![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনপ্রিয় কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একবার বলেছিলেন, ‘আমাদের জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া এখন সাবালক হয়েছে, বাপের মত মাথায় ছোট চুল, চোখে কালো চশমা। ছোট চুল আর কালো চশমার রাজনীতি বড় ভয়ঙ্কর রাজনীতি।’
আরেক কলামে গাফ্ফার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তারেক জিয়াকে প্রধান মন্ত্রী হিসেবে দেখার আগে আমার যেনো মৃতু হয়; বাঁচলামতো অনেকদিন।’
চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যখন মহিউদ্দীন চৌধুরী তৃতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হলেন, পরাজিত হলেন বিএনপি প্রার্থী - এর পেছনে তারেক জিয়ার ভূমিকা কাজ করেছিলো, মানুষ তারেকের নির্বাচনী ভূমিকা পছন্দ করেনি, তখন স্বনামধন্য কলাম লেখক স্বদেশ রায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘প্রমাণিত হলো, এখনো খালেদা জিয়াই নেত্রী, তারেক জিয়া নেতা হতে পারেন নি।’
প্রবীণ সাংবাদিক এবি এম মূসা এক বার একটি জাতীয় পত্রিকায় তারেক জিয়াকে কবি নজরুলের ভাষায় ‘ঐ নতুনের কেতন উড়ে’ বলে অভিনন্দন জানিয়ে কলাম লিখেছিলেন। আমরা তাতে খুশি হয়েছিলাম। নতুনের প্রতি সকলেরই একটা আগ্রহ থাকে। এর পর পরই গাফ্ফার চৌধুরী ঐ পত্রিকাতে তারেক জিয়া ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের তুলনা করে একটা আলোচনা লিখেছিলেন।
জাতির জীবনে ১/১১ নেমে এসেছিলো তারেক জিয়ার কারণে। তিনি হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দেশে একটি বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই হাওয়া ভবনে বসে তিনি তাদের রাষ্ট্রপতি, বহুমুখী গুনের অধিকারি জনাব বি চৌধুরীকে অসম্মান জনক ভাবে ইমপিচ করিলেছিলেন, তারপর পাপেট রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দীনকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবনের সিগন্যালে ইয়াজ উদ্দীন সংবিধানের মুখে চুনকালি মেখে রাষ্ট্রপতির গদিতে বসেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন যাতে আড়াই কোটি ভূয়া ভোটার প্রয়োগ করে আবার ক্ষমতায় যেতে পারেন।
আর সামান্য একটু পেছনে তাকাই। ২০০১ এর নির্বাচনের পর মাহী-বি চৌধুরী অহংকার করে বলেছিলেন, ‘আমাদের যত মন্ত্রী আছে, আওয়ামীলীগের তত এমপিও নেই।’
এর পর পরই আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ঘেরাও করার লক্ষ্যে একটি মিছিল হয়েছিলো। পুলিশ দুর্বল মিছিলটি লন্ডভন্ড করে দিয়েছিলো। তখন দুই রাজকুমারঃ তারেক- কোকো দু’ভাই হাওয়া ভবনের সবুজ চত্বরে আওয়ামীলীগের মিছিলকে ব্যঙ্গ করে ক্রিকেট খেলছিলো। ঐ ধারালো ব্যঙ্গ বাঙালি জাতির বুকে আমূলবিদ্ধ হয়েছিলো।
তারেক জিয়া যে নেতা হতে পারেননি তার দৃষ্টান্ত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রস্ফুটিত হয়েছিলো। নেতাদের বিরুদ্ধে সত্য- মিথ্যা নানা অভিযোগ থাকে। তাদের জেল ও খাটতে হয়। নির্যাতন হজম করতে হয়। তারেক জিয়ারা ক্ষমতায় এসে ড. মহীউদ্দীনখান আলমগীরের মত নেতার পায়খানার রাস্তায় দিয়ে গরম পানি ঢেলে দিয়েছিলেন। ড. আলমগীর তবুও দৃঢ় কন্ঠে বলেছিলেন, ‘পরাজিত হবার জন্য আমার জন্ম হয় নাই।’ না, ভোট নয়, নৈতিকতায়।
