নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবির ভয়ঙ্কর, এদের পিতারা রাজাকার!!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

জামায়াত-শিবির আবারও ভয়ঙ্কর মূর্তি ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সপ্তাহে এক দিন অর্থাত্ সোমবার সচিবালয়ে আসেন। গত পরশু প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে প্রবেশের পাঁচ মিনিট পরই জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়েছে। সচিবালয়ের সামনে অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে মন্ত্রীর এক দেহরক্ষী গুরুতর আহত হন। জামায়াত-শিবির কর্মীরা সচিবালয়ের সামনে তিন সচিবের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি ও ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের নামে জামায়াত-শিবির সোমবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস তত্পরতা চালিয়েছে। সকাল ১০টার দিকে প্রায় একযোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জসহ দেশের অনেক স্থানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নামে। তারা বেপরোয়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জামায়াত ও শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়েছে। রাজধানীতে ব্যাপক ভাঙচুরের কবলে পড়েছে দুই শতাধিক গাড়ি। আহত হয়েছেন ২১ পুলিশ সদস্য।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির দুই নেতাসহ জামায়াতের বেশ ক’জন শীর্ষ নেতার বিচার চলছে। বিএনপি এই বিচারের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও জামায়াত মাঠে নেমেছে কোমর বেঁধে। ইতোমধ্যে জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়েছে। জামায়াতের অন্য দুই নেতার বিচারের রায় যেকোনো দিন ঘোষিত হতে পারে। অন্যদের বিচারও যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দলীয় নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, জামায়াত-শিবির ততই মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত ৬ নভেম্বর থেকে দফায় দফায় সারাদেশে চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করে জামায়াত-শিবির। এদের প্রধান টার্গেট পুলিশ সদস্য। ঢাকার কারওয়ান বাজারে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরে আক্রমণ থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক পেটানো, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা তাণ্ডব তারা করেছে। জামায়াত-শিবির এতটাই অমানবিক, বেপরোয়া, পশুবত্ যে, এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিল।

জামায়াত-শিবিরের কী চরিত্র তা দেশের মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই দেখে আসছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের এরাই ছিল মূল হোতা। হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে এ দলটি সিদ্ধহস্ত। একাত্তরে এরাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে। সময় পাল্টালেও এই দলটির চরিত্র যে পাল্টায়নি তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে আবারও প্রমাণিত হচ্ছে। গত সোমবারের তাণ্ডবের ধরন দেখে বোঝা যায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে আক্রমণ চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা ঠেকাতে জামায়াত-শিবির মরিয়া হয়ে উঠেছে। সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা।

দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর হলেও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। এই বিচারটি বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, একাত্তরের অপরাধীদের বিচারটি যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল। চলমান এই বিচার কাজটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। আইনগতভাবেই এর মোকাবেলা করতে হবে। জামায়াত-শিবির আন্দোলনের নামে যা করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল এবং কঠোর অবস্থান নিতে হবে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা ব্যর্থতার যে অভিযোগ অর্থমন্ত্রী করেছেন তা সত্য হলে দেশবাসীর উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ থাকবে। আমরা চাই, যে-নামেই আবির্ভূত হোক না কেন, সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.