ধর্ম কি সেটা আগে ভালো করে জানুন। সেই জন্য আপনাকে অনেক বই পড়তে হবে। কেবল দুটো হাদীসরে বই পড়ে লেকচার দিলে হবে না। প্রথমে বেদ,শ্রী-মত ভগবত গীতা, ত্রীপিটক গীতা, তৌরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল এগুলিও পড়তে হবে। আপনার ধারনা নিয়ে কেবল বসে থাকলে হবে না। আল্লাহর বিধান যুগে যুগে এসছে সেগুলিকে জানুন। কোরআনের সকল ঘটনাকে আল্লাহ দুই ভাবে প্রকাশ করেছে,এক মোতাশাহাত আর একটি হচ্ছে মোহকামাত। এই মোতাশাহাত আর মোহকামাত যে দিন বুঝবেন সেই দিন কিন্তু আপনি প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পালন করবেন আর আমি সেলিম আপনার ছাত্র থাকবো। ধর্ম জানা ভালো তবে অহংকার ভালো না।
এবার বলুন আপনি কাদিয়ানীদের ১০০% কাফের বলেছেন। আমার প্রশ্ন এই রমজান মাসে একটি সত্যি কথা বলবেন আপনার আল্লাহ্ র কসম আপনি বলুনতো আপনি কাদিয়ানীদের সম্পর্কে যে কমেন্ট করলেন তাদের কয়টা বই পড়েছেন। কিসের ভিত্তিতে তাদের কাফের বলরেন? আপনি হিন্দুদের কয় টা বই পড়েছেন, খ্রীষ্টিয়ান দের কয়টা বই পড়েছেন, ইহুদিদের কয়টা বই পড়েছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে আগে সেগুলি জানুন। পৃথিবীতে সকল মানুষের প্রতি আল্লাহর রমতের সু-দৃষ্টি আছে এটা আপনি বিশ্বাস করেন? অনেক জানুন এবং জানান কারনে অহংকার করুন। অহংকার করা ভালো কিন্তু অহংকার থাকা ভালো না। আল্লাহ অহংকারী পছন্দ করে না। আমি চায় আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: শুনেন ভাই, আপনার যদি সত ইচ্ছা থাকে আর সত্যিকার ভাবেই সত্য জানতে ইচ্ছুক থাকেন তবে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবেন। এক প্রসঙ্গ ছেড়ে আরেক প্রসঙ্গে উল্টা পাল্টা চললে তো আমাদরে আলোচনা বেগবান হবে না।
আপনি জিজ্ঞেস করেছেন কাদিয়ানীরা কফের কেন ? কারণ তারা হযরত মুহাম্মদ (স কে শেষ নবী মানে না ।গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কেই শেষ নবী মানে, যে টয়লেটে পড়ে মারা গিয়েছে। ইসলামের মূল ভিত্তি কোরআন এবং হাদীস। কোরআনে হযরত মুহাম্মদ (স
কে সর্বশেষ নবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তাই যে তাকে সর্ব শেষ নবী মানবে না, সে মুসলিম নয়, সে কোরআনে অবিশ্বাসী কাফের্। আমি শুধু কাদিয়ানীদের বই ই পড়িনি। ইনশাআল্লাহ সব দলেরই দর্শণ আমার জানা আছে। কাদিয়ানীরা প্রথম গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে শেষ নবী দাবি করেছিল পড়ে যথম ওআইসি সহ সমস্ত মুসলিম বিশ্ব তাদেরকে কাফের ফতোয়া দিল তখন তারা ভোল পাল্টে বলা শুরু করল গোলাম আহমদ কাদিয়ানী হলেন ইসা মাসিহ । আবার যখন তাদের এ ভন্ডামী ফাস হল তখন তারা সবশেষে উপায়ন্তর না দেখে বলল সে হল ইমাম মাহদী। একই ব্যাক্তি একবার শেষ নবী, একবার ইসা (আ
, একবার ইমাম মাহদী। এবার আপনি বলুন আপনি কদিয়ানী কিনা ?
আর আপনাকে রাশাদ খলীফার উম্মত এ কারনেই বলা হয়েছে, কারন রাশাদ খলিফা ও শিব্বির আহমদ এ দু ব্যাক্তি হল কোরআন অনলী গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা যারা বর্তমান যুগে হাদীস অস্বিকারকারী দল। আর এ রাশাদ খলীফাও শেষে নিজেকে নবী দাবী করেছিল। তার পরিনতিও কাদিয়ানীর মতই শোচনীয় হয়েছিল।
এবার আপনার প্রসঙ্গে আসি। আপনি আমিন না বলে আমেন বলেন কেন ? এটাতো ইহুদীরা ব্যাবহার করে থাকে ? আর মুসলিমরা বলে আমিন। কারন মুসলিমরা কোরআন হাদীস অনুসরণ করে। আর কোরআন হাদীস হল আরবীতে। আর আরবীতে কো এ কার নেই। যের এর উচ্চারন হয় র^স্ব ইকার দিয়ে। তাই মুসলিমরা আমিন বলে আর ইহুদীরা আমেন বলে।
দ্বিতীয় কথা হল আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে, কোরআন প্রথমে ছয় হাজার ছয়শ ছিষট্টি আয়াত ছিল পরে ছাহাবারা চার শ আয়াত নষ্ট করে ফেলেছে, তাই এখন কোরআনের আয়াত ছয় হাজার দুই শ ।তাহলে কোরআনে যে আল্লাহ বলেছেন আমি এর সংরক্ষণকারী এর মূল্য কোথায় ? আপনি সবার আগে আপনার অবস্থান পরিষ্কার করবেন যে, কোরআন সংকলক ছাহাবাগণ কোরআনের একটি আয়াতও নষ্ট করেন নি, এটা আপনি বিশ্বাস করেন কিন, তারপরে আপনার সাথে বাকী আলোচনা হবে।
আর মুসলিম হতে অন্য ধর্মের কিতাবাদী জানার প্রয়োজন নেই। কারন কোরআনেই স্পষ্ট বলা হয়েছে এ ইসলামই আল্লাহর মনোনিত সর্ব শেষ ও চুড়ান্ত ধর্ম। এ ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল। আর এটা কমন সেন্স ও বলে লাষ্ট এডিশনের পরে আর পূর্ববর্তি এডিশনের কোন প্রয়োজন থাকে না।
তাই আপনি কি কোরআন মানেন , নাকি বেদ গীতা মানেন, নাকি কাদিয়ানী ধর্ম মত মানেন নাকি রাশাদ খলিফার ধর্মমত মানেন এটা স্পষ্ট নয়। আগে আপনার অবস্থান পরিষ্কার করুন আপনি কোরআনের উপর পরিপূর্ণ রুপে বিশ্বাস করেন কিনা ?
২৪ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আর মুসলিম হতে অন্য ধর্মের কিতাবাদী জানার প্রয়োজন নেই। কারন কোরআনেই স্পষ্ট বলা হয়েছে এ ইসলামই আল্লাহর মনোনিত সর্ব শেষ ও চুড়ান্ত ধর্ম। এ ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল। আর এটা কমন সেন্স ও বলে লাষ্ট এডিশনের পরে আর পূর্ববর্তি এডিশনের কোন প্রয়োজন থাকে না।
হযরত মির্জ গোলাম আহম্মাদ কাদিয়ানী ও রাশেদ খলিফার বিষয় আপনার ধারনা ভুল। তবে হ্যাঁ আপনার উপরের উল্লেখিত কথা শুনে আপনার সাথে আর আলোচনা করা যায় না। কারন আপনার জ্ঞান খুব সিমিত। আপনি এই লাইনে আরও জানতে হবে। আপনার সাথে আলাচনা করে মজা নাই। না জানলে কি মজা পাওয়অ যায়? আপনার সাথে আলোচনা ইতি টানলাম। যদি মনে রাগ হয় তাহলে আসুন সামনা সামনি বসি আপনার দলিল নিয়ে। আমার সেলফোন--০১৭১১৯৭২১৫৫
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন:
আপনার অবস্থা তো খৃষ্টান পোপ এর মত। জাকির নায়েরক পোপ কে প্রকাশ্যে বাহাছের চ্যালেন্জ দিয়েছে। পোপ বলেছে প্রকাশ্যে বাহাছ করব না, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দুই জনে একা একা করব। পোপ জাকির নায়েকের চ্যালেন্জ গ্রহণ করতে ব্যার্থ হয়েছে। আপনিও সেরকম ব্যার্থ হলেন। যদি সত সাহস থাকে তবে যা বলার এখানেই বলতে পারেন। আর সে সাহস না থাকলে ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে যা ইচ্ছা তা লিখতে বিরত থাকুন। আপনি আপনার ধর্মের নাম দিয়ে ব্লগিং করুন । নো প্রোবলেম। বাট কোরআন-ইসলামের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে তাই লিখবেন আর আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে এটা কি করে বুঝলেন। হয় প্রকাশ্যে আলোচনা করুন নয়ত মন সন্মান নিয়ে ব্লগ ছাড়ুন। ইসলাম নিয়ে যা তা বলার অধিকার আপনার নেই। আপনাকে মুসলিমরা ছেড়ে দিবে না । আপনাকে প্রকাশ্যে আলোচনার চ্যালেন্জ করলাম।
২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:১৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১। আপনার কথা আপনাকেই ফিরিয়ে দিলামঃ
ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে যা ইচ্ছা তা লিখতে বিরত থাকুন। আপনি আপনার ধর্মের নাম দিয়ে ব্লগিং করুন । নো প্রোবলেম। বাট কোরআন-ইসলামের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে তাই লিখবেন আর আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে এটা কি করে বুঝলেন।
পারলে মুক্ত বাহাসে আসুন; শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আমি সেলিম জাহাঙ্গীর আছি আল্লাহর ওয়াস্তে। আপনি আপনার যত নথিপত্র আছে নিয়ে আসবেন সাথে দু-একটি আলেম-ওলামা। আমি কেবল আল্লাহ প্রদত্ত এই দেহ । আমি কোন কিতাব নিয়ে আসবো না কেবল সাথে থাকবে আমার মাথাটা।
২। ইসলাম কি আপনার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি। না কোরআন হাদীস আপনার নিজের। আলোচনা করবো কার সাথে ক্লশ টু-এর ছেলের সাথে? ক্লাস ফাইভ এর আসুন তখন হবে। আপনিতো কেবল লাইনে নতুন নইলে বলতে পারেন ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনিত সর্ব শেষ ও চুড়ান্ত ধর্ম। এ ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল। গাধা কোথাকার।
৩। আপনি বলেছেনঃ আর এটা কমন সেন্স ও বলে লাষ্ট এডিশনের পরে আর পূর্ববর্তি এডিশনের কোন প্রয়োজন থাকে না।
কোথায় পেলেন কোরআন বলেছে আগের গুলি সব বাতিল? দেখাতে পারবেন? আপনাকে আমি এর আগেই উত্তর দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি এতটা অজ্ঞ যে, উত্তর দিতে মন চায় না। তবে কোরআন থেকেও যদি আপনাদের উত্তর দেওয়অ হয় তবুও আপনারা এই বিষয় নিয়ে মতবাদ করবেন। এটা কোরআনের কথা। আপনারা ফইশালা দিবেন হাদীস দিয়ে। আসুন কোরআন কিবলে দেখিঃ
সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
প্রথমতঃ অতীতের গ্রন্থগুলোই আল্লাহ সংরক্ষণ করেন না বাতিল তা দেখি।।
(ক) সূরা বাকারা ২:১১৩ আয়াতঃ
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।
এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে আপনি কি সূরা বাকারার এই আয়াত অনুযায়ী তাদের মত মূর্খ নন? রেগে গেছেন নাকি? রাগ করেন না। সত্যকে মেনে নেন পরাজিত হবার কিছু নাই।
(খ) সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
নাজিবুল্লাহ আপনি কিন্তু পার্থক্য করে বসে আছেন। কি বসেন নাই?
(গ) সূরা ইমরান ৩:৮৪ আয়াতঃ
قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।
আল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বলছে বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। এবং তাদের সাথে পার্থক্য করেন না। আপনি পার্থক্য করছেন কেন?
(ঘ) সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামত দিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
নাজিবুললাহ্ উপরের এই আয়াত গুলি বিশাস না করলে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে আল্লাহ্ বলছে। আপনি আসলে এই কিতাব গুলির ওপর ঈমান এনছেন? আনেন নাই। ঈমান আনলে তার প্রতি আপনার এমন উক্তি থাকতো না। যাকে বিশ্বাস করবেন তাকে আবার বলেবেন যে সেটা ঠিক নাই এটাকে বিশ্বাস বলেনা। আপনি একটি ছেলেকে বিশ্বাস করলেন। তাকে বাজারে বিভিন্ন কাজে পাঠচ্ছেন বাজার হাট করতে টাকা দিয়ে। এটা আপনার বিশ্বাস। কিন্তু আপনি যখন পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমাদিতে হবে ভাবছেন তখন আপনি নিজেই যাচ্ছেন; টাকাটা জমা দিতে তাকে দিচ্ছেন না। কেন? ভাবছেন যদি সে টাকাটা মেরে দেয় । এটা কি সেই ছেলের উপর আপনার বিশ্বাস আনা হলো? বিশ্বাস সেটায় যেটাকে বলে অন্ধ বিশ্বাস। মাবুদের কিতাবের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করা আপনার উচিত হয় নাই। আপনি কেমন মানুষ, মাবুদের কিতাব বিশ্বাস করে না। আর মানুষের হাতের লেখা হাদীস (কিতাব) বিশ্বাস করছেন। চলুন নিচের আয়াত গুলি দেখি।
(ঙ) সূরা আশ-শুরা ৪২:১৫ আয়াতঃ
فَلِذَلِكَ فَادْعُ وَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءهُمْ وَقُلْ آمَنتُ بِمَا أَنزَلَ اللَّهُ مِن كِتَابٍ وَأُمِرْتُ لِأَعْدِلَ بَيْنَكُمُ اللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ لَا حُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ اللَّهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ
অর্থঃ সুতরাং আপনি এর প্রতিই দাওয়াত দিন এবং হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সমবেত করবেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তণ হবে।
নিশ্চয় উপরের আয়াতটি বুঝতে পেরেছেন? চলুন নিচে দেখি আল্লাহ্ কি বলেন।
(চ) সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে হে কিতাবগণ তওরাত, ইঞ্জিল ওযাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই। তোমরা প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবর্তীর্ণ হইয়েছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বর্ধিত করিবে। সুতরাং তুমি কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করিও না।
আল্লাহ সুরা মায়েদার ৬৮ নম্বার আয়াতে বলছে আমরা কোন পথেই নাই যতক্ষন না তাওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআনের আলো মানুষের মাঝে পৌছালাম। কি এটা আমার কথা নয় এটা কোরআনের কথা। কি রাগ করছেন? আরও আছে নিচে নামেন।
(ছ) সূরা মায়েদা ৫:৪৬-৪৭ আয়াতঃ
وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াত আরও ক্লিয়ার করলো যে, আগের কিতাব বাতেল হয় নাই। বরং বহাল আছে বলেই সেই কিতাবধারীদের ইঞ্জিলের অনুযায়ী ফয়সালা করতে বলেছেন।
(জ) সূরা ইউনুস ১০:৯৪ আয়াতঃ
فَإِن كُنتَ فِي شَكٍّ مِّمَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَؤُونَ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكَ لَقَدْ جَاءكَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অর্থঃ সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।
নাজিবুললাহ রাসুল কে আল্লাহ বলছে যদি তোমার এই (কোরআন) কিতাবে সন্দেহ থাকে তবে পূর্বে থেকে যারা কিতাব পাঠ করছেতাদের জিজ্ঞাসা করতে বলেছে। নাজিবুললাহ রাজা আসে রাজা যায় কিন্তু আল্লাহ্ চিরকাল স্থায়ী। তিনি আসেনও না, যানও না। তাওরাত কিতাবের যে, ১০ শরিয়ত মুসাকে দেওয়া হয়েছে সে হুকুম কি বাতিল হয়েছে? হয়নি হবেও না। আগের কিতাব যে বাতিল হয়েছে এমন কোন আয়াত কি কোরআেনে আছে? নাই।
ঈশা মসীহ্ আগের কিতাব বাতিল করতে না, বরং সেগুলো পূর্ণ করতে আসলেন---ইঞ্জল শরীফ মথি ৫:১৭-১৮ আয়াত
(ঝ) আল্লাহ কোরআনেও বলেছে সূরা সূরা ইমরান ৩:৩ আয়াতঃ
نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ
অর্থঃ তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের।
(ঞ) সূরা সূরা ইমরান ৩৫:৩১ আয়াতঃ
وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ هُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ إِنَّ اللَّهَ بِعِبَادِهِ لَخَبِيرٌ بَصِيرٌ
অর্থঃ আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সব জানেন, দেখেন।
(ট) সূরা সূরা ইমরান ৪৬:১২ আয়াতঃ
وَمِن قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إِمَامًا وَرَحْمَةً وَهَذَا كِتَابٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِيًّا لِّيُنذِرَ الَّذِينَ ظَلَمُوا وَبُشْرَى لِلْمُحْسِنِينَ
অর্থঃ এর আগে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়, যাতে যালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মপরায়ণদেরকে সুসংবাদ দেয়।
(ঠ)সূরা সূরা ইমরান ৪৬:৩০ আয়াতঃ
قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ
অর্থঃ তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের শত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।
নাজিবুললাহ্ একটু ভালো করে কোরআন পড়ুন যে ভাবে আপনারা হাদীস পড়েন। দেখবেন এই কোরআন কত প্রাণউজ্জল। কোরআনের মজাটা সত্যি আলাদা; এটার স্বাদ যে দিন আপনি সত্যি পেয়ে যাবেন সেই দিন আর কিছু নয় আমার নামে আল্লাহর দরবারে একটু দোয়া করবেন। আল্লাহ কোরআনে আগের কিতাবকে সমর্থন করেছে সম্মান করেছে আর আপনারা তাকে তাচ্ছিল্য করছেন। সত্যি দুঃখের বিষয়। আগের কিতাব বিকৃত সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস, আল- তাবরী, ইবনে কাসির ইনাদের লিখা পড়েন অনেক জানবেন। আমি জানি এই যুক্তিও আপনার মন ভরাতে পাবে না, কারন আপনাদের সম্পর্কে কোরআনে স্পষ্ট আয়াত আছে সেটা আমি জানি কিন্তু বললাম না। আল্লাহ আপনাকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুক ---আমেন
সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সূরা বাকারা ২:৬২ আয়াতঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحاً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
সূরা কাহফ ১৮:৬৯ আয়াতঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
নাজিবুললাহ্ একটু উপরের আয়াত গুলি দেখুন কোন ধর্মের মানুষ জান্নাতে যাবে? এখানে কিন্তু ইসলাম ধর্মের নাম নাই। যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান তাদের কথা বলেছে। আপনি হয়তো বলেবেন মুসলমান মানে ইসলাম;এটা ঠিক নয় যারা আল্লাহর তাকুয়া আদায় করে; এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী তালাই মুসলমান। একটু ভাবুন ধর্ম নিয়ে কেবল নামাজ শিক্ষার বই পড়ে লিখা লিখি হয় না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যায়। তবুও এইসব নামাজীদের আল্লাহ কিবলেছে আসুন কোরআনে দেখিঃ
সূরা বাকারা ২:১৭৭ আয়াতঃ
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّآئِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُواْ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاء والضَّرَّاء وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَـئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
অর্থঃ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
আপনি কি আপনার উত্তর পেয়েছেন? আশা করি আপনি আর এই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না।
২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:১৫
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি। কারন আমি আহলে কোরআন।
কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন আমি এর সংরক্ষণকারী। আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে এর মাঝে কোন সন্দেহ নেই। এই আয়াতগুলি তো বিশ্বাস করেন না। তাহলে ১০০% বিশ্বাস করেন কিভাবে? এই কমেন্টের জবাব যদি দেন তাহলে এই প্রশ্নটির উত্তর দিবেন।
আপনি প্রশ্নের উত্তর দেন না কারণ আপনার কাছে উত্তর নেই। আমি আগে যতগুলি প্রশ্ন করেছি সবগুলি এড়িয়ে গেছেন। আপনার চাকুরী বুঝতে আমার আর বাকী নেই। ল্যান্জা লুকানো বড়ই কঠিন, কারণ ব্লগের সবাই আবুল না।
২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:০৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আবিরে রাঙ্গানো আপনার উত্তর কিন্তু একবারেই যে দেয়নি তানয়। কিন্তু আপনার সাথেতো বাহাস হচ্ছে না। আমি একজন মানুষ সব দিকে থেকে সবাই বললে কয়জনের উত্তর দেয়া যায় বলুন? তার পরেও আপনার কমেন্ট এবং লিখা পড়লেই বোঝা যায় আপনি নাজিবুললাহ র চেয়ে অনেক ভালো বোঝেন ভালো জানেন। কিন্তু যারা বোঝে না আমি তাদের আগে বোঝানো চেষ্টা করি ব্যাপরটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০০
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আবারও এড়িয়ে গেছেন।
লেখক বলেছেন: আমি কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি। কারন আমি আহলে কোরআন।
কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন আমি এর সংরক্ষণকারী। আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে এর মাঝে কোন সন্দেহ নেই। এই আয়াতগুলি তো বিশ্বাস করেন না। তাহলে ১০০% বিশ্বাস করেন কিভাবে? এই কমেন্টের জবাব যদি দেন তাহলে এই প্রশ্নটির উত্তর দিবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আবিরে রাঙ্গানো আমি কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি। আমার ধারনা আপনি বুঝতে পারেন নাই। তবে জামিনদার তার কমেন্টে বলেছেঃ কোরআন যে বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষিত হয়েছে এটার লজিক কী? আমি তার জবাবে ইতিহাস থেকে বললাম। ইতিহাস বলছে কোরআন সংকলন নিয়ে একটা কেয়াজ ছিলো চার খলিাফার মাঝে সেখানে খলিফা আবুবকর, ওমর ও ওসমান (রাঃ) এরা হযরত আলীর পান্ডুলিপি নেয় নাই। আলীও বলেছিলো তার পান্ডুলিপি ছাড়া কোরআন সহীহ হবে না। এখানে ইতিহাস বিদরা বলছে মূল পান্ডুলিপি থেকে কিছু আয়াত বাদ পড়েছে। এটা সেলিম জাহাঙ্গীরের কথা নয়, এটা ইতিহাস বিদদের কথা। এমনও ইতিহাসে পাওয়া যায় যে, মা-হাফসার কাছে যে পান্ডুলিপি গুলি ছিলো সেই গুলি নানান অসংগতি দেখিয়ে আবু বকর পুড়িয়ে ফেলে; সেই কারনে সেই সময় কোরআন পুড়ানোর অভিযোগে আবু বকরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদশন করা হয়। এটা আমার কথা নয় এটা ইতিহাসের কথা। পারলে কোরআন সংকলনের ইতিহাস পড়ুন। আর হযরত আলীর পান্ডুলিপি কোরআন সংকলন কমিটি নেয় নাই। না নেয়ার কারন হিসাবে জানা যায় তার সাথে খেলাফত ও গাদিরের খুমের একটি ঘটনা নিয়ে বিরোধ ছিলো।
আপনি হয়তো বলবেন আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছে সে তার কিতাবের সংক্ষনকারী। এখন যদি আমি এই কথা বলি তাহলে আল্লাহর কথার বিরুদ্ধে কথা বলা হলো। এবং আল্লাহর কালাম সংরক্ষন কারী এইটা অবিশ্বাস করা হলো? যদি তায় ধরেন তাহলে তাওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিল এরও সে সংরক্ষকারী এই কথা বলেছে। সেক্ষেত্রে আমরাকি সেই কিতাব নিয়ে ভুল-ভ্রান্তি কিংবা সেই সব কিতাবের বিরুদ্ধে সন্দেহ পোষন করি না? যদি করি সেই ক্ষেত্রে আপননি কি বলবেন? নাকি বলবেন সেই কিতাব গুলি বাতিল হয়েছে? আমার বিশ্বাস আমার আর আপনার বিশ্বাস আপনার। তবে হ্যাঁ আমি কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি।
২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. ইন্নাদ্দীনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম।
২. আল-ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম, ওয়াআতমামতু আলাইকুম নিমাতি ওয়ারাদিতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা।
৩. ওয়ামাই ইয়াবতাগি গইরাল ইসলামা দ্বিনান, ফালাই ইয়ুকবালু মিনহু।
আয়াত তিনটির অর্থ কি ?
আমিই এ কোরআন অবতীর্ন করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণ কারী আপনি এ আয়াতে বিশ্বাস করে থাকলে আবার কিভাবে বলেন যে, সাহাবাগণ চারশ আয়াত নষ্ট করে ফেলেছেন ?
সাহাবাগণের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের সার্টিফিকেট *রদিআল্লহু আনহু ওয়ারাদু আনহু* তারাও আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট আল্লাহও তাদের উপর সন্তুষ্ট আপনি এ আয়াতে বিশ্বাস করেন কিনা ?
আপনি কোরআন এর কোন আয়াত কোন প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে তা জানেন কিনা ?
কোন আয়াতের সঠিক অর্থ কোনটি তাকি ভন্ড নবী কাদীয়ানী আর রাশাদ খলিফার টা গ্রহণযোগ্য হবে নাকি আল্লাহর রাসূল, সাহাবায় কেরামগণ যে অর্থ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য হবে ?
২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:১৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুল্লাহ আপনি আমার কমেন্ট গুলি আদৌ পড়েছেন কি? মনে হয় না। তবে আমার প্রশ্ন কথাগুলি আপানার অবিশ্বাসের ভিত্তিতে্ কোরআন তেকে লিখেছি। আপনি বলেছিলেন আর এটা কমন সেন্স ও বলে লাষ্ট এডিশনের পরে আর পূর্ববর্তি এডিশনের কোন প্রয়োজন থাকে না। উপরের এই হাইলাইটকৃত কথার জবাবে আমি অনেক কথা বলেছি যা আপনার সাথে বলার কথা নয়। আপনার সাথে কথা বলবো না বলে সিদ্ধন্ত নিয়েছিলাম। তার পরেও আপনার মূর্খতা দেখে উত্তর দিয়েছি। কিন্তু আপনি আমার লজিক মানলেন কিনা তা বলেন নাই। আপনার কি ধারনা কি পরিবর্তন হয়েছে ? কেবল কোরআন'ই শ্রেষ্ঠ নয়;তাওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিল এমনকি অন্য সকল ধর্ম বিলুপ্ত হয় নাই। আপনি এতে এক মত? এতগুলি কথার পরে আপনি নামকা ওয়াস্তে না পারতে একটা জবাব দিয়েছেন যার কোন আগা-মাথা নাই। কিছু আয়াত দিয়েছেন কোরআন থেকে না হাদীস থেকে তার কোন সূরা নম্বার ও আয়াত নম্বার নাই। তবে আমি সেই গুলি খন্ডন করছি মন দিয়ে অনুধাবন করবেন আশা করি।
আপনার প্রথম প্রশ্নঃ ১. ইন্নাদ্দীনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম। এই আয়াতটি দিয়েছেন সম্ভবত আপনার আগের কমেন্টের ভিত্তিতে। আপনার কমেন্টটি ছিলোঃ
আর মুসলিম হতে অন্য ধর্মের কিতাবাদী জানার প্রয়োজন নেই। কারন কোরআনেই স্পষ্ট বলা হয়েছে এ ইসলামই আল্লাহর মনোনিত সর্ব শেষ ও চুড়ান্ত ধর্ম। এ ধর্মের পূর্বে আল্লাহ পাক যত ধর্ম প্রেরণ করেছিলেন সবই বাতিল। আর এটা কমন সেন্স ও বলে লাষ্ট এডিশনের পরে আর পূর্ববর্তি এডিশনের কোন প্রয়োজন থাকে না।
(ক) উত্তরঃ আপনি এই আয়াত দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম'ই হচ্ছে ইসলাম। আসুন নিচের আয়াতটি দেখি।
সূরা আল ইমরান ৩:১৯ আয়াতঃ إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ (ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু)
অর্থঃ আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম ইসলাম।
উপরের এই আয়াতটির ভুল বাখ্যা করা হয়েছে। একটু দেখুন। ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু এই আয়াতটি আরবী শব্দ। এই আরবী শব্দের সব গুলি বাংলা করা হলো কেবল ইসলা-মু কথাটা আরবী রাখা হলো। কেন? এটা স্ব-ধর্মীয় সার্থ চরিতার্থ করার জন্য। এই আয়াতের যদি সত্যি সবগুলি বাংলা করা হয় তাহলে দাড়ায়
''ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু'' আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানে শান্তি। তাহলে আল্লাহ্ কিবলছে। আল্লাহ বলছে যে ধর্মে শান্তি আছে সেটাই আমার ধর্ম। আপনি কোরআনে ইহুদি,খ্রীষ্টিয়ান,সাবেয়ী,হাওয়ারী এমন ধর্মের নাম দেখাতে পারবেন কিন্তু ইসলাম যে ধর্মের নাম এটা দেখাতে পাবেন না। আসলে আল্লাহ্ শান্তির কথা যেখানে বলেছে সেখানে ইসলাম কথাটা ব্যাবহার করেছে। আসলে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ধর্মের নাম কি? তিনাকে আল্লাহ কি বলেছেন কোরআনে চলুন দেখি।
সূরা আল ইমরান ৩:৯৪ আয়াতঃ
فَقُلْ صَدَقَ اللّهُ فَاتَّبِعُواْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ বল, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন। এখন সবাই ইব্রাহীমের ধর্মের অনুগত হয়ে যাও, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে সত্যধর্মের অনুসারী। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
সূরা নাহল ১৬:১২৩ আয়াতঃ
ثُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ অতঃপর আপনার (মুহাম্মাদ) প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইব্রাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
তাহলে এই আয়াতে পেলাম ইব্রহীমের ধর্মের নাম হ্বানীফান অর্থ "আত্মবিশাসী" চলুন আর একটি আয়াত দেখি।
সূরা আন-আম ৬:১৬১ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِّلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ দেখিয়েছেন, ইব্রাহীমের ধর্ম'ই প্রতিষ্ঠিত ধর্ম, তিনি মোশরেকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
এই আয়াতে পেলাম ইব্রহীমের ধর্মের নাম হ্বানীফান
আমরা জায় নামাজে দাড়িয়ে নিয়োতের আগে ইব্রাহীমের যে দোয়াটা পড়ি সেখানেও দেখুন হ্বানীফান কথাটি আছে। আবার চলুন দেখি কোরআন কি বলে।
সূরা নাহল ১৬:১২০-১২৩ আয়াতঃ
إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ নিশ্চয় ইব্রাহীম ছিলেন এক সম্প্রদায়ের প্রতীক, সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহরই অনুগত এবং তিনি শেরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
شَاكِرًا لِّأَنْعُمِهِ اجْتَبَاهُ وَهَدَاهُ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
অর্থঃ তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন।
وَآتَيْنَاهُ فِي الْدُّنْيَا حَسَنَةً وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ
অর্থঃ আমি তাঁকে দুনিয়াতে দান করেছি কল্যাণ এবং তিনি পরকালেও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভূক্ত।
ثُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ অতঃপর আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইব্রাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
আসলে জানতে হবে এখন ও পূর্বে এই ধর্ম কার ও কিসের ভিত্তিতে ছিলো। চলুন আবারো কোরআনে ফিরে যায়ঃ
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৭৮ আয়াতঃ
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে।
এই সূরা হাজ্জ এ আল্লাহ্ আবারো বললেন তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তাহলে এটা মুহাম্মাদের জন্য নতুন কোন ধর্ম নয়। আপনার মত অজ্ঞ অধক্ষ আলম ওলামারা ধর্ম নিয়ে নানান মতবাদ সৃষ্টি করেছে। আসলে আল্লাহ কোন ধর্ম বিলুপ্ত করে না্ই। আর করলে কোরআন এ এমন আয়াত থাকতো না। ছলুন আরও আয়াত দেখি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৩৪ আয়াতঃ
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ
অর্থঃ আমি প্রত্যেক জাতীর জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;
আল্লাহ এই আয়াতে বলছে তিনি প্রত্যেক জাতীর জন্য কোরবানী নির্ধারণ করেছে। আল্লাহ প্রত্যেক জাতীর কথা কেন বললেন যদি সে সব ধর্ম বলিুপ্ত করবে? আসলে সকল ধর্ম আছে বলেই তিনি বললেন অন্যদের জন্যও তিনি কোরবানীর নিয়োম দিয়েছেন।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৬৭ আয়াতঃ
لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُّسْتَقِيمٍ
অর্থঃ আমি প্রত্যেক জাতীর জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল
পথেই আছেন।
এই আয়াতে আবারো আল্লাহ বললেন যে, তিনি প্রত্যেক জাতীর জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়ে। এখানেও বোঝা যাচ্ছে যে, কোন ধর্ম বাতিল হয় নাই।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪০ আয়াতঃ
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَن يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
অর্থঃ আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
এইখানে দেখুন আল্লাহ খ্রীষ্টানদের নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ রক্ষার করার কথা বলেছে। কিন্তু যদি মুহাম্মাদের ধর্ম বাদে সকল ধর্ম বিলুপ্ত হত তাহলে এই আয়াতটি অন্য রকম হত।
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ সাহাবাগণের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের সার্টিফিকেট *রদিআল্লহু আনহু ওয়ারাদু আনহু* তারাও আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট আল্লাহও তাদের উপর সন্তুষ্ট আপনি এ আয়াতে বিশ্বাস করেন কিনা ?
ব্যাপারটি ক্লিয়ার করে বলুন। আপনার কোন সূরা কিংবা আয়াত নম্বার নাই বিধায় খুব সমস্যা। আমার পূর্বের এবং বর্তমান যে লিখাগুলি লিখলাম আশা করি এর উত্তর দিবেন নয়তো আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। ইসলাম বাদে সব ধর্ম বাতিল,আগের সব কিতাব বাতিল এমন কথা আর জীবনে বেঁচে থাকতে বলবেন না এখন এই মুহুর্তে সফথ করুন। নিশ্চয় ধর্ম আপনার বাবার সম্পত্তি নয়।
২৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আমার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই জবাব দিতে দেরি হচ্ছে। শিঘ্রই আপনার জবাব পাবেন।
২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম বাতিল :
যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করিলাম ও তোমাদের জন্য আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমদের জন্য তোমাদের ধর্ম মনোনিত করিলাম (সূরা মায়িদা - আয়াত : ৩)
আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)
আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)
নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। (সুরা বাবারা - আয়াত : ২০৮)
কোরআন-হাদীস সংরক্ষণকারী সাহাবায় কেরামের সার্টিফিকেট
মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)
সেদিন আল্লাহ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মুমিন সাহাবাদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদরে সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা তাহরীম - আয়াত : ৮)
স্মরণ কর, তোমরা ছিলে স্বল্পসংখ্যক; পৃথিবীতে তোমরা দূর্বলরুপে পরিগণিত হইতে। তোমরা আশংকা করিতে যে, লোকেরা তোমাদেরকে অকস্মাৎ ধরিয়া লইয়া যাইবে। অতপর তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দেন, স্বীয় সাহায্য দ্বারা তোমাদেরকে শক্তিশালী করেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও। (সূরা আনফাল - আয়াত : ২৬)
যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে (মক্কা থেকে মদিনায়)ও আল্লাহর পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সহায্য করিয়াছে(মদিনার আনসার সাহাবীগণ) তাহারাই প্রকৃত মুমিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৭৪)
কিন্তু রাসূল এবং যাহারা তাহার সঙ্গে ঈমান আনিয়াছিল; উহাদের জন্যই কল্যাণ আছে এবং উহারাই সফলকাম। (সূরা তওবা - আয়াত : ৮৮)
তুমি পাইবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা ইহাদের জ্ঞাতি গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাহরা পক্ষ হইতে রুহ দ্বারা। তিনি তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার তলদেশে নদী প্রবাহিত; সেইখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আল্লাহ তাহাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাহারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, তাহারাই আল্লাহর দল। জানিয়া রাখ আল্লাহর দলই সফলকাম। (সূরা মুজাদালা - আয়াত : ২২)
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যাহারা প্রথম অগ্রগামী এবং যাহারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাহাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। এবং তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছেন জান্নাত। যাহার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত। যেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। ইহা মহা সাফল্য। (সূরা তওবা - আয়াত : ১০০)
কুরআন সমস্ত জাতির জন্য :
১. তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দবি করিতেছ না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উজদেশ ব্যাতিত কিছুই নয়। (সূরা ইউসুফ - আয়াত : ১০৪)
২. কত মহান তিনি যিনি তাহার বান্দাদের প্রতি ফুরকান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাহাতে সে বিশ্বজতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে। (সূরা ফুরকান - আয়াত : ১)
৩. কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা কালাম - আয়াত : ৫২)
৪. ইহাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা তাকভীর - আয়াত : ২৭)
কুরআনের একটি আয়াতও বিকৃত বা নষ্ট হয়নি :
১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)
২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)
২৮ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনার লিখাটি আমি হুবুহু কপি পেস্ট করছি। কেবল আপনার ভুল গুলি আর শব্দের ভুল বাখ্যা গুলি ঠিক করে দিচ্ছি; পারলে বড় কোন আলেম ওলামা দেখিয়ে নিয়েন ঠিক আছে কি না।
ধর্ম মানে মানুষ যা ধারন করে। আর ইসলাম মানে শান্তি।
ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম বাতিল
১। শান্তি (ইসলাম) ছাড়া অন্য সকল ধর্ম বাতিল
যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
২। যে ব্যাক্তি শান্তি (ইসলাম) ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
৩। নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র (ইসলাম) শান্তি। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
৩ নম্বার আয়াতে আপনি (ইহুদী, খৃষ্টান) লাগিয়েছেন সেটা কোরআন নেই এটা আপনার মনগড়া। আবার দেখুন আল্লাহ বলছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত। এর ফাকে আপনি (কুরআন) যোগ করলেন কেন? প্রকত জ্ঞান বলতে কি কোরআন বোঝায়। যদি প্রকৃত জ্ঞান কোরআন হয় তাহলে আপনাদের হাদীস কি? তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পর মানে, কোরআন আসার পর যারা হাদীস নিয়ে মতবিরোধ করছে তাদের বলেছে।
আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করিলাম ও তোমাদের জন্য আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমদের জন্য তোমাদের ধর্ম মনোনিত করিলাম (সূরা মায়িদা - আয়াত : ৩)
উপরের সূরা মায়েদার ৩ নম্বার আয়াতটি নিয়ে ইসলামের চিন্তা বিদ, কোরআন গবেষকরা অন্যমত পোষন করেছে। তারা বলেন এটা ছিলো কোরআনের শেষ আয়াত। এই আয়াতটি গাদিরের খুমে নাজিল হয়। রিচে দেখুনঃ
সূরা মায়েদা ৫:৬৭ আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللّهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
৪। উপরের এই ৬৭ নম্বার আয়াতে আলী (রাঃ) নাম ছিলো সেটি বাতিল করে এটিকে মায়েদায় প্রবেশ করায় ততকালীন কোরআন সংকলন কমিটি। কেন জানেন? ওপরের আয়াতটি দেখুন আল্লাহ্ বলছেঃ হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আসলে প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কি অবতীর্ণ হয়েছে যা রাসুল দ্বীধা বোদ করছিলো? আবার আল্লাহ বলছেঃ আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। কেন কি কথা যে মানুষ শোনার পর রাসুলের প্রতি রাগান্নিত হতে পারে বলে আল্লাহ তাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন? আসলে কথাটি আল্লাহ এর আগেও রাসুলকে বলেছিলেন কিন্তু রাসুল সেই ওহীটি বাস্তবায়ন করে নাই দ্বীধা দন্ধে ছিলো। তাহলে কথাটি কি ছিলো? আল্লাহ্ ওহী করে রাসুলকে বলেছিলেন যে, আপনার ওফাত হবে অতি শ্রীঘ্রই আপনি আপনার খলিফা নিযুক্ত করুন। রাসুল এই কথা শুনে আল্লাহকে বললেন কানে তিনি খলিফা নিযুক্ত করবেন। আল্লাহ্ বললো এই খেলাফত নেয়ার মত জ্ঞানি বিচক্ষন ব্যাক্তি আর কে আছে হযরত আলী ছাড়া। রাসুল তার এই কথা শুনে ভাবলেন যে, এই কথা যদি মানুষকে বলি তাহলে তারা কি মনে করবে। তারা ভাববে আমি আমার পছন্দমত আমার মেয়ে জামায়কে খলিফা করলাম। এই কারনে রাসুল এই ওহীটি বাস্তবায়ন করতে ডিলে করছিলো। এমন সময় রাসুল বিদায় হজ্জ্ব করে মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন; গায়ে তার এহরামের পোষাক। সাথে লক্ষাধিক মানুষ। পথিমধ্যে আবারো ওহী হলো রাসুলের উপর। কেন তুমি তোমার ওহী বান্তুবায়ন করছো না। তাতে তুমি তোমার রিসালাত পৌছালে না। আবারো ওহীটি করা হলো এবয় আল্লাহ তাকে সেই ওহীর মধ্যে যখন বললোঃ আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। তখন রাসুল সকলের উদ্দেশ্যে গাদিরের খুমনামক স্থানে ওহীটি বাস্তবায়ন করলেন। এবং আলীর হাত উচু করে সকলের উদ্দেশ্যে আলীকে খলিফা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এই সময় আববিকর, ওমর ও ওসমান আলীকে অভিনন্দন জানালেনঃ হে-আবু তালিব পুত্র ধন্য তুমি। আপনি চেষ্টা করলে এর উপর অনেক দলিল পাবেন। রাসুল পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বললেন আমি জ্ঞানের শহর আলী তার দরজা। তাহলে এখন এই আয়াতটি নিয়ে সমস্যা কোথায়? সমস্যা রাসুলের মৃত্যুর পর তার মৃতঃ দেহ আড়াই দিন মতানতরে তিন দিন পড়ে ছিলো কেন তার মৃতঃ দেহ পড়ে ছিলো এটার কারন খুজলে খুব সহজে বোঝা যাবে। হাশেমী গোত্র আর অহাশেমী গোত্রের যে কন্দল সেটার লেজুড় ধরেই শুরু হলো ক্ষমতার লড়াই। আবু বকর, ওমর আর ওসমান আলীকে আর খলিফা মানলেন না। তারা এক রকম জোর করেই খেলাফত ছিনিয়ে নিলেন। এই বিষয়ে বললে অনেক বলতে হয়। যদি সামনা সামনি বসে বাহাস হয় তাহলে খুব ভালো হয়। বিশাল ঘটনা এই ভাবে লিখে বোঝানো যায় না। যাহোক মায়েদার ৬৭ নম্মার আয়োতের শেষে ছিলো ৩নম্মার আয়াতটি । ঃতোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।ঃ অথচা এই আয়াটি যে, মায়েদার ৩ নম্মার আয়াত হিসাবে দিয়েছে সেটা পড়লেই বোঝা যায় এটা একটি অগোছালো আয়াত। চলুন আরেকবার আয়াতটি দেখি।
সূরা মায়েদা ৫:৩ আয়াতঃ
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالْدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلاَّ مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُواْ بِالأَزْلاَمِ ذَلِكُمْ فِسْقٌ الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِن دِينِكُمْ فَلاَ تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থঃ তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।
উপরের এই আয়াত পড়লে বোঝা যায় কেউ যদি মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। এই গুলি কেই না করলে তার দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে, তার দ্বীন পরিপূর্ণ হবে। তায় কখনো হয়। দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ কিসে হবে তা কোরআন জুড়ে লেখা আছে এই হামার বস্তুগুলি বর্জন করলেই ইসলাম কখনো পরিপূর্ণ হয় না। এই আয়াতটি গোজামিল দিতে গিয়ে পারেন নি। এটা কোর রিস্চকারীদের কথা। আপনি এই আয়অতটি যে দিলেন সামনের গুলি বাদ দিয়ে কেন? সামনের গুলি বাদ দিলে প্রসঙ্গ বদলে যায়। তায় কোরআনের আগে পিছে ভালো করে পড়তে হবে।
আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)
৫। আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ শান্তির (ইসলামের) জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে (ইসলাম) শান্তির অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)
আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)
৬। আল্লাহ (ইসলামের) শান্তির জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)
নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
৭। নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র (ইসলাম) শান্তির। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
আপনার তরজমাটি ভুল আছে । كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ কুন্তুম খায়রা উম্মাতি। অর্থ তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতী। উম্মাতি মানে উম্মতে হয় কখনো? এই সব তরজমা কে করেছে। মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের অনুসারীরা। আপনি তাদের অনুসারী নাকি? চলুন সঠিক তরজমাটি দেখে নেয় নিচে।
৮। তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতী, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
আহলে কিতাবীদের কথা বলেছে সেখানে চারটি কিতাবের লোকই পড়ে। আল্লাহ বলছে তাদের অধিকাংশই হলো পাপাচারী। এখানে কিন্তু সকলেই পাপি নয় এবং সকলকে বলেছে। এটা থেকে বোঝা যায় সকল ধর্ম এখনো আছে থাকবে।
আপনি এই আয়াতে উম্মতে মুহাম্মাদী লাগিয়েছেন কেন? কোথাও তো এই আরবী শব্দটা নেই।
এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
৯। এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়।
আপনি বলেছে কেবলা মানা না মানায় কেই মুসলমান হয় আর কেউ ইহুদী। হাস্যকর কথা। আপনি মুসলমানের সংজ্ঞা জানেন? জানেন না। আপনার কি ধারনা কেবল মুহাম্মাদ (সাঃ) সময় থেকে শরু হয়েছে মুসলমান কথাটা। কেবল মুহাম্মাদ (সাঃ) উম্মতরাই মুসলমান? আপনার ধারনা ভুল কারন আপনি টিকমত কোরআন পড়েন নাই। চলুন দেখি মুসলমান শব্দটা কিভাবে পেলাম। কোরআন কিবলে।
সূলা হাজ্জ্ব ২২:৭৮ আয়াতঃ
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও,
সূরা মায়েদা ৫:১১১ আয়াতঃ
وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُواْ بِي وَبِرَسُولِي قَالُوَاْ آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ
অর্থঃ আর যখন আমি হাওয়ারীদের মনে জাগ্রত করলাম যে, আমার প্রতি এবং আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তখন তারা বলতে লাগল, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা মুসলমান।
আসলে কেউ মুসলমান থাকে না্। মুসলমান হতে হয়। দেখুন কোরআন কিবলেঃ
সূরা বাকারা ২:১৩২ আয়াতঃ
وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلاَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
অর্থঃ এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।
তাহলে মুসলমান হতে হয় বুঝলেন নাজিবুললাহ্।
নাজিবুল্লাহ তাহলে আমরা বুঝলাম মুসলমান কথাটা এসেছে ইব্রাহীম (আঃ) এর সময় থেকে। আর উমম্তে মুহাম্মাদের কথা বলছেন যে তারা শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে। তবে আসুন দেখি কোরআন কিবলে।
সূরা ইমরান ৩:৫৫ আয়াতঃ
إِذْ قَالَ اللّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো।
নাজিবুল্লাহ তাহলে এই আয়াতে দেখলাম আল্লাহ্ বলছেনঃ আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো।
তাহলে ঈশাকে যারা অস্বীকার করে তার কাফের, এই কাফেরদের থেকে আল্লাহ তার উম্মতদের কিয়ামত পর্যন্ত জয়ী করে রাখবে বলে ঘোষনা দিয়েছে।
আপনি হয়তো ভাবছেন খ্রীষ্টিয়ানরা কাফের তাহলে আসুন দেখি কোরআন খ্রীষ্টিয়ান সম্পর্কে কি বলে।
সূরা মায়েদা ৫:৮২ আয়াতঃ
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ
অর্থঃ আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।
সূরা বাকারা ২:১১৫ আয়াতঃ
وَلِلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللّهِ إِنَّ اللّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।
আর কিতাব সম্পর্কে বলেছেনঃ আল্লাহ কিবলে চলুন দেখিঃ
সূরা আন-আম ৬:৯২ আয়াতঃ
وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ
অর্থঃ এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে।
পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী হচ্ছে কোরআন এটা আল্লাহ বলছে। পূর্বের কিতাব বাতিল কিংবা ভুলভ্রান্তি থাকলে সেই কিতাবের সত্যায়নকারী কোরআন কখনো হতে পারে না।
সূরা মায়েদা ৫:৪৮ আয়াতঃ
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُم بَيْنَهُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ وَلاَ تَتَّبِعْ أَهْوَاءهُمْ عَمَّا جَاءكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاء اللّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَـكِن لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَآ آتَاكُم فَاسْتَبِقُوا الخَيْرَاتِ إِلَى الله مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।
আল্লাহ্ বলছেন তিনি ইচ্ছা কররে সকল কে এক উম্মত করতে পারতেন কিন্তু তিনি করেননী পরীক্ষার জন্য। তাতে কি বুঝলেন নাজিবুললাহ্ আপনি এর আগের আমার একটিও প্রশ্নে উত্তর দেন নাই কেবল আপনার জানার জন্য আমার কাছে প্রশান ছুড়ছেন। তাতে বোঝা যায় আপনার এই নোটগুলি আর কষ্ট করে বের করতে হবে না।
আর কোরআন আপনি যেমন ফুরকান বলছেন ঠিক কোরআনও তৌরাতকে ফুরকান বলছে। চলুন দেখি
সূরা আম্বিয়অ ২১:৪৮ আয়াতঃ
وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاء وَذِكْرًا لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থৎ আমি মূসা ও হারুণকে ফুরকান দিয়েছিলাম, যা আলো ও উপদেশ, মুত্তাকীদের জন্যে ।
আপনার বকি উত্তর ২য় কমেন্টে দেয় কারন লিখা অনেক বড় হয়ে গেছে।
২৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন: এখানে ইতিহাস বিদরা বলছে মূল পান্ডুলিপি থেকে কিছু আয়াত বাদ পড়েছে। এটা সেলিম জাহাঙ্গীরের কথা নয়, এটা ইতিহাস বিদদের কথা।
হ্যা ! এটা কোরআনের কথা নয়। ইতিহাসবিদদেরই কথা। আপনি যে ধর্মের অনুসারী ইসলামের সেই চির দুশমন বিকৃত ইতিহাস প্রচারকারী ইহুদী ইতিহাসবিদদেরই কথা। কোরআনে বিশ্বাসে ভং ধরে আপনি ইহুদীদের প্রকাশ্য দালালীতে নেমেছেন। কোরআনে বিশ্বাসী হলে কোরআনের আয়াতেই বিশ্বাস করতেন । আর কোরআনের কোথাও বলা হয়নি যে, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবগুলোও আল্লাহ পাক সংরক্ষণ করবেন বরং একমা্ত্র কোরআনের ব্যাপারেই বরা হয়েছে একে আল্লাহ পাক কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষণ করবেন তাই এর একটি আয়াতও নষ্ট হয়নি বা বিকৃত হয়নি। ইহুদী হয়ে কোরআনে বিশ্বাসের ভন্ডামী ছাড়ুন। ইহুদরাই মানবজাতির চির দুশমন।
২৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০৯
মেলবোর্ন বলেছেন: দেখন তো আপনাদের কাজে আসে না কি? আমি ভাই বরই নাদান বান্দা কম জানি তাই লিংক দিলাম
Silliness of Hadith Criticism - Nouman Ali Khan
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাইয়া দেয়ার জন্য (আপনার আমল দ্বারা)যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল। (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৪)।
আমিতো আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য (আপনার হাদীস দ্বারা)(সূরা নাহল, আয়াত : ৬৪)
তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাহাতে তোমরা অনুগ্রহ লাভ করিতে পার (সূরা ইমরান , আয়াত : ১৩২)
হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাহাদের যাহারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিলে উহা উপস্থাপণ কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট। ইহাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)
তোমাদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ ও আখিরাতে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাহাদের জন্য তো রাসূলুল্লাহ (স এর মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াত : ২১)
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। (সূরা ইমরান, আয়াত : ৩২)।
রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৪)
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মুমিন হইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিাবদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৫)
বলুন, 'হে মানব জাতি ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল, যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ইমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাহার বানীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার (রাসূলের)অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।(সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
বলুন, হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা হাজ্জ, আয়াত : ৪৯)
হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৫)
আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে তাহাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন, যে তাহার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাহাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তাহারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল। (সূরা ইমরান, আয়াত : ১৬৪, সূরা জুমা, আয়াত : ০২)।
যেমন আমি তোমাদরে মধ্য হইতে তোমাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি, যে আমার আয়াত সমূহ তোমাদরে নিকট তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় আর তোমরা যাহা জানিতে না তাহা শিক্ষা দেয়। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৫১)
আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন তাহা আল্লাহর, তাহার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, যাহাতে তোমাদের মধ্যে যাহারা বিত্তবান কেবল তাহাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল তোমাদেরকে যাহা দেন তাহা তোমরা গ্রহণ কর এবং যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তাহা হইতে বিরত থাক। (সূরা হাশর, আয়াত : ০৭)
যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
২৮ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি অযথা অনেক সূরা ও আয়াত দিয়েছেন কিন্তু কোন উদ্দেশ্যে দিয়েছেন তা বলেননী এবং বোঝা যায় না। আমি একটি বিষয় আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বোঝাচ্ছি। এবং সূরা গুলি উল্লেখ্ করেছি।
চলুন আপনার কথায় বতিল কিতাব গুলি সম্পর্কে দেখি কোরআন কি বলে।
সূরা মায়েদা ৪৪ আয়াতঃ আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে।
সূরা আন-আম ৯২ আয়াতঃ এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী ( আপনার কথায় ভ্যাজাল) গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী
সূরা মু'মিন ৬৩-৫৪ আয়াতঃ নিশ্চয় আমি মূসাকে হেদায়েত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম; বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ ও হেদায়েত স্বরূপ।
সূরা আহকাফ ১২ আয়াতঃ এর আগে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়, যাতে যালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মপরায়ণদেরকে সুসংবাদ দেয়।
সূরা মায়েদা ৪৭ আয়তঃ ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
সূলা বাকারা ৫৩ আয়তঃ আর (স্মরণ কর) যখন আমি মূসাকে কিতাব এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার।
নাজিবুললাহ উপরের আয়াতটি আগের জন্য না এখনকার জন্য> আল্লাহ বলছেনঃ যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার।
তোমরা বলতে অতিতের মানুষদের বলছে?
