নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওয়া ভবনের সেই নেতারা কি আবার সক্রিয় হচ্ছেন!???

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৭



আবার সক্রিয় হচ্ছে হাওয়া ভবনের দোর্দন্ড প্রতাপশালী ও ক্ষমতাধর বিতর্কিত কর্মকর্তারা। সূত্র মতে, ওয়ান-ইলেভেনের পর গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে বিদেশে পালিয়ে গেলেও এখন তাদের মধ্যে অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন। আর বাকিরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে আসার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বিদেশে অবস্থান করেও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে হাওয়া ভবনের যেসব প্রভাবশালী কর্মকর্তা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন তাদের কথা দেশের মানুষ এখনও ভুলতে পারেনি। তাইতো ঘুরে ফিরে বার বার মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে হাওয়া ভবনের সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখন কে কোথায়? তবে তারা আবার সক্রিয় হচ্ছেন জানতে পেরে খোদ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে তাদের মনে একটি প্রশ্ন বড় করে দেখা দিয়েছে যাদের কারণে গত নির্বাচনে বিএনপির ভারাডুবি হয়েছে তারা কি আবারও বিএনপির ছায়াতলে আসার সুযোগ পাবে? সম্প্রতি ঢাকার বাইরে রোডমার্চ কর্মসূচীতে অংশ নেয়া ক'জন তৃণমূল নেতাকর্মী একটি রেস্টুরেন্টে খেতে বসে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। এমন সময় তাদের একজন হাওয়া ভবনের সেই বিতর্কিত কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গ ওঠালেন। এ সময় আরেকজন বলেন, শুনেছি তারা আবার বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর যদি তাই হয় তাহলে কপালে খারাপই আছে। আরেকজন বলেন, হাওয়া ভবনের এই কর্মকর্তারাই তারেক রহমান ও বিএনপিকে ডুবিয়েছে। তাই বিএনপির উচিত তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওয়া ভবনের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অধিকাংশই এখনও বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়া একজন জেলে এবং কেউ কেউ দেশে থাকলেও তারা এখনও লোকচক্ষুর অনত্মরালে। বিএনপি কার্যালয় কিংবা দলীয় কোন কর্মসূচীতে তাদের আর দেখা যায় না। তবে বিএনপির কোন কোন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ১৩ নম্বর সড়কের ৫৩ নম্বর বাড়িটির নাম ছিল হাওয়া ভবন। এটি ছিল মূলত বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়। তবে এখানে খালেদা জিয়া নিয়মিত না বসলেও তাঁর ছেলে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান তার ঘনিষ্ঠ জনদের নিয়ে নিয়মিতই বসতেন। আর আলোচিত-সমালোচিত এই হাওয়া ভবন থেকেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নিয়ন্ত্রিত হতো সবকিছু। তবে ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি বনানীর হাওয়া ভবনটি ছেড়ে দিয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বসার জন্য গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি ভাড়া করা হয়। বর্তমানে এখানে নিয়মিত বসে খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করেন।

জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তারেক রহমান তাঁর আসত্মাভাজন কিছু লোককে কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেন। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসে তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও মনোনয়নবাণিজ্য থেকে শুরম্ন করে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতেন না। আর এই বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে হাওয়া ভবনের এই কর্মকর্তারাই একদিন এই ভবনকে দুর্নীতি ও অনিয়মের ভবন হিসেবে পরিচিত করেন। এর ফলে এই ভবনের প্রতি মানুষের মনে ঘৃণা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

