নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া খাল কেটে যে মৌলবাদী কুমির এনেছিলেন তা এখনো জাতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে

০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২১



এ বছর এবং ২০০৯-এর জানুয়ারিতে শপথ নেয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ পাঠিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। ২৬ মে শপথ নেয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাই। একইদিন ‘অটো’ উত্তর আসে, যাতে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রাপ্তি সংবাদ দিয়ে বলা হয়, পরে যোগাযোগ করা হবে। ২৮ মে মোদির নামে আবার মেইল, যার মর্মার্থ হলো : ‘উন্নত, শক্তিশালী ও ইনক্লুসিভ ভারত গড়তে আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করি।’ বছর দুই আগে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে একটি ই-মেইল করেছিলাম। ২-৩ দিনের মধ্যে উত্তর আসে এবং দিন দশকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবগুলো দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হয়। অবশ্য কাজ হয়নি, কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক তো স্বস্তি পেতে পারেন যে, সর্বোচ্চ মহলও পাত্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে এখনো দেশে ওপরের লেভেলে যোগাযোগ করি, কেউ সৌজন্যের খাতিরেও উত্তর দেন না। ডিজিটাল বাংলাদেশের এ যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আর একটু উন্নত হওয়া দরকার বটে। কথায় বলে, ‘কার্টসি কস্ট নাথিং’।

প্রায় বছর দুই আগে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সঙ্গে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেছেন; পত্রপত্রিকায় তার টেলিফোন নাম্বার, ই-মেইল প্রকাশিত হয়েছে। মিডিয়া ঐ সময় সুন্দর সুন্দর স্টোরি ছেপেছে। সবই ভালো। কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই। জাতি হিসেবে আমরা স্ট্যান্ট দেখাতে ওস্তাদ; সিস্টেমে অভ্যস্ত নই। সিএমএলএ এরশাদকে আমরা তেল বাঁচাতে সাইকেলে চড়ে অফিসে যাবার ভ-ামি করতে দেখেছি। জিয়াকে কোদাল হাতে কালো চশমা পরে খাল কাটতে দেখেছি। তখন ‘খাল কেটে কুমির আনা’ প্রবাদটি বেশ চালু ছিল। জেনারেল জিয়া খাল কেটে যে মৌলবাদী কুমির এনেছিলেন সেই সরীসৃপ আজো জাতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। জিয়া বলেছিলেন, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। তিনি কথা রেখেছেন, ছেঁড়া গেঞ্জি পরা বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসকের স্ত্রী-পুত্র আজ বিশ্বের অন্যতম ধনী। জিয়া আরো বলেছিলেন, ‘আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ানস।’ তিনি তা করেছেন, রাজনীতি তাই আজ রাজনীতিকদের হাতে নেই।

খাল কাটার কথা যখন উঠলোই তখন একটি গল্প না বলে পারছি না। গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। খাল কাটার জোয়ারের সময় এক গ্রামে এক স্কুলের পাশে একটি বিশাল খাল বা পুকুর কাটার পরিকল্পনা হয়। বিরাট প্রজেক্ট। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বরাদ্দ হলো। খাল কাটা হলো। কর্মকর্তা পরিদর্শনে গেলেন, রিপোর্ট করলেন। খালে মাছ চাষের জন্য আরো বরাদ্দ এলো। এলাহী কারবার আরকি। এরপর জিয়া যুগের অবসান হলো, তিনি বেঘোরে প্রাণ হারালেন, তার লাশও পাওয়া গেলো না (খালেদা জিয়া ডিএনএ করিয়ে এ জল্পনার অবসান করাতে পারেন)। ক’বছর পর ওই গ্রামে আর একটি প্রজেক্টের জন্য অন্য এক কর্মকর্তা সরজমিন তদন্তে যান। গল্পটি তার কাছ থেকেই শোনা। তার হিসাব মতো স্কুলের পাশে একটি বিরাট খাল থাকার কথা। তিনি কোনো খাল দেখতে পেলেন না। বরং দেখলেন ধু ধু করা মাঠ। একে একে সবার সঙ্গে কথা বললেন এবং যা বোঝার তা বুঝলেন। এখন কী করা? শেষে একজন বললেন, ‘স্যার, যা হবার তা তো হয়েছে, গ্রামের স্বার্থে নতুন প্রজেক্টটা হওয়া দরকার এবং এজন্য পুকুরটি ভরাট করতে হবে। চমৎকার প্রস্তাব, সবাই রাজি। চিঠি গেলো সরকারের কাছে। টাকা বরাদ্দ হলো, খাল ভরাট হলো। সময়টা এরশাদের আমল।

