নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিডিআর হত্যাকান্ডের রায় ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। এটি ছিল জাতির জীবনের অন্যতম কলংকিত অধ্যায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যোগের দু:সহ অত্যাচার, অনাচার এবং দুর্নীতির প্রেক্ষিতে দেশের মানুষ নিজের অধিকার আদায়ের জন্য নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বজন প্রশংসিত নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে মহাজোটকে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়েছিল। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার মাত্র ৪৭(সাতচল্লিশ) দিনের মাথায় এহেন বর্বরোচিত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। উক্ত বর্বরোচিত ঘটনায় সর্বমোট ৭৪(চুয়াত্তর) জন প্রাণ হারায়। যার মধ্যে ৫৭ (সাতান্ন) জন ছিল দেশের সূর্যসন্তান সেনা কর্মকর্তা। এটি সহজে অনুমেয় দেশের স্বাধিনতা ও স্বার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি নব গঠিত সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।

আজকে তার রায় ঘোষিত হওয়ার মধ্যদিয়ে, ইতিহাসের ন্যাক্কার জনক হত্যাকান্ডের কলঙ্ক মোচন হলো। পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। বিএনপির নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদ-সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ হয়েছে ২৬২ জনের। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন।

বিডিয়ার হত্যাকান্ডের পরে সরকার কাল বিলম্ব না করে তিন পর্যায়ে উক্ত ঘটনার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। যা হলো, বিডিআর কর্তৃক তদন্ত, সেনাবাহিনী কর্তৃক তদন্ত এবং জাতীয় তদন্ত । তদন্ত শেষে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবী উত্থাপিত হয়। দাবী সমূহের মধ্যে অনুতম দাবী ছিল বিদ্রোহের বিচার সামরিক আইনে করা। সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সেনা কর্মকর্তাদের সকল দাবী পূরণ করেছেন। একই সাথে বিচার প্রক্রিয়াকে সর্বপ্রকার বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার জন্য ১৭ আগষ্ট ২০০৯ তারিখে মহামন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংবিধানের আর্টিকেল ১০৬ এর অধীনে সুপ্রীম কোর্টে রেফারেন্স প্রেরণ করেন। ১৯ আগষ্ট ২০০৯ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ১০ জন সিনিয়র আইনজীবীকে এ্যামিকাস কিউরী নিয়োগ করা হয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে আসামীর সংখ্যা বিবেচনায় এত বড় বিচার কার্যক্রম কোথাও কখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। সংগত কারণেই এই বিচারকে স্বচ্ছ, নিরপ্ক্ষে ও প্রশ্নাতীত করার লক্ষ্যে কিছুটা সময় লেগেছে। এরই সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট এই বিচার বাধাগ্রস্থ করার লক্ষ্যে বিরতিহীনভাবে নানাবিধ অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। এমন কি তারা ক্ষমতায় গেলে বিজিবি এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম এবং পোশাক বহাল রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বলেও জানা যায়। বিজিবিতে ভবিষ্যতে যেকোন প্রকার বিদ্রোহ বন্ধের জন্য বর্তমান সরকার” বিজিবি এ্যাক্ট-২০১০” সংসদে পাস করেছে, যা আর্মি এ্যাক্টের অনুরূপ। এই আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্থি মৃত্যুদন্ড।

দু:খজনক হলেও সত্য, বিএনপি-জামাত জোট আজ বিডিআর এর বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সেনাবাহিনী এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চক্রান্তে জড়িত ছিলো। তাদের অনেকেই ঐ সময় সেনা বিধি ০৫ (পাঁচ) মোতবেক সেনা আইনে এ বিদ্রোহের বিচারের বিরোধিতা করেছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিডিয়ার বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ে রহস্য জনক অবস্থান অনেকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। তৎলীন বিএনপি শাসনামলে ১৯৭৭-১৯৮১ সাল পর্যন্ত সংঘঠিত ২১ টি সামরিক অভ্যুত্থানে ১২০০'র বেশি সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য নিহত হলেও এসব অভ্যুত্থানের কোন দৃশ্যমান বিচার হয়নি। এমনকি অনেক মামলার নথিও গায়েব হয়ে গেছে।

বর্তমান সরকার দ্বায়িত্ব নেয়ার পরেই দ্রুততার সাথে বিডিআরকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এ লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগসমূহ নি¤œরূপ:

১. বিজিবিকে পুর্নগঠনের লক্ষ্যে নতুন আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর ‘বর্ডার গার্ড আইন ২০১০’ সংসদে পাশ করা হয়েছে। ফলে বিডিআর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি নামে আতœপ্রকাশ করেছে।