আশিক ইসলাম ॥ হাওয়া ভবনের মুখপত্র ছিলেন আশিক ইসলাম। তাঁর ক্ষমতার দাপটের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ও ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তখন চিত্রজগত ও বিটিভি চলতো তাঁর ইশারায়। এ ছাড়া তাঁর অনুমতি ছাড়া তারেক রহমানের সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারতো না। হাওয়া ভবনে বিএনপির কোন অনুষ্ঠান হলে কোন সাংবাদিক প্রবেশ করবে আর কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবে না তা আশিকই ঠিক করে দিতেন। তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগবাণিজ্য ও মনোনয়নবাণিজ্য থেকে শুরম্ন করে অর্থ লোভে এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করেননি। পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আশিক ইসলাম তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফকিরাপুলের মেসে থাকতেন। কিন্তু জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাত্র ৫ বছরে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। সে সময়ই তিনি আমেরিকায় একটি পেট্রোল পাম্প ও একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেনের পর দেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে যান। বর্তমানে সেখানেই সপরিবারে অবস্থান করছেন তিনি। এ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে আশিক ইসলাম তাঁর সফরসঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। দেখা করতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা পত্রিকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রচারের ব্যবস্থা করেন তিনি। সেখানে অবস্থান করেই তিনি এখন তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ রৰার পাশাপাশি আবার বাংলাদেশে এসে বিএনপির প্রেস উইংয়ে কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নুরুদ্দিন অপু ॥ হাওয়া ভবনের আরেক দাপটশালী কর্মকর্তা মিয়া নুরম্নদ্দিন অপু। তিনি ছিলেন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সচিব। তাঁর অনুমতি ছাড়া মন্ত্রী-এমপিরাও তারেক রহমানের সাক্ষাত পেতেন না। কিন্তু বড় রকমের আর্থিক লেনদেন হলে যে কাউকে তারেকের সঙ্গে সাক্ষাত ও কাজ বাগিয়ে দিতেন অপু। বর্তমানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছেন তিনি। এখানে অবস্থান করেই তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানা গেছে। আর তারেক রহমানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে বিএনপি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিএনপির যেসব নেতারা দলে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চাচ্ছেন তারা এখন মালয়েশিয়া গিয়ে অপুর সঙ্গে সাৰাত করছেন। আর এ সুযোগে অপু মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে সম্প্রতি মালয়েশিয়া গিয়ে অপুর সঙ্গে দেখা করেছেন এমন এক সূত্রে জানা গেছে।

রফিকুল ইসলাম কবুল ॥ হাওয়া ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল। তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনে নিয়োগবাণিজ্য, বদলি ও পদায়নের কাজ করতেন তিনি। এক সময় বিদেশে পালিয়ে গেলেও বর্তমানে দেশেই আত্মগোপন করে আছেন বলে জানা গেছে। তবে তিনিও এখন বিএনপির কর্মকান্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।

জয় ॥ হাওয়া ভবনের আরেক প্রতাপশালী কর্মকর্তা ছিলেন বগুড়া থেকে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর ছেলে জয়। ওয়ান-ইলেভেনের পর বিদেশে পালিয়ে গেলেও বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে এখন কোথাও দেখা যায় না। তবে বিএনপির কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিরোজ মাহমুদ ॥ হাওয়া ভবনের আরেক কর্মকর্তা ও তারেক রহমানের বন্ধু ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট অফিসার ছিলেন। এর ফলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একদিকে হাওয়া ভবন ও অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী অফিসে দাপটের সঙ্গে অবস্থান করতেন। নিয়োগবাণিজ্য ও টেন্ডারবাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের পর বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন। সেখানে অবস্থান করেই তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বিএনপির কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

কামরুল ইসলাম ॥ হাওয়া ভবনের আরেক প্রতাপশালী কর্মকর্তার নাম কামরুল ইসলাম। তিনি তারেক রহমানের এপিএস হিসেবে কাজ করতেন। তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সব ধরনের কাজই করতেন তিনি। বর্তমানে দেশে অবস্থান করলেও লোকচক্ষুর অনত্মরালে রয়েছেন। তবে বিভিন্ন কৌশলে আবার বিএনপির কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অমিতাভ সিরাজ ॥ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দাপটশালী মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের ছেলে অমিতাভ সিরাজ অপু তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে হাওয়া ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ পান। এখানে বসেই অপু একদিকে হাওয়া ভবন ও অপর দিকে বাবার প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডারবাজি ও নিয়োগবাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছে না। তাঁর বাবা এখন বিএনপির রাজনীতিতে নেই তবে মা রাবেয়া সিরাজ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। তাই এ সুযোগে তিনিও বিএনপির কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গিয়াস উদ্দিন মামুন ॥ হাওয়া ভবনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন তারেক রহমানের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এই মামুন ছিলেন তারেক রহমানের অত্যনত্ম বিশ্বসত্ম। তাই মামুন যা বলতেন তারেক রহমান তাই করতেন। জোট সরকারের আমলে তারেক রহমান যেখানে যেতেন মামুনও সেখানে থাকতেন। এই সুযোগে মামুন তার নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সঙ্গে যেখানে যা করার করে ফেলতেন। তারেকের বন্ধু হওয়ায় কেউ অভিযোগ করারও সাহস পেতেন না। ওয়ান-ইলেভেনের পর যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বিরম্নদ্ধে বেশ ক'টি মামলা হয়। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

