![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের প্রধান আল্লামা আহমেদ শফি কোরানের একটি আয়াতের খন্ডিত অংশ উদ্ধৃত করে নারীদের ঘরের ভেতর থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু পুরো আয়াতটি উদ্ধৃত না করায় এর আয়াতটির অর্থ এবং ব্যাখ্যার ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা এটিকে আল্লামা শফির অপব্যাখ্যা বলেও অভিহিত করছেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তোলপাড় করা আল্লামা আহমেদ শফির ওয়াজের একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, তিনি সুরা আযহাবের ৩৩ নং আয়াত উদ্ধৃত করে নারীদের উদ্দেশ্যে বলছেন, “এই মহিলারা, ঘরের চার দিউয়ারির মধ্যে তোমরা থাকো। ঘরের বাহিরে ঘুরাফেরা করিও না। কে বলছে, আল্লাহপাক বলছে। হুজুরের আগের জামানায় মহিলারা বেপর্দায় চলাফেরা করতো। ঘর থেকে বাইর হইয়ো না তোমরা। উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরাফেরা করিও না রাস্তা-ঘাটে, হাটে-মাঠে। সাবধান, মার্কেটিং করতে যাবেন না। ছেলে আছে, স্বামী আছে এদেরকে বলবা মার্কেটিং করার জন্য, তোমরা কেন যাইবা? তোমরা শুধু স্বামীকে অর্ডার করবে, এই জিনিস আনো, ওই জিনিস আনো, এই জিনিস নিয়া আসো। অর্ডার করবেন ছেলেকে অর্ডার করবেন বইসা বইসা আপনি কেন কষ্ট করবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা স্বামীর আসবাবপত্র এগুলা হেফাজত কইরবেন। ছেলে-মেয়ে, ছেলে সন্তানকে লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনে বাহিরে কেন যাবেন?”
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরানের কোনো কোন আয়াত যখন "এবং" (ওয়া) দিয়ে শুরু হয় তখন সেই আয়াতটার আগের আয়াতটাও পড়ে নেওয়া দরকার - তাতে আয়াতের মুল বিষয়টা বুঝা যায় ভাল ভাবে। নইলে খন্ডিত বা ভূল ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। ভিডিওচিত্রে মাওলানা শাফি যে আয়াতটা বলেছেন - তা ছিলো সুরা আযহাবের ৩৩ নং আয়াত - যা শুরু হয়েছে ‘ওয়াকারনা’ মানে "এবং থাকো" দিয়ে । এই ‘এবং’ এর কারনেই আগের আয়াতটা উল্লেখও জরুরী ছিলো। কিন্তু মাওলানা শফি সেটি উল্লেখ করেন নি।
সূরা আযহাবের (৩৩.৩২) আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। মাওলানা শফি নবী পত্নীদের উদ্দেশ্য নাজিল হওয়া আয়াতের এই অংশটুকু উদ্ধৃত করেননি। তিনি আয়াতের পরের অংশটুকু উদ্ধৃত করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, (৩৩:৩৩) তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
ধর্মীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, কোরানের আয়াতে স্পষ্ট করে বলঅ হয়েছে, "হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও"। কিন্তু আল্লামা শফী এই আয়াতের বরাত দিয়ে সকল নারীকে "চারদেওয়ালের ভিতরে" আটকানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।যা কোরানের নির্দেশনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহারের শামিল।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট আবু সাঈদ জিয়া উদ্দিন বলেন, শফী সাহেবের ওয়াজের ভিডিও টি শুনে অবাক হইনি । কারন ওল্ড স্কুল অব থটসের এই ধরনের চিন্তাই ছিলো। উনি মুলত প্রাচীনপন্থী চিন্তার মানুষ এবং নারীদের গৃহবন্দী করে সকল সমস্যার সমাধান খুঁজেন। কিন্তু যদি আমরা ওমর (রা এর শাসনামল দেখি দেখবো উনি মদিনার বাজার পরিদর্শক হিসাবে একজন নারীকে নিয়োগ দিয়েছিলেন - প্রশ্ন আসে ওমর (রা
কি কোরানের এই আয়াতটা জানতেন না!