সূরা আম্বিয়া ৪৮ আয়াতঃ আমি মূসা ও হারুণকে দান করেছিলাম মীমাংসাকারী গ্রন্থ, আলো ও উপদেশ, আল্লাহ ভীরুদের জন্যে
কোরআন পূর্ববর্তী কিতাব বাতিল করে না, কেবল সত্যায়ন করে। তার মানে এই কিতাব গুলি সত্য।
সূরা ইমরান ৩ আয়াতঃ তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাব সমুহের।
সূরা ফাতির ৩১ আয়াতঃ আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সব জানেন, দেখেন।
সূরা আহক্বাফ ১২ আয়াতঃ এর আগে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়, যাতে যালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মপরায়ণদেরকে সুসংবাদ দেয়।
সূরা আহক্বাফ ৩০ আয়াতঃতারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।
বিশ্বাস করা আর ইমান আনা এক কথা নয়। যাবে বিশ্বাস করবেন তাকে মানবেন। চলুন কোরআন কিবলে দেখিঃ
সূরা বাকারা ১৩৬ আয়াতঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
সূলা ইমরান ৮৪ আয়াতঃ বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।
সূলা নিসা ১৩৬ আয়াতঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
পূর্বের কিতাব গুলি সম্পর্কে আল্লাহ কোরআন জুড়ে অনেকবার বলেছে। কোরআন যে কিতাব গুলি সন্মান করেছে সেই কিতাব গুলিকে আমাদেরও সন্মান করা উচিত। আল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ) কে পূর্বের কিতাব সম্পর্কে এভাবেই বলেছে যে তোমাকে যে কোরআন দেয়া হয়েছে সেই কিতাবে সন্দেহ থাকলে তুমি পূর্বের কিতাব ধারীদের কাছে যাও। চলুন আয়াতটি দেখি
সূরা ইউনুস ৯৪ আয়াতঃ সুতরাং তুমি যদি সে (কোরআন) বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে (তাওরাত,জব্বুর ও ইঞ্জল)কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।
আপনার ভাস্যমতে আগের কিতাবগুলি রহিত হয়েছে। যদি রহিত হয়ে যায় তাহলে সেই কিতাব গুলি সত্যায়ন করা কোরআনের কাজ নয়। বাতিল কে সরাসরি বাতিল বলাই শ্রেয়। র্ূর্বের কিতাব বাতিল করলে আল্লাহ অবশ্যই কোরআনে আয়াত দিয়ে বলে দিতেন। চলুন দেখি বাতিল সম্পর্কে কোরআন কি বলে।
সূরা বাকারা ১০৬ আয়াতঃ আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
সূরা হাজ্জ্ব ৫২ আয়াতঃ আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
আল্লাহ কোন আয়াত বাতিল করেন না। বরং আরও সু-প্রতিষ্ঠিত করে।
আবার সূরা হাজ্জ্ব এর ৫১ আয়াতে আল্লাহ বলছেনঃ এবং যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্যে চেষ্টা করে, তারাই দোযখের অধিবাসী।
তাহলে নাজিবুললাহ আল্লাহর আয়াত মানা আমাদের কাজ। তার কোন আয়াত ব্যর্থ করা আমাদের কাজ নয়। আশা করি উত্তর পেয়েছেন। আর আমার আগের একটি প্রশেন জবাব দেন নাই। আমি ইব্রাহীম(আঃ) এর ধর্ম নিয়ে বলেছি, মুহাম্মাদ তার ধর্ম অনুসরণ করছে সেই বিষয়ে বলেছি।
তাওরাত, জব্বুর, ইঞ্জিল ও কোরআন না প্রতিষ্ঠা করা পর্যন্ত আমরা মুমিন না এটাও বলেছি। কিন্তু এর কোন জবাব আপনি দেন নাই। সূরা মায়েদা ৬৮ আয়াত। আশাকরি উত্তর গুলি সঠিক দিবেন আউল-ফাউল বলে সময় নষ্ট করেন না। আমি কিন্তু আপনাকে ইহুদি-খ্রীষ্টিয়ান, মুসরেক-কাফের বলবো না। কেন জানেন? আমি একজন শান্তির (ইসলাম) অনুসারী আমার ভেতরে রাগ থাকতে নেই। আল্লাহ অহংকারী পছন্দ করেন না--আল কোরআন
৩০| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার খৃষ্টান ধর্ম রহিত হয়ে গেছে না টিকে আছে, মুসলিমদের উপর খৃষ্টানদের বিজয় লাভের আল্লাহর ওয়াদা সত্য না মিথ্যা, ইসলাম অর্থ শান্তি নাকি অন্য কিছু, শিয়াদের ইতিহাস/পাতিহাস কতটুকু সত্য এ সকল প্রসঙ্গ পরে আলোচনা করা যাবে; আপনি সর্ব প্রথম বলেন আপনি নিম্নোক্ত দুটি আয়াতে বিশ্বাসী কিনা ?
১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)
২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)
যদি বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তবে শিয়াদের মিথ্যা দাবী কোরআনের চারশ আয়াত নষ্ট করা হয়েছে এটা প্রচার করছেন কেন একজন খৃষ্টান হয়ে ?
২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যারা না পারে তারা এইভাবেই আপনার মত পোলাপ বকে। বেটা ফাজিল কোরআন থেকে এতগুলি আয়াত দিলাম তার পরে বলে শিয়াদের মিথ্যা দাবী । আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে কোরআন নিয়ে পড়ে থাকা লাগবে। নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ব্লগে লিখতে এসেছেন? এর আগেও আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। কোরআনের একটি আয়াত দিয়ে পুরো কোরআনের বিচার হয় না। এর আগে ও পরে অনেক আয়াত আছে। এর কাল পাত্র, ক্ষণ বুঝতে হবে। আপনার মত অনেক আলেম ওলামা হযরত হোসাইন (রাঃ) মাথা কাটা সময় অনকে ফতোয় দিয়েছিলো। এরা সকলে ছিলো ইয়াজিদের অনুসারী। এদর মাঝে শত শত লোক ছিলো কোরআনের হাফেজ, আলেম-ওলামা কিন্তু কারবালায় হোসাইন কে কতল করতে তাদের মূখ দিয়ে বের হয়েছে ইসলাম ধর্মের বয়ান। আপনার কি ধারনা হাফেজ, আলেম-ওলামা হলেই সে ধর্মের ধারক বাহক হবে। কারবালায় ইয়াজিদের অনুসারীরা কি সত্যি ভালো কাজ করেছে? তারা সকলেকি আসলেই ধার্মীক ছিলো। নাকি কেবল ধর্মের লেবাস ছিলো? ধর্ম সম্পূর্ন আলাদা জিনিস। ইহুদি-খ্রীষ্টিয়ান সম্পর্কে জানতে হলে ঠিক মত কোরআন পড়েন, অন্য কোন কিতাব পড়তে হবে না। এখানেই তাদের ব্যাপারে সব বলা আছে। কিন্তু আপনার সেটা দৃষ্টি গোচর হয়নি।
সূরা মায়েদা ৫:৬৯ আয়াতঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
নাজিবুললাহ্ আল্লাহ যেন আপনার সু-দৃষ্টি দান করেন। এবং আপনার বক্ষকে প্রশস্ত করেন---আমেন
৩১| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: পিছলান কেন ? যেই প্রশ্ন করেছি সরাসরি উত্তর দেবার হিম্মত নাই ? খৃষ্টানদের দালালগিরী করতে আসছেন কোরআন এর দলীল দিয়ে ? কোরআনের একটি আয়াত ই আপনাদের লেজ বের করতে যথেষ্ট। এর বেশী লাগেনা। কোরআনের চারশত ত দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি।
১. আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্যই আমিই ইহার সংরক্ষক। (সূরা হিজর - আয়াত : ০৯)
২. ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (সূরা কিয়ামাহ - আয়াত : ১৭)
এ দুটি আয়াতের কাল পাত্র কি বলুন। এর আগে পিছে কি আছে বলুন, যার দ্বারা বুঝা যাবে যে, এ দুটি আয়াত মিথ্যা বা বিকৃত বা এই অর্থ নয়। আমি বার বার বলেছি আপনার খৃষ্টান ধর্ম (পল কর্তৃক আবিষ্কৃত বিকৃত ধর্ম/ইসা আ: এর ধর্ম নয়) সঠিক কি বেঠিক আমি সেই আলোচনাকে আনেক পরের ব্যাপার মনে করি। আপনি বার বার সে প্রসঙ্গ টানতেছেন কেন ? আগে কোরআনের এ দুটি আয়াতের ফয়সালা হবে তারপরে অন্য প্রসঙ্গ। আপনি আরবীর আ ও জানেন না। জানলে ইসলাম অর্থ শান্তি কখনোই বলতেন না। গলাবাজী দালালী বাদ দিয়ে আগে বলুন এ দুটি আয়াতের তাৎপর্য কি ? আর না বলতে পারলে নাকে খত দিয়ে ব্লগ থেকে বিদায় নিন। পাবলিকরে কি ভোদাই মনে করছেন নাকি যে, আপনাদের মত পেইড দালালদের তাদের চিনতে দেরী হবে ?
২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:১০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার প্রশ্নে উত্তর আমি কটা দিয়েছি আর আপনি কটা দিয়েছেন সেটা বাইরের কাউকে দিয়ে একবার দেখিয়ে বিচার করুন। আপনার মিথ্যার বেসাথি খুলে যাবে।
আপনি বলেছেনঃ কোরআনের চারশত ত দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি।
এই কথাটা আপনি কাকে বলছেন? এটা কিন্তু আমি বলিনাই। এটা কোরআন গবেষকদের কথা; সেটাকি বলা আমার দোষের? আর ধর্ম বখনো একটি জাতীর জন্য নয় সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য। যারা ইবাদত করে তাদের প্রতি যেমন আল্লাহর দৃষ্টি আছে ঠিক যারা ইবাদত করেনা তাদের প্রতিও আল্লাহর দৃষ্টি আছে। যদি বেনামাজীদের প্রতি আল্লাহর দৃষ্টি না থাকতো তাহলে তারা ভষ্ম হয়ে যেত। আরব আল্লাহর রহমতের দেশ, আর ভারত মূর্তী পূজারকদের দেশ; সেই দিক দিয়ে আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি ভারতে থাকার কথা নয়। এবার দেখুন আরবের অনেক জায়গায় এখনো বৃষ্টি হয় না। আর ভারতের সব জায়গায় বৃষ্টি হয়। তাহলে বুঝরেন আল্লাহর রহমত বা কৃপা কার প্রতি কিষের কারনে থাকে? হুদায় অন্য ধর্মের লোকদের গালান কেন? কোরআন বলছে আহলি কিতাব ধারীরা সকলে মুসলমান, তাদের যে কোন মেয়ে কে বিবাহ করলে তাদের ধর্মান্তরিত হতে হবে না। নাজিবুললাহ্ পারলে জবাব দেন নয়তো অযথা ভন্ড ইয়াজিদের লেবাস খুলে ফেলুন। ওহাবীদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে জান্নাত মিলবে না। এর জন্য নিজেকে মুসলমান হতে হবে। আপনার দোহায় মুসলমান না হয়ে খবরদার মৃত্যু বরণ করেন না। প্লিজ পারলে আগের উত্তর গুলি দিয়েন আর না পারলে নাকে খত দেবার দরকার নেই; কেবল আল্লাহর কাছে ক্ষামা চায়বেন। আমিও আপনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থণা করি। আল্লাহ যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন---আমেন
৩২| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫৪
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আরে আবাল পোষ্ট করেছেন আপনি তো সকল জবাব দিতে বাধ্য কে ? পোষ্ট লিখক নাকি পাঠক ? আপনি কোরআন বিকৃতির গাজাখোরী গল্প ফাদবেন আর আপনাকে পাবলিক প্রশ্ন করতে পারবে না ? আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবার অধিকার পরের ব্যাপার। যেহেতু আপনি পোষ্ট দাতা তাই আগে আপনাকে আপনার সকল কথাকে প্রমান করতে হবে। পাবলিক যত প্রশ্ন করবে সবগুলোর উত্তর দিতে আপনি বাধ্য। যদিও আমি আপনার সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিব তবে সেটা হবে পর্যায়ক্রমে। আমরা প্রতিটা প্রশ্নে উত্তরের ভিত্তি হবে আমার করা প্রশ্নের মিমাংশার উপর। আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যার্থ হলে আপনার কোন অধিকার নেই আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করার। আমি বার বার একটি কথা বলতেছি হযরত মুহাম্মদ (স (আপনি এই নামটি উচ্চারণ করার সময় একবারও সম্মান দেখিয়ে (স
বলেন নি, তাই আপনিও আমার কাছে সম্মান পাবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন) এর পূর্ববর্তি ধর্ম বাতিল হয়েছে কিনা সেটা সহ ধর্মের সকল মিমাংশা হবে এক মাত্র একটি প্রশ্নে মিমাংশার উপর। তা হল কুরআন বিকৃত হয়েছে কিনা। যে কুরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে, যে কোরআন থেকে ৪০০ আয়াত মুছে গিয়েছে সে কুরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে। যদি কোরআন অবিকৃত না থাকে তবে বর্তমান কোরআনের একটি আয়াতেরও কানাকড়ি মূল্য নেই দেড়শ কোটি মুসলিমের কাছে। যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর সহ সকল কিতাব ও নবী রাসূল দের উপরে মুসলিমগণ পূর্ণ রুপে বিশ্বাস করে থাকলেও বর্তমান তাওরাত ইঞ্জিলের ১% ও মূল্য কোন মুসলিমের কাছে নেই। কেননা এ সকল কিতাবই এখন বিকৃত। কেননা এ কিতাবের কোন কিতাবকেই আল্লাহ পাক সংরক্ষণের ওয়াদা করেন নি। করেছেন একমাত্র কোরআনের ক্ষেত্রেই। তাই মুসলিমগণ উক্ত দুটি আয়াতের উপরে যেমন বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনের চারশ আয়াত তো দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি। তাই আগে আমাদের নিকট ইসলাম বিরোধী ইহুদী-খৃষ্টান রচিত কোরআন বিকৃতির পাতিহাসের মিমাংশা কারার গুরুত্ব সর্ব প্রথম। এর পরে বাকী সকল আলোচনা।
কোরআন বিকৃত হয়ে থাকলে কোরআনের এ দুটি আয়াতের ও কোন মূল্য নেই আর ১৪৪টি সূরার একটি আয়াতেরও কোনই কানাকড়ি মূল্য মুসলিমদের নিকটে নেই। তাই আপনি কোরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে চাইলে আগে প্রমাণ করুন যে, এ দুটি আয়াতের ঘোষনা মিথ্যা। আপনি রাসূলের কথা কে বিশ্বাস করেন না, সাহাবাদের কথাকে বিশ্বাস করেন না, যেই সাহাবাদের সততা ও ন্যায় পরায়নতার সাক্ষ স্বয়ং আপনার ধর্ম গ্রন্থ তাওরাতেও ছিল, যা আমাদেরকে কুরআন ই জানাচ্ছে : " মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)"
আপনি এই সাহাবাদের কে বিশ্বাস করেন না, আপনি আসছেন কোন অজপারার কোন পাতিহাস গবেষক কোন কোন শিয়াদের কোন কোন মিথ্যা হাদীস দিয়ে কোরআনের ৪০০ আয়াত নষ্টের কোন ঠাকুর মার ঝুলি বানিয়েছে সে বিষয় নিয়ে। আপনার কোরআনে বিশ্বাস নেই, রাসূল এর কথায় বিশ্বাস নেই, সাহাবাদের কথায় বিশ্বাস নেই বিশ্বাস আছে ঐ সকল পাতিহাসের দলের উপর। জ্ঞাণীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। এত কথা বলার প্রয়োজন ছিলনা। আর আপনি ব্লগে দালল গিরী করে দু চার টা পয়সা কামতে চাইলে আরেকটু পড়াশোনা কইরেন। তা না হলেতো সবসময় এমন লুঙ্গি খুলে দৌড়াতেই হবে। আরবী ভাষাটা একটু শিখার চেষ্টা কইরেন। ইসলাম অর্থ কি সেটা এখনই একটু শিখে নিয়েন আপনার গুরু দের কাছ থেকে। আপনার গুরুরা তো লন্ডনে মাদ্রাসা পর্যন্ত তৈরী করেছে। আপনাদের মত কুরআনের স্কলার্স তৈরী করার জন্য। যারা কোরআন বিকৃতির কাহিনী শুনাবে মিডিয়ায় মিডিয়ায়। কিন্তু তাদের জ্ঞানের দৈণ্যতা যদি এমন করুন হয় তাহলেতো তাদেরকে পয়সা দিয়ে পালাই বৃথা যাবে। আশা করি আপনার প্রভুরা এ ব্যাপারে আরেকটু সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। যে কারা কারা তাদের গোলামী করার যোগ্যতা রাখে। আর কারা কারা রাখেনা।
২৯ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনাকে প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ইসলামী চিন্তাবিদ সেজেছেন মাগার ইসলাম জীবনেও পড়েন নাই। আমি বলি কোরআন গবেষকদের কথা আর উনি বলে আমি নাকি চার শত আয়াত অস্বীকার করছি। যারা গবেষক তারা সকলেই ইসলামী জান্তা,এটা তাদের কথা এটা সেলিমের কথা নয়। সেলিম কোরআন কে ১০০% বিশ্বাস করে। আর পূর্বের কিতাব সম্পর্কে আমার লিখাতেই আছে পড়ে দেখেন। পূর্বের কিতাব সম্পের্কে কোরআনের সাক্ষি যথেষ্ট, তারপরেও ইবনে কাসির, ইবনে তাবারী ইনাদের বক্তব্য দেইখেন। বেশী চিল্লা-ফাল্লা করে জ্ঞান প্রকাশ হয় না। যে জ্ঞানি তার লেখাতেই বোঝা যায়। আর আপনি কেবল বলছেন আগে আপনার উত্তর টা বলেন এটা কেমন কথা আমি লিখেছি আপনি কমেন্ট করেছেন; আমি তার পাল্টা জবাব দিয়েছি। কিন্তু আপনি আর তার জবাব দেন নাই। এই জবাব না দেওয়াটাও একটা নাপারার লক্ষনের প্রথম মনোভাব। ভাই নাজিবুললাহ্ কোরআন আরও মনোযোগ দিয়ে পড়েন। ইসলামরে তেশ মেরে আসছে আপনাদের মত আলেমরা যুগে যুগে থেকে। ধর্মের লেবাস থাকলেই ধার্মীক হওয়া যায় না। ধর্ম অন্তরের ব্যাপর এটা প্রকাশ্যে দেখানো যায় না। আপনার উপরে জুব্বা,মাথায় টুপি আর দাড়ী থাকলেই সে ধার্মীক নয়। ধার্মীক হতে হলে অন্তরে কেবল থাকতে হবে আল্লাহর তাকুয়া; যাকে বলে "হানিফান" । আপনার লিখায় আপনি নিজেই কোরআন বিরুদ্ধ অনেক কথা বলেছেন। এবং বলেই যাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান । আল্লাহ্ যেন আপনায় ক্ষমা করেন---আমেন
৩৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার।
২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাজিবুললাহ্ কুকুরের মত ঘেঁউ ঘেঁউ না করে সঠিক পথে আসুন। আপনার লিখাপড়ার যে কত জোর তা দেখতাম। ধর্ম নিয়ে ভন্ডামির দিন শেষ। মানুষ এখন লেখাপড়া করে;সত্য দেরীতে হলেও জানবে। আপনার আচর'ই বলে দিচ্ছে আপনি শান্তির ধর্মের মানুষ মটেও নন। আপনার আদর্শ ইসলাম নয়। খারিজি ও ওহাবী মতবাদ আপনার কাঁধে ভর করেছে। এক কথায় আপনার সভাবে জঙ্গী আচরণ ধর্মের দাওয়াত দেয় না, হিংসাত্বক কথা। আপনাকে আবারো আমি
প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। সৎসাহস ও সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আওয়াজ দিয়েন, আর না থাকলে এই ব্লগে আমাকে দু-চারটা গালি দিয়ে ইয়াজিদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করুন ও অশেষ ছোয়াব হাসীল করুন। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খালি চিল্লা-চিল্লিা আর চেচামেচি করে জেতা যায় না। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮
নজিবুল্লাহ বলেছেন: খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার
কোরআন বিকৃত হইছে প্রমাণ না করতে পারলে সামু থেকে গেট আউট হও বাছাধন। তোমার মত ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী খৃষ্টান মুশরেকের সাথে টাইম নষ্ট করার মত টাইম কোন মুসলিমের নেই।
৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আমি ইবনে কাসির ও তাবারির কথা বলেছি নিজের জ্ঞান জাহিরী করতে নয়। এরা আহলে কিতাব ও কিতাবধারী ধর্ম গুলি নিয়ে কিছু ভালো কথা বলেছে যা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনারা বলেছে আসমানী কোন কিতাব বিকৃত হয় নাই বা পরিবর্তন হয় নাই, কেবল মানুষ সেগুলির তাহরিফের পরিবর্তন করেছে। আর আপনি ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি এদর নাম বলা শুরু করলেন। আপনি এর আগেও একই কমেন্ট করেছেন আবারো এই কমেন্ট কপি পেস্ট করেছেন। আপনার মাথা সত্যি'ই খারাপ হয়েছে।
আপনি বলেছেনঃ খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে।
আমার মত সৎ সহাস থাকলে না, আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন। নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জেনেছেন; আর জেনেছেন মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদ এর অনুসারীদের কাছে বয়ান শুনে। আপনি কি বাহাস করতে পারেন? যদি পারেন আসুন। এত উত্তেজিত হবার কি আছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা হবে শান্ত-সিষ্ট ভাবে। এত গালাগালি করে খ্রীষ্টিয়ান ইহুদী বলে চিল্লা ফাল্লা করে লাভ কি? আপনার আমার আলোচনা দশেমিলে শুনে রায় দিবে; আপনি জিতলে আমি আপনার গোলায় ফুলের মালা দিবো। আর আমি জিতলে এককাপ আদা চা খাওয়ালে'ই চলবে। ইসলামে এত রাগ আল্লাহ পছন্দ করে না। আমার অনুরোধ আপনি আরবের ইতিহাস পড়বেন, ইরাক-ইরান,ইয়েমেন এই গুলির ইতিহাস জানবেন; তাহলে ইসলাম এর অনেক কিছু জানতে পারবেন। নাজিবুললাহ্ আপনি কোন দেশ কে জানতে চায়লে আগে সেই দেশের ইতিহাস জানতে হয়। ধরুন আপনি চীন দেশ সম্পর্কে জানবেন, কিন্তু কিভাবে জানবেন? ইতিহাস পড়ে নাকি হাদীস পড়ে? চীনাদেরতো কোন হাদীস নাই। আপনি হয়তো বলবেন আরবের ইতিহাস ভুলণ্ঠিত। যদি আরবের ইতিহাস ভুল থাকে তাহলে আপনার ধর্মীয় বাবাদের বলেন সঠিক ইসহাস প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে। আমার কথার উত্তর আপনার জানা নাই বিধায় আপনি ঘুরিয়ে একই কমেন্ট দুইবার দিলেন; এটা পাগলামী নাকি স্মৃতিভ্রম? যাই হোক আল্লাহ আপনার সুমতি দান করুন---আমেন
৩৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন:
নাজিবুললাহ্
Click This Link
৩৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:১১
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আপনি একটা ঝামেলাবাজ লোক। সত্যিকারের ইতিহাস জানেন না, অথচ ক্যাচাল লাগায় বেড়াচ্ছেন।
৩৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ওহে নাজিবুললাহ
আপনি এইখানে কি করেন? যান কোন মক্তবে গিয়া পুলাপাইনরে কায়দা, আমপাড়া পড়ানো শিখান।
উপরে যেইসব ইসলামিক ঐতিহাসিকের নাম লইয়াছেন কোন খেজুর পাতা হইতে তাহাদের নাম হেফজ করিয়া এইখানে জ্ঞান জাহির করিতে আসিয়াছেন? যুগ আগাইয়া গিয়াছে দেখা যায়, মক্তবের ফাজিল পাশ শিক্ষকগন এখন ইন্টারনেট এ আসিয়া কাউয়ার মত কা কা করিয়া বেড়ায়।
আপনি যে কহিলেন- //তাবারী, যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে ।// - এই বলদা মার্কা কথা কইবার জন্য আপনারে ছাগলের বাচ্চা উপাধি দেওয়া হইল। এদের বই পড়ার যোগ্যতা আপনার আছে কি? এদের বইতে যে কথা বলা হইছে আপনি কিকরে সেই কথার ১৮০ ডিগ্রী উল্টা কথা বলেন?
খোলাফায়ে রাশেদীন এর শেষ খলীফা, নবীজীর চাচাতো ভাই ও জামাতা আলী রা এর কোরআন সংকলন সম্পর্কিত আপত্তিসমূহ সম্পর্কে আপনার কিছু জানা আছে কি সম্মানিত ছাগলের বাচ্চা নাজিবুল্লাহ? Jalaluddin Al-Suyuty এর AL ITQAAN FEE 'ULUM AL QURAN এ উল্লেখ আছেঃ "`Ali was asked: "Why are you staying home?" He said, "Something has been added to the Quran, and I have pledged never to put on my street clothes, except for the prayer, until the Quran is restored." এই ঘটনাটি উসমানের সময়কার। একই ধরণের বিবরণ আরো অনেক ইসলামী স্কলার ও ইতিহাসবিদের আলোচনায় পাওয়া যায়। এবিষয়ে যদি একটু ম্যাতকার করতেন বাধিত হইতাম।
তাবারী এবং ইবন সা'দ ২ জনেই মেনে নিয়েছেন কোরানের অনেকগুলো আয়াত পরে বাতিল ঘোষিত হয়েছে, মুহাম্মদ নিজেও কিছু আয়াত রদ করেন। আলি খলিফা হওয়ার পর উসমানের সংকলনের ব্যার্থতায় এবং উম্মাহর মধ্যের বিরোধ নিরসনে কোরানের আয়াত সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন। তিনি যে কোরান সংকলন করেন তার ভিত্তি ছিলো কোরানের আয়াত যে ধারায় অবতীর্ন হয়েছে সে ধারায়। সুতরাং তার কোরানের প্রথম আয়াত হচ্ছে - ইকরা ....... হেরা গুহায় অবতীর্ন হওয়া প্রথম আয়াত।
আলি আয়াত নাজিল হওয়ার কালানুক্রম হিসেবে কোরানের আয়াত সংকলন করেছিলেন, এবং সাথে কিছু সহায়ক টিকা যোগ করেছিলেন, কেনো কি উদ্দেশ্যে এবং কোথায় এটা অবতীর্ন হয়েছিলো। তার ভাষ্য অনেকটা এ রকম, কোরানের এমন কোনো আয়াত নেই যা আমার গোচরিভূত নয়, এবং সে আয়াত গুলো কেনো অবতীর্ন হয়েছিলো এবং কার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ন হয়েছিলো এটাও আমার জানা।
এমন কি অনেক আয়াত যা পরে বাতিল ঘোষিত হয়েছে সেসব আয়াত কিছু আয়াত যা দুর্বল আয়াত হিসেবে পরিত্যাক্ত হয়েছে পরবর্তিতে এবং কিছু আয়াত যা কোরানে গ্রহন না করার নির্দেশ ছিলো মুহাম্মদের পক্ষ থেকে, এমন প্রায় 17000 হাজার আয়াত এবং বানীর সংকলন ছিলো সেটা। বর্তমানের কোরানে আয়াত সংখ্যা 6666 বাকি 11 হাজার আয়াত এবং খোদার পাঠানো বানী সম্পুর্ন হারিয়ে গেছে।
কহিলেন যে কোরান ৭ টি ভাষারীতিতে অবতীর্ণ হয়েছিল, আর অবিকলের ছাগলের মত উদাহরণ দিলেন সাত জন নামকরা ক্বারীর কথা, অথচ নিজেই জানেননা সেই ৭ জন ক্বারী একই ভাষারীতি অনুসরণ করেছেন ভিন্ন ভাষারীতি নয়। আজকে আমরা একটি রীতির কোরআনই পাই। বাকি ৬ রীতির কোরআন ধ্বংস করা হয়েছে কোন সময়ে? আবু বকরের সংকলন, যা শেষ পর্যন্ত হাফসার কাছে সংরক্ষিত ছিল- সেখানে কি বাকি ভাষারীতিও ছিল? উসমানের কপিতেই কি প্রথম একটি ভাষারীতি অনুসৃত হয়?
তা যদি হয়, তবে এটুকু বলা যেতে কি পারে যে, উসমানের কপিকৃত কোরআন আর হাফসার কাছে সংরক্ষিত কোরআন অবিকল এক নয়? হাফসা কাছে যে কোরআন ছিল সেটিও কেন ধ্বংস করা হলো (Marwan b. Hakam কর্তৃক)?
হাদীসে ৭ রীতির কোরানের কথা বলা হলেও তাবারী ৮ রীতির অথেন্টিক কোরানের কথা বলেছেন (পরবর্তী স্কলারগণ তা বাড়িয়ে ১০ রীতির কথা বলেছেন) যার প্রতিটি ইসনাদের মাধ্যমে ট্রেস করে একেবারে নবী মুহাম্মদ পর্যন্ত যাওয়া যায়। এই ইসনাদের সদস্যগণ অধিকাংশই হিজরী ২য় শতকের বহুল পরিচিত স্কলারগণ। নিচে নাম সহ উল্লেখ করা হলঃ
উসমানের কপিকৃত কোরআন (৫ কপি মতান্তরে ৭ কপি) ৫ টি বা ৭ টি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা যে কোরআন পাই- সেগুলো বিভিন্ন রীতিতে লেখা। যেমনঃ
১। মদীনা থেকে (Nafi, d. 169 A.H.);
২। মক্কা থেকে (ibn Kathir, d.120 A.H.);
৩। দামেস্ক থেকে (ibn ‘Amir, d. 118 A.H.);
৪। বসরা থেকে (Abu ‘Amr, d. 148 A.H.);
৫। কুফা থেকে (‘Asim, d.127 A.H.);
৬। কুফা থেকে (Hamza, d. 156 A.H.);
৭। কুফা থেকে (al-Kisai, d. 189 A.H.).
এছাড়াও পাওয়া যায়ঃ
৮। মদীনা থেকে (Abu Ja’far, d. 130 A.H.);
৯। বসরা থেকে (Ya’qub, d.205 A.H.);
১০। কুফা থেকে (Khalaf, d. 229 A.H.).
১১। বসরা থেকে (Hasan al-Basri, d. 110 A.H.);
১২। বসরা থেকে (Yahya al-Yazidi, d.202 A.H.),
১৩। মক্কা থেকে (ibn Muhaisin, d. 123 A.H.);
১৪। কুফা থেকে (al-’Amash, d. 148 A.H.).
এসব কোরআনের মধ্যেও পারষ্পরিক অমিল পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় Warsh ‘an (according to) Nafi (d. 169 A.H.) এবং Hafs ‘an ‘Asim (d. 127 A.H.) এর কথা। Warsh এবং Hafs এর কোরআনের মাঝে অসংখ্য জায়গায় অমিল পাওয়া যায়। আজকে আমরা যে কোরআন পাই তা মূলত Hafs (কুফা) এর কোরআন এর অনুরূপ।
কেন এরূপ হলো?
তাশখন্দ আর ইস্তাম্বুলে উসমান সংকলিত কোরানের অরিজিনাল কপি আছে। এই কথা আপনারাও স্বীকার করেন। আজকে আমরা দুনিয়া জুড়ে কোরআনের যে রীতি পাই- সেটির সাথে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, তাশখন্দ মিউজিয়ামে উসমানের কোরআনের সাথে অনেক জায়গাতেই অমিল আছে। বহু উদাহরণের মাঝে প্রমাণ হিসেবে ৪ টি উদাহরণ নীচে দিচ্ছি। (প্রতিক্ষেত্রেই উপরের মোটা হরফে আয়াত উসমানের কপিকৃত তাশকেন্ত মিউজিয়ামে রাখা কোরআন থেকে নেয়া এবং নীচের আয়াত বর্তমানে প্রচলিত কোরআন থেকে নেয়া। আপনি যেহেতু কায়দা পড়তে পারেন চাইলে মিলিয়ে দেখতে পারেন।)
এছাড়া ইস্তাম্বুলের মিউজিয়ামে রক্ষিত অরিজিনাল গোল্ড কোরানে আজকের প্রচলিত কোরানের সাথে বহু অমিল পাওয়া যায়। এই গোল্ড কোরানের কালার কপি স্ক্যান করে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য ওয়েব সাইটে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। Click This Link এই সাইটে গেলেই গোল্ড কোরানের অরিজিনাল কপি পাইবেন। এখন মিলাইয়া পইড়া দেখেন কত জায়াগায় অমিল আছে? যদি কায়দা পড়ার অভ্যাসের কারণে গোল্ড কোরান পোরতে অসুবিধা হয় জানাইয়েন, আমি কয়েকটি অমিল বের করে এইখানে পোস্ট করে দিবনে।
তো জনাব ছাগলের বাচ্চা নাজিবুললাহ, আপনি তো বলেন যে হাদীসও আল্লাহর নাজিল করা ওহী। চলুন দেখি এই হাদীস কোরান সংকলনের ব্যাপারে কি বলে?
Bukhari: vol. 6, hadith 468, p. 441-442; book 60
Narrated Ibrahim:
The companions of 'Abdullah (bin Mas'ud) came to Abi Darda', (and before they arrived at his home), he looked for them and found them. Then he asked them,: "Who among you can recite (Qur'an) as 'Abdullah recites it?" They replied, "All of us." He asked, "Who among you knows it by heart?" They pointed at 'Alqama. Then he asked Alqama. "How did you hear 'Abdullah bin Mas'ud reciting Surat Al-Lail (The Night)?" Alqama recited:
'By the male and the female.' Abu Ad-Darda said,
"I testify that I heard me Prophet reciting it likewise, but these people want me to recite it:--
'And by Him Who created male and female.' But by Allah, I will not follow them."
এই হাদিস দ্বারা এটা স্পষ্ট ভিন্ন অন্চলের মুসলিমরা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চারনে কোরান পড়তেন। যারা 'Abdullah bin Mas'ud এর কাছে কোরান শিখেছিলেন তারা কোরানের 92:1-3 আয়াত পড়তেন 'By the male and the female.' , আর অন্য মুসলিমরা একই আয়াত পড়তেন 'And by Him Who created male and female.' সুতরাং এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামের শুরুতেও মুসলিমরা একই way তে কোরান মুখস্ত করেন নি। সুতরাং প্রথম থেকেই কোরানের উচ্চারনজনিত সমস্যা ছিলই, যা মোহাম্মদের মৃত্যুর পর প্রসার লাভ করে। এইখানে খেয়াল করুন শুধু উচ্চারণেই ভিন্নতা নেই, বাক্যের গঠন/শব্দেও ভিন্নতা রয়েছে।
প্রশ্ন হলো উসমানের সংরক্ষিত কোরানে কি কোন editing বা selection হয়েছিল? উত্তর হ্যা হয়েছিল। আসুন নীচের হাদিস দেখি
Bukhari: vol. 8, hadith 817, p. 539-540; book 82
Allah sent Muhammad with the Truth and revealed the Holy Book to him, and among what Allah revealed, was the Verse of the Rajam (the stoning of married person (male and female) who commits illegal sexual intercourse), and we did recite this Verse and understood and memorized it. Allah's Apostle did carry out the punishment of stoning and so did we after him. I am afraid that after a long time has passed, somebody will say, `By Allah, we do not find the Verse of the Rajam in Allah's Book,' and thus they will go astray by leaving an obligation which Allah has revealed.
উপরের হাদিস থেকে এটা স্পষ্ট যে উমর convinced ছিলেন stoning an adulterer কোরানের অংশ ছিল এবং কোরান থেকে মুছে ফেলা হয় নি। অথচ আধুনিক কোরানে এই আয়াতগুলো নেই। এটা দিয়ে কি প্রতিয়মান হয় না যে উমরের দল দ্বারা সংরক্ষিত কোরানেও edition এবং selection হয়েছে?
আবার দেখুন,
Bukhari: vol. 6, hadith 60, p. 46; book 60
Narrated Ibn Az-Zubair:
I said to `Uthman, "This Verse which is in Surat-al-Baqara: `Those of you who die and leave wives behind............ without turning them out,' has been abrogated by an other Verse. Why then do you write it (in the Qur'an)?" `Uthman said, "Leave it (where it is), O son of my brother, for I will not shift anything of it (i.e. the Qur'an) from its original position."
উপরের হাদিস দ্বারা এটা স্পষ্ট Ibn Az-Zubair চাইছিলেন যে আয়াতটি কোরান থেকে মোছা হোক, কিন্তু উসমান চাইছিলেন যে আয়াতগুলো থাকুক, তাই আধুনিক কোরানে উপরের আয়াতগুলো বিদ্যমান।
পরিশেষে আপনার জন্য উপদেশঃ ইন্টারনেট হইতে বিতাড়িত হইয়া মক্তবে গিয়া পুলাপাইনরে কায়দা পড়ানো শিখান।
সেলিম জাহাঙ্গীর ভাইঃ আপনার মন্তব্যগুলো অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
৩৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একপাক্ষিক ভাবে জনাব নাজিবুললাহ লেখককে অযথাই গালাগালি করে যাচ্ছেন। আমার কাছে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু লেগেছে, তাই আমার মন্তব্যে জনাব নাজিবুললাহকে আমি ছাগলের বাচ্চা উপাধী দিয়েছি। এখন এই ব্যাপারটাও আমার কাছে খারাপ লাগছে। তাই আমি আমার দেয়া উপাধী ফিরিয়ে নিলাম। আর নাজিবুল্লাহর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করলাম। জনাব নাজিবুললাহ, আমার প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দেবেন এই আশা করি। মাথা গরম করে নিজের অজ্ঞানতা জাহির করবেননা।
৩৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই নাজিবুললাহ, আপনি বলেছেন- //কোরআনে বিশ্বাসী হলে কোরআনের আয়াতেই বিশ্বাস করতেন । আর কোরআনের কোথাও বলা হয়নি যে, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবগুলোও আল্লাহ পাক সংরক্ষণ করবেন বরং একমাত্র কোরআনের ব্যাপারেই বরা হয়েছে একে আল্লাহ পাক কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষণ করবেন তাই এর একটি আয়াতও নষ্ট হয়নি বা বিকৃত হয়নি।//
মিথ্যা কথা বলেন কেন? কোরানের কোথাও বলা হয় নাই যে আল্লাহ পাক কোরানকে কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষণ করবেন। যে আয়াতের রেফারেন্সে আপনি এবং সকল জ্ঞানপাপী এই মিথ্যা দাবী করেন সেই আয়াতে ''কোরান'' শব্দটি নেই। আল্লাহ বলেছেন ''জিকির'' এর কথা, অর্থাৎ জিকির আল্লাহ নাজিল করেছেন এবং জিকিরকে আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন। এর মাঝে কোরানের পাশাপাশি আবার কেয়ামত শব্দটা কোত্থেকে আমদানী করলেন? ভালই তো, নিজেই কোরান মানেন আবার কোরানের উপর মিথ্যা আরোপ করেন!
আর জিকির যে আল্লাহ সংরক্ষণ করেছেন, তা তো পরিষ্কার।
৪০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৪১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সূরা আল ইমরান-৩:৫৮> আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ সমস্ত আয়াত এবং প্রজ্ঞাময় জিকির।
সূরা ইয়াসীন-৩৬:৬৯> আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক জিকির এবং প্রকাশ্য কোরআন।
উপরের আয়াত দুটি দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে জিকির'ই আল্লাহ কর্তৃক সংরক্ষিত (আপনারা জানেন লৌহে মাহফুজে) সেই মূল কিতাব, আর কোরান হচ্ছে তার অংশ। এই জিকিরকেই আল্লাহ সংরক্ষণ করেছেন, যুগে যুগে রাসূলদের মাঝে আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তা এই জিকির, সেগুলোও আল্লাহ সংরক্ষণ করেছেন পরবর্তী নবী/রাসূল পাঠিয়ে।
কোরান বুঝে পড়ুন, নামাজ শিক্ষা বই থেকে ইসলাম শেখা যায়না।
৪১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৬
পারমানবিক বোমা বলেছেন: আমরা নিজেরাই ঠিক মত ঈমান আমল করি না , অথচ অন্যকে
হুট-হাট কাফের বলে আখ্যাইত করি ,গালিগালাজ করি !!!!!!!!! এই আচরনটা আমাদের মুসলমানদের আজকাল একধরনের মানুষিক রোগ ছাড়া আর কিছু নয় !!!!!!!!!!!!!!!!
৪২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:১৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: মেহেদী পরাগ ভাই,
আপনার বক্তব্যগুলোর রেফারেন্স কো্থায় ? আপনার উল্লেখিত হাদীসগুলো বাদে বাকী যে সকল তথ্য দিলেন তা কোন ঐতিহাসেকের বই থেকি দিলেন ? আপনি দুইজনের নাম উল্লেখ করেছেন, তাবারী আর জালালুদ্দীন সুয়ূতী। আর আপনার বাদ বাকী তথ্যগুলোর রেফারেন্স কোথায় ? আলী (র এর সংকলিত ১৭০০০ আয়াত সম্বলিত যে কোরআনের কথা বললেন এ কথার ভিত্তি কে ? এ তথ্য কি তাবারীর ইতিহাসে রয়েছে ? যদি থেকে থাকে তবে তাবারীর ইতিহাস গ্রন্থের ব্যাপারে অন্যান্য মুসলিম ঐতিহাসিকগণ কি বলেছেন তা আমি তুলে ধরব। অন্যান্য মুসলিম ঐতিহাসিকের দৃষ্টিতে তাবারীর ইতিহাস কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা ইনশাআল্লাহ সংক্ষিপ্তাকারে আমি পেশ করব। আরেকজনের দলীল দিয়েছেন, জালালুদ্দীন সূয়ূতী। তার বইয়ের একটি মাত্র লাইন দেখেই বুঝা যাবেনা যে, আসলে তিনি কি বলেছেন, কারো লিখিত বই কে বিকৃত ভাবে উপস্থাপনের জন্য এরকমভাবে এক/দুই লাইন উপস্থাপন করা হয়। যেমন মনে করেন, জালালুদ্দীন অন্য কারো একটা অভিমত খন্ডন করার সময় সেই অন্য কারো কোন মন্তব্য উল্লেখ করলেন এবং তার মন্তব্যটা খন্ডন করলেন এখন কেউ যদি জালালুদ্দীন কে সবার সামনে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করতে চায় তাহলে সে হয়ত তার পুরো বক্তব্যটি উপস্থাপন না করে তিনি যে আরেকজনের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে খন্ডন করে ছিলেন হয়ত সেই আরেকজনের বক্তব্যটাই এই কুচক্রি তুলে ধরবে জালালুদ্দীনকে ভুল ভাবে উপস্থাপনের জন্যে । তাই জালালুদ্দীনের পূর্ন মতামত জানতে হলে আপনি যেই লাইনটি তুলে দিয়েছেন সেই চ্যাপটারটি পুরোটাই পড়তে হবে। জালালুদ্দীন নিজেও একটি কোরআনের তাফসীর লিখেছেন, কিন্তু সেই তাফসীরের মাঝে তিনি এমন কিছু্ই উল্যেখ করেন নি। তাই তার এ ধরনের ১/২ লাইনের মন্তব্য দিয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে না।
আর আপনি যে সকল স্ক্যান কপি তুলে ধরলেন তার জবাবের জন্যে নিন্মের পোষ্ট টির বক্তব্য আশা করি যথার্থ হবে। দয়া করে নিম্নের পোষ্ট টি পড়ুন। আর এ বিষয়ে বিস্তারত আরো ভালোভাবে না জেনে আমি কিছু এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা। http://www.shodalap.org/bngsadat/13479
৪৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই নাজিবুল্লাহ
আপনি যে এসব কিছুই জানেননা তা আমি জানি। সময় নিন, সত্য জানুন। সত্য বড় নির্মম! এতদিন ধরে ইসলামিক স্কলারদের যেসব ভুল তথ্য গিলে এসেছেন তা হঠাৎ করে হজম করতে কষ্ট তো একটু হবেই। এতদিন বলে এসেছেন সারা দুনিয়ার সকল কোরান হুবুহু এক রকম। তারপর পাবলিক একটু শিক্ষিত হলে বলা শুরু করলেন যে শুধু জের জবর পেশ সংযোজন হয়েছিল বিদেশীদের পড়ার সুবিধার্থে। পাবলিক আরও শিক্ষিত হল আর এখন বলেন অনেক অক্ষরে পরিবর্তন আছে কিন্তু অর্থে কোন পরিবর্তন নাই। আমি একটু পরেই দেখাচ্ছি যে অর্থেও পরিবর্তন আছে।
আমি জানি আপনি সহিহ হাদীস গ্রন্থ ছাড়া ইতিহাসের কোন রেফারেন্সই আপনার মতের বিপক্ষে গেলে আর মানবেননা। আপনি যেহেতু ১৭০০০ আয়াতের ব্যাপারটা শিয়াদের পাতিহাস বলে যাচ্ছিলেন তাই আমি তাবারী এবং ইবনে সা'দ এর সুন্নি রেফারেন্স দিলাম। এখন তাবারীর ইতিহাস বলে এর সত্যতা স্বীকার করবেননা জানি, কিন্তু দয়া করে এটাকে আর শিয়াদের পাতিহাস বলে নিজের অজ্ঞতা জাহির করবেননা। আর সুযুতির বই সম্পর্কে ধারণা করে যে কথাগুলো বলেছেন তা ভুল। কারণ এটা একটা গবেষণা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া, সেটি রিভিউ হবার পরই প্রকাশিত হয়েছিল। একজন গবেষক এই ধরণের প্রতারণা করলে তার সারা জীবনের ক্যারিয়ার হুমকির সম্মুখীন হয়।
এবার আসেন পরের ব্যাপারটিতে।
স্ক্যান করা কোরানের কপি গুলোর জন্য কিন্তু কোন ইতিহাস এর প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই এটা যাচাই করে নিতে পারেন। কারণ চেষ্টা চরিৎ করলে এগুলো জোগাড় করা সম্ভব।
তাসখন্দের কোরানটি প্রথমে সাধারণ মানুষের যাচাই করার সুযোগ ছিল। ইস্তাম্বুলেরটি পাওয়া সম্ভব ছিলনা। তাসখন্দেরটি সম্পূর্ণ কোরান নয়। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এর সাদাকালো ফটোকপি করে বই হিসেবে সরবরাহ করেছিলেন। বেশ কিছু ইসলামিক স্কলার প্রথমে বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়েছিলেন মাত্র দুই একটি পৃষ্ঠার সাথে বর্তমান কোরানের হুবুহু মিল দেখিয়ে। কিন্তু পরে এক খৃষ্টান গবেষক, ব্রাদার মার্ক একটি বই প্রকাশ করেন যাতে তিনি বর্তমান কোরানের সাথে তাসখন্দের কোরানের বহু অমিল দেখিয়েছেন। বইটির নামঃ A perfect qurʹan
Click This Link এই সাইটে আপনি ব্রাদার মার্কের বই থেকে বেশ কিছু উদাহরণ পাবেন। তবে এবার যদি আপনি খ্রীষ্টান মিশনারী / ভন্ড নবী রাশাদ খলিফার অনুসারীর দোহাই দিয়ে সব কিছু অস্বীকার করেন তাহলে আপনি নিজেই ভন্ড বলে প্রতীয়মান হবেন। কারণ এইখানে মূল পয়েন্ট হচ্ছে তারা এমন একটি বিষয়ে কথা বলেছে যা চাইলে সকলেই যাচাই করতে পারে। তারা মিথ্যা বলেছেন এটা কেউ প্রমাণ করতে যাননি। অনেক ইসলামিক স্কলার বরং সত্য প্রকাশিত হয়ে যাওয়াতে বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিশ্লেষন দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন।
প্রথমে না পাওয়া গেলেও ইস্তাম্বুলের স্বর্ণের কোরান পড়ার সুযোগ এখন আছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে কোরানটির অনেকগুলো সুরা কালার স্ক্যান করে পাবলিকের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। Click This Link এই সাইটে গিয়ে পড়ে দেখেন, বর্তমান কোরানের সাথে অনেক জায়গাতে অমিল আছে।
আর আপনি সদালাপের যে লিঙ্কটি দিলেন, সেখানে লেখক সত্য গোপন করেছেন। সদালাপের লিঙ্কটির এবং হাদীসের বর্ণনাটি পরিষ্কার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, কারণ আসলে ৭ টি নয় বরং ১০ টি ভিন্ন রীতির অথেন্টিক কোরান এখন বিদ্যমান। আসলে প্রায় ৫০ টি ভিন্ন রীতির কোরানই আছে, কিন্তু সেগুলোর ইসনাদে সমস্যা আছে বলে স্কলারগণ অথেন্টিক বলে সম্মতি দেন নাই। কিন্তু শক্তিশালী ইসনাদের কারণে ১০ টি রীতির কোরান সকল স্কলার দ্বারা স্বীকৃত একটি বিষয়। এই ব্যাপারে আপনি চাইলেই খোজ নিতে পারেন। তাই ৭ জন ক্বারীকে পরিচয় করিয়ে দেয়া একটি প্রহসন। বাকি তিন রীতির ব্যাপারে কেউ কিছু বলেনা। চিন্তা করে দেখুন, এক সময় জাল হাদীসের কথা শুনেছেন। এখন জাল, জয়ীফ, সহিহ কোরানের কথাও শুনতে হয়, ইসনাদের মাধ্যমে হাদীসের মতই তাদের গ্রহণযোগ্যতা নির্ণয় হয়। হাদীসের ৭ রীতির কথা ভুল প্রমানিত হয়!
কনফিউশন এড়ানোর জন্য সৌদি বাদশাহ ফাহাদ পরে শুধু দুইটি ভার্সন প্রিন্ট করে প্রচার করেছেন। একটি হাফস এবং অপরটি ওয়ারশা। http://www.qurancomplex.org/ এটা কিং ফাহাদের করা কোরান কমপ্লেক্স এর লিঙ্ক।।
দাবী করা হয় যে হাফস এবং ওয়ারশা ভার্সনের মধ্যে মূলত কোন পার্থক্যই নাই, শুধু উচ্চারণ গত আর বর্ণগত অল্প কিছু পার্থক্য আছে। যেমনটা আমরা সদালাপের লিঙ্কটিতে দেখলাম। আসলে এটা সত্যের অপলাপ। এই দুই ভার্সনের মাঝে পার্থক্য এত সামান্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে অর্থের আমূল পরিবর্তনও পাওয়া যায়, যা অনেক মুসলিম স্কলার গোপন করেন। এই নিয়ে মুসলিম স্কলারদেরই বই আছে।
The Readings and Rhythm of the Uthman (Qur'anic) Manuscript এই বইটিতে লেখক পুরো হাফস কোরান প্রিন্ট করেছেন, আর যে শব্দগুলো ওয়ারশ কোরানের সাথে পার্থক্যপূর্ণ সেগুলো আন্ডারলাইন করেছেন আর পাশে মার্জিনের খালি জায়গাতে তা লিখে দিয়েছেন। ১৩৫৪ টি পার্থক্য পাওয়া যাবে এই বইটিতে। বইটির একটি পৃষ্ঠার ছবি দিলাম।
আর অথেন্টিক ১০ টি কোরানের ভার্সনের মাঝেই পার্থক্য পাবেন মুহাম্মদ ফাহাদ খাররুন এর লিখা আরেকটি আরবী বই ت التنزيل مذيلا بمنظومتي الشاطبية والدرة থেকে। বইটি চাইলে আপনি কিনতে পারবেন Click This Link এই সাইট থেকে। বইটির একটি পৃষ্ঠার ছবি দিলাম।
আপনার দেয়া সদালাপের লিঙ্কে যে মিথ্যা বলা আছে এখন চাইলে খুব সহজেই তা আপনি নিজেই যাচাই করে দেখতে পারেন। আমি কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে দিচ্ছি। আপনি যেকোন একটি ওয়ারশ কোরান কিনে যাচাই করে দেখবেন আশা করি।
২:১২৫ হাফস এ পড়া হয় ওয়াত্তাখিজু (তোমরা নেবে) ওয়ারশ এ পড়া হয় ওয়াত্তাখাজু (তারা নিয়েছে)
২:১৪০ হাফস এ পড়া হয় তাকুলুনা (তোমরা বল) ওয়ারশ এ পড়া হয় ইয়াকুলুনা (তারা বলে)
৩:১৪৬ হাফস এ পড়া হয় কাতাল (লড়াই করেছিল) ওয়ারশ এ পড়া হয় কুতিল (খুন হয়েছিল)
উপরের উদাহরণগুলো শব্দের অর্থ পার্থক্য দেখালেও বাক্যের অর্থে খুব বেশী পার্থক্য দেখায় না। কিন্তু এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে বাক্যের অর্থও আমূল ১৮০ ডিগ্রী পরিবর্তন হয়ে যায়।
৪৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৪১
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই নাজিবুল্লাহ,
আপনার দেয়া সদালাপের লিঙ্ক থেকে কোট করিঃ
//''৫. শব্দের ভিন্নতা:
কোন কোন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কিরাআতে একই শব্দের স্থলে ভিন্ন শব্দ ব্যবহার হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শব্দগুলো আসলে একটি অপরটির প্রতিশব্দ।
যেমন,
এক কিরাআতে এসেছে: ফাতাবাঈয়ানু
ভিন্ন কিরাআতে এসেছে: ফাতাছ্বাববাতু (একই অর্থ বহন করে)''//
এইখানে আপনি খেয়াল করে দেখুন, এটায় কিন্তু হাদীসে বর্নীত ভিন্ন উচ্চারণরীতি (এক্সেন্ট) এর কথা বলা হয়নাই। বরং সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি শব্দ (সমার্থক হলেও ভিন্ন শব্দ) এর কথা বলা হয়েছে। অথচ দুটি কোরানে একই অর্থের ভিন্ন শব্দ না থেকে বরং সেই শব্দটারই ভিন্ন এক্সেন্ট থাকলে কোরানের অবিকৃতি বেশী প্রমাণিত হত। আশা করি এইটুকু বুঝার জ্ঞান আপনার আছে। এইভাবে ক্রিয়াপদ/ বিষেশ্যের পার্থক্যের ব্যাপারেও ভুল বুঝানো হয়েছে, বিষেশ্যের কারণে অনেক বাক্যের কর্তা পরিবর্তীত হয়ে গিয়েছে যা একটি বড় ভুল। অর্থাৎ ''আমি'' থেকে ''তুমি'' বা ''সে'' বা ''তারা'' এমন ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। তবে উসমানের কোরানের সাথে মিলালে অর্থে বিরাট রকমের পরিবর্তন ধরা পরে। সম্পূর্ণ আয়াত বিলোপন, নতুন আয়াত সংযোজন এমন উদাহরণও আছে। এখন তাহলে উসমানের কোরান ঠিক না বর্তমানের কোরান? যেকোন এক ধরনের কোরানে আল্লাহ ওয়াদা অনুযায়ী বিকৃতি ঠেকালেন না কেন? অথচ আমরা জেনে এসেছি সারা দুনিয়ার সকল কোরানের বিন্দু বিসর্গ পার্থক্যও নেই! এর উত্তর হচ্ছে আল্লাহ মুসহাফ (কাগজের কোরান) এর সংরক্ষণের দায়িত্বই নেননি, আল্লাহ দায়িত্ব নিয়েছেন সেই কোরানের যা তিনি নবীর অন্তরে উদ্ভাসিত করেছিলেন।
আমি আগের মন্তব্যে ৩ টি উদাহরণ দিয়েছিলাম।
৩:১৪৬ আয়াতটি নিয়ে নিজেই পরীক্ষা করে দেখা যাক। গুগল ট্রান্সলেটে আরবী কপি পেস্ট করলাম। পরে ওয়ারশ কোরান থেকে নির্দিষ্ট শব্দটি নিজে টাইপ করে দিলাম। ফলাফল নিজেই দেখুন। চাইলে http://translate.google.com/?hl=en গুগল ট্রান্সলেট লিঙ্কে গিয়ে নিজেই কপি পেস্ট করে দেখতে পারেন।
وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُواْ لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَمَا ضَعُفُواْ وَمَا اسْتَكَانُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ
And how many a prophet fought with him Rbion what many are languishing suffered for the sake of God and Acetkanwa weakened, and Allah loves the patient
وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قُتِلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُواْ لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَمَا ضَعُفُواْ وَمَا اسْتَكَانُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ
And how many a prophet kill him Rbion what many are languishing suffered for the sake of God and Acetkanwa weakened, and Allah loves the patient
এবার বলুন, ''লড়াই করেছিল'' আর ''খুন হয়েছিল'' কি এক কথা? এই কথাগুলো এ জন্যই বলে রাখলাম যাতে আপনি অন্য কোন স্কলারের রিফিউট নিয়ে হাজির হবার আগে একটু ভেবে নেন। স্কলাররা সারা জীবন যেমন ভুল বুঝিয়ে এসেছেন, এখন সব প্রকাশ হয়ে যাবার পরে সেই চেষ্টাই আবারো করে যাবেন এটা স্বাভাবিক। তাই যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করবেন।
এখন সাধারণ কেউ প্রশ্ন করতে পারে তাহলে আমরা কোরান বিশ্বাস করব কিভাবে? উত্তর হচ্ছে কোরান এর বানীই কোরান বিশ্বাস করতে সাহায্য করবে। এর মহান বানী উপেক্ষা করা কোন সৎ বিবেকের পক্ষে সম্ভব না। অন্তর দিয়ে কোরান পড়লেই বুঝতে পারবেন কোন আয়াতগুলো আল্লাহ্র বানী।
৪৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
নজিবুল্লাহ বলেছেন: কোরআন এর অবিকৃতির উপরে আমি ভালমত জেনে তারপরে আলোচনায় আসব। তার আগে আপনি বলুন মজবাসার কোরআনের যেই অর্থ করছে তা ঠিক কিনা ? যেমন মজবাসার এর কিছু অনুবাদ দেখুন :
আল্লাহ অর্থ স্রষ্টা।
নবী অর্থ নতুন।
সালাত অর্থ ভাল কাজ।
মালাইকা অর্থ উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ।
আপনিকি এই অনুবাদের সাতে একমত ?