আর তারেক জিয়া দলের ‘সিনিয়র’, ‘যগ্ম’, ‘মহা’ হয়ে কী করলেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেদম পিটুনি আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মুচলেকা দিলেন, তিনি আর রাজনীতি করবেনা। এই বুঝি নেতার বৈশিষ্ট্য? তার বাবা জিয়াউর রহমানও তেমন সাহসী লোক ছিলেন না। বলতে গেলে কর্ণেল ফারুক ও কর্ণেল তাহেরই তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ফারুকতো জিয়াকে ‘কাপুরুষ’ ও ‘সুবিধাবাদী’ বলেছে। জিয়া অপকৌশলে পটু ছিলেন। তার পরিবার- পরিজনের বৈশিষ্ট্য ও তাই।
তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অনেক অভিযোগ আছে। গিয়াস উদ্দীন আল মামুন যার বন্ধু তিনি ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারেন না। যারা রাজনীতির পক্ষপুটে বসে দুর্নীতি করে তাদের চিত্ত থাকে দুর্বল, তারা মুচলেকা দিতে দেরি করেন না।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তান দুর্লংঘ বাধা সৃষ্টি করেছিলো শেখ হাসিনার তত্ত্ববধায়ক সরকার। সক্ষম হয়নি। মনের জোরে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলেন। আসুকতো তারেক জিয়া! দেখি, কত বড় ‘মহা,’ ‘সিনিয়র’ নেতা তিনি!
একটি রহস্য আজো উদ্ঘাটিত হলো না। বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া তাদের ক্ষমতার শেষ দিকে সৌদি আরব সফরে যাওয়ার সময় ৪২টি সাদা ব্যাগে করে কী নিয়েছিলেন?
তারেক বিষয়ে আর বেশি কথা বলতে চাই না। সামান্যতম যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে তিনি একটি বড় দলের সিনিয়রমোষ্ট পদে অধিষ্ঠিত হন নি। কথায় বলে, ‘শস্তার বস্তাও ভালো না।’ শস্তায় পদ পেয়েছেন বলে তার মর্যাদা না বুঝে তার অপব্যবহার করেছেন- নানা অপকীর্তি করেছেন। একজন লেখক বলেছেন, “গাজীপুর শহরের ছায়াবীথি এলকার ১০ কাঠা জমির ওপর তিন তলা বিশিষ্ট একটি আকর্ষনীয় ভবন। যার নাম খোয়াব। কাগজ পত্রের জায়াগা ও ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী হলেও তারেকের টাকায় মামুন এ ভবনটি তৈরি করেন। এ ভবন থেকে আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে হত্যা পরিকল্পনা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েয়ে। এ ভবনে তারেক মামুন প্রায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সারারাত থেকে সকাল বেলা চলে আসতেন। সুন্দরী তরুণী, নায়িকা ও মডেল কন্যাদের প্রতি রাতেই যাতায়াত ছিলো। এলাকাবাসীদের ঠাট্টা করে বলতে শোনা যায়, তারেক রহমান সুন্দরী ললনা, নায়িকা- গায়িকা এবং মডেলদের নিয়ে রাত ভর আমোদ-ফূর্তি করে জাতীয়তাবাদী আদর্শে মাতল হয়ে খোয়াব দেখছেন।”
(অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান- হাওয়াই দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান, জাতীয়তাবাদী প্রকাশন, ৪৪নং আজিমপুর রোড, ঢাকা, পৃ: ১২)।
বিদেশে অর্থ পাচারের বদনাম তারেক কোকো- দুভাইয়ের নামেই আছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক বলেন, “তারেক জিয়া ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের অর্থ পাচারের মামলাটি হয় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর। মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। মামুনের সিটি ব্যাংকে ২টি একাউন্ট ছিল। ওই একাউন্টের বিপরীতে ২টি ভিসা ক্রেডিট কার্ড আছে। যার একটি মামুনের অন্যাটি তারেকের। মামুন ও তারেক যথাক্রমে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ওই একাউন্ট থেকে ৭৯ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭৮ ডলার এবং তারেক একই কার্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৯৮২ দশমিক ৪২ ডলার ব্যয় করেন। এ ডলার তারা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, জার্মানি দুবাই ও গ্রিসে কেনাকেটা, ফূর্তি বাজি ও চিকিৎসা ব্যয় করেন।”
