নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের টাকায় ঢাকায় শিবির, রাজধানী অচলের মহাপরিকল্পনা!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২২

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’কে কেন্দ্র করে রাজধানীকে অচল করে দেয়ার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ কর্মসূচিকে অসহযোগ আন্দোলনে পরিণত করতে চায় সংগঠনটি। একই সঙ্গে সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টাও থাকবে তাদের। এজন্য রাজধানী ঢাকায় তিন লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিতির পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে কয়েক স্তরে কর্মীবাহিনী। শিবিরের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।



কর্মসূচিকে ঘিরে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা গোপনে কয়েক দফায় বৈঠকও করেছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া মোবাইল ফোনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক নজরদারি থাকায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচারণা। তবে এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষা। ভিন্ন ভিন্ন শব্দে দেয়া হচ্ছে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা।



একাধিক দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায় থেকে সাংগঠনিক খরচে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক নেতাকর্মী রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। যে কোনো মূল্যে সমাবেশকে সফল করার পরিকল্পনা তাদের। এজন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে নেতাকর্মীরা। প্রয়োজনে জীবন দিতেও ‘প্রস্তুত’।



সমাবেশ সফল করেতে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দিতে সংগঠনের হাইকমান্ড থেকে সাংগঠনিক চারটি স্তরের মধ্যে সাথী ও সদস্যদের জন্য ‘ওয়াজিব’ করে দেয়া হয়েছে। তবে ‘সমর্থক’ ও ‘কর্মী’দের জন্য তা ‘সুন্নত’। কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খল বাহিনীর পাশাপাশি সরকার দলের কর্মীরাও মাঠে থাকবে বলে তাদের ধারণা। আর এসব প্রতিকূলতা রুখে দিতে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে লড়াই করবে তারা।



কর্মসূচি সফল করতে এরইমধ্যে রাজধানীর চারটি সাংগঠনিক এলাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব স্থানে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি রাশেদুল হাসান, উত্তরের সভাপতি রাকিবুল হাসান, দক্ষিণের সভাপতি শাহিন আহমেদ খান ও পশ্চিমের সভাপতি তামিম। এসব এলাকাকে আরো কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হবে। আর রোববার ভোর থেকে ওইসব স্থানেই সংগঠিত হবে দলীয় কর্মীরা। তবে সেসব স্থানগুলোর নাম বলতে রাজি হননি কেউ।



পরের টাকায় ঢাকা আসা

মাঠপর্যায়ের একাধিক শিবিরকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের নির্দেশে ছাত্রশিবির তার নিজস্ব কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে ‘বিশেষ কালেকশন’ করেছে। সেই টাকা দিয়েই রাজধানীতে আসছে তারা। লক্ষ্য একটাই কর্মসূচিতে বিএনপির ঘাড়ে ভর দিয়ে যে কোনো মূল্যে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সংগঠনটির ‘ফাদার সংগঠন’ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দণ্ডাদেশ, দলের নিবন্ধন বাতিল, পুলিশী নির্যাতন, গুলি করে হত্যা, মামলা, গ্রেপ্তার ও সরকারের কঠোর নজরদারির ‘বদলা’ নিতেই মরিয়া শিবির।



এদিকে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিবিরের পক্ষ থেকে ব্যাপক নাশকতা পরিকল্পনার তথ্য রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। তাই এমন পরিকল্পনা মোকাবেলায় রাজপথে সতর্ক অবস্থানেও রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারে চলছে বিশেষ অভিযান। তাণ্ডবের আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১৮ দলকে সমাবেশের অনুমতিও দেয়নি পুলিশ।



তবে কর্মসূচিতে যোগ দিতে নোয়াখালী থেকে আসা ইউসূফ হোসেন নামে এক শিবির নেতা বাংলামেইলকে বলেন, ‘কর্মসূচি সফল করতে কেন্দ্রের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে যে নির্দশ আসবে আমরা তা পালন করবো। তবে সরকার যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করতে বাধা দেয় তাহলে ইসলামী আন্দোলনের এই কাফেলা সে বাধা মানবে না।’



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের এক সদস্য বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেবো। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যক উপস্থিতি থাকবে আমাদের। প্রত্যেক ওয়ার্ড ও সাংগঠনিক এলাকা থেকে আমাদের কর্মীরা মিছিল সহকারে সামাবেশে যাবে।’



তিনি বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী ভাইয়েরা কোনো হুঙ্কারকে ভয় পায় না। তারা সব সময়ই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে। কেউ অন্যায় আচরণ করলে আমরা বসে থাকবো না।’



তিনি আরো বলেন, ‘জোটের প্রতিটি সমাবেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সর্বাধিক সংখ্যক উপস্থিতি থাকে। এবারের সমাবেশেও আমাদের সর্বাধিক সংখ্যক লোকের সমাগম থাকবে। ছাত্রশিবির সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।’



তবে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠে রাখার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সতর্ক থাকার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এমনকি আত্মরক্ষার্থে যে কোনো সিদ্ধান্তের নির্দেশও রয়েছে।



ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য ও জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘রাজধানীর জুড়ে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পোশাকধারী পুলিশ সদস্য, র‌্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’



ডিএমপির মুখপাত্র যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘শিবিরের নাশকতা পরিকল্পনার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। এদের গ্রেপ্তারে আমরা একটি বিশাল তালিকা নিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং সরকারি সম্পদ নষ্টের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’



ব্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল জিয়াউল আহসান বাংলামেইলকে বলেছেন, ‘নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে রাজধানীতে অভিযান শুরু হয়েছে। নাশকতাকারীরা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

হাসিব০৭ বলেছেন: এক কথায় আপনি একজন অটিস্টিক চাইল্ড

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

বাংলার আকাশ বলেছেন: oi beta ....e faltu news koi paisos ?

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: আজ কোধাও তেমন কিছুই হবে না।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ফারুক রহ্মান বলেছেন: ভাই আপনি কি বাসায় সারাদিন বি,টি,ভি দেখেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.