আলী আজগর লবি ॥ ভাড়া সূত্রে হাওয়া ভবনের মালিক ছিলেন সাবেক সাংসদ আলী আজগর লবি। তিনি লন্ডন প্রবাসী হাওয়া বেগমের কাছ থেকে বনানীর বাড়িটি ভাড়া নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক সচিবালয় হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি তারেক রহমানের অত্যনত্ম ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। নিয়মিত হাওয়া ভবনে যাওয়া আসার কারণে তিনিও দোর্দ- প্রতাপশালী হয়ে উঠেন। এই সুযোগে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে তিনি টাকার কুমিরে পরিণত হন। বিএনপির বর্তমান নির্বাহী কমিটিতে সদস্যপদ পেলেও তিনি দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন না। এ ছাড়া বিএনপি কার্যালয়েও তাঁকে দেখা যায় না। তবে তিনিও দলে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সিলভার সেলিম ॥ তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে আরেক বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম (সিলভার সেলিম) হাওয়া ভবনে নিয়মিত বসতেন। এই সুবাধে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে আদম ব্যবসার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রক ছিলেন তিনি। বর্তমানে বিএনপির কোন কর্মসূচীতে তাঁকে দেখা যায় না। তবে তিনি তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার অপেৰায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

হারিছ চৌধুরী ॥ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে 'কানেকটিং লিংক' হিসেবে কাজ করতেন তৎকালীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর ১ নম্বর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হাওয়া ভবনের নাম ভাঙ্গিয়ে টেন্ডারবাজি, নিয়োগবাণিজ্য, পদায়ন ও বদলি থেকে শুরম্ন করে এহেন কাজ নেই যা তিনি করতেন না। ওয়ান-ইলেভেনের পর বিদেশে পালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ ক'টি দুর্নীতির মামলা হয়। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি তিনি। এক পর্যায়ে তাঁর নামে হুলিয়া জারি করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে সিলেট থেকে সীমানত্ম পাড়ি দিয়ে ভারতের আসামের করিমগঞ্জে মামার বাড়িতে অবস্থান করলেও বর্তমানে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি ও জিয়া পারিবারের সঙ্গে এখন তাঁর কোন যোগাযোগ নেই বলে জানা গেছে। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির বেশ ক'জন সিনিয়র নেতা মন্তব্য করার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জনকণ্ঠকে বলেন, হাওয়া ভবনের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের কারণে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা যেন আর বিএনপির কাছে আসতে না পারে সে জন্য দলের নেতারা সতর্ক রয়েছেন।



সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

হাওড়ার যোগী বলেছেন:

দোস্ত! এই ডিউটি করার জন্য তুমি কত পাও? আমার কিছু ইনকাম দরকার, এই কাজ আমিও করতে চাই..................কলিকাতা বসে পেমেন্ট কেমনে পাও?

২| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪২

বড় ঠাকুড় বলেছেন: তুমি হইলা টেকার বস্তা লইয়া ধরা খাওয়া সুরন্জিতের পোলা |

৩| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৩

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: যত্ত গুলা নাম নিলেন সব ফুলের মত পবিত্র। আপাতত হাওড়ার যোগীরে ফারমগেট ওভার ব্রিজে একটা থালা আর পাটি দিয়া বসাইয়া দেন। তাঁর কিছু ইঙ্কাম দরকার।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৯

বড় ঠাকুড় বলেছেন: হাসিনার পদ্মা সেতু গিলে খাওয়া নিয়া কিছু বল, সুধা সদনের দালাল|

৫| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫৩

হাওড়ার যোগী বলেছেন:

@আকাশের তারাগুলি - আকাশের ভাদাগুলি-কে একটা গামলা দিও গু সংগ্রহের জন্য। তার নাকি আবার গু খাওয়ার অভ্যেস।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫৫

বঙ্গনানা বলেছেন:

হাওড়ার যোগী বলেছেন:

দোস্ত! এই ডিউটি করার জন্য তুমি কত পাও? আমার কিছু ইনকাম দরকার, এই কাজ আমিও করতে চাই..................কলিকাতা বসে পেমেন্ট কেমনে পাও?



নাতি! খপর কি? কথাডা কি হাছা নাকি?!!

৭| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:০২

বৃষ্টি বিলাস বলেছেন:
হাওয়া ভবনের কত কি শুনলাম কিন্তু সাড়ে পাচঁ বছরে একটা অভিযোগও প্রমান করতে পারে নাই...................যা রটানো হয়েছিল তার কানাকড়ি পেলেও এই সরকার সবাইকে লাটে তুলে ফেলত। জগন্যকন্ঠ রা পারে না এমন কিছু নাই, হাছারে মিছা আর মিছারে হাছা। যত্তসব বোকাস......................................................... X(( X(( X(( X((

৮| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:০৪

"বৃষ্টির কান্না" বলেছেন:

হুম! নির্বাচনের সময় এস গেছে, হাওয়া ভবনের জিকির আবার তুলতে হবে......................

