নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারকে দুর্বল করতে অপচেষ্টা

১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়ার প্রত্যাশা জেগেছে জনগণের মনে। কারণ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। কিন্ত সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, র্যা ব এবং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করেছে। সশস্ত্র বাহিনীর তিনজন সদস্যকে কোনো দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই দায়িত্বে অবহেলার কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনজনই র্যা বের কর্মকর্তা ছিলেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ এলাকার পুলিশ প্রশাসনকে সম্পূর্ণই ঢেলে সাজানো হয়েছে। সরকারের সদিচ্ছার কোনো কমতি নেই, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। অথচ সেই সদিচ্ছাকে দুর্বলতা বলে প্রচার শুরু করেছে কিছু মিডিয়া। এমনকি বলা হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, র্যা ব এর দরকার নেই বলেও বিএনপি’র নেতারা প্রচার করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যােবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যািব’র সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি প্রভাবশালী মহল এই এলিট ফোর্সের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ড চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন র্যা ব ও সরকারকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। গুটিকয়েক দুষ্ট লোকের জন্য পুরো সংস্থাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অপরাধীদের কাছে র্যাকব মূর্তিমান আতঙ্ক। এই চৌকস সংস্থার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অপরাধের মাত্রা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ অনেকটা দূর হয়েছে।

একথা সত্য যে র্যাযব কাজ করে জনগণের জন্য। জনগণের নিরাপত্তার জন্যই র্যা বের সৃষ্টি হয়েছে। র্যা্বের অজস্র সাফল্য একটি ঘটনার ব্যর্থতা দিয়ে বিচার করা অনুচিত। র্যােব মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না, বরং মানবাধিকার রক্ষা করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানটি দেড় লাখ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। এসব অপরাধী গ্রেপ্তার না হলে তারা পাঁচ লাখ অপরাধী সৃষ্টি করে ফেলত। উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এর পেছনে র্যা বের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তবে ইদানীং একটি অপরাধী চক্র নিজেদের আড়াল করার লক্ষ্যে অপহরণ করে র্যা বের নাম বলছে। এরই মধ্যে কিছু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যালব কাউকে অপহরণ করছে না। কারণ র্যাাব যাদের গ্রেপ্তার বা আটক করে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পাঠানো হয়। কাউকে লুকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। র্যােবকে নিয়ে দেশ বিদেশে বেশি হৈ চৈ হওয়ার সুযোগে অপরাধীরা অপহরণের ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে। র্যা বের হাতে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা সবাই অপরাধী। নানা সমালোচনার মধ্যে থেকেই এভাবে তাদের কাজ চালাতে হচ্ছে। অথচ তাদের সাফল্যের তালিকা অনেক দীর্ঘ।

এ বছরের ৩১ জানুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদকীয়’র একটির শিরোনাম ছিল র্যা বের সাফল্য। একই ভাবে কালের কণ্ঠ ও ভোরের কাগজসহ অন্যান্য দৈনিক পত্রিকায় র্যা ব-পুলিশের প্রত্যাশিত ভূমিকা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশে সন্ত্রাস দমন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে চলেছে র্যাশব। আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের নীরবে দায়িত্ব পালনের কৃতিত্বকে এজন্য আমাদের প্রশংসা করতে হবে। মূলত র্যাতপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যািব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি এলিট ইউনিট হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের জনগণের আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সকলের দৃষ্টি ছিল তাদের দিকে। টাকা চুরি করতে দু’বছরের পরিকল্পনা লেগেছে সোহেল-হাবিব গংদের আর মাত্র দু’দিনে র্যাতব সদস্যরা অপরাধী চক্রকে ধরে প্রমাণ করেছিল তাদের সক্ষমতা। এর আগে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে তারা। তারও আগে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা মোকাবিলায় নিয়োজিত ছিল র্যাপব।