২. নতুন পোষাক, নতুন নাম এবং সংশোধিত আইন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান আবারও দৃঢ় পদক্ষেপে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে মাথা উচু করে। বডার গার্ড বাংলাদেশÑ বিজিবি’র ৩৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অবলুপ্ত করা হয়েছে গত ১৫ জুলাই এবং ১৩ ব্যাটালিয়ন বিজিবিকে আগামী ২৫ আগস্ট অবলুপ্ত করা হবে। এর আগে ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ২৪ ব্যাটালিয়নকে (পিলখানায় অবস্থিত) অবলুপ্ত করা হয়। বিডিআর বিদ্রোহের পর এই বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ব্যাপক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে পুনর্গঠন করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০১২-১৩ অর্থবছরে চারটি অঞ্চল, চারটি সেক্টর, চারটি অঞ্চল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং তিনটি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জন্য (বিয়ানীবাজার, রুমা ও বাবুছড়া) মোট ছয় হাজার ৩১৬টি পদের বিপরীতে লোক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাগাইহাট এবং কুলাউড়া বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জন্য এক হাজার ৫২৪টি পদে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।



৩. এজন্য বিজিবিকে ভাগ করা হচ্ছে ৪টি অঞ্চলে। পুনগর্ঠনে পাল্টে যাচ্ছে বিজিবির প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কাঠামো। পাশাপাশি বাড়ছে জওয়ানদের সুযোগ-সুবিধাও। এখন থেকে বিজিবি সব সদস্যই সীমান্ত ভাতা পাবে।



৪. একই সাথে জওয়ানদের পরিবারের মাসিক জ্বালানি খরচও বাড়ানো হয়েছে ৩ গুণ। বাড়ানো হয়েছে মসলা ভাতার পরিমাণও। ইতিমধ্যে পিলখানায় ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়ন বিলুপ্ত করা হয়েছে। আর নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে ১১টি ব্যাটালিয়ন। পুনর্গঠনের আলোকে বিজিবিকে ৪টি অঞ্চলে ভাগ করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সদর দফতর হবে নওগাঁয়, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সদর দফতর থাকবে যশোর, উত্তর-পূর্ব সদর দফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের সদর দফতর থাকবে চট্টগ্রাম। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা হবেন আঞ্চলিক সদর দফতরের প্রধান। তাছাড়া ১১টি নতুন ব্যাটালিয়ন নিয়ে সদর দফতর করা হবে। একই সাথে তৈরি করা হবে ৪টি সেক্টরও। আর বিওপি তৈরি করা হবে আরো ১শ’। বর্তমানে বিজিবিতে ৪৭টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৪টি ব্যাটালিয়ন বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এসব ব্যাটালিয়নগুলো হচ্ছে ২৪, ৩৬, ১৩ ও ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন। মূলত ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নৃশংস বিডিআর বিদ্রোহের কারণেই এ বাহিনীর পুনর্গঠনের দাবি ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় এ বাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে একটি সমনি¦ত প্রস্তাব দেয়া হয় সরকারকে।



৫. বিজিবির পুনগর্ঠন প্রস্তাবের আলোকে বেশ কিছু সংস্কারমূলক কাজে হাত দেয় কর্তৃপক্ষ। কারণ আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বাহিনী হিসেবে বিজিবিকে গড়ে তুলতে হলে পুনর্গঠনের বিকল্প ছিল না। বিজিবির পুনর্গঠনে জওয়ানদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে জওয়ানদের রেশন ও অন্যান্য ভাতাও। বিদ্রোহের পর বিজিবি সদস্যরা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ বাহিনীর সদস্যরা আর পেছন ফিরে না তাকিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। সীমান্ত ভাতা অনুমোদিত হওয়ায় এখন থেকে সকল বিজিবি সদস্যই মাসিক ৩৩৮ টাকা ভাতা পাবেন।



৬. তাছাড়া আগে প্রত্যেক বিজিবি সদস্যকে মাসে মসলা খরচ বাবদ ১৯ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবো। কিন্তু এখন থেকে মসলা না দিয়ে প্রতি মাসে ২১ গ্রাম মসলা দেয়া হবে। একই সাথে বিজিবি পরিবারের সদস্যদের জ্বালানি ভাতা ৫২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা করা হয়েছে। আগে প্রত্যেক জওয়ানকে মাসে ৪০ কেজি কাঠ দেয়া হতো। আর যেখানে কাঠ সরবরাহ সম্ভব হতো না সেখানে ৫২ টাকা জ্বালানি খরচ দেয়া হতো।



