![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকাল রোববার বিএনপির ডাকা অভিযাত্রাকে পুঁজি করে নাশকতার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। এই নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, মেস, কোয়ার্টার বা সাবলেট হিসেবে কোনো অপরিচিত ব্যাচেলকে ভাড়া না দিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের সদর দপ্তর থেকে ডিএমপির থানাগুলো এমন একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু মেস কোয়ার্টার থেকে বিপুল বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার এবং বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ায় পুলিশের টনক নড়েছে। নগরীর আবাসিক হোটেল, প্রাইভেট ক্লিনিক, মেস, কোয়ার্টারগুলো এখন পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওইসব মেস, হোটেল ও মেসে আশ্রয় নিয়ে হরতালে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার করছে জামায়াত-শিবির। এ অভিযোগে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীকেও ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডার বলে জানায় পুলিশ। এ কারণে রাজধানীর প্রতিটি থানা এলাকার বাসা-বাড়িতে মেস বা ব্যাচেলরদের ভাড়া দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ওইসব মেসের একটি তালিকাও ইতোমধ্যে তৈরি করেছে নিজ থানার কর্মকর্তারা। ওই তালিকা অনুযায়ী সন্দেহপ্রবণ অনেক বাড়ির মালিক ও ব্যাচেলরদের নজরদারি করছে গোয়েন্দারা।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণে পুলিশের এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, মেস, প্রাইভেট ক্লিনিক ও একশ্রেণীর বাড়ি মালিকদের মধ্যে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নির্দেশনায় মেস কোয়ার্টারের ব্যাচেলরদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ আর হতাশা। তারা মেস বা ব্যাচেলরদের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো আবাসিক বোর্ডিং বা বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের মেস ভাড়া দিচ্ছেন না।
অন্যদিকে এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীতে প্রায় ৪৫ হাজার বাসা-বাড়িতে মেস কোয়ার্টার রয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ ব্যাচেলর বসবাস করছেন। এরমধ্যে ছোট-বড় প্রায় ৪ হাজার ৫৫৬টি মেস কোয়ার্টার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ওইসব মেস কোয়ার্টারের ব্যাচেলর সদস্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি বিরোধী দলের ডাকা হরতালের আগে ও পরে রাজধানীজুড়ে নাশকতা শুরু করেছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। এ সময় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বিচারপতি, মন্ত্রী, এমপি, দুদক চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ে মারার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক রয়েছে। ওইসব নাশকতার পরিকল্পনা করা হয় রাজধানীর বিভিন্ন মেস, প্রাইভেট ক্লিনিক ও আবাসিক হোটেলেÑ এমন তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। তাই জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবাসিক হোটেল, বাসা-বাড়িতে মেস কোয়ার্টার বা ব্যাচেলরদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এই তল্লাশি নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত। সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন এলাকার মেসে পরিচয় গোপন করে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানে থেকে দুর্বৃত্তরা হরতালে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করে থাকে।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
রামন বলেছেন:
প্রথমে বি এন পি চেষ্টা করেছিল হেফাজতি ইসলামকে দিয়ে কাজটি সারতে, পরবর্তিতে ব্যর্থ হয়ে থলের বিড়াল বের হবার মত করে নিজেই নেমেছে। তবে কথায় বলে না যত গর্জে তত বর্ষে না- সে রকমটাই দেখতে পাব আমরা ২৯ তারিখের পর।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
পৃথিবীর আলো বলেছেন: ভাই রাবন!!! আম্লিগ যে ভয় পাইয়া পেটেই হাইগ্গা দিছে, এইটাই তো সবচেয়ে বড় কথা। রাজপথে যাক আর না যাক, প্রতিটি অফিসে, বাসে, রাস্তায়, আড্ডায়, চায়ের দোকানে সাধারণ জনগনের আলাপ আলোচনা শুনলেই বুঝতে পারবেন ২৯ তারিখ নয়, ঘোষণা দেয়ার পরই পরই কর্মসূচীর ইফেক্ট সরকার টের পেয়ে গেছে। ভাই লীগ বিএনপি নয় দেশের মানুষের শান্তি নিয়ে কিছু বলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
হাসিব০৭ বলেছেন: পুলিশ পাহারা ছাড়া তোমরা বালও ফেলাতে পার না