(ড. মিলটন বিশ্বাস - ‘লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারেক রহমান,’ সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর, ৮/১০/০১২ সংখ্যা,১১তম বর্ষ, ১৭ সংখ্যা)।
দৈনিক ‘যায় যায় দিন’ ৯/১০/০১২ সংখ্যায় কোকোর অর্থ পাচার সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তার শিরোনাম ‘কোকোর পাচার করা টাকা ফেরত আনতে ব্যাংক হিসাব।’
আদালতের রায়ের পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বি এনপি চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পচার করা অর্থ ফেরত আনতে ব্যাংক হিসাব খোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ওই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগ গত ৩০/৯/০১২ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি নির্দেশ নামা পাঠিয়েছে।
২০০৯ সালের ৭ মার্চে, কাফরুল থানায় কোকো ও সাবেক মন্ত্রী আকবর হোসেনের পুত্র সায়মনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। দুদক সূত্র জানায়ঃ সিঙ্গাপুর ওভারসিজ ইউনাইটেড ব্যাংকে কোকোর পাচার করা মুদ্রার পরিমাণ ছিলো ২ লাখ ৪১ হাজার ১৪৩ দশমিক ৫৯ সিঙ্গাপুর ডলার এবং ৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৭২ দশমিক ৮১ মার্কিন ডলাল। এর বর্তমান মূল্য ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
আমার মনে পড়ে ১৯৮০ সালের ৩০ মে, জিয়া নিহত হওয়ার পর জনাব বি চৌধুরী জিয়াকে হযরত ওমর (রাঃ)- র সঙ্গে তুলনা করে খুব কান্না কাটি করছিলেন। জিয়া নাকি ছেড়া গেঞ্জি আর ভাঙা ছুটকেস ছাড়া কিছুই রেখে যান নি। দেখুন, তার দুই রাজকুমারে হাল হকিকত। চার বছর ধরে বিদেশে আছেন দু’ভাই। এত খরচ কীভাবে যোগাড় হয়?
মাহমুদুল বাসার এর কলাম থেকে...
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২০
ইসমাইল হোসাইন বলেছেন: কুত্তা লীগের চামছা ইতিহাস ভাল করে পরে নে । এসব ফালটু লেখা দিয়া লাভ নাই । সময় হলেই চোড় ধরা পরবে ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫০
আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: এখনতো লোড শেডিং নাই বললেই চলে । মাননীয় তারেক জিয়া আসলে দেখবেন লোডশেডিং কাকে বলে, ৪০০০ টাকার খাম্বা মাননীয় তারেক স্যারের কল্যানে বিদ্যুৎ সংস্থা সমূহকে ১২-২০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে । মানও সেরকম। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: ইতিহাস ভাল করে পরে নে । ভাংগা সুটকেস ছেড়া গেঞ্জীর ইতিহাস। হা হা হা ।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫২
জাকির সজিব বলেছেন: we want abdul gaffar die very soon.
and i will be so glad to pee on your grave.
what a wanker.
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৯
ভাইরাস২০১২ বলেছেন: তারেক- কোকো দুই ভাই, আমরা তাদের সাথে নাই... হাহাহা.।
যদি কোকোর ভাবী দাড়ায়ে যায়?