৪৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ইসলাম অর্থ শান্তি।
মুসলিম অর্থ নম্র/ভদ্র।
?
৪৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোরআন এর উপর আপনি ভালো করে জেনে তারপর আলোচনা করবেন। ভালো, কিন্তু না জেনেই সমানে বাঘ মেরে চলেছেন। আচ্ছা নাজিবুল্লাহ ভাই আপনি সত্যি'ই কি কোরআন সংকলোনের ইতিহাস জানেন না? এটা জানা খুব জরুরী না হলেও জেনে থাকলে ভালো। অন্তত যারা বলে এই কোরআন আল্লাহর কাছে থেকে যে ভাবে নাজিল হয়েছে হুবুহু এই রকম'ই আছে। যাক সে কথা, এই আলোচনায় ম.জ বাসারকে টানছেন কেন। প্রসংঙ্গ অন্যদিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য? মেহেদী পরাগ চমৎকার ভাবে আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়েছে; এর পরেও যদি না বোঝেন তবে আপনাকে আর কেউ বোঝাতে পাবে না। আপনি কি আপনার সবকটি নাম বলেছেন মেহেদী পরাগকে । আপনার একটি নাম নাজিবুললাহ্ তররপর শুভ জাহিদ ও আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম। যাহোক কেবল হাদীস চর্চাকরে গোঁ ধরে বসে থেকেন না। কোরআন জানার চেষ্টা করুন। মেহেদী পরাগ খুব সুন্দর উপমা দিয়ে বলেছে।; আমি তার সাথে একটু যোগকরি।
নবীজি (সাঃ) ইবনে মাসুদকে সম্মান করেছেন কোরআনের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসাবে। আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, চার ব্যক্তির নিকট থেকে তোমরা কোরআনের পাঠ গ্রহণ করঃ (১) ইবনে মাসউদ (২) আবু হুযাইফার মুক্ত গোলাম সালিম (৩) উবাই (ইবনে কা’ব ও (৪) মুয়ায ইবনে জাবাল।
{সহীহ্ আল-বোখারী, ৩৫২৮( জামে সাহীহ্ আল-বোখারী অনুবাদ মাওলানা মোবারক করীম জওহর, খান ব্রাদার্স আন্ড কোম্পানী, ৯ বাংলাবাজার ১১০০;ঢাকা ২০০৮, পৃষ্ঠা ৬৪৩}
কোরআন সম্পর্কে ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর প্রতিক্রিয়াঃ হজরত ওসমানের এই ঘোষনা যখন কুফাতে শোনা গেলো যে, এদের সব কোরআন পুড়িয়ে দিয়ে শুধুমাত্র যায়েদ ইবনে সাবেতের মুসহাফ এখন থেকে ব্যবহার করতে হয়। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ এর বিরোধিতা করলেন। এই হুকুম শুনে তিনি কুফা শহরে এই ভাবে খুৎবা দিলঃ কোরআনের পাঠে লোকেরা ছলনার দোষে পড়েছে। আমি এর পাঠ বেশী পছন্দ করি {মুহাম্মাদের}, যার পাঠ আমি যায়েদ বিন সাবেতের পাঠ থেকে বেশী ভালোবাসি। আল্লাহ্র কসম! যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আমি আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ)-এর মূখ থেকে সত্তরেরও বেশী সূরা শিখেছি। যখন যায়েদ ইবনে সাবেত যুবক ছিলেন। এর মাত্র দুইটি কেশপাল চুল ছিলো। এবং যুবকদের সাথে তখন খেলা করতেন। (ইবন সা’দ, কিতাবুল তাবাকাত আল-কবির, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৪)
তিরমীযী লেখেনঃ
যুহরী (রাঃ) বলেনঃ ইবায়দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উতবা বলেছেন যে, হজরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) যায়েদ ইবনে ছাবিতের এ তৈরী কপি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেনঃ “হে মুসলিম সম্প্রদায়!” কোরআনের মুসহাফ লিপিবদ্ধ করার কাজে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে আর এর দায়ীত্ব বহন করেছে এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ্র শপথ আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন সে ছিলো এক কাফিরের ঔরসে। (এই কথা বলে তিনি যায়েদ ইবনে ছাবিতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন “হে ইরাকবাসী! তোমাদের কাছে যে মুসহাফগুলো রয়েছে সেগুলো লুকিয়ে রাখো। (জামিউত তিরমিযী, সোলেমানিয়া বুক হাউস, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৮৫১)
ইবনে আবু দাউদের কিতাবুল মাসাহিফ গ্রন্থে আছে যে ইবনে মাসউদ বলতেনঃ আমি সরাসরি আল্লাহ্র রাসুল(সাঃ) থেকে সত্তর সূরা পেয়েছি যখন; যায়েদ বিন সাবেত তখনও একজন বাচ্চা মানুষ ছিলো। এখন আমি কি ত্যাগ করব যেটা আমি আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) থেকে সরাসরি পেয়েছি? (ইবন আবি দাউদ, কিতাবুল মাসাহিফ, পৃষ্ঠা ১৫)
ইবনে মাসউদের কোরআন হজরত ওসমান (রাঃ) জোর করে কেড়ে নিলো এবং ইবনে মাসউদকে মসজিদের জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়ার হুকুম দিলেন। তাতে ইবনে মাসউদের পাজর ভেঙ্গে গেল।
ইবনে মাসুদের কোরআনের বৈশিষ্ট্য
ইবনে আবু দাউদের কিতাবুল মাসাহিফ অনুযায়ী, ইবন মাসউদের মুসহাফের মধ্যে সূরা ফাতেহা, আল- ফালাক এবং আন-নাস ছিলো না (এই তথ্যও ইমাম আহমাদ তাবারানি এবং ইবন হিব্বানের মুসনাদে রয়েছে)। ইবনে মাসউদ এবং যায়েদ ইবন সাবেতদের মুসহাফের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আবি দাউদের কিতাবুল মাসাহিফে ১৯ পৃষ্ঠার পার্থক্যের কথা লেখা আছে। এর সঙ্গেও সূরার ক্রমের পার্থক্যও ছিলো। অপর দিকে উপরিউক্ত উবাই ইবনে কা’ব-এর কোরআনের মধ্যে তিনি বাড়তি দুটি সূরা যোগ করলেন-সূরা আল-হাফদ এবং সূরা আল-খাল। সূরা দুটি নিম্নে দেওয়া হলো।
আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানের তথ্য অনুযায়ী, আলী ইবনে আবি তালিবের কোরআনে আল-খাফ্দ নামে বাড়তি একটি সূরা ছিলো, যেটা বর্তমান কোরআন গুলিতে নেই। আবার কিছু কিছু শি’য়া আলেম দাবী করেন যে হজরত ওসমান কোরআন থেকে দুটি সূরা বাদ দিয়েছেন, সূরা ওয়িলায়াহ্ এবং নূরাইন।
হজরত ওসমানের পান্ডলিপির অস্তিত্ব
বর্তমান যুগে বিদ্যমান কোরআনের জন্য সবচেয়ে প্রচীন পান্ডুলিপি কি। সাধারণ ধারণার বিপরীতে, মুসলিম-অমুসলিম পন্ডিতরা উভয় স্বীকার করেন যে ওসমানের সব কপি হারিয়ে গেছে। জনগণের ধারণায়, ইস্তামবুলে অবস্থিত তপকাপি পান্ডুলিপি এবং তাসখন্দে অবস্থিত সামারকন্দ পান্ডুলিপি উভয়ই হজরত ওসমানের তৈরী-করা পান্ডুলিপি। কিন্তু ক্যালিওগ্রাফিক (অর্থাৎ হাতের লেকার বিশ্লেষণ) এবং বৈজ্ঞানিক কর্বান-ডেটিং পদ্দতির পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে যে সেগুলো হজরত ওসমানের অনেক পরে লেখা, কারন যে কপি হাতের লেখা সেগুলোতে ব্যবহার করা হয়, সেটা হজরতে ওসমানের সময়কালে শুরু হয়নি। একটি ইসলামি ওয়েবসাইট এইভাবে লিখেছেনঃ
সমারকন্দ এবং তপকাপি পান্ডুলিপিগুলো অনেক পুরাতন কিন্তু সেগুলো হজরত ওসমানের কপি নয়।
এই ইবনে মাসউদ সূরা ফাতেহা, সূরা আল-ফালাক এবং সূরা আন-নাস কোরআনের অংশ হিসাবে তিনি গ্রহণ করেননি। অপর দিকে, উপরিউক্ত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ)-এর মুসহাফে দু’টি বাড়তি সূরা ছিলো। সূরা আল-হাফদ্ এবং সূরা আল-খাল।
হজরত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ)-এর মুসহাফের সূরা আল-হাফদ্ এবং সূরা আল-খাল (বর্তমান কোরআনে নাই)
আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানের কথা অনুযায়ী, আলী ইবনে আবি তালিবের কোরআনের মধ্যে “আল-হাফদ্” নামক একটি বাড়তি সূরা ছিলো, যেটা আজকাল কোরআনে নেই। আবার বিভিন্ন শি’য়া উলেমাদের কথা অনুযায়ী, হজরত উসমান কোরআন শরীফ থেকে “সূরা উলায়াহ্” এবং “সূরা নূরাইন” নামক দু’টি সূরা বাদ দিয়েছে।
{ইমাম আহমাদ,বাজ্জার, তাবারানি, ইবন মারদুয়াহ্, আবু ইয়া’লা. আব্দুল্লাহ্ বিন আহমাদ বিন হানবাল, হুমায়দি, আবু নু’আইম, ইবন কিব্বান এবং অন্যান্য বিষেশজ্ঞরা বিভিন্ন সনদে এর কথা উল্লেখ করেছেন। সুয়ুতি, আর-ইত্কান ফী উলুম আল- কোরআন, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৫৩, ১৮৬}
হজরত এইজন্য ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে ‘ওমর (মৃঃ ৬৯২) বলেছেন, “কেউ না বলুক, ‘আমি পুরো কোরআন মিখেছি! তা কিভাবে সম্ভব যেহেতু তার অনেককাংশই হারিয়ে গেছে? তিনি বরং বলুক, যা বাকি রয়েছে তাই শিখেছি। (জালাল উদ্দি সুয়ূতি, আল-ইত্কান ফী উলুম আল- কোরআন, লাহোর; ইদারাহ্ ইসলামিয়াত, ১৯৮২, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫২৪)
এই আব্দুল্লাহ্ ইবন ‘ওমর, শুধু খলিফা হজরত ওসমানের সন্তানই নন বরং তিনি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর আপন দুলা-ভাই ছিলেন। এবং একজন বিখ্যাত সাহাবী হিসেবে রাসুলের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছেন।
মুল কথা হলো হাতেল লিখা কিতাব যখন কপি (নকল) করা হতো, তখন মাঝে মাঝে একটি আয়াত ভুল করে বাদ দিলে পরে তা আবার প্রান্তে লিখে রাখা হতো। কোরআনের ক্ষেত্রেও এইরকম ভুল কপি করার উদাহরণ আছে। প্রাচীন সামারকান্দ (তথাকথিত ‘ওসমানের’) মুসহাপের মধ্যে এর একটি উদাহরণ দেখা যায়, যেখানে আগে যা প্রান্তে লেখা ছিলো, তা পরে কোরআনের মূল লেখানর মধ্যে দেওয়া হয়েছিলো। (নিচের ছবিতে দেখুন)
কোরআন শরীফে সূরা আন-আম ১৪৬ আয়াতঃ সামারখন্দ কোরআন পান্ডলিপিতে সূরা আন-আম ১৪৬ আয়াতঃ
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্ব-কোষের’ ১ম খন্ডে বিভিন্ন গ্রন্থের বরাতে লেখা আছে ১. -রাসুল (সাঃ) তার জীবদ্দশাতেই আল্লাহর আদেশে কোরআনের সমুদয় আয়াতের বিন্যাস-শৃংখল নিরূপিত করে দিয়েছিলেন এবং স্বয়ং রাসুল (সাঃ) ও বহু সাহাবী এইভাবে সম্পূর্ণ কোরান মুখস্থ করেছিলেন-। [ সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, ১ম খ. ৩য় মুদ্রণ পৃ:
৭০,৩৩৬; ই. ফা.]
আজকাল কোরআনের সাতটি প্রচলিত 'হরফ' বা কেরআত আছে। এগুলোর মদ্যে শুধু উচ্চারণের পার্থক্য নয় বরং বচনে, ক্রিয়াপদের কালে, শব্দের ক্রমে, এমনকি কিছু কিছু জায়গায় ভিন্ন শব্দও দেখা যায়। কিন্তু হজরত ওসমান (রাঃ) এর সংকলনের আগে, বিভিন্ন কোরআনের মধ্যে ভিন্নপাঠ ছিলো। আব্দুর রহমান দুই লিখেছেন, যে কোরআনের প্রমিত সংস্করণের চাহিদা এবং রাজনৈতিক অনুমোদন হওয়ার কারণে নতুন সংস্করণটা ক্রমে ক্রমে আগের ভিন্নপাঠগুলো দূর করেছে। যেমন ধরুন, সূরা বাকারা দ্বিতীয় আয়াত লেখা আছে এই ভাবে।
নাজিবুললাহ্ কোরআন সম্পর্কে এই রকম অনেক রেফারেন্স আপনাকে দেওয়া যায় কিন্তু আপনিতো আবার হাদীস ছাড়া কোন কিছু বিশ্বাস করেন না।
৪৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাই নাজিবুল্লাহ,
আপনি ম জ বাসার এর কথা জানতে চেয়েছেন। আজ আপনাকে আমি আমার নিজের কিছু কথা বলি।সামু ব্লগে আমি একাউন্ট খুলেছিলাম ম জ বাসার এর কথার জবাব দিতে। তার কথাগুলো আমার কাছে পাগলের প্রলাপ বলে মনে হয়েছিল, এখন যেমন আপনারও তেমন মনে হয়। ম জ বাসারের সব কথা আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই। তবে তার কিছু কথা আপনার চিন্তা খুলতে সাহায্য করবে। বাপ দাদার আমল থেকে পালিত ধর্ম, জন্মকাল থেকে লালিত বিশ্বাস ম জ বাসারের এক কথায় সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে দেয়াটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
আমি আপনাকে আহবান করব সৎ ভাবে চিন্তা করার জন্য। নাস্তিক বা খ্রীষ্টানরা কোরান বিকৃত হয়েছে দাবী করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে ইসলাম সত্যি ধর্ম নয়। এটা তাদের অপচেষ্টা। আসলে কেয়ামত পর্যন্ত কোরান অবিকৃত থাকবে এমন কথা কিন্তু কোরানে লিখা নাই, বরং আমাদের ভুল বুঝানো হয়েছে। তাই ''কোরান অবিকৃত এই রকম বিশ্বাস না থাকলে আপনার ইমান থাকবেনা বা আপনি মুসলিম না বা ইসলাম সত্য ধর্ম নয়'' এই কথাটা সম্পূর্ণ ভুল বা কোরান বহির্ভূত। কোরানের বহু আয়াতই এর সত্যতার প্রমাণ দেয়। আপনি যদি আল্লাহ,ফেরেশতা,পরকাল, ঐশী কিতাব, নবী-রাসূল বিশ্বাস করেন আর সৎ কাজ করেন তাহলে আপনি যে ধর্মের মানুষই হোন কোরানে বর্ণিত আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী আপনি মুক্তি পাবেন।
কোরানের একটি আয়াত যেখানে আল্লাহ বলেছেন যে আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন, তাদের বুঝালেও তারা বুঝবে না, এই আয়াতটি আগে আমি মনে করতাম ইহুদী, খ্রীষ্টান, কাফেরদের জন্য প্রযোজ্য। পরে বুঝেছি এটা বর্তমান মুসলিম সহ আমার নিজের জন্যেও প্রযোজ্য। আগে ইসলাম সম্পর্কে বহু ভুল ধারণা নিয়ে বেঁচে ছিলাম, ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু শুনলেও বিশ্বাস করতাম না। আমার মনে প্রশ্ন জাগত একজন সৎকর্মশীল খ্রীষ্টান কেন আজীবন দোজখে জ্বলবে? একজন মূর্খ হতদরিদ্র সৎ দিনমজুর যে কোরান শিখার বা বুঝার সুযোগ পায়নি সে কেন সারা জীবন দোজখে জ্বলবে? এটা কি অবিচার নয়? আল্লাহ তো অবিচার করতে পারেননা। শরীয়ত বলে ইহুদী খ্রীষ্টানরা কাফের। আপনি কি জানেন যে খ্রীষ্টানদের অনেকেই জিশু কে গড মানেনা, এক ইশ্বরে বিশ্বাস করে, পরকাল,রাসূল,কিতাব বিশ্বাস করে, সৎ কাজ করে? সে সকল ইহুদী বা খ্রীষ্টান কিকরে করানের বক্তব্যের বিপরীতে কাফের হয় তাহলে?
আপনি যদি হাদীস মানতে চান তাহলে মানুন, তবে খেয়াল রাখবেন যে অধিকাংশ হাদীসই আপনাকে কোরানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করবে, সেগুলো অবশ্যই পরিত্যাগ করবেন। কিন্তু আফসোস, আপনারা হাদীসকেও আল্লাহর ওহী বলেন। ইসলামিক স্কলাররা পর্যন্ত এই কথা বলার সাহস পায় নাই। আমি নিজেও হাদীস পড়ি এবং মানি। তবে সেটা আপনাদের মত নয়। আমি বাজে হাদীস দূরে ছূড়ে ফেলি।
কোরানে বলেছে পশু পাখিরাও সালাত আদায় করে। সালাত মানে সৎ কাজ ম জ বাসারের এই কথাটা ঠিক। সমগ্র কোরান জুড়ে অসংখ্য বার আল্লাহ সৎ কাজ করার আদেশ করেছেন। এটাই কোরানের মূল সুর। তবে সেই সাথে নামাজও পড়তে হবে। এতীম, মিসকিনের হক পালন করাও সৎ কাজ। আপনি একটু কষ্ট করে কোরানের সূরা মাউন পড়ে দেখুন, সেখানে বলা আছে যে লোক এতীম,মিসকিন কে খাবার না দিয়ে বা তাদের হক পালন না করে নামাজ পড়ে তার নামাজ কবুল হবেনা। তার মানে সৎ কাজ না করলে নামাজ পড়া অর্থহীন। কিন্তু হাদীস আপনাকে এই ক্ষেত্রে ভুল বুঝাবে। হাদীস বলবে সবার আগে নামাজ, তার পর ভাল কাজ করলে অনেক ভাল, আর খারাপ কাজ করলে শাস্তি হবে তবে ক্ষমা চাইলে আর অসুবিধা নাই, কিন্তু নামাজ অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পড়তে হবে। অথচ দেখুন কোরান বলেছিল সৎ কাজ না করলে নামাজের মূল্য নাই। শরীয়ত ইসলামকে আচারসর্বস্ব ধর্ম বানিয়ে ছেড়েছে। এখন সৎ কাজ করার চেয়ে নামাজ পড়াই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। নামাজীরা এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকই পড়ে কিন্তু পরের কারণে নিজের স্বার্থ কখনো বিকিয়ে দেয়না। এটা মোটেই কোরানের আদর্শ নয়।
আজ আমরা দেখি, নামাজ পড়ে বলে অনেকেই অসৎ কাজ করে, ঘুষ খায়, আর ভাবে একটু অসৎ কাজ করে পরে মাফ চেয়ে নেব, নামাজ তো পড়ছিই। আমার নিজের হাত থেকে দাঁড়ি টুপি, জোব্বা পরিহিত এক লোক জোড়ে বিসমিল্লাহ বলে ঘুষের টাকা নিয়ে গুনে দেখেছে। আমি টাকা না দিয়ে সার্টিফিকেট তুলতে পারছিলামনা। তার আসরের নামাজের জন্য আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে ঘুষের টাকা দিয়েছিলাম। অনেকেই দেখি হজ্ব করে ফেলব এই কথা বলে চরম অসৎ কাজ থেকেও বিরত হয়না। শরীয়ত যে বলে হজ্ব করলে সে লোক সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হয়ে যায়, কিন্তু বাস্তবে অনেক দেখেছি হজ্ব করে আরও বেশী পাপী হয়েছে লোকজন। আপনি যদি হজ্ব করার জন্য টাকা জমিয়ে দেখেন যে পাশেই মঙ্গায় না খেয়ে হাজার শিশু মারা যাচ্ছে, তাহলে কিন্তু কোরানের আদর্শ অনুযায়ী হজ্ব না করে আপনার দায়িত্ব হবে সেই শিশুদের জন্য খাদ্য কিনে তাঁদের বাঁচানো। কিন্তু শরীয়ত আপনাকে সেই উপদেশ দেবেনা।
ভাই নাজিবুল্লাহ, তাই আহবান করি, কোরান পড়ুন, কোরান বর্ণিত সৎ কাজ গুলো আগে করা শুরু করুন, তারপর নামাজ, রোজা, হজ্ব করতে থাকুন। সেটাই ইসলাম। নিজ স্বার্থ বলি দিয়ে পরের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করা মানেই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা বা ইসলাম পালন করা। এটাই শান্তি বয়ে আনবে। ইসলাম>আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন>শান্তি। ম জ বাসারের সব কথা যেমন ঠিক না। তেমনি আপনাদের সব কথাও ঠিকনা। শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন আল্লাহ যেন অন্তরের সীল গালা খুলে দিয়ে সত্য পথ দেখায়। আমীন।
৪৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার কথার সাথে নাস্তিকদের কথার কোনই পার্থক্য দেখিনা। যদি পূবর্বর্তী ধর্মগুলো বাতিল না হত, যদি সেগুলো বিকৃত না হত তাহলে মুহাম্মদ (স কে পাঠানো হল কেন ? কোরআনকে পাঠানো হল কেন ? আর এই শেষ ধর্ম আসার পর আল্লাহর কিতাব কোরআন ও শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (স
কত অসংখ্য-অগনিত জায়গায় বললেন যে, যে সকল পূববর্তী আহলে কিতাবীরা আমার উপর প্রেরিত কোরআনকে ও আমার নবুয়্যতকে মেনে না নিবে সে মুসলিম হতে পারবেনা, পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবীগণকে পাঠানো হয়েছিল তাদের নিদিষ্ট জাতি ও দেশের প্রতি কিন্তু আল্লাহ পাক যেমন রব্বুল আলামীন তেমন এই শেষ নবী তথা রহমাতুল লিল আলামীনের নবুয়্যাত ও ধর্ম ও আলামীন তথা সমস্ত বিশ্ব জগতসমূহের জন্য সকল জাতির জন্য সকল দেশের জন্য কেয়ামত অবধী চুড়ান্ত নির্বাচিত ধর্ম। এ কথাগুলো কি আল্লাহ পাক কুরআনে আর নবী করিম (স
হাদীসে শুধু এক দুই জায়গাতেই বলেছেন নাকি অসংখ্য অগনিত স্থানে এ অমোঘ বিধান বজ্র হুংকার নিনাদে বিঘোষিত করেছেন ??????????????????
এত অসংখ্যবার এটা বুঝিয়ে বলার পরও কেউ যদি বলে যে, কোরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে, আগের ধর্মগ্রন্থগুলো অবিকৃত আছে, নবীর বানীগুলো মান যাবে না। তাহলে তাকে আমি পাগল ছাড়া আর কিছুই বলতে পারি না।
আপনাদের সমস্ত দলীলাদিল্লাহতে কোরআন বিকৃতির মূল খল নায়ক বানিয়েছেন হযরত ওসমান গনী (রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুকে) যার জীবনের প্রতিটি রক্তকনা বিসর্জন দিয়েছিলেন ইসলামের খেদমতে। যার কাছে স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (স তার দু কন্যাকে তুলে দিয়ে যাকে যিন্নুরাইন বা দুই নূরের অধিকারী উপাধী দিয়ে যার ইমান ও আমলের ব্যাপারে অসংখ্য হাদীসে অতুলনীয় ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । তাকে আপনারা বানিয়েছেন কোরআন বিকৃতকারী ইসলাম ধ্বংসের এক জঘন্য মুনফিক। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক-আ্ল্লাহ আমাদের এই কুফরী চিন্তা থেকে পানাহ দিক ও এ সকল প্রকাশ্য শয়তানী কুচক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন)।
এ সকল কিছু যে শিয়াদের কুচক্রান্ত তা যে কেহই বুঝতে পারে। যেই সাহাবায় কেরাম গণের উপর সন্তুষ্টের সার্টিফিকেট স্বয়ং রাব্বুল ইযযাত প্রদান করেছেন যাদের প্র্রশংসা বিঘোষিত হয়ে স্বয়ং তাওরাত ও ইঞ্জিলেও এবং কোরআনের একাধিক আয়াতে কারীমায়। শত্রুদের মোকাবেলায় যাদের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে আজ আমরা লাভ করতে পেরেছি আল্লাহপাকের সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত ইসলাম ধর্ম তাদরেকে আপনারা বানাচ্ছেন কোরআন বিকৃতকারী ইসলামের চির দুশমন !!!!!!!!!! হযরত আলী (রা ১৭ হাজার আয়াতের কোরআন লিখেছিলেন আর আবু বকর ও ওসমান (রা
মূল কোরআন নষ্ট করে ফেলেছেন এ সকল অভিযোগই করতে পারে একমাত্র মুলহীদ শিয়ারা ও তাদের দোসর হাদীস অস্বিকার কারী কোরআন ও নবীর দুশমন ভন্ড নবী রাশাদ খলীফার উম্মতরাই।
মনে রাখবেন শিয়া, খারীজি সহ যত দলই তৎকালে উদ্ভব হয়েছে সব গুলোই একমাত্র রাজনৈতিক কারনে। ধর্মীয় কারণে নয়। কে খেলাফতের প্রকৃত হকদ্বার এ রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেই শিয়াদের উদ্ভব। কিন্তু পরবর্তীতে তারা এ রাজনৈতিক বিরোধকেই ধর্মীয় রঙ্গে রঙ্গিন করেছে। আর তারা তখন থেকে আজ অবধী আলী ব্যাতিত অপর তিন খলীফাকে আলীর হক নষ্ট কারী হিসেবেই চিহিৃত করে আসছে। তাই তারা তখন নিজেদের ইচ্ছে মত হাদীস ও ইতিহাস রচনা করেছে অপর তিন খলীফার বিরুদ্ধে। আর সে সকল ইতিহাসই লিপিবদ্ধ করেছে ইবনে জারির তাবারী। তার ইতিহসে গ্রন্থে যার কঠোর সমালোচনা করেছেন পরবর্তী ঐতিহাসিক গণ। আসল কথা হল তাবারী ও সূয়ূতী দুই জনই তাফসীর লিখেছেন কিন্তু তারা তাফসীর লিখেছেন আমাদের কাছে বর্তমানে যেই কোরআন রয়েছে সে কোরআনেরই। তাহলে বলতে হয় তারা যেই ইতিহাস লিখেছেন তারা নিজেরাই সেই ইতিহাস বিশ্বাস করতেন না। তা না হলে তারা এই বিকৃত কোরআনের তাফসীর লিখতেন না। অথবা অন্তত পক্ষে তাদের তাফসীরে উল্যেখ করে দিতেন কোন কোন আয়াত বিকৃত হয়েছে। কিন্তু যেহেতু তারা তাদের তাফসীরে শিয়াদের বানানো ঐ সকল পাতিহাসের উল্যেক করেন নি, তাই তাদের তাফসীর ই গ্রহনযোগ্য তাদের ইতিহাস গ্রহনযোগ্য নয়। যেহেতু তারা নিজেরাই তাতে বিশ্বাসী ছিলেননা।
আমি স্পষ্ট ভাবে বলব যে, আবু বকর ও ওসমানের সম্মানে পবিত্র কোরআনের আয়াত ও নবীর অসংখ্য হাদীস রয়েছে যারা তাদেরকে কোরআনের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী বলবে তারা কষ্মিনকালেও মুসলিম নয়! মুসলিম নয়!! মুসলিম নয়!!!
কোরআনের যেতটুকু অসামাঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা বেশী হলে কোন শব্দের অসামাঞ্জস্যতা কিন্তু আপনি যে দাবী করছেন সম্পূর্ণ বাক্য পরিবর্তন হয়েছে তা অর্থের পূর্ণ বিকৃতি ঘটেছে তা মিথ্যা দাবী। আপনি এ ব্যাপারে কোন দলীল উপস্থাপন করতে পারেন নি। কোরআনে ইন্না নাহনু নায্যালনায্যিকরা ওয়া ইন্না লাহু লাহাফিযুন দ্বারা এ কোরআন কেই বুঝানো হয়েছে এতে দেড় হাজার বছরের ইসলাম ঐকমত্য। এখানে যিকির দ্বারা কোরআনকেই বুঝানো হয়েছে যা আরো আয়াত দ্বারা প্রমানিত। এটাই দেড় হাজার বছরের ইসলামের সকল স্কলার্সদের সম্মিলিত অভিমত। একমাত্র ভন্ড নবী রাশাদ খলীফা ব্যাতিত।
কথা বললে অনেক কথাই বলতে হয়। আপনি বলেছেন সালাত অর্থ সৎকর্ম। এটা স্পষ্ট কোরআন বিকৃতি। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কোরআন+আল্লাহর নবী+একলক্ষ্য চব্বিশ হাজার সাহাবা+সকল তাবেয়ী সহ দেড় হাজার বছরের সকল ইসলামীক স্কলার্স সালাত এর অর্থ করেছে নামাজ আর আপনারা করছেন সৎকর্ম এর পরও আপনাদের সাথে আর কোন কথা থাকতে পারে না। আপনারা যে ইহুদী-খৃষ্টানদের প্রকাশ্য দালাল তা এই সালাত শব্দের বিকৃত অর্থই প্রমাণ করতে যথেষ্ট। আর কিছু লাগেনা। আল্লাহর নবীর চাইতে আপনারা কোরআন বেশী বুঝেন!
ইসলাম এ সালাত অর্থ নামাজ , আপনারা করেন সৎকর্ম!
ইসলামে মালাএকাহ অর্থ ফেরেশতা আপনারা করেন উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ!
ইসলামে ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পন আপনারা করেন শান্তি!
ইসলামে মুসলিম অর্থ আত্মসমর্পনকারী আপনারা করেন নম্র/ভদ্র।
ইসলামে নবী অর্থ সংবাদ প্রদান কারী আর আপনারা করেন নবী অর্থ হল নতুন। যেহেতু রাশাদ খলীফা আর মজবাসারের নানাকেও আপনাদের নবী বানাতে হবে, তা না হলে তো আপনাদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে না।
তারপরেও কি বলতে হবে আপনারা কোরআন বিকৃতকারী নন ?
আপনারা ইহুদী খৃষ্টানদের প্রকাশ্য দালাল নন ?
হাদীস অস্বিকার করে আবার হাদীস দিয়ে দলীল দেন কোন যুক্তিতে ?
আর সৎকাজ-অসৎকাজের ব্যাপারে যা কিছু বললেন তাতে স্পষ্ট যে আপনার কোরআন-হাদীসের উপরে কোন জ্ঞানই নেই। ইসলামে হক দুই প্রকার। হক্কুল ইবাদ ও হক্কুল্লাহ। হক্কুল্লাহ তথা নামায রোযা আদায় না করলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দিতে পারেন কিন্তু হক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক নষ্ট করলে আল্লাহ পাক তাকে মাফ করবেন না, সেই বান্দা যদি তাকে মাফ না করে এটা কোরআন হাদীসের একজন প্রাথমিক শিক্ষার্থীও জানে কিন্তু জানেন না আপনারা। জানবেন ই বা কিভাবে আপনারাতো ইহুদী-খৃষ্টানদের প্রকাশ্য দালালীতে নেমেছেন। এ জনেই বলেন কোরআন বিকৃত হেয়েছে কিন্তু পূর্ববর্তী কিতাবগুলো বিকৃত হয়নি। এর পরও কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয়না যে, আপনারা কাদের প্রকাশ্য দালাল। ইহুদী-খৃষ্টনারা যতই সৎ কাজ করুক না কেন তারা কখনোই নাজাত পাবেনা যদিনা তারা আল্লাহ পাকের সর্বশেষ বানী কোরআন ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স এর উপর ইমান ও কর্মের মাধ্যমে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন না করে থাকে এটাই আল্লাহ ও নবীর চুড়ান্ত ফয়সালা। তা না হলে কোরআন পাঠানোরও আল্লাহ পাকের কোন দরকার ছিলনা আর মুহাম্মদ (স
কেও পাঠানোর কোন প্রয়োজন ছিল না।
ভাই আল্লহকে ভয় করুন, জাহান্নামকে ভয় করুন। দুই দিনেই এ দুনিয়ার ধোকায় পড়ে কিছু পয়সা কমানোর ধান্দায় আল্লাহর সাথে এ ভাবে গাদ্যারী করালে মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের কোন স্তরে তা আশা করি আপনার জানা আছে। কোরআন বিকৃত হয়েছে, হাদীস নবীর বানী নয়, এগুলো নবীর নামে চালানো মিথ্যা বাণী, সাহাবাগণ মুনাফিক ছিলেন, তারা নবীর নামে মিথ্যা হাদীস রচনা করেছেন এই সকল কোরআন হাদীস বিরুধী ইসলাম ধংষের গাজাখোরী তত্ব যেই ভন্ড নবী রাশাদ খলীফা আবিষ্কার করেছে আর আপনারা এখোনো যার পা চাটতেছেন তার জীবনি দেখুন।
এক নজরে রাশেদ খলিফা
জন্ম : নভেম্বর ১৯, ১৯৩৫ (মিশর)
মৃত্যু : জানুয়ারি ৩১, ১৯৯০ (বয়স ৫৪)
জাতীয়তা : মিশরীয়-আমেরিকান
পেশা : জৈব-রসায়নবিদ
ধর্মীয় বিশ্বাস : ইসলাম, United Submitters International (USI)
জীবন-বৃত্তান্ত : রাশেদ খলিফা (Rashad Khalifa) কায়রোর এইন শামস্ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে উচ্চশিা লাভের জন্য ১৯৫৯ সালে আমেরিকাতে আসেন এবং ১৯৬৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ. ডি ডিগ্রি অর্জন করেন জৈব-রসায়নবিদ্যায়। ১৯৭৫-৭৬ সালে তিনি প্রায় বছর খানেক লিবিয়া সরকারের বিজ্ঞান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রসায়নবিদ হিসেবে জাতিসংঘের অধীনে ভিয়েনাতে শিল্প উন্নয়ন সংস্থায় যোগ দেন এবং সেখান থেকে ১৯৮০ সালের দিকে সিনিয়র রসায়নবিদ হিসেবে আমেরিকার এরিজোনা রাজ্যের সরকারি রসায়ন বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় বিশটির মত বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ রচনা করেছেন, নিজে কোরান অনুবাদ করেছেন ইংরেজিতে এবং ধর্মবিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত গ্রন্থের নাম : ‘The Computer Speaks: God’s Message to the World’ রাশেদ খলিফার লেখা গ্রন্থ, আর্টিকেল বা গবেষণা সম্পর্কিত আলোচনা পাওয়া যায় এই ঠিকানায় : International Community of Submitters (ICS), P.O. Box 43476, Tucson, AZ 85733 এবং ওয়েব সাইট http://www.submission.org।
রাশেদ খলিফা ইসলাম ধর্মে ‘United Submitters International’ নামে নতুন একটি ধর্মীয় গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন; তাঁর অনুসারীরা নিজেদের ‘মুসলমান’ হিসেবে পরিচয় দেবার পরিবর্তে ‘Submitter’ এবং ইসলাম শব্দের পরিবর্তে ‘Submission’ শব্দ ব্যবহার করেন। রাশেদ খলিফা ও তাঁর অনুসারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস : (১) আল-কোরান’ই একমাত্র গ্রহণীয় ধর্মগ্রন্থ। তবে এটিও বিকৃতির হাত থেকে রা পায়নি। (২) নবী মুহাম্মদের সুন্নাহ পুরোপুরি বাতিল; ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রথা হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। (৩) যে হাদিসগুলো সুন্নাহর সাথে বিরোধপূর্ণ সেগুলোও বাতিল। (৪) রাশেদ খলিফা নবী মুহাম্মদের পরে ইসলাম ধর্মের একজন রসুল। (৫) তাঁরা নবী ইব্রাহিমের রীতি অনুসরণ করে প্রার্থনা করে থাকেন (দ্রষ্টব্য : http://www.submission.org/salat-how.html); যদিও তেমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য উৎস নেই যে নবী ইব্রাহিম কিভাবে প্রার্থনা করতেন।
রাশেদ নিজের ইংরেজি অনুবাদকৃত কোরানের ‘সুরা ফুরকান’, ‘সুরা ইয়াসিন’, ‘সুরা শুরা’ এবং ‘সুরা তাক্ভির’-এর আয়াতে নিজের নাম ঢুকিয়ে তাঁর বক্তব্যের ‘ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা’ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। কোরানের আয়াতগুলি হচ্ছে: We have sent you (Rashad) as a deliverer of good news, as well as a warner. [25:56] (দ্রষ্টব্য: http://www.submission.org/suras/sura25.html); Most assuredly, you (Rashad) are one of the messengers. [36:3] (দ্রষ্টব্য: http://www.submission.org/suras/sura36.html); Are they saying, "He (Rashad) has fabricated lies about GOD!"? If GOD willed, He could have sealed your mind, but GOD erases the falsehood and affirms the truth with His words. He is fully aware of the innermost thoughts. [42:24] (দ্রষ্টব্য: http://www.submission.org/suras/sura42.html); Ges Your friend (Rashad) is not crazy. [81:22] (দ্রষ্টব্য: http://www.submission.org/suras/sura81.html)। অথচ ইউসুফ আলী, পিকথাল, শাকির-এর মত বিশ্বখ্যাত ইংরেজি অনুবাদক ও আমাদের দেশের বাংলা অনুবাদকের কেউই এই আয়াতগুলিতে ‘Rashad’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। (দ্রষ্টব্য: Click This Link)। তিনি দাবি করেন : “ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ ‘শেষ নবী’ (last Prophet) হলেও শেষ রসুল (last messenger) ছিলেন না। কোরানের ৩৩ নং সুরা আহজাবের ৪০ নম্বর আয়াতে মুহাম্মদকে (সাঃ) শেষ নবী বলা হলেও শেষ রসুল বলা হয়নি। আল্লাহ ফেরেশতা এবং মানুষের মধ্যে থেকে রসুল মনোনীত করেন। (সুরা ২২, হজ, আয়াত ৭৫)।” এরপর নিজেকে ‘রসুল’ বলে দাবি করে কোরানের সুরা আল-ই-ইমরান-এর ৮১ নম্বর আয়াত উপস্থাপন করেন, যেখানে আল্লাহ ভবিষ্যতে একজন রসুল পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। আর সুরা তওবার শেষের দুটি আয়াতকে (১২৮ ও ১২৯) ‘মিথ্যে দাবি’ করে তাঁর নিজের অনুবাদের কোরান থেকে বাদ দিয়ে দেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, রাশেদ খলিফার এসব দাবি-বক্তব্য সাধারণ মুসলমান থেকে শুরু করে কট্টরপন্থীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭৬ সালের প্রথম দিকে রাশেদ প্রথাগত মুসলমানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছান।
১৯৬৯ সালের দিকে রাশেদ খলিফা কোরান শরিফের শব্দমালা, অক্ষর-বর্ণ ইত্যাদি বিশ্লেষণের জন্য একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে ঘোষণা করেন : তিনি কোরানের ৭৪ নং সুরা মুদ্দাচ্ছির-এর ৩০ নং আয়াতে উল্লেখিত ‘১৯’ থেকে এমন একটি গাণিতিক থিওরি আবিষ্কার করেছেন যা কোরানকে একদম ‘অলৌকিক’ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে; যেমন তাঁর দাবি হচ্ছে : ‘কোরানের সুরা সংখ্যা ১১৪, যা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য, কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬৩৪৬, যা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য। কোরানে উল্লেখ করা ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ শব্দের মধ্যে ১৯টি অর রয়েছে। কোরানের প্রথম ওহি ৯৬ নং সুরা আলাক-এ ১৯টি শব্দ রয়েছে, ঐ সুরা আলাকটি শেষের দিক থেকে গণনা করলে ১৯তম অবস্থানে রয়েছে; এবং সর্বশেষ ওহি (১১০) সুরা নাসর-এর প্রথম আয়াতে ১৯টি বর্ণ রয়েছে।’ ইত্যাদি। (দ্রষ্টব্য: http://www.submission.org/quran/app1.html)।
রাশেদ খলিফার এই দাবি প্রথম দিকে পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী মহলে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ‘Scientific American’-তে ‘কোরানের কৌশলী পাঠ’ বলে প্রথম মন্তব্য প্রদান করেন আমেরিকার বিখ্যাত গণিতবিদ-বিজ্ঞানী মার্টিন গার্ডনার (Martin Gardner)। (দ্রষ্টব্য: Martin Gardner, The numerology of Dr. Rashad Khalifa-Scientist, Skeptical Inquirer, Sept-Oct, 1997)। মার্টিন গার্ডনার পরে আরও বিস্তারিতভাবে রাশেদ খলিফা এবং তাঁর কাজ সম্পর্কে মূল্যায়ণ করেন। তিন বছর পর ১৯৮৩ সালের এপ্রিল মাসে কানাডার ‘Council on the Study of Religion’ তাদের ‘Quarterly Review’ পত্রিকায় রাশেদ খলিফা আবিষ্কার সম্পর্কে মন্তব্য করে : “ an authenticating proof of the divine origin of the Quran.”
১৯৭৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রথম মিশরের ÔAkher Sa'aÕ ম্যাগাজিনে রাশেদ খলিফার গবেষণার খবর প্রথম প্রকাশ করে। একই পত্রিকায় নভেম্বর ২৮, ১৯৭৩ এবং ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫ সালে ঐ গবেষণার আপডেট প্রকাশ করা হয়। এরপর সারা বিশ্বেই বিভিন্ন ভাষার পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বইয়ে রাশেদ খলিফা এবং তাঁর আবিষ্কারটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।
১৯৭৯ সালের অক্টোবর মাসে ‘ইসলাম ধর্মের রসুল’ দাবিকারী রাশেদ খলিফার বিরুদ্ধে ১৬ বছরের এক মেয়েকে ‘যৌন নির্যাতন-নিপীড়ণ-উত্যক্ত’ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারিণীর দাবি, জাতিসংঘের একটি গবেষণা প্রজেক্টে কাজ করার সময় রাশেদ খলিফা তাঁর উপর ‘যৌন নির্যাতন-নিপীড়ণ’ চালিয়েছেন।
১৯৮৪ সালে রাশেদ খলিফা আমেরিকার ÔNational Academy of ScienceÕ-এর বিরুদ্ধে ৩৮ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন ÔScience and CreationismÕ নামক বিবর্তনবাদের ওপর গ্রন্থ প্রকাশের জন্য, যে গªন্থে বলা হয়েছে, ÒEvolution is a Godless process.” পরবর্তীতে অবশ্য রাশেদ খলিফার এ মামলা কোর্টে টেকেনি।
১৯৯০ সালের ৩১ জানুয়ারি আমেরিকার এরিজোনা রাজ্যের টুকসন মসজিদের ভিতর ৫৪ বছর বয়সী রাশেদ খলিফার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর সারা শরীরে ছুরি দিয়ে ২৯ বার জখম করা হয়েছিল এবং চেহারা এতই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে মুখমণ্ডল দেখে চেনাই যাচ্ছিল না। রাশেদের হত্যাকারী হিসেবে আমেরিকার ‘জামাতুল ফুরকা’ নামের একটি মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:১৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: অবাক কান্ড! পৃথিবীতে আজ অবধী আমরা যা জেনেছি তা কেবল বিভিন্ন কিতাব পড়ে। এই সব কিতাব যুগে যুগে মানুষের মাঝে গল্প আকারে ছিলো। আপনি ঐশী কিতাব বাদে আপনি যা পড়ছেন সেগুলি কারোনা কারো লিখা্। তার রেফারেন্স সূত্র মানুষ। এই একই মানুষ কারো কাছে মিথথুক আবার কারো কাছে বিশ্বাসী। মানুষের দ্বারা লিখা কিতাব বিশ্বাস করবেন কিসের ভিত্তিতে? নাজিবুললাহ্ আমি বা আমরা খুব জ্ঞানী এই কথা আপনাকে কখনো বলি নাই। আমি জানি আপনি এই লাইনের প্রধান শিক্ষক; আমি একজন কৌতুহলী ছাত্র। আমার জানার জন্য'ই জানতেছি, তর্কের জন্য নয়, অহংকার করার জন্য নয়। আমি আপনাকে আক্রমণ করে কথা বলতে পারি না। কিন্ত আপনি শুরু থেকে আমাকে গালা-গালি গন্ড,মূখ্য,ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ান, মুমরেক কাফের কত কথা'ইতো বললেন। আপনর জ্ঞানের পরিধী দেখে বোঝা যায় আপনি কোন স্তরের মানুষ; কতটা আপনার স্ট্যাডি।
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ আপনার কথার সাথে নাস্তিকদের কথার কোনই পার্থক্য দেখিনা। যদি পূবর্বর্তী ধর্মগুলো বাতিল না হত, যদি সেগুলো বিকৃত না হত তাহলে মুহাম্মদ (সঃ) কে পাঠানো হল কেন ? কোরআনকে পাঠানো হল কেন ? আর এই শেষ ধর্ম আসার পর আল্লাহর কিতাব কোরআন ও শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সঃ) কত অসংখ্য-অগনিত জায়গায় বললেন যে, যে সকল পূববর্তী আহলে কিতাবীরা আমার উপর প্রেরিত কোরআনকে ও আমার নবুয়্যতকে মেনে না নিবে সে মুসলিম হতে পারবেনা
১। নাজিবুরলাহ্ পূর্ববর্তী ধর্মগুলি বাতিল এটা কোরআনের কোন জায়গায় আছে? সেই ধর্মের মানুষদের আল্লাহ্ কোরআনে কি বলেছে আসুন দেখি।
সূরা বাকারা ২:৬২ আয়াতঃ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحاً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
আপনি এই আয়াত পড়ে হয়তো বলবেন যে, এই আয়াতে আল্লাহ মুসলমান হতে বলেছে। আসলে আল্লাহ্ আমাদের সকলকে বলেছে তোমরা মুসলমান নাহয়ে মৃত্যু বরণ করনা। আসলে মুসলমান শব্দটা এসেছে ইব্রাহীম (আঃ) এর কাছে থেকে। কোরআন দেখুন।
সূরা আন আম এর ১৬৩ আয়াতে ইব্রাহীম (আঃ) বলছেঃ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
অর্থঃ তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম মুসলমান।
সূরা মায়েদা ৫:৬৯ আয়াতঃ نَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
উপরের এই আয়াত দুটি স্পষ্ট বলে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি তাদের ভয় নাই তারা দুঃখিতও হবে না। এই জাইগায় ইসলামের কথা বলেনি; বলেছে যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান। তাহলে সূরা বাকারা ও মায়েদা এই দুটি সূরা ভালো করে অনুদাবন করলে বুঝবেন বিষয়টি। এখন আপনার এই আয়াত বিশ্বাস নাও হতে পারে। যারা বিশ্বাস স্থাপন করে বা করে না তাদের কি বলছে কোরআন চলুন দেখি।
সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
আল্লাহ্ এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছে তার পরেও আপনি কেবল কোরআন ও মুহাম্মাদের উপর ঈমান আনতে বলছেন, কেবল তাকে বিশ্বাস করতে বলছেন। কিন্তু কোরআন তার উল্টা বলছে। এই সব কিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আপনি বলবেন এই গুলি বিশ্বাস করি কিন্তু মানি না। না মানলে সেটা কে বিশ্বাস করা হয়? যাকে বিশ্বাস করবেন তার প্রতি আস্থা থাকতে হবে। চলুন আবারো কোরআনে প্রবেশ করি।
সূরা ইমরান ৩:৮৪ আয়াতঃ قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।
সূরা বাকারা ২:১৩৬ আয়াতঃ قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
আল্লাহ্ বলছেঃ তাঁদের কারো মধ্যে আমরা যেন পার্থক্য না করি। কি নাজিবুললাহ্ আপনি পার্থক্য করছেন না?
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবীগণকে পাঠানো হয়েছিল তাদের নিদিষ্ট জাতি ও দেশের প্রতি কিন্তু আল্লাহ পাক যেমন রব্বুল আলামীন তেমন এই শেষ নবী তথা রহমাতুল লিল আলামীনের নবুয়্যাত ও ধর্ম ও আলামীন তথা সমস্ত বিশ্ব জগতসমূহের জন্য সকল জাতির জন্য সকল দেশের জন্য কেয়ামত অবধী চুড়ান্ত নির্বাচিত ধর্ম।
২। পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবীগণকে পাঠানো হয়েছিল তাদের নিদিষ্ট জাতি ও দেশের প্রতি। নাজিবুললাহ্ উপরের সূরা বাকারা ও ইমরান এর আয়াত পড়েকি তায় মনে হয়? যে,তারা নিদিষ্ট জাতি ও দেশের জন্য ছিলো। কোরআন মোটেও তা বলে না। বরং বলেঃ বলো আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। কিন্তু পার্থক্য করছে নাজিবুললাদের মত মানুষ রা।
আপনি বলেছেন মুহাম্মাদ (সাঃ) শেষ নবী ও বিশ্ব জগত সমূহের জন্য সকল জাতির জন্য সকল দেশের জন্য কেয়ামত অবধী চুড়ান্ত। মুহাম্মাদ শেষ নবী কিংবা বিশ্বনবী এই নিয়ে নানা মতবাদ রয়েছে। হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী কিন্তু কোরআন মতে নয়। আপনি তো এই কথা শুনে আমায় এখনি গালি দিতে শুরু করেছেন। একটু থামেন পরে গালি দিয়েন আগে কথা বলে নয়ে।
তর্কটি অতি পুরনো। তবে অবশ্যই মৌলিক। কোরআন ও শরিয়ার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতনৈক্য রয়েছে তবুও প্রকৃত আসল তথ্য উদঘাটনের চেষ্ট কেউ করেননী তানয়, তবে এই তথ্য সন্ধানে কেউ বেশী অগ্রসর হয়নি নানান কারনে। এই প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে গোড়াহ্ মৌলবাদী জ্ঞানহীন আলেম ওলামাদের ভয় করেছে বেশীর ভাগ মানুষ, গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট। এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য কিংবা লেখার জন্য যখন'ই কেউ এগিয়েছে একটু সাহসে ঠিক সেই কারনে অনেকেই লাঞ্চিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। কারো কারো বাড়ী লাইব্রেরী পুড়ানো হয়েছে। অনেকের জীবনের অভিশাপ হয়েছে এসব ধরনের প্রশ্ন করার জন্য। যে যেই ধর্মের হোকনা কেন ধর্ম বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছা হতেই পারে সেইটাকে খর্ব না করে বিষয়টি কে খারাপ অর্থে না দেখে গণতন্ত্রের চর্চায় মৌলিক অর্থে দাড় করিয়ে প্রকৃত সদুত্তর দেয়াই হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মের আলেম ওলামাদের কাজ। অনেক আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, জানিনা কোরআন বাদ দিয়ে তারা এটা কিসের ভিত্তিতে এত জোর দিয়ে বলেন। তবে যারা ধর্মের মূল হোতা, ধারক বাহক তারা দু’ একটি কথা বলে থাকেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হাদীস থেকে। অবশ্য কোরআনের পরেই সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মানুষের লেখা শরীয়া সুন্নাহ্ নামে খ্যাত হাদীস গ্রন্থ গুলি। হাদীস রাইটাররা যে কোন দরবেশ, অলি, গাউসুল আযম কিংবা পীর ছিলেন না, তাদের উপর কোন আল্লাহ্ প্রদত্ত অহি হতনা তা সকলেরী জানা; সেই কারনে হাদীস সংগ্রহে ভুল হতেই পারে; আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়। কোরআন কেবলী অন্য আর রাসুলের মত রাসুল হিসাবে এবং সতর্ককারী হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটু জানার চেষ্টা করি কোরআনের আলোতে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
২৭:৭৫ আয়অতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) বিশ্ব জগত সমূহের জন্য সকল জাতির জন্য সকল দেশের জন্য
আপনি রাসুল (সাঃ) কে সকল দেশের জন্য নবী হিসাবে পাঠিয়েছেন বললেন। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আপনার কাছে। আপনি কি জানেন, সব চেয়ে পৃথিবীতে নবী-রাসুল এসেছে প্যালেস্টাইনে; বনিঈসরাইল জাতীর উপর। প্যালেস্টাইনে এত নবী-রাসুল আসেলো এবং তাদের উপর পূর্ণাঙ্গ ও অনেক ছোট ছোট সহিফা কিতাব এসেছে। কিন্তু আরবে কোরআন আসার পর রাসুল (সাঃ) তার জীবদ্দশায় কোন দিন আরবের বাইরে কি কোরআন প্রচারের জন্য বের হয়েছিলো? কোন দিন শুনেছেন রাসুল (সাঃ) কোরআন প্রচারে প্যালেস্টাইনে গিয়েছে? যদি তাদের জন্যও কোরআন হয় তাহলে রাসুল (সাঃ) কেন জীবিত থাকতে প্যালেস্টাইনে গেলেন না। কেন তাদের কোরআনের দাওয়াত দিলেন না? ইতিহাস বলছে এই কোরআন কোরাইশ বংশের জন্য। সে সময় মক্কা-মদিনা বাসীরা অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো বলেই সেই এলাকায় নবী প্রেরণ করেছে আর নবীদের মতই গোত্র অনুযায়ী। আল্লাহ্ কোরআনে কি বলেছে চলুন দেখি।
সূরা ইউসুফ ১২:২ আয়াতঃ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অর্থঃ আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
আল্লাহ বলছে সে কোরআনকে আরবী বাষায় নাজিল করেছে। কেন? আরবের জন্য, তাদের ভাষা আরবী বলে। কিন্তু পৃথিবীর ন্যাশনাল ভাষা ইংরেজী। সারা পৃথিবীর মূল ভাষা যে ইংরেজী হবে এটা কি আল্লাহ্ জানতেন না? (নাউজুবিল্লা) একন কথা হচ্ছে আরবী ভাষা এলাকার জন্য আরবীতে কোরআন নাজিল হলো, এই কোরআন অন্য দেশের মানুষ সহজে কেন পড়বে, বা পড়তে পারবে? সৌদির মানুষ যেন সহজে পড়তে পারে স্ই জন্য আল্লা্হ কোরআন আরবীতে নাজিল করেছে সেকথা তিনি কোরআনে অনেক বার বলেছে। তাহলেতো আমরা ক্লিয়ার যে আরবের জন্য ইহা আরবীতে নাজিল হয়েছে! সারা পৃথিবীর ভাষাতো আর আরবী নয়। আচ্ছা কোরআন কিবেল চলুন দেখিঃ
সূরা হামীম ৪১:৪৪ আয়াতঃ وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاء وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى أُوْلَئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ
অর্থঃ আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষী!
