![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ। ১৮ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে সেখানে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমর্থিত ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও যোগদান করে। কিন্তু তাদের স্লোগান-ব্যানার-ফেস্টুনের ভাষা ১৮ দলীয় জোটের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সংগত কারণেই ১৮ দলীয় জোটের অভিন্ন দাবি হিসেবে সেখানে আগতদের স্লোগান-বক্তব্য কিংবা ব্যানার-ফেস্টুনে তাই উল্লেখ থাকার কথা। সমাবেশে বক্তব্যদানকারী নেতাদের প্রায় সবাই একই বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে বক্তৃতাও করেছেন। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কিছু নেতা-কর্মী সমাবেশে প্রকাশ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মুক্তি দাবি করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলেরও। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর যে ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেখানে স্থাপিত স্বাধীনতাস্তম্ভে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী সংগঠন জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে তারা। একাত্তরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণকালে নিজেদের এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের আত্মসমর্পণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। আর সেই সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অকজিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও তাদের সমন্বয়ে গঠিত রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী- যেগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন কিংবা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেসব নেতা। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতিস্মারকে এভাবে স্বাধীনতাবিরোধী কিছু ব্যক্তির ছবিসহ ব্যানার টানানোর ধৃষ্টতাকে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি অবমাননা বলে মনে করি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি দলের সঙ্গে আরেকটি দলের মতভেদ থাকবে, একটি দল অন্য দলের বিরুদ্ধে কথা বলবে- প্রয়োজনে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। তাই বলে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানকে অপমান করার মতো গর্হিত কাজকে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কারো পক্ষেই স্বাভাবিক বলে মনে করা সম্ভব নয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে যারা একাত্তরে নৃশংসতা চালিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা চায় না। তার প্রমাণ এরই মধ্যে তারা একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উল্লিখিত সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র কর্মী গ্রেপ্তার, জামায়াতকর্মীর বাড়িতে বোমা বানানোর সময় নিহত হওয়া এবং বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধারের মতো ঘটনা প্রমাণ করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তৎপর। র্যাব কিংবা পুলিশের ওপর আক্রমণ করার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা। গণতন্ত্রের নামে ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করার অধিকার কারো থাকতে পারে না।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি স্বাধীনতা স্তম্ভ দেখছেন আর আমার জিজ্ঞাসা সংসদে ওদের কে নিয়ে গিয়েছিল ? কমিটি, উপকমিটি, ভুরিভোজ , জোট গঠন কারা করেছিল ? আস্কারা পাইলে কুত্তা ভি মাথায় চড়ে ।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
মরু বালক বলেছেন:
:ওই বেটা থাম, সন্দেহজনক মনে অইতাছে। দেখি চ্যাক কইরা
: ধুর মিয়া আপনে কেডা? কাইল হরতাল। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় যাইতাছি
: ওই বেটা পোশাক দেইখাও আমাদের চিনিস নাই?
: পোশাক দেইখা চিনলে তো আর জিগাইতাম না? পুলিশ ও না র্যাব ও না। তাইলে?
: আমরা অইলাম বিজিবি
: বিজিবি টিজিবি বুঝিনা। পুরা নাম কন
: আরে বিজিবি মানে অইলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
: ও..। তো বর্ডার গার্ড হইলে এইখানে কি করেন? এইখানে তো কোন বর্ডার নাই।
: আমাদেরকে সরকার পাঠাইছে নাশকতাকারীদের দমনের লাইগ্যা
: আবে.... দিতাছেন সরকাররে গার্ড আর নাম ঝুলান বিজিবি? ওই মিয়া আগে নাম চেইঞ্জ কইরা জিজিবি রাখেন...।
: জিজিবি মানে?
: জিজিবি মানে অইলো গর্ভমেন্ট গার্ড বাংলাদেশ।
: পাইছি এতক্ষণে, তুই ই শালা নাশকতাকারী। গাড়িতে ওঠ....।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
মরু বালক বলেছেন:
ব্যবসা টা ছাইরা দেও ভাই...
৫ বছর অনেক জালাইচ
স্বাধীনতা যখন গাছের পেরেকে !!!
.
.
স্বাধীনতা যেন ফাটা
২ টাকার নোট !
ছেঁড়া ফাটা সারা গায়ে
টেপ মারা ঠোঁট!!
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
তারিন রহমান বলেছেন: জামাতের সঙ্গই বি এন পিকে ডুবিয়েছে। এবং ডুবিয়ে মারবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২১
হাসিব০৭ বলেছেন: ওখানে সমাবেশের অনুমতিটা দেয়াটাই আওয়ামিলীগের চালাকি কেননা এখন কিছু ছুতা বাহির করতে পারব। কিন্তু এটা মূলত আওয়ামিলীগের দোষ ওখানে সমাবেশ করতে দেয়াটা কি ঠিক হইছে?