![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে অনেক নক্ষত্র যেমন উদিত হয়েছিল, তেমনি কয়েকটি নক্ষত্রগ্রাসী রাহুরও উত্থান ঘটেছিল! আজ অতি বিস্ময়ের সঙ্গে ১৯৭১ সালে সৃষ্টি হওয়া একঝাঁক জ্যেষ্ঠ জ্যোতিষ্কের মতো নেতা, তাঁদের প্রতি অনুগত কিন্তু জাতির কল্যাণকর লক্ষ্যের প্রতি অটুট আস্থাশীল প্রকৃত দেশপ্রেমিক একদল তরুণ অনুসারীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বিস্মিত হই! আরও বিস্ময়কর যে এই জ্যেষ্ঠ ও তরুণ- দুই দল নেতা-কর্মীদের দুর্লভ দেশপ্রেম থেকে জেগে ওঠা সব কর্মসূচী, সব আদেশ-নির্দেশ বাঙালীর উচ্চশিক্ষিত আমলা থেকে শুরু করে সব পেশাজীবী-নিরক্ষর কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক, নারী-পুরুষ বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনেছে!
সেই বিস্ময়কর অভাবিতপূর্ব জাতীয় পর্যায়ে একদিকে অতি উন্নতমানের সুস্থ রাজনীতির সূচনা ঘটাচ্ছেন জাতীয় নেতা-কর্মী-অনুসারীরা। অপরদিকে এই রাজনীতিকে এবং বাঙালীর কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার আন্দোলনকে ধ্বংস করে দিতে জন্ম নিচ্ছিল জাতির রাহুসম গুটিকয়েক অপরাজনীতিক গুপ্তচর-আগ্রাসি, পাকিস্তানের পদলেহী ভাড়াটে সেনাসদস্যদের একটি বিশ্বাসঘাতক দল! ’৭১-এ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীরা সংখ্যায় কম হলেও জন্মগ্রহণ করেছিল গোলাম আযমের নেতৃত্বে। ’৭২-এ বঙ্গবন্ধু সরকার অভাবিত পুনর্বাসন, পুনর্গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে কাজ করেছিল তার মধ্যে দু’টি ঘটনা যুদ্ধাপরাধী সমর্থক সেনাদের শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছিল : ১. শত্রু দেশ পাকিস্তান ফেরত সেনা সদস্যদের অবসর দান না করে দেশীয় নতুন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা; ২. দেশে থাকা মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দেয়া সেনাসদস্যদের এমন কি জিয়াউর রহমানের বহু বিতর্কিত কর্ম থাকার পরও তাকে অবসরদান না করা ও পরে তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য উপ-সেনাপ্রধানের পদ সৃষ্টি করে তাকে সে পদে নিয়োগ দেয়া! দেখা যায় ’৭১ থেকে ’৭৫ সময়কালে প্রত্যেক গোয়েন্দা সংস্থার মোট জনবলের অর্ধেকের বেশি ছিল পাকিস্তানপন্থী!
আজ গুম, খুনের প্রাদুর্ভাব নিয়ে নানা বিতর্কে বিএনপি নেত্রী বলেছেন? ‘র্যা ব তৈরি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের (অর্থাৎ নেতা-কর্মী) নির্মূল করতে, এখন এরা ‘খুনী’ হয়ে উঠেছে, তাই র্যা ব বিলুপ্ত করতে হবে।’ ম্যাডামকে স্মরণ করতে হবে, র্যা ব-এর প্রথম বলি ছিল ছাত্রলীগের মেধাবী কলেজছাত্র সে সন্ত্রাসী নয়! র্যা ব রাতের আঁধারেই মুক্তিযুদ্ধপন্থী ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী-নেতাদের খুন করেছে, বন্দী করেছে, নির্যাতন করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের পাঁচ বছরের শাসনামলে শুধু আওয়ামী লীগেরই প্রায় বিশ হাজার নেতা-কর্মীকে বিএনপি’র ও জামাতের খুনী ক্যাডার, কোথাও র্যারব খুন করেছে যাদের মধ্যে শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, আইভী রহমান, অর্ধশতাধিক সাংবাদিকÑ হুমায়ুন কবির বালু, মানিক সাহাসহ সন্ত্রাস বিরোধীরাই খুন হয়েছেন! এদের একজনের খুনের পরও খালেদা বা বিএনপির কোন নেতাকে কেউ শোক জানাতে দেখেনি!
