![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানীতে চোরাগোপ্তা হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা চালাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা হয়েছে প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডার। আর এরাই গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়ররায় ঘোষণার প্রাক্কালে জামায়াতের ডাকা হরতালে বহিরাগত প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডাররাই বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেয়। এরা রাজধানীর অদূরে টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
টঙ্গী থেকে হেফাজত ইসলামের পোস্টারসহ বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও দেশিয় অস্ত্রসহ ১২ জনকে আটকের পর উত্তরায় সদর দফতরে র্যাব-১ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য দেন অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডারদের রাজধানীতে আনা হয়েছে। এরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। টানা চারদিন হরতালে রাজধানীতে যে নাশকতা হয়েছে, বহিরাগত শিবির ক্যাডাররাই তাতে অংশ নেয়।
কর্মকর্তারা জানান, টঙ্গীর গোপন আস্তানা থেকে নিয়ামতউল্লাহ, সাঈদ, তাজুল ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন, মুনছুর, নাজমুল হক নাছিম, শহিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম, নূর আহম্মেদ, আব্দুল কাইয়ুম এবং সোহাগসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের বাড়ি গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা এবং লক্ষ্মীপুর জেলায়।
কর্মকর্তারা আরো জানান, রাজধানীতে আসার পর তাদের টঙ্গীতে থাকতে দেওয়া হয়। হরতালের দিন তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।
আটকদের মধ্যে নাজমুল হক নাসিম ও তরিকুল ভাটারা থানার কুড়িল এলাকায় পুলিশকে মারধর করে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
একইভাবে তারা রাজধানীর অদূরে আমিন বাজার, সাভার, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, শনির আখড়া, রায়ের বাগ, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়।
র্যাব-১ এর সিও লে. কর্নেল কিসমত হায়াত বাংলানিউজকে বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের রাজধানীমুখি করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে জামায়াত-শিবির তরুণদের বিপথগামী করে তুলছে। গত চারদিনের হরতালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তারাই এর সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।”
তিনি বলেন, “একই রকমভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতা চালানোর জন্য শিবির ক্যাডাররা এসেছে। আমরা তাদের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করছে জামায়াত-শিবির। সাধারণ মানুষদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এই গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের পাশাপাশি এই বিচারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করতে তৎপর এই গোষ্ঠী।”
“এই গোষ্ঠীর অপতৎপরতা বন্ধে আমরা কাজ করছি। আটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে” বলেও জানান তিনি।
©somewhere in net ltd.