৯| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:০৮

সাত-কাহন বলেছেন:

এত অনিয়মের মধ্যে এখন আবার হাওয়া ভবনের কি হল? এখনের দুর্নীতির কাছে হাওয়া ভবনতো নস্যি.........................

১০| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:১০

বড় ঠাকুড় বলেছেন:
আওয়ামী চুরির সাথে তুলনা করলে হাওয়া ভবনের সবাই শিশু!

১১| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:২৭

মন্ত্রক বলেছেন: দুর্নীতির কোনো রকমফের নেই। সেটা আওয়ামীলীগ করুক আর বিএনপি করুক। কোনো দুর্নীতি আমাদের সাপোর্ট করা উচিত নয়। আর হাওয়ার যোগী আপনি মন্তব্য করার জন্য কতো পান???

১২| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:০৯

অরণ্যে রোদন... বলেছেন: ষ্টি বিলাস বলেছেন:
হাওয়া ভবনের কত কি শুনলাম কিন্তু সাড়ে পাচঁ বছরে একটা অভিযোগও প্রমান করতে পারে নাই...................যা রটানো হয়েছিল তার কানাকড়ি পেলেও এই সরকার সবাইকে লাটে তুলে ফেলত। জগন্যকন্ঠ রা পারে না এমন কিছু নাই, হাছারে মিছা আর মিছারে হাছা। যত্তসব বোকাস.........................................................


ভাই আপনাদের এতো প্রমাণ লাগে ক্যান? হাসিনা প্রমাণ চায়, খালেদা প্রমাণ চায়! আমরা জনগন কি তাদের লুঙ্গির নীচে বইসা থাকি যে সব প্রমাণ আমাদের হাতে থাকবে?

গত সরকারের আমলে ইলেকট্রিক খাম্বা নিয়া তারেক রহমান আর গিয়াস আল মামুন যা করল সেটা কি প্রমাণ করতে হবে? আমার বাড়িতে আসেন। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এখনো অনেক খাম্বা তার প্রমাণ।

বাবর মিয়া এতদিন ধরে জেলে বসে পুলিশের ডলা খাচ্ছে, কই কোনোদিন কোন বিএনপি নেতাকে শুনছেন তার পক্ষে একটা কথা কইতে? তার মুক্তি চাইতে? শোনেন নাই। কারন সবাই জানে সে কত বড় মা*****দ।

আরেক মহাজ্ঞানী বিশিষ্ট হারিছ চৌধুরী? সে কোথায়? আগে তো সারাক্ষণ ম্যাডামের আচল ধরে ঘুরত! এখন তারা কই? এতোই যদি সাধু সন্ন্যাসী হয়ে থাকে তবে পালিয়ে আছে কেন?

ভাল করে চোখ খুলে তাকান। চোখ থাকিয়াও অন্ধ আর কয়দিন থাকবেন মিয়া?

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: হাহাহাহাহা :-/ :-/ :-/ :-/

মজাই তো !! ... হাসিনা বুবুর কথাটা রাখা উচিত ছিল ...তারেকের দুর্নিতির টাকা আইনা কৃষকে ফ্রি সার দিবে ৫ বছর !!

খাম্বা কোম্পানী কত কামাইছিল ভাবতেই অবাক লাগে ৫ বছর ফ্রি সার এর টাকার খোড়াক !! কিন্তু আর একবছর যে আছে ফ্রি কি পাইবো কৃষক !!

১৪| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: জোট সরকারের ৫ বছরে ১০ লাখ খুঁটি কেনা হলেও বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরে সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানি এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ খুঁটি কিনেছে এবং কেনার প্রক্রিয়া চলছে আরও প্রায় ১৫ লাখ। !!

যদিও পত্রিকাটা আমার দেশ তাই সরকারে বিরুদ্ধে লিখবে সেটাই স্বাভাবিক , তবে দুর্নিতির হাতিহার মনে ভাঙ্গে নাই সেইটা আরো ছয়লাপ হইছে !!

এক দল আইলে মাটিতে পুতে রাখে আর একদল আইলে রাস্তায় ফালায় রাহে !! সব নর্দামার কীট !! একটা শুয়ের থেকে খারাপ !!

আবার ভুটা ভুটির লাইগা চিল্লায় । গুষ্টি কিল্লাই এই হারামিদের ভুট দিয়া , আইকা আলা বাশঁ দিবার পারলে দিতুম !!

১৫| ২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

অরণ্যে রোদন... বলেছেন: @বিকারগ্রস্ত- আপনার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.