সূরা শুরা ৪২:৭ আয়াতঃ وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃ এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সূরা আন আম ৬:৯২ আয়াতঃ وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ
অর্থঃ এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে।
নাজিবুললাহ্ শেষের দুটি সূরা দেখুন ক্লিয়ার করেছে। এটা মক্কা-মদিনা ও আশেপাশের মানুষের জন্য। পরিশেষে বলি কোরআনের সূরা মায়েদা ৫:৬৮قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তওরাত, ইঞ্জিল এবং তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পালন না কর পর্যন্ত তোমাদের কোন ভিত্তি নাই;আপনার প্রতি যা অবতীর্ন হয়েছে, তার জন্য তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
আল্লাহ্ মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বলছেঃ আপনার প্রতি যা অবতীর্ন (কোরআন) হয়েছে, তার জন্য তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
দেখুন সত্যি'ই কোরআন আসার পর অনেকের কুফর বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন কুফর বৃদ্ধি পেয়েছে? ইসলামের অনুসারীরা মনে করে কোরআন আসার পর আগের সব বাতিল হয়েগেছে। কিন্ত মায়েদার এই ৬৮ নাম্বার আয়াত তা বলে না। নাজিবুললাহ্ আমি বা আমরা কেই রামেদ খলিফার কথা ভুল করেও বলিনাই। কেন জানি আপনি বার বার তার কথা তুলছেন! আপনি'ই তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাকে নবী রাশেদ খলিফা বলছেন। আমার কথা রাশেদ খলিফা আবার নবী হলো কথন? সেতো আপনাদের মত ভুল প্রাক্টিস করা পার্টি। যাহোক একটা কথা মনে রাখবেন আল্লাহ্ সকল মানুষের প্রতি সমান দৃষ্টিপাত করেন। যদি তা নাই হতো তাহলে দেখুন মূর্তী পূজারক ভারতের সাথে আল্লাহ্ ওয়ালা পাকিস্থানের ক্রিকেট খেলা হয়। এই খেলায় অনেকবার আল্লাহর দল মূর্তীপূজারকদের কাছে হেরেছে। কি হারে নাই? অনেকেই শবেবরাত পালন করেনা, হালুয়া রুটি বিতরন করে না, সেই রাতে আল্লাহকে স্বরণ করে না।, ডাকে না। তবুও তাদের রুজি বন্টন, ভাগ্য বন্টন আল্লাহ বন্ধ করে নাই। বরং সকল সুবিধা সহ যাবতীয় ফ্যাসালিটি আল্লাহ তাদেরকেও দেয়।
ভালো থাকুন কোরআন দিয়ে জীবন গড়ুন। আল্লাহ যেন সকল কে কোরআন বুঝে পড়ান তৌফিক দান করেন---আমেন
৫০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: অযথাই বক বক করে গেলেন। আমি রাশাদ খলিফার অনুসারী এই কথা কোন ফেরেশতা আইসা বলল আপনারে? রাশাদ খলিফারে আমি পাত্থা দেইনা। উসমান (রাঃ) কে অসম্মান করলাম কই? তার প্রাপ্য সম্মান সে পাবেই। আর আমরা কইলেই দোষ, ইবনে মাসূদ যে বুখারীতে কইল উসমান তার কোরান পুরাইয়া দিছে তখন তার দোষ নাই। তখন সে অমুসলিম না। ভন্ড কোথাকার! যাক, আগে কইতেন কোরানের বিন্দু বিসর্গ ফারাক নাই, এখন আর এই ভন্ডামী করতে পারবেননা। সকল হাদীস অস্বীকার করিনা, যেগুলো যুক্তি/প্রমানের সাথে যায় সেগুলোই বিশ্বাস করি। সকল বিজ্ঞানও বিশ্বাস করিনা, তাই বলে কি বিজ্ঞানের কিছুই বিশ্বাস করুম না? বেক্কল নি কোনো? আপনে তো বুখারীর সকল হাদীস বিশ্বাস করেন তো বুখারীর হাদীসেই যে কয় কোরান বিকৃত হইছিল? ভন্ডামীর জায়গা পাননা? পরিষ্কার প্রমাণ দিলাম কোরান বিকৃতির আর উনি আইছে রাশাদ খলিফার লিঙ্ক লইয়া। আপনের কাছ থেইকা আমার মুসলিমের সার্টিফিকেট নেয়া লাগবনা। উপরে আল্লাহই আছেন। আপনি ইয়া নাফসি করতে থাকেন। মরলেই কাইত, বুঝবেন অন্তরের সীলমোহর কারে কয়।
সালাত শব্দের অর্থ কি শুধুই নামাজ? নামজ যেমন সালাত সৎ কাজও সালাত। পশু পাখি কেমনে সালাত করে একটু বইলা যাইয়েন। তারা কিভাবে রুকু সেজদা দেয়? জিকির যদি কোরান হইতে পারে আবার স্মরণ হইতে পারে, আয়াত যদি নিদর্শন হইতে পারে আবার আল্লাহর বানী হইতে পারে, যাকাত যদি পবিত্রতা হইতে পারে আবার আপনেগো ২.৫% চেরিটি হইতে পারে তয় সালাত মানে নামাজের পাশাপাশি সৎ কাজ হইতে পারবনা কেন? কোরান বুঝেন? এত ফাল পারেন কেন? বেশী ফাল না পাইরা হাদীস গুলো কোরান বিকৃতি সম্পর্কে মিথ্যা কইছে এইটা প্রমাণ করেন। আর তাসখন্দের কোরানের ভিন্ন অর্থের আয়াত, নতুন আয়াত এর ব্যাখ্যা করেন। আর ৭ এর অতিরক্ত ১০ টা সহিহ কোরান কেমনে আইল ব্যাখ্যা করেন। হাদীসে কইল এক্সেন্ট এর কথা কিন্তু কোরানে ভিন্ন সমার্থক শব্দ আইল কেমনে ব্যাখ্যা করেন। কোন হাদীসে সমার্থক শব্দের কথা কইছে ব্যাখ্যা করেন। বুখারীর যেই হাদীসটা দিসিলাম, সেইখানে ইবনে মাসূদের অনুসারীরা যেইভাবে কোরান এর বাক্যটি তেলাওয়াত করতেন সেই পদ্ধটিটা কেন ১০ টি অথেন্টিক কোরানেও নাই ব্যাখ্যা করেন, এইটা বিকৃত হইল কেমনে ব্যাখ্যা করেন।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সালাম,
মেহেদী পরাগ ভাই; নাজিবুললাহ্ আর পারে না। তায় তার জ্ঞান জাহেরী করতে রাশেদ খলিফাকে টেনে এনেছে; কিন্তু কেন সেটা বুঝতে পারলাম না। নাজিবুললাহ্ মূল পশ্নের উত্তর কেবলী পাশ কাটিয়ে যায় এটা তার চরিত্র। রাশেদ খলিফা নিয়ে সে যতটা বলেছে এখন দেখছি সেই যেন তার নবী। নাজিবুললাহ্ রাশেদ খলিফা বাদ দিয়ে কোরআন সংকলনের ইতিহাস বলুন । আপনি আমাদের তথ্য গুলোকে ভুল প্রমান করতে চায়লে তার সঠিক রেফারেন্স দেন। তা নাকরে কেবল প্যাচকি খেলে যাচ্ছেন। মেহেদী পরাগ ভাই আপনার ৪৮ নাম্বার কমেন্টটা খুব সুন্দর হয়েছে, গঠন মূলক।
৫১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
২. নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
৩. আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করিলাম ও তোমাদের জন্য আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমদের জন্য তোমাদের ধর্ম মনোনিত করিলাম (সূরা মায়িদা - আয়াত : ৩)
৪. আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)
৫. আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)
৬. নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
৭. তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
৮. এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
৯. হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। (সুরা বাবারা - আয়াত : ২০৮)
১০. তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দবি করিতেছ না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উজদেশ ব্যাতিত কিছুই নয়। (সূরা ইউসুফ - আয়াত : ১০৪)
১১. কত মহান তিনি যিনি তাহার বান্দাদের প্রতি ফুরকান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাহাতে সে বিশ্বজতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে। (সূরা ফুরকান - আয়াত : ১)
১২. কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা কালাম - আয়াত : ৫২)
১৩. ইহাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা তাকভীর - আয়াত : ২৭)
সর্বশেষ ধর্ম ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও এ ইসলামকে পরিপূণৃরুপে পালনকারী ও এ ইসলাম তথা কোরআন-হাদীসকে পরিপূর্ণ রুপে অবিকৃতরুপে হেফাজতকারী সাহাবায়কেরামগণের সার্টিফিকেট, মুসলিম হতে হলে যাদেরকে অনুসরণ করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
১. মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)
২. সেদিন আল্লাহ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মুমিন সাহাবাদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদরে সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা তাহরীম - আয়াত : ৮)
৩. স্মরণ কর, তোমরা ছিলে স্বল্পসংখ্যক; পৃথিবীতে তোমরা দূর্বলরুপে পরিগণিত হইতে। তোমরা আশংকা করিতে যে, লোকেরা তোমাদেরকে অকস্মাৎ ধরিয়া লইয়া যাইবে। অতপর তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দেন, স্বীয় সাহায্য দ্বারা তোমাদেরকে শক্তিশালী করেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও। (সূরা আনফাল - আয়াত : ২৬)
৪. যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে (মক্কা থেকে মদিনায়)ও আল্লাহর পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সহায্য করিয়াছে(মদিনার আনসার সাহাবীগণ) তাহারাই প্রকৃত মুমিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (সূরা আনফাল, আয়াত : ৭৪)
৫. কিন্তু রাসূল এবং যাহারা তাহার সঙ্গে ঈমান আনিয়াছিল; উহাদের জন্যই কল্যাণ আছে এবং উহারাই সফলকাম। (সূরা তওবা - আয়াত : ৮৮)
৬. তুমি পাইবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ ও তাহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা ইহাদের জ্ঞাতি গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাহরা পক্ষ হইতে রুহ দ্বারা। তিনি তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার তলদেশে নদী প্রবাহিত; সেইখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আল্লাহ তাহাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাহারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, তাহারাই আল্লাহর দল। জানিয়া রাখ আল্লাহর দলই সফলকাম। (সূরা মুজাদালা - আয়াত : ২২)
৭. মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যাহারা প্রথম অগ্রগামী এবং যাহারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাহাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাহাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। এবং তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছেন জান্নাত। যাহার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত। যেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। ইহা মহা সাফল্য। (সূরা তওবা - আয়াত : ১০০)
আল্লাহ যে সকল আয়াতে নবীকে নিজে বাস্তব আমল করে কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানবজাতিকে কোরআন বুঝিয়ে দেবার জন্য যে সকল আয়াত নাযিল করেছেন তা হল :
১. আপনার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাইয়া দেয়ার জন্য (আপনার আমল দ্বারা)যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল। (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৪)।
২. আমিতো আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য (আপনার হাদীস দ্বারা)(সূরা নাহল, আয়াত : ৬৪)
৩. তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাহাতে তোমরা অনুগ্রহ লাভ করিতে পার (সূরা ইমরান , আয়াত : ১৩২)
৪. হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাহাদের যাহারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিলে উহা উপস্থাপণ কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট। ইহাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)
৫. তোমাদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ ও আখিরাতে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাহাদের জন্য তো রাসূলুল্লাহ (স এর মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াত : ২১)
৬. বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। (সূরা ইমরান, আয়াত : ৩২)।
৭. রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৪)
৮. কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মুমিন হইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিাবদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৫)
৯. বলুন, 'হে মানব জাতি ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল, যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ইমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাহার বানীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার (রাসূলের)অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।(সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
১০. বলুন, হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা হাজ্জ, আয়াত : ৪৯)
১১. হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৫)
১২. আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে তাহাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন, যে তাহার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাহাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তাহারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল। (সূরা ইমরান, আয়াত : ১৬৪, সূরা জুমা, আয়াত : ০২)।
১৩. যেমন আমি তোমাদরে মধ্য হইতে তোমাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি, যে আমার আয়াত সমূহ তোমাদরে নিকট তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় আর তোমরা যাহা জানিতে না তাহা শিক্ষা দেয়। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৫১)
১৪. আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন তাহা আল্লাহর, তাহার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, যাহাতে তোমাদের মধ্যে যাহারা বিত্তবান কেবল তাহাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল তোমাদেরকে যাহা দেন তাহা তোমরা গ্রহণ কর এবং যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তাহা হইতে বিরত থাক। (সূরা হাশর, আয়াত : ০৭)
১৫. যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেন প্রথমে একটি আয়াত দিয়ে শুরু করি।
সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ
১. যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
(ক) ইসলাম আরবী শব্দ, এর বাংলাটা তরজমা করুন এবং তারপর পুরো বাংলাটা দেখুন মানেটা কি দাড়ায়। যদি ইসলাম বাদে সব ধর্ম বাতিল হয়, তাহলে কোরআন বাদে সব কিতাবও বাতিল; কি তায় নয় কি?
দেখুন কোরআন কি বলেঃ
সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে হে কিতাবগণ তওরাত, ইঞ্জিল ওযাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই। তোমরা প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবর্তীর্ণ হইয়েছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বর্ধিত করিবে। সুতরাং তুমি কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করিও না।
আল্লাহ সুরা মায়েদার ৬৮ নম্বার আয়াতে বলছে আমরা ( মানুষরা ) কোন পথেই নাই যতক্ষন না তাওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআনের আলো মানুষের মাঝে পৌছালাম। কি এটা আমার কথা নয় এটা কোরআনের কথা। কি রাগ করছেন? আরও আছে নিচে নামেন।
সূরা মায়েদা ৫:৪৬-৪৭ আয়াতঃ
وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ ইঞ্জিলের অনুসারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
উপরের এই আয়াত আল্লাহ স্পষ্ট বললেন ইঞ্জিলের অনুসারীদে উচিত তাদের যে কোন ঘটনা ইঞ্জিল দিয়ে ফায়সালা করতে। নাজিবুললাহ্ এতে কি মনে সব বাতিল? চলুন নিচের গুলি দেখি।
সূরা বাকারা ২:৬২ আয়াতঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحاً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
সূরা কাহফ ১৮:৬৯ আয়াতঃ
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
এইযে এই আয়াত গুলোতে ইহুদী, ছাবেয়ী, নাসারা ও খ্রীষ্টান এর কথা বলেছে, তাতে আল্লাহ কিবলেছে? এদর বাতিল করেছে? এই আয়াতে কি কখনো বলেছে ইহুদী, ছাবেয়ী, নাসারা ও খ্রীষ্টান বাতিল এখন কেবল ইসলাম রইলো!
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
২. নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
(খ) এই আয়াতে আপনি আপনার মন গড়া তরজমা করেছেন। যেমন ব্র্যাকেডে আপনি ইহুদী, খৃষ্টান লাগিয়েছেন; আবার প্রকৃত জ্ঞান বলতে আপনি কোরআন কে বুঝিয়েছেন। নাজিবুললাহ্ প্রকৃত জ্ঞান যদি কোরআন হয় তাহলে এতদিন তওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিল কি প্রকৃত জ্ঞান হিসাবে ছিলো না? আল্লাহর কিতাবের আবার সংস্কার দরকার হয়!
সূরা আল ইমরান ৩:১৯ আয়াতঃ إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ (ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু)
অর্থঃ আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম ইসলাম।
ইসলা-মু কথাটা আরবী শব্দ। এই শব্দের মানে বাংলা কি হবে? জানেন কি? নিশ্চয় ইসলা-মু মানে ইসলাম নয়? কেন আপনারা নিজের স্বার্থে ভুল তরজমা করছেন। একটি শব্দ ভুল করার জন্য পুরো ঘটনার অর্থ বদলে যায়। আসলে এই আয়াতে আল্লাহ কি বলেছে সেটা আপনি নিজেও জানেন। কিন্তু ওহাবীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মুল অর্থ আপনারা গোপন রাখেন।
উপরের এই আয়াতটির ভুল বাখ্যা করা হয়েছে। একটু দেখুন। ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু এই আয়াতটি আরবী শব্দ। এই আরবী শব্দের সব গুলি বাংলা করা হলো কেবল ইসলা-মু কথাটা আরবী রাখা হলো। কেন? এটা স্ব-ধর্মীয় সার্থ চরিতার্থ করার জন্য। এই আয়াতের যদি সত্যি সবগুলি বাংলা করা হয় তাহলে দাড়ায়
''ইন্নাদ দীনা ইন্দাল্লা-হিল ইসলা-মু'' আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানে শান্তি। তাহলে আল্লাহ্ কি বলছে। আল্লাহ বলছে যে ধর্মে শান্তি আছে সেটাই আমার ধর্ম। আপনি কোরআনে ইহুদি,খ্রীষ্টিয়ান,সাবেয়ী,হাওয়ারী এমন ধর্মের নাম দেখাতে পারবেন কিন্তু ইসলাম যে ধর্মের নাম এটা দেখাতে পাবেন না। আসলে আল্লাহ্ শান্তির কথা কোরআনে যেখানে'ই বলেছে সেখানে'ই তিনি ইসলাম বা ইসলামু কথাটা ব্যবহার করেছে। আমার মুখের কথা আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে; আমি কোরআন পড়ে দেখুন; আল্লাহ যেখানে'ই শান্তির কথা বলেছে সেখানে আরবী কি শব্দ ব্যবহার করছে।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
৩. আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম পূর্ণাঙ্গ করিলাম ও তোমাদের জন্য আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমদের জন্য তোমাদের ধর্ম মনোনিত করিলাম (সূরা মায়িদা - আয়াত : ৩)
(গ) সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াতে আল্লাহ্ বলছেঃ তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। এই কটা কাজ যদি কেউ বর্জন করে তাহলে এই আয়াত অনুযায়ী তার দ্বীন ইসলাম পূর্ণ হয়ে যাবে। কি নাজিবুললাহব ঠিক তায় না?
মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয় এই সব ধরনের মাংস না খেলেই যদি ইসলাম পরিপূর্ণ হয় তাহেলে নামাজ রোজ,হাজ্জ্ব,যাকাত এই গুলি দরকার আছে? আসলে এই আয়াতটি নাজিল হয়েছিলো বিদায় হাজ্জ্ব থেকে ফেরার পথে গাদিরের খুম নামক স্থানে। এর আগেও আল্লাহ রাসুলকে এই অহীটি নাজিল করেছিলো। কিন্তু রাসুল অহিটি বাস্তবায়ন করতে সংকচবোধ করছিলেন। কেন? আলী (রাঃ) ছিলেন রাসুলের জামাই। সেই জামাইকে আল্লাহ খলিফা নির্বাচিত করার কথা বললেন। মাবুদ বললেনঃ তুমি তাড়াতাড়ী তোমার অহী বাস্তবায়ন কর; কারন তোমাকে আমি শ্রীঘ্রই তুলে নিব । রাসুল ভাবলেন এই কথা এখন যদি আমি সকল কে বলি তাহলে তারা আমায় ভাববে আমি পক্ষপাতিত্ব করেছি। রাসুল (সাঃ) নিজের জামাইকে খলিফা নির্বাচিত করার কথা বলতে মানুষকে ভয় করছিলো। তখন আবারো গাদিরের খুম নামক স্থানে আল্লাহ পুনরায় অহী করলেন এবং বললেনঃ
সূরা মায়েদো ৫:৬৭ আয়াতঃ يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللّهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন এই কথা কেন বললেন? যেহেতু রাসুল (সাঃ) মানুষকে ভয় পাচ্ছিলেন তায় আল্লাহ তাকে সাহস দিচ্ছিলেন। অনেক ইসলামী কোরআন গবেষকরা বলেন এই আয়াতে হযরত আলী (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ ছিলো। এই খলিফা নির্বাচিত করার এই আয়োতের শেষে'ই ছিলো মায়েদার ৩ নং আয়াত। কোরআনের শেষ আয়াত এর পর আর কোন আয়াত নাজিল হয় নাই;সেই দিক থেকে শেষ কথা ছিলো আজ তোমাদের দ্বীন উসলামকে আমি পরিপূর্ণ করে দিলাম। কিন্তু আলী (রাঃ) কে ৩ কলিফা কখনো মেনে নিতে পারে নাই। এটা ছিলো হাশেমী ও অহামেীর লড়াইয়ের জের। ৩ খলিফার সাথে আলী (রাঃ)-এর বিরোধ থাকার কারনে তারা এই আয়াতটি নিয়ে ছেড়াফাটা করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
নাজিবুললাহ্ আপনি ৬৭ নাম্বার আয়োত ও ৩ নাম্বার আয়াতটি অবম্যআ পড়বেন। এবং কথগুলি মিলাবেন। আপনিতো জানেন কোরআন সংকলনের সময় আলীর কাছে থাকা পান্ডুলিপি গুলি ৩ খলিফা নেন নাই। কেন নেন নাই এটা জানার চেষ্ট করুন।
আপনার প্রায় আয়াতগুলি একই রকম। তায় আর বিস্তাতির বললাম না।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
৭. তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
(ঘ) আপনি উপরের এই আয়াতে (উম্মতে মুহাম্মদী) কথাটা লাগিয়েছেন। এটা কোরআন এ লিখা নাই। আল্লাহ্ বলছে মানুষকে যে, তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানব জাতীর কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। নাজিবুললাহ পারলে সূরা ইমরানের১১০ নং আয়াতটি পড়ে দেখবেন। আপনি কার লিখা তরজমা পড়েন সেটা কিন্তু দেখবার বিষয়। আর সব চায়তে ভালো হয় আরবীটা নিজে জেনে নেন। তাহলে কোরআনের সঠিক মজেজা বুঝতে পারবেন। বাংলা তরজমা পড়ে বাহাস হয় না।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
৮. এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
(ঙ) সূরা বাকারা ২:১১৩ আয়াতঃ
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।
আল্লাহ্ বলছেঃ এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। আল্লাহ যারা বলতে "আপনারা" বুঝিয়েছেন ঐ খ্রীষ্টিয়ান, ইহুদীদের মত কি আপনিও বলছেন না। যে, তাদের কোন ভিত্তি নাই।
কেবলা ফেরানোর কথা বলছেন এই মূখ ফেরানো নিয়ে কয়েকটা আয়াত আছে কোরআনে আমি কেবল একটি দিলাম; আপনি দেখতে চায়লে আরও দিবো।
সূরা বাকারা ২:১৭৭ আয়াতঃ
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّواْ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَـكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْمَلآئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّآئِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُواْ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاء والضَّرَّاء وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَـئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
অর্থঃ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
ইহুদী হয়ে থেকে যায় বলতে আপনি যা বোঝাতে চাচ্ছেন সেই জ্ঞান আপনার নেই। আপনার কথাতে বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ আগের সকল ধর্ম বাতিল করেছে। আমি আপনাকে এ্রর আগেও এই গুলি উত্তর দিয়েছি কিন্তু আপনি বুঝতে পানের নাই্। আসলে এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, জ্ঞানীদের জন্য, চিন্তাশীলদের জন্য; কোরআন কখনো মগ, গবেটদের জন্য নয়।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
৯. হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। (সুরা বাবারা - আয়াত : ২০৮)
(চ) আল্লাহ পরিপূর্ন ইসলামে প্রবেশ কর বলতে বুঝিয়েছে যে, তোমরা দিকভ্রষ্ট হয়ে এদিক সেদিক নাঘুরে পরিপূর্ণভাবে শান্তিতে প্রবেশ কর।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
১১. কত মহান তিনি যিনি তাহার বান্দাদের প্রতি ফুরকান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাহাতে সে বিশ্বজতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে। (সূরা ফুরকান - আয়াত : ১)
(ছ) আপনি ফুরকান বলতে কেবল কোরআনকে মিন করছেন? আপনিকি জানেন যে আল্লাহ মুসা ও হারুনকেও ফুরকান দান করেছিলেন? চলুন কোরআন দেখি।
সূরা আম্বিয়া ২১:৪৮ আয়াতঃ وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاء وَذِكْرًا لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি অবশ্যই মূসা ও হারুণকে ফুরকান দিয়েছিলাম, যা আলো ও উপদেশ, মুত্তাকীদের জন্যে ।
সূরা বাকারা ২:৫৩ আয়াতঃ
وَإِذْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَالْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থঃ আমি মূসাকে ফুরকান এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার।
নাজিবুললাহ্ এই আয়াত দুটিতে ফুরকান কথাটা আছে, আপনি আরবী ও বাংলা দুটো'ই পড়েন দেখেন ফুরকান কথাটা আছেকি নাই? যে মুত্তাকীদের কথা বলছে সেই সব মুত্তাকী তখন কি কোরআন পড়ে হয়েছে নাকি তওরাত পড়ে? আল্লাহ্ বলছে এই তওরাতে রয়েছে আলো ও উপদেশ, মুত্তাকীদের জন্যে । সত্যি যদি তাতে আলো ও উপদেশ থেকে'ই থাকে তাহলে সেটা পড়লে অসুবিধা কোথায়? নাকি এটা পড়লে তখন মুত্তাকী হওয়া যেত এখন আর যায় না? আপনি বলবেন এই কিতাব ঠিক নাই? কিন্তু মানুষের হাতের লিখা কিতাব হাদীস,এই তওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিলের চেয়ে খাঁটি ও সহীহ্ কি নাজিবুললাহ্ ঠিক বলেছিকি? মটেও এই কথাটা ঠিক নয়, আল্লাহও তার কিতাব কখনো নষ্ট হতে পারে না। আল্লাহ্ সর্ব প্রথম মুসা (আঃ) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ১০ শরীয়ত দিয়েছেন। মুসার শরীয়ত বাতিল করলে আর ধর্মে কিছু থাকে না। ঈশা (আঃ) এসে মুসা (আঃ) এর ১০ শরীয়ত কে বাতিল করে নাই বরং তাকে পূনর্বহাল করলেন। ইঞ্জিলে তাকে ১০ আজ্ঞা বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাহলে মুহাম্মাদ (সাঃ) কি সেই মুসার শরীয়ত বাতিল করলেন? কিহে নাজিবুল্লাহ্ এটা আপনার কাছে আমার প্রশ্ন থাকলো।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ
১২. কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা কালাম - আয়াত : ৫২)
১৩. ইহাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা তাকভীর - আয়াত : ২৭)
(জ) নাজিবুললাহ্ কেবল কোরআন যে, মানুষের উপদেশ বাণী তা নয়। আল্লাহ তওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিলকেও ভলেছে যে, এত রয়ে মানুষের জন্য আলো ও উপদেশ। চলুন দেখি কোরআন কি বলেঃ সূরা মায়েদা ৫:৪৬ আয়াতঃ وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।
সূরা ইমরান ৩:৪ আয়াতঃ مِن قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ الْفُرْقَانَ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِآيَاتِ اللّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَاللّهُ عَزِيزٌ ذُو انتِقَامٍ
অর্থঃ নাযিল করেছেন তাওরত ও ইঞ্জিল, এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ করেছেন মীমাংসা। নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
নাজিবুললাহ্ আমরা কি এই আয়াত গলি অস্বীকার করবো? আল্লাহতো বললেনঃ নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন যেন আমরা তার আয়াতকে শিকার করি--আমেন।
সূরা আহক্বাফ ৪৬:৩০ আয়াতঃ قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنزِلَ مِن بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ
অর্থঃ তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের শ্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।
মুসার এই কিতাবের বাণীর কথা নতুন করে আর বলার দরকার আছে কি? নাকি এর নিগুরুত্ব কোন মজেজা আছে? আল্লাহ বলছেঃ মূসার কিতাব সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে। কেন এই কথাটি কি এখনকার জন্য নয়? এটা কোন সময়ের জন্য? যদি ধরি এই কথাটি পূর্বের মানুষের জন্য; তাহলে ধরে নিতে হবে আগে মূসার কিতাবের তেজ-পাওয়ার ছিলো এখন আর নাই। যদি না থকে তাহলে এই ব্যর্থতা মূসার নাকি আল্লাহর?
আপনি কোরআনের কথা বলছেন এই কোরআন দিয়ে আল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ) কে কাদের সতর্ক করতে বলেছে? চলুন দেখি, কেবল দেখলে'ই হবে না নাজিবুললাহ্ সাহেব এইগুলি বিশ্বাস করতে হবে। চলুন দেখি কোরআন কিবলেঃ
সূরা সেজদাহ ৩২:৩ আয়াতঃ أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أَتَاهُم مِّن نَّذِيرٍ مِّن قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
অর্থঃ তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে সত্য, যাতে আপনি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন, যাদের কাছে আপনার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবতঃ এরা সুপথ প্রাপ্ত হবে।
তাহলে এই কোরআন তাদের জন্য যাদের উপর এর পূর্বে কোন সতর্ক কারী আসেনি। নাজিবুললাহ্ ইহুদী,খ্রীষ্টিয়ান,সাবেয়ী কিংবা নাসারা এদের কাছে কি পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনী? যদি এসে থাকে তাহরে আল্লাহ কেন এই আয়াতে বলছে যে, যাদের কাছে আপনার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি আপনি তাদের সতর্ক করেন। আরও দেখুন কাদের শাসন করতে বলেছেঃ
সূরা শুরা ৪২:৭ আয়াতঃ وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃ এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সূরা আন আম ৬:৯২ আয়াতঃ وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ
অর্থঃ এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে।
নাজিবুললাহ্ আপনাকে আমি এই যাবত যে ভাবে বিষয় গুলি ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়েছি ঠিক সেভাবে আপনি আমার একটিও প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। আপনি অনেক আয়াত কেন দিয়েছেন তা বলেননি কেবল কপি আর পেস্ট করেছেন। কেন বলতে পারেন? আগে নিজেকে জানুন, তারপর জগত কে জানুন, তার পর ধর্ম জানুন ও মানুনন। অযথা আপনি গুলি ছুড়ে আমার কাছে থেকে বিসয় গুলি জানছেন এবং তথ্য গুলির নোট করছেন। আল্লাহ্ সকলকে প্রকৃত জ্ঞান দান করুন---আমেন
৫২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৯
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. ওহে! যাহাদের কিতাব দেয়া হইয়াছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমাদের নিকট যাহা আছে (তাওরাত, ইঞ্জিল) তাহার প্রত্যায়নকারীরুপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি (কোরআন) তাহাতে তোমরা ইমান আন, আমি মুখমন্ডল সমূহ বিকৃত করিয়া অত:পর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেবার পূর্বে অথবা আসহাবুস সাবতকে যেরুপ লানত করিয়াছিলাম সেইরুপ তাহাদেরকে লানত করিবার পূর্বে (নিসা : ৪৭)
২. তাহদের (বনীইসরালদের) অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য আমি তাহাদরেকে লানত করিয়াছি ও তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছি; তাহারা শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে এবং তাহারা যাহা আদিষ্ট হইয়াছিল উহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা উহাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকা করিতে দেখিতে পাইবে, সুতরাং উহাদেরকে ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়নদেরকে ভালবাসেন।
৩. যাহারা বলে, "আমরা খৃষ্টান" তাহাদেরও অঙ্গিকার গ্রহণ করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহারা যাহা আদিষ্ট হইয়াছিল তাহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক রাখিয়াছি; তাহারা যাহা করিত আল্লাহ তাহাদেরকে অচিরেই তাহা জানাইয়া দিবেন।
৪. হে আহলে কিতাবীগণ! আমার রাসূল (মুহাম্মদ স তোমাদের নিকট আসিয়াছে, তোমরা কিতাবের যাহা গোপন করিতে সে উহার অনেক কিছু তোমাদের নিকট প্রকাশ করে এবং অনেক কিছু উপেক্ষা করিয়া থাকে। আল্লাহর নিকট হইতে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব (কোরআন) তোমাদের নিকট আসিয়াছে।
৫. যাহারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায় (সকল ধর্মানুসারী), ইহা দ্বারা (কোরআন দ্বারা ) তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমাতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা মায়িদা, আয়াত নং : ১৩ - ১৬)।
৬. হে কিতাবীগণ (ইহুদী-খৃষ্টান) ! রাসূল (ইসা-মুসা আ প্রেরণে বিরতির পর আমার রাসুল (মুহাম্মদ স
তোমাদের নিকট আসিয়াছে। সে তোমাদের নিকট স্পষ্ট ব্যাখ্যা করিতেছে যাহাতে তোমরা বলিতে না পার, "কোন সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী আমাদের নিকট আসে নাই"। এখন তো তোমাদের নিকট একজন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী (মুহাম্মদ স
আসিয়াছে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (মায়িদা : ১৯)।
৭. যাহাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পন করা হইয়াছিল, কিন্তু তাহারা উহা বহন করে নাই, তাহাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ! কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যাহারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বিকার করে! আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৮. বলুন, "হে ইয়াহুদীরা! যদি তোমরা মনে কর তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্যকোন মানবগোষ্ঠী নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদি হও"।
৯. কিন্তু উহারা উহাদের হস্ত দ্বারা যাহা আগে প্রেরণ করিয়াছে উহার কারনে কখনও মৃত্যু কামনা করিবে না। আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। (জু্মআ : ৫ - ৭)
১০. তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তুমি তাহারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ নাই এবং মুশরিকদের হইতে মুখ ফিরাইয়া লও। (আনআম:১০৬)।
১১. মুশরিকরা অপ্রীতিকর মনে করিলেও অপর সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করিবার জন্য তিনি পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মসহ তাহার রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন (তওবা:৩৩)।
১২. কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছিল তাহারা এবং মুশরিকরা আপন মতে অবিচলিত ছিল যে পর্যন্ত না তাহাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ (কোরআন) আসিল। (বাইয়্যিনাহ:০১)
১৩. নিশ্চয়ই যাহারা ইমান আনিয়াছে (কোরআনে) এবং যাহারা ইহুদী ইইয়াছে, যাহারা সাবেয়ী, খৃষ্টান ও অগ্নিপুজক এবং যাহারা মুশরেক হইয়াছে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাদের মধ্যে ফয়সালা করিয়া দিবেন। আল্লাহতো সমস্ত কিছুর সম্যক প্রত্যক্ষকারী। (হাজ্জ:১৭)
১৪. হে কিতাবীগণ! তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান ? (ইমরান:৭১)
১৫. আর যে ব্যাক্তি তোমাদের ধর্মের অনুসরণ করে তাহাদের ব্যতিত আর কাহাকেও বিশ্বাস করিওনা। (ইমরান:৭৩)।
১৬. বলুন, হে কিতাবীগণ! যে ব্যাক্তি ইমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষন করিয়া ? অথচ তোমরা সাক্ষী, তোমরা যাহা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন (ইমারান: ৯৯)
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ
ওহে! যাহাদের কিতাব দেয়া হইয়াছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমাদের নিকট যাহা আছে (তাওরাত, ইঞ্জিল) তাহার প্রত্যায়নকারীরুপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি (কোরআন) তাহাতে তোমরা ইমান আন, আমি মুখমন্ডল সমূহ বিকৃত করিয়া অত:পর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেবার পূর্বে অথবা আসহাবুস সাবতকে যেরুপ লানত করিয়াছিলাম সেইরুপ তাহাদেরকে লানত করিবার পূর্বে (নিসা : ৪৭)
আপনার কথা মতঃ তাহাতে তোমরা ইমান আন, মানে "কোরআনে" ঈমান আনতে বলেছে। তাদের উচিত ঈমান আনা। আপনি কখনো ঈমান এনছেন তওরাত, জাব্বুর ও ইঞ্জিলের উপর? আপনেকেউতো ঈমান আনতে বলেছে? দেখুন কোরআন কিবলেঃ
সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে হে কিতাবগণ তওরাত, ইঞ্জিল ওযাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই। তোমরা প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবর্তীর্ণ হইয়েছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বর্ধিত করিবে। সুতরাং তুমি কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করিও না।
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে বা করে না তাদের কি বলছে কোরআন চলুন দেখি।
সূরা নিসা ৪:১৩৬ আয়াতঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا
অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
আল্লাহ্ এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছে তার পরেও আপনি কেবল কোরআন ও মুহাম্মাদের উপর ঈমান আনতে বলছেন, কেবল তাকে বিশ্বাস করতে বলছেন। কিন্তু কোরআন তার উল্টা বলছে। এই সব কিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আপনি বলবেন এই গুলি বিশ্বাস করি কিন্তু মানি না। না মানলে সেটা কে বিশ্বাস করা হয়? যাকে বিশ্বাস করবেন তার প্রতি আস্থা থাকতে হবে। চলুন আবারো কোরআনে প্রবেশ করি।
সূরা ইমরান ৩:৮৪ আয়াতঃ قُلْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।
সূরা বাকারা ২:১৩৬ আয়াতঃ قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
আল্লাহ্ বলছেঃ তাঁদের কারো মধ্যে আমরা যেন পার্থক্য না করি। কিন্তু আপনি নাজিবুললাহ্ পার্থক্য করছেন। কেন আপনি পার্থক্য করছেন? কোনআন বলছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসার প্রতি ঈমান আনতে। আর আপনি বলছেন কেবল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ঈমান আনতে; এটাকি আপনার রং কথা নয়? ঈমান আনা মানে ধর্মান্তরিত হওয়া নয়। ঈমান আনা মানে বিশ্বাস আনা, ছুয়ে দেখা, স্বাধ গ্রহণ করে দেখা। আল্লাহ্ নতুন নতুন ধর্ম দিবে আর আপগ্রেড করবে এটা কি আপনার মনে হয়? আল্লাহ্ বলছে সকল সকলের প্রতি বিশ্বাস আনতে। বুঝাতে পালাম?
৫৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: এই কিতাব (কোরআন), ইহা আপনার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে আপনি মানবজাতিকে (সকল ধর্মের) তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে বাহির করিয়া আনিতে পার অন্ধকার হইতে আলোতে, তাহার পথে যিনি পরাক্রমশালী ও প্রশংসার্হ (ইব্রাহীম : ০১)
২. এই রাসূলগণ, যাহাদের মধ্যে কাহাকেও কাহারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছি। তাহাদের মধ্যে এমন কেহ রহিয়াছে যাহার সঙ্গে আল্লাহ কথা বলিয়াছেন (মুসা) আবার কাহাকেও উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করিয়াছেন। (মুহাম্মদ স ( বাকারা : ২৫৩)।
৩. যাহারা আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে আছে তাহাদেরকে তোমার প্রতিপালক ভালভাবে জানেন। আমি তো নবীগণের কাহাকে কাহারো উপর মর্যাদা দিয়াছ, দাউদকে আমি যাবুর দিয়াছি। (বনী ইসরাইল : ৫৫)।
পরে আরো দলীল প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি কিতাবধারীদের বিপথগামী ভাবছেন কেন? ইহুদী,খ্রীষ্টিয়ান,মুসলমান,সাবেয়ী ও নাসারা এদর মধ্যে যারা আল্লাহর তাকুয়া মানে না। তারায় বিপদগামী। সেটাতো ইসলাম ধর্মেও আছে।
আপনি যেমন করে বলছেন তাতেতো আমি আপনাকে আনেক কিছু কোরআন থেকে দেখাতে পারবো। দেখবেন? আচ্ছা চলুন দেখি ঈসা (আঃ) সম্পকে কোরআন কিবলেঃ সূরা আন নিসা ৪:১৫৯ আয়াতঃ وَإِن مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلاَّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا
অর্থঃ আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে।
কি বলছে কোরআন দেখুনঃ আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে।
সূরা ইমরান ৩:৫৫ আয়াতঃ إِذْ قَالَ اللّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো।
আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে বলছে "তোমার উম্মত যারা রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত জয়ী করে রাখবো।"
সূরা মায়েদা ৫:৮২ আয়াতঃ لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ
অর্থঃ আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।
নাজিবুললাহ্ খ্রীষ্টানদের আপনি বলেন এরা বিপথগামী আর কোরআন বলে। এদর মধ্যে আলেম রয়েছে দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। খ্রীষ্টিয়ানরা বাতিল হয়েছে মনে হয়, নাকি বহাল আছে? আরও ভাবুন কোরআন নিয়ে, আল্লাহ আপনার দৃষ্টি খুলে দিবেন।
৫৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:০৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ঐ তোতাপাখির বাচ্চা তোতা পাখি, আপনাকে না বলছিলাম আলিফ, বা, তা, ছা শিইখ্যা আসতে ? আলিফ, বা ও জানেন না, আসছেন কোরআন নিয়া লেদাইতে !!! আমার উপস্থাপিত কয়টা আয়াতের জবাব দিতে পেরেছেন ? আর যে জবাব গুলো দিলেন সব তো আমার আয়াতগুলোকে বিকৃত অর্থ করে। ইসলাম এর অর্থ শান্তি করলেন কেন ? কোন অভিধানে আছে ইসলাম অর্থ শান্তি ?
আর মেহদী ভাই তার এক ল্যাদানিই বার বার ল্যাদাইতাছে ! সালাত শব্দটি এক এক ক্ষেত্রে এক এক অর্থ বহন করে। কোরআনে আল্লাহ এর সাথে যত সালাত শব্দ এসেছে তার অর্থ হল রহমত বর্ষন করা। আপনারদের কথা মত সালতের অর্থ যদি হয় ভাল কাজ তাহলে আল্লাহ নবীর উপর সালাত পড়েন তথা আল্লাহ নবীর সাথে ভাল কাজ করেন এরকম মূর্খতামূলক অর্থ করতে বাধ্য হবেন। আল্লাহর আবার ভাল কাজ আবার খারাপ কাজ কি ? আল্লাহ কি কারো ইবাদাত করেন নাকি ?
তাই সালত শব্দটি কোরআনে কয়েক ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়েছে, আল্লাহর সাথে, ফেরেশতাদের সাথে, পাশু-পাখির সাথে, মানুষের সাথে। এর একেক ক্ষেত্রের অর্থ এক এক রকম। আল্লাহর সালাত আদায়ের অর্থ হল আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতাদের সালাত আদায়ের অর্থ হল ফেরেশতাগণ নবীর উপর রহমত প্রার্থনা করেন, পশু পাখির ক্ষেত্রে এর অর্থ হল তারা আল্লাহর তাসবিহ বর্ণনা করেন আর সালাত শব্দটি মানুষের ক্ষেত্রে সর্বমোট ৮২ বার উল্যেখ করা হয়েছে। এক জায়গায় শুধু এর অর্থ হল নবীর উপর দরুদ পড়। আর বাকী সকল জায়গায় সালাত দ্বারা নামাজকেই বুঝানো হয়েছে। এটাই রাসূল থেকে অদ্যবধী দেড় হাজার বছরের ইসলামিক সকল স্কলার্সদের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত।
আপনারা ইহুদী-খৃষ্টানদের গোলামী করার জন্য কোরআন এর অর্থ কে বিকৃত করেছেন। যা রাসূল বর্ণিত এবং দেড় হাজার বছরের ইসলামিক সকল স্কলার্সদের প্রচারিত কোরআনের অর্থের বিপরীত।
সালাত অর্থ ভাল কাজ নয়। সালাত অর্থ নামাজ। তাছাড়া কোরআনের অনেক আয়াতে রুকু কারীদের সাথে রুকু কর, সেজদা কারীদের সাথে সেজদা কর ইত্যাদি আয়াত দ্বারাও সালত অর্থ যে নামাজ তা ব্যাখ্যা করে দেয়া হয়েছে।
আপনারা ইহুদী-খৃষ্টানদের গোলামী করার জন্য ইসলামের অর্থ করেছেন শান্তি, কিন্তু ইসলামের অর্থ হল আত্মসমর্পন করা। আর শান্তি এর আরবী হল সালাম।
নবী অর্থ করেছেন নতুন। কিন্তু নবী অর্থ সংবাদ বাহক। নতুন আরবী জাদীদ।
মালাইকা অর্থ উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ করেছেন, কিন্তু মালাইকা অর্থ ফেরেশতা।
মুসলিম অর্থ আত্মসমর্পন কারী কিন্তু আপনারা মুসলিম অর্থ করেছেন নম্র/ভদ্র।
এভাবে কোরআনের শব্দগুলোর অর্থকে বিকৃত করে করে ইহুদী-খৃষ্টানদের দালালী করার জন্য মাঠে নেমেছেন।
আল্লাহকে ভয় করুন। কোরআনের উপর ইমান আনুন। রাসূল (স ও সকল ইসলামিক স্কলার্সগণ কোন শব্দের কি অর্থ করেছেন তা আগে জানুন তারপরে ব্লগে ল্যাদাইতে আইসেন। আল্লাহ হাফেজ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমি জানতাম আপনি এবারো আমার কোন প্রশ্নের উত্তর দিবেন না! আসলে সেই জ্ঞান থাকলে না দিবেন? আমি আপনার প্রশ্নগুলি ক, খ, গ, ঘ এই ভাবে উল্লেখ করে উত্তর দিয়েছি। আপনার মায়ের কসম করে বলেনতো আমার কোন প্রশ্ন আপনি কোড করে উত্তর দিয়েছেন? আসলে জালসা আর মিলাদ মাহফিল শুনে ব্লগে লিখা যায় না। কেবল আপনার ভাষায় লেদাইতে পারবেন। সালাত মানে নামাজ এটা কোন দেশের শব্দ? যে দেশ এইগুলি তরজমা করেছে তাদের দেশের শব্দ। এটা সর্ব প্রথম বাংলাদেশের কেউ করলে অবশ্যই সেটা আর নামাজ হত না। মোনটা হত সম্পূর্ণ আলাদা। কোরআনে সালাত এর মানে আল্লাহ্ যা বোঝাতে চেয়েছে সেটা কখনো আলাদা বা ভিন্ন নয়।
নাজিবুললাহ্ আপনি বলেছেনঃ কোরআনের অনেক আয়াতে রুকু কারীদের সাথে রুকু কর, সেজদা কারীদের সাথে সেজদা কর বলেছে, এর অর্থ আপনি জানেন? আপনিতো জানেন এই শব্দের মোতাশাবেহাত। দেখুন কোরআন বলছে পাহাড়-পর্বত,বৃক্ষরাজিও সালাত কায়েম করে। কেমন করে করে? তাদেরতো কখনো মাটিতে সেজদা দিতে দেখা যায় না। তাদের হাত-পা,কোম ও মাথা নাই তা হলে কেমন করে সেজদা করে? চাঁদ সূর্য গ্রহও সেজদা করে, তাদেরো মাথা হাত-পা নাই। যখন ইউসূফ তার বাবাকে বললোঃ إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ
( পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারটি নক্ষত্রকে। সুর্যকে এবং চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার উদ্দেশে সেজদা করতে দেখেছি)।
এইযে কোরআন বলছে এগারটি নক্ষত্র, সুর্য, চন্দ্র ইউসূফকে সেজদা করলো। কেমন করে করলো। কোথায় আকাশ আর কোথায় মাটি কিভাবে সেজদা হলো এটা নিয়ে গভির ভাবে ভাবুন উত্তর মিলবে। তাছাড়া নক্ষত্র, সুর্য, চন্দ্র তাদের তো কোমর ও মাথা নাই সেজদা তারা দিলো কিভাবে? আপনি যদি সত্যি ধার্মিক হোন তাহলে চিনবেন সমাজে কারা রুকুকারী আর সেজদাকারী। কেবল নামাজ পড়লে কিংবা নামাজে মাথায় ঢিপ দিলে তাকে রুকুকারী সেজদাকারী বলে না। আপনি রুকুকারী ওসেজদাকারী প্রকৃত পক্ষে চিনবেন কি করে? আল্লাহ কোরআনে বলছে তোমরা রুকুকারী সেজদাকারীর কাছে যাও। আপনার কি ধারনা যরা নামাজ পড়ে তাদের কাছে যেতে বলেছে? নাকি প্রকৃত পক্ষে রুকুকারী সেজদাকারী আলাদা? একটু ভাবুন---পাবেন ইনশাল্লাহ্
৫৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: সালাত মানে নামাজ এটা কোন দেশের শব্দ? যে দেশ এইগুলি তরজমা করেছে তাদের দেশের শব্দ। এটা সর্ব প্রথম বাংলাদেশের কেউ করলে অবশ্যই সেটা আর নামাজ হত না। মোনটা হত সম্পূর্ণ আলাদা। কোরআনে সালাত এর মানে আল্লাহ্ যা বোঝাতে চেয়েছে সেটা কখনো আলাদা বা ভিন্ন নয়।
ঐ আবালের বাচ্চা আবাল, আল্লাহ-নবী-মানবজাতি-মানবতার প্রকাশ্য চিরদুশমন ইহুদি খৃষ্টানদের পা চাটা গোলাম, ইসলাম বিরুধীদের প্রকাশ্য দালাল পেইড ব্লগার মানবরুপী ইবলিশের বাচ্চা ইবলিশ মজবাসার ওরফে মেহেদী পরাগ ওরফে নুরুলইসলাম খান ওরফে সেলিম জাহাঙ্গীর,
ফার্সী ভাষায় আর ফার্সি ভাষাভাষিরা নামাজ বলতে যা বুঝায় বাংলাভাষীরা কি নামাজ বলতে আরেকটা বুঝে ? আরবীরা মসজিদ, মাদ্রাসা বলতে যা বুঝে বাঙ্গালীরা কি মসজিদ, মাদ্রাসা বলতে অন্য কিছু বুঝে ? ইংরেজরা চেয়ার, টেবিল বলতে যা বুঝে বাংলাভাষীরা কি আরেকটা বুঝে ? চিনারা চা বলতে যা বুঝে বাংলাভাষীরা কি অন্য কিছু বুঝে ? নাকি একই জিনিস বুঝে ? এক ভাষায় কি অন্য ভাষার শব্দ নেই ? তাতে কি অর্থেও পরিবর্তন ঘটে নাকি দুই ভাষা দ্বারা একই জিনিস বুঝায় ? জবাব দে আবালের বাচ্চা আবাল!!!!!!!!!!!!!!!
ইহুদী-খৃষ্টানদের পা চাটা গোলামের দল তোরা শুনে রাখ, তোরা ইসলাম ও কোরআন কে বিকৃত করতে যতই চেষ্টা করিস না কেন তোদের সকল চক্রান্ত ব্যার্থ হতে বাধ্য। এটা আমাদের আল্লাহর ওয়াদা। আল্লাহ বলেন শয়তান চক্রান্ত করে আর আমার কৌশলও মহা কৌশল (আল-কোরআন)
তোদের ইসলাম বিরুধী ষড়যন্ত্র কোনদিনই সফল হবে না, ইনশাআল্লাহ, যতদিন বাংলার বুকে ইমানী স্পন্দন থাকবে। ইসলামী বিশ্বাসের ফল্গুধারা বাংলার বুকে যতদিন প্রবাহিত হবে ততদিন তোদের সকল চক্রান্ত ব্যার্থ হতে বাধ্য।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ বা ভিত্ত্বির দ্বিতীয় স্তম্ভ হল নামায, ইমানের পরেই যার স্থান। আল্লাহর রাসূল যে সম্পর্কে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন "আল-ফারকু বাইনাল মুমিনি ওয়াল কুফরী তরকুছ ছলাত" মুমিন ও কাফেরের মাঝে পার্থক্যই হল নামজ পড়া ও নামাজ ছেড়ে দেয়া। আল্লাহর নবী, সাহাবায় কেরামগণ, তাবেয়ীগণ, তাবে-তাবেয়ীগণ, আইম্মায়ে মুজতাহীদ গণ, মুহাদ্দীসগণ, মুফাস্সীরগণ সহ ইসলামের দেড় হাজার বছরের সকল (১০০%) ৯৯.৯৯ও না ] স্কলার্সগণ এবং এখনকার আরবগণও ছালাত বলতে কি ভাল কাজকে বুঝিয়েছেন নাকি আমারা যাকে নামাজ বলি তাকে বুঝায় ? আলিফ, বা, তা, ছা না পাড়লে সৌদি গিয়ে দুচারদিন কামলা দিয়ে আস মূর্খের দল তাহলেই বুঝবি আরবরা সালাত বলতে কি বুঝায়।
যতসব আবালের দল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: চেয়ার ইংরাজী শব্দ এর বাংলা কেদারা। ঠিক নামাজ ফার্সি শব্দ এর বাংলাটা কি বলেন? বাংলাটা জানলে সেই জানার সাথে ইবাদতে সেই ভাবে হুদয়ঙ্গম হবে।
নাজিবুললাহ্ আপনি কেবল প্রশ্নের উত্তর নাদিয়ে পাশকাটিয়ে যাচ্ছেন কেন? কেবলী বলে চলেছেন "আমরা ইহুদী-খৃষ্টানদের পা চাটা গোলামের দল, আমরা ইসলাম ও কোরআন কে বিকৃত করেছি।"
কোরআন বিকৃতির কথা আপনি প্রায় বলছেন কিন্তু কখনোতো কোরআন থেকে আপনি কোন রেফারেন্স দিচ্ছেন না। আসলে আপনি যে কোরআন জানেন না, সেটা আমার কাছে পরিস্কার। আলিফ,বা,তা, ছা সেখার দিনও আপনার শেষ। আপনার ধর্য্য নাই সেটা শেখার। তার চেয়ে এক কাজ করুন, মিলাদ মাহফিল,ওয়াজ-নশিয়ত শুনেন আর তা থেকে শুনে মানুষের সাথে বাহাস করেন। নাজিবুললাহ্ বাহাস করতে প্রচুর পড়তে হয়; কেবল মাদ্রসা লাইনে হাদীস এজমা কেয়াশ পড়ে বাহাস হয় না। জেনারেল লাইনেও পড়া লাগে। আপনাদেরতো কেবল হীকমা জানলে'ই হয়। আমার সন্দেহ হয়, আপনি হয়তো সেটাও পড়েন বলে মনে হয় না। যদি প্রকৃত ভাবে হাদীস কোরআন পড়তেন তাহলে আপনার মূখ দিয়ে গালি বের হতনা। আল্লাহ্ আপনার মূখের হেফাজত করুক এবং কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়কে প্রশস্ত করুক---আমেন
৫৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: সেলিম ভাই, অনেক হয়েছে আর এর পেছনে সময় নষ্ট করার মানে নাই। নিরেট গাধার মগজও এর চাইতে উন্নত। তর্ক পারেনা পারে গালাগালি করতে। আর না পারলেই বলে ইহুদীদের পেইড এজেন্ট। আসলে সে নিজেই জামাতী জঙ্গী, টাকা পায় ইসলামী ব্যাংক থাইকা মাসিক হারে। দেখেন না সালাত এর ব্যাপারে কি বলল? আবার হেরাই হিকমা রে কয় হাদীস! বড্ড হাস্যকর। সারা জীবনের আলেম উলামা স্কলার কেউই হিকমাহ রে হাদীস কওনের সাহস পায় নাই আর হেরা মগার মতন শব্দার্থ বানায়। আরে আমরা কি সালাতের নামাজ অর্থটা অস্বীকার করি? না, আমরা বলি সালাত মানে নামাজের পাশাপাশি সৎ কাজ। আমরা তো হেরে নামাজ পড়তে না করিনাই। শুধু সূরা মাউন অনুসারে কইছি আগে সৎ কাজ পরে নামাজ। আর হেয় আমারে শরীয়তের বানাইন্না হাক্কুল্লাহ শিখায়। আমি কত্তগুলো ব্যাখ্যা দিতে বললাম আর হেয় দেয় রাশাদ খলিফার লিঙ্ক। ব্যাখ্যা দেওনের খবরও নাই। আপনের সব প্রশ্নে এদিক উদিক দৌড়ায় উত্তর দেয়না। খালি গালিটা দারুন দেয়, এইটা পারিবারিক সূত্রে ভালমত শিখছে বুঝা গেল। জামাতি মাদ্রাসেতেও ভাল গালি প্রাক্টিস হয় শুনছিলাম।
আমাদের কাজ আমরা করেছি। আর দরকার নাই। হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। আল্লাহর সেই মোহর মারার আয়াত বড়ই বাস্তব একটি কথা। আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের মন খোলা রাখতে পারি, সত্য ধরা দিলেই আমরা গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু এরা মোহর মারা। এরা মনে করে সত্য সেই ১৪০০ বছর আগেই শেষ, এর পর আর কোন সত্য নাই। মোহর মারার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ভাল থাকবেন সেলিম ভাই। সালাম।
৫৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: এরা মনে করে সত্য সেই ১৪০০ বছর আগেই শেষ, এর পর আর কোন সত্য নাই।
১৪০০ বছর আগেই নবুওয়্যাতের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পর আল্লাহ আর কোন নবী পাঠাবেন না। যতই ভন্ড নবীদের গোলামী করেন না কেন লাভ নাই, মুসায়লামাতুল কাজ্জাব, তোলায়হা, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, রাশাদ খলীফা, মজবাসারের নানাকে যতই নবী বানাতে চান না কেন আপনাদের এই শয়তানী চক্রান্ত কোনদিনই সফল হবে না। স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে পারেন, চ্যালেঞ্জ দিলাম। ১৪০০ বছর আগেই মানবজাতির সর্বশেষ চুড়ান্ত ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম ইসলামকে পূর্ণতা দয়ো হয়েছে। এ ধর্মই কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির একমাত্র শান্তি ও মুক্তির উপায় । এরপর আর কোন নবীও আসবেনা আর কোন নবুওয়্যাতের দাবীদার ভন্ডদের চামচারাও সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আলিফ, বা, তা, ছা শিখবেন, নাকি মিলাদ মাহফিল আর ওয়াজ-নশিয়ত শুনে বাহাস করবেন? আরও খুব সহজ, রিক্সা ভ্যানে করে নামাজ শিক্ষার বই বিক্রি করে সেই বই পড়ে বাহাস করতে পারেন; তবে খেয়াল রাইখেন আপনার লেংটি খুলে যেতে পারে।
৫৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩২
নজিবুল্লাহ বলেছেন: তোমার ইহুদী-খৃষ্টানদের আমেন দিয়া তোমার বপজানদের সাথে গিয়ে ল্যাদাও বাংলার মুমিন-মুসলিমদের কাছে বিকৃত তাওরাত-ইঞ্জিলের ধ্বজাধারী ইহুদী-খৃষ্টানদের আমেনের কোন দাম তারা কোরআন হাদীসের আমিন এ বিশ্বাসী, বুঝলা খোদদ্রোহিদের গোলাম ?