এভাবে জনজীবনকে অপরাধীদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের। মূলত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে এবং বর্তমানে র্যা ব দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টির জন্য অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করে জনমনে আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় জঙ্গিবাদ তথা সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকান্ডে র্যা বের সাফল্য অসামান্য। অর্থাৎ র্যামবের সবচেয়ে বেশি সাফল্যের নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যাবে জঙ্গি দমনে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের পরে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, হুজির প্রধান মুফতি হান্নান প্রভৃতিসহ ৬৩ জঙ্গিবাদী নেতাকে অসীম সাহসিকতা, নিষ্ঠা, ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাথে গ্রেপ্তার করেছেন র্যারব সদস্যরা। এখনও এই প্রতিষ্ঠানটিই কঠোর হাতে দমন করে চলেছে যে কোনো ধরণের জঙ্গিবাদী তৎপরতা। তাদের সাফল্যজনক অভিযানের ফলে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ দমনের পাশাপাশি মাদকের অবাধ ব্যবহার ও বিপণন বন্ধ হয়েছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, বিদেশি মদ ধ্বংস করা হয়েছে অঢেল। সশস্ত্র ছিনতাইকারী, ডাকাত কিংবা জননিরাপত্তার হুমকিস্বরূপ কারো সন্ধান পেলে র্যা ব জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় অনুষ্ঠান, ধর্মীয় উৎসব, বিশ্ব ইজতেমা অথবা বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো জাতীয় কর্মকান্ডে অবদান রেখেছে র্যারব। অপরাধ দমন সংশ্লি¬ষ্ট প্রচলিত আইন এবং আইনের সংস্কার করা, অবৈধ অস্ত্রের উদ্ধার এবং ব্যবহার রোধ করা, সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরের দুর্নীতি দূর করা, নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল বিরোধী অভিযান ও মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া, ভবিষ্যৎ অপরাধের ধরণ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আধুনিকায়ন, অপরাধ দমনে প্রচলিত আইনের কার্যকারিতা কিংবা প্রয়োজনে সংস্কার সাধন, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লি¬ষ্ট অন্য বিষয়সমূহ তদারকি করা, ইভটিজিং এবং সমসাময়িক সামাজিক অপরাধ প্রবণতা রোধে দায়িত্ব পালন সবই করছেন এই সংস্থাটির সদস্যরা।

র্যা বের এসব কর্মকান্ডের ফলে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক কিংবা জনমনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের অভিমত হলো, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত তাদের নিজস্ব প্রশাসনকে ঠিক মতো পরিচালনা করা ও সক্রিয় থাকা। উপরন্ত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় অপহরণকারী, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির বিধান করা গেলে র্যা্বের ওপর মানুষের আস্থা আরও দৃঢ়তর হবে।

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিককে নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহরণ করলেও অপরাধীরা র্যাৃব ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। একইভাবে ২০১২ সালের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলোচনার শীর্ষে ছিল ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের শিশু পরাগ মল অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনা। র্যাদবের তৎপরতার ফলে এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা পরাগকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। র্যাণবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর তৎকালীন পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েলের টিভি চ্যানেলে দেওয়া ব্রিফিং থেকে তাদের উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সেসময় পরিষ্কার ধারণা পেয়েছিল জনগণ। গুলি করে পরাগের মা-বোনকে আহত করা সেই অপহরণকারীরা প্রায় সকলেই ধরা পড়েছে র্যািব এর জালে। জঙ্গি দমনে সফলতার সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে তাদের সাফল্যের দৃষ্টান্ত অজস্র। ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমাদের এক আত্মীয়কে অপহরণকারীদের হাত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন র্যাঅবের চৌকস সদস্যরা। তাদের প্রতি সেই পরিবার যেমন কৃতজ্ঞ তেমনি তাদেরকে অনেকেরই ধন্যবাদ দেওয়ার মতো ইস্যু রয়েছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে র্যা ব ১১-এর সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ আর অভিযোগ ঠিক তার প্রতিই গভীর শ্রদ্ধাবনত নারায়ণগঞ্জের সাধারণ এক পরিবার জানান লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর আরেক কাহিনী। নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তিটি বলেন, সন্ত্রাসী-প্রভাবশালী মহলের হাতে জিম্মি নারায়ণগঞ্জে বসবাসরত অবস্থায় গুটিকয়েক প্রভাবশালী মহলের দৃষ্টি পড়ে ওই পরিবারের সুন্দরী গৃহবধূটির দিকে। তাদের বলা হয়েছে ওই গৃহবধূকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ২ দিনের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে স্বেচ্ছায় তাদের হাতে তুলে না দেওয়ায় তারা গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় এবং ঠিক ২ দিন পর ফেরত দিয়ে যায়। ওই ব্যক্তি জানান, বাস্তবতা হচ্ছে, ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী মহলের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস রাখে না, এমনকি প্রশাসনও ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কখনও অভিযান চালানোর সাহস করে না। তবে যিনি এ জঘন্য কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সাহস দেখিয়েছেন তিনিই হলেন লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, যার প্রতি ওই পরিবার এখনও শ্রদ্ধাবনত।

