নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেলে নাশকতা, বিএনপি জামাতের তাণ্ডবলীলা রুখে দিন

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

জামায়াত ও বিএনপির হরতাল ও অবরোধে এ পর্যন্ত রেলে শতাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। রেলের তথ্যানুযায়ী, এতে রেলের ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। রেলে সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের, আহত শতাধিক। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনেই অবরোধকারীরা উপড়ে ফেলেছে প্রায় ২০০ মিটার রেল লাইন। আগুন দিয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগিতে। দুর্ঘটনায় ফেলে বিপর্যস্ত করেছে রেল চলাচল। ঐ তিনদিনের নাশকতায়ই প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে রেলওয়ে সূত্রে। মানুষের জীবনের ঝুঁকি আর বিড়ম্বনার হিসাবে তো বাদই। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেলে পরিকল্পিত এ ধরনের নাশকতা নজিরবিহীন। আগে হরতাল-অবরোধে রেলপথ অবরোধ করাসহ বিচ্ছিন্ন কিছু নাশকতা ঘটলেও তার মাত্রা এতোটা ভয়াবহ ছিল না কখনো। রাতের অন্ধকারে রেল লাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হাজার হাজার যাত্রীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করার মতো অমানুষিক বর্বরতা আমাদের দেখতে হচ্ছে ইদানীং। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা সাঈদীর রায় প্রকাশের পরই রেল ব্যাপক নাশকতার শিকার হয়। তারপর থেকে এখন ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে নিয়মিতই রেল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। দিনদিন তার মাত্রা বেড়েই চলেছে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুই দফায় ১২০ ঘণ্টার হরতালের সময় রেলপথে প্রায় ১শ স্পটে নাশকতা চালানো হয়েছে। সম্প্রতি বিরোধী দলের একটানা ৭১ ঘণ্টার সহিংস অবরোধ পালনের পরপরই দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা টানা অবরোধে পরিকল্পিত হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলে এ ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। রেল তো রাষ্ট্রীয় মানে জনগণের সম্পদ। জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে, জনগণের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে যারা নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে চায়, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ ধরনের নাশকতা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে না। যারা এসব করে দুষ্কৃতকারী হিসেবেই এদের বিচার করতে হবে। হরতাল-অবরোধে এরকম নাশকতার দায় নিতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও। জাতীয় সম্পদ রেলকে নাশকতার হাত থেকে রক্ষা করতে, রেলযাত্রীদের জানমাল নিরাপদ করতে প্রথমেই দরকার আন্দোলনকারী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে নীতি ও মানবিক বোধের জাগরণ। সরকারের করণীয় হলো নাশকতা বেশি ঘটেছে এরকম স্পর্শকাতর স্পটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর টহল জোরদার করা। নাশকতার সংকেত নিকটবর্তী স্টেশনে জানার জন্য ইলেকট্রিক এলার্ম ব্যবস্থা এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। সর্বোপরি, জাতীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

চারশবিশ বলেছেন: রেলে নাশকতা, বিএনপি জামাতের তাণ্ডবলীলা রুখে দিতে সরকারকে তো কোন ব্যাবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না

না সরকারই চাচ্ছেনা এসব বন্ধ হোক, দেশে যে কোন অরাজগতা বন্ধ করা সরকারেরই দায়িত্ব

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

আজাইরা বলেছেন: তাণ্ডবলীলা যে কে করছে তা কে জানে ?

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

HHH বলেছেন: কি করলে নাশকতা অবরোধ হরতাল বন্ধ হবে তা সবাই জানে। প্রধানমন্ত্রীও জানেন। পারলে উনাকে বুঝান।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: জাতীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। এটাই মূল কথা।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিবিদগুলা বা তাদের গডমাদাররা এগুলার থোড়াই কেয়ার করেন.....দেশের পড়নে কাপড় থাক বা না থাক..........ক্ষমতা তাদের চাই ই চাই..... আমারা বা দেশের জানমাল তাদের কনসার্ন না।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

ডুয়েট বলেছেন: মন্ত্রক সাহেব আম্লীগের খাস ছাগল। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
খালি ঐসব পুস্ট দেয়।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সরকারকে গিয়ে বুঝান। ক্ষমতা আকড়ে আর কতদিন থাকবে



উনার একটি ঘোষনাই পারে এই তান্ডবলীলা বন্ধ করতে। /:) /:) /:) /:) /:) /:) /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.