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্, আমিন আর আমেন এরমধ্যে পার্থক্য কি একটু বলবেন?
১। টেহা, ট্যাকা আর টাকার মধ্যে পার্থক্য কি?
২। আমার, হামার, হ্যার, মুই'য়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
নাজিবুললাহ্,আমেন শব্দ কোথা থেকে এসেছে জানেন? আমেন মানে "তায়হোক" এটা হিব্রু,গ্রীক ও অনামিক শব্দ থেকে এসেছে; বিশেষ করে মুসার শরীয়ত থেকে এসেছে। আপনি ভালো করে তওরাত পড়ে দেখেন এই আমেন শব্দটি সেখানে'ই আছে। এর আরবী ভারশন আমিন। যেমন তওরাত ভারশন আদামকে আদম ও হাওয়াকে হোবা বলা হয়। আপনিতো রেডিমেন্ট তৈরী পেয়েছেন। যাহা'ই আমেন, তাহা'ই আমিন। এর ভিতর আপনি ভুল পেলেন কোথায়? আমিন মানে তায় হোক এবং আমেন মানেও তায়হোক।
৫৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: * টাইপো :
বাংলার মুমিন-মুসলিমদের কাছে বিকৃত তাওরাত-ইঞ্জিলের ধ্বজাধারী ইহুদী-খৃষ্টানদের আমেনের কোন দাম নাই।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্, আপনি বলেছেনঃ বাংলার মুমিন-মুসলিমদের কাছে বিকৃত তাওরাত-ইঞ্জিলের ধ্বজাধারী ইহুদী-খৃষ্টানদের আমেনের
কোন দাম নাই।
নাজিবুললাহ্ আপনি মূল প্রশ্নের কোন উত্তর নাদিয়ে প্রথমে শুরু করলেন আমিন শব্দ নিয়ে। এখন বলছেন বিকৃত তাওরাত-ইঞ্জিলের ধ্বজাধারী ইহুদী-খ্রীষ্টিয়ান। ছিঃ ভাবতে বড় আবাক লাগছে আপনাকে। আল্লাহ কোরআনে যে কিতাব গুলির এত সম্মআন করেছে বার বার, অনেক জায়গায়; আপনি তাকে বলছেন বিকৃত!!! ভাবতে হবে বিকৃত কিতাব? নাকি আপনার মস্তিষ্ক? আজ থেকে চৌদ্দশত বছরের মুসলিম আপনি, আপনার ধারনাটা যে ঠিক এর কি প্রমান? আপনার চিন্তার প্রতিফলন আপনার কাছে'ই। ধরেনেন পৃথিবীতে কোন কিতাব নাই, বা ছিলো না, তায়বলে কি মানুষ চলতে পারবে না? আপনিকি জানেন পৃথিবীতে আপনার আগেও অনেক মানুষ ছিলো, আছে এবং থাকবে? বেশীর ভাগ নবী রাসুল এসেছে কোথায় সেটা আগে জানার চেষ্টা করুন। দেখুন পৃথিবীতে যেখানকার মানুষ আপনারমত অজ্ঞ অন্ধকারে, কুসংস্কারে ডুবে ছিলো, সেখানেই জ্ঞানের আলো জ্বালাতে আগমন ঘটেছে নবী-রাসুলদের। মুহাম্মাদ (সাঃ) আরবে এসেছিলো বিপথগামী মানুষকে হেদায়েতের কথা বলতে, পথের সন্ধান দিতে। এটা ছিলো আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে। ঠিক আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে বিহারের রাজধানী, পাটনা; যার পূর্ব নাম পাটনীপুত্র, বলা হয়। ঠিক সেই সময় সেখানে নালন্দা ও তক্ষশীলা নামে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখনো মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জন্ম হয় নাই। সেখানে তারা ঈশ্বর,গড,ভগবান, আল্লাহ জ্ঞান পেয়েছিলো লিখাপড়া করে। এর জন্য সেখানে সেই সময় কোন নবীর আগমন ঘটেনী। এমনকি সেখানে সেই সময় আলো পৌছেচে। এবং ইসলামের দাওয়াত দিতে হযরত ওমর,আবুবকর,ওসমান এমনকি আলী (রাঃ) পর্যন্ত সেখানে যায় নাই; কারন তাঁদের ও তাঁদের ধর্মের সেই সময় জন্ম হয় নাই। তায় বলেকি সেই সময় তওরাত জাব্বুর ও ইঞ্জিল নিয়ে মানুষ চলেনি? আসলে পথভ্রষ্টদের পথদেখাতে'ই নবী-রাসুলদের আগমন এটা বুঝতে হবে। আপনি যাকে ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ান বলে অবজ্ঞা করছেন, গালাগালি পাড়ছেন, আজ তারাই আপনার ভাষায় বিকৃত তওরাত,ইঞ্জিল পড়ে বিশ্বে সমাদিত। দেখুন আপনি যে বিমানে চড়ে হাজ্জ্ব করতে যান বা যাবেন, সেই বিমান কিন্তু ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনি যে রেলগাড়ীতে চড়েন সেই রেলগাড়ী কিন্তু ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনি যে মোবাইল ব্যবহার করছেন সেই মোবাইল ঐ ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনি ঘরে যে, এসি ব্যবহার করছেন, লাইট জ্বালাচ্ছেন সেইটাও ঐ ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনারা যে পানির জাহাজে চড়েন সেটাও কিন্তু ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনি অসুস্থ হলে যে ওষুধ খান কিংবা ইঞ্জেকশান নেন এটাও কিন্তু ঐ ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ানরা বানিয়েছে। আপনারা কি বানালেন আল্লাহর পাক কিতাব পড়ে? আপনাকে যদি দুটো মুরগির ডিম দেওয়া হয় আর বলা হয় এই ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা ফুঁটিয়ে নিয়ে আসবেন। তাহলে আপনি করবেন কি সাত দিন পর এসে বলবেন কুরচি মুরগি পাওয়া যায় নাই তায় বাচ্চা ফুটাতে পারিনি; অবশেষে ডিম ঘোলা করে ফিরে জমা দিবেন। আর এই ডিম যদি ঐ ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ান কে দেওয়া হয় তাহলে তারা মুরগি ছাড়া'ই বাচ্চা ফুঁটিয়ে ফেলবে হয়তো বাল্পের তাপে, নয়তো হারিকেনের তাপে। সারা পৃথিবীর মানুষের কল্যানের জন্য যাদের লড়াই আজ তারা আপনাদের কাছে মুশরেক-কাফের। আজ এক্স-রে মেশিন তারা আবিস্কার করেছে বলেই মানুষের কত উপকার! আজ ইনসুলিন আবিস্কার করেছে বলে কত ডায়াবেটিকস্ মানুষের প্রাণ রক্ষা। হায়রে নাজিবুললাহর আপনার জ্ঞান গরিমার কথা ভাবলে বড় অবাক লাগে। আল্লাহ পৃথিবীতে করতে বললো কি, আর মানুষ করছে কি।
তায়তো কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেঃ
"বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে
আমরা তখন পিছিয়ে;
বিবি তালাকের ফতোয়া খুজেছি
হাদীস ফেকাহ্ চোষে---"
আল্লাহ্ কোরআনে মানব জাতীর কল্যানের জন্য সকল মানুষকে আহবান করেছে অথচ আমরা জানি না, মানি না। চলুন কোরআন দেখিঃ
সূলা ইমরান ৩:১১০ আয়াতঃ
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতী, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।
আল্লাহ বলছেঃ সৎকাজের নির্দেশ দিবে। সৎকাজ মানে কেবল নামাজ নয়, ভালো কাজ। সেই ভালো কাজকি সেটা জানতে হবে। আবার বলছে অন্যায় কাজে বাধা দেবে অন্যায় কাজ বলতে কি একবার ভাবুন উত্তর পাবেন।
সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে হে কিতাবগণ তওরাত, ইঞ্জিল ওযাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই।
তওরাত, জাব্বুর, ইঞ্জিল ও কোরআন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এটা সেলিম জাহাঙ্গীর এর কথা নয়; এটা কোরআনের বানী।
কোরআন জেনে বুঝে ও দিব্য জ্ঞানে পড়ুন। এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করেন না।
৬০| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার স্পষ্ট স্বিকারোক্তির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর কখনো মুনাফেকী না করে সর্বত্র এমন স্পষ্ট স্বিকারোক্তি করবেন, তবেই সকলের নিকট সৎ থাকতে পারবেন।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ আর কখনো মুনাফেকী না করে সর্বত্র এমন স্পষ্ট স্বিকারোক্তি করবেন, তবেই সকলের নিকট সৎ থাকতে পারবেন।
গলাবাজি করে জেতা যায় না নাজিবুললাহ্। ভেতরে কিছু মাল থাকতে হয়। আপনি আমার একটিও প্রশ্নের উত্তর দেন নাই। কেবল প্রলাপ বকেছেন। এখন বলতে আর অসুবিধা নাইঃ অবশেষে নাজিবুললাহ্ ওরফে শুভ জাহিদ ওরফে আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম তার নিজের হার স্বীকার করলেন। কিন্তু তিনি যে লেজগুটিয়েছেন তার কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায়। তিনি কেবলী গালা-গালি আর ফাউল পেচ্যাল পেড়ে ব্লগ এর এই বিষয়ে লিখা থেকে স্থান ত্যাগ করলেন। এটাকে কি আপনার ভাষায় ল্যাদানো বলা যায়? আপনার জ্ঞান গরিমা যে নামাজ শিক্ষা বই পড়া, সেটা এখন সকলে বুঝে গেছে। ভালো থাকুন, আর মনে রাখবেন পৃথিবীতে সকল মানুষের প্রতি আল্লাহর সু-দৃষ্টি আছে বলেই আজও সকলে বহাল তবিওতে টিকে আছে; এটা তিনার দয়া মাত্র। তার নমুনা একটি বলি মনযোগ দিয়ে শুনুন। মূর্তীপুজারক ভারতের সাথে মুসলমানদের দল পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলা অনেক হয়েছে। কিন্তু অনেক বার এই পাকিস্তান দল মূর্তীপূজারকদের কাছে হেরেছে; আপনি কি জানেন? এই খানে আপনি কি বলবেন? আপনার কথা মত মুসলমানদের সাথে আল্লাহ থাকে, অথচ মূর্তীপূজারক ভারতের জেতার কারন কি? কেন তারা বিজয়ী হলো এর বাখ্যা আপনার জানা আছে? না থাকলে আমার কাছে জেনে নিয়েন। আল্লাহ আপনাকে যেন সুস্থ্য রাখেন সবল রাখেন এই কামনা করি---আমেন
৬১| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২
নজিবুল্লাহ বলেছেন: বেকুব (আবাল) দের সাথে বিতর্ক করলে তারা তোমাকেও বেকুব বানিয়ে দিবে। - (হযরত আলী রা। এ তো দেখি পারফেক্ট মেছাল !
৬২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: প্রকৃত দ্বীন ইসলাম চিনলে কেউ বেকুব হয় না। তাকে যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য তার রব'ই তাকে সাহার্য্য করে। অট্ট হাসি হাসে কারা?
হেরেছেনতো কি হয়েছে আসুন প্রকৃত ভাবে কোরআন কে জানি ও মানি। আপনাকে কোরআনের আলোয় আলোকিত হতে আহ্ববান জানাচ্ছি।
৬৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: যেই আবালের ইমান ক্রিকেট খেলার হার জিতের উপর নির্ভর শিল সেই আবালের সাথে মুমিন গণ সময় নষ্ট করে না, কারন মুমিনদের নবী শিক্ষা দিয়েছেন " অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকাই হল ইসলামের সৌন্দর্য।" তাই তারা ইহুদী-খৃষ্টানদের পা চাটা এ সকল আবালদের সাথে সময় নষ্ট করে না।
৬৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আল্লাহ্ মুসলমাদের গালি দিতে শেখাননি; আদব করতে শেখিয়েছেন। আপনি গালি দিতে বেশ পারেন। আপনার আচরণ বলে দিচ্ছে আপনার বংশের পরিচয়। আপনাকে আমি ক্রিকেট খেলা দিয়ে ইসলাম কিংবা ইমান বুঝায়নাই। আমি বলেছি মূর্তীপূজারকদের ও আল্লাহ দেখেন। শুধু মুসলমানদের দেখে এটা ঠিক নয়। আল্লাহর রহমতের দৃষ্টিতে সকল মানুষ আছে বলেই তারা আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে লানত এর কবল থেকে। আসলে আল্লাহ্ থাকেন মানুষের ইচ্ছা শক্তির সাথে। ইচ্ছা শক্তি সেটা কোন ধর্ম নয়, কর্ম। নাজিবুললাহ্ আপনি আমারে সাথে সময় নষ্ট করেছেন? নাকি আমার কাছে প্রশ্ন ছুড়ে বিভিন্ন উপমা, ও কোরআনের নোট গুলি নিয়েছেন? যদি আমি সত্যি আপনার সময় নষ্ট করে থাকি তাহলে তাহলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত; আর যদি আপনি আমার কাছে থেকে কিছু শিখে থাকেন তাহলে আল্লাহর দরবারে সত্য জানার জন্য প্রার্থনা করেন।
ঈদ মুবারাক, ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা; আসসালামুআলাইকুম--।
৬৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: জ্বি ভাইজান, মুসলিমদের প্রতি আপনাদের এ মহব্বতরে কারনেই আজ দেড়শ কোটি নিরিহ নিরস্ত্র মুসলিম জনগোষ্ঠি আপনাদের মহব্বতের অতিশয্যে আকাশ পাতাল ভেদ করিয়া খোদার আরশে আযীম কাপিয়ে মর্মন্তুদ আহাজারিতে কম্পমান। আপনাদের মহব্বতের হিংস্র থাবায় মুসমিদের আজ রক্ত স্রোত বইছে ধুলির ধরার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যেখানেই লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স এর ধ্বনি উচ্চারিত হয় সেখানেই আপনাদের মহব্বতের হিংস্র থাবায় আখেরী নবীর উম্মতগণ ম্রিয়মান প্রায়। আপনারদের মহব্বতের জোশে উম্মতে মুহাম্মাদী আজ কাদতেও ভুলে গেছে। বসনিয়া, চেচনিয়া, ফিলিস্তিন, মিন্দানাও, বলকান, আরাকান, কাশ্মির, ইরাক, আফগান, সহ সমগ্র বিশ্বের আনাচে কানাচে মুসলিমরা আজ আপনাদের মহব্বতের করুন শিকার। আর মুসলিমরা আপনার ভাষায় খোদার বানী (তাওরাত/ইঞ্জিল) অনুসরণ না করায় তারা আজ আপনাদের কাছে পরাজিত এক জাতি। আর এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা প্রমাণ করার জন্যই ইতিপূর্বে আপনি কোরআনের একটি আয়াত কয়েকবার উপস্থাপন করেছিলেন যাতে বলা হয়েছে কেয়ামত পর্যন্ত হযরত ইসার (আ
অনুসারীরা হবে পৃথিবীতে বিজয়ী জাতি। আয়াতটি হল :
সূরা ইমরান ৩:৫৫ আয়াতঃ إِذْ قَالَ اللّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো।
আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে বলছে "তোমার উম্মত যারা রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত জয়ী করে রাখবো।"
বিচক্ষণদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। এর বেশি কোন প্রমাণ দেখানো লাগে না যে, আপনারা কাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনাকে ইঞ্জিলে একটি আয়াত বললাম যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু আপনি আমাকে উল্টা বুঝলেন। মায়েদার ৬৮ নাম্বার আয়াত মতে মুসলমান ও মুমিন হওয়ার বিষয়টি আরেকবার পড়ে নেন। আমি মুসলমান বলেই সব কিতাব মানি, জানি ও বিশ্বাস করি। যুগে যুগে ভালো ও মন্দের লড়াই। সকল ধর্মের মাঝে ভালেঅ ও মন্দ আছে। হীন্দু,ইহুদী, খ্রীষ্টিয়ান, ইসলাম এদর মাঝেই আছে ভালো ও মন্দ। কেউ বলতে পারবে না যে, কেবল এই ধর্মটির সকলে মুমিন।
আর নাজিবুললাহ্ আপনি নিম্নে আয়াত তুলে ধরে বললেনঃ এই আয়াত প্রমান করে আমি কার এজেন্ড হিসাবে কাজ করছি। বিচক্ষণদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। আচ্ছা আয়াতটি আবারো তুলে দিলাম নিচে পড়ে দেখুন।
সূরা ইমরান ৩:৫৫ আয়াতঃ إِذْ قَالَ اللّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُواْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো।
আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে বলছে "তোমার উম্মত যারা রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত জয়ী করে রাখবো।"
আপনার কি ধারনা আল্লাহ্ এই আয়াত দিয়ে খ্রীষ্টিয়ানদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে? কেউ উক্ত বিষয় বললেই যদি এজেন্ড বাস্তবায়ন হয় তাহলে আল্লাহ'ই প্রথম এজেন্ড বাস্তায়ন কারী? জ্ঞানের দরজা এখনো খূলে নাই। চালিয়ে যান খুলবে তবে ভেতর থেকে ছাগু ভাবটা তাড়াতে হবে।
৬৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৯
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আরে খৃষ্টান ছাগু কোরআনের আয়াত বুঝার মত জ্ঞান তোমার এখনও হয়নাই, তুমি স্টেডিয়ামে যাইয়া ক্রিকেট খেলা দেইখা তোমার ইমান মজবুত করো, যাও!
৬৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুল্লাহ এই কোরআন মগাদের জন্য নয়। আপনি নিজে মগা তায় হেরে গিয়ে আপনি আমাকে কোরআন অবিশ্বাসী বলেছেন। ভাই আপনার কাছে কি কোন যন্ত্র আছে যা দিয়ে মাপা যায়, বিশ্বাস অবিশ্বাস,কাফের ও জান্নাতী? আপনি আজ নিজেই রাগের চোটে প্রলাম বকছেন; উত্তেজিত হচ্ছেন। আমি মুসলিম আমার রাগ থাকতে পারে না। পুরো কমেন্ট গুলি যদি সত্যি কোন প্রকৃত মানুষ পড়ে থাকে তাহলে নাজিবুললাহ্ আপনাকে মানুষে বলবে মুশেরেক। আপনার আচরণে শান্তি নাই, যে শান্তি সালাম থেকে এসেছে। যেমন যষ্ঠি মধু মধু নয়, ঠিক তেমনী আপনি মুসলিম কিন্তু আপনার ভেতরে মুসলমানিত্ব নাই। আপনি বার বার আমাকে গালি দিতে পারেন, কিন্তু আমি পারি না কারন আমি একজন আত্ম বিশ্বাসী।
৬৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নজিবুল্লাহ বলেছেন: তোমরা আমাদেরকে মুখ দিয়া আর কি গালি দিবা তোমরা তো এই পৃথিবীকে কয়েক হাজার বার ধ্বংস করার জন্য লোমহর্ষক পারমানবিক অস্ত্রের অকল্পনীয় মজুত গড়ে তুলেছ। যা দিয়ে আমাদের দেড় শো কোটি মুসলিমকে কোথাও না কোথাও শেষ করে দিচ্ছ প্রতি নিয়ত, প্রতি মুহুর্ত। আমাদের রক্ত পান না করলে তোমাদের তৃপ্তি মিটে না। তোমরা আজ আমাদের রক্ত দিয়ে নিজেদের বিভিষিকাময় তৃষ্ণা মিটাচ্ছো। আমাদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহৃ করে দেয়ার জন্য তোমরা গড়ে তুলেছ জাতিসংঘ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, আমাদের কে শেষ করার জন্য তোমরা তোমাদের সেনাবাহিনীর গবেষণাগারে আবিষ্কার করেছ এইডস এর মত মরন ঘাতি জিবানু এবং তা তোমরা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছ, তোমরা আজ বিশ্ব থেকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স এর পবিত্র কালাম নিশ্চিহৃ করে দেয়ার জন্য সমগ্র বিশ্বে এক কেন্দ্রিক শাসন ব্যাবস্থা গড়ে তুলার জন্য কঠিন রোড ম্যাপ নিয়ে ধাপে ধাপে এগুচ্ছ। আর একজন একজন করে উম্মতে মুহাম্মদীকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিচ্ছ। সো আমাদের কে মুখ দিয়ে গালি দেবার কোন দরকার তোমাদের আছে কি ??????????????????????????????????????????????????????
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনি কি জামায়াত কিংবা শিবির করেন? কেন? আপনার আচরণ তায় বলে। আপনি কি আমাকে মনে করে নিয়েছেন আমি খ্রীষ্টিয়ান? পাগোল কারে কয়।
১। আমি সামুতে সাতটা নাম ব্যবহার করি না।
২। কোন ছদ্দ্ নাম আমার নেই।
৩। আমি সত্যিবাদিতা পছন্দ করি।
৪। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর আমাকে সবাই চেনে, জানে একই নামে। আপনার মত সাতটা নাম আমার নাই। আপনার এত নাম কেন, বাটপারী করেন নাকি?
৫। যারা অনেক নাম ব্যবহার করে তাদের উদ্দেশ্য কখনো মহত হতে পারে না।
৬। সঠিক নাম না বলা মিথ্যা বলার সামিল।
৭। আপনার মত অনেক আলেম ওলামা হযরত হোসাইন (রাঃ) মাথা কাটার সময় অনেক ফতোয় দিয়েছিলো। এরা সকলে ছিলো ইয়াজিদের অনুসারী। এদের মাঝে শত শত লোক ছিলো কোরআনের হাফেজ, আলেম-ওলামা কিন্তু কারবালায় হোসাইন কে কতল করতে তাদের মূখ দিয়ে বের হয়েছে ইসলাম ধর্মের বয়ান। তিনারা হোসাইন (রাঃ) কে হত্যা করে আপনার মত করে আনন্দ প্রকাশ করেছিলো।
৮। আবারো আপনাকে প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ইসলামী চিন্তাবিদ সেজেছেন মাগার ইসলাম জীবনেও পড়েন নাই।
ধর্মান্ধ লোকেরা কখনো যুক্তি-তর্কের তোয়াক্কা করে না। যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদেরকে কেউ জাগাতে পারে না।
সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
৬৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: অনেকবার দলীল দিয়েছি, বাট আপনার বোধে তা ধরছেনা, তাই আবার ও একবার দিলাম। ভালকরে আয়াতগুলো পড়ুন।
৭০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৪
নজিবুল্লাহ বলেছেন: নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত। (সূরা ইমরান- আয়ান : ১৯)
১। ইসলাম আরবী শব্দ এর বাংলা তরমা করে পুরোটা পড়ুন দেখুন কি দাঁড়া্য়।
২। যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, এটা আল্লাহ্ বলছেন। কিন্তু এই আয়াত অনুযায়ী আপনি সেই লোক যে, মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছেন।
এবং যাদের প্রতি কিতাব দয়া হয়েছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান (কুরআন) আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত।
উপরের উল্লেখিত শব্দগুলো জুড়ে দিয়ে আপকি মাবুদের অর্থের পরিবর্তন করেছেন। ইবনে কাসির তার তাপসিরে বলেছেঃ যুগে যুগে মানুষ আল্লাহর কালামের পরিবর্তন করেন নাই, করেছেন মূল অর্থের পরিবর্তন। ভালো করে পড়ুন দেখুন কি বলেছে আর আপনি কি বানিয়েছেন? আল্লাহ্ আপনার দিব্য জ্ঞান ও সু-দৃষ্টি দান করুন---আমেন
৭১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ১১০)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তোমরাই (উম্মতে মুহাম্মদী) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হইয়াছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান কর, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস কর। কিতাবীগন (ইহুদী, খৃষ্টান) যদি ইমান আনিত তবে তাহাদের জন্য ভাল হইত। (সূরা
ইমরান - আয়াত : ১১০)
এই আয়াতেও ভুল তরজমা করেছেন। আপনি "উম্মতে মুহাম্মদী" বলেছেন
কিন্তু ওখানে আরবী শব্দ আছে خَيْرَ أُمَّةٍ খায়রা উম্মাতি
অর্থঃ তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতী (মানুষ)
এখানে কোন গোষ্ঠীকে বোঝায় নাই। এখানে আল্লাহর সৃষ্টি মানুষকে তিনি বলেছেন তোরাই শ্রেষ্ঠ জাতী মানব জাতীর কল্যানের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
নাজিবুললাহ্ আপনার মাথায় কি আছে জানি না। তবে ভালো কোন আরবীর প্রভাষকের কাছে এটা যেনে নিবেন।
৭২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরুপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে। তুমি এ যাবত যে কিবলা (ইহুদীদের বাইতুল মুকাদ্দাস) অনুসরণ করিতেছিলে উহাকে আমি এই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যাহাতে জানিতে পারি কে রাসূলের অনুসরণ করে আর কে ফিরিয়া যায়। (অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়।)
অর্থৎ কে মুসলিম হয় আর কে ইহুদীই থেকে যায়। এটা হস্যকর কথা নাজিবুললাহ্ আপনি মুসলমানের সংজ্ঞা জানেন? নিশ্চয় জানেন না। জানলে কখনো বলতেন না। এমন শিশুদের মত কথা।
এটাও ভুল তরজমা করেছেন। এমন দেখে আপনার সাথে আর কথা বলতেই ইচ্ছা হচ্ছে না। আমি আপনাকে ক্লাশ ওয়ান এর শিশুর মত করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বোঝায়, মানুষ বুঝলে বোঝানো যায়; কিন্তু গবেট হলে বোঝানো যায় না।
৭৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এই আয়াতটিও আপনি ভুল বুঝেছেন। পুরোটা একটু মনে যোগ দিয়ে পড়ুন ধর্যহারা হবেন না।
যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল।
এটাও আপনি ভুল বুঝেছেন। আসলে মুসা ও ঈসার শরীয়তের পর মুহাম্মাদ (সাঃ) আর নুতুন করে কোন কিছু হারাম হালাল করেন নাই। আপনার বোঝার ভুল আয়াটি কার জন্যে সেটা ভালো করে দেখুন।
সূরা ইমরান ৪৫-৫২ আয়াতঃ
যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত। যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন তখন তিনি মানুষের সাথে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন এ ভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যখন কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে যায়।আর তাকে তিনি শিখিয়ে দেবেন কিতাব, হিকমত, তওরাত, ইঞ্জিল। আর বণী ইসরাঈলদের জন্যে রসূল হিসেবে তাকে মনোনীত করবেন। তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে এসেছি নিদর্শনসমূহ নিয়ে। আমি তোমাদের জন্য মাটির দ্বারা পাখীর আকৃতি তৈরী করে দেই। তারপর তাতে যখন ফুৎকার প্রদান করি, তখন তা উড়ন্ত পাখীতে পরিণত হয়ে যায় আল্লাহর হুকুমে। আর আমি সুস্থ করে তুলি জন্মান্ধকে এবং শ্বেত কুষ্ঠ রোগীকে। আর আমি জীবিত করে দেই মৃতকে আল্লাহর হুকুমে। আর আমি তোমাদেরকে বলে দেই যা তোমরা খেয়ে আস এবং যা তোমরা ঘরে রেখে আস। এতে প্রকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। আর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমুহকে সত্যায়ন করে, যেমন তওরাত। আর তা এজন্য যাতে তোমাদের জন্য হালাল করে দেই কোন কোন বস্তু যা তোমাদের জন্য হারাম ছিল। আর আমি তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদের পালনকর্তার নিদর্শনসহ। কাজেই আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ।
অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহায্য করবে? সঙ্গী-সাথীরা বললো, আমরা রয়েছি আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আর তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা'ই মুসলমান।
৭৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ওহে! যাহাদের কিতাব দেয়া হইয়াছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমাদের নিকট যাহা আছে (তাওরাত, ইঞ্জিল) তাহার প্রত্যায়নকারীরুপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি (কোরআন) তাহাতে তোমরা ইমান আন, আমি মুখমন্ডল সমূহ বিকৃত করিয়া অত:পর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেবার পূর্বে অথবা আসহাবুস সাবতকে যেরুপ লানত করিয়াছিলাম সেইরুপ তাহাদেরকে লানত করিবার পূর্বে (নিসা : ৪৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ওহে! যাহাদের কিতাব দেয়া হইয়াছে (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমাদের নিকট যাহা আছে (তাওরাত, ইঞ্জিল) তাহার প্রত্যায়নকারীরুপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি (কোরআন) তাহাতে তোমরা ইমান আন, আমি মুখমন্ডল সমূহ বিকৃত করিয়া অত:পর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেবার পূর্বে অথবা আসহাবুস সাবতকে যেরুপ লানত করিয়াছিলাম সেইরুপ তাহাদেরকে লানত করিবার পূর্বে (নিসা : ৪৭)
এই আয়াতটি ঠিক আছে মাগার আপনি বোঝেন নাই। আসলে এই কোরআনতো মগাদের জন্য জন্য নয়। এটা জ্ঞানীদের জন্য,চিন্তাশীলদের জন্য, বোদ্ধাদের জন্য।
নাজিবুললাহ্ আল্লাহ বলছেনঃ আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমরা ইমান আন
আপনি ইমান এনেছেন? কখনো আনেন নাই।যদি আনতেন তাহলে তওরাত,জাব্বুর ও ইঞ্জিল নিয়ে এভাবে বলতে পারতেন না। কারন ঐ গুলির প্রতি ঈমান আনতে বলেছে। কি দেখবেন আয়াত গুলো? একটু দাঁড়ান দেখাচ্ছি।
১। সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।
নাজিবুললাহ্ আপনি কি এদের উপর ঈমান এনেছেন?????
২। সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে হে কিতাবগণ তওরাত, ইঞ্জিল ওযাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই। তোমরা প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবর্তীর্ণ হইয়েছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বর্ধিত করিবে। সুতরাং তুমি কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করিও না।
তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তাহা প্রতিষ্ঠিত নাকরা পর্যন্ত। তোমাদের কোন ভিত্তি নাই
নাজিবুললাহ্ আপনি এই আয়াত অনুযায়ী কি প্রতিষ্ঠা করলেন?????
৩। সূরা বাকারা ২:১১৩ আয়াতঃ
وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَىَ شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ فَاللّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
অর্থঃ ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।
এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে আপনি কি সূরা বাকারার এই আয়াত অনুযায়ী তাদের মত মূর্খ নন? রেগে গেছেন নাকি? রাগ করেন না। সত্যকে মেনে নেন পরাজিত হবার কিছু নাই।
ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়।
নাজিবুললাহ্ এমনিভাবে আপনিও একই কথা বলছেন যে, তারা কোন ভিত্তির উপরে'ই নয়। যারা মূর্খ তারা এই উক্তি করে; আপনি কি তাদের দলে নন????
৭৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ২. তাহদের (বনীইসরালদের) অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য আমি তাহাদরেকে লানত করিয়াছি ও তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছি; তাহারা শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে এবং তাহারা যাহা আদিষ্ট হইয়াছিল উহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা উহাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকা করিতে দেখিতে পাইবে, সুতরাং উহাদেরকে ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়নদেরকে ভালবাসেন।
৩. যাহারা বলে, "আমরা খৃষ্টান" তাহাদেরও অঙ্গিকার গ্রহণ করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহারা যাহা আদিষ্ট হইয়াছিল তাহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক রাখিয়াছি; তাহারা যাহা করিত আল্লাহ তাহাদেরকে অচিরেই তাহা জানাইয়া দিবেন।
৪. হে আহলে কিতাবীগণ! আমার রাসূল (মুহাম্মদ স তোমাদের নিকট আসিয়াছে, তোমরা কিতাবের যাহা গোপন করিতে সে উহার অনেক কিছু তোমাদের নিকট প্রকাশ করে এবং অনেক কিছু উপেক্ষা করিয়া থাকে। আল্লাহর নিকট হইতে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব (কোরআন) তোমাদের নিকট আসিয়াছে।
৫. যাহারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায় (সকল ধর্মানুসারী), ইহা দ্বারা (কোরআন দ্বারা ) তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমাতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা মায়িদা, আয়াত নং : ১৩ - ১৬)।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ২. তাহদের (বনীইসরালদের) অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য আমি তাহাদরেকে লানত করিয়াছি ও তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছি; তাহারা শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে এবং তাহারা যাহা আদিষ্ট হইয়াছিল উহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা উহাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকা করিতে দেখিতে পাইবে, সুতরাং উহাদেরকে ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়নদেরকে ভালবাসেন।
এইখানে আল্লাহ বলছে অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকা করিতে দেখিতে পাইবে বলেছে। এই অল্পসংখ্যক তাদের মাঝে ভালো মানুষ আছে বিধায় আল্লাহ এই অল্পসংখ্যক এর কথা বলেছে। নাজিবুললাহ্ এই অল্পসংখ্যক মানুষ আপনি কি সনাক্ত করতে পেরেছেন? পারেন নাই, তবে সকলের মাঝে মিশে আছে এই অল্পসংখ্যক; সেই কারনে সকলকে খারাপ বলা যাবে না। যেহেতু এই অল্পসংখ্যক মানুষ আমরা আলাদা করতে পারি নাই।
নাজিবুরলাহ এই অল্পসংখ্যক মানুষকে চিনতে হবে অযথা না জেনে কাউকে কোন জাতীকে খারাপ ভাবা ঠিক নয়।
৭৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৬
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৬. হে কিতাবীগণ (ইহুদী-খৃষ্টান) ! রাসূল (ইসা-মুসা আ প্রেরণে বিরতির পর আমার রাসুল (মুহাম্মদ স
তোমাদের নিকট আসিয়াছে। সে তোমাদের নিকট স্পষ্ট ব্যাখ্যা করিতেছে যাহাতে তোমরা বলিতে না পার, "কোন সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী আমাদের নিকট আসে নাই"। এখন তো তোমাদের নিকট একজন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী (মুহাম্মদ স
আসিয়াছে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (মায়িদা : ১৯)।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ৬. হে কিতাবীগণ (ইহুদী-খৃষ্টান) ! রাসূল (ইসা-মুসা আঃ) প্রেরণে বিরতির পর আমার রাসুল (মুহাম্মদ সঃ) তোমাদের নিকট আসিয়াছে। সে তোমাদের নিকট স্পষ্ট ব্যাখ্যা করিতেছে যাহাতে তোমরা বলিতে না পার, "কোন সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী আমাদের নিকট আসে নাই"। এখন তো তোমাদের নিকট একজন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী (মুহাম্মদ সঃ) আসিয়াছে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (মায়িদা : ১৯)।
কি আবালের মত ভুলভাল বলেন। আগে আরবী পড়া শিখুন তারপর তরজমা করুন।
৭৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ৭. যাহাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পন করা হইয়াছিল, কিন্তু তাহারা উহা বহন করে নাই, তাহাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ! কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যাহারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বিকার করে! আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৮. বলুন, "হে ইয়াহুদীরা! যদি তোমরা মনে কর তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্যকোন মানবগোষ্ঠী নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদি হও"।
৯. কিন্তু উহারা উহাদের হস্ত দ্বারা যাহা আগে প্রেরণ করিয়াছে উহার কারনে কখনও মৃত্যু কামনা করিবে না। আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। (জু্মআ : ৫ - ৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: যাহাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পন করা হইয়াছিল, কিন্তু তাহারা উহা বহন করে নাই, তাহাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ! কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যাহারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বিকার করে! আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৮. বলুন, "হে ইয়াহুদীরা! যদি তোমরা মনে কর তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্যকোন মানবগোষ্ঠী নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদি হও"।
৯. কিন্তু উহারা উহাদের হস্ত দ্বারা যাহা আগে প্রেরণ করিয়াছে উহার কারনে কখনও মৃত্যু কামনা করিবে না। আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। (জু্মআ : ৫ - ৭)
নাজিবুললাহ্ ভালো কের বুঝে পড়ুন কোরআন। নিম্নে আয়াতগুলো দেখুন।
সূরা মায়েদা ৫:৮২ আয়াতঃ
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ
অর্থঃ আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।
নাজিবুললাহ্ ইহুদীরা অধিক শ্রত্রু আল্লাহ্ বলছে। এবার আপনাকে বলি অধিক মানে কি "সব"? নাকি অধিক মানে "বেশির ভাগ"; কোনটা নাজিবুললাহ্? যদি বেশীর ভাগ হয় তাহলেওতো কিছু ইহদিী ভালো আছে এটা কোরআন বলছে। আর খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। এটাও কোরআন বলছে। যেখানে কোরআন তাদের মেনে নিচ্ছে স্বীকৃতি দিচ্ছে সেখানে আপনি নাজিবুললাহ্ আবালেম মত কেবল নিজের দই ভালো বলছেন কেন????
সূলা মায়েদা ৫:৬৬ আয়অতঃ
وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيهِم مِّن رَّبِّهِمْ لأكَلُواْ مِن فَوْقِهِمْ وَمِن تَحْتِ أَرْجُلِهِم مِّنْهُمْ أُمَّةٌ مُّقْتَصِدَةٌ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ سَاء مَا يَعْمَلُونَ
অর্থঃ যদি তারা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যা প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, পুরোপুরি পালন করত, তবে তারা উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে ভক্ষণ করত। তাদের কিছুসংখ্যক লোক সৎপথের অনুগামী এবং অনেকেই মন্দ কাজ করে যাচ্ছে।
৭৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই যাহারা ইমান আনিয়াছে (কোরআনে) এবং যাহারা ইহুদী ইইয়াছে, যাহারা সাবেয়ী, খৃষ্টান ও অগ্নিপুজক এবং যাহারা মুশরেক হইয়াছে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাদের মধ্যে ফয়সালা করিয়া দিবেন। আল্লাহতো সমস্ত কিছুর সম্যক প্রত্যক্ষকারী। (হাজ্জ:১৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নিশ্চয়ই যাহারা ইমান আনিয়াছে (কোরআনে) এবং যাহারা ইহুদী ইইয়াছে, যাহারা সাবেয়ী, খৃষ্টান ও অগ্নিপুজক এবং যাহারা মুশরেক হইয়াছে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাদের মধ্যে ফয়সালা করিয়া দিবেন। আল্লাহতো সমস্ত কিছুর সম্যক প্রত্যক্ষকারী। (হাজ্জ:১৭)
কিতাবধারীদের ফয়সালা কোন জান্নাত জাহান্নামের বিচার নয়, এটা ভুল বোঝাবুঝির ফায়সালা। কারন ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে সেই কারনে।
৭৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৮
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১৪. হে কিতাবীগণ! (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান ? (ইমরান:৭১)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হে কিতাবীগণ! (ইহুদী, খৃষ্টান) তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান ? (ইমরান:৭১)
হে কিতাবীগণ মানে কেবল তওরাত, জাব্বুর ও ইঞ্জিল নয়, এর সাথে যোগ হবে কোরআনও। মনে রাখবেন নাজিবুললাহ্ কথাটা হবে
হে কিতাবীগণ! তোমরা (তওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআন) কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান ?
নাজিবুললাহ্ আপনি না জানলে কোন দোষ নাই আর যদি জেনে সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করেন তাহলে কথা আছে।
৮০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৯
নজিবুল্লাহ বলেছেন: বলুন, হে কিতাবীগণ! (ইহুদী, খৃষ্টানগণ) যে ব্যাক্তি ইমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষন করিয়া ? অথচ তোমরা সাক্ষী, তোমরা যাহা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন (ইমারান: ৯৯)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বলুন, হে কিতাবীগণ! (ইহুদী, খৃষ্টানগণ) যে ব্যাক্তি ইমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষন করিয়া ? অথচ তোমরা সাক্ষী, তোমরা যাহা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন (ইমারান: ৯৯)
এখানেও হবে একই কথাঃ
বলুন, হে কিতাবীগণ! (তওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআন) যে ব্যাক্তি ইমান আনিয়াছে তাহাকে কেন আল্লাহর পথে বাধা দিতেছ, উহাতে বক্রতা অন্বেষন করিয়া ? অথচ তোমরা সাক্ষী, তোমরা যাহা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন (ইমারান: ৯৯)
এখানে বুঝতে হবে ইমান কথার অর্থ কি। আপনি ইসলামের অনুসারী তার মানে এই নয় যে, আপনি ইমানদার!!! সকল আহলে কিতাবধারীদেরকে ইমান সম্পর্কে আল্লাহ্ বার বার বলেছে। আপনি একটু ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন বুঝবেন। আর যদি মনে করেন আমি না বোঝলে কোন শালা আমায় বোঝায় তাহলে আপনাকে আমি বোঝাতে পারবো না। ইমান রাখতে হবে সবাইকে।
৮১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৯
নজিবুল্লাহ বলেছেন: যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
কোরআনের সূরা আরাফের এই আয়াতটির আগে ও পেছনে আরও ভালো করে পড়ুন তাহলে সঠিক উত্তর পাবেন। উম্মী মানে নিরক্ষর। উম্মী মাণে শেষ নবী নয়। নবী হিসাবে মুসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ) এরাও উম্মী ছিলো।
যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন
উপরের এই আয়াত স্পষ্ট বলছে ঈসার কথা। কেন? দেখুন যে নবী তাহাদেরকে মানে সেই তাওরাত ও ইঞ্জীল এর অনুসারীদের সৎ কাজের নির্দেশ ও অসৎকাজে বাধা দিতেন বলছে। আবার বলছে দেখুনঃ যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন
এই হারাম হালাল প্রথা চালু ও রদবদল হয় ঈসার শরীয়ত থেকে। একটু চোখ মেলে ধরুন সূরা ইমরান এর ৫০ নং আয়োতেঃ
আর তা এজন্য যাতে তোমাদের জন্য হালাল করে দেই কোন কোন বস্তু যা তোমাদের জন্য হারাম ছিল। আর আমি তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদের পালনকর্তার নিদর্শনসহ। কাজেই আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর।
আমার ভুল হতে পারে না আপনার ভুল হতে পারে একটু ভালো করে দেখে নেন। একটা কথা মনে রাখবেন কোরআনের কোন আয়াত পড়লে তার পূর্বের ও শেষের দিকও পড়তে হয়, তানাহলে অর্থ বুঝতে পারবেন না।
৮২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫০
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দবি করিতেছ না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উজদেশ ব্যাতিত কিছুই নয়। (সূরা ইউসুফ - আয়াত : ১০৪)
১১. কত মহান তিনি যিনি তাহার বান্দাদের প্রতি ফুরকান (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাহাতে সে বিশ্বজতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে। (সূরা ফুরকান - আয়াত : ১)
২. কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা কালাম - আয়াত : ৫২)
৩. ইহাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ (সূরা তাকভীর - আয়াত : ২৭)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এর আগেও আপনাকে ফুরকান সম্পর্কে বলা হয়েছিলো। আমার ধারনা আপনি বুঝতে পারেন নাই। শুধু কোরআন কেন বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ তওরাত,জাব্বুর,ইঞ্জিল ও কোরআন চারটি কিতাব'ই রহমত স্বরূপ। এই সকল কিতাব মাবুদের কিতাব। এর কোন নতুন ও পুরাতন নিয়োম নেই।
৮৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. বলুন, 'হে মানব জাতি ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল, যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ইমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাহার বানীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার (রাসূলের)অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।(সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
২. বলুন, হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা হাজ্জ, আয়াত : ৪৯)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এইটা একটু ১১২ নং কমেনট এর উত্তরে বলা আছে ।
৮৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: হে মুহাম্মদ! বলুন, "হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট সত্য (কুরআন) আসিয়াছে। সুতরাং যাহারা সৎপথ অবলম্বন করিবে তাহারাতো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করিবে এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইবে তাহারাতো পথভ্রষ্ট হইবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই। আপনার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হইয়াছে আপনি তাহার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারন করুন, যে পর্যন্ত না আল্লাহ তায়ালা ফয়সালা করেন এবং আল্লাহই সর্বোত্তম বিধানকর্তা। ( সূরা ইউনুস, আয়াত : ১০৮-১০৯)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হে মুহাম্মদ! বলুন, "হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট সত্য (কুরআন) আসিয়াছে। সুতরাং যাহারা সৎপথ অবলম্বন করিবে তাহারাতো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করিবে এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইবে তাহারাতো পথভ্রষ্ট হইবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই। আপনার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হইয়াছে আপনি তাহার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারন করুন, যে পর্যন্ত না আল্লাহ তায়ালা ফয়সালা করেন এবং আল্লাহই সর্বোত্তম বিধানকর্তা। ( সূরা ইউনুস, আয়াত : ১০৮-১০৯)
কোরআনের উপরের কথা গুলি আরবের আরবী ভাষা ভাষি কোরাইশ বংশের জন্য। এবং মক্কা ও ওর আশে-পশের মানুষের জন্য। চলুন নিম্নে কোরআনের আয়অত দেখি।
সূরা শুরা ৪২:৭ আয়াতঃ وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃ মনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সূরা সূরা আন-আম ৬:৯২ আয়াতঃ
وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلاَتِهِمْ يُحَافِظُونَ
অর্থঃ এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায সংরক্ষণ করে।
সূরা সূরা ইউসূফ ১২:২ আয়াতঃ
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অর্থঃ আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
আল্লাহ বলছে আমি একে আরবী ভাষায় নাজিল করেছি আরবী ভাষাভাষি মানুষের জন্য। ইংরেজীতে করলে বিশ্বের জন্য হত।
৮৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫২
নজিবুল্লাহ বলেছেন: যাহারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করিতে চায় (সকল ধর্মানুসারী), ইহা দ্বারা (কোরআন দ্বারা ) তিনি তাহাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমাতিক্রমে অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া আলোর দিকে লইয়া যান এবং উহাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা মায়িদা, আয়াত নং : ১৩ - ১৬)।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনাদের ধারনা কোরআন ব্যবতিত সকল ঐশী কিতাব আল্লাহ এক সময় লিখেছিলো এখন আপগ্রেড করেছে? হায়রে মানুষ আল্লাহর লিখাতেও আপগ্রেড আছে!!!
সূরা আহযাব ৩৩:৬২ আয়াতঃ
سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا
অর্থঃ যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের জন্য এই বিধান'ই ছিল। তুমি আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন পাবেন না।
নাজিবুললাহ্ কেন আললাহর বিধানে তারতম্য করছেন? সকল সময় সকল কালে তার বিধান ছিলো, আছে ও থাকবে অপরিবততীত অবস্থায়।
৮৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫২
নজিবুল্লাহ বলেছেন: তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তুমি তাহারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ নাই এবং মুশরিকদের হইতে মুখ ফিরাইয়া লও। (আনআম:১০৬)।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার মত করে তরজমা করেছেন কেন?
৮৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫২
নজিবুল্লাহ বলেছেন: কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছিল তাহারা এবং মুশরিকরা আপন মতে অবিচলিত ছিল যে পর্যন্ত না তাহাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ (কোরআন) আসিল। (বাইয়্যিনাহ:০১)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার মত করে তরজমা করেছেন কেন?
৮৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫৩
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আর যে ব্যাক্তি তোমাদের ধর্মের অনুসরণ করে তাহাদের ব্যতিত আর কাহাকেও বিশ্বাস করিওনা। (ইমরান:৭৩)।
৮৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫৪
নজিবুল্লাহ বলেছেন: ১. যে ব্যাক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না। এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা ইমরান - আয়াত : ৮৫)
আল্লাহ কাহাকেও সৎপথে পরিচালিত করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করিয়া দেন এবং কাহাকেও বিপথগামী করিতে চাহিলে তিনি তাহার বক্ষ সংকীর্ণ করিয়া দেন, তাহার কাছে ইসলাম অনুসরণ আকাশে আরোহণের মতই দু:সাধ্য হইয়া পড়ে। (সূরা আনআম - আয়াত:১২৫)
আল্লাহ ইসলামের জন্য যাহার হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন এবং যে তাহার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রহিয়াছে, সে কি তাহার সমান যে এরুপ নয় ? (সূরা যুমার - আয়াত : ২২)
৯. হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। (সুরা বাবারা - আয়াত : ২০৮)
৯০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫৭
নজিবুল্লাহ বলেছেন:
বাকী মন্তব্যগুলো কই গেলো ?
৯১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:০১
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আল্লাহ যে সকল আয়াতে নবীকে নিজে বাস্তব আমল করে (হাদীস দ্বারা) কেয়ামত পর্যন্ত সকল মানবজাতিকে কোরআন বুঝিয়ে দেবার জন্য যে সকল আয়াত নাযিল করেছেন তা হল :
১. আপনার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাইয়া দেয়ার জন্য (আপনার আমল দ্বারা)যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল। (সুরা নাহল, আয়াত : ৪৪)।
২. আমিতো আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য (আপনার হাদীস দ্বারা)(সূরা নাহল, আয়াত : ৬৪)
৩. তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাহাতে তোমরা অনুগ্রহ লাভ করিতে পার (সূরা ইমরান , আয়াত : ১৩২)
৪. হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাহাদের যাহারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিলে উহা উপস্থাপণ কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট। ইহাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৯)
৫. তোমাদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ ও আখিরাতে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাহাদের জন্য তো রাসূলুল্লাহ (স এর মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব, আয়াত : ২১)
৬. বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। (সূরা ইমরান, আয়াত : ৩২)।
৭. রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৪)
৮. কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মুমিন হইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিাবদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৫)
৯. বলুন, 'হে মানব জাতি ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসূল, যিনি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তিনি ব্যাতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং তোমরা ইমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাহার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তাহার বানীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তাহার (রাসূলের)অনুসরণ কর, যাহাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।(সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৮)
১০. বলুন, হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা হাজ্জ, আয়াত : ৪৯)
১১. হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৫)
১২. আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে তাহাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন, যে তাহার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাহাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তাহারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল। (সূরা ইমরান, আয়াত : ১৬৪, সূরা জুমা, আয়াত : ০২)।
১৩. যেমন আমি তোমাদরে মধ্য হইতে তোমাদরে নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি, যে আমার আয়াত সমূহ তোমাদরে নিকট তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় আর তোমরা যাহা জানিতে না তাহা শিক্ষা দেয়। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৫১)
১৪. আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাহার রাসূলকে যে ফায় দিয়াছেন তাহা আল্লাহর, তাহার রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, যাহাতে তোমাদের মধ্যে যাহারা বিত্তবান কেবল তাহাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল তোমাদেরকে যাহা দেন তাহা তোমরা গ্রহণ কর এবং যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তাহা হইতে বিরত থাক। (সূরা হাশর, আয়াত : ০৭)
১৫. যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যে নবীর উল্যেখ আছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে যে কিতাবগুলো তাহাদের নিকটে আছে, যে নবী তাহাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অসৎকাজে বাধা দেন, যে নবী তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন এবং যে মুক্ত করে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে-যাহা তাহাদে উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর (কুরআন) তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
১৬. হে মুহাম্মদ! বলুন, "হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট সত্য (কুরআন) আসিয়াছে। সুতরাং যাহারা সৎপথ অবলম্বন করিবে তাহারাতো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করিবে এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইবে তাহারাতো পথভ্রষ্ট হইবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই। আপনার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হইয়াছে আপনি তাহার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারন করুন, যে পর্যন্ত না আল্লাহ তায়ালা ফয়সালা করেন এবং আল্লাহই সর্বোত্তম বিধানকর্তা। ( সূরা ইউনুস, আয়াত : ১০৮-১০৯)
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এক কথায় শেষ করি আজ ২৬ রমজান, ২৭ এ রাত্রি পবিত্র কদর এর রাত। আজ তেমন লাফা-লাফি নাই, চিৎকার নাই যে ভাবে মানুষ শবেবরাত কে নিয়ে মেতেছিলো। কোথায় শবেবরাত আর কোথায় কদর। কদর এর এত বিশাল মজেজা থাকা শর্তেও এই কদর এর কথা আজ তেমন একটা শোনা যায় না হাদীস ওয়ালাদের কাছে। কদর এর রাত্রিকে ম্লান করতেই জন্ম হয়েছিলো শবেবরাতের। ঠিক তেমনি কোরআন কে ম্লান করতে'ই জন্ম হয়েছে নানান হাদীস গ্রন্থের।
৯২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাজিবুললাহ্ আপনার একজন অনুসারী পাওয়া গেছে।
Click This Link
৯৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনারা তো ইবনে কাসির আর তাবারীর খুব ভক্ত সেজেছেন। নিজেদের মতাদর্শ প্রমানে তাদের রেফারেম্স দেন। ইবনে কাসির সূরা নিসার ১১৩ নং আয়াত "হে রাসূল আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও হিকমত নাযিল করেছেন" এ হিকমত এর অর্থ যে হাদীস করেছেন তা কি জানেন ? জেনে থাকলে মানেন না কেন ? নাকি যখন আপনাদের পক্ষে ইবনে কাসির যাবে তখন মানবেন আর যখন বিপক্ষে যাবে তখন মানবেন না ?
