![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামের নামে ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের অপতৎপরতা রোধে দেশের বেশ কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলাম আহূত লংমার্চ কর্মসূচি বন্ধের দাবি জানিয়েছিল। এসব সংগঠনের নেতারা তখন অভিযোগ করে বলেছিলেন, ইসলাম রক্ষার নামে জামায়াতকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম। জামায়াতের পরিকল্পনা অনুযায়ী হেফাজতের নেতা শাহ আহমেদ শফী লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক ৬ এপ্রিল হয়ে গেল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ। হেফাজতের এই লংমার্চে মাদ্রাসা ছাত্রদের ঢাকায় আনতে জামায়াতের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল।
গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার রাজধানীতে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইমাম ওলামা কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেছিলেন। তাদের অভিযোগ এখন প্রমাণীত সত্য। লংমার্চ পরবর্তী বিভিন্ন টকশো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
ইসলামী ফ্রন্ট
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা অভিযোগ করেন, ঢাকার লালবাগ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও পটিয়া মাদ্রাসা, ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামেয়া ইউনুছিয়াসহ উল্লেখযোগ্য কওমি মাদ্রাসাগুলো ’৭১ মুজাহিদ বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এসব মাদ্রাসার ওহাবী ও খারিজি মৌলভীরা একাত্তর সালে ফতোয়া দিয়েছিলেন, অমুসলিমদের সম্পত্তি গণিমতের মাল। গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন-এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব মুজাহিদ বাহিনীর কার্যক্রম তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব এমএ মোমেন অভিযোগ করেন, হেফাজতে ইসলাম একেক সময় একেক নাম ধারণ করে। আসলে এরা হেফাজতে ইসলাম নয়, হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর সম্পর্কে কুৎসা রটনাকারী ‘ব্লগারদের’ পাশাপাশি ওহাবি, মওদুদি, সাঈদী, গোলাম আযম, আহমদ শফীরা (হেফাজতে ইসলাম নেতা) তাদের লেখনীতে যেসব কুৎসা রটনা করেছেন, সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতি দাবি জানানো হয়। তারা ‘জঙ্গি’ কওমিদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
ওলামা কল্যাণ পরিষদ
জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পনা অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী লংমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা কল্যাণ পরিষদ। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী লংমার্চ কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ইমাম-ওলামা কল্যাণ পরিষদ।
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ প্রত্যাহার,
নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত এবং জামায়াত-শিবিরের তা-ব ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা দাবি করেন, কেউ কেউ মহানবী (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করায় এবং সেটা ব্যাপক প্রচার পাওয়ায় দেশের আলেম সমাজ ফুঁসে উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিত ঢাকা অভিমুখে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ।
জহিরুল ইসলাম মিঞা বলেন, জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহ আহমদ শফী এই লংমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় কওমি আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের ঢাকা আসার জন্য যে কয়টি গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে, তার চেয়ে অধিক গাড়ি ভাড়া করেছে জামায়াত-শিবির। লংমার্চ আন্দোলনকে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি উল্লেখ করে তিনি তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের তা-বের নিন্দা জানিয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, এ দেশের মানুষের প্রাণের দাবি জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। আর এই বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় তার নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবির সারাদেশে তা-ব চালানো শুরু করেছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিপক্ষে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইমাম-ওলামা সমন্বয় পরিষদ
আল্লাহ ও রাসূলের প্রকৃত প্রেমিক হয়ে থাকলে অবিলম্বে লংমার্চ বন্ধে হেফাজতে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে তারা অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক কর্মকা-ের জন্য হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে জামায়াত-শিবির ঢুকে নাশকতার ঝুঁকি নিয়ে কেন তাদের কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া হলো? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে ইসমাইল হোসাইন বলেন, সব কিছু জানার পরও ষড়যন্ত্রকারীদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? হেফাজতের নামে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হেফাজতের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহ ও রাসূলের প্রকৃত প্রেমিক হয়ে থাকলে অবিলম্বে লংমার্চ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় প্রমাণ হবে হেফাজতে ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৮ দল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএইচএম আরিফ বিল্লাহ, নুর মো. আহাদ আলী, হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন আলেম-ওলামা সংগঠনের নেতারা লংমার্চের পরিকল্পনা, নাশকতা ও এর আড়ালে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি রক্ষায় হেফাজতে ইসলামের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।
আলেম-ওলামা, বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণের বাধা উপেক্ষা করে গত ৬ এপ্রিল জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও বিএনপির সহযোগিতা অনুয়ায়ী কর্মসূচি পালন করে হেফাজতে ইসলাম। তারা আসলে ইসলাম রক্ষার নামে প্রকারন্তরে জামায়াতকেই রক্ষা করতে চাইছে। গত কয়েকদিনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ব্লগে এ বিষয়গুলোই উঠে এসেছে। লংমার্চ শেষে সম্মেলন থেকে ঘোষিত ১৩ দফা দাবিরও সমালোচনা করেছেন সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিশিষ্টমহলও।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২১
নিকষ মেঘ বলেছেন: Abal Marka Post
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেশবিরুধী রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিৎ
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
েশখসাদী বলেছেন: হেফাজত জামাতকে নিয়ে কোন কথা বলে না - এটা হয়তো ঠিক । কিন্তু তারা জামাতকে রক্ষায় নামেনি ।
সরকার জামাত শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দিক - কোন সমস্যা নাই - কিন্তু ইসলামের অবমাননা এদেশের মুসলমানরা মেনে নিবেনা । সে কারণে হেফাজত মাঠে নেমেছে । সবারই উচিত ।
আর যুদ্ধাপরাধীর তো বিচার চলছেই । তারপরও এটা নিয়ে শোরগোল কেন ? কারণ ভোটের রাজনীতি ।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
আহমেদ রিজভী বলেছেন: ভন্ডদের বিবৃতি ।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
অবয়ব বলেছেন: এখন আর তেমন রাখঢাক নেই। সরাসরিই বলে ওরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
রোজিনা৪০ বলেছেন: ইসলাম রক্ষার নামে জামায়াতকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম।কথাটি মোটেও ঠিক নয়।