সম্প্রতি বিএনপিপন্থী সুশীলদের কিছু বক্তব্য শুনে হাসব না কাঁদব ভেবে পাইনা। তারা বলছেন-
১. জঙ্গীদের উত্থান বিএনপি আমলে নয়, আওয়ামী লীগ আমলেই হয়েছে, যথা উদীচী, ছায়ানট বোমা হামলা।
২. আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা আজমের দুলাভাই শায়েখ আবদুর রহমান জঙ্গী। এতে নাকি প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগ জঙ্গীদের জন্ম দিয়েছে! আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করতে জঙ্গী তৈরি করেছে- এ কথা সবার জানা। কারও ভগ্নিপতি জঙ্গী হলে সে কোন যুক্তিতে জঙ্গী হতে পারে?
এইসব নীচু স্তরের অসত্য প্রলাপের উত্তর দেবার কোন দরকার নেই। কিন্তু গোয়েবল্সদের প্রচারণার প্রভাব দেশে জনগণকে এসব প্রচারণার যথার্থ উত্তর দিতে এ আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে।
পাঠক
১. ’৭১-এ কারা খুনী, ধর্ষক আল বদর, রাজাকারের জন্ম দিয়েছিল? সেই জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীই তো।
২. ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নবেম্বর জেলখানায় বন্দী মুশতাক সরকারে যোগ দিতে অস্বীকার করে গ্রেফতার হওয়া চার জাতীয় নেতার হত্যাকারী কারা? ফারুক-রশীদ-ডালিম প্রমুখ পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যরা তাঁদের হত্যাকারী নয় কি? কিন্তু তাদের পক্ষ কোন জ্যেষ্ঠ সেনাকর্মকর্তার সমর্থন ছাড়া জাতির জনক, প্রবাসী সরকারের চার জ্যেষ্ঠমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের পরিচালককে হত্যা করা কি সম্ভব ছিল? এই সমর্থন ‘গো এহেড’ বলে খুনীদের দিয়েছিলেন সে সময়ের উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান? এটি তো খুনীরাই বলে গেছে। তাহলে, দেশে খুন-গুম তো জামায়াতের পর জিয়াই শুরু করেছিল, নয় কি?
৩. ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়ার চাকরি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে থাকলে তাঁর পরিবারÑস্ত্রী-পুত্র কিভাবে ও কেন, কি উদ্দেশ্যে ঢাকা সেনানিবাসে বাস করেন? ’৭১-এ একজন ‘মাতাহারি’র জন্ম হয়েছিল বলে অনেকে বিশ্বাস করেন, সে কে? এ নিয়ে অনুসন্ধান হওয়া দরকার সঠিক ইতিহাস প্রণয়নের খাতিরে।
৪. জিয়া-খালেদার ’৭২-এ রাম-সীতা নাটকাভিনয়ের সময় সহৃদয় উদার সরল বঙ্গবন্ধু খালেদাকে জ্যেষ্ঠ কন্যার মর্যাদা দিয়ে পরিবারের মধ্যে স্থান দিলেন, তাদের নাটকীয় মিলন ঘটালেন- ঐ ঘটনাটি সত্য হলে খালেদার পক্ষে আর যাই হোক বঙ্গবন্ধু নিহত হবার দিনটিকে নিজের জন্মদিন ঘোষণা করে দৃষ্টিকটু উৎসব করা অসম্ভব হতো নয় কি? বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কোন নেতা- সামরিক বা রাজনৈতিক কোন নেতা বা সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে কি কোনভাবে তুলনীয় হতে পারেন? উপরন্তু একজন মেজরের সঙ্গে তুলনা কি হাস্যকর এবং প্রলাপোক্তি এবং গভীর উদ্দেশ্যপূর্ণ নয়? হত্যা করে ক্ষমতা দখলকারীর সঙ্গে কি বঙ্গবন্ধুর তুলনা হয়?
৫. র্যা বকে ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সে সময়ের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনরা খুনী দলে পরিণত করলেও, তাদের একটি দল কিন্তু তারেক রহমান ‘ভাইয়া’ কর্তৃক জন্মদান করা দিনে দুপুরে হত্যা করতে সক্ষম জঙ্গী বাংলাভাই, আবদুর রহমান গং-এর জেএমবি দলের উপরিউক্ত শীর্ষ খুনী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেছিল! যা ছিল তারেক রহমানের প্রতি চ্যালেঞ্জের সমান। এ ছাড়াও ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ও ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকারী হরকত-উল- জিহাদ নেতারা গ্রেফতার হয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যাতে প্রকাশ পেয়েছে প্রথমটিতে বিএনপি নেতা, দ্বিতীয়টিতে তারেক রহমান ও জামায়াতের মুজাহিদ কতিপয় দুর্বৃত্ত পুলিশ কর্মকর্তার খুনের পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টতার কথা!