৯৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৮
নজিবুল্লাহ বলেছেন:
মেহেদী পরাগ তার পোষ্টে করা আমার সব কমেন্ট মুছে দিয়ে আমাকে ব্লক করেছে। এটাকে কেন হকের সামনে (হাদীস-মাযহাব অনুসরণ) বাতিলের (হাদীস অস্বীকার) পরাজয় বলা যাবে না, পাঠকগণের নিকট আমার প্রশ্ন। উল্লেখ্য তাদের আরেক গুরু মজবাসার কোরআনকে আল্লাহর বানী বিশ্বাস করে না, সে বলে কোরআন হল নবীর নিজস্ব কথা বা হাদীস আর কোরআন হল আরেকটা আলাদা জিনিস যে কোরআন আল্লাহর আরশে আছে দুনিয়ায় কোরআন থাকা অসম্ভব। এই হল কোরআনের প্রতি তাদের বিশ্বাস। তবে কেন তাদেরকে কাফের বলা যাবে না ? কমেন্টের জবাব না দিয়ে ব্লক করা কি হকের পরিচয় নাকি বাতিলের পরিচয় ?
৯৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: হাদীসকে অস্বীকার করার পর কুরআনকে নিজের মনগড়া মত তরজমা করা সহজ। হাদীস না থাকার কারনেই আগের কিতাবগুলো বিকৃত করা সহজ হয়েছে। বাইবেলের ৩০০র উপর ভারসন।
http://www.youtube.com/watch?v=75BasrjBoLc
আর আগের কিতাবগুলোর সবই কুরআনে এসে গেছে। তাই কুরআন মানলেই আগের কিতাবগুলো মানা হয়।
৯৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাঙাল শিক্ষক কোরআন মানলেই আগের কিতাব মানা হলো এটা আপনি বুঝেছেন কিন্তু আল্লাহ কিবলছেন সূরা মায়েদায় চলুন দেখি।
সূরা মায়েদা ৫:৬৮ আয়াতঃ
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
সূরা মায়েদোয় আল্লাহ পৃথক পৃথক কিতাবের নাম বলেদিয়েছে। আর আপনি কেবল কোরআনের কথা বলছেন, তার মানে আল্লাহ সম্পকে বিতন্ড করছেন। এই ব্যাপারে কোরআন কিবলে চলুন দেখি:
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৮ আয়াতঃ وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
অর্থঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ সমন্ধে বিতন্ডা করে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে দলিল, না আছে কোন দ্বীপ্তিময় গ্রন্থ।
আল্লাহ্ আপনার সৃদৃষ্টি দান করুন---আমেন
৯৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর, আমাকে একটি করে সহীহ তওরাত ও ইঞ্জিল পাঠান যা মানুষ দ্বারা বিকৃত হয় নি। ধন্যবাদ।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাঙাল শিক্ষক যে গুলো বিকৃত হয়েছে সেগুলো ভুল আপনারা ধরেদিয়ে সঠিক কোনটি ছিলো সেটি মানুষের সামনে তুলে ধরুন।
৯৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: Abu’l-Darda’ & Musnad Ahmed hadiths:
‘Umar brought some pages of the Tawraat to the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) and said, ‘O Messenger of Allaah, (these are) some pages of the Tawraat which I took from a brother of mine from Bani Zurayq.’ The face of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) changed, and ‘Abd-Allaah ibn Zayd – the one who was shown the Adhaan in a dream – said: ‘Have you gone mad? Do you not see [the expression] on the face of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him)?’ ‘Umar said: ‘We are content with Allaah as our Lord, with Islam as our religion, with Muhammad as our Prophet and with the Qur`aan as our guide. The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) relaxed and said: ‘By the One in Whose hand is the soul of Muhammad, if Moosa were among you, and you followed him and left me, you would go far astray. You are my share among the nations and I am your share among the Prophets.’
مسند أحمد:
جاء عمر بن الخطاب إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني مررت بأخ لي من بني قريظة فكتب لي جوامع من التوراة ألا أعرضها عليك قال فتغير وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم قال عبد الله يعني ابن ثابت فقلت له ألا ترى ما بوجه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال عمر رضينا بالله تعالى ربا وبالإسلام دينا وبمحمد صلى الله عليه وسلم رسولا قال فسري عن النبي صلى الله عليه وسلم وقال والذي نفس محمد بيده لو أصبح فيكم موسى ثم اتبعتموه وتركتموني لضللتم إنكم حظي من الأمم وأنا حظكم من النبيين
৯৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: খৃষ্টধর্ম না পৌলবাদ
মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম
এক. ‘ইনজীল’ : ‘ইনজীল’ শব্দটি শুনলেই মনে হয়, এটি সেই আসমানী কিতাবের নাম, যা বনী ইসরাঈলের শেষনবী হযরত ঈসা মসীহ আলায়হিস সালামের উপর নাযিল হয়েছিল। এরকম মনে হওয়াই স্বাভাবিক, যেহেতু তাঁর প্রতি অবতীর্ণ কিতাবেরই নাম ছিল ইনজীল। কিন্তু আফসোস, বনী ইসরাঈল তথা হযরত ঈসা (আ)-এর উম্মত তাদের সে পবিত্র কিতাবখানির হেফাজত করেনি, ফলে কালের গর্ভে তা এমনভাবেই হারিয়ে গেছে যে, কোথাও তার নিশানাটুকু পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই।
এখন খৃষ্টানদের হাতে ‘ইনজীল’ নামে যে গ্রন্থ আছে, তা মূলত হযরত ঈসা (আ)-এর জীবনী। মথি, মার্ক, লূক ও ইওহোন্না-এই চার ব্যক্তি সম্পর্কে কথিত যে, তারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে হযরত ঈসা (আ)-এর জীবনী সংকলন করেছেন। প্রত্যেকের সংকলনই ‘ইনজীল’ নামে পরিচিত। খৃষ্টসম্প্রদায় চারও ইনজীলকে আসমানী কিতাবের মর্যাদা দিয়েছে ফলে সবগুলি একত্রে একই ভলিউমে মূদ্রিত হয়ে থাকে। সুতরাং এখন ইনজীল শরীফ বললে এই চারও ‘ইনজীলে’র সমষ্টিকেই বুঝতে হবে।
দুই. উপরে বর্ণিত চারখানি গ্রন্থ ছাড়াও প্রচলিত ইনজীলে আরও ২৩খানি পুস্তিকা সংযুক্ত আছে। মোট এ সাতাশখানির সমষ্টিকে ইনজীল বলা হয়ে থাকে। শেষোক্ত পুস্তিকাসমূহের প্রথমটি হল পৌলের শিষ্য ‘লূক’-এর লেখা হযরত ঈসা (আ)-এর হাওয়ারীগণ (যারা তৎকর্তৃক দাওয়াতী কাজের জন্য প্রেরিত ছিলেন) এবং সেন্ট পৌলের প্রচারকার্যের বিবরণী। এটির নাম ‘প্রেরিত’। তারপর তেরখানি সেন্ট পৌলের লেখা বিভিন্ন স্থান ও লোকের উদ্দেশে লেখা চিঠি। উনিশ নম্বরে ‘ইবরানী’ নামক লেখাটির লেখক অজ্ঞাতনামা জনৈক ব্যক্তি। তারপর একটি চিঠি ইয়াকূবের, দুটি পিতরের, তিনটি ইওহোন্নার ও একটি এহুদার বলে কথিত। সবশেষে ‘প্রকাশিত কালাম’-এর লেখকও ইওহোন্না।
তো এসব চিঠিপত্র কিভাবে ইনজীলের অংশরূপে আসমানী কিতাবের মর্যাদা পেল তা বোধগম্য নয়। যদিও প্রথম চারখানিও আসমানী কিতাব নয় কিছুতেই।
তেইশখানি পুস্তকের সমষ্টি যে আসমানী কিতাব সেই ধারণা সৃষ্টির জন্য কুরআন মজীদের অনুকরণে এক বাক্য বা একাধিক বাক্যকে ‘আয়াত’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। আর অধিকাংশ পুস্তকে আছে একাধিক অধ্যায়।
তিন. এ রচনায় যেসব উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সরাসরি বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, নিউ ইস্কাটন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘ইনজীল শরীফ’ থেকে নেওয়া। তাতে পুস্তকের নাম, অধ্যায় নং ও আয়াত নং দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেমন প্রেরিত ২:৩ অর্থাৎ প্রেরিত পুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩নং আয়াত। দু’-একটি উদ্ধৃতি ‘খৃষ্টধর্ম বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ’-এর বরাতে কলিকাতা থেকে মুদ্রিত ‘মঙ্গলবার্তা’ নামক বাংলা ইনজীল থেকেও নেওয়া হয়েছে।
চার. হাওয়ারী : এ শব্দটি পাঠকের চোখে বারবারই পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের মত হযরত ঈসা আলাইহিস সালামেরও কতিপয় বিশিষ্ট শীষ্য ছিল। তাঁর বিশিষ্ট শীষ্যদেরকে বলা হয় হাওয়ারী। তাদের সংখ্যা ১২ জন।
পাঁচ. সুসংবাদ : এ রচনার বিভিন্ন উদ্ধৃতিতে ‘সুসংবাদ প্রচার’ কথাটি আসবে। ‘সুসংবাদ’ বলতে ইনজীলকে বোঝায়। ইনজীল অর্থ সুসংবাদ, সুখবর, সুসমাচার। ইংরেজিতে বলে ‘গসপেল’। সুতরাং সুসংবাদ প্রচার বা সুখবরের তবলীগ বলতে ‘ইনজীলের প্রচার’ বোঝানো হয়েছে।
ছয়. যীশু খৃষ্ট : এটি হযরত ঈসা মসীহ আলাইহিস সালাম-এর পরিবর্তিত উচ্চারণ। ‘যীশু’-এর গ্রীক উচ্চারণ জিসাস, হিব্রুতে ‘যেশুয়া’ এবং আরবীতে ঈসা। আর ‘খৃষ্ট’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ও গ্রীক ‘ক্রাইস্ট’ থেকে। ক্রাইস্ট শব্দটি হিব্রু ‘মাসায়া’ বা ‘মোসায়া’-এর তরজমা, যাকে আরবীতে বলে ‘মসীহ’, অর্থাৎ ‘অভিষেকপ্রাপ্ত’ বা ‘পরিব্রাজক’ বা স্পর্শ দ্বারা চিকিৎসাকারী ইত্যাদি। সুতরাং যীশুখৃষ্ট হলেন ঈসা মসীহ, ইংরেজিতে ‘জিসাস ক্রাইস্ট’।
সাত. তরীকা বন্দী : এর অপর নাম ব্যাপটাইজ বা বাপ্তিস্ম (Baplism)। এটা খৃষ্টধর্ম গ্রহণকারীর জন্য অবশ্যপালনীয় প্রথা। এ ছাড়া কেউ খৃষ্টান বলে গণ্য হয় না। যে ব্যক্তি এ ধর্ম গ্রহণ করতে চায়, প্রথমে তাকে এ ধর্মের মৌলিক শিক্ষা লাভ করতে হয়। এটা তার উত্তরণ পর্ব। এ পর্বে তাকে খৃষ্টান বলা হয় না। শিক্ষা সমাপ্তির পর তাকে বিশেষ পদ্ধতিতে নগ্ন অবস্থায় পানিতে নামানো হয়। তারপর জিজ্ঞেস করা হয় সে ‘পিতা, পুত্র ও পাক রূহ-এর প্রতি বিশ্বাস রাখে কি না? তাকে বলতে হয়, হাঁ বিশ্বাস রাখি। তারপর পানি থেকে তুলে তাকে সাদা কাপড় পরিয়ে দেওয়া হয়। এই হচ্ছে তরিকাবন্দী। এর মাধ্যমে সে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়। তাদের বিশ্বাস তরিকাবন্দীর মাধ্যমে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত ব্যক্তি বিগত সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে যায় (বিস্তারিত দেখুন খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ৫৫-৫৬)।
কে এই পৌল?
প্রচলিত খৃষ্টধর্মে হযরত ঈসা মসীহ আলাইহিস সালামের পর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন পৌল বা সেন্ট পল। তাঁর শিক্ষার উপরই এ ধর্মের সুবিশাল সৌধ স্থাপিত। এর অনুসারীদের কাছে প্রচলিত ইনজীলের বর্ণনা যতটা না, তারচেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব লাভ করেছে পৌলের পত্রাবলি ও তার প্রিয় শিষ্য ও মানসপুত্র লূকের রচনাসমূহ। কি আকীদা-বিশ্বাস, কি আচার-অনুষ্ঠান সব ক্ষেত্রে পৌলের মতামতই চূড়ান্ত কথা। ভক্তিতে তো হযরত মসীহ এবং মসীহই তাদের পরম পূজ্য, কিন্তু ধর্মাচার ও চিন্তা-চেতনায় পৌলই তাদের নির্বিকল্প আদর্শ। তা কে এই আদর্শপুরুষ, যিনি দু হাজার বছর যাবৎ বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো এ জমকালো ধর্মটির একচ্ছত্র শাসক হয়ে আছেন?
যতদূর জানা যায় তিনি এশিয়া মাইনরের লোক। সিলিসিয়া (কিলিকিয়া) জেলার অন্তর্গত তার্ষ বা তারসাস শহরে তার পরিবার বাস করত। তারা ছিল ইহুদীদের দ্বাদশ শাখার অন্যতম বিনয়ামীন গোত্রের লোক এবং ধর্মবিশ্বাসে অত্যন্ত গোঁড়া ও প্রতিক্রিয়াশীল। হযরত মুসা আলাইহিস সালামের শরীআত তথা তাওরাতের বিধিবিধান কঠোরভাবে পালন করত। এ রকম গোঁড়া ইহুদীগণ ফরীশী নামে পরিচিত ছিল।
তাঁর জন্মতারিখ ঠিক জানা যায় না, তবে তিনি হযরত মসীহ (আ)-এর জমানারই লোক। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল শৌল এবং ধর্মান্তরের পূর্ব পর্যন্ত এ নামেই পরিচিত ছিলেন। তাওরাতের বিধান অনুযায়ী আট দিনের দিন তার খৎনা করানো হয়।
শৌল বা পৌলের জীবন বিপরীতমুখী দুই অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায় পৃথিবীতে হযরত মসীহ (আ)-এর বর্তমান থাকাকালীন আর দ্বিতীয় অধ্যায় তার পরবর্তীকালীন।
তার জীবনের প্রথম অধ্যায়
প্রথম অধ্যায়ে তার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। হ্যাঁ ধর্মাদর্শ সম্পর্কে তার আপন বয়ান দ্বারা প্রকাশ যে, ফরীশী-ঐতিহ্য অনুযায়ী তিনি ইহুদী ধর্মের একজন কঠোর অনুসারী ছিলেন। তিনি বলেন, ছেলেবেলা থেকে অর্থাৎ আমার জীবনের শুরু থেকে আমার নিজের দেশের এবং জেরুজালেমের লোকদের মধ্যে আমি কিভাবে জীবন কাটিয়েছি ইহুদীরা সবাই তা জানে। তারা অনেকদিন ধরেই আমাকে চেনে এবং ইচ্ছা করলে এই সাক্ষ্য দিতে পারে যে, আমাদের ধর্মে ফরীশী নামে যে গোঁড়া দল আছে আমি সেই ফরীশীর জীবনই কাটিয়েছি (প্রেরিত ২৬ : ৪-৫)। এর স্বাভাবিক অর্থ, ইহুদী ধর্ম যেমন কঠোরভাবে পালন করতেন, তেমনি এ ধর্মের বিপরীত যে কোনও ডাক ও প্রচারকেও তিনি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতেন ও তার দমনে জোরালো ভূমিকা রাখতেন। সুতরাং হযরত ঈসা মসীহ (আ) তাওরাতের অনুসারী একজন ইসরাঈলী পয়গম্বর হওয়া সত্ত্বেও প্রথাগত কোন-কোন বিধানে রদবদল করার দরুন আরও অনেক ইহুদীর মত শৌলও তাকে মেনে নিতে পারেননি। মেনে তো নেনইনি উপরন্তু তিনি হয়ে ওঠলেন তার ঘোরতর শত্রু। তাঁর ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সবকিছুই করতেন। কিভাবে তাদের মূলোৎপাটন করা যায় এবং চতুর্মুখী জুলুম-নিপীড়নে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা যায় দিবারাত্র কেবল সেই ফন্দীই আঁটতেন। এককথায় তিনি ছিলেন হযরত যিশুখৃষ্ট, খৃষ্টধর্ম ও খৃষ্টসম্প্রদায়ের জানী দুশমন। তার নিজের মুখেই শুনুন, ‘আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম, নাসরাতের ঈসার বিরুদ্ধে যা করা যায় তার সবই আমার করা উচিত, আর ঠিক তাই আমি জেরুজালেমে করছিলাম। প্রধান ইমাম (মহাধর্মযাজক)-দের কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়ে আমি ঈসায়ী ইমানদার অনেককে জেলে দিতাম এবং তাদের হত্যা করবার সময় তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিতাম। তাদের শাস্তি দেবার জন্য আমি এক মজলিসখানা থেকে অন্য মজলিসখানায় যেতাম এবং ঈসার বিরুদ্ধে কথা বলবার জন্য আমি তাদের উপর জোর খাটাতাম।ও তাদের উপর আমার এত রাগ ছিল যে, তাদের উপর জুলুম করবার জন্য আমি বিদেশের শহরগুলোতে পর্যন্ত যেতাম (প্রেরিত ২৬ : ৯-১১)।
আরও বলেন, ঈসার পথে যারা চলত, আমি তাদের জুলুম করে অনেককে হত্যা করতাম আর পুরুষ ও স্ত্রীলোককে ধরে জেলখানায় দিতাম। একথা সত্যি যে, তার সাক্ষী মহাইমাম (প্রধান ধর্মযাজক)ও মহাসভার সকলেই (প্রেরিত ২২ : ৪-৫)।
তাঁর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়
এভাবেই চলতে থাকে তার জীবনের প্রথম অধ্যায়। হযরত ঈসা (আ)-এর বর্তমানকালে এতে কোন পরিবর্তন আসেনি। তাকে আসমানে তুলে নেওয়ার (এবং পৌলীয় ধারণা অনুযায়ী তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করার) পরও কিছুকাল তার খৃষ্টবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত থাকে। এ সময় একদিকে হযরত ঈসা (আ)-এর হাওয়ারী (বিশিষ্ট শিষ্যগণ) প্রাণপনে দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে থাকেন আর অন্য দিকে শৌল ও অন্যান্য বিরুদ্ধবাদীগণও তাদের দমননীতিতে অটল থাকে। কিন্তু সব রকম বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও হাওয়ারীগণ উত্তরোত্তর সফলতা অর্জন করতে থাকেন। তাদের মেহনতের বদৌলতে ইসরাঈলী জাতির মধ্যে খৃষ্টধর্মের ক্রমবিস্তার ঘটতে থাকে। হয়তবা অচিরেই গোটা ইহুদী সম্প্রদায় এ নতুন ধর্মকে বরণ করে নিত। এহেন বাতাবরণে খৃষ্টীয় মঞ্চের এক মহানায়করূপে ঘটে শৌলের রূপান্তরিত আবির্ভাব, যাকে এক অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনাই বলা চলে। অর্থাৎ যখন বিরুদ্ধ প্রচার-প্রচারণায় কাজ হল না, দমন-নিপীড়ন ও সম্মুখসমরেও জেতা যাচ্ছিল না, তখন তিনি বন্ধুত্বের ছদ্মাবরণে ও ঈসায়ী লেবাস পরে ঈসায়ী ধর্মকে ধূলিসাৎ করার মিশনে অবতীর্ণ হলেন। লক্ষ্য ছিল-খৃষ্টধর্মের খোলনলচে পাল্টে হযরত খৃষ্ট (আ)-এর নামে নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করা এবং ইহুদী ও অইহুদী উভয়ের মধ্যে তার বিস্তার ঘটিয়ে সর্বজনীন ধর্মগুরুরূপে নিজের আসন পাকাপোক্ত করা।
সুতরাং হাওয়ারীগণের সাফল্য লাভের সেই সন্ধিক্ষণে মহাশত্রু শৌল আচমকাই তার ধর্মান্তরের ঘোষণা দেন এবং নিজেকে খৃষ্টের একজন নিবেদিত সেবকরূপে পেশ করেন। অদৃষ্টপূর্ব এ পরিবর্তন কিভাবে ঘটল তার বিবরণ শৌলের নিজ জবানীতেই শুনুন, ‘একবার প্রধান ইমামদের কাছ থেকে (ঈসার অনুসারী সকল নর-নারীকে বেধে জেরুজালেম নিয়ে আসার) ক্ষমতা ও হুকুম নিয়ে আমি দামেস্কে যাচ্ছিলাম। মহারাজ! (রাজা আগ্রিপ্পকে লক্ষ্য করে) তখন বেলা প্রায় দুপুর, পথের মধ্যে সূর্যের থেকেও উজ্জ্বল একটা আলো আসমান থেকে আমার ও আমার সঙ্গীদের চারদিকে জ্বলতে লাগল। আমরা সবাই মাটিতে পড়ে গেলাম এবং আমি শুনলাম হিব্রু ভাষায় কে যেন আমাকে বলছে, শৌল, শৌল, কেন তুমি আমার উপর জুলুম কর? কাঁটা বসানো লাঠির মুখে লাথি মেরে কি তুমি নিজের ক্ষতি করছ না? তখন আমি বললাম, প্রভু আপনি কে? প্রভু বললেন, আমি ঈসা, যার উপর তুমি জুলুম করছ। এখন ওঠো, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও। সেবাকারী ও সাক্ষী হিসেবে তোমাকে নিযুক্ত করবার জন্য আমি তোমাকে দেখা দিলাম। তুমি আমাকে যেভাবে দেখলে এবং আমি তোমাকে যা দেখাব তা তুমি অন্যদের কাছে বলবে। তোমার নিজের লোকদের ও অইহুদীদের হাত থেকে আমি তোমাদের রক্ষা করব। তাদের চোখ খুলে দেবার জন্য ও অন্ধকার থেকে আলোতে এবং শয়তানের শক্তির হাত থেকে আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে আনবার জন্য আমি তোমাকে তাদের কাছে পাঠাচ্ছি; যেন আমার উপর ঈমানের ফলে তারা গুনাহের মাফ পায় এবং যাদের পবিত্র করা হয়েছে তাদের মধ্যে স্থান পায় (প্রেরিত ২৬ : ১২-১৯)।
শৌল এ ঘটনার বিবৃতিদানপূর্বক প্রভু মসীহের উপর ঈমান আনার দাবি করেন। তিনি তার আগের নামও বদলে ফেলেন। নতুন নাম গ্রহণ করেন পৌল।
নতুন ধর্মশিক্ষায় তার কর্মপন্থা
নিজ ধর্মমত ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পর নতুন ধর্মের শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহণের জন্য সাধারণত যা করা হয়ে থাকে, পৌল কিন্তু তা করলেন না। আশা তো এ রকমই হওয়ার কথা যে, তিনি খৃষ্টধর্মের শিক্ষাগ্রহণের জন্য এ ধর্মের যারা সর্বাপেক্ষা বড় আলেম, হযরত মসীহ (আ)-এর সরাসরি হাতেগড়া সেই হাওয়ারী ও শিষ্যবর্গের কাছে ছুটে যাবেন এবং তাদের কাছ থেকে এ ধর্ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাগ্রহণ করবেন। তিনি কিন্তু সে রকম কিছুই করলেন না। কারও সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ পর্যন্ত করলেন না; বরং তিনি হাওয়ারীদের প্রভাববলয়ের বাইরে দক্ষিণ দামেস্কে চলে গেলেন এবং সেখানে টানা তিন বছর নিভৃত জীবন যাপন করলেন। গালাতীয়দের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ...‘আল্লাহ যখন তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর পুত্রকে আমার কাছে প্রকাশ করলেন তখন আমি কোন লোকের সঙ্গে পরামর্শ করিনি। এমনকি যারা আমার সঙ্গে সাহাবী হয়েছিলেন আমি জেরুজালেমে তাদের কাছেও যাইনি। আমি তখন আরব দেশে চলে গিয়েছিলাম’। (গালাতীয় ১:১৬-১৭)।
তার এই ব্যতিক্রমী কর্মপন্থার রহস্য কী? সে রহস্য উন্মোচনের জন্য পৌলের নিম্নোক্ত উক্তিসমূহ লক্ষণীয়,
* আল্লাহ আমার জন্মের সময় থেকেই আমাকে নিযুক্ত করে রেখেছিলেন এবং তারই রহমতে সাহাবী হওয়ার জন্য আমাকে ডেকেছিলেন (গালাতীয় ১ : ১৫)।
* আমি যে সুসংবাদ তবলীগ করছি তা কোন মানুষের বানানো কথা নয়। আমি কোন মানুষের কাছ থেকে তা পাইনি বা কেউ আমাকে তা শেখায়নি; বরং ঈসা মসীহ নিজেই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছিলেন (গালাতীয় ১ : ১১-১২)।
* জামাতের গণ্যমান্য লোকেরা সুসংবাদ বিষয়ে নতুন কোন কিছুই আমাকে জানাননি। আসলে তারা যাই হোক না কেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না (গালাতীয় ২ : ৬)।
* আমি কি স্বাধীন নই? আমি কি সাহাবী নই? আমাদের হযরত ঈসাকে কি আমি দেখিনি? প্রভুর জন্য আমি যে কাজ করেছি তোমরা কি তারই ফল নও? (১-করিন্থীয় ৯ : ১)।
* মসীহের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার লোক হয়ত তোমাদের হাজার হাজার থাকতে পারে, কিন্তু পিতা তোমাদের অনেক নেই। আমিই সুসংবাদের মধ্য দিয়ে ঈসায়ী জীবনে তোমাদের পিতা হয়েছি (১ করিন্থীয় ৪ : ১৫)।
* আমার তো মনে হয় না আমি কোন দিক দিয়ে ঐসব বিশেষ সাহাবীদের চেয়ে পিছনে পড়ে আছি। যদিও আমি খুব ভালো করে কথা বলতে পারি না, তবুও আমার যথেষ্ট জ্ঞান আছে (১ করিন্থীয় ১১ : ৫, ৬)।
* আল্লাহর কাছ থেকে যে বিশেষ রহমত আমি পেয়েছি তার দ্বারাই ওস্তাদ রাজমিস্ত্রির মত আমি ভিত্তি গেঁথেছি আর তার উপরে অন্যেরা দালান তৈরি করেছে (১-করিন্থীয় ৩ : ১০)।
তার এসব কথা আমাদেরকে যে বার্তা দেয় তা নিম্নরূপ,
১. জন্মের আগে থেকেই তিনি আল্লাহ কর্তৃক ঈসা মসীহের সাহাবী ও ধর্মপ্রচারকরূপে মনোনীত।
২. তাঁর প্রচারিত ধর্মাদর্শ মসীহ (আ) স্বয়ং তাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
৩. যেহেতু স্বয়ং মসীহ কর্তৃক শিক্ষাপ্রাপ্ত, তাই কোন মানুষের কাছ থেকে তার শিক্ষাগ্রহণের কোন প্রয়োজনবোধ হয়নি। হোক সে মানুষ সরাসরি মসীহের শিষ্য ও তাঁর হাতেগড়া।
৪. একই কারণে ঈসায়ী জামাতের কোন লোক তার কাছে ভ্রূক্ষেপযোগ্য ছিল না, তিনি যতই গণ্যমান্য হোন।
৫. হযরত মসীহের বর্তমানকালে ঘোরশত্রু হওয়া সত্ত্বেও (খৃষ্টীয় বিশ্বাস অনুযায়ী) তাঁর মৃত্যুর পর কথিত অলৌকিক সাক্ষাতকারের মাধ্যমে এক লহমায় তিনি কেবল একজন সাহাবীই নয়; বরং জীবদ্দশার সাহাবীগণকে ছাড়িয়ে এ ধর্মের পিতৃত্বের মর্যাদায় পৌঁছে যান।
৬. আল্লাহ ও মসীহের কল্যাণ-করুণায় তিনি দক্ষ রাজমিস্ত্রির মত এ ধর্মের ভিত্তিস্থাপন করেন, যার উপর অন্যেরা ধর্মের দালান গাঁথে।
হাওয়ারীদের থেকে শিক্ষাগ্রহণ না করার কারণ
এর দ্বারা আমরা দুটি জিজ্ঞাসার জবাব পেয়ে যাই। প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল তিনি ধর্মান্তরের পর মসীহ (আ)-এর প্রত্যক্ষ শিষ্যদের কাছ থেকে খৃষ্টধর্মের সবক নিলেন না কেন? উত্তর সহজ। যিনি আল্লাহ তাআলা কর্তৃক মনোনীত ও খোদ খৃষ্ট কর্তৃক শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে এ ধর্মের পিতৃত্বের আসনে পৌঁছে গেছেন এবং জাতির পিতা হিসেবে এ ধর্মের ভিত্তি স্থাপনের গুরু মতলবে আছেন তার তো হাওয়ারীগণসহ অন্য কোন খৃষ্টীয় ধর্মজ্ঞের কাছ থেকে এ ধর্মের সবক নেওয়ার কথা নয় এবং নেওয়া যুক্তিযুক্তও নয়; বরং অন্য সকলেরই কর্তব্য হবে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে সে অনুযায়ী নিজেদের ধর্মমতকে পুনর্বিন্যস্ত করা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোন নবীর অন্তর্ধানের পর তার চিরদিনের শত্রু কিংবা পরম মিত্রও যদি তাঁর সঙ্গে অলৌকিক সাক্ষাতকারের দাবিতে এমন কোন শিক্ষা প্রচার করে, যা সেই নবীর নিজের প্রবর্তিত এবং তার হাতে গড়া শিষ্যদের কর্তৃক প্রচারিত শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত তবে তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য এবং এমনটা ঘটা বাস্তবে কতটুকু সম্ভব?
এটা সম্ভব হলে যে কোন নবীর নবুওয়াত ও নবুওয়াতী শিক্ষা একদম খেলো হয়ে যায়। এক একজন খেলোয়াড় আসবে আর এইমত দাবি করে সেই নবীর নামে নতুন শিক্ষার প্রচার শুরু করে দেবে আর এভাবে অগণ্য শিক্ষার ডামাডোলে সেই নবীর আসল শিক্ষাই লোপাট হয়ে যাবে। তখন তো নবুওয়াত মানুষের পক্ষে হিদায়াত ও রহমতের বিষয় থাকবে না; বরং মানব-অস্তিত্বের পক্ষেই এক মহামসিবত হয়ে দাঁড়াবে। খোদ খৃষ্টান জাতিকেও তো এজন্য কম যন্ত্রণা পোহাতে হয়নি। হাওয়ারীগণের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক শতাব্দীকাল পর্যন্ত এ জাতিকে হযরত ঈসা (আ)-এর মূল শিক্ষা ও পৌলীয় শিক্ষার সংঘর্ষে পেষাই হতে হয়েছে (বিস্তারিত জানার জন্য শায়খুল ইসলাম তাকী উছমানী কৃত ‘খৃষ্টধর্মের স্বরূপ’ বইখানি দেখুন।)
বস্ত্তত হযরত মসীহ (আ)-এর সাথে অলৌকিক সাক্ষাতের মাধ্যমে খৃষ্টধর্মের শিাগ্রহণ ও এ ধর্মের বিশেষ মর্যাদালাভের যে দাবি পৌল করেছেন তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবাস্তব। তার এ দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ তাকে একজন স্বতন্ত্র নবী ও রাসূলরূপে স্বীকার করে নেওয়া, যার মাধ্যমে হযরত মসীহ (আ)-এর রেখে যাওয়া দীন ও শিক্ষা রহিত হয়ে গেছে। যদি হযরত মসীহ (আ)-এর জীবদ্দশায় প্রচারিত ধর্ম তার পরবর্তীকালে তাঁর নামে প্রচারিত ধর্ম দ্বারা রহিত হয়ে যাওয়ার কথা থাকে, তবে সে সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই তার ভবিষ্যদ্বাণী করে যাওয়ার কথা ছিল। এই আগাম খবর দিয়ে যাওয়া দরকার ছিল যে, ‘তাঁর পরে ‘পৌল’ নামে এক ‘বৈপ্লবিক রাসূল’-এর আবির্ভাব ঘটবে, তাঁর উম্মত যেন তাঁকে মেনে নেয়। কিন্তু সেরকম কোন সংবাদ তো দূরের কথা, কোন ইশারা-ইংগিত পর্যন্তও যখন তিনি করে যাননি, তখন এ অস্বাভাবিক পৌলীয় দাবিকে মেনে নেওয়ার কোন বৈধতা থাকতে পারে না। (এ সম্পর্কে বিস্তারিত দ্র. খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ১০৫; মাওলানা আবদুল মতীন, খৃষ্টধর্ম বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ, পৃ. ২৫-২৭)
আরবদেশে কেন গিয়েছিলেন
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, তিনি দক্ষিণ দামেস্কে আরব এলাকায় কেন গিয়েছিলেন? ইতিপূর্বে পৌলের যে উক্তিসমূহ উদ্ধৃত করা হয়েছে তার ভেতরেই এ প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে। তাঁর কথায় তো স্পষ্ট, ‘খৃষ্টধর্মের পিতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি এ ধর্মের ভিত রচনা করেছেন।’ বস্ত্তত হাওয়ারীগণ হযরত ঈসা (আ) থেকে শিা পেয়ে যে ধর্ম প্রচার করছিলেন পৌল আদৌ সে ধর্ম গ্রহণে প্রস্ত্তত ছিলেন না। তাঁর লক্ষ ছিল হযরত মসীহ (আ)-এর প্রকৃত দীনের পরিবর্তে একটি নতুন ধর্মের গোড়াপত্তন করা আর সেজন্য হযরত মসীহ (আ)-এর পবিত্র নামকে ব্যবহার করা। এজন্য দরকার ছিল হাওয়ারীদের প্রভাববলয়ের বাইরে এমন কোন নিভৃত পরিবেশে চলে যাওয়ার যেখানে বসে তিনি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবেন এবং খৃষ্টধর্মকে নতুন ছাঁচে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হবেন। সেইসাথে নববিন্যস্ত সে ধর্মের প্রচার-প্রসার কল্পে নিজ কর্তব্যকর্মও স্থির করতে পারবেন। বিখ্যাত খৃষ্টান ঐতিহাসিক জেমস ম্যাককিনন তার পান্ডিত্যপূর্ণ রচনা ‘ফ"ম ক্রাইস্ট টু কনস্টান্টাইন’-এর এক স্থানে লেখেন, ‘... তিনি আরবদেশে চলে গেলেন। দৃশ্যত তার উদ্দেশ্য তাবলীগ অপেক্ষাও বেশি ছিল নিজ নতুন বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত বিষয়াবলি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করা।’ (খৃষ্ঠধর্মের স্বরূপ, পৃ. ১০৪)
এনসাইকোপিডিয়া ব্রিটানিকায় ‘পৌল’-এর নিবন্ধকার আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘শীঘ্রই তাঁর এমন কোন নিরিবিলি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলে যাওয়ার প্রয়োজনবোধ হল, যেখানে তিনি নতুন অবস্থান সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবেন। সুতরাং তিনি দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলেন। তার সামনে এখন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল শরীয়তের নতুন ব্যাখ্যাদান করা। (খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ১০৪)
পৌল বনাম হাওয়ারীগণ
আরব এলাকায় তিন বছর নিভৃত জীবন কাটানোর পর পৌল জেরুজালেম ফিরে আসেন এবং হাওয়ারীদের সাথে মেশার চেষ্টা করেন। হাওয়ারীগণ তাকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তার কথিত অলৌকিক সাক্ষাতকারের বিষয়ে তাদের মনে যথেষ্ট খটকা ছিল। তিনি যে সাচ্চা ঈসায়ী হয়ে গেছেন এ ব্যাপারেও তারা সন্দিহান ছিলেন। সারা জীবন যে ব্যক্তি হযরত মসীহ ও তাঁর অনুসরণের জানী দুশমন ছিল হঠাৎ করেই সে মসীহের ভক্ত-অনুরক্ত হয়ে একদম তার খাঁটি সেবক ও ধর্মপ্রচারক হয়ে গেল এটা মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে খুব সহজও ছিল না। তাদের মনে এই সংশয়ও জেগে থাকবে যে, এটা পুরানো শত্রুর নতুন কোন দূরভিসন্ধি নয় তো? সম্ভবত এ কারণেই তারা তার দাবিতে সন্দিহান হওয়ার সাথে সাথে অন্তরে গভীর শঙ্কাও বোধ করছিলেন।
পৌলের শিষ্য লূকের লেখায়ও বিষয়টা স্পষ্ট। তিনি লেখেন, ‘পৌল জেরুজালেম এসে উম্মতদের সাথে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তারা তাকে ভয় করতে লাগল। তারা বিশ্বাস করতে পারল না যে, পৌল সত্যিই একজন উম্মত হয়েছেন’ (প্রেরিত ৯ : ২৬)।
কিন্তু পৌল প্রখর বুদ্ধিমান ছিলেন। পরিস্থিতি কিভাবে অনুকূলে আনতে হয় তার কলাকৌশল তার ভালোই রপ্ত ছিল। এজন্য যেখানে যে বেশ ধরার প্রয়োজন হত ও যেখানে যে ছল কার্যকর মনে হত তা অবলম্বন করতে কুণ্ঠাবোধ করতেন না। তিনি নিজেই বলেন, ‘যদিও আমি কারও গোলাম নই তবুও আমি নিজেকে সকলের গোলাম করেছি, যেন অনেককে মসীহের জন্য জয় করতে পারি। ইহুদীদের জয় করবার জন্য আমি ইহুদীদের কাছে ইহুদীদের মত হয়েছি। যদিও আমি মুসার শরীয়তের অধীনে নই তবুও যারা শরীয়তের অধীনে আছে তাদের জয় করবার জন্য আমি তাদের মত হয়েছি। আমার শরীয়তের বাইরে যারা আছে তাদের জয় করবার জন্য আমি শরীয়তের বাইরে থাকা লোকের মত হয়েছি। ... ঈমানে যারা দুর্বল তাদের কাছে আমি সেই রকম লোকের মতই হয়েছি, যেন মসীহের জন্য তাদের সম্পূর্ণরূপে জয় করতে পারি (১ করিন্থীয় ৯ : ১৯-২২)।
বলাবাহুল্য কোন আদর্শবাদী সাচ্চা লোক কখনও এ রকম বহুরূপী তকমা ধারণ করতে পারে না। কিন্তু পৌল এভাবে যেখানে যেমন সেখানে তেমন নীতির অনুসারী হয়ে নিজ লক্ষপানে এগুতে থেকেছেন। হাওয়ারীদের কাছেও তিনি নিজেকে তাদেরই মত একজন হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। পরিশেষে শিষ্য লূকের বর্ণনা অনুযায়ী সর্বপ্রথম হাওয়ারী বার্ণাবাস তাকে স্বীকার করে নেন এবং তিনিই উদ্যোগী হয়ে অন্যান্য হাওয়ারীদের কাছে তার অনুকূলে সাফাই দান করেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে তিনি ঈসা (আ)-এর শিষ্য ও উম্মতদের সঙ্গে মিশে যেতে সক্ষম হন। কিছুকাল হাওয়ারীদের সঙ্গে মিলেমিশেই তিনি খৃষ্টধর্মের প্রচারকার্যে মশগুল থাকেন। কিন্তু তাদের সে মিলমিশ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কেননা তার লক্ষই যেহেতু ছিল খৃষ্টধর্মের লেবাসে নতুন এক ধর্মের প্রতিষ্ঠাদান করা, তাই ধীরে ধীরে তিনি সে পথেই এগুতে থাকেন। তিনি মানুষের সামনে একেকবার খৃষ্টধর্মের একেক তত্ত্ব হাজির করতে থাকেন। কখনও ত্রিত্ববাদের তত্ত্ব, কখনও মসীহের অবতারত্বের তত্ত্ব। কখনও তাদেরকে প্রায়শ্চিত্ত্বের দর্শন শেখান, কখনও ‘প্রভুর নৈশভোজ’-এর বটিকা পান করান। এভাবে তার একেকটি নতুন তত্ত্ব সামনে আসে, আর হাওয়ারীদের মনে খটকা সৃষ্টি হতে থাকে। পরিশেষে হাওয়ারীদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, পৌলের উদ্দেশ্য মোটেই হযরত মসীহের প্রকৃত ধর্মের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা নয়; বরং সেই মোড়কে তিনি অন্য কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন। ফলে তাঁরা তার থেকে সম্পূর্ণরূপে মুখ ফিরিয়ে নেন এবং তাঁর থেকে আলাদা হয়ে আসল খৃষ্টধর্মের প্রচারকার্যে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু' ততদিনে পৌলেরও বিপুল ভক্ত-অনুরক্ত জুটে গেছে এবং ঈসায়ী জামাতের মধ্যে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি আর সকলকে ছাপিয়ে গেছে। ফলে তিনিও তাদেরকে উপেক্ষা করে আপন চিন্তা-চেতনার প্রচারে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এভাবে খৃষ্টধর্ম স্বতন্ত্র দুই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন দুই স্রোতে প্রবাহিত হতে থাকে। একটি আসল খৃষ্টধর্ম, যার নেতৃত্বে থাকেন হাওয়ারীগণ আর একটি রূপান্তরিত খৃষ্টধর্ম, যার একচ্ছত্র নেতৃত্ব দান করেন সেন্ট পল। কালক্রমে রূপান্তরিত খৃষ্টধর্মের প্রচারণার ডামাডোলে আসল খৃষ্টধর্ম লোপাট হয়ে যায়। এখন বিশ্বব্যাপী যে খৃষ্টধর্ম চলছে তা হযরত মসীহ (আ)-এর রেখে যাওয়া হাওয়ারীদের প্রচারিত খৃষ্টধর্ম নয়; বরং পৌলের চিন্তা-চেতনায় গড়ে ওঠা এক স্বতন্ত্র ধর্ম, যার জন্য পৌলবাদ নামই বেশি সংগত। (কালক্রমে কিভাবে আসল খৃষ্টধর্মের স্থলে পৌলবাদ স্বীকৃতি লাভ করল সুদীর্ঘ সেই ইতিহাস জানার জন্য দেখুন খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ১০৭-১৩৯; খৃষ্টবাদ বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ, পৃ. ১২৩-১৫৭)
খৃষ্টধর্ম না পৌলবাদ
আমরা সামনের আলোচনায় খৃষ্টধর্মের ‘আকীদা-বিশ্বাস ও ‘ইবাদত-বন্দেগীর বর্তমান রূপ, হযরত ঈসা মসীহ (আ)-এর শিক্ষা ও পৌলের চিন্তা-ভাবনা পাশাপাশি উল্লেখ করব, যা দ্বারা পাঠকমাত্রই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন যে, বর্তমান খৃষ্টধর্ম আসলেই হযরত ঈসা (আ)-এর রেখে যাওয়া দীন, না পৌলের উদ্ভাবিত এক স্বতন্ত্র ধর্ম, যার উপর হযরত ঈসা (আ)-এর তকমা আঁটা হয়েছে মাত্র।
খৃষ্টধর্মের ‘আকীদা-বিশ্বাসসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ত্রিত্ববাদ, খৃষ্টের অবতারত্ব ও পাপমোচন। এর যে কোন একটি অবিশ্বাস করলে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের কাছে সে আর যাই হোক না কেন একজন ক্যাথলিক খৃষ্টান হিসেবে কিছুতেই স্বীকার্য নয়; বরং সে একজন অখৃষ্টান বেদীনরূপেই প্রত্যাখ্যাত হবে। অথচ হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষা ও পৌলের দর্শন পাশাপাশি রেখে বিচার করলে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, এর কোনওটিই হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষা নয়; সম্পূর্ণই পৌলের মস্তিষ্কপ্রসূত মতবাদ, যা খৃষ্টসম্প্রদায় অন্ধভাবে গ্রহণ করে নিয়েছে।
ত্রিত্ববাদ
প্রচলিত ইনজীল সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞাতব্য
হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষা সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য উৎস হতে পারত তাঁর প্রতি নাযিলকৃত আসমানী কিতাব-‘ইনজীল’। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, সেই ইনজীলের কোন অস্তিত্ব জগতে নেই। খোদ খৃষ্টানজাতিই জানে না তা কখন কোথায় হারিয়ে গেছে। বর্তমানে ইনজীল বলতে বোঝায় মূলত মথি, মার্ক, লূক ও ইওহোন্না এই চারজনের সংকলিত ঈসা (আ)-এর চারখানি জীবনীগ্রন্থকে। এর সাথে লূকের লেখা ‘প্রেরিত পুস্তক’, পৌলের লেখা চৌদ্দটি চিঠি এবং পিতর ইওহোন্না প্রমুখের লেখা আরও আটটি পত্র ও পুস্তিকাসহ মোট সাতাশটির সমষ্টিকেও ইনজীল বলা হয়ে থাকে। সাধারণত খৃষ্টানগণ ২৭টির সমষ্টিকেই ‘ইনজীল শরীফ’ নামে প্রকাশ ও প্রচার করে থাকেন।
প্রচলিত ‘ইনজীল শরীফে’ সন্নিবেশিত শেষের তেইশটি তো নয়ই, প্রথম চারখানি পুস্তক অর্থাৎ মথি, মার্ক, লূক ও ইওহোন্নার সংকলনও যে আসমানী কিতাব নয়, তার অতি মোটা দাগের আলামত হল, এগুলোতে হযরত ঈসা (আ)-এর গ্রেপ্তার, তাঁকে শূলে চড়ানো ও দাফন করার কাহিনী সবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে। তাঁর জীবদ্দশায় অবতীর্ণ কিতাবে তার ‘কথিত’ মৃত্যুকালীন ও মৃত্যুপরবর্তী ঘটনাবলির বিবরণ কিভাবে থাকতে পারে? আবার এ চারখানি গ্রন্থের রচয়িতা ও এর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে বিপুল বিতর্ক রয়েছে। অমরেন্দ্রকুমার সেন তার ‘চিরদিনের বাইবেল’ (পৃ. ২২৯)-এ বলেন, নিউ টেস্টামেন্টের চারটি গসপেল বা সুসমাচার পন্ডিত ও গবেষকেরা বিভিন্ন সময় বারবার পড়েছেন। প্রতিটি শব্দ, তার উৎপত্তি, ধাতুগত অর্থ, ব্যাখ্যা সবকিছু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, গসপেলগুলির মূল লেখকরা যীশুকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না বা তার সংস্পর্শে আসেননি। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে দেখুন ‘খৃষ্টধর্মের স্বরূপ’ এবং ড. মরিস বুকাইলি রচিত ‘বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান’।
যদিও মূল আসমানী ইনজীল এখন বিলুপ্ত, তবুও প্রচলিত ‘ইনজীল শরীফ’ নামক তাঁর জীবনীগ্রন্থসমূহের মাধ্যমে তাঁর প্রকৃত শিক্ষা সম্পর্কে কিছুটা আলো পাওয়া যায়। সেই আলোতে একজন সন্ধানীমনস্ক পাঠকের পক্ষে হদীস লাগানো কিছু কঠিন নয় যে, হযরত মসীহের প্রকৃত শিক্ষা কী ছিল আর এখন তার নামে চালানো হচ্ছে কী?
ত্রিত্ববাদ না একত্ববাদ?
আল্লাহ সম্পর্কে হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষা
আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে হযরত মসীহ (আ) যে শিক্ষা দিতেন তা তাওহীদ ও একত্ববাদ ছাড়া কিছুই নয়। অর্থাৎ আল্লাহ এক, চিরঞ্জীব। তাঁর কোন শরীক নেই। কোন কিছুই তার সঙ্গে তুলনীয় নয় এবং তিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। প্রচলিত ইনজীলের বিভিন্ন স্থানে এ শিক্ষা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যেমন একবার এক ইহুদী তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তৌরাত শরীফের মধ্যে সবচেয়ে দরকারী হুকুম কোনটা? জবাবে ঈসা বললেন, সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, বনী ইসরাঈলেরা শোন, আমাদের মাবূদ আল্লাহ এক। তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবূদ আল্লাহকে মহববত করবে ...। তখন সেই আলেম বলল, হুজুর খুব ভালো কথা। আপনি সত্য কথাই বলেছেন যে, আল্লাহ এক এবং তিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই ...। ঈসা যখন দেখলেন, সেই আলেমটি খুব বুদ্ধিমানের মত জবাব দিয়েছে তখন তিনি বললেন, আল্লাহর রাজ্য থেকে আপনি বেশি দূরে নন (মার্ক ১৯ : ২৮-৩৪; মথি ২২ : ৩৬)।
ইওহোন্নার ইনজীলে আছে, হযরত মসীহ (আ) আল্লাহ তাআলার কাছে মুনাজাত করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অর্থাৎ এক ও সত্য আল্লাহকে আর তুমি যাকে পাঠিয়েছ সেই ঈসা মসীহকে জানতে পারাই সত্য জীবন (ইওহোন্না ১৭ : ৩)।
একজন নেতা ঈসাকে বলেছিল, হুজুর! আপনি একজন ভালো লোক। ঈসা (আ) তাকে বললেন, আমাকে ভালো বলছেন কেন? একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই ভালো নয় (লূক ১৮ : ১৮, ১৯)।
এক যুবক এসে ঈসাকে বলল, হুজুর! অনন্ত জীবন পাবার জন্য আমাকে ভালো কি করতে হবে? ঈসা তাকে বললেন, ভালোর বিষয়ে আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছ? ভালো মাত্র একজনই আছেন। যদি তুমি অনন্ত জীবন পেতে চাও তবে তাঁর সব হুকুম পালন কর (মথি ১৯ : ১৬, ১৭)।
এছাড়া আল্লাহর ইচ্ছামত চলতে বলা, আল্লাহর ইবাদতে রত থাকার আদেশ দেওয়া, আল্লাহর শুকরিয়া জানানো, আল্লাহকে সর্বশক্তিমান বলা, আল্লাহকে সর্বজ্ঞ বলে উল্লেখ করা, আল্লাহর রাজ্যে প্রবেশে উৎসাহিত করা, আল্লাহর কালাম প্রচার করা, আল্লাহর নিকট থেকে আসা ও আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা বলা, মোটকথা প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহকেন্দ্রিকতার যে দৃশ্য গোটা ইনজীলজুড়ে দেখা যায়, তা কি তাওহীদ ও আল্লাহর একত্বই নির্দেশ করে না? সুতরাং এতে কোন সন্দেহ নেই অন্যসব নবী-রাসূলের মত হযরত ঈসা (আ)-ও আল্লাহর তাওহীদ ও একত্বই শিক্ষা দিয়েছিলেন। কুরআন মজীদও তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে সেই সাক্ষ্যই প্রদান করে, ইরশাদ-
ما قلت لهم الا ما امرتنى ب
১০০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: ‘তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে আর কিছুই বলিনি। তা হচ্ছে-তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, যিনি আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। (মায়িদা : ১১৭)।
সেন্ট পৌলের দৃষ্টিভঙ্গি
সেন্ট পৌল আল্লাহ তাআলার পাশাপাশি আরও দুটি সত্তার কথা বলেন। মোট এই তিন সত্তার সম্মিলিত রূপকেই তিনি ঈশ্বর বা আল্লাহ বলে মত প্রকাশ করেছেন, যা আজ সারা বিশ্বের খৃষ্টসম্প্রদায়ের বিশ্বাস। পৌলের মতে সেই তিন সত্তার এক সত্তা হচ্ছেন পিতা, আরেক সত্তা পুত্র আর তৃতীয় সত্তা ‘পাক-রূহ’। পিতা হচ্ছেন আল্লাহর মূল সত্তা, যার থেকে পুত্রের প্রকাশ হয়েছে। পুত্র হলেন মসীহ, যিনি মূলে ছিলেন আল্লাহর কালাম গুণ। সেই গুণই ঈসা মসীহের মানব-অসি-ত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে আর তাই তিনি আল্লাহর পুত্র। ‘পাক-রূহ’ হল পিতা ও পুত্রের মধ্যে নিহিত জীবন ও ভালোবাসার গুণ। এ গুণের মাধ্যমে পিতা পুত্রকে এবং পুত্র পিতাকে ভালোবাসে। এ গুণটিও কালাম গুণের মত বস্ত্তগত অস্তিত্বের অধিকারী এবং পিতা-পুত্রের মত নিত্য ও চিরন্তন। তো পিতা-পুত্র ও পাক-রূহ-এ তিন মিলেই এক খোদা। একেই বলে ত্রিত্ববাদ।
আমরা উপরে দেখেছি, হযরত ঈসা (আ) এক আল্লাহর কথাই প্রচার করেছেন। তার বিশিষ্ট শিষ্য বা হাওয়ারীগণও জীবনভর এক আল্লাহর দিকেই মানুষকে ডেকেছেন। আল্লাহর তিন সত্তা বা ত্রিত্ববাদের কথা স্পষ্টভাবে তো নয়ই, ইশারা-ইঙ্গিতেও তারা কেউ বলে যাননি। এ শিক্ষা কেবলই পৌলের। সর্বপ্রথম পৌলই বলেছেন, এই পুত্রই হলেন অদৃশ্য আল্লাহর হুবহু প্রকাশ। সমস্ত সৃষ্টির আগে তিনিই ছিলেন। সমস্ত সৃষ্টির উপরে তিনিই প্রধান। কারণ আসমান ও যমীনে যা দেখা যায় আর যা দেখা যায় না সবকিছু তাঁর দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। আসমানে যাদের হাতে রাজত্ব, কর্তৃত্ব, শাসন ও ক্ষমতা রয়েছে তাদের সবাইকে তাঁকে দিয়ে তাঁরই জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে (কলসীয় ১ : ১৬)।
একটু পরে লেখেন, ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা মসীহের মধ্যে শরীর হয়ে বাস করছে (কলসীয় ২ : ৯)।
পৌলের এ দর্শনই আরও ব্যাখ্যাত হয়ে বর্ণিত হয়েছে ইওহোন্নার ইনজীলে । তাতে আছে, প্রথমেই কালাম ছিলেন, কালাম আল্লাহর সংগে ছিলেন এবং কালাম নিজেই আল্লাহ ছিলেন (ইওহোন্না ১ : ১)।
একটু পরে আছে, সেই কালামই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং শ্রেষ্ঠত্ব ও সততায় পূর্ণ হয়ে আমাদের মধ্যে বাস করলেন এবং পিতার একমাত্র পুত্র হিসেবে তার যে মহিমা সেই মহিমা আমরা দেখেছি (ইওহোন্না ১ : ১৪)।
আর ‘পাক-রূহ’-এর ঈশ্বরত্বও পৌলেরই প্রচার। তিনিই সর্বপ্রথম বলেছেন, জীবনদাতা পাক-রূহের শক্তিই মসীহ ঈসার মধ্য দিয়া আমাকে পাপ ও মৃত্যুর শক্তি মুক্ত করিয়াছে। (রোমীয় ৮:২)
(পাক-রূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে)।
এভাবে সেন্ট পৌলই ‘পাক-রূহ’কে ঐক ঐশ্বরিক সত্তারূপে উপস্থাপন করেছেন। না হয় হযরত মসীহ (আ) ও শিষ্যদের থেকে এমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না, যা পাক-রূহের ঈশ্বরত্ব প্রমাণ করে।
সুতরাং প্রমাণ হল ‘পিতা-পুত্র ও পাক-রূহ’ এই তিন ঐশ্বরিক সত্তার সমষ্টিই খোদা’-এ তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে পৌলের আবিষ্কার। তিনিই খৃষ্ট জাতিকে এই ত্রিত্ববাদের গোলক ধাঁধায় নিক্ষেপ করেছেন।
ত্রিত্ববাদের গোলক ধাঁধা
খৃষ্টীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পিতা-পুত্র ও পাক-রূহ-এ তিনের প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র সত্তার অধিকারী। প্রত্যেকেরই আলাদা
অস্তিত্ব আছে, প্রত্যেকেই আলাদাভাবে কাজ করেন, প্রত্যেকেই অনাদিকাল থেকে আছেন এবং প্রত্যেকেই খোদা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, তা হলে খোদা বহু হয়ে গেল না কি? এটা তো স্পষ্ট শিরক। শিরকের এই অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য তারা বলে থাকেন, এ তিনের প্রত্যেকেই খোদা বটে, কিন্তু তাই বলে খোদা তিনজন নন-তিন মিলে একই খোদা-একই আল্লাহ।
কিন্তু এর উপরও আরও জটিল প্রশ্ন ওঠে, তিনজনই যদি স্বতন্ত্র অস্তিত্বমান খোদা হয়ে থাকেন, তবে খোদা তো তিনজনই হলেন, স্বতন্ত্র তিন অস্তিত্ব এক খোদা হয় কি করে। আবার খোদা যদি একজনই হন তবে তার আলাদা তিন
অস্তিত্ব হওয়া কি করে সম্ভব? একই তিন আবার তিনই এক-একি আশ্চর্য গোলক ধাঁধা?