অপরাধ দমনে র্যাজবের কৃতিত্বের পরিসংখ্যানটি সংস্থাটির ওয়েবসাইটেও প্রদর্শিত হয়েছে। অপরাধ দমনে সাফল্যের কারণেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে র্যাদব। ডা. নিতাই চন্দ্র হত্যার রহস্য জাল ভেদ করতে পেরেছেন তারা। যদিও ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে বিএনপি এখনো আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বহাল রেখেছে। তবে র্যািবের দক্ষতার কারণেই সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বেপরোয়া হতে পারছে না। বোঝা যাচ্ছে বর্তমান সরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করছে। রাজনৈতিক চাপমুক্ত অবস্থায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। ক্রমান্বয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জোরদার হচ্ছে। এর আগে দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জাতীয় পত্রিকাগুলো দেশের মধ্যে বড় ধরণের নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। বলা হয়েছিল তাদের সহিংস কর্মকান্ডের মূল লক্ষ্য হতে পারেন যুদ্ধাপরাধ বিচারের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সংশ্লি¬ষ্ট ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সে সময় ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের গোপন আঁতাত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। তখন জামায়াত-শিবির চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে; অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে অংশগ্রহণ করে তান্ডব সৃষ্টি করেছে। হিযবুত তাহরিরসহ উগ্রপন্থি আরও ৫টি সংগঠন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে গোপনে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে র্যায়বের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর বর্তমান পরিচালক হাবিবুর রহমান একাধিক টিভি চ্যানেলকে এর আগে জানিয়েছিলেন। পরিচালক জামায়াতের হামলার ধরণ ও গোপন তৎপরতার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর মিল রয়েছে বলেও জানান। কিন্ত সরকারের কঠোর অবস্থান এবং র্যাওবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঐ গোষ্ঠীর অর্থ যোগানদাতা ও নেতৃত্বের সব তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জঙ্গিদের কার্যক্রম পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পত্র মারফতে বলা হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য। আমাদের অভিমত, এ বিষয়ে র্যা ব’র নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাকে সামাজিক প্রচার-প্রচারণায় যুক্ত করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। তবে এসবের সঙ্গে সঙ্গে র্যা ব কর্মকর্তারা আরও মনে করেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। জঙ্গিবাদের অর্থায়নের উৎস বন্ধ করা গেলে এবং তরুণ সমাজের মধ্যে চিন্তা-চেতনা-মন-মনন-মানবিকতার উন্মেষ ঘটাতে পারলে ধর্মকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অবসান হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার আগে গত কয়েক বছর যাবৎ র্যা ব কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধে সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকার ফোরামের কিছু ব্যক্তি। ২০০৯-এর জানুয়ারি থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত গুম হয়েছে ১৫৬টি, যার মধ্যে ২৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ক্রস ফায়ারে মারা গেছে ৪৬২ জন। তাদের মতে, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল হয় না, বিচারিক প্রক্রিয়ায়ই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মূলত কলেজ ছাত্র লিমনের পঙ্গুত্ববরণের ঘটনায় দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান র্যা্বের প্রতি খড়গ উঁচিয়ে ধরেছেন। একই সঙ্গে কিছু মিডিয়া তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কিছু দিন আগে র্যাতবের সোর্স মৃত্যুর ঘটনায় লিমনদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার বিষয় নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। অথচ তার সঙ্গে র্যািবের কোনো সংশ্লি¬ষ্টতা নেই বলে প্রেস-রিলিজ দেওয়া হলেও ডেইলি স্টারসহ অনেক পত্রিকা বিষয়টি প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকে। একথা সত্য, মানুষের মনে র্যা ব সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করেছিল গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের সময় বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে যে কমে এসেছে, তা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের শেষ তিন বছরে মোট গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির শতকরা ২.২৪ ভাগ অর্থাৎ ৩৪০ জন এনকাউন্টারে নিহত হয়। সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ০.৭৪ ভাগ অর্থাৎ ২০৬ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়। এ ধারা বর্তমান সরকারের প্রথম আমলে নেমে আসে ০.২৩ ভাগে অর্থাৎ ১১৭ জন মারা পড়ে এনকাউন্টারে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর প্রধান কারণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর অথবা সাধারণ যে কোনো ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্তকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত চার বছরে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১০-১১ সালে অভিযুক্ত ১৪২৯ জন র্যাভব সদস্যকে তদন্ত, বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা হয়। ফৌজদারি আদালত এবং প্রশাসনিক শাস্তির ফলে ৫২৫ জনের জেল ও ৯০৪ জনকে বরখাস্ত কিংবা বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগেকার সরকারের মতো সংস্থাটির অপরাধী সদস্যদের অব্যাহতি দেওয়ার সংস্কৃতি বদলে গেছে।