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
রামন বলেছেন:
উনি যা যা বলেছেন সবই ক্ষমার অযোগ্য।পবিত্র কোরআনের কথা না হয় বাদ দিলাম। উনি সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষ- নারী পুরুষ সবাইকে অশ্লীল কথা বলে অপমান করেছেন। এখন উনার উচিত বিশ্বের সকল মানব জাতির নিকট প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যাহতি নেয়া। অন্যথায় তাকে ইহকাল এবং পরকালে চরম মূল্য দিতে হবে ।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: শফী হুজুর কি তোমাগো আকাম করতে বাধা দেয়, ডলাডলি করতে নিষেধ করে...........। আহারে চু চু চু...। কি আর করা তোমরা যেই হারে মা-বোনদের রেপ শুরু করছ...৫ বৎসরের বাচ্চারে পর্যন্ত রেহাই দিতেছ না আবার সেঞ্চুরি পর্যন্ত করে ফেলতাছ। বে-রশিক হুজুর এই আকাম করতে নিষেধ করে.......। আবার এটাকে কুরানের আয়াত দিয়ে বৈধ করে ফেলছ.......।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
ছাঈক্লোন বলেছেন: আল্লামা শফী যে কথা গুলো বলেছেন তার কিছু কথা অবশ্যই ঠিক বলেছেন যেমন "উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরাফেরা করিও না রাস্তা-ঘাটে, হাটে-মাঠে" বর্তমান মেয়েরা রাস্তায় যে সকল পো্সাকে চলা ফেরা করে তাতে তাদের উলঙ্গ বলা অস্বাভাবীক নয়! কিন্ত ওনার অনেক কথাই বলেছেন যেগুলো আসলে ঠিক নয় এবং যথেষ্ট আপত্তিকর!!
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১০
কাফের বলেছেন: উপরে দেখেন শফির মুরিদ
এদের ভাষা আচার আচরণ সবই হুজুরের দেওয়া শিক্ষা।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
rafiq buet বলেছেন: হিজাব বা পর্দা এক বিষয় আর নারী শিক্ষা বিদ্বেষী অন্য বিষয়। নারী শিক্ষা নিয়ে তার যে মানসিকতা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
rafiq buet বলেছেন: আর মেয়েদের তেতুলের সাথে তুলনা করা তাকে কোন ইসলাম শিক্ষা দিয়েছে।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
জগ বলেছেন: সিনেমার কোন item dancer-কে টাইট পোশাক পরিয়ে বাংলাদেশের রাস্তায় হাঁটতে বলেন আর দেখেন কত পারসেন্ট পুরুষ নিজের কাজ রেখে হা করে তাকিয়ে থাকে ! জিব দিয়ে লালা পড়ে কিনা/তেতুল বলবেন কি'না সেটা বড় কথা না ! বড় কথা উনি কি বুঝাতে চেয়েছেন ? মহিলারা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়, বাস, ব্যাঙ্ক, বাসের ছিট কেন চায় ???
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ""হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও"।---তার মানে অন্য মুসলিম নারীরা ঐসব কিছু করার অধিকার রাখে? এই ধরনের মৌলবাদী নির্দশনা সকল মুমিন মেয়েদের জন্যই।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন.....কারা এই ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ? আপনার মত ব্লগাররা?
শাহবাগপন্থী ব্লগাররা এখন শফীর পিছে লেগেছে ধর্মের এজেন্ডা নিয়ে, ভালই রাজনীতি!
১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
জগ বলেছেন: ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
[সুরা নূর: ৩১]
১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
অন্যরকম একজন বলেছেন: যথারীতি লেখক লিখলেন এক সারিন্দায় বাজাচ্ছে আরেক ।
একজন ডলাডলি প্রসংগে কি জানি লিখেছেন দেখলাম।ডলাডলি প্রসংগ আসছে কেন এখানে?শফি হুজুর কি ডলাডলি নিষেধ করেছেন নাকি মেয়েদের বাইরে বের হতেই মানা করেছেন?একজন দেখি আবার বলছেন এদেশের মেয়েরা নাকি প্রায় উলংগ হয়েই চলে।হায় সেলুকাস!উনি বাংলাদেশে থাকেন নাকি বোম্বে?গুটিকতক টিভি আর বিলবোর্ড মডেল আর এলিট ক্লাসকে এদেশের মেয়েদের মূখপাত্র মনে করার কারন কী?
