![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হলেও দলের প্রথম সারির অনেক নেতাই তার নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তারেক রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা চান তারেক রহমান তাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করুক। দলের সিনিয়ার একাধিক নেতাসহ অনেকে চান না তারেক রহমান দেশে এসে রাজনীতিতে সংক্রিয় হন। সক্রিয় হলে তাদের অবস্থান হয়তো থাকবে না। তারা চান তারেক রহমান বিদেশেই থাকুক। এর সুযোগ হিসেবে তারা পেয়েছেন তারেকের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মামলাগুলো।
এদিকে তারেক রহমানও দলের একাধিক নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে শঙ্কিত। তারেক রহমানের শঙ্কা দলের মধ্যে এখনো মাইনাস ফর্মুলা কাজ করছে। এমনটি আঁচ করতে পেরে তিনি বেশ কয়েকজন নেতার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এর ফলে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, দলের মধ্যে তারেক রহমানকে নিয়ে একাধিক নেতা চরম উত্কণ্ঠতায় কাটাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করলে তাতে যোগ দেওয়ার জন্যও তারা তৈরি হয়ে আছেন।
বিভিন্ন সময়ে লন্ডন সফরে আসা বিএনপির কয়েক শীর্ষ নেতাও এ তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া যারা আছেন তাদের একটি তালিকা তারেক রহমানের হাতে রয়েছে। লন্ডনে আসা নেতাদের সতর্কও করেছেন তারেক রহমান। এতেও তার ওপর অনেক নেতা ক্ষিপ্ত হয়েছেন।
দলের অনেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করে রাখায় তার ওপর ক্ষিপ্ত। কারণ হিসেবে তারা বলেন, তারেক রহমানের ইশারায় তিনি এখনো ভারপ্রাপ্ত রয়েছেন। এজন্যই ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এছাড়া ও বিভিন্ন কমিটিতে পদ পাওয়াকে কেন্দ্র্র করে দলের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। তাছাড়া তারেক রহমান সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পর দলের যেসব জ্যেষ্ঠ নেতা তাকে মেনে নিতে পারেননি, তারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে স্বস্তিতে নেই তারেক রহমান।
সরকার পরিচালনার আধুনিক নিয়ম কী হবে তা তিনি বলে না দিলেও তার পুরো বক্তব্যে সে আভাস পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতারা সন্তুষ্ট নন বলে জানা গেছে।
কারণ তার বর্ণিত কৌশলে দেশের উন্নয়নের কথা থাকলেও কোথাও সিনিয়র নেতাদের স্বার্থ রক্ষার ইঙ্গিত নেই। তারেক রহমানের উন্নয়ন পরিকল্পনায় তরুণদের অংশগ্রহণেরই ইঙ্গিত রয়েছে।
তিনি আগের মতোই তরুণদের নিজের অনুকূলে রাখতে চান। ফলে এ নিয়েও ক্ষুব্ধ বিএনপির প্রবীণ নেতারা। তারা হিসাব বুঝে গনেশ উল্টে দিতে পারেন বলে মনে করছেন তারেক রহমানের লন্ডনের পরামর্শকরা।
অন্যদিকে তারেক রহমান দীর্ঘ সময় লন্ডনে অবস্থান করায় যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে একরকম দলীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে এদের নিয়ে রাজনীতির মাঠে থাকা ছাড়া তার অন্য কোনো উপায়ও নেই।এ সুযোগ গ্রহণ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির অনেক নেতা আগামী নির্বাচনে সিলেটের বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।
ইতোমধ্যে তারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। এতে করে যারা এখন সিলেটের ওইসব এলাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বরাবরই থাকে। কিন্তু নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই একে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি আপাতত দেশে ফিরতে না পারলেও দল গোছানোর কাজটি লন্ডনে বসেই শুরু করেছেন।
তিনি দল ও দেশবাসীর সমর্থন আদায় করতে সম্প্রতি এক ইফতার পার্টিতে দেশের উন্নয়নে কী কী করণীয়, এর বর্ণনা করতে গিয়ে মূলত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। এটি তার রাজনীতিতে পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক কৌশলের বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা। তার উন্নয়ন কৌশলের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে গতানুগতিক নিয়ম থেকে সরে গিয়ে সরকার পরিচালনা করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি।
তারেক রহমানের এসব ভাবনা সিনিয়র নেতারা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমান তাদের উপেক্ষা করছে। ভবিষতে আরো করবে। তাদের আর দলে গুরুত্ব থাকবে না।
তবে একটি সূত্র জানায়, প্রয়োজনে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবহার করলেও জাতীয় নির্বাচনে কাউকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছেন না। এ কথা জানাজানি হওয়ার পর যুক্তরাজ্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আগামী নির্বাচনে যার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বৃহত্তর সিলেটের বেশির ভাগ আসনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক নেতা জানান , তারেক রহমান দলের শীর্ষ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও সে দলের কোন কাজ করতে পারছে না। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তারেক রহমান এই সময়ে দেশে আসলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকর মোশারর জানান, তারেক রহমান শুধু দলের নয়, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার দিকে তাকিয়ে আছে দেশের মানুষ। সবার প্রতিক্ষা সে দেশে এসে নতুন ভাবে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি শুরু করবেন না। তিনি বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এখনো তার বিরুদ্ধে দলে ও দলের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। এখনো যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী তাদের দলে রাখার সিদ্ধান্ত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, সরকারের সঙ্গে বিএনপির কিছু নেতার অদৃশ্য সর্ম্পক আছে। তারা খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। এখন তারেক জিয়াকে মাইনাস করতে চায়। ১/১১ ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক দৃঢ়তা ও সাহসের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের পাশে ছিলেন। এখন খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ও দক্ষিণ হস্ত সেজে বসে আছেন।
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
সেমিবস বলেছেন: ফরিদপুরের রাজনীতিতে এ কে আজাদকে শেখ হাসিনা না করে দিলেন!!!