ঘটনাটি বলার কারণ হচ্ছে, যারা এখন বলছেন দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তাদের জানা উচিত জিয়ার আমলেই দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল এবং এরশাদ এসে দুর্নীতি জাতীয়করণ করেছিলেন। এজন্য ঢাকার মেয়র মাহমুদুল হাসানকে বলা হতো ‘থিফ অব বাগদাদ’। শোনা কথা, এরশাদ তার ভাগ পেতেন। আসলে জিয়া এবং এরশাদ, দুজনেই ছিলেন, ‘পাকা চোর অতিশয়’। জিয়ার মৃত্যুদিন উপলক্ষে এ কথা না বললে নয় যে, জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছেন তা শোধরাতে শেখ হাসিনা এখনো হিমশিম খাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি জিয়া এবং জিয়া হত্যার বেনিফিশিয়ারি এরশাদ। এই দুজন কখনই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। তাই হয়তো শেখ হাসিনা সরাসরি জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন এবং বেগম জিয়া প্রকাশ্যে এরশাদকে জিয়া হত্যার জন্য দায়ী করেছেন।

তাহলে জিয়া এবং এরশাদ দুজনেই খুনি। তাই খুনিকে নিয়ে এতো মাতামাতি কেন? সদ্য ড. এমাজউদ্দিন বলেছেন, জিয়াই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি! একজন সাবেক উপাচার্য এমন মিথ্যাচার করেন ক্যামনে? তবে পত্রিকায় দেখলাম তারেক জিয়া বলেছেন, ‘শেখ মুজিব ব্যর্থ, জেনারেল জিয়া মাত্র পাঁচ বছরেই সফল।’ একেই বলে ‘বাপকা ব্যাটা’। বাপ চোর হলে পোলা সাধু হবে কোত্থেকে? তবে তারেকের কথামতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ব্যর্থ কারণ তিনি জিয়ার আসল রূপ চিনতে ভুল করেছেন। বঙ্গবন্ধু ব্যর্থ কারণ তিনি জিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থাকলেও তাকে উপ-সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ব্যর্থ কারণ তিনি জিয়ার ভাঙা সংসার জোড়া দিয়েছিলেন। এবং জিয়া সফল, কারণ তিনি ঋণ শোধ করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। সিরাজদ্দৌলা হত্যার পর মীরজাফরও অনেকটা সময় সফল ছিলেন। যদিও ইতিহাস এখন সত্য বলছে। জিয়া বাংলাদেশের মীরজাফর। জিয়া বাংলাদেশে সামরিক শাসনের জনক। জিয়ার হাত রক্তে রঞ্জিত। মানুষের চোখ দেখলে নাকি অনেক কথা বোঝা যায়, বিশেষত খুনিকে চেনা যায়! আপনারা কি কেউ কখনো জিয়াকে কালো চশমা ছাড়া দেখেছেন?



শিতাংশু গুহ : কলাম লেখক।

ভোরের কাগজ : ০২/০৬/২০১৪







মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

পংবাড়ী বলেছেন: হ্যাঁ, জিয়াকে কালো চশমা ছাড়া দেখেছি।

২| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

হাদী নয়ন বলেছেন: কিছু একটা লিখে দিলাম আর পাবলিক সেটা গিলে ফেললো,আপনারা পাবলিক কে কি মনে করেন?আমদের সাদা আর কালো ২ রংই চিনি শিতাংশু গুহ ,আপনাকে কস্ট করে আর চিনাতে হবে না।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

একে৪৭ বলেছেন: সাথে একটা রাক্ষসীকেও, যে ডাঙ্গাতেও শান্তি দিচ্ছে না.......

৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, এইসব বালছাল লিখেন কেমনে? আমারে একটু শিখাইবেন??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.