এর উত্তর দিতে গিয়ে খৃস্টান পন্ডিত ও ধর্মগুরুগণ গলদ্ঘর্ম হয়েছেন। তারা
বিভিন্ন রকম কথা বলেছেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত তারা এর কোনও যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেননি। যিনিই এর কোন ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন, তিনিই নতুন করে আরও জটিল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। সুতরাং ত্রিত্ববাদের এ বিশ্বাসটি এক দুর্জ্ঞেয় রহস্যই রয়ে গেছে। এভাবে খৃস্টধর্ম তার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বপ্রধান বিশ্বাস নিয়ে এক দুর্ভেদ্য জটাজালে বন্দি হয়ে আছে।
ঈসা মসীহ (‘আ) কি আল্লাহর অবতার?
যদিও ত্রিত্ববাদের আলোচনায় পুত্রসত্তারূপে মসীহ (আ)-এর বিষয়ে পৌলীয় তত্ত্বের সারকথা এসে গেছে, তারপরও খৃস্টধর্মের যাবতীয় চিন্তা ও কর্ম যেহেতু হযরত মসীহের ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, এবং সেক্ষেত্রে তার ইবনুল্লাহ (আল্লাহর পুত্র) হওয়ার বিষয়টিই সর্বপ্রধান বিশ্বাস ও এ ধর্মের প্রাণবনবস্ত্তরূপে বিবেচিত হয় তাই ত্রিত্ববাদের পরে মসীহের অবতারত্বও একটি স্বতন্ত্র বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে। খৃস্টধর্ম তাকে আল্লাহর অবতার মনে করে, অর্থাৎ তাঁর সত্তা অদৃশ্য আল্লাহর বা তাঁর কালাম গুণেরই শরীরীরূপ। তো তাদের এ বিশ্বাসের ভিত্তি কী? হযরত মসীহ (আ) নিজেই কি এরকম বলেছেন, না এটা অন্য কারও প্রচার? আর নিজের সম্পর্কে হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষাই বা কী ছিল?
হযরত মাসীহ (আ) নিজের দৃষ্টিতে
হযরত ঈসা (আ) ছিলেন আল্লাহ তা’আলার কুদরতের এক জলজ্যান্ত নিদর্শন। আল্লাহ তা’আলাই যে সকল সৃষ্টির স্রষ্টা এবং সৃষ্টিকার্যে তিনি কোনো কিছুর মুখাপেক্ষী নন বিভিন্ন নিদর্শন দ্বারা তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে পিতামাতার সম্মিলনে সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ম আল্লাহ তা’আলাই জারি করেছেন। কিন্তু এর অর্থ এমন নয় যে, দুনিয়ায় সন্তানের আগমন পিতামাতার মধ্যস্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা চাইলে নর-নারী ছাড়াও সন্তান সৃষ্টি করতে পরেন, যেমন হযরত আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন। কেবল নর থেকেও সৃষ্টি করতে পারেন, যেমন হযরত হাওয়াকে সৃষ্টি করেছিলেন। আবার কেবল নারী থেকেও পারেন। কেবল নারী থেকেও যে সন্তান জন্মাতে পরে তার দৃষ্টান্ত হিসেবেই হযরত ‘ঈসা মসীহ (আ)-এর জন্ম। তিনি বিনা পিতায় সতী-সাধ্বী কুমারী মারয়াম (আ)-এর গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। কিন্তু যারা আল্লাহ তা’আলার কুদরত ও মতার মহিমা উপলব্ধি করে না, তারা কুদরতের নিদর্শন দ্বারাও বিভ্রান্ত হয়। হযরত মসীহ (আ)-এর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। কেউ তো তার মহিয়সী মায়ের নামে কলঙ্ক রটিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ) এবং কেউ তাকে খোদার পুত্র বানিয়ে ছেড়েছে।
মানুষ যাতে তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ির স্বীকার না হয় সেজন্য তিনি নিজেও নিজের প্রকৃত অবস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ইন্জীলের পাঠক ইন্জীলের পাতায়-পাতায় দেখতে পাবে কিভাবে তিনি বারবার মনুষ্যপুত্র-মনুষ্যপুত্র বলে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন ( দেখুন মথি ৯ : ৬; ১০ : ২৩; ১১ : ১৯; ১২ : ৩২, ৪০; ১৩ : ৪০, ৪১; ১৬ : ১৩, ২৭, ২৮; ১৭ : ৯, ১২; ১৯ : ২৮; ২০ : ১৮, ২৮; ২৪ : ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৭, ৩৯ অন্যান্য, মার্ক ২ : ১০, ২৮; ৮ : ৩১, ৩৮; ৯ : ৯, ১২, ৩১ অন্যান্য।)
এমনিভাবে তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবী ( মথি ১০ : ৪০, ৪১; ১৩ : ৫৭; মার্ক ৬ : ৪; লূক ১৩ : ৩৩; ৪ : ৪৩, ৪৪)। তিনি আল্লাহর গোলাম (ইউহোন্না ১৩ : ১৬), আল্লাহর গোলাম হিসেবে তাঁরই ইবাদতকারী। (ইউহোন্না ৪ : ১২), তিনি নিজের থেকে কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না, বরং তিনি আল্লাহর আজ্ঞাবহ ও তাঁর ইচ্ছা পালনকারী মাত্র (ইউহোন্না ৫ : ১৯, ৩০, ৩৬; ৭ : ১৬, ১৭; ৪ : ৩৪) এবং আল্লাহ তা’আলাকে সন্তুষ্ট করাই তার পরম লক্ষ্য (ইউহোন্না ৮ : ২৮, ২৯)
মোটকথা ইনজীলের-পাঠকমাত্রই সমগ্র ইন্জীলে হযরত ঈসা মসীহ (আ)-এর মনুষ্যসত্তাই দেখতে পাবে। তিনি নবীরূপে দায়িত্ব পালনকালে মানুষের সামনে এই বাস্তবতাই তুলে ধরেছেন যে, অন্যান্য মানুষের মত তিনি একজন মানুষই, যাকে আল্লাহ তা’আলা আর সব নবী-রাসূলের মত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন। কোথাও তিনি এমন আভাসমাত্র দেননি যে, তিনি আল্লাহর ত্রিসত্তার একজন, এবং সে হিসেবে তিনি স্বয়ং খোদা, যে মানবদেহে আত্মপ্রকাশ করেছে।
হযরত মসীহ (আ)-এর শিষ্যগণও তাঁর শিক্ষা অনুযায়ী তাকে একজন মানুষ ও আল্লাহর বান্দাই মনে করতেন, যেমন প্রধান শিষ্য পিতর তাঁর এগারজন সংগীর মধ্যে দাঁড়িয়ে ইহুদীদের বলেছিলেন, ইসরাঈলের মানুষেরা, আমি যা বলছি শুনে রাখ, নাজারাথের যীশু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাঁর পরিচয় পরমেশ্বর তোমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন ... (মঙ্গলবার্তা [ইন্জীলের বাংলা অনুবাদ] কলিকাতা ১৯৮৫ খৃ. প্রেরিত ২ : ২২-খৃস্টবাদবিকৃতি পৃ. ৫১-এর বরাতে)।
পিতর তার আরেক ভাষণে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ এই কাজের দ্বারা নিজের গোলাম ঈসার মহিমা প্রকাশ করেছেন (প্রেরিত ৩ : ১৩)।
একবার হাওয়ারীগণ সকলে সম্মিলিতভাবে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করেছিলেন-বাস্তবিকই তোমার পবিত্র গোলাম ইয়াসূ, যাকে তুমি মসীহ হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বাদশাহ হিরোদ ও পন্তীয় পিলাত এই শহরেই অইহুদীদের সংগে এবং বনী ইসরাঈলের সংগে হাত মিলিয়েছেন (প্রেরিত ৪ : ২৭)।
একবার হাওয়ারী বার্নাবাস বলেছিলেন, আন্তরিক ইচ্ছার সাথে খোদাবন্দের সাথে জড়িয়ে থাক। কেননা তিনি (মসীহ) একজন ভালো লোক ... (প্রেরিত ১১ : ২৩-২৪)।
মোটকথা হযরত মসীহ (আ) নিজেও যেমন নিজেকে একজন মানুষ ও আল্লাহর বান্দা হিসেবে প্রচার করেছিলেন, কখনও নিজেকে ঈশ্বর বা ঈশ্বরের অবতার বলেননি, তেমনি তাঁর হাতেগড়া শিষ্যগণও তার সম্পর্কে সেই একই কথা প্রচার করেছেন। তারাও তাঁকে কখনও ঈশ্বরের অবতার মনে করেননি, একজন মানুষ ও নবীই মনে করেছেন।
পৌলের দৃষ্টিভঙ্গি
খৃষ্টীয় শিক্ষার নামে পৌলই সর্বপ্রথম এই তত্ত্ব হাজির করেছেন যে, হযরত মসীহ মানুষ নয়, বরং ঈশ্বরের অবতার ছিলেন, অর্থাৎ তিনি ছিলেন মানবরূপে ঈশ্বরেরই প্রকাশ।
ফিলিপীয়দের নামে লেখা চিঠিতে তিনি হযরত মসীহ (আ) এর স্বরূপ ব্যাখ্যাপূর্বক ঘোষণা দেন- ঈসা মসীহই প্রভু (ফিলিপীয় ২ : ৬-১১)। কলসীয়দের নামে লেখা চিঠিতে বলেন, এই পুত্রই হলেন অদৃশ্য আল্লাহর হুবহু প্রকাশ। সমস্ত সৃষ্টির আগে তিনিই ছিলেন। সমস্ত সৃষ্টির উপরে তিনিই প্রধান। কারণ আসমান ও যমীনে যা দেখা যায় আর যা দেখা যায় না, সব কিছু তাঁর দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। আসমানে যাদের হাতে রাজত্ব, কর্তৃত্ব, শাসন ও ক্ষমতা রয়েছে তাদের সবাইকে তাঁকে দিয়ে তাঁরই জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। (কলসীয় ১ : ১৬)
একটু পরে লেখেন, ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা মসীহের মধ্যে শরীর হয়ে বাস করছে (কলসীয় ২ : ৯)।
হযরত মাসীহ (আ) সম্পর্কে এই হচ্ছে সেন্ট পৌলের উদ্ভাবিত তত্ত্ব এবং স্পষ্ট পৌত্তলিকতা। তার আগে তাuঁক ঈশ্বরের প্রকাশ ও ঈশ্বরের শরীরী রূপ বলে আর কেউ প্রচার করেনি। সুতরাং প্রচলিত খৃষ্টধর্মে যে হযরত ঈসা (আ)কে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এবং এটিকে এ ধর্মের বুনিয়াদী বিশ্বাসের স্থান দেওয়া হয়েছে, এটা হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষা নয়; বরং তাঁর শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত মতবাদ। সেন্ট পৌলই এই পৌত্তলিক মতবাদের জন্মদাতা।
‘ইবনুল্লাহ’-এর মর্ম কী?
কোনো ইন্জীল-পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ইন্জীলের বিভিন্ন স্থানে তো হযরত ঈসা (আ)-কে আল্লাহর পুত্র (ইবনুল্লাহ) বলা হয়েছে। তা অবতারত্বের ধারণাকে সমর্থন করে না কি?
না, তা সমর্থন করে না। কেননা ইন্জীলের নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ হওয়া সত্ত্বেও যদি আমরা হযরত ঈসা মসীহ (আ) সম্পর্কে ‘ইবনুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর পুত্র’ শব্দের ব্যবহারকে বিশুদ্ধ ধরে নেই, তবু এর দ্বারা ‘পুত্র’-এর সাধারণ অর্থ গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি তো নিজেকে বারবার মনুষ্যপুত্রও বলেছেন। সাধারণ অর্থে একই ব্যক্তি আল্লাহর পুত্র হবেন এবং মানুষেরও পুত্র হবেন এটা কি করে সম্ভব? এ রকম স্ববিরোধী কথা একজন নবী কখনও নিজের সম্পর্কে বলতে পারেন না। এ স্ববিরোধিতা থেকে বাঁচার উপায় হল, ‘মনুষ্যপুত্র’-কে সাধারণ পুত্র মর্মে গ্রহণ করা আর আল্লাহর পুত্রকে প্রতীকী ও রূপক অর্থে গ্রহণ করা।
সে হিসেবে ‘পুত্র’-এর এক অর্থ হতে পারে ‘প্রিয়পাত্র’, যেমন খৃষ্টান ও ইহুদীরা নিজেদের সম্পর্কে বলে থাকে ‘আমরা আল্লাহর পুত্র’। কুরআন মাজীদের ইরশাদ-
وَقَالَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى نَحْنُ أَبْنَاءُ اللَّهِ
‘ইহুদী ও খৃষ্টানগণ বলে, ‘আমরা আল্লাহর পুত্র’ (মায়িদা ১৮)।
এতে পুত্র মানে প্রিয়পাত্র ও ঘনিষ্ঠ। বস্ত্তত হযরত ঈসা (আ)-ও নিজেকে আল্লাহর পুত্র বলেছেন এ অর্থেই।
এর অর্থ ‘ধার্মিক লোক’-ও হতে পারে এবং ইন্জীল দ্বারাই তো প্রমাণিত হয়, যেমন মার্কের ইন্জীলে আছে, ‘যে সেনাপতি ঈসার সামনে দাঁড়িয়েছিল সে ঈসাকে এভাবে মারা যেতে দেখে বলল, সত্যিই ইনি ‘ইবনুল্লাহ’ (আল্লাহর পুত্র) ছিলেন’ (মার্ক ১৫ : ৩৯), অথচ এই একই উক্তি লূকের বর্ণনায় যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে ‘আল্লাহর পুত্রের’ স্থানে ‘ধার্মিক লোক’ বলা হয়েছে (লূক ২৩ : ৪৭)।
১০১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: লূকের বর্ণনাটি ভুল না হয়ে থাকলে বলতে হবে তিনি ‘আল্লাহর পুত্র’-এর রূপক অর্থ করেছেন ‘ধার্মিক লোক’।
বিখ্যাত জর্মন চিন্তাবিদ প্রফেসর হার্নেক এর আরেকটি অর্থ করেছেন, যা খুবই যুক্তিযুক্ত। তিনি বলেন, হযরত মসীহ (আ) নিজেকে কেন ‘ঈশ্বর-পুত্র’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন, তা তিনি নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর সে বক্তব্যটি মথির ইন্জীলে বিবৃত হয়েছে। তিনি বলেন, পিতা ছাড়া পুত্রকে কেউ জানে না এবং পুত্র ছাড়া পিতাকে কেউ জানে না। আর পুত্র যার কাছে পিতাকে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করেন, সে-ই তাকে জানে (মথি ১১ : ২৭)।
এর দ্বারা স্পষ্ট হয়, নিজের সম্পর্কে ‘ঈশ্বর-পুত্র’ হওয়ার যে ধারণা হযরত মসীহের ছিল তা এ বিষয়ের এক বাস্তব অভিব্যক্তি ছাড়া আর কিছুই নয় যে, তিনি আল্লাহকে পিতা অর্থাৎ নিজের পিতা সম্পর্কে যেভাবে জানা সম্ভব সেইভাবে জানতেন। সুতরাং ‘পুত্র’ শব্দটিকে যদি বিশুদ্ধ ধরে নেওয়া হয়, তবে তার মানে আল্লাহর পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাৎ হযরত মসীহের দাবি হল, তিনি আল্লাহকে এভাবে জানতেন যেমনটা তার আগে কেউ জানত না। আর এ হিসেবেই তিনি নিজেকে ‘আল্লাহর পুত্র’ বলতেন (বিস্তারিত দ্র. খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ৮০-৮২)।
‘পুত্র’-এর এক অর্থ আজ্ঞাবহ ও অনুগতও হতে পারে আর যার আনুগত্য করা হয় তাকে বলা হয় পিতা। ইন্জীলে সেই অর্থে আল্লাহকে পিতা বলা হয়েছে। যেমন, ঈসা (আ) ইহুদীদের বলেছিলেন,
আপনাদের পিতা যা করে আপনারা তাই করছেন। তারা ঈসাকে বললেন, আমরা তো জারজ নই। আমাদের একজনই পিতা আছেন। সেই পিতা হলেন আল্লাহ। ঈসা তাদের বললেন, সত্যিই যদি আল্লাহ আপনাদের পিতা হতেন, তবে আপনারা আমাকে মহববত করতেন। কারণ আমি আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি ...। ইবলিসই আপনাদের পিতা আর আপনারা তারই সন্তান; সেজন্য আপনারা তার ইচ্ছা পূরণ করতে চান’ (ইউহোন্না ৮ : ৪১-৪৪)।
বস্ত্তত প্রিয়পাত্র, অনুগত, অনুসারী ইত্যাদি অর্থে ‘ইব্ন’ ও ‘পুত্র’ শব্দের ব্যবহার সব ভাষাতেই আছে এবং এটা বহুল প্রচলিত। কাজেই হযরত ঈসা (আ) নিজেকে আল্লাহর পুত্র যদি বলেও থাকেন, তবে তার দ্বারা প্রকৃত পুত্র বা শারীরিকভাবে জন্মদাতার সন্তান বোঝানো উদ্দেশ্য হবে না; বরং প্রিয়পাত্র ও আজ্ঞাবহ ইত্যাদি বোঝানোই উদ্দেশ্য হবে। যেমন গুরু তার শিষ্যকে পুত্র বলে, নেতা তার অনুসারীকে পুত্র বলে এবং ভক্ত নিজেকে তার আদর্শপুরুষের পুত্র বলে। ঠিক পিতা বলেও রূপকার্থে নেতা, গুরুজন, আদর্শব্যক্তি, মনিব ইত্যাদি বোঝায়। এ হিসেবেই ‘আল্লাহ’ সম্পর্কে ‘পিতা’ এবং বান্দা সম্পর্কে ‘পুত্র’ শব্দের ব্যবহার তাওরাত ও ইন্জীলে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং ইবনুল্লাহ বা ‘আল্লাহর পুত্র’ শব্দবন্ধ দ্বারা হযরত ঈসা (আ)-এর অবতারত্ব বা ঈশ্বরত্ব প্রমাণের কোনো সুযোগ নেই। একই কথা ‘পিতা’ শব্দের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ হযরত মসীহ (আ) আল্লাহকে পিতা বলেছেন বলে তিনি যে আল্লাহর অবতার বা তার শারীরিক প্রকাশ, এটা প্রমাণেরও অবকাশ নেই।
পাক রূহ (রূহূল-কুদ্স)
রূহূল-কুদ্স বা পাক-রূহ (ঐড়ষু ংঢ়ৎরঃ) দ্বারা বোঝানো হয় পিতা ও পুত্রের জীবন ও ভালোবাসার গুণকে। অর্থাৎ এ গুণের মাধ্যমে পিতা পুত্রকে এবং পুত্র পিতাকে ভালোবাসে। এগুণটি ‘কালাম’ গুণের মত বস্ত্তগতভাবে বিদ্যমান এবং পিতা-পুত্রের মত নিত্য ও চিরন্তন। এ কারণেই তা স্বতন্ত্র একক সত্তা (চবৎংড়হ)-এর মর্যাদা রাখে (খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ২২)
ইনজীল শরীফের শেষে যে শব্দার্থ ও টীকা লেখা হয়েছে তাতে ‘পাক-রূহ’-এর পরিচয় দেওয়া হয়েছে নিম্নরূপ, ‘ইন্জীল শরীফে ইনি একজন, যাঁকে ‘পাক-রূহ’ বলা হয়। সেই রূহ কোন প্রভাব, ফেরেশতা অথবা মনের অবস্থা নয়-তিনি নিজে আল্লাহ। তিনি সৃষ্টির কাজে, আল্লাহর কালাম প্রকাশের কাজে এবং ঈমানদারদের পরিচালিত ও শক্তিশালী করার কাজে জড়িত ছিলেন (পৃ. ৩৯৬)
খৃষ্টানদের বিশ্বাস হল, হযরত মাসীহ (আ)-কে যখন তরিকাবন্দী দেওয়া (ব্যাপ্টাইজ করানো) হচ্ছিল তখন এই ‘পাক-রূহ’ কবুতর আকৃতিতে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর সত্তায় মিশে গিয়েছিল (দেখুন মথি ৩ : ১৬)। পরবর্তীতে যখন হযরত মসীহ (আ)-কে আকাশে তুলে নেওয়া হয়েছিল তখন পঞ্চাশওমী ঈদের দিন এই পাক-রূহই আগুনের জিহবা আকারে এসে হযরত মসীহ (আ)-এর শিষ্যবর্গের উপর বসেছিল ( প্রেরিত ২ : ১-২২)।
খৃষ্টানদের বিশ্বাস এই পাক-রূহ আল্লাহর ত্রিসত্তার অন্যতম। পিতা (আল্লাহর নিজ সত্তা) ও পুত্র (আল্লাহর কালাম গুণ)-এর মত ‘পাক-রূহ’-ও একজন খোদা। এবং খোদা হিসেবে তিনি সর্বজ্ঞানী, স্বাধীন ও সার্বভৌম ইচ্ছাশক্তির অধিকারী ও স্বাধীন কর্তা, যে কারণে তিনি পূজ্য ও আরাধ্য।
হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষা
খৃষ্টধর্মে ‘পাক-রূহ’-এর যে ঈশ্বরত্ব ও প্রভূত্বের মর্যাদা উপরে বর্ণিত হল এ সম্পর্কে হযরত ঈসা (আ) থেকে কিন্তু কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না। এমনকি তার হাওয়ারী ও শিষ্যদের থেকেও নয়। হযরত মসীহ (আ)-এর বিভিন্ন বক্তব্যে ‘পাক-রূহ’-এর প্রসংগ এসেছে বটে, কিন্তু তা ঈশ্বর হিসেবে নয়; বরং একজন সাহায্যকারী, পথ-প্রদর্শক ও পরিচালক হিসেবে। অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন কাজে হযরত ঈসা (আ)-কে সাহায্য ও পরিচালনা করেছেন ও সংবাদ দিয়েছেন, ব্যস এতটুকুই (দেখুন মথি ২২ : ৪৩; মার্ক ১ : ১২; ১২ : ৩৫; লূক ২ : ২৬; প্রেরিত ১ : ১৫)।
এর বেশি কিছু তাঁর বা হাওয়ারীদের বক্তব্যে পাওয়া যায় না। বস্ত্তত হযরত মসীহ (আ)-এর বক্তব্য থেকে ‘পাক-রূহ’ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তা কুরআন মাজীদে প্রদত্ত ধারণার অনুরূপ। অর্থাৎ ‘পাক-রূহ’ বা ‘রূহূল-কুদ্স’ হল হযরত জিবরীল (আ)-এর উপাধি, যিনি ফিরিশতাদের সর্দার। আল্লাহ তা’আলা তাঁর মাধ্যমে যেমন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওহী নাযিল করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বহু ক্ষেত্রে তাঁকে তার সাহায্যার্থে প্রেরণ করেছেন, তেমনি হযরত মসীহ (আ)-এর সাহায্য-সহযোগিতায়ও বিশেষভাবে তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন, যেমন ইরশাদ হয়েছে,
وَآَتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ
‘আমি ঈসা ইবন মারয়ামকে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী এবং তাঁকে সাহায্য করেছিলাম রূহুল-কুদসের মাধ্যমে (বাকারা : ৮৭, ২৫৩)।
কুরআন মাজীদ আরও জানায়, ‘রূহূল-কুদস’ বা ‘পাক-রূহ’ সম্পূর্ণরূপেই আল্লাহ তা’আলার আজ্ঞাবাহী। আল্লাহ তা’আলার হুকুম ছাড়া তিনি কোনো কাজ করেন না (দেখুন মারয়াম : ৬৪; নাবা : ৩৮)। একই কথা আছে ইন্জীলেও। বলা হয়েছে, ‘পাক-রূহ’ আল্লাহর ইচ্ছামতই আল্লাহর বান্দাদের জন্য অনুরোধ করেন’ (রোমীয় ৮ : ২৭)।
বোঝা যাচ্ছে ‘পাক-রূহ’ ঈশ্বর বা ঈশ্বরের ত্রিসত্তার একজন নন।
পাক-রূহ সম্পর্কে পৌল যা বলেন
‘পাক-রূহ’ সম্পর্কে পৌল তাঁর পত্রাবলীতে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং ঈশ্বর হিসেবে তার যে কী শক্তি ও মহিমা তা তার ভক্তদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। যেমন তিনি বলেন, শরীআত মৃত্যু আনে, কিন্তু ‘পাক-রূহ’ জীবন দান করেন ( ২-করিন্থীয় ৩ : ৬)।
করিন্থীয়দের নামে লেখা প্রথম চিঠিতে বলেন, ‘পাক-রূহের অজানা কিছুই নেই। এমনকি তিনি আল্লাহর গভীর বিষয়ও জানেন’ (১-করিন্থীয় ২ : ১০)।
একই চিঠিতে তিনি পাক-রূহের ক্ষমতা ও প্রভুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, একই পাক-রূহের দেওয়া বিশেষ দান ভিন্ন-ভিন্ন রকমের। আমরা ভিন্ন-ভিন্ন উপায়ে একই প্রভুর সেবা করি। আমাদের প্রত্যেককে ভিন্ন-ভিন্ন কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই আল্লাহ ভিন্ন-ভিন্ন উপায়ে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে কাজ করে থাকেন। সকলের উপকারের জন্যই এক-এক মানুষের মধ্যে-এক-এক রকম করে ‘পাক-রূহ’ প্রকাশিত হন। কাউকে কাউকে সেই ‘পাক-রূহের’ মধ্য দিয়ে জ্ঞানের কথা বা বুদ্ধির কথা বলতে দেওয়া হয়। অন্য কাউকে- কাউকে সেই একই রূহের দ্বারা বিশ্বাস বা রোগ ভালো করার ক্ষমতা বা অলৌকিক কাজ করবার ক্ষমতা বা নবী হিসেবে আল্লাহর কালাম বলবার ক্ষমতা বা ভালো ও ভুতদের চিনে নেবার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই সমস্ত কাজ সেই একই পাক-রূহ করে থাকেন। তিনি যেভাবে ইচছা করেন সেভাবেই এইসব দান প্রত্যেককে আলাদা করে দেন (১-করিন্থীয় ১২ : ৪-১১)।
করিন্থীয়দের কাছে লেখা দ্বিতীয় চিঠিতে বলেন, আজও মূসার তৌরাত শরীফ তেলাওয়াত করবার সময় বনী-ইসরাঈলের দিল সেই পর্দায় ঢাকা থাকে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ যখন প্রভুর দিকে ফেরে তখন সেই পর্দা সরে যায়। এই প্রভুই হলেন ‘পাক-রূহ’ আর যেখানেই প্রভুর রূহ সেখানেই স্বাধীনতা। এজন্য আমরা যারা মসীহের সংগে যুক্ত হয়েছি আমরা সবাই খোলামুখে আয়নায় দেখা ছবির মত করে প্রভুর মহিমা দেখতে দেখতে নিজেরাও মহিমায় বেড়ে উঠে বদলে গিয়ে তাঁরই মত হয়ে যাচ্ছি। প্রভুর অর্থাৎ পাক-রূহের শক্তিতেই এটা হয়
(২ করিন্থীয় ৩ : ১৫-১৮)।
সেন্ট পৌলের এসব উক্তি ‘পাক-রূহ’ সম্পর্কে যে ধারণা দেয়, তা আল্লাহ সম্পর্কিত বিশ্বাসেরই অনুরূপ। অর্থাৎ পাক রূহ সর্বজ্ঞ, তার অজানা কিছুই নেই, তিনি জীবনদাতা, মানুষের যত সব শক্তি ও ক্ষমতা তা তাঁরই দান এবং তিনিই প্রভু হিসেবে মানুষকে তা দিয়ে থাকেন। এভাবে সেন্ট পৌল তার বক্তব্যে মূলত ঈশ্বরের ছবি এঁকেছেন।
সুতরাং পিতা আল্লাহও সর্বশক্তিমান সত্তা, পুত্র মসীহও এক সর্বশক্তিমান সত্তা এবং ‘পাক-রূহ’ এক সর্বশক্তিমান সত্তা। ঈশ্বরের এই পূর্ণাঙ্গ তিন সত্তা তথা ত্রিত্ববাদের জন্মদাতা কেবলই সেন্ট পৌল। না হযরত মসীহ (আ)-এর নিজ বক্তব্যে এর কোনো আভাস আছে, না তাঁর শিষ্যগণ এ তত্ত্বের সাথে পরিচিত ছিলেন, আর না মূল খৃষ্টধর্মে এর কোনো ধারণা ছিল। খৃষ্টধর্মে এই শিরকী ও পৌত্তলিক ভাবনার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সেন্ট পৌলই এ ধর্মকে তাওহীদী অবস্থান থেকে বিচ্যুত করেছে আর গরিষ্ঠসংখ্যক খৃষ্টান সেই সত্যচ্যুত ধর্মকেই আসল ধর্ম হিসেবে বরণ করে নিয়েছে। তাদের এ চেতনা কবে জাগবে যে, তারা যাকে খৃষ্টধর্ম বলে বিশ্বাস করছে তা মোটেই হযরত যিশু খৃষ্ট (আ)-এর শিক্ষা নয়; আসলে তারা পৌলবাদের চোরাবালিতেই আটকে গেছে? কুরআন মাজীদও তাদেরকে হুঁশিয়ার করছে,
فَآَمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ انْتَهُوا خَيْرًا لَكُمْ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَهٌ وَاحِدٌ سُبْحَانَهُ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন এবং বলো না ‘আল্লাহ তিন’। এর থেকে নিবৃত্ত হও। এরই মধ্যে তোমাদের কল্যাণ। আল্লাহ তো একই মাবূদ। তার কোনো পুত্র থাকবে-এর থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র। আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা তাঁরই। সকলের তত্ত্বাবধানের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (নিসা : ১৭১)।
পাপমোচন The Atonement
পাপমোচনের বিশ্বাসটি খৃস্টধর্মে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মিস্টার ডেনিয়েল উইলসনের মতে এ বিশ্বাসটিই খৃস্টধর্মের প্রাণ। এ ধর্মের অন্যান্য আকীদার মত এটিও অত্যন্ত জটিল আকীদা। শায়খুল-ইসলাম তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম খৃষ্টধর্মের বিখ্যাত পন্ডিত ও দার্শনিক সেন্ট অগাষ্টাইনসহ অন্যদের বরাতে এ বিশ্বাসের যে ব্যাখ্যা দান করেছেন সংক্ষেপে তা নিম্নরূপ, এ বিশ্বাসটির পেছনে ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিভঙ্গিগত অনেকগুলো বিষয় আছে, যা ভালোভাবে না বুঝলে এর প্রকৃত অর্থ হৃদয়ংগম করা সম্ভব নয়। আমরা সে বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করছি।
(এক) যেসব ধারণার উপর এ বিশ্বাসটির ভিত্তি স্থাপিত, তার মধ্যে সর্বপ্রথম ধারণা হল-প্রথম মানুষ হযরত আদম আলাইহিস সালামকে ইচ্ছাশক্তির স্বাধীনতা দিয়ে সবরকমের সুখ-শান্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে তাকে গন্ধম খেতে নিষেধ করা হয়েছিল। স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ফলে চাইলে তিনি যে-কোনো হুকুম পালনও করতে পারতেন এবং আমান্যও করতে পারতেন।
(দুই) হযরত আদম আলাইহিস সালাম তার ইচ্ছাশক্তির অনুচিত ব্যবহার করেন এবং নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে মহাপাপ করে বসেন। এটাই ছিল মানুষের কৃত প্রথম পাপ, যা সর্বপ্রথম আনুগত্যের স্থলে অবাধ্যতার জন্মদান করে। এর আগে মানুষ কোনো অবাধ্যতা করেনি। আনুগত্য যেমন সমস্ত পুণ্যের মূল, তেমনি অবাধ্যতা সমস্ত পাপের ভিত্তি। সর্বপ্রথম হযরত আদম আলাইহিস সালামই পাপের ভিত্তিস্থাপন করেন।
(তিন) এ পাপের ফলে হযরত আদম আলাইহিস সালাম স্থায়ী মৃত্যু বা স্থায়ী আযাবের উপযুক্ত হয়ে গেলেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা নিষিদ্ধ গাছ দেখিয়ে বলে দিয়েছিলেন, ‘যেদিন তুমি তার ফল খাবে সেই দিন নিশ্চয়ই তোমার মৃত্যু হবে’ (পয়দায়েশ ২ : ১৭)।
সেই সংগে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে ইচ্ছাশক্তির যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল তা তার থেকে কেড়ে নেওয়ার ফলে পাপ যেহেতু তার উপর জয়লাভ করেছে তাই তার পুণ্য করার ক্ষমতা লোপ পেয়ে গেছে। এখন পাপ করার জন্য তো তিনি স্বাধীন, কিন্তু পুণ্যের জন্য স্বাধীন নন।
(চার) পাপে লিপ্ত হওয়ার ফলে যেহেতু আদি মানব-মানবীর পুণ্য করার স্বাধীনতা লোপ পেয়ে গেছে এবং পাপের জন্য তারা স্বাধীন থেকে গেছেন তাই তার পরিণামে পাপ তাদের স্বভাবে পরিণত হয়ে যায়। পরিভাষায় একে ‘আদিপাপ’ বলা হয়।
(পাঁচ) আদি মানব-মানবীর পর যত মানুষের জন্ম হয়েছে এবং ভবিষ্যতে জন্ম হবে তারা সকলে যেহেতু তাদেরই সন্তান তাই ‘আদিপাপ’ পুরুষ পরম্পরায় মানুষের ভেতর সংক্রমিত হয়ে আসছে। এখন দুনিয়ায় যে ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করে সে মায়ের পেট থেকেই পাপী হয়ে জন্ম নেয়। কেননা তার পিতামাতার ‘আদিপাপ’ তার স্বভাবেও প্রবিষ্ট রয়েছে। এই আদিপাপই সমস্ত পাপের মূল।
(ছয়) সমস্ত আদম-সন্তান যেহেতু আদিপাপে পঙ্কিল আর আদিপাপই অন্যসব পাপের মূল, তাই পিতামাতার মত সমস্ত মানুষই স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থেকে বঞ্চিত। ফলে তারা একের পর এক পাপ করে যেতে থাকে। আর এভাবে আদিপাপ ছাড়া অন্যান্য পাপের এক বিরাট বোঝা তাদের উপর চেপে যায়, যা আদিপাপের কারণে তারা নিজেরাই সম্পাদন করে।
(সাত) পাপের কারণে সমস্ত আদম-সন্তান তাদের পিতামাতার মত একদিকে স্থায়ী শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যায় অন্যদিকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থেকেও হয়ে পড়ে বঞ্চিত। ফলে তাদের ক্ষমা ও মুক্তিলাভের কোনো উপায় থাকে না। কেননা পাপ থেকে মুক্তিলাভ হয় কেবল সৎকর্মের মাধ্যমে, কিন্তু ইচ্ছাশক্তি-রহিত হওয়ার কারণে তারা তো সৎকর্ম করতেও সক্ষম নয়।
(আট) এ মসিবত থেকে মানুষের মুক্তিলাভের উপায় কী? আল্লাহ কি বিনাশাস্তিতে ক্ষমা করে দেবেন? তা হয় না। কেননা তিনি ন্যায়বিচারক। তিনি আদিপাপের শাস্তি স্থির করে রেখেছিলেন ‘স্থায়ীমৃত্যু’। কাজেই মৃত্যুদন্ড না দিয়ে ক্ষমা করলে সেটা তার ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হয়।
(নয়) তবে কি এই মসিবতের মধ্যে ফেলে রাখবেন? না তাও সংগত নয়। যেহেতু তিনি পরম দয়ালু। তাই তিনি এমন এক ব্যবস্থা করলেন, যাতে বান্দাদের প্রতি দয়াও হয় আবার ন্যায়বিচারও অক্ষুণ্ণ থাকে।
সে ব্যবস্থায় আসল ধরন তো এ রকম হওয়ার কথা ছিল যে, সমস্ত মানুষকে একবার মৃত্যুদান করবেন, যাতে তাদের পাপের শাস্তি হয়ে যায়। তারপর আবার জীবিত করে তুলবেন, যাতে আদিপাপের ফলে যে ইচ্ছাশক্তি রহিত হয়ে গিয়েছিল, নতুন জীবনে তা আবার ফিরে পায় এবং স্বাধীনভাবে সৎকর্ম করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সমস্ত মানুষকে মৃত্যুদান করে পুনরায় জীবিত করা ছিল প্রাকৃতিক বিধানের পরিপন্থী। কাজেই দরকার হয়ে পড়ল এমন এক নিষ্পাপ ব্যক্তির, যে সমস্ত মানুষের পাপ নিজ কাঁধে বহন করবে। তারপর আল্লাহ একবার তার মৃত্যু ঘটিয়ে পুনরায় জীবন দান করবেন। এভাবে তার একার শাস্তি দ্বারা গোটা মানবজাতির পাপমোচন হয়ে যাবে এবং তারা সকলে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ফিরে পাবে।
(দশ) সেই মহা উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে আল্লাহ নিজ পুত্রকে বেছে নিলেন। ঈশ্বর-পুত্র মানবাকৃতি ধারণ করে দুনিয়ায় আসলেন এবং সমস্ত মানুষের পাপ নিজের কাঁধে নিয়ে শূলবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন। তার মৃত্যুতে সমস্ত মানুষের পাপমোচন হয়ে গেল। কেবল সেই আদিপাপই নয়; বরং সে কারণে আরও যত পাপ করেছে তাও মাফ হয়ে গেল। তিনদিন পর ঈশ্বর-পুত্র পুনরায় জীবিত হলেন এবং এর ফলে গোটা মানবজাতি নতুন জীবন লাভ করল। ফলে সে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির মালিক হয়ে গেল। এখন সে চাইলে সেই ইচ্ছাশক্তির ব্যবহার করে যত ইচ্ছা পুণ্যার্জন করতে পারবে।
(এগার) কিন্তু ঈসা মসীহের এই ত্যাগ কেবল সেই ব্যক্তির কাজে লাগবে, যে তাঁর প্রতি ঈমান এনে তার উম্মত হয়ে যাবে। তার প্রতি ঈমানের আলামত হল তরিকাবন্দী (ব্যাপ্টাইজ) পালন করা।
যে ব্যক্তি তরিকাবন্দী পালন করবে না আদিপাপের বোঝা তার কাঁধে থেকেই যাবে। যদ্দরুন তাকে স্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সংক্ষেপে এই হল পাপমোচন তত্ত্ব, যার উপর গোটা খৃস্টধর্মের বুনিয়াদ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এ তত্ত্বটি আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। কোনো বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা শোনামাত্রই যে-কারও অন্তরে হাজারও প্রশ্ন জন্ম নেবে। যেমন
১. হযরত আদম (আ) একজন নিষ্পাপ নবী। তাঁর ভুলটি কি পাপের পর্যায়ে ছিল? এবং তাকে পাপ বলাটা
কি সঠিক?
২. পাপ হয়েও থাকলে আল্লাহ তা’আলা তো তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। সুতরাং সে পাপ তার বংশধরে সংক্রমিত হবে কেন?
৩. ক্ষমা না হলেও তার পাপের কারণে সন্তান পাপী হবে কোন যুক্তিতে?
৪. যদি সে কারণে সন্তানও পাপী হয়, তবে হযরত মসীহ (আ)-এরও তো পাপী হওয়ার কথা, তিনিও মানুষ্যপুত্র হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং তাকে পাপী বলা হবে না কি কারণে?
৫. যদি তিনিও পাপী হন, তবে তার মৃত্যুতে অন্যরা পাপ থেকে উদ্ধার পাবে কি করে?
৬. যদি পাপী না হন, তবে সমস্ত মানুষের পাপের কারণে একজন নির্দোষকে শাস্তি দেওয়াটা কি অবিচার নয়?
৭. পাপের কারণে কেউ শাস্তিযোগ্য হতে পারে, কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তিও কেন কেড়ে নেওয়া হবে। এটা লঘুপাপে গুরুদন্ড অপেক্ষাও গুরুতর নয় কি?
৮. তাও পিতার ক্ষেত্রে না হয় হল, কিন্তু পিতার পাপে সন্তানের পাপী হওয়াটা তো অনিচ্ছাকৃত। সেই অনিচ্ছাকৃত পাপের কারণে সে কেন শাস্তিযোগ্য হবে এবং তাও ইচ্ছাশক্তি রহিত হওয়া সহকারে?
৯. গুনাহের পর তওবা করলেও কি শাস্তিদান অপরিহার্য? এটা কি বাইবেলের ঘোষণার পরিপন্থী নয়? বাইবেলে তো বলা হয়েছে, যদি কোনো দুষ্টলোক তার সব গুনাহ থেকে ফিরে আসার সব নিয়ম-কানূন পালন করে আর ন্যায় ও ঠিক কাজ করে তবে সে বাঁচবে, মরবে না। সে যেসব অন্যায় কাজ করেছে তা অমি মনে রাখব না (ইহিস্কেল ১৮ : ২১-২২)। এবং তোমার সমস্ত গুনাহ তিনি মাফ করেন (যবূর ১০৩ : ৩)।
১০. পাপমোচনের এ তত্ত্ব অনুসারে কি এটা অনিবার্য হয়ে যায় না যে, সমস্ত নবী-রাসূলও পাপী হিসেবেই জীবন কাটিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)?
মোটকথা এ জাতীয় অজস্র প্রশ্ন দ্বারা এ তত্ত্বটি বেষ্টিত, যা থেকে এর ত্রাণ অসম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে হযরত মসীহ (আ) নিজে এ সম্পর্কে কী বলেছেন?