৭. ইতিমধ্যে জওয়ানদের রেশন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে শতভাগ। বাড়ানো হয়েছে যানবাহন ও চিকিৎসা সুবিধাও। এজন্য বিজিবি সদস্যদের জন্য আরো ৩টি হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিজিবি সদস্যদের জাতিসংঘ মিশনে পাঠানোর বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে সরকার বিবেচনা করছে। পুনর্গঠনের আলোকে বিজিবি সদস্যদের যে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে তাই নয়, একই সাথে জওয়ানদের মানবাধিকার বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজিবির ৪টি সেক্টরের সব জওয়ানকে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস। তাছাড়া প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনপাতেও আমূল পরিবর্তনের অংশ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যসূচি। বিশেষ করে সীমান্ত সুরক্ষা, জওয়ানদের শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার বিষয়াদি নিয়ে পৃথক ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া যুক্ত করা হচ্ছে নারী ও শিশু পাচার রোধে করণীয় সংক্রান্ত অধ্যায়ও। একইভাবে বিজিবি জওয়ানরা কীভাবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অর্জন করতে পারবে সে বিষয়েও শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। থাকছে মাদকের কুফল ও এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পাঠ্যসূচিও। তাছাড়া সীমান্তে অপারেশনাল কর্মকা- জোরদারের পাশাপাশি চোরাচালন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। একই সাথে সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য সরকার বিজিবি সদস্যদের ১৪শ’ মোটরসাইকেল সরবরাহ করছে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যাটালিয়নকেই মোটরসাইকেল দেয়া হয়েছে।



বিজিবি হত্যাকা-ে শহীদ সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ হতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নি¤েœ তা উপস্থাপন করা হলো:

১। আর্থিক সহযোগিতাঃ

ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ১০,০০,০০০.০০ (দশ লক্ষ) টাকা ।

খ। সেনাবাহিনী কল্যাণ তহবিল হতে অনুদান ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা ।

গ। বিডিআর তহবিল হতে অনুদান ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ।

ঘ। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস কর্তৃক প্রতি বছর ৪,৮০,০০০.০০ (চার লক্ষ আশি হাজার) টাকা হিসেবে অদ্যাবধি সর্বমোট ০৫ বছরে (৪,৮০,০০০.০০ Χ ০৫) ২৪,০০,০০০.০০ (চব্বিশ লক্ষ টাকা প্রদান ।

ঙ। শহীদ অফিসার পরিবারবর্গকে ২,০০,০০০.০০ (দুই লক্ষ) টাকার ট্রাস্ট মিউচুয়্যাল ফান্ডের প্লেসমেন্ট শেয়ার প্রদান ।

চ। তাছাড়া নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শহীদ পরিবারবর্গকে পরিবার নিরাপত্তা প্রকল্প তহবিল, ডিএসওপি ফান্ড, কল্যাণ তহবিল হতে অনুদান, মৃত্যু আনুতোষিক, ছুটির পরিবর্তে নগদ অর্থ, কম্যুটেশন এবং মাসিক পেনশন প্রদান করা হয়েছে ।



২। আর্থিক সহযোগিতাঃ

ক। শহীদ অফিসার পরিবারের ৩২ জন সদস্যকে চাকুরী প্রদান করা হয়েছে তন্মধ্যে ০৩ (তিন) জন বিদেশে চাকুরীরত আছেন ।



খ। শহীদ অফিসার পরিবারবর্গের ৮৪ জন সদস্যকে (স্ত্রী/সন্তান) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।



গ। শহীদ অফিসার পরিবারের ০৯ জন সন্তানকে বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান বছরে ০১ জন শহীদ অফিসারের সন্তানকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তিও বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



ঘ। শহীদ অফিসার পরিবারবর্গেও স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য ৩৭ জনকে মিরপুর ডিওএইচএস'এ প্লট দেয়া হয়েছে। ১০ জনকে মিরপুর ডিওএইচএস'এ ০২ টি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্ল্যাট প্রদানের জন্য বহুতল ভবন নির্মানাধীন রয়েছে। তাছাড়া ১১ জন অফিসার শহীদ হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন ডিওএইচএস এবং রাজউক প্লট পেয়েছিলেন।



ঙ। ৪৪ জন শহীদ অফিসার পরিবারের অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতকল্পে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সরকারী পারিবারিক বাসস্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।



চ। ১৫ জন শহীদ অফিসারের গৃহ নির্মাণ অগ্রীম ঋনের সুদ ও আসল মওকুফ এবং ২৫ জন শহীদ অফিসার যাদের ট্রাষ্ট ব্যাংকে লোন ছিল তাদেও ২০০৯ সালের লোনের উপর সুদ মওকুফ করা হয়েছে।



ছ। শহীদ অফিসার পরিবারবর্গকে দুধ কুপন কার্ড, সামরিক টেলিফোন সংযোগ এবং নিয়মানুযায়ী সিএমএহচএ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।



পরিশেষে এ কথা বলা যায়, নানা প্রতিকূলতা, অপপ্রচার ও চক্রান্তকে অতিক্রম করে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সম্পাদনের মধ্য দিয়ে সরকার একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। যারা নানা ধু¤্রজাল সৃষ্টি করে এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকা-ের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছে তাদের অপপ্রয়াস নস্যাৎ হয়েছে। জাতি একটি কলঙ্কের দায় হতে মুক্তি পেয়েছে। পুনর্গঠিত বিজিবি অতীতের গ্লানি ভুলে নবউদ্যেমে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।







মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঘটনার সময় আমি খুব কাছেই ছিলাম।
কিছু প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে পাবেন -

কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে? ৩ পর্বে।

Part 1
Click This Link
part2
Click This Link
Part 3
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.