বর্তমানে যে কোনো র্যাৎব সদস্য অপরাধী হিসেবে গণ্য হলে কিংবা অপকর্মে লিপ্ত হলে তাকে জেল, পাওনা ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং সিভিল কোর্টে বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। এছাড়া র্যা্ব সদস্যদের আরও বেশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ২০১২ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেলটি স্বাধীনভাবে র্যারবের ডিজি’র অধীনে কাজ করছে। র্যালব সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো নাগরিকের অভিযোগকে তদন্ত করা সেলটির অন্যতম দায়িত্ব। পূর্বেই বলা হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সংখ্যা কমে এসেছে। কারণ র্যা ব সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত র্যা বের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিসংখ্যান হলো র্যা বের এখতিয়ারে ১৩২৭ জন, ১২ জন ক্রিমিন্যাল কোর্টে, ৩৯২ জনকে অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক বিচার করা হয়েছে। র্যারব কর্তৃক ১ জন ও ক্রিমিন্যাল কোর্টে ৫ জন বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। গুরুতর অপরাধের জন্য জেল হয়েছে ৫২৫ জনের, ছোটখাট অনিয়মের কারণে ৯০৪ জন শাস্তি ভোগ করছেন। র্যাুবের বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল জিয়া’র মতে, গুটিকয়েক লোকের জন্য পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যে কোনো ঘটনার সঙ্গে র্যা ব সদস্য বা কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গত ১০ বছরে ১ হাজার ৯৪৯ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুদন্ড দেওয়া হয়েছে ৬৭২ জনকে। অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা আছে। মূলত মিথ্যা অপবাদে র্যাদবের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। যারা র্যাকবের নামে অপহরণ করেছে তাদের বেশ কয়েকটি চক্রকে এরই মধ্যে ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০৩টি অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ১ হাজার ৬০২ জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার এবং ৮৮৮ জন অপহৃত নারী-পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন র্যােব মানুষের নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

তাছাড়া এ ধরণের ফোর্স সামাজিক অবক্ষয় ও বিচার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আরও বেশি আস্থাশীল সংস্থায় পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে বিরোধী গোষ্ঠীর নানা তৎপরতা সত্ত্বেও র্যা বের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটি তৈরি হয়েছে। কারণ র্যােব বাংলাদেশের অন্যতম এলিট ফোর্স। বিশ্বের অনেক দেশে এলিট ফোর্সের অস্তিত্ব রয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাকব বাংলাদেশ পুলিশেরই অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি এলিট ইউনিট হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের জনগণের আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত র্যােবের সদস্য হিসেবে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বিজিবিকে নিযুক্ত করা হয়। একই বছর ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যক্রম শুরু করে র্যাাব দেশের আইন শৃঙ্খলাসহ আমাদের নিরাপত্তার সামগ্রিক দায়িত্বে প্রশংসনীয় অনেক অবদান রেখেছে। আমেরিকা, জার্মান, চীন, ইসরাইল প্রভৃতি দেশের তৈরি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত র্যায়ব সদস্যরা ব্যাটনও ব্যবহার করে থাকেন উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনে। অভ্যন্তরীণ ৯টি বিভাগ নিয়ে র্যারবের প্রধান দপ্তর তাদের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিটসহ গোয়েন্দা শাখাগুলো রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে সর্বদা তৎপর। লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং জনগণকে তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করে, অপারেশনের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে থাকে। র্যা ব সদস্যদের সন্ত্রাস প্রতিরোধে ট্রেনিং গ্রহণ বাধ্যতামূলক। তাদের ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন কোর্সের বেসিক পাঠ, প্রাথমিক ড্রাইভিং, কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং এর জ্ঞান অর্জন করতে হয়।

এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ তাদের তদন্ত প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। দেশজুড়ে র্যাওবের ১২টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে ৫টিরই অবস্থান রাজধানীতে। মূলত র্যাহব প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধর্মীয় জঙ্গি গ্রেপ্তার ও অস্ত্র-গোলাবারুদ বা বিস্ফোরক উদ্ধারের পরিসংখ্যানটি দীর্ঘ। র্যাবব কর্তৃক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০০০ জন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ জেএমবি সদস্য ৫৭৭ জন। এর পরই রয়েছে হিযবুত তাহরিরের ১৭৮ এবং হিযবুত তাওহিদের ১২৯ জন। জঙ্গি তৎপরতায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, জয়েস-ই-মোহাম্মদ, হিযবুল মুজাহিদীন, খেলাফত মজলিস, হুজিবি, লস্কর-ই-তৈয়াবা’র উল্লে¬খযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি যেমন, গ্রেনেড, বোমা, ককটেল (২০৪টি), বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র (৭৫টি), বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ (২৯২৯ রাউন্ড), বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরক (১৮১১ কেজি), গ্রেনেড বডি (৬২৪টি), বিভিন্ন প্রকার ডেটোনেটর (৯০১৮) এবং বিপুল সংখ্যক সাংগঠনিক বই, সিডি, লিফলেট ও পোস্টার উদ্ধার করেছেন র্যাদব সদস্যরা। কেবল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, তাদের গোপন কার্যক্রম ও গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখছে র্যাযব।

র্যা বে’র দায়িত্ব ও কর্তব্য দিন দিন আরও বাড়ছে। কারণ ধর্মীয় জঙ্গিবাদ দমনে র্যা্বের সাফল্যের পাশেই রয়েছে নতুন নতুন সন্ত্রাসী তৎপরতা। যেমন, দেশের জেএমবি, হিযবুত তাহরির, হিযবুত তাওহিদের সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, হরকত-উল-জিহাদ এবং জয়েশ-ই মোহাম্মদ এক হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সংগঠিত হচ্ছে। জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র ইসলামিক রাষ্ট্র গঠন করা। নতুন নামে জঙ্গিদের আবির্ভাব ঘটছে বলে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বা জেএমবি এখন সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে জামাআতুল আরাকান নামে। বান্দরবান জেলার আলীকদমে দুর্গম পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে জেএমবি’র একাংশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গোষ্ঠীদের একত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কিছু সদস্য পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান যাওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশ টের পেয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিদেশি জঙ্গিদের লেখা ও সাক্ষাৎকার বাংলায় পড়ে উজ্জীবিত হতো এরা। তাদের কাছে এ ধরণের পত্রিকা ও পুস্তিকা পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের সঙ্গে দেশীয় জঙ্গিদের সম্পর্কের বিষয় এ থেকে স্পষ্ট। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, স্থান ও ব্যাটালিয়ন সমূহের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় র্যা ব’র নিয়মিত টহল ডিউটি রয়েছে। এই টহল আরও বিস্তৃত করার সময় এসেছে। কারণ তাদের ওপর সরকারসহ সাধারণ জনগণের আস্থা রয়েছে।

অপহরণ এবং জঙ্গিবাদ তৎপরতা এমনই বিপজ্জনক বিষয় যে, এই শক্তিকে নির্মূল বা অকার্যকর করার উদ্যোগে শৈথিল্যের কোনো সুযোগ নেই। এটা ঠিক যে র্যািব’র নজরদারির ফলে অপহরণ ও জঙ্গিবাদীদের তৎপরতা অতীতের তুলনায় এখন দৃশ্যত নেই বললেই চলে। কিন্ত ভিন্ন ভাবে ও ভিন্ন রূপে এই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই এ ধরণের অপশক্তির বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রবল তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্য দিকে আইনের শাসন কার্যকর করার জন্য আওয়ামী লীগের মতো নিবেদিত প্রাণ শাসক রয়েছে। এ দেশের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাস সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী বর্তমান সরকার। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড কিংবা হত্যা-গুমের অভিযোগ সঠিক নয়। বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে তাদের কর্মকান্ডে। কারণ সশস্ত্র বাহিনী এবং র্যা বের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক সদস্য জানেন, জীবনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা বিধানের অধিকার রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। কাউকে নৃশংস অত্যাচার ও খুন করা স্পষ্টত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত পর্যায়। বর্তমানে এসব বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। তারা অপরাধ দমনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন এ ধরণের অভিযোগের ভিত্তি নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.