১০২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: পাপমোচন তত্ত্ব ও হযরত মসীহ (আ)
এ সম্পর্কে শায়খুল-ইসলাম তাকী উসমানীর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, আপনি হয়ত ধারণা করছেন, চার ইন্জীলে হযরত মসীহ (আ)-এর বিভিন্ন উক্তি দ্বারা এটা (পাপমোচনের বিশ্বাসটি) স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি ও তার হাওয়ারীগণ উত্তমরূপে এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন। আপনি এটা মনে করতেই পারেন এবং এর পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। কেননা কোনো ধর্ম বা মতবাদের ভিত্তি যেসব বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির উপর স্থাপিত হয়, তা সে ধর্ম বা মতবাদের মৌল রচনাবলীতে ও তার প্রবর্তকদের লেখাজোখায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ধর্মের প্রাথমিক গ্রন্থসমূহে তো এসব বিষয় প্রমাণের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মকেই ধরুন না। এর বুনিয়াদী আকীদা হল তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত। এবার কুরআন মজীদ খুলুন। দেখবেন সমগ্র কুরআন এ বিশ্বাসগুলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও এর দলীল-প্রমাণের আলোচনায় পূর্ণ।
কিন্তু খৃস্টধর্মের হাল এর সম্পূর্ণ বিপরীত। যেসব চিন্তাধারা এ ধর্মের মূল বিষয়; বরং যে সবের কারণে এ ধর্ম অন্য ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে ইনজীলসমূহে তার কোন আলোচনা নেই। হযরত মাসীহ ও তার শিষ্যদের পক্ষ হতে তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না- ত্রিত্ববাদ ও অবতারত্বের অবস্থা তো দেখলেন। পাপমোচনের বিশ্বাসটিও তথৈবচ। হযরত মসীহ (আ)-এর কোনো উক্তি দ্বারাই এটা প্রমাণিত হয় না (খৃষ্টধর্মের স্বরূপ পৃ. ৯৫)।
হযরত মসীহ (আ) থেকে এ বিশ্বাসের সমর্থনে কোনো বক্তব্য তো পাওয়াই যায় না; বরং তার এমন কিছু বক্তব্য পাওয়া যায়, যা এ বিশ্বাসটির ভিত্তিহীনতাই প্রমাণ করে। যেমন তিনি বলেন, আমাকে কেবল ইসরাঈল বংশের হারানো মেষদের কাছেই পাঠানো হয়েছে। (মথি ১৫ : ২৪)। পাপমোচনের তত্ত্ব সঠিক হলে তার এ কথাটির কোনো অর্থ আছে কি? পাপমোচনই যদি তার আগমনের লক্ষ্য হয় তবে ইসরাঈলের পথহারা লোকগুলির কাছেই কেন, তার আগমন তো গোটা মানবজাতির কাছেই হওয়ার কথা! এমনিভাবে তিনি বলেন, ‘সুস্থদের জন্য ডাক্তারের দরকার নেই; বরং অসুস্থদের জন্য দরকার আছে। আমি ধার্মিকদের ডাকতে আসিনি, বরং পাপীদেরই ডাকতে এসেছি’ (মার্ক ২৫ : ২৭)। পাপমোচনের তত্ত্ব অনুযায়ী সব মানুষই তো পাপী। অথচ মসীহ (আ) মানুষকে দুই ভাগ করেছেন-ধার্মিক ও পাপী, আর তার আগমন হয়েছে পাপীদের ডাকার লক্ষ্যে। এরকম আরও বহু উক্তি আছে, যা এ তত্ত্বটি ভিত্তিহীন হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে।
পাপমোচন ও সেন্ট পৌল
হযরত ঈসা (আ) থেকে তো নয়ই এমন কি তাঁর শিষ্যদের থেকেও এ বিশ্বাস সম্পর্কে উক্তি পাওয়া যায় না। বস্ত্তত সেনট পৌল এ তত্ত্বের উদ্ভাবক। তিনিই সর্বপ্রথম দর্শনসহকারে এটি উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং রোমীয়দের নামে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘একটি মানুষের মধ্য দিয়ে গুনাহ দুনিয়াতে এসেছিল ও সেই গুনাহের মধ্য দিয়ে মৃত্যুও এসেছিল। সব মানুষ গুনাহ করেছে বলে এভাবে সকলের কাছেই মৃত্যু উপস্থিত হয়েছে। মূসার শরীয়ত দেবার আগেই দুনিয়াতে গুনাহ ছিল, কিন্তু শরীয়ত না থাকলে তো গুনাহকে গুনাহ বলে ধরা হয় না। তবুও আদমের সময় থেকে শুরু করে মূসার সময় পর্যন্ত সকলের উপরেই মৃত্যু রাজত্ব করছিল। এমনকি আল্লাহর হুকুম অমান্য করে যারা আদমের মত গুনাহ করেনি তাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করছিল। যার আসবার কথা ছিল আদম ছিলেন একদিক থেকে সেই ঈসা মসীহেরই ছবি, কিন্তু আদমের গুনাহ যে রকম আল্লাহর বিনামূল্যের দান সেই রকম নয়। যখন একজন লোকের গুনাহর ফলে অনেকে মরল তখন আল্লাহর রহমতের এবং আর একজন মানুষের দয়ার মধ্য দিয়ে যে দান আসল, তা সেই অনেকের জন্য আরও কত না বেশি করে উপচে পড়ল। সেই আর একজন মানুষ হলেন ঈসা মসীহ। আল্লাহর দান আদমের গুনাহের ফলের মত নয়। কারণ একটা গুনাহের বিচারের ফলে সব মানুষকেই শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ধার্মিক বলে আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হওয়ার এই যে রহমতের দান, তা অনেক গুনাহের ফলে এসেছে। একজন মানুষের গুনাহের দরুন মৃত্যু সেই একজনের মধ্য দিয়েই রাজত্ব শুরু করেছিল। কিন্তু যারা প্রচুর পরিমাণে আল্লাহর রহমত ও ধার্মিক বলে তার গ্রহণযোগ্য হওয়ার দান পায় তারা সেই একজন মানুষের অর্থাৎ ঈসার মধ্য দিয়ে জীবনের পরিপূর্ণতা নিয়ে নিশ্চয়ই রাজত্ব করবে। তাহলে একটা গুনাহের মধ্য দিয়ে যেমন সব মানুষকেই শান্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, তেমনি একটা ন্যায় কাজের মধ্য দিয়ে সব মানুষকেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তার ফল হল অনন্ত জীবন। যেমন একজন মানুষের অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই গুনাহগার বলে ধরা হয়েছিল, তেমনি একজন মানুষের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে। (রোমীয় ৫ : ১২-১৯)।
আরও ব্যাখ্যার সাথে বলেন, এই কথা কি জান না যে, আমরা যারা মসীহ ঈসার মধ্যে তরিকাবন্দী নিয়েছি আমরা তার মৃত্যুর মধ্যে অংশগ্রহণ করেই তা নিয়েছি? আর সেজন্য সেই তরিকাবন্দীর দ্বারা মসীহের সংগে মরে আমাদের দাফনও করা হয়েছে, যেন পিতা তার মহাশক্তি দ্বারা যেমন মসীহকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন, তেমনি আমরাও যেন নতুন জীবনের পথে চলতে পারি। মসীহের সংগে মরে যখন তাঁর সংগে আমরা যুক্ত হয়েছি, তখন তিনি যেমন মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন ঠিক তেমনি করে আমরা তার সংগে জীবিতও হব। আমরা জানি যে, আমাদের গুনাহ-স্বভাবকে অকেজো করবার জন্যই আমাদের পুরানো ‘আমি’-কে মসীহের সংগে ক্রুশে হত্যা করা হয়েছে। যেন গুনাহের গোলাম হয়ে আর আমাদের থাকতে না হয় কারণ যে মরেছে সে গুনাহের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে। (রোমীয় ৬ : ৩-৭)।
এই হল পাপমোচন সম্পর্কে সেন্ট পৌলের দর্শন, যা আরও পরে সেন্ট অগাস্টাইন প্রমুখ খৃস্টীয় তাত্ত্বিক পুরুষগণ অধিকতর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সাথে সুবিন্যস্ত আকারে পেশ করেছেন এবং ভক্তির আতিশয্যে খৃষ্টসম্প্রদায় অন্ধভাবে একে নিজেদের বুনিয়াদী বিশ্বাসরূপে গ্রহণ করে নিয়েছে।
শূলবিদ্ধ হওয়ার বিশ্বাস
হযরত ঈসা (আ)-এর সম্পর্কে খ্রিষ্টধর্মের বিশ্বাস হল, ইহুদীরা তাঁকে পন্থীয় পীলাতের আদেশে শূলে চড়িয়ে হত্যা করেছিল। এ বিশ্বাসের কারণে তাদের কাছে ক্রুশচিহ্ন-এরও অনেক মহিমা। তারা সফরকালে, বাড়িতে অবস্থানকালে, যাতায়াতপথে, ওঠা-বসা, খাওয়া-দাওয়া তথা সকল কাজকর্মে নিজেদের চেহারায় ক্রশচিহ্ন এঁকে থাকে এবং গলায়ও ঝুলিয়ে রাখে।
বস্ত্তত ক্রশের মর্যাদা ও ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার বিশ্বাসটি পাপমোচন বিশ্বাসের সাথেই সম্পৃক্ত। পাপমোচনের বিশ্বাসটিই যখন ভিত্তিহীন সাব্যস্ত হয়েছে, তখন তার সাথে সম্পৃক্ত ক্রুশেরও কোন মহিমা থাকে না। কিন্তু তারপরও খৃষ্টধর্মে যেহেতু এটা একটা বিশ্বাসের মর্যাদা লাভ করেছে তাই খতিয়ে দেখা দরকার এটা প্রকৃত খৃষ্টধর্মের অংশ ছিল কি না।
একথা সত্য যে, প্রচলিত চারও ইনজীলে হযরত মসীহকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করার কথা বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু প্রচলিত ইনজীলের বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু তাও সামনে রাখা দরকার। এক তো ইনজীলসমূহ আসমানী কিতাব নয়; বরং হযরত মসীহ (আ)-এর জীবনীগ্রন্থ। দ্বিতীয়ত এসব গ্রন্থের রচয়িতা কারা তা নিয়ে খোদ খৃষ্টান পন্ডিতদের মধ্যেই রয়েছে তুমুল বিতর্ক। পেছনে আমরা ইওহোন্নার ইনজীল সম্পর্কে গবেষকদের মতামত উল্লেখ করে এসেছি। অনেকেরই ধারণা সেটি খোদ পৌলেরই লেখা। আবার অনেকের মতে বৃদ্ধ ইওহোন্নার লেখা, যিনি খুব সম্ভব পৌলের মৃত্যুর আটাশ বছর পরে গ্রন্থখানি রচনা করেছেন এবং পৌলের দ্বারা তার প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি।
লূক ও মার্ক তো পৌলেরই শিষ্য। সুতরাং তাদের রচনা যে পৌল-প্রভাবিত হবে তাতে সন্দেহ কি? বাকি থাকল মথির ইনজীল।
মথির ইনজীলও আদৌ হাওয়ারী মথির লেখা নয়। এর প্রমাণ মথির ইনজীল নিজেই। এর এক জায়গায় আছে, ‘ঈসা যখন সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন তখন মথি নামে একজন লোককে খাজনা আদায় করবার ঘরে বসে থাকতে দেখলেন। ঈসা তাকে বললেন, এস, আমার উম্মত হও। মথি তখনই উঠে তার সঙ্গে গেলেন। এরপরে ঈসা মথির বাড়িতে খেতে বসলেন। (মথি ৯:৯-১০) প্রশ্ন হল মথিই যদি এ ইনজীলের লেখক হন তবে এস্থলে তিনি নামপুরুষের সাথে কেন বলছেন ‘মথি নামে একজন লোক ...’? বলা উচিত ছিল, ‘তখন আমাকে খাজনা আদায় করার ঘরে বসে থাকতে দেখলেন।’ ঈসা আমাকে বললেন, ...। আমি তখনই’ ...। ‘ঈসা আমার বাড়িতে খেতে বসলেন’। এটা স্পষ্ট সাক্ষ্য দেয় যে, এ ইনজীলের লেখক হাওয়ারী মথি নন। বরং ইনি পরবর্তীকালের জনৈক মথি। কিংবা অন্য কোন লোক যিনি নিজ রচনাকে হাওয়ারী মথির নামে চালিয়ে দিয়েছেন। যেই হোন না কেন, তিনি পৌল দ্বারা প্রভাবিত বা পৌলের শিষ্য-প্রশিষ্য দ্বারা শিক্ষাপ্রাপ্ত, যে কারণে তার রচনায়ও পৌলীয় দৃষ্টিভঙ্গি স্থান পেয়েছে। (বিস্তারিত দেখুন : মরিস বুকাইলি, বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান; মাওলানা আবদুল মতীন, বাইবেল বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ)।
শূলবিদ্ধ হওয়ার বিশ্বাস ও সেন্ট পৌল
সেন্ট পৌল যেমন পাপমোচন তত্ত্বের উদ্ভাবক, তেমনি হযরত মসীহ (আ)-এর মৃত্যু ও শূলবিদ্ধতার বিশ্বাসও তারই তৈরি। তিনিই দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দেন ‘আমরা ক্রুশের উপরে হত্যা করা মসীহের কথা তবলীগ করি’ (১ করিন্থীয় ১ : ২৩)।
আরও বলেন, ‘আমি ঠিক করেছিলাম, তোমাদের কাছে থাকবার সময়ে আমি ঈসা মসীহকে অর্থাৎ ক্রুশের উপর হত্যা করা ঈসা মসীহকে জানা ছাড়া আর কিছুই জানব না’ (১ করিন্থীয় ২ : ২)।
‘তাকে দুর্বল অবস্থায় ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল বটে। কিন্তু আল্লাহর শক্তিতে তিনি জীবিত আছেন’ (২ করিন্থীয় ১৩ : ৪)।
‘তিনি তার ক্রুশের উপর হত্যা করা শরীরের মধ্য দিয়ে সমস্ত হুকুম ও নিয়মসুদ্ধ মুসার শরীয়তের শক্তিকে বাতিল করেছেন (ইফিষীয় ২ : ১৪-১৫)।
আমাদের আল্লাহ ও পিতার ইচ্ছামত মসীহ আমাদের গুনাহের জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন, যেন তিনি এখনকার এই খারাপ দুনিয়ার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারেন’ (গালাতীয় ১ : ৪)।
শেষোক্ত উক্তিটি দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে, পাপমোচন তত্ত্বটির প্রতিষ্ঠাদানের জন্য হযরত মসীহের মৃত্যুতত্ত্বকেও প্রতিষ্ঠা করা জরুরি ছিল। সুতরাং পৌল জোরদারভাবেই এর প্রচারে ব্রতী থেকেছেন। এ কথা ঠিক যে, হযরত মসীহের বিচারের জন্য ইহুদীদের উপর্যুপরি দাবি ও চাপের মুখে পন্থীয় পীলাত বিচারের উদ্যোগ করেছিল এবং মসীহের নামে এক ব্যক্তিকে শূলে চড়িয়েছিল, আর সেটাকেই ইহুদীরা হযরত মসীহের হত্যা বলে প্রচার করে দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সে ব্যক্তি আদৌ মসীহ ছিলেন না। কুরআন মজীদের ঘোষণা-তারা তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি, কিন্তু তাদের এরূপ বিভ্রম হয়েছিল। যারা তার সম্বন্ধে মতভেদ করেছিল, তারা নিশ্চয় এ সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল। এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ছাড়া তাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করেনি; বরং আল্লাহ তাকে তার কাছে তুলে নিয়েছেন। (নিসা : ১৫৭-১৫৮)।
হযরত মসীহের নামে যে ব্যক্তিকে শূলে চড়ানো হয়েছিল, আসলে সে ছিল এহুদা এস্কারিয়োত। যেমন বার্ণাবাসের বাইবেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে। তা ছাড়া সম্প্রতি আবিষ্কৃত পিতরের ইনজীলে পরিষ্কার ভাষায় বলা আছে, শূলে চড়ানোর কিছুটা আগেই হযরত মসীহ (আ)-কে আসমানে তুলে নেওয়া হয়েছিল (খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, পৃ. ৪২, টীকা দ্রষ্টব্য)।
কিন্তু বাস্তবতা যাই হোক না কেন, পৌলের দর্শন বলে কথা। সে দর্শনের পক্ষে যদি মসীহকে হত্যা করা সম্পর্কে ইহুদীদের অসত্য প্রচারণাও থাকে তাও তার লুফে নিতে দ্বিধা নেই। দ্বিধা তো করেনইনি; বরং নিজ দার্শনিকতার প্রলেপ লাগিয়ে সেই প্রচারণাকে আরও বলবন্ত করে তুলেছেন। ফলে ক্রুশবিদ্ধ হওয়াটা কেবল সত্যেই পরিণত হয়নি, হযরত মসীহ (আ)-এর বাড়তি মাহাত্ম্য ও মানবজাতির পাপমোচনের অছিলা হওয়ার কারণে খৃষ্টসম্প্রদায়ের মহান বিশ্বাসেরও স্থান লাভ করেছে। কেবল ক্রুশবিদ্ধ হওয়াই কি? সেই সঙ্গে ছুতারের হাতুর-বাটালে তৈরি নিষ্প্রাণ ক্রুশখানিও তাদের ভক্তি-বিশ্বাসের জীবন্ত নিদর্শন হয়ে গেছে। পৌল তো বলেই দিয়েছেন, ‘খোদাবন্দ মসীহের ক্রুশ ছাড়া আমি যেন আর কিছুতেই গর্ববোধ না করি। এই ক্রুশের মধ্য দিয়েই দুনিয়া আমার নিকট মরে গেছে এবং আমিও দুনিয়ার কাছে মরে গেছি’ (গালাতীয় ৬ : ১৪)।
হযরত মসীহ (আ)-এর পুনর্জীবিত হওয়া
হযরত মসীহ (আ) সম্পর্কে খৃষ্টানদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস হল, তিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার তিনদিন পর পুনরায় জীবিত হন এবং হাওয়ারীদেরকে দেখা দিয়ে তাদেরকে কিছু উপদেশও দেন। তারপর তিনি আসমানে চলে যান।
বলাবাহুল্য এ বিশ্বাসটি পূর্বোক্ত বিশ্বাসেরই পরিশিষ্ট। এবং এটিও পৌলেরই উদ্ভাবন। যেখানে প্রধান হাওয়ারী পিতরের মতে হযরত মসীহ (আ)-এর মৃত্যুই হয়নি; বরং শূলে চড়ানোর আগেই তাকে আসমানে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং অপর বিশিষ্ট হাওয়ারী বার্ণাবাসের বর্ণনানুসারে শূলে চড়ানো হয়েছিল এহুদা এস্কারিয়োতকে, সেখানে হযরত মসীহকে দাফন করা এবং তিনদিন পর তার পুনর্জীবিত হওয়ার বিষয়টিই তো সম্পূর্ণ অবাস্তব। পৌলই যেহেতু ইহুদী প্রচারণাকে লুফে নিয়ে পাপমোচন তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠাকরণের লক্ষে শূলে চড়ানোর সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং তাঁর চিঠিপত্রে জোরদারভাবে এটা উপস্থাপন করেছিলেন, তাই নিশ্চিত করেই বলা যায়, ‘মসীহের পুনর্জীবিত হওয়া’র গল্পটিও সর্বপ্রথম তিনিই তৈরি করেছিলেন, যাতে পরবর্তীকালে ‘তাকে মসীহের দেখা দেওয়া ও সাহাবী বানানো’র গল্প প্রচার করা ও তা হজম করানো সহজ হয়। সুতরাং তিনি তার চিঠিতে লেখেন, ‘ঈসা মসীহ সম্বন্ধে এই কথা মনে রেখ যে, তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তোলা হয়েছিল’ (২ তীমথিয় ২ : ৮)।
‘যিনি মরেছিলেন এবং যাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে সেই মসীহ ঈসা এখন আল্লার ডান পাশে আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধ করছেন’ (রোমীয় ৮ : ৩৪)।
‘যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ তাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন, তবেই তুমি নাজাত পাবে’ (রোমীয় ১০ : ৯)।
‘মসীহ আমাদের গুনাহের জন্য মরেছিলেন, তাঁকে দাফন করা হয়েছিল, কিতাবের কথামত তিনদিনের দিন তাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে, আর তিনি পিতরকে ও পরে তার সাহাবীদের দেখা দিয়েছিলেন ... অসময়ে জন্মেছি যে আমি, সেই আমাকেও তিনি সবার শেষে দেখা দিয়েছিলেন’ (১ করিন্থীয় ১৫ : ৩-৮)।
বস্ত্তত এই শেষের কথাটিই আসল। আর এর ক্ষেত্র প্রস্ত্ততের লক্ষেই আগের সব কথা। অর্থাৎ তার দাবিমত সবশেষে অলৌকিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে খৃষ্টধর্মের নতুন যে শিক্ষা তাকে দেওয়া হয়েছিল তা যাতে সকলে সহজেই গ্রহণ করে নেয়, সেজন্যই তিনি তার রচিত কাহিনীতে হযরত মসীহ (আ) কে শূলে চড়িয়েছেন, দাফন করেছেন, তিনদিন পর জীবিত করে তুলেছেন এবং হাওয়ারী ও অন্যান্য লোকদের সঙ্গে সাক্ষাত করিয়েছেন। তারপর আসল মতলবের কথাটি সবশেষে বলেছেন, যে, ‘আমাকেও তিনি সবার শেষে দেখা দিয়েছিলেন।’
ইনজীলসমূহেও এ কাহিনী আছে বটে, কিন্তু সে ব্যাপারে কথা তাই, যা পূর্বোক্ত ‘শূলবিদ্ধ হওয়ার বিশ্বাস’-এর পর্যালোচনায় বলা হয়েছে।
তাওরাতের অনুসরণ প্রসঙ্গ
তাওরাত বনী ইসরাঈলের ধর্মগ্রন্থ। এ জাতির মহান নবী হযরত মূসা আলাইহিস সালামের উপর এ কিতাব নাযিল হয়েছিল। হযরত ঈসা (আ)ও বনী ইসরাঈলেরই নবী এবং এ জাতির সর্বশেষ পয়গম্বর। তিনি বলেন, ‘আমাকে কেবল বনী ইসরাঈলের হারানো ভেড়াদের কাছেই পাঠানো হয়েছে’ (মথি ১৫ : ২৪)।
অর্থাৎ যারা তাওরাত ও মুসা (আ)-এর শরীয়ত থেকে সরে গেছে তাদেরকে সেই পথে ফিরিয়ে আনার জন্যই তার আবির্ভাব। সুতরাং তিনি জীবনভর মানুষকে তাওরাতের দিকেই ডেকেছেন। কখনও তাওরাত রহিত হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেননি। বরং তিনি তার বিভিন্ন বাণীতে স্পষ্ট বলেছেন, আমার উদ্দেশ্য তাওরাতের বিরুদ্ধাচরণ করা নয়; বরং আমি তাওরাতের সমর্থন করি। মথির ইনজীলে আছে, ‘এই কথা মনে করো না যে, আমি তাওরাত বা নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসিনি; বরং পূর্ণ করতে এসেছি। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও যমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তাওরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয়, ততদিন সেই তাওরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না’। (মথি ৫ : ১৭-১৮)।
আরেকবার বলেন, তোমরা অন্য লোকদের কাছ থেকে যে রকম ব্যবহার পেতে চাও তোমরাও তাদের সংগে সেই রকম ব্যবহার করো। এটাই হল তাওরাত কিতাব ও নবীদের কিতাবের শিক্ষার মূল কথা (মথি ৭ : ১২)।
আরও বলেন, শরীয়ত শিক্ষা দেবার ব্যাপারে আলেমরা ও ফরীশীরা মূসা নবীর জায়গায় আছেন। এজন্য তারা যা কিছু করতে বলেন তা করো এবং যা পালন করবার হুকুম দেন তা পালন করো (মথি ২৩ : ২-৩)।
প্রকাশ থাকে যে, শরীয়ত বলতে হযরত মূসা (আ)-এর শরীয়ত ও তাওরাতকে বোঝানো হয়েছে। হযরত ‘ঈসা (আ)-এর এসব উক্তি দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি তাওরাত কিতাবকে রহিত বলে মনে তো করতেনই না; বরং তাকে অবশ্য পালনীয়ও মনে করতেন এবং তার উম্মতের জন্য তাওরাতের বিধানাবলি মেনে চলা অবশ্যকর্তব্য বলেই প্রচার করতেন।
খৃষ্টধর্ম না পৌলবাদ-৬
তাওরাত সম্পর্কে পৌলের অভিমত
কিন্তু সেন্ট পৌলের অভিমত এর সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি তাওরাতকে একখানি বাতিল কিতাব বলে মনে করতেন। তার মতে হযরত মসীহ (আ)-এর মাধ্যমে তাওরাতের বিধানাবলি রহিত হয়ে গেছে। ফলে তার উম্মতের জন্য সে কিতাব অনুসরণের ও তার বিধানাবলি পালনের কোন প্রশ্ন আসে না। তিনি নিজ পত্রাবলির মাধ্যমে তার ভক্ত-অনুরক্তদেরকে এ রকম শিক্ষাই দিতেন এবং তারা যাতে তাওরাত থেকে সম্পূর্ণরূপে বিমুখ হয়ে যায় সেই চেষ্টাই চালাতেন। সুতরাং তিনি রোমীয়দের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘শরীয়ত থেকে এখন আমরা মুক্ত। তার ফলে আমরা এখন লেখা শরীয়তের সেই পুরানো জীবন-পথের গোলাম নই, কিন্তু পাক-রূহের দেওয়া নতুন জীবন-পথের গোলাম হয়েছি’ ( রোমীয় ৭ : ৬)।
একটু আগেই বলা হয়েছে শরীয়ত বলতে তাওরাতকে বোঝানো হয়েছে (দেখুন কিতাবুল মুকাদ্দাসের শব্দের অর্থ ও টীকা, পৃ. ৪০১-৪০২)।
ইফিষীয়দের কাছে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘তিনি তার ক্রুশের উপরে হত্যা করা শরীরের মধ্য দিয়ে সমস্ত হুকুম ও নিয়মসুদ্ধ মূসার শরীয়তের শক্তিকে বাতিল করেছেন’ (২ : ১৪)।
গালাতীয়দের নামে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘কিন্তু এখন ঈমান এসেছে বলে আমরা আর শরীয়তের পরিচালনার অধীন নই’ (৩ : ২৫)।
তার দৃষ্টিতে তাওরাত ও শরীয়ত যেহেতু বাতিল হয়ে গেছে তাই তার অনুসরণেরও কোন সার্থকতা নেই। তিনি বলেন, ‘সেজন্য আমরাও মসীহের উপর ঈমান এনেছি, কোন শরীয়ত পালনের জন্য নয়; বরং মসীহের উপর ঈমানের জন্যই আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়; কারণ শরীয়ত পালন করবার ফলে কাউকেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে না’ (গালাতীয় ২ : ১৬)।
তার দৃষ্টিতে তাওরাতের অনুসরণ কেবল অর্থহীন নয়, ক্ষতিকরও বটে। কেননা আসমানী কিতাব অনুসরণের সার্থকতা তো এখানেই যে, তা দ্বারা মানবাত্মায় প্রাণ সঞ্চার হয়। কিন্তু তার মতে তাওরাতের সে শক্তি নেই; বরং তা কেবল মৃত্যুই দান করতে পারে। তিনি বলেন, ‘একটা নতুন ব্যবস্থার কথা জানাবার জন্য তিনিই আমাদের যোগ্য করে তুলেছেন। এই ব্যবস্থা অক্ষরে অক্ষরে শরীয়ত পালনের ব্যাপার নয়, কিন্তু পাক-রূহের পরিচালনায় অন্তরের বাধ্যতার ব্যাপার। কারণ শরীয়ত মৃত্যু আনে, কিন্তু পাক-রূহ জীবন দান করে’ (২ করিন্থীয় ৩ : ৬)।
কি কারণে শরীয়ত মৃত্যু আনে? আনে এ কারণে যে, শরীয়তের অনুসরণ করার ফলে পাপপ্রবণতাই বাড়ে আর মৃত্যু তো পাপেরই পরিণাম। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর হূল পাপ। আর পাপের শক্তিই মুসার শরীয়ত’ (১ করিন্থীয় ১৫ : ৫৬)।
সুতরাং শরীয়ত অনুসরণের অর্থ পাপপ্রবণতায় পুষ্টি জোগানো, যার অবধারিত পরিণাম মৃত্যু। আর সেও কি স্বাভাবিক মৃত্যু? গজব ও অভিশাপের মৃত্যু। তাওরাত ও শরীয়তের অনুসরণ তার দৃষ্টিতে এমন মারাত্মক পাপ, যার পরিণামে মানুষ আল্লাহর গজবে পতিত হয়। রোমীয়দের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘শরীয়ত আল্লাহর গজবকে ডেকে আনে’ (৪ : ১৫)।
তো এই হচ্ছে তাওরাত ও মূসা (আ)-এর শরীয়ত সম্পর্কে সেন্ট পৌলের দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি মূলত খৃষ্টধর্মকে তাওরাত থেকে এবং খৃষ্টসম্প্রদায়কে হযরত মূসা (আ) থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন। হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষানুসারে তাঁর অনুসারীগণ তাওরাত-বিমুখ নয়; বরং তাওরাতের প্রকৃত অনুসারী হয়ে উঠত এবং আজ হয়ত খৃষ্টধর্ম নামে আলাদা কোন ধর্মের সৃষ্টিই হত না। হযরত মসীহ (আ)-এর মাধ্যমে পথহারা বনী ইসরাঈল তাওরাতের পথে ফিরে আসার ফলে হযরত মুসা (আ)-এর ধর্ম পুনরুজ্জীবিত হত। কিন্তু পৌলের
চিন্তাধারা তাতে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। তার তৎপরতার ফলে হযরত মসীহ (আ)-এর দীনী মেহনতের গতিধারা কিছুকাল পরে সম্পূর্ণ ভিন্নপথে বাঁক নিয়ে বসে এবং একপর্যায়ে তা হযরত মূসা (আ)-এর তৈরি পথ পরিহার করে এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটিয়ে স্বতন্ত্র ধর্মের রূপ পরিগ্রহ করে। সুতরাং হোষ্টন ষ্ট্যুয়ার্ট চেম্বারলেন মন্তব্য করেন, ‘তিনি (পৌল) খৃষ্টধর্মকে জোড়াতালি দিয়ে ইহুদী ধর্ম থেকে আলাদা একটি আকৃতি দান করেছেন। ফলে তিনি ইয়াসূর নামে প্রতিষ্ঠিত চার্চসমূহের জনক বনে গেছেন।’
পৌলের ঘোর সমর্থক লুই উইংকও উল্লেখিত মত সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘পৌল না হলে খ্রিষ্টধর্ম ইহুদীধর্মের একটি শাখা হয়ে যেত এবং এটা বৈশ্বিক ধর্মের রূপ পরিগ্রহ করত না’ (বিস্তারিত দ্র. খৃষ্টধর্মের স্বরূপ পৃ. ১৩৭-১৩৮)।
প্রভুর নৈশভোজ
খৃষ্টধর্মে প্রভুর নৈশভোজ (খড়ৎফ'ং ঝঁঢ়ঢ়বৎ) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা। হযরত মসীহ (আ)-এর আত্মোৎসর্গের স্মারকরূপে এ প্রথা পালন করা হয়ে থাকে। এ ধর্মের বিশ্বাস, হযরত মসীহ ইহুদীদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগের রাতে হাওয়ারীদের সাথে খাবার খেয়েছিলেন। মথির ইনজীলে আছে, খাওয়ার সময় ঈসা একটি রুটি নিয়ে আল্লাহকে শুকরিয়া জানালেন। পরে তিনি সেই রুটি টুকরা টুকরা করলেন এবং সাহাবীদের দিয়ে বললেন, এই নাও, এ আমার শরীর (মথি ২৬ : ২৬)।
লূকের বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, হযরত মসীহ হাওয়ারীদের বললেন, ‘আমাকে
মনে করবার জন্য এ রকম করো’ (লূক ২২ : ১৯)।
হযরত মসীহের সে নির্দেশ পালনার্থেই নৈশভোজের প্রথাটি পালন করা হয়। বিখ্যাত খৃষ্টান পন্ডিত জাষ্টিন মর্টির তার সময়ে যেভাবে প্রথাটি পালিত হত তার বিবরণ দিতে গিয়ে লেখেন, ‘প্রতি রোববার চার্চে একটি ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে কিছুক্ষণ প্রার্থনা ও কাওয়ালী পাঠ করা হয়। তারপর উপস্থিত সকলে একে অন্যকে চুমো খেয়ে শুভেচ্ছা জানায়। তারপর রুটি ও মদ আনা হয় এবং মজলিসের সভাপতি তা নিয়ে পিতা, পুত্র ও পাক-রূহের কাছে বরকত প্রার্থনা করে এবং উপস্থিত সকলে তাতে আমীন বলে। তারপর চার্চের সেবায়েতগণ সেই রুটি ও মদ সকলের মধ্যে বিতরণ করে। এই আচার-অনুষ্ঠানের ফলে সহসা সেই রুটি মসীহের দেহ এবং মদ তাঁর রক্তে পরিণত হয়। সেই দেহ ও রক্ত খেয়ে সকলে তাদের পাপমোচন বিশ্বাসকে সজীব করে তোলে।
পরবর্তীকালে এ প্রথার নিয়মে কিছু পরিবর্তন আসলেও মূল বিশ্বাস একই রয়ে গেছে। অর্থাৎ সভাপতি যখন উপস্থিত উপাসকদের মধ্যে রুটি ও মদ পরিবেশন করে তখন সে রুটি ও মদ মসীহ (আ)-এর রক্ত-মাংসে পরিণত হয়। বাহ্যদৃষ্টিতে তাকে যাই দেখা যাক না কেন।
রুটি ও মদ কি করে রক্ত-মাংসে পরিণত হয়, এ বিষয়টা দীর্ঘকাল যাবৎ আলোচনা-পর্যালোচনার বিষয়বস্ত্ত হয়ে আছে। যার সামান্যতমও আকল-বুদ্ধি আছে, তার কাছে অবশ্যই এটা একটা আজগুবি ব্যাপার মনে হবে। তা যতই আজগুবি ও অসম্ভব ব্যাপার হোক না কেন, খৃষ্টসম্প্রদায় কিন্তু অন্ধভাবে এটা বিশ্বাস করে আসছে এবং পরম ভক্তির সাথে এ প্রথা পালন করে যাচ্ছে।
হযরত মসীহ (আ) ও নৈশভোজ
প্রশ্ন হচ্ছে হযরত মসীহ (আ) নিজেই কি এ প্রথার প্রবর্তক ছিলেন? প্রশ্ন ওঠে এজন্য যে, মানবতার উষাকাল থেকেই সর্বদা আসমানী নির্দেশনা ও নবীগণের শিক্ষা সর্বাপেক্ষা যৌক্তিক ও বৌদ্ধিকরূপে গণ্য হয়ে আসছে। নবীগণের শিক্ষায় থাকে বোধের উন্মেষ। তাতে চেতনা জাগ্রত হয়, দৃষ্টি খুলে যায় ও বুদ্ধি শানিত হয়। কিন্তু এই যে নৈশভোজের বিশ্বাস-এ তো বিলকুলই অন্ধত্ব ও মূঢ়তা, যা বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সাথে কিছুতেই যায় না। সুতরাং প্রশ্ন জাগবেই যে, এটা কি হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষা?
বস্ত্তত খৃষ্টধর্মের একটি অংশ হিসেবে এ প্রথার সপক্ষে হযরত মসীহ (আ)-এর কোন নির্দেশনা নেই। প্রচলিত ইনজীলসমূহের বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ থাকার পরও তা দ্বারা এ প্রথাকে প্রমাণ করা যায় না। ইওহোন্নার ইনজীলে তো ঘটনাটিরই কোন উল্লেখ নেই। মথি ও মার্কের ইনজীলে ঘটনাটি আছে বটে, কিন্তু তাতে হযরত মসীহ (আ) একে স্থায়ী প্রথা হিসেবে পালন করার কোন হুকুম দেননি। হুকুম পাওয়া যায় কেবল লূকের বর্ণনায়। তাতে আছে, ‘আমাকে মনে করবার জন্য এ রকম করো (২২ : ১৯)।
বলাবাহুল্য, লূকের বর্ণনা দ্বারা কোন বিষয়কে হযরত মসীহের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা কঠিন। কেননা তিনি ছিলেন পৌলের শিষ্য। তার রচনায় পৌলের চিন্তা-চেতনাই ঠাঁই পেয়েছে। তিনি তার ইনজীল রচনাও করেছিলেন পৌলের পত্রাবলির পর। সুতরাং তার ইনজীলের যেসব কথা পৌলের পত্রসমূহেও আছে, বুঝতে হবে তিনি তা পৌল থেকে শিক্ষা পেয়েই লিখেছেন। নৈশভোজের বিষয়টাও সে রকমই। পৌলই প্রথমে করিন্থীয়দের কাছে লেখা চিঠিতে নৈশভোজের আদেশ উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের যে শিক্ষা দিয়েছি তা আমি প্রভুর কাছ থেকে পেয়েছি। যে রাতে হযরত ঈসাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে রাতে তিনি রুটি নিয়ে আল্লাহকে শুকরিয়া জানিয়েছিলেন এবং তা টুকরা টুকরা করে বলেছিলেন, এটা আমার শরীর যা তোমাদেরই জন্য দেওয়া হবে। আমাকে মনে করবার জন্য এই রকম করো। খাওয়া হলে পর সেভাবে তিনি পেয়ালা নিয়ে বলেছিলেন, আমার রক্তের দ্বারা আল্লাহর যে নতুন ব্যবস্থা বহাল করা হবে সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হল এই পেয়ালা।
তোমরা যতবার এর থেকে খাবে আমাকে মনে করবার জন্য এরকম করো (১ করিন্থীয় ১১ : ২৩-২৬)।
এর দ্বারাই বোঝা যায়, পৌলই সর্বপ্রথম হযরত ঈসা (আ)-এর নামে এ প্রথাটির গোড়াপত্তন করেন। এটা কেবল আমাদেরই উপলব্ধি নয়, খ্রিষ্টানগণও এটা অকপটে স্বীকার করেছেন। সুতরাং এফ.সি. বুরকিট লেখেন, ‘প্রভুর নৈশভোজের বৃত্তান্ত যদি আপনি মার্কের ইনজীলে পড়েন, তবে সেখানে এ কাজটি চালু রাখা সংক্রান্ত কোন আদেশ আপনি পাবেন না। কিন্তু মহাত্মা পৌল যখন যিশুর এ কাজটির কথা বর্ণনা করেন তখন তার সাথে সম্বন্ধযুক্ত করে এই বাক্যটি যোগ করে দেন যে, ‘আমাকে স্মরণ করবার জন্য তোমরা এরূপই করো’ (দেখুন খৃষ্টধর্মের স্বরূপ পৃ. ১০২)।
খতনা
খতনা করানো নবীগণের সুন্নত। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম থেকেই এ নিয়ম চলে আসছে। তাঁর পরবর্তী সমস্ত নবীই নিজ নিজ উম্মতকে এটা পালনের আদেশ করেছেন।
তাওরাতে আছে, ‘তুমি ও তোমার সমস্ত সন্তান বংশের পর বংশ ধরে এই ব্যবস্থা মেনে চলবে। ... তোমাদের প্রত্যেক পুরুষের খতনা করতে হবে। তা তোমার ও তোমার বংশের লোকদের মেনে চলতে হবে। ... এটাই হবে তোমাদের শরীরে চিরকালের ব্যবস্থার চিহ্ন। যে লোকের পুরুষাঙ্গের সামনের চামড়া কাটা নয় তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলা হবে। কারণ সে আমার ব্যবস্থা অমান্য করেছে (পয়দায়েশ ১৭ : ৯-১৪)।
হযরত মূসা (আ)কে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, আট দিনের দিন ছেলেটির খতনা করাতে হবে (লেবীয় ১২ : ৩)।
এভাবে খতনার বিধানটি সব নবীর সময়ই চালু ছিল। এমনকি যিশুখ্রিষ্টের নিজেরও খতনা করানো হয়েছিল (দেখুন লূক ২ : ২১)।
তাওরাতের বিধান হিসেবে ইহুদীদের মধ্যে এটির সাধারণ প্রচলন ছিল। পৌলের নিজেরও খতনা হয়েছিল, যেমন তিনি তাঁর আত্মজীবনী বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর ইহুদী বা বনী ইসরাঈলের নবী হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়, হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষায়ও খতনা ছিল, বিশেষত যখন তাঁর থেকে এমন কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না, যা দ্বারা এ বিধানটি রহিত হয়েছে বলে প্রমাণ করা যাবে।
খতনা সম্পর্কে পৌলের অভিমত
কিন্তু এ সম্পর্কে পৌলের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি তার পত্রাবলিতে এর অকার্যকরতা, অপ্রয়োজনীয়তা ও অসারতাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। বরং তাঁর দৃষ্টিতে এটা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ারই কারণ। তিনি গালাতীয়দের নামে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘আমি পৌল তোমাদের বলছি, শোন, যদি তোমাদের খতনা করানোই হবে তবে তোমাদের কাছে মসীহের কোন মূল্য নেই। আমি সকলের কাছে আবার এই সাক্ষ্য দিচ্ছি, যাকে খতনা করানো হয়, সে সমস্ত শরীয়ত পালন করতে বাধ্য। তোমরা যারা শরীয়ত পালন করে আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হতে চাইছ তোমরা তো মসীহের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছ। আল্লাহর রহমত থেকে সরে গেছ (গালাতীয় ৫ : ২-৪)।
আরও বলেন, ‘খতনা করানো বা না করানোর কোন দামই নেই। মসীহের মধ্য দিয়ে নতুন সৃষ্টি হয়ে ওঠাই হল বড় কথা’ (৬ : ১৬)।
খতনা বিধানটির উপর যে তার কত গোস্সা তা আঁচ করা যায় ফিলিপীয়দের নামে লেখা চিঠি দ্বারা। তাতে বলেন, ‘ঐ কুকুরগুলো থেকে সাবধান, যারা খারাপ কাজ করে এবং শরীরের কাটা-ছেঁড়া করাবার (খতনা করানোর) উপর জোর দেয় (ফিলিপীয় ৩ : ২)।
অন্যত্র বলেন, এমন অনেক লোক আছে, যারা অবাধ্য, যারা বাজে কথা বলে ও যারা ছলনা করে বেড়ায়। যারা খতনা করানোর উপর জোর দেয়, বিশেষ করে আমি তাদের কথাই বলছি
(তীত ১ : ১০)।
১০৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: বৈরাগ্য ও সন্যাসব্রত
বৈরাগ্য খৃষ্টধর্মে খুব পসন্দনীয়। তাদের দৃষ্টিতে সংসারবিমুখ হয়ে যদি আশ্রমবাসী হওয়া যায় এবং সেখানে একমনে আল্লাহর উপাসনায় নিমগ্ন থাকা যায় তবে সেটাই সংসারজীবী হয়ে আল্লাহ ও বান্দার হক আদায়ে রত থাকা অপেক্ষা উত্তম। কিন্তু তাদের এ দৃষ্টিভঙ্গি আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের শিক্ষার সঙ্গে মেলে না। দুনিয়ায় যত নবী-রাসূল এসেছেন, প্রত্যেকেই সংসারজীবন যাপন করেছেন এবং মানুষকেও সে রকমই শিক্ষা দিয়েছেন। তাদের শিক্ষার ভেতর ইবাদত-বন্দেগীর মত মানুষের সাথে মেলামেশা, বেচাকেনা ও সমাজজীবনের প্রয়োজনীয় সব বিষয়ও সমান গুরুত্ব পেয়েছিল। সুতরাং প্রশ্ন জাগে খৃষ্টধর্মে এ বৈপরিত্য কেন? হযরত মসীহ (আ) থেকেই কি তারা এ শিক্ষা পেয়েছে?
প্রচলিত ইনজীলসমূহে হযরত মসীহ (আ)-এর এমন কোন উক্তি পাওয়া যায় না, যা বৈরাগ্যকে সমর্থন করে। বরং তার বক্তব্য মতে তিনি যেহেতু বনী ইসরাঈলের পথহারা মেষপালকে পথ দেখানোর জন্যই প্রেরিত হয়েছিলেন, তাই প্রকাশ তো এটাই যে, তিনি বনী ইসরাঈলের মৌলিক অনুসরণীয় নির্দেশনা তথা তাওরাতের বিধান অনুসারে সমাজ-সংসারজীবন-ঘনিষ্ঠ শিক্ষাই দান করতেন।
এ কথা ঠিক যে, তিনি নিজে বিবাহ করেননি ও সংসারজীবন যাপন করেননি, কিন্তু এটা সন্যাসবাদের দলিল হতে পারে না। কেননা ব্যক্তিজীবনে মানুষের বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা থাকে, যদ্দরুণ ক্ষেত্রবিশেষে নিজ জীবনদর্শনের প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হয় না। কাজেই সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কর্ম নয়; বরং তিনি বলেন কী সেটাই লক্ষণীয়।
হযরত ঈসা (আ)-এর জীবনে সে রকম পারিপার্শ্বিকতা তো ছিলই। তিনি যখন নবী হিসেবে দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করলেন তখন ইহুদীরা তার বিরুদ্ধে এমনই শোরগোল তুলল যে, তার পক্ষে সুস্থির জীবন-যাপনই মুশকিল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত তো তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার ও তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে আসমানে তুলে নিলেন, তার পার্থিব আয়ুষ্কাল আর পূরণ হল না। এর ফলে তাঁর আর বৈবাহিক জীবন যাপনের অবকাশ হল না। কিয়ামতের আগে যখন তাঁকে আবার দুনিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে এবং এখানে তাঁর নির্ধারিত আয়ুও পূর্ণ করা হবে, সেই জীবনে তিনি ঠিকই বিবাহ করবেন এবং তখন তাঁর সন্তান-সন্ততিও জন্ম নেবে, যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।
মোটকথা বৈরাগ্যবাদ হযরত ঈসা (আ)-এর শিক্ষা নয় এবং এটা মূল খৃষ্টধর্মে ছিলই না। কুরআন মজীদেও এর সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু সন্যাসবাদ-এ তো তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি তাদেরকে এর বিধান দেইনি। অথচ তাও তারা যথাযথভাবে পালন করেনি (হাদীদ : ২৭)।
বৈরাগ্যবাদ ও সেন্ট পৌল
প্রকৃতপক্ষে বৈরাগ্যবাদ সেন্ট পৌলের উদ্ভাবন। তিনিই খৃষ্টধর্মে ঈসা (আ)-এর শিক্ষাবিরোধী এই প্রথার জন্ম দিয়েছেন। তিনি নিজে তো বিবাহ করেনইনি, উপরন্তু চিঠিপত্র দ্বারা তার অনুসারীদেরকেও সেই রকম জীবন যাপনে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, অবিবাহিত আর বিধবাদের আমি বলছি, তারা যদি আমার মত থাকতে পারে, তবে তাদের পক্ষে তা ভাল (১ করিন্থীয় ৭ : ৮)।
আমি চাই যেন তোমরা চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত থাকতে পার। অবিবাহিত লোক প্রভুর বিষয়ে ভাবে। সে চিন্তা করে কিভাবে সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। বিবাহিত লোক সংসারের বিষয়ে ভাবে, সে চিন্তা করে কিভাবে সে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে। এইভাবে দুই দিকই তাকে টানতে থাকে। যে মেয়ের স্বামী নেই এবং অবিবাহিতা মেয়ে প্রভুর বিষয়ে চিন্তা করে, যাতে সে শরীরে আর দিলে প্রভুর হতে পারে। কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রীলোক সংসারের বিষয়ে ভাবে। সে চিন্তা করে কেমন করে সে স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে। এই কথা আমি তোমাদের উপকারের জন্যই বলছি। আমি তোমাদের ধরাবাঁধার মধ্যে রাখবার জন্য তা বলছি না; বরং যা করা উচিত ও যা ভালো তা করার জন্য তোমাদের উৎসাহ দিচ্ছি। যেন তোমরা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে প্রভুর সেবা করতে পার (১ করিন্থীয় ৭ : ৩২-৩৫)।
একই চিঠিতে তিনি আরও বলেছেন, যে তার মেয়েকে বিয়ে দেয় সে ভালো করে, আর যে তাকে বিয়ে না দেয় সে আরও ভালো করে (১ করিন্থীয় ৭ : ৩৮)।
তিনি যেমন বিয়েতে নিরুৎসাহী ছিলেন, তেমনি অর্থোপার্জনেও। মানুষের দান-খয়রাতের উপরই নির্ভর করতেন। এজন্য তার কোন গ্লানি তো ছিলই না, উল্টো ধর্মশিক্ষা দানের কারণে তাকে তার প্রাপ্য মনে করতেন, অথচ দীনী কাজের কারণে মানুষের থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ না করাই নবী-রাসূলগণের শিক্ষা। তিনি বলেন, আমরা যখন তোমাদের মধ্যে রূহানী বীজ বুনেছি তখন তোমাদের কাছ থেকে যদি জাগতিক খাওয়া-পরা জোগাড় করি তবে সেটা কি খুব বেশি কিছু? (১ করিন্থীয় ৯ : ১২)।
এভাবে খৃষ্টধর্মে কুমার জীবন-যাপন, আয়-রোজগার না করে ভিক্ষাবৃত্তি ও পরনির্ভরশীলতা তথা পুরোপুরি সন্যাসবাদের প্রবর্তন সেন্ট পৌলের কীর্তি। এর সাথে হযরত মসীহ (আ)-এর শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই।
খৃষ্টধর্মের সার্বজনীনতা
বহুকাল যাবত খৃষ্টান মিশনারীরা বিশ্বব্যাপী খৃষ্টধর্ম প্রচার করে বেড়াচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষকে তাদের নাজাতের লক্ষ্যে খৃষ্টধর্ম গ্রহণের দাওয়াত দিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে খৃষ্টধর্ম কি এমনই সার্বজনীন ধর্ম, যা দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জন্য প্রযোজ্য? এবং যে কাউকে এ ধর্ম গ্রহণের দাওয়াত দেওয়া যায় ও যে কেউ এটা গ্রহণ করতে পারে? এ ব্যাপারে হযরত মসীহ (আ)-এর নিজের
বক্তব্য কী?
প্রচলিত চার ইনজীলের বিশ্বস্ততা প্রশ্নবিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তাতে হযরত ঈসা (আ)-এর যে সব উক্তি বর্ণিত হয়েছে তা দ্বারা স্পষ্টই জানা যায়, তিনি কেবল বনী ইসরাঈলের কাছেই প্রেরিত হয়েছিলেন। তার দাওয়াত সকল জাতির জন্য ব্যাপক ছিল না। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, আমাকে কেবল বনী ইসরাঈলের হারানো ভেড়াদের কাছেই পাঠানো হয়েছে’ (মথি ১৫ : ২৪)।
কুরআন মজীদও সে কথাই বলে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ কর, যখন মারয়াম-পুত্র ঈসা বলল, হে বনী ইসরাঈল, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত (রাসূল)।-সূরা সাফফ : ৬।
তিনি তাঁর কাজকে ইহুদী জাতির মধ্যে এতটাই সীমাবদ্ধ বলে বিশ্বাস করতেন যে, এমনকি অন্যদের পার্থিব কোন উপকার হয়-এমন কাজ করতেও সহজে রাজি হতেন না।
মথির উপরিউক্ত পদটির আগে আছে, একজন কেনানীয় স্ত্রীলোক এসে চিৎকার করে বলতে লাগল, হে হুজুর, দাউদের বংশধর, আমাকে দয়া করুন। ভূতে ধরবার দরুন আমার মেয়েটি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু ঈসা তাকে একটি কথাও বললেন না। তখন তাঁর সাহাবীরা এসে তাঁকে অনুরোধ করে বললেন, ওকে বিদায় করে দিন। কারণ ও আমাদের পিছনে পিছনে চিৎকার করছে। এরই জবাবে ঈসা (আ) উপরে বর্ণিত কথাটি বলেন। যিনি পার্থিব উপকারের কাজটিকে নিজ সম্প্রদায় তথা ইহুদী জাতির জন্য এতটা সীমাবদ্ধ মনে করেন, তাঁর কাছে তাঁর নবুয়াতী ও দাওয়াতী কার্যক্রম যে তাদের পক্ষে সীমিত হবে তা বলাই বাহুল্য। এ কারণেই তিনি তার দাওয়াতকে ইহুদী জাতির বাইরে সম্প্রসারিত করার পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি যখন নিজ শিষ্য ও হাওয়ারীদেরকে দাওয়াতী দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেন তখন তাদেরকে হুকুম দিয়েছিলেন, ‘তোমরা অ-ইহুদীদের কাছে বা সামেরীয়দের কোন গ্রামে যেও না; বরং ইসরাঈল জাতির হারানো ভেড়াদের কাছে যেও’ (মথি ১০ : ৫)
তার এসব উক্তি ও আদেশ দ্বারা স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, তিনি সকল মানুষের নয়; বরং কেবল বনী ইসরাঈল ও ইহুদীদের নবী হিসেবেই প্রেরিত হয়েছিলেন। সুতরাং তার প্রচারিত ধর্ম ও তার আনীত শরীয়ত কেবল ইহুদী জাতির জন্যই অনুসরণীয়। অন্য কোন জাতির জন্য তা অনুসরণীয় নয়। সুতরাং ইহুদী ছাড়া অন্য কোন সম্প্রদায়ের কাছে তার ধর্ম প্রচার করার অবকাশ নেই। খৃষ্টান মিশনারীরা যে অন্যদের কাছে খৃষ্টধর্ম প্রচার করছে, মূলত তাদের তা করার কোন বৈধতা নেই। তারা তা করে তাদের নবীর আদেশ অমান্য করার অপরাধে অপরাধী হচ্ছে। বাকি প্রশ্ন হল, অন্য জাতির মধ্যে তাদের দাওয়াতী কার্যক্রমের সূচনাটা হল কিভাবে? কে ইহুদীদের জন্য সীমাবদ্ধ ধর্মকে অন্য জাতিতে সম্প্রসারিত করে অন্যদেরকে বিপথগামী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করল?
পৌলের চিন্তাধারা
হ্যাঁ খৃষ্টধর্মের অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গির মত এ বিষয়টাও পৌলেরই সৃষ্টি। তিনিই প্রথম এ ধর্মকে সার্বজনীন ধর্মের রূপ দিয়েছেন। তিনিই প্রথম ইহুদী ছাড়া অন্য জাতির মধ্যে এ ধর্মের প্রচারকার্য শুরু করেন এবং দাবি করেন হযরত মসীহ (আ)ই তাঁর উপর এ দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রভু আমাকে বললেন, তুমি যাও, আমি তোমাকে দূরে অ-ইহুদীদের কাছে পাঠাব’ (প্রেরিত ২২ : ২১)।
‘আল্লাহ আমাকে অ-ইহুদীদের কাছে মসীহ ঈসার সেবাকারী হবার দোয়া করেছেন। পাক-রূহের দ্বারা যেসব অ-ইহুদীদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে তারা যেন আল্লাহর গ্রহণযোগ্য কোরবানী হতে পারে সেজন্য তাঁরই দেওয়া সুসংবাদ তবলীগ করে আমি ইমামের কাজ করছি’ (রোমীয় ১৫ : ১৬)।
‘তোমরা যারা অ-ইহুদী তোমাদের জন্যই আমি মসীহ ঈসার বন্দি হয়েছি। তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ যে, আল্লাহ তার রহমতের ব্যবস্থা তোমাদের জানাবার ভার আমার উপর দিয়েছেন। তার গোপন উদ্দেশ্য তিনি ওহী দ্বারা আমাকে জানিয়েছেন। ... সে গোপন উদ্দেশ্য হল, এই সুসংবাদের মধ্য দিয়ে অ-ইহুদীরা মসীহ ঈসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইহুদীদের সঙ্গে একই সুযোগের অধিকারী হবে, একই শরীরের অংশ হবে’ (ইফিষীয় ৩ : ২-৬)।
‘ইহুদীদের কাছে সুসংবাদ তবলীগ করার ভার যেমন পিতরের উপর দেওয়া হয়েছিল তেমনি অ-ইহুদীদের কাছে
সুসংবাদ তবলীগ করার ভার আল্লাহ আমার উপর দিয়েছেন’ (গালাতীয়
২ : ৭)।
‘আল্লাহ আমার জন্মের সময় থেকেই আমাকে নিযুক্ত করে রেখেছিলেন ...। আমি যেন অ-ইহুদীদের কাছে মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলীগ করি, এজন্য আল্লাহ যখন তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর পুত্রকে আমার কাছে প্রকাশ করলেন, তখন আমি কোন লোকের সংগে পরামর্শ করিনি’ (গালাতীয় ১ : ১৫-১৬)।
অ-ইহুদীদের কাছে একজন খ্রিষ্টীয় প্রচারক ও প্রেরিত হওয়ার দাবিমূলক এ জাতীয় বাক্য তার পত্রাবলিতে অজস্র রয়েছে। এটাও একটা খটকার বিষয় বৈকি। কেন তাকে এমন জোরদার ভাষায় এ দাবি করতে হচ্ছে? করতে হচ্ছে এজন্য যে, ইহুদী জাতির বাইরে খৃষ্টধর্ম প্রচারের যে অবস্থান তিনি গ্রহণ করেছিলেন, তা এ যাবৎকাল হযরত মসীহ (আ) ও তার শিষ্যবর্গের থেকে যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার হয়ে আসছিল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ কারণে তাকে তীব্র প্রতিরোধেরও সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তার শিষ্য লূক প্রেরিত পুস্তকে বলেন, ‘লোকেরা এতক্ষণ পর্যন্ত পৌলের কথা শুনছিল, কিন্তু যখন তিনি অ-ইহুদীদের কথা বললেন, তখন লোকেরা জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, ওকে দুনিয়া থেকে দূর করে দাও, ও বেঁচে থাকবার উপযুক্ত নয়’ (প্রেরিত ২২ : ২২)।
বোঝা যাচ্ছে, খৃষ্টধর্ম যে ইহুদীদের জন্যই সীমিত ছিল এটা সকলের জানা একটি প্রতিষ্ঠিত মত। পৌলই সর্বপ্রথম সে সীমানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালান এবং তাতে পরিশেষে সফল হলেও প্রথমদিকে তাকে তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আর সে কারণেই তিনি আল্লাহ ও মসীহের বরাত দিয়ে নিজ দাবিকে এতটা জোরদারভাবে বারবার উপস্থাপন করছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, অ-ইহুদীদের মধ্যে খৃষ্টধর্মকে প্রচার করার এতটা গরজ তাঁর কেন দেখা দিয়েছিল?
এ গরজ বোঝার জন্য তার আরেকটি দাবি আমাদের সামনে রাখতে হবে। করিন্থবাসীদের কাছে লেখা ১ নং চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছ থেকে যে বিশেষ রহমত আমি পেয়েছি তার দ্বারাই ওস্তাদ রাজমিস্ত্রির মত আমি ভিত্তি গেঁথেছি আর তার উপরে অন্যেরা দালান তৈরি করেছে’ (১ করিন্থীয় ৩ : ১০)।
বস্ত্তত সেন্ট পৌল খৃষ্টধর্মের মোড়কে একটি নতুন ধর্মমতের ভিত্তিস্থাপন করার স্বপ্ন দেখছিলেন। যে কারণে তিনি খৃষ্টধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও হাওয়ারীদের কাছ থেকে সে ধর্মের শিক্ষা গ্রহণের কোন প্রয়োজন বোধ করেননি; বরং সোজা আরব এলাকায় চলে গিয়ে তিন বছর নিভৃত জীবন যাপন করেন এবং স্বপ্নের ধর্মটি কেমন হবে তার রূপরেখা তৈরি করেন। তারপর জেরুজালেমে ফিরে এসে পর্যায়ক্রমে সে পথে অগ্রসর হতে থাকেন। প্রথমদিকে তিনি হাওয়ারীদের সাথে মিলেই কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার উদ্ভাবিত নতুন নতুন তত্ত্ব দেখে তাঁদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে এবং পরিশেষে এক এক করে তাঁরা সকলে তার থেকে সরে পড়েন।
কিন্তু ইত্যবসরে তার যা অর্জন করার ছিল তা অর্জিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ একজন যিশু-সেবক হিসেবে সামাজিক প্রতিষ্ঠালাভ। অনন্তর তিনি পূর্ণোদ্যমে আপন লক্ষ্যে অগ্রসর হতে থাকেন। তিনি লক্ষ্য করে থাকবেন, অ-ইহুদী সমাজই তার কাজের উপযুক্ত ক্ষেত্র। কেননা সে সময় ইহুদীদের বাইরে আর সব জাতি সাধারণত পৌত্তলিক ছিল। আর তিনি যে ধর্মমতের নকশা এঁকেছিলেন তাও ছিল পৌত্তলিকতাঘনিষ্ঠ। একের স্থলে বহু খোদা, ঈশ্বরের অবতার-এসব তো পৌত্তলিক দর্শনই। ইহুদীদের মধ্যে সেই পৌত্তলিকতাগন্ধী ধর্ম প্রচার করা খুব সহজ ছিল না। যেহেতু হযরত মসীহের প্রচার ছাড়াও আগে থেকেই তারা তাওরাতের তওহীদী শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত ছিল। তাছাড়া তাদের মধ্যে মসীহ (আ)-এর প্রকৃত শিক্ষা প্রচার হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর নামে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিষ্ঠাদানও কঠিন ছিল। সুতরাং তিনি রোমীয়দের নামে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘যেখানে মসীহের নাম কখনও বলা হয়নি, সেখানে সুসংবাদ তবলীগ করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। যেন অন্যের গাঁথা ভিত্তির উপরে আমাকে গড়ে তুলতে না হয়’ (রোমীয় ১৫ : ২০)।
তো এই হচ্ছে খৃষ্টধর্মকে ইহুদী জাতির বাইরে সম্প্রসারিত করে তাকে একটি সর্বজনীন ধর্মে পরিণত করার পৌলীয় প্রচেষ্টার রহস্য। পরবর্তীকালে মূল খৃষ্টধর্ম যখন পৌলের দৃষ্টিভঙ্গি ও তার প্রচারণার কাছে হেরে যায় এবং এ ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক পৌলীয় চিন্তা-চেতনাকেই আসল খৃষ্টধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে নেয় তখন তাদের কাছে এ ধর্ম একটি সাধারণ ও সার্বজনীন ধর্মের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়।
১০৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তারাবীহর নামাজ ৮ রাকাত এই বিষয়ে কোনো প্রমান পাইলাম না এই পোস্টে বরংচ এইখানে সব আয়াত যারা কোরান শরীফের আয়াত বিকৃত করে তাদের জন্য লেখা।
তবে পোস্ট পড়ে আরো একটা ব্যাপার মনে হইলো যে যেহেতু বোখারী শরীফ ৩০০ বছর পর মানুষের মুখ থেকে শোনা সেহেতু এটা গ্রহন যোগ্য নয়। কিন্তু এই কথাটা মেনে নিলে কোরান শরীফের আরেক আয়াত যেখানে কোরান আর রাসূলের জীবনকে মানতে বলা হয়েছে সেটার বরখেলাপ হয়।
এখন পোস্টের লেখক কি বলতে চান? হাদিস শরীফ কি সব ভুল? তাহলে ১৪০০ বছর পর আপনি যে সেগুলোকে ভুল বলছেন না অথবা আপনি যা জানেন সেগুলোও যে নির্ভুল সেটা কিভাবে বিশ্বাস করবো?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৪৫
নজিবুল্লাহ বলেছেন: এ ব্লগে জাহাঙ্গির ও মজবাসার আর আমুতে মজবাসার ও ফারুক হল হাদীস অস্বিকারকারী দল কোরআন অনলী গ্রুপের অনুসারী। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা হল ড:রাশাদ খলীফ। যে নরপিশাচ নিজেকে নবী পর্যন্ত দাবী করেছে। এবং মজবাসার ও তার নানাকে নবী হিসেবে দাবী করে। তারা কিভাবে হাদীস অস্বিকার করার দলীল স্বরুপ কোরআনকে বিকৃত করছে তার কিছু প্রমাণ নিচের লিংক টিতে রয়েছে। এরা যে মূলত ইসলাম বিরুধী ইহুদী খৃষ্টান চক্রের পেইড দালাল তার প্রমানও নিচের লিঙ্কটিতে রয়েছে আমার কমেন্ট এ। Click This Link
প্রথমে হাদীস লিখতে বারন করেছিলেন কোরআনের সাথে মিশে যাবার আশাংকায়, যেহেতু তখনও কোরআন লিপিব্ধ করা হয় নি। পরে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এবং অসংখ্য সাহাবারও হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর সে যুগে হাদীস কে স্বতন্ত্র একটি শাস্ত হিসেবে লিপিবদ্ধ করে পূর্ণাঙ্গ রুপ না দেয়ার কারণ হল আরবদের যতগুলো প্রধান প্রধান গুন ছিল তন্মধ্যে একটি হল মুখস্ত শক্তি। তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের ১৪/১৫ পুরুষের নসব নামা তথা বংশ তালিকাও বলতে পারত অথচ আমরা মনে হয় দাদার বাবার নামও বলতে পারব না ।তাই তখনকার যুগে জ্ঞানকে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি হিসেবে যেভোবে লিখিত পদ্ধতির প্রচলন ছিল ঠিক তদ্রুপ শ্রুতি পদ্ধতিও প্রচলিত ছিল অর্থাৎ একজন থেকে আরেকজন শুনে শুনে বর্ণনা করা ও সংরক্ষন করা । কিন্তু পরবর্তীতে সাহাবাগণের আস্তে আস্তে ইন্তেকালের কারনে এ হাদীস শাস্ত্র বিলুপ্তির আসংকায় সর্বপ্রথম হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ রাষ্ট্রীয় ভাবে এ শাস্ত্রকে লিপিবদ্ধ করার কাজে হাত দেন। আমি ইনশাআল্লাহ শিঘ্রই হাদীস সংকলনের ইতিহাসের উপেরে একটি পোষ্ট লিখব। আগ্রহী পাঠকরা হাদীস শাস্ত্রের সত্যতার ইতিহাস জানতে হলে মাওলানা আব্দুর রাহীম সাহেবে হাদীস সংকলনের ইতিহাস ও আল-আজহার বিশ্ব বিদ্যালয় এর ইসলামের ইতিহাসের প্রফেসর ড:আহমদ আমনি সাহেবের দুহাল ইসলাম বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
হাদীস প্রথম ইমাম বুখারী ই যদি লিখে থাকেন তবে মুয়াত্তা ইমাম মালেক আসল কোথা থোকে ? রাসূল (স
সহীহ হাদীস অস্বিকার কারী নিশ:ন্দেহে কাফের, এ ব্যাপারে বিশ্ব মুসলিমের ঐকমত্য রয়েছে ।