পাঠক, এই হামলার খুনীরাও র্যা্বের কিছু দেশপ্রেমিক সদস্যের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিল। তাহলে, র্যা বের বিলুপ্তি দরকার কার? খুনী, সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয় দাতাদের এবং তাদের ব্যবহারকারীদের নয় কি?
৬. কোন মানুষকে, গোষ্ঠীকে, দলকে বিলুপ্ত করতে চাইলে প্রথম কি দরকার হয়? দরকার হয় ঐ মানুষের বা দলের পরিকল্পিত চরিত্র হননের যেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবার করা হয়েছিল ১৫ আগস্ট সংঘটনের আগে। বর্তমানে চলছে র্যা বের চরিত্র হনন প্রক্রিয়া এবং র্যা বে তারেকদের মতো ব্যক্তিরা কৌশল আওয়ামী লীগের প্রিয়ভাজন হয়ে আওয়ামী লীগারদের খুন করা যা করছে এবার! তাছাড়া চলছে র্যা বের ভেতরে থাকা অসৎ অর্থলোভী, আদর্শহীন সদস্যদের অর্থ দিয়ে বশ করে খুন, গুম করে সমাজে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দেয়া। একই সঙ্গে বিদেশীদের কাছে ও জনগণের কাছে সরকারে প্রতি আস্থাহীনতার সৃষ্টি করার লক্ষ্যও সাধন করার চেষ্টা চলছে।
৭. পাঠক ও জনগণকে এও স্মরণ রাখতে হবে যে ২০০৬-এ বিএনপি-জামায়াত জোটের নেত্রী খালেদা ও তারেকের একগুঁয়েমি, স্বৈরাচারী আচরণ ও পদক্ষেপের ফলে যখন দলীয় প্রেসিডেন্টকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদে নিয়োগ করা হলো এই পরিকল্পনায় যে তিনি ২০০১-এর নির্দলীয় লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের মতো ভূমিকা গ্রহণ করে খালেদা-তারেক-নিজামীদের ২০০১-এর মতোই কাক্সিক্ষত ‘তৈরি’ ফল উপহার দেবেন! এই অতি অন্যায় সংঘটনের পর তখন সেনাসমর্থিত সরকার ২০০৭-এ ক্ষমতা দখল করে। এ সময় খালেদা-তারেকের সৃষ্ট র্যাসবের কতিপয় সদস্য তারেক রহমানকে গ্রেফতারের সময় দৈহিক আঘাত করে বলে শোনা যায়। এ জন্যও খালেদা-তারেক ‘র্যা ব’ বিরোধী হয়ে ওঠে। শোনা যায়, এ আঘাতের চিকিৎসার অজুহাতে তারেক লন্ডনে বাস শুরু করে। মানুষের সামনে এখনও তারেক নাকি কুঁজো হয়ে লাঠি হাতে হাঁটে। সত্য হলে বলতে হয়, এটিও একটি নাটক নয় কি?
৮. পাঠক, ২০০৮ থেকে গত ৫/৬ বছরে দেশের নানা সম্ভব, অসম্ভব স্থান থেকে শহর-গ্রামের মাদ্রাসা-বাসাবাড়ি থেকে জঙ্গীদের দ্বারা বোমা, গ্রেনেড বানাবার শত শত কেজি বিস্ফোরক পদার্থ, এ্যাসিড, বন্দুক, শটগান, রাইফেল, একে ৪৭সহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার ও শত শত জঙ্গী গ্রেফতারে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে, র্যা ব। তাহলে প্রশ্ন, জঙ্গী গ্রেফতার, বোমা-গ্রেনেড বানাবার বিস্ফোরক উদ্ধার হোক, তা কি খালেদা-তারেক চায় না? দেশ সন্ত্রাসমুক্ত হোক? তা কি ঐ জঙ্গী ব্যবহারকারীরা চায় না?