কে জেন দেখলাম সূরা নূর কোট করেছেন ।ওয়েল এই আয়াতের বিভিন্নরকম ব্যাখায় আমি যাচ্ছি না ।কথা হল, এখানে যারা আহমদ শফীর বক্তব্যের বিরোধীতা করছেন তারা কী সূরা নূরকে কেউ অস্বীকার করেছেন?না ।আহমদ শফি তো বলেননি কুরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী পোশাক পরে নারীরা বাইরে বেরিয়ে আসুন।বরং নারীর চলাফেরার উপরেই নগদে রেস্ট্রিকশন দিয়ে দিচ্ছেন।ইন ফ্যাক্ট এই লোকের এজেন্ডা বুঝতে আমারই কষ্ট হচ্ছে।প্রথমে তিনি 'নারী পুরুষের অবাধ বিচরন' নিষিদ্ধের দাবী জানালেন,কিন্ত বললেন না 'অবাধ বিচরন' বলতে উনি কী বোঝান।তারপরে বললেন মেয়েদেরকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার মত ড্রেস আপ করতে হবে ।ঠিক আছে বাপ তা-ও মানলাম।এখন কিনা আবার বলছেন-বাইরেই বের হওয়া যাবে না।এর পরে কী বলবেন-যাও সব বিষ খাও?
১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
পরিযায়ী বলেছেন: “মাঠে ঘোড়া আর ঘরে বউকে বিশ্বাস নেই”- লিও টলস্টয়
“মেয়েরা সাধারণত এতই খারাপ যে, ভাল এবং মন্দ মেয়ের মধ্যে কোন পার্থক্যই করা যায় না”- লিও টলস্টয়
“কম বয়েসী মেয়েরা হলো রসগোল্লার মত যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে”-শংকর
“পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র প্রাণী আছে তার মাঝে সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা”-মেনানডার
“পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী আর মেয়েরা শয়তানের খেলার সামগ্রী, মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ কিছু নয়”-নেপোলিয়ান
“ছোট ছোট পা আর মোটা নিতম্ব বিশিষ্ট নারীজাত সন্তান উৎপাদন ছাড়া কোন কাজে লাগেনা”- ম্যাস্কিম গোর্কি।
“গর্ভবতী নারী দেখতে অনেকটা গর্ভবতী পশুরই মতো”-হুমায়ন অজাদ
উপরের বিখ্যাত বাক্তিগনদের শাস্তি কি হউয়া উচিত?
১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
অন্যরকম একজন বলেছেন: পরিযায়ীঃতেনাদের কবর থেকে তুলে আনতে পারছি না বিধায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।তবে,অনেকগুলো উক্তিই যেহেতু লেখকদের,কোনটা কোন প্রেক্ষাপটে বলা,কোন নারীবিদ্ধেষী চরিত্র চিত্রন করতে গিয়ে বলা কিনা সেটাও বিবেচ্য ।
১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
মহসিন আলাম বলেছেন: কোরআন এর খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করে অপব্যখ্যা করে এরা তথাকথিত ধার্মিকদের লেলিয়ে দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। ইচ্ছা হলেই হালাল হারাম জন্ম দিতে পারে। ইচ্ছা মতো কাফের মোর্তাদ বানাতে পারে যাকে ইচ্ছা তাকেই। এদের উপেক্ষা করা, প্রতিহত করা ছাড়া সামনে অন্য কোন পথ খোলা নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
অন্যরকম একজন বলেছেন: ্নবীপত্নীরা নিজেরাও কিন্ত চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী থাকেন নি।সম্ভবত লুল শফি উনাদের চেয়ে বেশি জানেন।