![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অচল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করেছে জামায়াত-শিবির। আগামীকাল ৬ জানুয়ারির সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের অজুহাতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অতর্কিত বোমা হামলাসহ নানা ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আগামীকাল রোববারের হরতালকে বেছে নিয়ে ১০ সহস্রাধিক প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডার প্রকাশ্যে নয়, আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন ধরনের হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াত-শিবির এসব পরিকল্পনা সরকারের কাছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আগাম সতর্ক বার্তা জানিয়েছে।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছেÑ গোলাম আযম, দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারসহ কয়েকজনের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের রায়ের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে-সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে লবিয়িস্ট নিয়োগ, স্কাইপ বিচারকের কথোপকথন হ্যাক করেও কোনো ফায়দা হয়নি। এমনকি ফাঁসি যাতে না হয়, সেজন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতিসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিদেশে অবস্থানরত গোলাম আযমের পুত্রসহ যুদ্ধাপরাধীরা দিনরাত তৎপরতা চালিয়েও কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখন তারা আত্মগোপনে নাশকতা দিয়েই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার কৌশল নিয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আবারও লাগাতার হরতালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকাসহ দেশের যেকোনো এলাকায় বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে।
সরকারের কাছে পাঠানো গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জড়িত বিচারকÑ কর্মকর্তা ও সাক্ষীদের ওপর বোমা হামলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের কয়েকজন নেতার ওপর কড়া নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নাশকতা ঘটনার নেতৃত্বে দিতে পারে, এমন ব্যক্তিদের আগাম গ্রেপ্তারসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বড় ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ ও র্যাবের চেক পোস্ট বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। হরতালের নামে বড় ধরনের অঘটন মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পুলিশ কিংবা র্যাবের পোশাক পরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চৌকস মৌলবাদী ক্যাডাররা নানা ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। এমনকি আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকটি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তাতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ খুশি হলেও জামায়াত নাখোশ। জামায়াত আশা করেছিল পুলিশ গুলি চালাবে। আর তাতে মানুষ মারা গেলে, সেই লাশ নিয়ে মিছিল করে জনগণের সহমর্মিতা পাবে। বিশ্বজিৎ হত্যা, পুলিশ হত্যাসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও এসবে কিছুই না হওয়ায় রোববারের হরতালসহ আগামী কর্মসূচিতে সহিংস ঘটনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে জামায়াত-শিবির। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক ও নিš§ আদালতের বিচারক, যুদ্ধাপরাধ মামলার আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তার বাসা-বাড়িতেও হামলা চালাতে পারে। পরিস্থিতি বুঝে স্বার্থ হাসিলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর, জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সূত্রমতে, জামায়াত-শিবিরসহ উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান শুরুর পরে কয়েক হাজার ক্যাডার আত্মগোপনে রয়েছে। তারা রাজধানীর শহরতলীতে বাসা ও মেসে আত্মগোপন করে আছে। এমনকি আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া করে অবস্থান নিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে নিয়মিত চৌকস কমান্ডাররা এসএমএস ও ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করছে। হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী হরতাল চলাকালে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা করতে তারা প্রস্তুতি রয়েছে।
জানা গেছে, এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে প্রস্তুত ক্যাডাররা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে না। ১০ হাজার প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডাররা প্রকাশ্যে নয়, চোরাগোপ্তা হামলা করতে পারে। তারা হরতাল চলাকালে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মিছিলে হামলা করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি প্রশাসনের কেন্দ্র বিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় হামলা চালানো হতে পারেÑ এমন আশঙ্কাই করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশে বোমা শনাক্তকারী যন্ত্র ব্যবহার আরও জোরদার করা হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রবেশেও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
ওহম বলেছেন: রাম মিস করেছেন ...
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
ব্রেকিং নিউজ বিডি২৪ বলেছেন: তথ্য সুত্র কি ভাই?
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
সান্টু বলেছেন: ফালতু!!!!!!!!!!!!!!!
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
হ্যারিয়ার টু বলেছেন: তারা মরিয়া। তারা যে কোন অঘটন ঘট
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: ছাগল...