![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াত-শিবিরের দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আন্দোলনের নামে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা, পেট্রলবোমা, ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নেতা-কর্মীর পরিচয় সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন তথ্যের উল্লেখ করে নাশকতা রোধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামও রয়েছে। বলা হয়েছে, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগের মতো সারা দেশে আন্দোলন কর্মসূচির নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরুর পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতেও তারা সরকারি অফিস-আদালত, থানা, বিদ্যুৎ অফিস, কেপিআই, রেল যোগাযোগব্যবস্থাকে টার্গেট করবে। নাশকতার কৌশল হিসেবে তারা গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, ককটেল ও পেট্রলবোমা হামলা, গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, মহাজোটভুক্ত দলের নেতা-কর্মী ও তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে। কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় প্রদান এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হেরে গেলেও নাশকতার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সূত্র।
সূত্র জানায়, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও সাতক্ষীরায় যাদের নেতৃত্বে হামলা হবে তাদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গণির নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জেলার ভোগদাবুড়ী, ধরণীগঞ্জ, চিলাহাটি, বোড়াগাড়ী, কেতকীবাড়ী, চাঁদখানা, গোমনাতি, মীর্জাগঞ্জ, জোড়াবাড়ী, পাঙ্গামটকুপুর, বড় রাউতা, নাউতারা এবং হরিণচড়া এলাকায় নাশকতা ঘটাতে পারে। তারা সড়ক অবরোধ, ব্রিজের পাটাতন তুলে ফেলা, ট্রেন লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলা, যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে পারে। এসব সহিংসতায় দায়িত্ব পালন করবে জলঢাকার ছাত্রশিবিরের সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জামায়াতকর্মী মোসাদ্দেকসহ ১০-১২ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের আমির আজিজুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নিজাম উদ্দিন ও মাওলানা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে। তারা রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ বাজার এলাকা, নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ও ধাউরার কুড়ি, সদর উপজেলার ঘোগাদহ ও পাঁচগাছি এলাকায় নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে।
জয়পুরহাট জেলা শহর জামায়াতের আমির হাসিবুর রহমান লিটন, জামায়াত নেতা শামছুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও ডা. ফজলুর রহমান সাইদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিসি অফিস, রেলস্টেশন, বিআরটিসি অফিস, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অফিসে হামলা হতে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের বাসাবাড়িতেও তারা হামলার পরিকল্পনা করছে।
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর নেতৃত্বে স্থানীয় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ ওই এলাকার আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে হামলার টার্গেট করছে।
সাতক্ষীরার জয়নগর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুজ্জামান ও কলারোয়া উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বুলবুল জেলায় নাশকতামূলক হামলায় নেতৃত্ব দিতে পারেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ছাড়াও সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পরিকল্পনা করছেন। কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর, খোর্দ্দবাটরা ও ক্ষেত্রপাড়া, যুগিখালী ইউনিয়নের ওফাপুর, দেয়াড়া ইউনিয়নের দেয়াড়া ও মাঠপাড়া এলাকায় হামলা হতে পারে। সম্ভাব্য হামলাকারীদের মধ্যে জয়নগর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি রবিউল ইসলাম, ছদর উদ্দীন মোড়ল, ওজিয়ার মোড়ল, মালেক গাজী, গফ্ফার গাজী অন্যতম।
প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কে কী করছে সে ব্যাপারে র্যাবের নজরদারি রয়েছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি যে দলের লোকই হোন না কেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে মর্মে আমরা খোঁজখবর পাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের তালিকা হচ্ছে।’
- See more at: Click This Link
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
হাসিব০৭ বলেছেন: ছাত্রলীগ হল নব্যগঠিত রক্ষী বাহীনি। কোন একদিন রক্ষীবাহিনীল মত এই ছাত্রলীগও বিলীন হবে তবে হয়ত একটু সময়লাগবে আর কি।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
samolbangla09 বলেছেন: হ, ৭১ টিভিতে দেখাইছে.......
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২১
মিতক্ষরা বলেছেন: আওয়ামী লীগ চায় মানুষ এই সরকারের কথায় উঠুক আর বসুক। আওয়ামী লীগ চায় মানুষ বিনা চ্যালেন্জে আওয়ামী লীগের সব অবৈধ কার্যকলাপ মেনে নিক । ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের নামের তামাশাকে মেনে নিক। যারা এর বাইরে যাবে তাদেরকেই তারা বলবে "নাশকতাকারী" আর "সন্ত্রাসী"।
আজকেও সাবেক চবি ভিসি আবদুল মান্নানের লেখায় এক জায়গায় পড়লাম, বঙ্গবন্ধু বেশ উচ্চ গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলেন, 'ফয়েজ, বাংলাদেশে থাকতে হলে শেখ মুজিবের সঙ্গে কথা বলতে হবে'।
এই হল আওয়ামীদের একদলীয় চরিত্র। আওয়ামী পূজা না করলে এরা কাউকে এদেশের মাটিতে থাকার যোগ্য মনে করে না। তারা ৫ই জানুয়ারী তামাশার নির্বাচন করলেও তাতে দেশবাসীকে "জ্বী" "জ্বী" বলতে হবে, কিংবা নির্বাচন ব্যতিরেকে সংবিধানে মেয়াদ বাড়ানোর কথা লিখলেও "জ্বী" "জ্বী" করতে হবে।
ইতিমধ্যে প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ একীভূত হয়ে কাজ করছে উপজেলা নির্বাচনের ফল নিজের পকেটে পোরার জন্য। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তো আছেই। কিন্তু এগুলো কেন নাশকতা হবে? এগুলো হল দেশসেবা!!