৯. পাঠক ভুলবেন না, তারেক কিন্তু ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল- ‘আর ছাত্রদল করতে হবে না, এখন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ হয়ে যাও।’ অর্থাৎ সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হবে। ওরা এখন সত্যিই তাই করছে। নারায়ণগঞ্জের খুনী নূর হোসেন বিএনপি, জাতীয় পার্টির লোক ছিল, পরে শামীম ওসমান তাকে আওয়ামী লীগে ঢোকায়। যেসব নেতা খুনী, সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলে প্রবেশ করায়, তাদেরও কি ঐ অপরাধের অংশীদার ধরা হবে না? মেধাবী ছাত্র ত্বকী ট্রাক স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করেছিল, সে বাসের পাশাপাশি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সার্ভিস সংস্কার ও ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করেছিল, যা প্রত্যক্ষভাবে বাস মালিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে! তাহলে কি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হওয়া ঐ বাস-ট্রাক স্ট্যান্ডের মালিক ও চাঁদাবাজরা ত্বকীকেও খুন করিয়েছিল? প্রশ্ন হচ্ছে? নূর হোসেনের এত অবৈধ কাজ-ব্যবসা, শীতলক্ষ্যার বালু উত্তোলন, বিক্রি- এসব তো ছিল প্রকাশ্য, তাহলে সেখানকার জনপ্রতিনিধি সংসদে নারায়ণগঞ্জকে নিরাপদ শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন? পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন না কেন? একজন সন্ত্রাসী নূর হোসেনকে গ্রেফতার করলেই নারায়ণগঞ্জ অনেকটা শান্ত হতো না কি? একজন হেলপারকে কোটিপতি বাস মালিক বানাল কে? এসব লোককেই তো তারেকের দরকার, শেখ হাসিনা বা সজীব ওয়াজেদের জন্য এরা তো শত্রুবৎ নয় কি? আইজিপিকে বলছি? দীর্ঘদিন র্যা ব ১১ যখন নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস দমন করেনি, বরং সহযোগী থেকেছিল, তাহলে তাদের বদলি করা হলো না কেন?
সবশেষে জগণকে দেখতে হবে- র্যা ব, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীতে অর্থলোভী সদস্য নিশ্চয় আছে, কেউ কি তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার আত্মীয়কে ‘খুনী’ বানাতে বাছাই করে নিয়েছিল? তাহলে যুদ্ধাপরাধী মিত্রদের পোয়াবারো হয়, একদিকে ১. আওয়ামী লীগার দিয়ে আওয়ামী লাগারকে খুন করা গেল; ২. বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেও খুনী আছে, তা প্রমাণ করা গেল; ৩. মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনরাও খুনী হয় তাও প্রমাণ হলো।
এ পর্যন্ত খালেদা-তারেকের ও জামায়াতের দ্বারা যত সহিংসতা হয়েছে তার সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে! ২০১৩-এর নবেম্বর-ডিসেম্বরে সাধারণ জনগণ যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় তাদের বিরুদ্ধে খালেদা হত্যাযজ্ঞ চালায়। আশ্চর্য এই যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি-জামাতয়াকে কখনও খুন করতে হামলা করেনি!
আওয়ামী লীগের ভাগ্য যেন দেশের সব সন্ত্রাস, নারকীয় ঘটনার বিচার করা। আর বিএনপি-জামায়াত একের পর এক সহিংসতা ঘটিয়ে যাবে, এসবের শিকার হবে আওয়ামী লীগ, হিন্দু ও আদিবাসী! জাতি এই দৃশ্যই বারবার দেখবে।
জনগণ দেখেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা থেকে শুরু করে বিডিআর হত্যা, ২০০১ থেকে ২০০৬-এর শাহ কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা, ২১ আগস্ট হত্যা, দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার এবং ৭১-এর যুদ্ধাপরাধসহ সব মামলার বিচার করছে আওয়ামী লীগ সরকার। অথচ বিএনপি কখনও কোন খুন হত্যার বিচার করেনি, এমনকি জিয়া হত্যার বিচারও নয়! যতদিন বিএনপিতে খালেদা-তারেক নেতৃত্বে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশে এই ধরনের অশান্তির শেষ হবে না এটা বলা বাহুল্য।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
এইচ. ইমরান বলেছেন: আমাদের দেশের কোন মানুষেরই দেশ প্রেম নাই।
কয়েকদিন আগে পত্রিকায় একটি খবর পড়লাম, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট তার 8 বছরের সফল জীবন পার করার পর এখন একটি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন।
এবং সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টি হলো
সে এখন প্রতিদিন সাধারণ মানুষের মত বাসে করে যাতায়ত করে।
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
মাইরালা বলেছেন: হাসিনার বেয়াই সবচেয়ে বড় রাজাকার
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
সুমাইয়া আলো বলেছেন: মাইরালা
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
মুদ্দাকির বলেছেন: জিয়া রক্ষীবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন
আর ছায়ানট উদীচীর ঘটনা বি এন পি আমলেই হয়েছে
শায়েখ আবদুর রহমান মীর্যা ফখরুলের দুলা ভাই
এই ধরনের পা চাটা লেখা পড়লে পুরাই স্পিকার হয়ে যাই